আজকের পত্রিকা ডেস্ক

কোভিড-১৯ আবারও এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে মাথাচাড়া দিচ্ছে। আর এর পেছনে মূল চালিকা শক্তি হয়ে উঠেছে জেএন-১ নামে একটি সাবভ্যারিয়েন্ট। এটি মূলত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতার জন্য পরিচিত ওমিক্রনের একটি শাখা।
এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ভারতের পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে, তবে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। ১৯ মে পর্যন্ত দেশটিতে ২৫৭টি সক্রিয় সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এগুলোর বেশির ভাগই কেরালা, মহারাষ্ট্র এবং তামিলনাড়ু রাজ্যে। এর আগে গত জানুয়ারি মাসে দেশটির ১৭টি রাজ্যে ১ হাজারের বেশি সংক্রমণ রেকর্ড হয়েছিল।
ভারতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছে—অধিকাংশ রোগীই মৃদু উপসর্গে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হয়নি।
এদিকে এশিয়ার অন্য দেশগুলোতে পরিস্থিতি কিছুটা গুরুতর। সিঙ্গাপুরে গত ৩ মে শেষ হওয়া সপ্তাহে সংক্রমণ বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১৪ হাজার ২০০ জনে। আগের সপ্তাহটিতে সেখানে সংক্রমিত ছিলেন ১১ হাজার ১০০ জন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া গড় রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। হংকংয়ে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক, সেখানে ৮১টি গুরুতর সংক্রমণ এবং ৩০টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সেখানে বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিরাই সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন।
জেএন-১ প্রথম ধরা পড়েছিল ২০২৩ সালের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রে। একই বছরের ডিসেম্বরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটিকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল। বর্তমানে এটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ছড়ানো কোভিড স্ট্রেইন, যা ১২০ টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে এবং গত বছরের এপ্রিলে পাওয়া নমুনার ৯৪ শতাংশ ক্ষেত্রেই এই ভ্যারিয়েন্ট মিলেছে।
প্রায় ৩০টি জিনগত রূপান্তরের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে জেএন-১ ভাইরাসটি। এই রূপান্তর এটিকে মানুষের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে ভেঙে ফেলার সক্ষমতা দিয়েছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, এই ভ্যারিয়েন্ট অতিরিক্ত কোনো জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করছে না। বিশেষ করে, ভ্যাকসিন গ্রহণ করা ব্যক্তিদের মধ্যে এটি গুরুতর অসুস্থতা সৃষ্টি করছে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
জেএন-১ ভাইরাসের উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে—শুকনো কাশি, জ্বর, গলা ব্যথা, ক্লান্তি, স্বাদ বা গন্ধ হারানো এবং অনেক ক্ষেত্রেই ডায়রিয়ার মতো গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল সমস্যা।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভারতে নতুন করে কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি হয়নি, তবে নাগরিকদের মাস্ক পরা, হাত ধোয়া এবং সময়মতো ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে তিন ধরনের ভ্যাকসিন এই ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করতে সক্ষম। এগুলো হলো—এমআরএনএ ভ্যাকসিন, ভাইরাল ভেক্টর ভ্যাকসিন এবং প্রোটিন সাবইউনিট ভ্যাকসিন।

কোভিড-১৯ আবারও এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে মাথাচাড়া দিচ্ছে। আর এর পেছনে মূল চালিকা শক্তি হয়ে উঠেছে জেএন-১ নামে একটি সাবভ্যারিয়েন্ট। এটি মূলত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতার জন্য পরিচিত ওমিক্রনের একটি শাখা।
এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ভারতের পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে, তবে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। ১৯ মে পর্যন্ত দেশটিতে ২৫৭টি সক্রিয় সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এগুলোর বেশির ভাগই কেরালা, মহারাষ্ট্র এবং তামিলনাড়ু রাজ্যে। এর আগে গত জানুয়ারি মাসে দেশটির ১৭টি রাজ্যে ১ হাজারের বেশি সংক্রমণ রেকর্ড হয়েছিল।
ভারতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছে—অধিকাংশ রোগীই মৃদু উপসর্গে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হয়নি।
এদিকে এশিয়ার অন্য দেশগুলোতে পরিস্থিতি কিছুটা গুরুতর। সিঙ্গাপুরে গত ৩ মে শেষ হওয়া সপ্তাহে সংক্রমণ বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১৪ হাজার ২০০ জনে। আগের সপ্তাহটিতে সেখানে সংক্রমিত ছিলেন ১১ হাজার ১০০ জন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া গড় রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। হংকংয়ে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক, সেখানে ৮১টি গুরুতর সংক্রমণ এবং ৩০টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সেখানে বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিরাই সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন।
জেএন-১ প্রথম ধরা পড়েছিল ২০২৩ সালের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রে। একই বছরের ডিসেম্বরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটিকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল। বর্তমানে এটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ছড়ানো কোভিড স্ট্রেইন, যা ১২০ টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে এবং গত বছরের এপ্রিলে পাওয়া নমুনার ৯৪ শতাংশ ক্ষেত্রেই এই ভ্যারিয়েন্ট মিলেছে।
প্রায় ৩০টি জিনগত রূপান্তরের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে জেএন-১ ভাইরাসটি। এই রূপান্তর এটিকে মানুষের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে ভেঙে ফেলার সক্ষমতা দিয়েছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, এই ভ্যারিয়েন্ট অতিরিক্ত কোনো জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করছে না। বিশেষ করে, ভ্যাকসিন গ্রহণ করা ব্যক্তিদের মধ্যে এটি গুরুতর অসুস্থতা সৃষ্টি করছে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
জেএন-১ ভাইরাসের উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে—শুকনো কাশি, জ্বর, গলা ব্যথা, ক্লান্তি, স্বাদ বা গন্ধ হারানো এবং অনেক ক্ষেত্রেই ডায়রিয়ার মতো গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল সমস্যা।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভারতে নতুন করে কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি হয়নি, তবে নাগরিকদের মাস্ক পরা, হাত ধোয়া এবং সময়মতো ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে তিন ধরনের ভ্যাকসিন এই ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করতে সক্ষম। এগুলো হলো—এমআরএনএ ভ্যাকসিন, ভাইরাল ভেক্টর ভ্যাকসিন এবং প্রোটিন সাবইউনিট ভ্যাকসিন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, মধ্য এশিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ কাজাখস্তান ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে। আর এই লক্ষ্যে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য গঠিত ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডে’ যোগ দিচ্ছে কাজাখস্তান।
৩৮ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার ইরানে ইসরায়েলি হামলার প্রথম ধাপের দায় নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি ইসরায়েল একাই হামলা চালিয়েছিল—যুক্তরাষ্ট্রের আগের এই দাবি অস্বীকার করলেন। ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানে ইসরায়েলি হামলার পুরো বিষয়টির দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে গঠিত মধ্যস্থতাকারী জোট ‘কোয়াড’ প্রস্তাবিত মানবিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) আরএসএফের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, তারা শুধু যুদ্ধবিরতিতে নয়, বরং সুদানে শত্রুতার অবসান...
১০ ঘণ্টা আগে
২০২০ সালে স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণ শেষে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন ডায়াসের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন স্পিকারের আসনে দাঁড়িয়ে থাকা এক নারী শক্ত মুখে সেই ভাষণের কপি ছিঁড়ে ফেলেন। দৃশ্যত এতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে ঘটনাটি রাজনৈতিক ইতিহাসে এক প্রতীকী মুহূর্ত হিসেবে জায়গা করে নেয়।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, মধ্য এশিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ কাজাখস্তান ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে। আর এই লক্ষ্যে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য গঠিত ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডে’ যোগ দিচ্ছে কাজাখস্তান।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প জানিয়েছেন—তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমারত তোকায়েভের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। ট্রাম্প নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘খুব শিগগিরই আমরা একটি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেব। এই শক্তিশালী জোটে আরও অনেক দেশ যোগ দিতে চাচ্ছে।’
কাজাখ সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, বিষয়টি আলোচনার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আব্রাহাম চুক্তিতে আমাদের যোগদান কাজাখস্তানের বৈদেশিক নীতির স্বাভাবিক ও যৌক্তিক ধারাবাহিকতা—যা সংলাপ, পারস্পরিক সম্মান ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর ভিত্তি করে।’
কাজাখস্তান ইতিমধ্যেই ইসরায়েলের সঙ্গে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক যোগাযোগ বজায় রাখছে। ফলে এ উদ্যোগটি মূলত প্রতীকী পদক্ষেপ হবে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বৃহস্পতিবার বলেন, বিষয়টি শুধু কূটনৈতিক সম্পর্কের সীমায় আটকে নেই। তিনি বলেন, ‘এটা আরও উন্নত ধরনের সম্পর্ক, যা চুক্তিতে থাকা সব দেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব তৈরি করে। এর মাধ্যমে তারা নানা অর্থনৈতিক ও উন্নয়নমূলক ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করতে পারবে।’
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প কাজাখ প্রেসিডেন্ট তোকায়েভসহ মধ্য এশিয়ার আরও চার দেশের নেতা—কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও উজবেকিস্তানের সঙ্গে বৈঠক করেন। যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন রাশিয়ার প্রভাবাধীন ও বর্তমানে চীনের প্রভাব বাড়তে থাকা এই অঞ্চলে নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে চাইছে। ট্রাম্প বলেন, ‘এখানে উপস্থিত কিছু দেশও আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেবে...আগামী কিছু সময়ের মধ্যে এসব ঘোষণা দেওয়া হবে।’
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ফ্লোরিডায় এক ব্যবসায়ী ফোরামে বলেন, তিনি ওয়াশিংটনে ফিরছেন একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দেওয়ার জন্য। যদিও তিনি তখন কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস প্রথম জানায়, দেশটি হলো কাজাখস্তান।
বিষয়টি নিয়ে অবগত আরেক সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে কাজাখস্তানের যোগদান আব্রাহাম চুক্তিকে নতুন গতি দেবে, যা গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে স্থবির হয়ে আছে। ট্রাম্প এর আগেও একাধিকবার বলেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদে যেভাবে চুক্তিটি মধ্যস্থ করেছিলেন, সেটিকে আরও সম্প্রসারণ করতে চান।
এর আগে, ২০২০ সালে ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। একই বছরের শেষে মরক্কোও চুক্তিতে যোগ দেয়। গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ট্রাম্প বলেছেন, সৌদি আরবও অবশেষে এই চুক্তিতে যোগ দেবে বলে তিনি আশাবাদী। তবে রিয়াদ এখনো ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অন্তত কোনো রূপরেখা ছাড়া এগোতে রাজি হয়নি।
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান আগামী ১৮ নভেম্বর হোয়াইট হাউস সফর করবেন বলে জানা গেছে। মধ্য এশিয়ার আরও কয়েকটি দেশ—যেমন আজারবাইজান ও উজবেকিস্তান, যাদের সঙ্গে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে—তাদেরও আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাব্য দেশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই চুক্তিটিকেই ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের অন্যতম প্রধান বৈদেশিক নীতি সাফল্য হিসেবে ধরা হয়।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের আদমশুমারি অনুসারে, কাজাখস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলিম (৬৯ দশমিক ৩), তারপরে খ্রিষ্টান (১৭ দশমিক ২ শতাংশ)। জনসংখ্যার প্রায় ২ দশমিক ৩ শতাংশ কোনো ধর্ম মানে না বলে জানিয়েছে এবং ১১ শতাংশ মানুষ এই প্রশ্নের উত্তর দেয়নি। অল্পসংখ্যক মানুষ অন্যান্য ধর্ম অনুসরণ করে এবং একটি ছোট অংশ (২ দশমিক ২৫ম শতাংশ) নাস্তিক হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেয়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, মধ্য এশিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ কাজাখস্তান ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে। আর এই লক্ষ্যে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য গঠিত ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডে’ যোগ দিচ্ছে কাজাখস্তান।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প জানিয়েছেন—তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমারত তোকায়েভের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। ট্রাম্প নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘খুব শিগগিরই আমরা একটি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেব। এই শক্তিশালী জোটে আরও অনেক দেশ যোগ দিতে চাচ্ছে।’
কাজাখ সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, বিষয়টি আলোচনার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আব্রাহাম চুক্তিতে আমাদের যোগদান কাজাখস্তানের বৈদেশিক নীতির স্বাভাবিক ও যৌক্তিক ধারাবাহিকতা—যা সংলাপ, পারস্পরিক সম্মান ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর ভিত্তি করে।’
কাজাখস্তান ইতিমধ্যেই ইসরায়েলের সঙ্গে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক যোগাযোগ বজায় রাখছে। ফলে এ উদ্যোগটি মূলত প্রতীকী পদক্ষেপ হবে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বৃহস্পতিবার বলেন, বিষয়টি শুধু কূটনৈতিক সম্পর্কের সীমায় আটকে নেই। তিনি বলেন, ‘এটা আরও উন্নত ধরনের সম্পর্ক, যা চুক্তিতে থাকা সব দেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব তৈরি করে। এর মাধ্যমে তারা নানা অর্থনৈতিক ও উন্নয়নমূলক ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করতে পারবে।’
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প কাজাখ প্রেসিডেন্ট তোকায়েভসহ মধ্য এশিয়ার আরও চার দেশের নেতা—কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও উজবেকিস্তানের সঙ্গে বৈঠক করেন। যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন রাশিয়ার প্রভাবাধীন ও বর্তমানে চীনের প্রভাব বাড়তে থাকা এই অঞ্চলে নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে চাইছে। ট্রাম্প বলেন, ‘এখানে উপস্থিত কিছু দেশও আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেবে...আগামী কিছু সময়ের মধ্যে এসব ঘোষণা দেওয়া হবে।’
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ফ্লোরিডায় এক ব্যবসায়ী ফোরামে বলেন, তিনি ওয়াশিংটনে ফিরছেন একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দেওয়ার জন্য। যদিও তিনি তখন কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস প্রথম জানায়, দেশটি হলো কাজাখস্তান।
বিষয়টি নিয়ে অবগত আরেক সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে কাজাখস্তানের যোগদান আব্রাহাম চুক্তিকে নতুন গতি দেবে, যা গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে স্থবির হয়ে আছে। ট্রাম্প এর আগেও একাধিকবার বলেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদে যেভাবে চুক্তিটি মধ্যস্থ করেছিলেন, সেটিকে আরও সম্প্রসারণ করতে চান।
এর আগে, ২০২০ সালে ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। একই বছরের শেষে মরক্কোও চুক্তিতে যোগ দেয়। গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ট্রাম্প বলেছেন, সৌদি আরবও অবশেষে এই চুক্তিতে যোগ দেবে বলে তিনি আশাবাদী। তবে রিয়াদ এখনো ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অন্তত কোনো রূপরেখা ছাড়া এগোতে রাজি হয়নি।
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান আগামী ১৮ নভেম্বর হোয়াইট হাউস সফর করবেন বলে জানা গেছে। মধ্য এশিয়ার আরও কয়েকটি দেশ—যেমন আজারবাইজান ও উজবেকিস্তান, যাদের সঙ্গে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে—তাদেরও আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাব্য দেশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই চুক্তিটিকেই ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের অন্যতম প্রধান বৈদেশিক নীতি সাফল্য হিসেবে ধরা হয়।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের আদমশুমারি অনুসারে, কাজাখস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলিম (৬৯ দশমিক ৩), তারপরে খ্রিষ্টান (১৭ দশমিক ২ শতাংশ)। জনসংখ্যার প্রায় ২ দশমিক ৩ শতাংশ কোনো ধর্ম মানে না বলে জানিয়েছে এবং ১১ শতাংশ মানুষ এই প্রশ্নের উত্তর দেয়নি। অল্পসংখ্যক মানুষ অন্যান্য ধর্ম অনুসরণ করে এবং একটি ছোট অংশ (২ দশমিক ২৫ম শতাংশ) নাস্তিক হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেয়।

কোভিড-১৯ আবারও এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে মাথাচাড়া দিচ্ছে। আর এর পেছনে মূল চালিকা শক্তি হয়ে উঠেছে জেএন-১ নামে একটি সাবভ্যারিয়েন্ট। এটি মূলত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতার জন্য পরিচিত ওমিক্রনের একটি শাখা।
২০ মে ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার ইরানে ইসরায়েলি হামলার প্রথম ধাপের দায় নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি ইসরায়েল একাই হামলা চালিয়েছিল—যুক্তরাষ্ট্রের আগের এই দাবি অস্বীকার করলেন। ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানে ইসরায়েলি হামলার পুরো বিষয়টির দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে গঠিত মধ্যস্থতাকারী জোট ‘কোয়াড’ প্রস্তাবিত মানবিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) আরএসএফের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, তারা শুধু যুদ্ধবিরতিতে নয়, বরং সুদানে শত্রুতার অবসান...
১০ ঘণ্টা আগে
২০২০ সালে স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণ শেষে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন ডায়াসের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন স্পিকারের আসনে দাঁড়িয়ে থাকা এক নারী শক্ত মুখে সেই ভাষণের কপি ছিঁড়ে ফেলেন। দৃশ্যত এতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে ঘটনাটি রাজনৈতিক ইতিহাসে এক প্রতীকী মুহূর্ত হিসেবে জায়গা করে নেয়।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার ইরানে ইসরায়েলি হামলার প্রথম ধাপের দায় নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি ইসরায়েল একাই হামলা চালিয়েছিল—যুক্তরাষ্ট্রের আগের এই দাবি অস্বীকার করলেন। ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানে ইসরায়েলি হামলার পুরো বিষয়টির দায়িত্বে ছিলেন তিনি। খবর আল–জাজিরার।
স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘ইসরায়েল প্রথমে হামলা করেছিল। সেই হামলা ছিল ভীষণ শক্তিশালী। আমি পুরোপুরি বিষয়টির দায়িত্বে ছিলাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘যেদিন ইসরায়েল প্রথম ইরানে হামলা চালায়, সেটি ছিল ইসরায়েলের জন্য দারুণ এক দিন। ওই হামলায় যত ক্ষতি হয়েছে, বাকি সব হামলার মিলেও তত হয়নি।’
এই মন্তব্যের সময় ট্রাম্প রিপাবলিকানদের আহ্বান জানান, সিনেটে আইন পাসের নিয়ম পরিবর্তন করে যেন সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে আইন পাস করা যায়—এমন পরিবর্তন আনা হয়। তিনি যুক্তি দেন, দলকে এই বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে, ঠিক যেভাবে ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছিল।
গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের ওপর ব্যাপক বিমান হামলা চালায়। এই হামলায় ইরানের কয়েকজন শীর্ষ জেনারেল, পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও বহু সাধারণ মানুষ নিহত হন। জবাবে ইরান শত শত ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইসরায়েলের দিকে। পরে যুক্তরাষ্ট্রও ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে যুক্ত হয় এবং ইরানের তিনটি বড় পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা বর্ষণ করে।
যুদ্ধের প্রথম দিকেই ওয়াশিংটন জানায়, ইসরায়েল একাই এই হামলা চালিয়েছে। সেই সঙ্গে তেহরানকে সতর্ক করা হয় যেন তারা যুক্তরাষ্ট্রের সেনা ও আঞ্চলিক স্বার্থের ওপর পাল্টা হামলা না চালায়। সেসময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, ‘আজ রাতে ইসরায়েল একতরফা পদক্ষেপ নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ইরানে কোনো হামলায় অংশ নেয়নি। আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার হচ্ছে অঞ্চলে মার্কিন সেনাদের সুরক্ষা।’
পরে ইরান কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের এক সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়। এরপর থেকে ট্রাম্প যুদ্ধের ফলাফল নিয়ে গর্ব করতে থাকেন। তিনি বারবার দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ‘সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করেছে।’
তবে বৃহস্পতিবার তিনি আরও এগিয়ে বললেন, যুদ্ধের শুরু থেকেই তিনিই পুরো বিষয়টি পরিচালনা করেছেন। অন্যদিকে তেহরান এখনো প্রকাশ্যে তাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ক্ষতির বিস্তারিত দেয়নি। তবে ইরানি কর্মকর্তারা বলছেন, বহু বছরের অর্জিত জ্ঞানের কারণে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি এখনো টিকে আছে। ইরানের মজুত উচ্চমাত্রার সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কেও কিছু জানা যায়নি।
ট্রাম্প সব সময় নিজেক ‘শান্তির দূত’ হিসেবে তুলে ধরেছিলেন এবং নতুন যুদ্ধ শুরু না করার অঙ্গীকার করেছিলেন। কিন্তু যুদ্ধ চলাকালে তার নিজ দলের ভেতরের অনেকেই চাপ দিচ্ছিলেন, যেন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সংঘাতে না জড়ায়। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ট্রাম্প আবারও বলেছেন, তিনি ইরানের সঙ্গে এমন একটি চুক্তি করতে চান, যার মাধ্যমে তেহরান আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করবে।
দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুর দিকে ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা শুরু করেন এবং বারবার বলেন, তিনি তেহরানের সঙ্গে সমঝোতা চান। তবে বর্তমানে সেই আলোচনায় কোনো গতি নেই। বিশ্লেষকদের মতে, ওয়াশিংটনে এখন ইরান ইস্যুতে তেমন কোনো তাগিদ দেখা যাচ্ছে না।
অন্যদিকে ইরানও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক প্রস্তাব নিয়ে সন্দিহান। জুন মাসে দুই দেশের কর্মকর্তাদের এক দফা আলোচনায় বসার কথা ছিল, কিন্তু তার কয়েক দিন আগেই ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান তেহরানে হামলা চালায়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার ইরানে ইসরায়েলি হামলার প্রথম ধাপের দায় নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি ইসরায়েল একাই হামলা চালিয়েছিল—যুক্তরাষ্ট্রের আগের এই দাবি অস্বীকার করলেন। ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানে ইসরায়েলি হামলার পুরো বিষয়টির দায়িত্বে ছিলেন তিনি। খবর আল–জাজিরার।
স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘ইসরায়েল প্রথমে হামলা করেছিল। সেই হামলা ছিল ভীষণ শক্তিশালী। আমি পুরোপুরি বিষয়টির দায়িত্বে ছিলাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘যেদিন ইসরায়েল প্রথম ইরানে হামলা চালায়, সেটি ছিল ইসরায়েলের জন্য দারুণ এক দিন। ওই হামলায় যত ক্ষতি হয়েছে, বাকি সব হামলার মিলেও তত হয়নি।’
এই মন্তব্যের সময় ট্রাম্প রিপাবলিকানদের আহ্বান জানান, সিনেটে আইন পাসের নিয়ম পরিবর্তন করে যেন সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে আইন পাস করা যায়—এমন পরিবর্তন আনা হয়। তিনি যুক্তি দেন, দলকে এই বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে, ঠিক যেভাবে ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছিল।
গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের ওপর ব্যাপক বিমান হামলা চালায়। এই হামলায় ইরানের কয়েকজন শীর্ষ জেনারেল, পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও বহু সাধারণ মানুষ নিহত হন। জবাবে ইরান শত শত ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইসরায়েলের দিকে। পরে যুক্তরাষ্ট্রও ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে যুক্ত হয় এবং ইরানের তিনটি বড় পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা বর্ষণ করে।
যুদ্ধের প্রথম দিকেই ওয়াশিংটন জানায়, ইসরায়েল একাই এই হামলা চালিয়েছে। সেই সঙ্গে তেহরানকে সতর্ক করা হয় যেন তারা যুক্তরাষ্ট্রের সেনা ও আঞ্চলিক স্বার্থের ওপর পাল্টা হামলা না চালায়। সেসময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, ‘আজ রাতে ইসরায়েল একতরফা পদক্ষেপ নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ইরানে কোনো হামলায় অংশ নেয়নি। আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার হচ্ছে অঞ্চলে মার্কিন সেনাদের সুরক্ষা।’
পরে ইরান কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের এক সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়। এরপর থেকে ট্রাম্প যুদ্ধের ফলাফল নিয়ে গর্ব করতে থাকেন। তিনি বারবার দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ‘সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করেছে।’
তবে বৃহস্পতিবার তিনি আরও এগিয়ে বললেন, যুদ্ধের শুরু থেকেই তিনিই পুরো বিষয়টি পরিচালনা করেছেন। অন্যদিকে তেহরান এখনো প্রকাশ্যে তাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ক্ষতির বিস্তারিত দেয়নি। তবে ইরানি কর্মকর্তারা বলছেন, বহু বছরের অর্জিত জ্ঞানের কারণে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি এখনো টিকে আছে। ইরানের মজুত উচ্চমাত্রার সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কেও কিছু জানা যায়নি।
ট্রাম্প সব সময় নিজেক ‘শান্তির দূত’ হিসেবে তুলে ধরেছিলেন এবং নতুন যুদ্ধ শুরু না করার অঙ্গীকার করেছিলেন। কিন্তু যুদ্ধ চলাকালে তার নিজ দলের ভেতরের অনেকেই চাপ দিচ্ছিলেন, যেন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সংঘাতে না জড়ায়। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ট্রাম্প আবারও বলেছেন, তিনি ইরানের সঙ্গে এমন একটি চুক্তি করতে চান, যার মাধ্যমে তেহরান আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করবে।
দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুর দিকে ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা শুরু করেন এবং বারবার বলেন, তিনি তেহরানের সঙ্গে সমঝোতা চান। তবে বর্তমানে সেই আলোচনায় কোনো গতি নেই। বিশ্লেষকদের মতে, ওয়াশিংটনে এখন ইরান ইস্যুতে তেমন কোনো তাগিদ দেখা যাচ্ছে না।
অন্যদিকে ইরানও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক প্রস্তাব নিয়ে সন্দিহান। জুন মাসে দুই দেশের কর্মকর্তাদের এক দফা আলোচনায় বসার কথা ছিল, কিন্তু তার কয়েক দিন আগেই ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান তেহরানে হামলা চালায়।

কোভিড-১৯ আবারও এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে মাথাচাড়া দিচ্ছে। আর এর পেছনে মূল চালিকা শক্তি হয়ে উঠেছে জেএন-১ নামে একটি সাবভ্যারিয়েন্ট। এটি মূলত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতার জন্য পরিচিত ওমিক্রনের একটি শাখা।
২০ মে ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, মধ্য এশিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ কাজাখস্তান ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে। আর এই লক্ষ্যে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য গঠিত ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডে’ যোগ দিচ্ছে কাজাখস্তান।
৩৮ মিনিট আগে
সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে গঠিত মধ্যস্থতাকারী জোট ‘কোয়াড’ প্রস্তাবিত মানবিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) আরএসএফের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, তারা শুধু যুদ্ধবিরতিতে নয়, বরং সুদানে শত্রুতার অবসান...
১০ ঘণ্টা আগে
২০২০ সালে স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণ শেষে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন ডায়াসের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন স্পিকারের আসনে দাঁড়িয়ে থাকা এক নারী শক্ত মুখে সেই ভাষণের কপি ছিঁড়ে ফেলেন। দৃশ্যত এতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে ঘটনাটি রাজনৈতিক ইতিহাসে এক প্রতীকী মুহূর্ত হিসেবে জায়গা করে নেয়।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে গঠিত মধ্যস্থতাকারী জোট ‘কোয়াড’ প্রস্তাবিত মানবিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) আরএসএফের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, তারা শুধু যুদ্ধবিরতিতে নয়, বরং সুদানে শত্রুতার অবসান ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মৌলিক নীতিমালা নিয়ে আলোচনায় অংশ নিতে প্রস্তুত।
আরএসএফের বিবৃতিতে বলা হয়, র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস এই চুক্তি বাস্তবায়ন ও অবিলম্বে আলোচনায় বসার অপেক্ষায় আছে, যাতে সুদানের সংঘাতের মূল কারণগুলো সমাধান হয় এবং জনগণের দুর্ভোগের ইতি ঘটে। এ ঘোষণা এমন এক সময় এসেছে, যখন আরএসএফ সম্প্রতি দখল নিয়েছে এল-ফাশের শহরের, যা গত দেড় বছর ধরে অবরুদ্ধ ছিল এবং পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে সুদানি সেনাবাহিনীর শেষ ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল।
তবে সুদানি সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী তখনই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হবে, যদি আরএসএফ সম্পূর্ণভাবে বেসামরিক এলাকা থেকে সরে যায় এবং পূর্ববর্তী শান্তিচুক্তি অনুযায়ী অস্ত্র সমর্পণ করে। তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসব তথ্য দেন।
যুক্তরাষ্ট্রের আফ্রিকাবিষয়ক উপদেষ্টা মাসাদ বোলস জানান, যুক্তরাষ্ট্র সুদানি সেনাবাহিনী ও আরএসএফ—উভয় পক্ষের সঙ্গে কাজ করছে, যাতে দ্রুত একটি মানবিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা যায়। তিনি বলেন, ‘আমরা গত প্রায় ১০ দিন ধরে দুই পক্ষের সঙ্গে কাজ করছি, বিস্তারিত চূড়ান্ত করার আশায়।’ বোলসের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে প্রস্তাবিত পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথমে তিন মাসের মানবিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে, এরপর নয় মাসের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু হবে।
এই উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি সৌদি আরব, মিসর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতও যুক্ত আছে। এই চার দেশকে সম্মিলিতভাবে ‘কোয়াড’ বলা হয়।
দেশটিতে নতুন করে বাস্তুচ্যুত মানুষের ঢল নামায় আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। স্থানীয় চিকিৎসক ও ত্রাণ সংস্থাগুলো সতর্ক করেছে, অতিরিক্ত মানুষের আগমনে আশ্রয়শিবিরগুলো ভয়াবহ চাপের মুখে পড়েছে।
আজ আন্তর্জাতিক সংস্থা ইসলামিক রিলিফ এক বিবৃতিতে জানায়, যেসব কমিউনিটি রান্নাঘর ক্ষুধার্ত পরিবারগুলোর শেষ ভরসা, সেগুলো এখন ধসে পড়ার পথে। সংস্থাটির এক জরিপে দেখা গেছে, সুদানের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের ৮৩ শতাংশ পরিবার এখন পর্যাপ্ত খাদ্য পাচ্ছে না।
এদিকে গতকাল বুধবার সুদানের ডাক্তার্স নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, এল-ফাশেরের পশ্চিমের বাস্তুচ্যুত শিবিরগুলো—বিশেষত তাওইলা, কুরমা ও গলো এলাকায় পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে প্রায় ৩৬ হাজার মানুষ এসব এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, এল-ফাশের দখলের পর আরএসএফ ওই অঞ্চলের একটি হাসপাতালে হামলা চালায়, যাতে ৪৫০ জনের বেশি নিহত হয়। এ ছাড়া আরএসএফ বাহিনী ঘরে ঘরে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ড ও যৌন সহিংসতার ঘটনাও ঘটিয়েছে।
সুদানি সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে সংঘাত শুরু হয় ২০২৩ সালে। দুপক্ষই মূলত একসময় মিত্র ছিল, যারা ২০১৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশটির গণতান্ত্রিক রূপান্তরপ্রক্রিয়া তদারকির দায়িত্বে ছিল। কিন্তু ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব থেকে শুরু হয় ভয়াবহ যুদ্ধ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে, এ পর্যন্ত অন্তত ৪০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ। তবে ত্রাণ সংস্থাগুলোর দাবি, প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা এরচেয়ে বহুগুণ বেশি হতে পারে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) তথ্যমতে, বর্তমানে ২ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ চরম খাদ্যসংকটে রয়েছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, শুধু এক সপ্তাহেই এল-ফাশের থেকে ৭০ হাজার মানুষ পালিয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে হেঁটে পৌঁছেছে নর্দান স্টেটের আল-আফফাদ বাস্তুচ্যুত শিবিরে, যা রাজধানী খার্তুম থেকে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার দূরে।
পালিয়ে আসা শিক্ষক ও প্রত্যক্ষদর্শী ওসমান মোহাম্মদ বলেন, ‘এল-ফাশের ছাড়ার পথে রাস্তায় লাশ পড়ে থাকতে দেখেছি। অনেকে ক্লান্তিতে ও নির্যাতনে মারা গেছেন।’
আরও একজন বাস্তুচ্যুত নারী রাওদা মোহাম্মদ বলেন, এল-ফাশেরে আকাশে সারাক্ষণ ড্রোন ঘোরে। কখন যে হামলা হয়, বুঝতেই পারা যায় না। খাবার বলতে কিছুই ছিল না—মানুষ শুধু বাদাম তেলের অবশিষ্ট অংশ খেয়ে বেঁচে ছিল।

সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে গঠিত মধ্যস্থতাকারী জোট ‘কোয়াড’ প্রস্তাবিত মানবিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) আরএসএফের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, তারা শুধু যুদ্ধবিরতিতে নয়, বরং সুদানে শত্রুতার অবসান ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মৌলিক নীতিমালা নিয়ে আলোচনায় অংশ নিতে প্রস্তুত।
আরএসএফের বিবৃতিতে বলা হয়, র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস এই চুক্তি বাস্তবায়ন ও অবিলম্বে আলোচনায় বসার অপেক্ষায় আছে, যাতে সুদানের সংঘাতের মূল কারণগুলো সমাধান হয় এবং জনগণের দুর্ভোগের ইতি ঘটে। এ ঘোষণা এমন এক সময় এসেছে, যখন আরএসএফ সম্প্রতি দখল নিয়েছে এল-ফাশের শহরের, যা গত দেড় বছর ধরে অবরুদ্ধ ছিল এবং পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে সুদানি সেনাবাহিনীর শেষ ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল।
তবে সুদানি সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী তখনই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হবে, যদি আরএসএফ সম্পূর্ণভাবে বেসামরিক এলাকা থেকে সরে যায় এবং পূর্ববর্তী শান্তিচুক্তি অনুযায়ী অস্ত্র সমর্পণ করে। তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসব তথ্য দেন।
যুক্তরাষ্ট্রের আফ্রিকাবিষয়ক উপদেষ্টা মাসাদ বোলস জানান, যুক্তরাষ্ট্র সুদানি সেনাবাহিনী ও আরএসএফ—উভয় পক্ষের সঙ্গে কাজ করছে, যাতে দ্রুত একটি মানবিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা যায়। তিনি বলেন, ‘আমরা গত প্রায় ১০ দিন ধরে দুই পক্ষের সঙ্গে কাজ করছি, বিস্তারিত চূড়ান্ত করার আশায়।’ বোলসের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে প্রস্তাবিত পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথমে তিন মাসের মানবিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে, এরপর নয় মাসের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু হবে।
এই উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি সৌদি আরব, মিসর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতও যুক্ত আছে। এই চার দেশকে সম্মিলিতভাবে ‘কোয়াড’ বলা হয়।
দেশটিতে নতুন করে বাস্তুচ্যুত মানুষের ঢল নামায় আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। স্থানীয় চিকিৎসক ও ত্রাণ সংস্থাগুলো সতর্ক করেছে, অতিরিক্ত মানুষের আগমনে আশ্রয়শিবিরগুলো ভয়াবহ চাপের মুখে পড়েছে।
আজ আন্তর্জাতিক সংস্থা ইসলামিক রিলিফ এক বিবৃতিতে জানায়, যেসব কমিউনিটি রান্নাঘর ক্ষুধার্ত পরিবারগুলোর শেষ ভরসা, সেগুলো এখন ধসে পড়ার পথে। সংস্থাটির এক জরিপে দেখা গেছে, সুদানের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের ৮৩ শতাংশ পরিবার এখন পর্যাপ্ত খাদ্য পাচ্ছে না।
এদিকে গতকাল বুধবার সুদানের ডাক্তার্স নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, এল-ফাশেরের পশ্চিমের বাস্তুচ্যুত শিবিরগুলো—বিশেষত তাওইলা, কুরমা ও গলো এলাকায় পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে প্রায় ৩৬ হাজার মানুষ এসব এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, এল-ফাশের দখলের পর আরএসএফ ওই অঞ্চলের একটি হাসপাতালে হামলা চালায়, যাতে ৪৫০ জনের বেশি নিহত হয়। এ ছাড়া আরএসএফ বাহিনী ঘরে ঘরে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ড ও যৌন সহিংসতার ঘটনাও ঘটিয়েছে।
সুদানি সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে সংঘাত শুরু হয় ২০২৩ সালে। দুপক্ষই মূলত একসময় মিত্র ছিল, যারা ২০১৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশটির গণতান্ত্রিক রূপান্তরপ্রক্রিয়া তদারকির দায়িত্বে ছিল। কিন্তু ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব থেকে শুরু হয় ভয়াবহ যুদ্ধ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে, এ পর্যন্ত অন্তত ৪০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ। তবে ত্রাণ সংস্থাগুলোর দাবি, প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা এরচেয়ে বহুগুণ বেশি হতে পারে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) তথ্যমতে, বর্তমানে ২ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ চরম খাদ্যসংকটে রয়েছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, শুধু এক সপ্তাহেই এল-ফাশের থেকে ৭০ হাজার মানুষ পালিয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে হেঁটে পৌঁছেছে নর্দান স্টেটের আল-আফফাদ বাস্তুচ্যুত শিবিরে, যা রাজধানী খার্তুম থেকে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার দূরে।
পালিয়ে আসা শিক্ষক ও প্রত্যক্ষদর্শী ওসমান মোহাম্মদ বলেন, ‘এল-ফাশের ছাড়ার পথে রাস্তায় লাশ পড়ে থাকতে দেখেছি। অনেকে ক্লান্তিতে ও নির্যাতনে মারা গেছেন।’
আরও একজন বাস্তুচ্যুত নারী রাওদা মোহাম্মদ বলেন, এল-ফাশেরে আকাশে সারাক্ষণ ড্রোন ঘোরে। কখন যে হামলা হয়, বুঝতেই পারা যায় না। খাবার বলতে কিছুই ছিল না—মানুষ শুধু বাদাম তেলের অবশিষ্ট অংশ খেয়ে বেঁচে ছিল।

কোভিড-১৯ আবারও এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে মাথাচাড়া দিচ্ছে। আর এর পেছনে মূল চালিকা শক্তি হয়ে উঠেছে জেএন-১ নামে একটি সাবভ্যারিয়েন্ট। এটি মূলত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতার জন্য পরিচিত ওমিক্রনের একটি শাখা।
২০ মে ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, মধ্য এশিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ কাজাখস্তান ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে। আর এই লক্ষ্যে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য গঠিত ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডে’ যোগ দিচ্ছে কাজাখস্তান।
৩৮ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার ইরানে ইসরায়েলি হামলার প্রথম ধাপের দায় নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি ইসরায়েল একাই হামলা চালিয়েছিল—যুক্তরাষ্ট্রের আগের এই দাবি অস্বীকার করলেন। ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানে ইসরায়েলি হামলার পুরো বিষয়টির দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
২০২০ সালে স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণ শেষে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন ডায়াসের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন স্পিকারের আসনে দাঁড়িয়ে থাকা এক নারী শক্ত মুখে সেই ভাষণের কপি ছিঁড়ে ফেলেন। দৃশ্যত এতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে ঘটনাটি রাজনৈতিক ইতিহাসে এক প্রতীকী মুহূর্ত হিসেবে জায়গা করে নেয়।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২০ সালে স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণ শেষে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন ডায়াসের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন স্পিকারের আসনে দাঁড়িয়ে থাকা এক নারী শক্ত মুখে সেই ভাষণের কপি ছিঁড়ে ফেলেন। দৃশ্যত এতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে ঘটনাটি রাজনৈতিক ইতিহাসে এক প্রতীকী মুহূর্ত হিসেবে জায়গা করে নেয়।
ট্রাম্পের ভাষণ ছিঁড়ে ফেলা সেই ন্যান্সি পেলোসি মার্কিন কংগ্রেসের ইতিহাসে প্রথম নারী স্পিকার। আজ এই ডেমোক্র্যাট নেতা আনুষ্ঠানিকভাবে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। চার দশকের বেশি সময়ের রাজনৈতিক জীবন শেষে তিনি কংগ্রেস থেকে বিদায় নিচ্ছেন বলে এক ভিডিওবার্তায় জানিয়েছেন।
৮৫ বছর বয়সী পেলোসি জানিয়েছেন, তাঁর বর্তমান মেয়াদ (২০২৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত) শেষ হলে তিনি আর নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না। এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির এক ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটছে।
ভিডিওবার্তায় পেলোসি বলেন, ‘আমরা ইতিহাস গড়েছি, অগ্রগতি অর্জন করেছি। আমরা সব সময় নেতৃত্ব দিয়েছি আর এখন আমাদের গণতন্ত্রের সক্রিয় অংশীদার হয়ে থাকতে হবে এবং আমেরিকান আদর্শ রক্ষায় লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।’
পেলোসির উত্থান ও ক্ষমতা
১৯৮৭ সালে মাত্র ৪৭ বছর বয়সে ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকো থেকে পেলোসি প্রথমবার কংগ্রেসে নির্বাচিত হন এবং দ্রুতই তিনি ডেমোক্র্যাট পার্টির শীর্ষ সারিতে উঠে আসেন।
২০০৭ সালে পেলোসি ইতিহাস গড়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম নারী স্পিকার হিসেবে প্রতিনিধি পরিষদের দায়িত্ব পান। তিনি ২০১১ সাল পর্যন্ত এ পদে ছিলেন। পরে দল পুনরায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে ২০১৯ সালে পেলোসি আবারও স্পিকার নির্বাচিত হন এবং ২০২৩ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী, ভাইস প্রেসিডেন্টের পর প্রেসিডেন্টের উত্তরাধিকারক্রমে স্পিকার তৃতীয় স্থানে থাকেন। এ পদে থেকেই পেলোসি দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে একাধিক প্রেসিডেন্টের নীতি-কার্যক্রম এগিয়ে নিতে কিংবা বাধা দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ‘অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট’ বা স্বাস্থ্যসেবা আইন পাসে তাঁর ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। একইভাবে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের সময় পেলোসি পরিকাঠামো উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বিল পাসেও বড় ভূমিকা রাখেন।
তবে পেলোসি সবচেয়ে বেশি আলোচিত হন ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালে। ২০২০ সালে ট্রাম্পের স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণ শেষে পেলোসি প্রকাশ্যে সেই ভাষণের কপি ছিঁড়ে ফেলেছিলেন। এ ঘটনা আমেরিকার রাজনৈতিক ইতিহাসে এক প্রতীকী মুহূর্ত হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুই দফা অভিশংসনপ্রক্রিয়া (ইমপিচমেন্ট) পরিচালনায়ও পেলোসি ছিলেন অগ্রভাগে। প্রথমবার ২০১৯ সালে ইউক্রেনকে চাপ দেওয়া ও সামরিক সহায়তাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগে। দ্বিতীয়বার ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি কংগ্রেস ভবনে দাঙ্গা উসকে দেওয়ার অভিযোগে। তবে প্রতিবারই রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত সিনেটে ট্রাম্প রক্ষা পান।
বাইডেনের শাসনামলে পেলোসি সংখ্যাগরিষ্ঠ না হয়েও ডেমোক্র্যাটদের বেশ কয়েকটি বড় আইন পাস করাতে সক্ষম হন। তাঁর নেতৃত্বে প্রতিনিধি পরিষদ দুই বছরের কম সময়ে কোভিড-১৯ ত্রাণ প্যাকেজ, অবকাঠামো খাতে দ্বিদলীয় ব্যয় বিল, বহু ট্রিলিয়ন ডলারের জলবায়ু ও সামাজিক খরচ কর্মসূচি এবং সমকামী বিবাহ সুরক্ষা আইন পাস করে।
২০২২ সালে নিউইয়র্কের প্রতিনিধি হাকিম জেফ্রিস পেলোসির স্থলাভিষিক্ত হয়ে ডেমোক্র্যাট দলের হাউস নেতা হন। পেলোসি কংগ্রেসের বাইরেও রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ায় ‘প্রপোজিশন-৫০’-এর পক্ষে কাজ করেছেন। এর লক্ষ্য ছিল ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে অন্তত পাঁচটি আসন পুনরুদ্ধার করা।

২০২০ সালে স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণ শেষে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন ডায়াসের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন স্পিকারের আসনে দাঁড়িয়ে থাকা এক নারী শক্ত মুখে সেই ভাষণের কপি ছিঁড়ে ফেলেন। দৃশ্যত এতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে ঘটনাটি রাজনৈতিক ইতিহাসে এক প্রতীকী মুহূর্ত হিসেবে জায়গা করে নেয়।
ট্রাম্পের ভাষণ ছিঁড়ে ফেলা সেই ন্যান্সি পেলোসি মার্কিন কংগ্রেসের ইতিহাসে প্রথম নারী স্পিকার। আজ এই ডেমোক্র্যাট নেতা আনুষ্ঠানিকভাবে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। চার দশকের বেশি সময়ের রাজনৈতিক জীবন শেষে তিনি কংগ্রেস থেকে বিদায় নিচ্ছেন বলে এক ভিডিওবার্তায় জানিয়েছেন।
৮৫ বছর বয়সী পেলোসি জানিয়েছেন, তাঁর বর্তমান মেয়াদ (২০২৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত) শেষ হলে তিনি আর নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না। এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির এক ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটছে।
ভিডিওবার্তায় পেলোসি বলেন, ‘আমরা ইতিহাস গড়েছি, অগ্রগতি অর্জন করেছি। আমরা সব সময় নেতৃত্ব দিয়েছি আর এখন আমাদের গণতন্ত্রের সক্রিয় অংশীদার হয়ে থাকতে হবে এবং আমেরিকান আদর্শ রক্ষায় লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।’
পেলোসির উত্থান ও ক্ষমতা
১৯৮৭ সালে মাত্র ৪৭ বছর বয়সে ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকো থেকে পেলোসি প্রথমবার কংগ্রেসে নির্বাচিত হন এবং দ্রুতই তিনি ডেমোক্র্যাট পার্টির শীর্ষ সারিতে উঠে আসেন।
২০০৭ সালে পেলোসি ইতিহাস গড়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম নারী স্পিকার হিসেবে প্রতিনিধি পরিষদের দায়িত্ব পান। তিনি ২০১১ সাল পর্যন্ত এ পদে ছিলেন। পরে দল পুনরায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে ২০১৯ সালে পেলোসি আবারও স্পিকার নির্বাচিত হন এবং ২০২৩ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী, ভাইস প্রেসিডেন্টের পর প্রেসিডেন্টের উত্তরাধিকারক্রমে স্পিকার তৃতীয় স্থানে থাকেন। এ পদে থেকেই পেলোসি দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে একাধিক প্রেসিডেন্টের নীতি-কার্যক্রম এগিয়ে নিতে কিংবা বাধা দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ‘অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট’ বা স্বাস্থ্যসেবা আইন পাসে তাঁর ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। একইভাবে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের সময় পেলোসি পরিকাঠামো উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বিল পাসেও বড় ভূমিকা রাখেন।
তবে পেলোসি সবচেয়ে বেশি আলোচিত হন ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালে। ২০২০ সালে ট্রাম্পের স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণ শেষে পেলোসি প্রকাশ্যে সেই ভাষণের কপি ছিঁড়ে ফেলেছিলেন। এ ঘটনা আমেরিকার রাজনৈতিক ইতিহাসে এক প্রতীকী মুহূর্ত হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুই দফা অভিশংসনপ্রক্রিয়া (ইমপিচমেন্ট) পরিচালনায়ও পেলোসি ছিলেন অগ্রভাগে। প্রথমবার ২০১৯ সালে ইউক্রেনকে চাপ দেওয়া ও সামরিক সহায়তাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগে। দ্বিতীয়বার ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি কংগ্রেস ভবনে দাঙ্গা উসকে দেওয়ার অভিযোগে। তবে প্রতিবারই রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত সিনেটে ট্রাম্প রক্ষা পান।
বাইডেনের শাসনামলে পেলোসি সংখ্যাগরিষ্ঠ না হয়েও ডেমোক্র্যাটদের বেশ কয়েকটি বড় আইন পাস করাতে সক্ষম হন। তাঁর নেতৃত্বে প্রতিনিধি পরিষদ দুই বছরের কম সময়ে কোভিড-১৯ ত্রাণ প্যাকেজ, অবকাঠামো খাতে দ্বিদলীয় ব্যয় বিল, বহু ট্রিলিয়ন ডলারের জলবায়ু ও সামাজিক খরচ কর্মসূচি এবং সমকামী বিবাহ সুরক্ষা আইন পাস করে।
২০২২ সালে নিউইয়র্কের প্রতিনিধি হাকিম জেফ্রিস পেলোসির স্থলাভিষিক্ত হয়ে ডেমোক্র্যাট দলের হাউস নেতা হন। পেলোসি কংগ্রেসের বাইরেও রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ায় ‘প্রপোজিশন-৫০’-এর পক্ষে কাজ করেছেন। এর লক্ষ্য ছিল ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে অন্তত পাঁচটি আসন পুনরুদ্ধার করা।

কোভিড-১৯ আবারও এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে মাথাচাড়া দিচ্ছে। আর এর পেছনে মূল চালিকা শক্তি হয়ে উঠেছে জেএন-১ নামে একটি সাবভ্যারিয়েন্ট। এটি মূলত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতার জন্য পরিচিত ওমিক্রনের একটি শাখা।
২০ মে ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, মধ্য এশিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ কাজাখস্তান ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে। আর এই লক্ষ্যে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য গঠিত ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডে’ যোগ দিচ্ছে কাজাখস্তান।
৩৮ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার ইরানে ইসরায়েলি হামলার প্রথম ধাপের দায় নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি ইসরায়েল একাই হামলা চালিয়েছিল—যুক্তরাষ্ট্রের আগের এই দাবি অস্বীকার করলেন। ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানে ইসরায়েলি হামলার পুরো বিষয়টির দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে গঠিত মধ্যস্থতাকারী জোট ‘কোয়াড’ প্রস্তাবিত মানবিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) আরএসএফের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, তারা শুধু যুদ্ধবিরতিতে নয়, বরং সুদানে শত্রুতার অবসান...
১০ ঘণ্টা আগে