অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভের ১০০ দিন পূর্তি হয়েছে গত রোববার। তুমুল বিক্ষোভের মুখে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। তাঁর জায়গায় ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। তিনি চেষ্টা করছেন প্রেসিডেন্টের পদে স্থায়ী হতে। তবে, বিক্ষোভকারীদের দাবি, ‘রনিল আপনি আমাদের প্রেসিডেন্ট না। আজ বিক্ষোভের শততম দিন, ঘরে ফিরে যান রনিল।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি থেকে এই তথ্য জানা গেছে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শ্রীলঙ্কা গত বছরের শেষের দিক থেকে তীব্র খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধ সংকটে ভুগছে। এই দুর্দশার জন্য সাধারণ মানুষ গোতাবায়ার সরকারের অব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করে আসছিল। তারই সূত্র ধরে, তাঁরা রাজাপক্ষের পদত্যাগের দাবিতে প্রথমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে বিক্ষোভের ডাক দেয়। ক্রমেই তা মাঠের আন্দোলনে রূপ নেয়।
সংখ্যালঘু তামিল ও মুসলিমরাও এই গণ-আন্দোলনে সংখ্যাগুরু সিংহলিদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মেলায়। এতেই নড়ে ওঠে রাজাপক্ষে ভাইদের দুই দশকের শাসনের ভিত।
গত ৯ এপ্রিল মাত্র দুই দিনের বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়। রাজাপক্ষের সরকারি দপ্তরের সামনে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী জড়ো হয়। এত বেশি মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে তা কল্পনাও করতে পারেনি সরকার। অব্যাহত বিক্ষোভ–আন্দোলনের ফলাফল হিসেবে গত সপ্তাহের মঙ্গলবার রাতের আঁধারে গোতাবায়া মালদ্বীপ পালিয়ে যান। সেখান থেকে যান সিঙ্গাপুরে। পরে সেখান থেকেই গত বৃহস্পতিবার রাতে স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান তিনি।
শ্রীলঙ্কার সংবিধান অনুসারেই প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের পর প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হন। নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ে থাকা রনিল রাজাপক্ষে ভাইদের ঘনিষ্ঠজন। গোতাবায়ার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে রাজাপক্ষে ভাইদের শাসনের অবসান ঘটে। তবে তাঁদের আশীর্বাদপুষ্ট রনিল এখনো রয়ে গেছেন। বিক্ষোভকারীরা তাঁকে কোনোভাবেই চান না।
আন্দোলনকারীদের একজন প্রসাদ উইলিকুমবুরা বলেন, ‘রনিলকেও যেতে হবে। আমাদের বিক্ষোভ শততম পেরিয়ে গেছে। এরই মধ্যে বদল এসেছে অনেকটাই। তবে সিস্টেমের আমূল পরিবর্তন এখনো আসেনি। তা থেকে আমরা এখনো অনেক দূরে।’
বিক্ষোভকারীদের এক মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘আমরা এখন রনিল বিক্রমাসিংহের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ঘুরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছি।’
গোতাবায়া দেশ ছাড়ার পর বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ও কার্যালয় ছেড়ে দেয়। এখন রাজপথে বিক্ষোভকারীদের উপস্থিতি ততটা নেই। এর মধ্যে আগামী মঙ্গলবার পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কথা। পরদিন হবে নির্বাচন। তাই আজ সোমবার থেকেই পার্লামেন্ট ঘিরে জোরদার করা হচ্ছে নিরাপত্তা।
অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভের ১০০ দিন পূর্তি হয়েছে গত রোববার। তুমুল বিক্ষোভের মুখে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। তাঁর জায়গায় ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। তিনি চেষ্টা করছেন প্রেসিডেন্টের পদে স্থায়ী হতে। তবে, বিক্ষোভকারীদের দাবি, ‘রনিল আপনি আমাদের প্রেসিডেন্ট না। আজ বিক্ষোভের শততম দিন, ঘরে ফিরে যান রনিল।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি থেকে এই তথ্য জানা গেছে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শ্রীলঙ্কা গত বছরের শেষের দিক থেকে তীব্র খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধ সংকটে ভুগছে। এই দুর্দশার জন্য সাধারণ মানুষ গোতাবায়ার সরকারের অব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করে আসছিল। তারই সূত্র ধরে, তাঁরা রাজাপক্ষের পদত্যাগের দাবিতে প্রথমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে বিক্ষোভের ডাক দেয়। ক্রমেই তা মাঠের আন্দোলনে রূপ নেয়।
সংখ্যালঘু তামিল ও মুসলিমরাও এই গণ-আন্দোলনে সংখ্যাগুরু সিংহলিদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মেলায়। এতেই নড়ে ওঠে রাজাপক্ষে ভাইদের দুই দশকের শাসনের ভিত।
গত ৯ এপ্রিল মাত্র দুই দিনের বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়। রাজাপক্ষের সরকারি দপ্তরের সামনে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী জড়ো হয়। এত বেশি মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে তা কল্পনাও করতে পারেনি সরকার। অব্যাহত বিক্ষোভ–আন্দোলনের ফলাফল হিসেবে গত সপ্তাহের মঙ্গলবার রাতের আঁধারে গোতাবায়া মালদ্বীপ পালিয়ে যান। সেখান থেকে যান সিঙ্গাপুরে। পরে সেখান থেকেই গত বৃহস্পতিবার রাতে স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান তিনি।
শ্রীলঙ্কার সংবিধান অনুসারেই প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের পর প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হন। নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ে থাকা রনিল রাজাপক্ষে ভাইদের ঘনিষ্ঠজন। গোতাবায়ার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে রাজাপক্ষে ভাইদের শাসনের অবসান ঘটে। তবে তাঁদের আশীর্বাদপুষ্ট রনিল এখনো রয়ে গেছেন। বিক্ষোভকারীরা তাঁকে কোনোভাবেই চান না।
আন্দোলনকারীদের একজন প্রসাদ উইলিকুমবুরা বলেন, ‘রনিলকেও যেতে হবে। আমাদের বিক্ষোভ শততম পেরিয়ে গেছে। এরই মধ্যে বদল এসেছে অনেকটাই। তবে সিস্টেমের আমূল পরিবর্তন এখনো আসেনি। তা থেকে আমরা এখনো অনেক দূরে।’
বিক্ষোভকারীদের এক মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘আমরা এখন রনিল বিক্রমাসিংহের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ঘুরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছি।’
গোতাবায়া দেশ ছাড়ার পর বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ও কার্যালয় ছেড়ে দেয়। এখন রাজপথে বিক্ষোভকারীদের উপস্থিতি ততটা নেই। এর মধ্যে আগামী মঙ্গলবার পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কথা। পরদিন হবে নির্বাচন। তাই আজ সোমবার থেকেই পার্লামেন্ট ঘিরে জোরদার করা হচ্ছে নিরাপত্তা।
চলমান যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি করার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর যুক্তি, ‘রাশিয়া খুবই বড় শক্তি, ইউক্রেন নয়। তাই যুদ্ধ এড়িয়ে টিকে থাকতে হলে চুক্তি ছাড়া ইউক্রেনের কোনো গতি নেই।’ এই মন্তব্য ট্রাম্পের আলাস্কা বৈঠকের পর এসেছে...
৬ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি ক্ষমতায় থাকাকালে চীন কখনোই তাইওয়ানে আক্রমণ করবে না। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তাঁকে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের আগে ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন ট্রাম্প। খবর রয়টার্সের।
৭ ঘণ্টা আগেবোল্টন বলেছেন, ‘এই বৈঠকের পর ট্রাম্প কিছুই পাননি। যা পেয়েছেন তা হলো, আরও কিছু বৈঠকের প্রতিশ্রুতি। অন্যদিকে পুতিন ‘সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে অনেক দূর এগিয়ে গেছেন, যা আমি সব সময় তাঁর প্রধান লক্ষ্য বলে মনে করেছি।’
৯ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি হয়তো আশা করেছিলেন, এই বৈঠকে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে একটি চুক্তি হবে। কিন্তু এমন কোনো কিছুই হয়নি। তাই ট্রাম্পের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার জন্য সোমবার ওয়াশিংটনে যাচ্ছেন জেলেনস্কি।
৯ ঘণ্টা আগে