Ajker Patrika

আম্বানিকে হটিয়ে ফের এশিয়ার শীর্ষ ধনী গৌতম আদানি

আপডেট : ০২ জুন ২০২৪, ১৩: ০৬
আম্বানিকে হটিয়ে ফের এশিয়ার শীর্ষ ধনী গৌতম আদানি

রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানিকে পেছনে ফেলে এশিয়ার শীর্ষ ধনী ব্যক্তির খেতাব পুনরুদ্ধার করেছেন ভারতীয় শিল্পপতি ও আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুসারে, গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভারতীয় এই ধনকুবেরের সম্পদের পরিমাণ ১১১ বিলিয়ন বা ১১ হাজার ১০০ কোটি ডলার। অন্যদিকে, মুকেশ আম্বানির সম্পদের পরিমাণ ১০ হাজার ৯০০ কোটি ডলার।

এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হওয়ার পাশাপাশি গৌতম আদানি রয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির তালিকায় ১১তম স্থানে। আদানি গ্রুপের শেয়ারের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধিতেই মূলত মুকেশ আম্বানিকে ছাড়িয়ে গেছেন তিনি। গতকাল শুক্রবার আদানি গ্রুপের শেয়ারের দাম বাড়ে। মার্কিন বিনিয়োগবিষয়ক সংস্থা জেফারিস সেদিন এক প্রতিবেদনে জানায়, আদানি গ্রুপ নিজেদের ব্যবসার পরিধি সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে।

এ খবরেই ইতিবাচক সাড়া দেয় শেয়ারবাজার। এতে বিনিয়োগকারীর সম্পদে যুক্ত হয় ১ লাখ ২৩ হাজার কোটি রুপি। আদানি গ্রুপের মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৭ লাখ ৯৪ হাজার কোটি রুপি। দিনের লেনদেন শেষ হওয়া পর্যন্ত গোষ্ঠীটির মোট মূলধন দাঁড়ায় ১৭ লাখ ৫১ হাজার কোটি রুপিতে। আদানি গ্রুপের সম্পদে যোগ হয়েছে ৮৪ হাজার ৬৪ কোটি রুপি।

এ সপ্তাহের শুরুতে গৌতম আদানি তাঁর আদানি গ্রুপের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। সে সময় জোর দিয়ে বলেছিলেন যে, মার্কিন খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান হিন্ডেনবার্গের দ্বৈত আক্রমণ থেকে শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়ানোয় কোম্পানির সামনে আসছে সেরা সময়। বার্ষিক প্রতিবেদনে গৌতম আদানি গত বছর যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলেন, সেগুলো তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, সেসব চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে ওঠার মাধ্যমে আদানি গ্রুপ আগের চেয়েও শক্তিশালী হয়েছে।

গৌতম আদানি বলেন, ‘সামনের পথে রয়েছে অসাধারণ সম্ভাবনা। আমি প্রতিশ্রুতি দিতে পারি যে, আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে আদানি গ্রুপ আজ বেশি শক্তিশালী।’

এর আগে, ২০২১ সালের নভেম্বরে আদানির কাছে শীর্ষ ধনীর সিংহাসন হারান আম্বানি। তখনকার হিসাবে জানা যায়, আগের দুই বছরে আদানির সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল প্রায় ১৮০৮ শতাংশ। একই সময়ে আম্বানির সম্পদ বাড়ে ২৫০ শতাংশের মতো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মুসলিমরা কি আরএসএসে যোগ দিতে পারবে— জবাবে যা বললেন মোহন ভাগবত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। ছবি: সংগৃহীত
আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। ছবি: সংগৃহীত

অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের দাবিকে সমর্থন করলে কংগ্রেসকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) কর্মীরা কংগ্রেসকে ভোট দিতেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান মোহন ভাগবত। তিনি বলেছেন, আরএসএস কোনো রাজনৈতিক দল নয়, বরং একটি নীতিনির্ভর সংগঠন। মুসলিমরা আরএসএসে যোগ দিতে পারে কিনা সে প্রশ্নের মুখেও পড়েছেন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনটির এই নেতা।

সম্প্রতি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে আরএসএসকে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলার পর সংগঠনটিকে ঘিরে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়। খাড়গের ছেলে ও কর্ণাটকের মন্ত্রী প্রিয়াঙ্ক খাড়গেসহ বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা আরএসএসের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা চালিয়ে আসছেন।

এই প্রেক্ষাপটে ভাগবত বলেন, ‘আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই, নির্বাচনী রাজনীতিতেও অংশ নিই না। সংঘের কাজ সমাজকে এক করা, রাজনীতির কাজ বিভাজন সৃষ্টি করা। আমরা রাজনীতি নয়, রাষ্ট্রনীতি ও নৈতিকতাকে সমর্থন করি। যে দল দেশকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে, আমরা তাদেরই পাশে থাকব।’

অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আমরা রামমন্দির চেয়েছিলাম, বিজেপি সেটিকে সমর্থন করেছিল বলেই তারা ভোট পেয়েছে। কংগ্রেস যদি তখন ওই দাবির পক্ষে থাকত, আমাদের স্বয়ংসেবকেরা তাদেরই সমর্থন করত।’

মুসলমানরা আরএসএসে যোগ দিতে পারেন কি না—এই প্রশ্নের জবাবে ভাগবত বলেন, ‘সংঘে কোনো ব্রাহ্মণ, জাতি, মুসলমান বা খ্রিষ্টান হিসেবে আলাদা পরিচয়ে কেউ অনুমোদিত নয়। তবে যে কেউ, ধর্মীয় পরিচয় বাইরে রেখে, ‘ভারত মায়ের সন্তান’ হিসেবে সংঘে যোগ দিতে পারে। মুসলমান ও খ্রিষ্টানরাও আমাদের শাখায় আসেন, কিন্তু আমরা তাদের সংখ্যা গুনি না, কারা আসছেন তাও জানতে চাই না।’

আরএসএস নিবন্ধিত সংগঠন নয়—কংগ্রেসের এই অভিযোগের জবাবে ভাগবত বলেন, ‘সংঘের জন্ম ১৯২৫ সালে। তখন কি আমরা ব্রিটিশ সরকারের কাছে নিবন্ধনের জন্য যেতাম? স্বাধীনতার পরও নিবন্ধন আইনত বাধ্যতামূলক নয়। আমরা ‘বডি অব ইনডিভিজুয়্যালস’ হিসেবে আইনগতভাবে স্বীকৃত। তিনবার আমাদের নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, কিন্তু প্রতিবারই আদালত সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছেন। সংসদে বহুবার আমাদের নিয়ে আলোচনা হয়েছে—সমর্থনও, বিরোধিতাও। তাই নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই। হিন্দুধর্মও তো নিবন্ধিত নয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৩০০ অভিবাসীকে নিয়ে মালাক্কা প্রণালিতে নৌকাডুবি, আছে বাংলাদেশিও

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মালয়েশিয়ার মেরিটাইম এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির (এমএমইএ) কর্মকর্তারা জীবিতদের উদ্ধারে এখনো অভিযান অব্যাহত রেখেছে। ছবি: এএফপি
মালয়েশিয়ার মেরিটাইম এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির (এমএমইএ) কর্মকর্তারা জীবিতদের উদ্ধারে এখনো অভিযান অব্যাহত রেখেছে। ছবি: এএফপি

মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ড সীমান্তের মালাক্কা প্রণালিতে অভিবাসী বহনকারী একটি নৌকা ডুবে শতাধিক মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন। মালয়েশিয়ান মেরিটাইম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত রোববার (৬ নভেম্বর) এ দুর্ঘটনা ঘটে। এরপর গত তিন দিনে অন্তত ১০ জনকে জীবিত ও একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম বারনামা জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া ১০ জনের মধ্যে তিনজন মিয়ানমারের নাগরিক, দুজন রোহিঙ্গা ও একজন বাংলাদেশি পুরুষ রয়েছেন। উদ্ধার হওয়া মরদেহটি একজন রোহিঙ্গা নারীর।

উত্তর মালয়েশিয়ার কেদাহ ও পারলিস প্রদেশের মেরিটাইম কর্তৃপক্ষের পরিচালক ফার্স্ট অ্যাডমিরাল রোমলি মোস্তফা বলেন, ‘নৌকাডুবির তিন দিন পরও সমুদ্রে বহু মানুষ জীবিত বা মৃত অবস্থায় থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আমরা এখনো উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি।’

জানা গেছে, মিয়ানমারের বুথিডং এলাকা থেকে প্রায় ৩০০ জন অভিবাসী নিয়ে জাহাজটি মালয়েশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল। এঁদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন রোহিঙ্গা মুসলিম।

কেদাহ প্রদেশের পুলিশপ্রধান আদজলি আবু শাহ বলেন, সমুদ্রে পাড়ি জমানো অভিবাসীরা প্রথমে একটি বড় জাহাজে ছিলেন। তবে মালয়েশিয়া সীমান্তের কাছাকাছি পৌঁছালে কর্তৃপক্ষের চোখ এড়াতে তাঁদের তিনটি ছোট নৌকায় ভাগ হয়ে যেতে বলা হয়। প্রতিটি নৌকায় প্রায় ১০০ জন করে ছিলেন।

তিনি আরও জানান, এই তিনটি ছোট নৌকার মধ্যে একটি ডুবে গেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে, তবে বাকি দুটি নৌকার অবস্থান সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এক বেডরুমের ভাড়া বাড়ি থেকে প্রাসাদে উঠছেন জোহরান মামদানি, কী আছে সেখানে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ২৬
জোহরান মামদানি ও তাঁর স্ত্রী রামা দুয়াজি। ছবি: সংগৃহীত
জোহরান মামদানি ও তাঁর স্ত্রী রামা দুয়াজি। ছবি: সংগৃহীত

নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি থাকেন কুইন্সের অ্যাস্টোরিয়ায় একটি সাধারণ ভাড়া অ্যাপার্টমেন্ট। মাসে ২ হাজার ৩০০ ডলার ভাড়ার এক বেডরুমের একটি ফ্ল্যাটে থাকেন তিনি। সিঙ্ক ফুটা হয়ে পানি চুঁইয়ে পড়ছিল, তাইলে তোয়ালে দিয়ে মেঝে ঢাকতে হয়েছিল তাঁকে। দৈনন্দিন এমন গৃহস্থালী সমস্যা এবং ‘এক বেডরুম এখনকার জন্য একটু বেশিই ছোট’–সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে জোহরান এই হতাশা প্রকাশ করেছেন।

তবে এই ধরনের সাধারণ সমস্যাগুলো আর বেশিদিন তাঁকে সামলাতে হবে না। কারণ, নিউইয়র্ক সিটির সরকারি বাসভবন গ্রেসি ম্যানশনের বাসিন্দা হবেন শিগগিরই।

জোহরান মামদানির বর্তমান অ্যাপার্টমেন্টটি বড়জোর ৮০০ বর্গফুট হতে পারে। সেখানে রয়েছে হিটিং ও গরম পানির ব্যবস্থা, রান্নাঘরে একটি জানালা, দুটি ক্লোজেট—এমন সাধারণ কিছু আসবাবপত্র।

অন্যদিকে, গ্রেসি ম্যানশন হলো ২২৬ বছরের পুরোনো, ১১ হাজার বর্গফুটের একটি প্রাসাদ। আপার ইস্ট সাইডে ইস্ট নদীর তীরে কার্ল শুরজ পার্কে অবস্থিত এই ভবন। ঝাড়বাতির আলোয় উজ্জ্বল আয়না, চকচকে মেহগনি কাঠের দরজা, বিশাল লনে রয়েছে আপেল ও ডুমুর গাছ এবং সবজি বাগান। বাগানে অবশ্য মাঝেমধ্যেই খরগোশেরা বেশ উপদ্রব করে। এমন এক রাজকীয় আবহ রয়েছে সেখানে।

গ্রেসি ম্যানশনকে একবার নিউইয়র্ক টাইমসের একজন রিপোর্টার ‘ফ্যাকাশে লেমন কেকের মতো বাড়ি’ বলে বর্ণনা করেছিলেন। এটি কেবল বাসস্থান নয়, এটি কঠোর নিরাপত্তা এবং বিলাসবহুল আয়োজনের এক অভিজাত কেন্দ্র।

নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের সরকারি বাসভবন গ্রেসিয়া ম্যানশন। ছবি: উইকিপিডিয়া
নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের সরকারি বাসভবন গ্রেসিয়া ম্যানশন। ছবি: উইকিপিডিয়া

বাসভবনের নিচতলাটি অত্যন্ত জমকালো ‘ফেডারেল’ স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত। এই স্থাপত্য নকশায় মেয়রের ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। এখানে একটি গ্র্যান্ড ফায়ারপ্লেস-সহ বিনোদন কক্ষ এবং প্যারিসের বাগানচিত্রযুক্ত ওয়ালপেপার দিয়ে মোড়ানো একটি ডাইনিং রুম রয়েছে।

মেয়রদের জন্য এখানে রয়েছে পূর্ণ-সময়ের শেফ, যিনি তাঁর জন্য খাবার প্রস্তুত করেন। করিডোরের ওপারে রয়েছে বিশাল বলরুম। ১৯৬৬ সালে এটি উদ্বোধন করা হয়।

নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের সরকারি বাসভবন গ্রেসিয়া ম্যানশন। ছবি: উইকিপিডিয়া
নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের সরকারি বাসভবন গ্রেসিয়া ম্যানশন। ছবি: উইকিপিডিয়া

মূল ভবনে ওপর তলায় রয়েছে পাঁচটি বেডরুম। যদিও ঘরোয়া আবহ আনার জন্য বিভিন্ন মেয়র তাঁদের মতো করে অভ্যন্তরীণ সজ্জা পরিবর্তন করেছেন। মেয়র বিল ডি ব্লাসিওর পরিবার আধুনিকীকরণের জন্য একজন ডেকোরেটর নিয়োগ করেছিলেন। এ ছাড়া মেয়র আব্রাহাম বিমের স্ত্রী মাঝরাতের হালকা খাবার খাওয়ার জন্য একটি ঘরকে ছোট ডাইনেটে রূপান্তরিত করেছিলেন।

মেয়র ডি ব্লাসিওর ছেলে ড্যান্টে ডি ব্লাসিও স্মরণ করেন, ‘বিশাল লন এবং বলরুম পাওয়াটা ছিল আমেরিকার সবচেয়ে ভাগ্যবান শিশুর মতো অনুভূতি।’ তবে তিনি স্বীকার করেন, এই বিশালতা শহরের দৈনন্দিন বাস্তবতা, এর গৌরব ও বিনয়ের দিকগুলো থেকে ব্যক্তিকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের সরকারি বাসভবন গ্রেসিয়া ম্যানশন। ছবি: উইকিপিডিয়া
নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের সরকারি বাসভবন গ্রেসিয়া ম্যানশন। ছবি: উইকিপিডিয়া

অ্যাস্টোরিয়া, যেখানে মামদানি এখনো অ্যাসেম্বলিম্যান হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেন, সেটি হলো বহু সংস্কৃতির মিলনক্ষেত্র—গ্রিক, মিশরীয়, মরক্কো এবং লাতিন জনগোষ্ঠীর আবাসস্থল। এটি সাশ্রয়ী, কোলাহলপূর্ণ এবং নিউইয়র্কের অন্যতম সেরা ফুড জোন। মামদানি নিজেই তাঁর পাড়ার থাই রেস্তোরাঁর কাঁচা স্পাইসি বিফ এবং সামুদ্রিক খাবারের স্পটগুলো (বাহারি ইস্টিয়াটোরিও, ইলিয়াস কর্নার এবং আবুকার) সুপারিশ করেন।

অন্যদিকে, আপার ইস্ট সাইড দীর্ঘকাল ধরে নিউইয়র্কের সবচেয়ে ধনী এবং অভিজাত এলাকা। এখানে বার্গার বা স্প্যাগেটি পমোডোরো সহজে খুঁজে পেলেও অ্যাস্টোরিয়ার মতো ভিন্ন স্বাদের খাবার পাওয়া কঠিন। সেন্ট্রাল পার্কের কাছে অবস্থিত মার্ক হোটেলের মতো বিলাসবহুল স্থানে এক প্লেট গ্রিলড ব্ল্যাক সি বাসের দাম ৭২ ডলার।

মামদানির অ্যাস্টোরিয়ার অ্যাপার্টমেন্টে কোনো বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। কিন্তু গ্রেসি ম্যানশনের আসল আকর্ষণ হলো এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। উঁচু প্রাচীর, চতুর্দিকে ক্যামেরা এবং বাইরে মোতায়েন থাকা পুলিশ কর্মকর্তাদের দল—নিরাপত্তার এই স্তরটি নিশ্চিত করার জন্যই মেয়ররা শেষ পর্যন্ত এখানে আসতে বাধ্য হন। প্রাক্তন মেয়র বিল ডি ব্লাসিও মামদানিকে এই কারণেই গ্রেসি ম্যানশনে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন: ‘নিরাপত্তার জন্য হলেও তার সেখানে যাওয়া উচিত।’

মেয়র ফিওরেলো লাগার্ডিয়া ১৯৪২ সালে প্রথম এই ম্যানশনে স্থানান্তরিত হন এবং এর নাম পরিবর্তন করে আরও সাধারণ ‘গ্রেসি ফার্ম’ রাখার চেষ্টা করেন। যদিও নামটি টেকেনি, কিন্তু তাঁর স্ত্রী নিজে বাড়ির সমস্ত গৃহস্থালির কাজ করতেন এবং লনে পরিবারের কাপড় শুকাতেন।

তবে সাবেক মেয়র এরিক অ্যাডামস এই বাড়ির এক অন্যরকম হুমকির কথা বলেছিলেন: ‘ম্যানশনে ভূত আছে, ভাই!’

মেয়র রুডি গুলিয়ানিকে তাঁর তৎকালীন স্ত্রী ডোনা হ্যানোভার ডিভোর্স দিলে, সিটি হল ছাড়ার কয়েক বছর পরে এটির লনেই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ের অনুষ্ঠান করেন রুডি।

মেয়র এড কচ প্রথমে তাঁর ভাড়া বাড়িতে থাকতে চাইলেও পরে ভোটারদের ফোনের অত্যাচারে বিরক্ত হয়ে গ্রেসি ম্যানশনে চলে যান। তিনি তখন বলেছিলেন, ‘পশ জীবনের সঙ্গে খুব দ্রুত মানিয়ে নেওয়া যায়, এবং আমি সেটাই করেছিলাম।’

ড্যান্টে ডি ব্লাসিওর পরামর্শ ছিল, ‘আপনার প্রচুর পার্টি করা উচিত!’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যুক্তরাষ্ট্রে ভুল ঠিকানায় গিয়ে বাড়িওয়ালার গুলিতে নিহত গৃহকর্মী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানায় গুলিতে নিহত মারিয়া ফ্লোরিন্ডা রিওস পেরেজ। ছবি: সিবিএস
যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানায় গুলিতে নিহত মারিয়া ফ্লোরিন্ডা রিওস পেরেজ। ছবি: সিবিএস

যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যে ভুলবশত অন্যের বাড়িতে যাওয়ায় এক গৃহকর্মীকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে কি না, তা খতিয়ে দেখছে কর্তৃপক্ষ।

পুলিশ জানিয়েছে, গত বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টার কিছু আগে মারিয়া ফ্লোরিন্ডা রিওস পেরেজ নামের ওই নারীকে তাঁর স্বামীর কোলে মৃত অবস্থায় বাড়ির বারান্দায় পাওয়া যায়।

পুলিশ ওই সময় ইন্ডিয়ানাপলিসের উপশহর হুইটসটাউনে একটি বাড়িতে অনধিকার প্রবেশের খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছায়। পুলিশ বলছে, নিহত নারী ও তাঁর স্বামী বাড়ির ভেতরে ঢোকেননি।

বাড়ির বাসিন্দাদের নাম পুলিশ এখনো প্রকাশ করেনি বা কে গুলি চালিয়েছে, তা জানায়নি। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, এটি ‘জটিল, সংবেদনশীল ও চলমান তদন্ত’। এখনই কোনো তথ্য প্রকাশ করা অনুচিত এবং সম্ভাব্যভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

তদন্তকারীরা জনসাধারণকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এই ঘটনার বিষয়ে ‘অনলাইনে ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ছে’, যা উদ্বেগজনক।

সিবিএস নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিহত নারীর স্বামী মৌরিসিও ভেলাজকেজ তাঁর ৩২ বছর বয়সী স্ত্রীর জন্য ন্যায়বিচার দাবি করেন।

সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, নিহত মারিয়া চার সন্তানের জননী ছিলেন। তিনি গুয়াতেমালা থেকে এসেছেন।

সিবিএসের সহযোগী চ্যানেল ডব্লিউটিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভেলাজকেজ বলেন, গুলি বাড়ির দরজা ভেদ করে এসে তাঁর স্ত্রীর গায়ে লাগে।

ভেলাজকেজ বলেন, ‘ওরা আগে পুলিশ ডাকতে পারত। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়াই সরাসরি গুলি চালাল। এটা মেনে নেওয়া যায় না।’

তথ্যসূত্র: বিবিসি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত