Ajker Patrika

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা প্রশমনে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে চীন

আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫: ৫৬
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা প্রশমনে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে চীন

ইরানে ইসরায়েলের হামলার পর চীন বলেছে, তারা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা প্রশমনে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে। গত সপ্তাহে ইরানের ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ইসরায়েল আজ প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে বলে মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। এর পরিপ্রেক্ষিতেই চীনের ভূমিকার কথা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেছেন, চীন উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দেয় এমন যেকোনো পদক্ষেপের বিরোধিতা করে এবং উত্তেজনা কমাতে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে।

ইরানের ঘনিষ্ঠ অংশীদার হচ্ছে চীন। ইরানের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার এবং নিষেধাজ্ঞায় থাকা দেশটির তেলের শীর্ষ ক্রেতাও চীন।

বর্তমানে গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধকে নানাভাবে প্রভাবিত করছে ইরান। যুক্তরাষ্ট্র বারবার অঞ্চলটিতে উত্তেজনা প্রশমিত করার জন্য তেহরানের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই চলতি সপ্তাহে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, বৈঠকে তেহরান বলেছে যে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রথম হামলার পর তারা সংযমী আচরণ করতে চায়।

ইরানের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে দেশটিতে আজ আক্রমণ করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি আক্রমণ ঠেকাতে ইরানের প্রদেশগুলোতে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। এ ছাড়া ইরানের ইস্পাহান নগরীর বিমানবন্দরেও বিস্ফোরণের কথা জানা গেছে।

তবে ইরান জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র নয়, ড্রোন হামলা হয়েছিল। এসব ড্রোনের অধিকাংশই ভূপাতিত করা হয়েছে এবং এই হামলায় ইস্পাহানে অবস্থিত নাতাঞ্জ পরমাণু কর্মসূচি অবকাঠামোর কোনো ক্ষয়ক্ষতিই হয়নি।

ইরানে ইসরায়েলি হামলার খবরের পর দেশটির বিভিন্ন স্থানের বিমানবন্দরগুলোর কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছিল। ইরানের রাজধানী তেহরানের দুটি বিমানবন্দরও সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে অল্প সময় পরেই তেহরানের বিমানবন্দর দুটির কার্যক্রম আবারও চালু হয়েছে।

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক প্রতিশোধের কোনো পরিকল্পনা ইরানের নেই। ইরানী ভূখণ্ডে আজ শুক্রবার ইসরায়েলের হামলার কয়েক ঘণ্টা পর বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ কথা বলেছেন ইরানের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে বিমান হামলা হয়। এতে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) আল-কুদস ফোর্সের দুই শীর্ষ জেনারেলসহ সব মিলিয়ে ১১ জন নিহত হন। ইসরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে এই হামলার দায় স্বীকার না করলেও ইরান ইসরায়েলকেই এর জন্য দায়ী করে আসছে।

জবাবে গত শনিবার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একসঙ্গে বেশ কয়েকটি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। শনিবার রাতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ) জানায়, ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে। সেই হামলায় ইসরায়েলের একটি গোয়েন্দা কেন্দ্র ও একটি বিমানঘাঁটি ধ্বংসের দাবি করেছে ইরান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত