Ajker Patrika

স্বামী ভারতে বন্দী, পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারে কে এই মিশাল মালিক

আপডেট : ১৯ আগস্ট ২০২৩, ১৮: ৩৪
স্বামী ভারতে বন্দী, পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারে কে এই মিশাল মালিক

পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকারের বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে মিশাল মালিককে। তিনি ভারতের কারাগারে বন্দী কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের স্ত্রী। 

শনিবার ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে যে পাঁচজনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে তার মধ্যে মিশাল মালিক অন্যতম। মূলত মানবাধিকার এবং নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক হিসেবে কাজ করবেন তিনি। 

জম্মু এবং কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের (জেকেএলএফ) এর প্রধান ছিলেন মিশালের স্বামী ইয়াসিন মালিক। জেকেএলএফ মূলত ভারত এবং পাকিস্তানের কাছ থেকে আলাদা হয়ে কাশ্মীরের স্বাধীনতা দাবি করে। 

 ২০১৯ সালে জেকেএলএফ নিষিদ্ধ ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই ইয়াসিন মালিককে গ্রেপ্তার করে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পরে রাষ্ট্রদ্রোহ এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রমে অর্থায়ন করার অভিযোগে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় ভারতীয় আদালত। বর্তমানে তিহার জেলে বন্দী আছেন ইয়াসিন। বিচারের সময় আদালতকে তিনি বলেছিলেন, ‘স্বাধীনতা চাওয়া যদি অপরাধ হয়, তাহলে আমি এই অপরাধ এবং এর পরিণতি মেনে নিতে প্রস্তুত।’ 

১৪ বছর আগে ইয়াসিন মালিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন মিশাল। ২০০৫ সালে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে তাঁদের প্রথমবারের মতো দেখা হয়েছিল। পরে ২০০৯ সালে বিয়ে করেন। 

বর্তমানে একমাত্র কন্যাকে নিয়ে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে বসবাস করছেন মিশাল। তিনি একজন চিত্রশিল্পী এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। ১৯৮৮ সালে যুক্তরাজ্যে জন্মগ্রহণ করা মিশাল পড়াশোনা করেছেন লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসে। 

মিশালের বাবা ছিলেন অর্থনীতির অধ্যাপক। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে নোবেল পুরস্কারের বিচারক মণ্ডলীর সদস্য করা হয়েছিল মিশালের বাবাকে। ২০০২ সালে মারা যান তিনি। অন্যদিকে মিশালের মা ছিলেন পাকিস্তান মুসলিম লীগ নারী উইংয়ের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। 

মিশালকে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা করার সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করেছে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। দলটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক তরুণ চুঘ এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘মিশাল মালিকের নিয়োগ প্রমাণ করে যে, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদ এবং সন্ত্রাসীদের লালন-পালন করে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত