৫০ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো দেশে মার্শাল ল ঘোষণা করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। আকস্মিক এই সিদ্ধান্ত দেশজুড়ে বিতর্ক এবং প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছে।
বিসিসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ১১টায় জাতীয় টেলিভিশনে প্রেসিডেন্টের ঘোষণায় অনেকেই ভেবেছিলেন, উত্তর কোরিয়া, সন্ত্রাসবাদ কিংবা সামরিক অভ্যুত্থানের মতো জাতীয় নিরাপত্তা সংকট তৈরি হয়েছে। তবে শিগগিরই পরিষ্কার হয়ে গেছে, দেশটির চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে জানা গেছে, চলতি বছরের শুরুতে দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর থেকে ইউনের সরকার বিরোধীদের বেশ কয়েকটি বিল এবং প্রস্তাবনার বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এসব চাপের কারণেই প্রেসিডেন্ট ইউন মার্শাল ল নামক একটি অগণতান্ত্রিক কৌশল ব্যবহার করতে বাধ্য হয়েছেন।
মার্শাল ল সাধারণত জরুরি পরিস্থিতিতে সামরিক বাহিনীর মাধ্যমে শাসন চালানোর জন্য জারি করা হয়। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ইতিহাসে এমনটি নজিরবিহীন।
মার্শাল ল জারির তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিরোধী নেতারা এই পদক্ষেপকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেছেন। দেশটির প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা লি জে-মিয়ং দলের সব সংসদ সদস্যকে পার্লামেন্টে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। যে কোনো মূল্যে তিনি এই ঘোষণার বাতিল চান।
তবে ইতিমধ্যেই রাজধানী সিউলে অবস্থিত পার্লামেন্ট ভবনের সামনে পুলিশ বাস ব্যারিকেড তৈরি করেছে। মধ্যরাতেই প্রতিবাদকারীরা সেখানে জড়ো হয়ে ‘মার্শাল ল বাতিল করো’ স্লোগান দিচ্ছেন এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছেন।
মার্শাল ল-এর মাধ্যমে সামরিক কর্তৃপক্ষকে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়া হয় এবং সাধারণ আইন-কানুনের কার্যকারিতা স্থগিত রাখা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ায় সর্বশেষ মার্শাল ল জারি হয়েছিল ১৯৭৯ সালে। কারণ সে সময় একজন দীর্ঘমেয়াদি প্রেসিডেন্ট সামরিক অভ্যুত্থানে নিহত হয়েছিলেন। ১৯৮৭ সালে দেশটি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ফিরে আসার পর এই ধরনের পদক্ষেপ আর নেওয়া হয়নি।
মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রেসিডেন্ট ইউন বলেন, ‘রাষ্ট্রবিরোধী শক্তির হুমকির’ কারণে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
গত এপ্রিলের সাধারণ নির্বাচনে বিরোধী দল বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর থেকে ইউনের সরকার কার্যত অকার্যকর অবস্থায় ছিল। ফলে তিনি নতুন আইন প্রণয়ন করতে গিয়ে প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছেন এবং বিরোধী দলের পাশ করা বিলগুলো ভেটো দেওয়ার দিকেই মনোযোগ দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। ইউনের জনপ্রিয়তাও হ্রাস পেয়েছে। বিভিন্ন দুর্নীতির কেলেঙ্কারি এবং স্ত্রীকে নিয়ে বিতর্ক এই পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করেছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বিরোধী দল সরকারি বাজেট কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে। এই প্রস্তাবে আবার ভেটো দেওয়াও সম্ভব নয়। পাশাপাশি বিরোধীরা সরকারের নিরীক্ষা সংস্থার প্রধানসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের অভিশংসনেরও উদ্যোগ নিয়েছে।
এই অবস্থায় মার্শাল ল জারির পর দক্ষিণ কোরিয়ার পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। বিরোধী দল জনগণকে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার আইন অনুযায়ী, পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে মার্শাল ল বাতিল করা সম্ভব। তবে পার্লামেন্ট ভবনের প্রবেশপথে ব্যারিকেড দিয়ে বিরোধী দলের সাংসদদের প্রবেশে বাধা প্রদান করছে পুলিশ।
এদিকে ইউনের নিজের দল পিপল’স পাওয়ার পার্টির নেতা হান ডং-হুন মার্শাল ল ঘোষণাকে ‘ভুল সিদ্ধান্ত’ বলে অভিহিত করেছেন এবং এর বিরোধিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
মার্শাল ল জারি দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও গভীর করেছে। পরিস্থিতি কোনদিকে মোড় নেবে তা নির্ভর করছে জনমত এবং পার্লামেন্টের সিদ্ধান্তের ওপর।
৫০ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো দেশে মার্শাল ল ঘোষণা করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। আকস্মিক এই সিদ্ধান্ত দেশজুড়ে বিতর্ক এবং প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছে।
বিসিসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ১১টায় জাতীয় টেলিভিশনে প্রেসিডেন্টের ঘোষণায় অনেকেই ভেবেছিলেন, উত্তর কোরিয়া, সন্ত্রাসবাদ কিংবা সামরিক অভ্যুত্থানের মতো জাতীয় নিরাপত্তা সংকট তৈরি হয়েছে। তবে শিগগিরই পরিষ্কার হয়ে গেছে, দেশটির চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে জানা গেছে, চলতি বছরের শুরুতে দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর থেকে ইউনের সরকার বিরোধীদের বেশ কয়েকটি বিল এবং প্রস্তাবনার বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এসব চাপের কারণেই প্রেসিডেন্ট ইউন মার্শাল ল নামক একটি অগণতান্ত্রিক কৌশল ব্যবহার করতে বাধ্য হয়েছেন।
মার্শাল ল সাধারণত জরুরি পরিস্থিতিতে সামরিক বাহিনীর মাধ্যমে শাসন চালানোর জন্য জারি করা হয়। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ইতিহাসে এমনটি নজিরবিহীন।
মার্শাল ল জারির তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিরোধী নেতারা এই পদক্ষেপকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেছেন। দেশটির প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা লি জে-মিয়ং দলের সব সংসদ সদস্যকে পার্লামেন্টে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। যে কোনো মূল্যে তিনি এই ঘোষণার বাতিল চান।
তবে ইতিমধ্যেই রাজধানী সিউলে অবস্থিত পার্লামেন্ট ভবনের সামনে পুলিশ বাস ব্যারিকেড তৈরি করেছে। মধ্যরাতেই প্রতিবাদকারীরা সেখানে জড়ো হয়ে ‘মার্শাল ল বাতিল করো’ স্লোগান দিচ্ছেন এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছেন।
মার্শাল ল-এর মাধ্যমে সামরিক কর্তৃপক্ষকে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়া হয় এবং সাধারণ আইন-কানুনের কার্যকারিতা স্থগিত রাখা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ায় সর্বশেষ মার্শাল ল জারি হয়েছিল ১৯৭৯ সালে। কারণ সে সময় একজন দীর্ঘমেয়াদি প্রেসিডেন্ট সামরিক অভ্যুত্থানে নিহত হয়েছিলেন। ১৯৮৭ সালে দেশটি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ফিরে আসার পর এই ধরনের পদক্ষেপ আর নেওয়া হয়নি।
মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রেসিডেন্ট ইউন বলেন, ‘রাষ্ট্রবিরোধী শক্তির হুমকির’ কারণে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
গত এপ্রিলের সাধারণ নির্বাচনে বিরোধী দল বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর থেকে ইউনের সরকার কার্যত অকার্যকর অবস্থায় ছিল। ফলে তিনি নতুন আইন প্রণয়ন করতে গিয়ে প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছেন এবং বিরোধী দলের পাশ করা বিলগুলো ভেটো দেওয়ার দিকেই মনোযোগ দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। ইউনের জনপ্রিয়তাও হ্রাস পেয়েছে। বিভিন্ন দুর্নীতির কেলেঙ্কারি এবং স্ত্রীকে নিয়ে বিতর্ক এই পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করেছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বিরোধী দল সরকারি বাজেট কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে। এই প্রস্তাবে আবার ভেটো দেওয়াও সম্ভব নয়। পাশাপাশি বিরোধীরা সরকারের নিরীক্ষা সংস্থার প্রধানসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের অভিশংসনেরও উদ্যোগ নিয়েছে।
এই অবস্থায় মার্শাল ল জারির পর দক্ষিণ কোরিয়ার পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। বিরোধী দল জনগণকে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার আইন অনুযায়ী, পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে মার্শাল ল বাতিল করা সম্ভব। তবে পার্লামেন্ট ভবনের প্রবেশপথে ব্যারিকেড দিয়ে বিরোধী দলের সাংসদদের প্রবেশে বাধা প্রদান করছে পুলিশ।
এদিকে ইউনের নিজের দল পিপল’স পাওয়ার পার্টির নেতা হান ডং-হুন মার্শাল ল ঘোষণাকে ‘ভুল সিদ্ধান্ত’ বলে অভিহিত করেছেন এবং এর বিরোধিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
মার্শাল ল জারি দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও গভীর করেছে। পরিস্থিতি কোনদিকে মোড় নেবে তা নির্ভর করছে জনমত এবং পার্লামেন্টের সিদ্ধান্তের ওপর।
যুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ডের সাবেক বিচারক ও ‘কট ইন প্রভিডেন্স’ অনুষ্ঠান খ্যাত ফ্র্যাঙ্ক ক্যাপ্রিও মারা গেছেন। দীর্ঘদিন ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই শেষে ৮৮ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাম্প্রতিক শীর্ষ বৈঠক থেকে আলাস্কার এক সাধারণ বাসিন্দা যেন অপ্রত্যাশিতভাবে লাভবান হলেন। দুই নেতার আলোচনার পর রাশিয়ার পক্ষ থেকে তিনি উপহার হিসেবে পেলেন একটি নতুন মোটরসাইকেল!
৯ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র জেজু দ্বীপে ভ্রমণকারীদের জন্য প্রথমবারের মতো বিশেষ আচরণবিধি জারি করেছে স্থানীয় পুলিশ। বিদেশি পর্যটকদের বেআইনি বা অসভ্য আচরণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং জরিমানার বিধান তুলে ধরতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রে বসবাস বা কাজের জন্য আবেদনকারী ব্যক্তিদের এখন থেকে ‘আমেরিকাবিরোধী মনোভাব’ খতিয়ে দেখা হবে। এর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আবেদনকারীর কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখার বিষয়টিও রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ এ ঘোষণা দিয়েছে। বিধিনিষেধের এই কড়াকড়ি অভিবাসনবিষয়ক অধিকারকর্মী...
১০ ঘণ্টা আগে