Ajker Patrika

শ্রীলঙ্কার ১৪.৭ বিলিয়ন ডলারের বিদেশি ঋণ পুনর্গঠন চুক্তিতে দিসানায়েকের সায়

শ্রীলঙ্কার ১৪.৭ বিলিয়ন ডলারের বিদেশি ঋণ পুনর্গঠন চুক্তিতে দিসানায়েকের সায়

শ্রীলঙ্কার বিগত সরকারের আমলের ১৪.৭ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৪৭০ কোটি ডলারের বিদেশি ঋণ পুনর্গঠনের চুক্তিতে সায় দিয়েছেন নতুন বামপন্থী প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিসানায়েকে। বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

গত মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে যাওয়ার মাত্র দুই দিন আগে আন্তর্জাতিক সার্বভৌম বন্ডধারী ও চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করেন। দেশটির সাবেক নেতা রনিল বিক্রমাসিংহে। 

নির্বাচনে জয়ী হয়ে দিসানায়েকে শর্ত নিয়ে আপত্তি জানিয়ে নমনীয় করার আহ্বান জানান। কিন্তু কলম্বোতে আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দুই দিনের আলোচনার পর অবস্থান পাল্টে পূর্বসূরীর চুক্তির প্রতি সম্মান রাখার কথা জানান।

শ্রীলঙ্কার অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘১৯ সেপ্টেম্বর ঘোষিত নীতিগত শর্তেই চুক্তিটিতে অনুমোদন নিশ্চিত করেছে শ্রীলঙ্কা সরকার।’ 

দ্বীপরাষ্ট্রটির অর্থনীতি পুনর্গঠনের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) অন্যতম মূল সুপারিশ ঋণ পুনর্বিন্যাস। ২০২২ সালে সবচেয়ে খারাপ সংকটের সময়ে দেশটির অর্থনীতি ৭ দশমিক ৮ শতাংশ হারে হ্রাস পায়।

জুন মাসে দ্বিপক্ষীয় ঋণদাতাদের সঙ্গে ৬০০ কোটি ডলারের সরকারি ঋণ পুনর্বিন্যাসের চুক্তি করে। 

এরপর গত ১৯ সেপ্টেম্বর ঘোষিত চুক্তির অধীনে বেসরকারি ঋণদাতারা ঋণের ২৭ শতাংশ কাটছাঁট করতে সম্মত হয়।

শ্রীলঙ্কার কাছে এই ঋণতাদাদের আন্তর্জাতিক সার্বভৌম বন্ড ও বিদেশি বাণিজ্যিক ঋণের অর্ধেকেরও বেশি পাওনা আছে। তাঁরা পাওনা সুদের ১১ শতাংশ মওকুফ করতে সম্মত হয়েছে। 

চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কাছে সাড়ে ১২ বিলিয়ন ডলার ও ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের আন্তর্জাতিক সার্বভৌম বন্ড আছে। 

২০২২ সালে বিদেশি ঋণ খেলাপি হওয়ার সময় শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক ঋণ ছিল ৪৬ বিলিয়ন ডলার। সে সময় দেশটিতে খাদ্য ও জ্বালানির মতো নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য আমদানির ব্যয় মেটাতে বৈদেশিক মুদ্রারও ঘাটতি ছিল। সরকারের অনুমোদিত বন্ড পুনর্গঠন চুক্তি এখন সংসদে পাস হতে হবে।

শপথ নেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই সংসদ ভেঙে দিয়ে ১৪ নভেম্বর আগাম নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণার আহবান জানান।

২১ নভেম্বর সংসদের প্রথম অধিবেশন বসতে চলেছে। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে গত বছর আইএমএফের কাছ থেকে ২৯০ কোটি ডলারের ঋণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কঠোর কৃচ্ছ্রতামূলক পদক্ষেপ অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনতে সহায়তা করে। তবে এর ফলে শ্রীলঙ্কার নিম্ন আয়ের বড় ধরনের অসুবিধায় পড়তে হয়। 

সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে শ্রীলঙ্কা প্রবৃদ্ধিতে ফিরলেও অর্থনীতি ঝুঁকি রয়ে গেছে বলে আইএমএফ সতর্ক করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত