আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ভারত মিয়ানমারের শক্তিশালী এক বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সহায়তায় দেশটি থেকে বিরল খনিজ সংগ্রহের চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে অবগত চারটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, চীনের কড়া নিয়ন্ত্রণে থাকা এ কৌশলগত সম্পদের বিকল্প উৎস খুঁজছে দিল্লি। ভারতের খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে মিয়ানমারের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের খনিগুলো থেকে বিরল খনিজের নমুনা সংগ্রহ ও পরিবহনের উদ্যোগ নিতে বলেছে। অপর তিনটি সূত্র জানিয়েছে, এসব খনি মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মির (কেআইএ) নিয়ন্ত্রণে।
খবরে বলা হয়েছে, ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান আইআরইএল ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মিডওয়েস্ট অ্যাডভান্সড ম্যাটেরিয়ালস কেআইএ—এর সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনায় অংশ নিয়েছিল বলে জানান ওই তিন সূত্র। মিডওয়েস্ট অ্যাডভান্সড ম্যাটেরিয়ালস গত বছর বিরল খনিজ চুম্বক বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের জন্য ভারত সরকারের তহবিল পেয়েছে।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ আশা করছে—নমুনাগুলো দেশে এনে পরীক্ষা করে দেখা হবে, সেগুলোতে যথেষ্ট পরিমাণে ভারী বিরল খনিজ আছে কি না। কাচিনে ভারতীয় কোম্পানিগুলো যেসব খনিজের নমুনা সংগ্রহ করেছে সেগুলো সাধারণত বৈদ্যুতিক যানবাহন ও উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতির জন্য চুম্বক তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
দুটি সূত্রের দাবি, ভারতের খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের গত জুলাইয়ে এই অনুরোধ জানায় সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোকে। সে সময় এক অনলাইন বৈঠকে আইআরইএল, মিডওয়েস্ট ও অন্তত আরও একটি কোম্পানির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
কাচিন আর্মির এক কর্মকর্তা জানান, ভারতীয়দের বিশ্লেষণ করতে দেওয়ার জন্য নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছে বিদ্রোহীরা। তারা ভারতে খনিজের ব্যাপক রপ্তানি সম্ভব কি না, তা মূল্যায়ন করতেও রাজি হয়েছে।
কেআইএ-এর সঙ্গে ভারতের এই যোগাযোগের খবর প্রথমবারের মতো প্রকাশ করল রয়টার্স। ভারতের পররাষ্ট্র ও খনিজ মন্ত্রণালয় রয়টার্সের প্রশ্নের জবাব দেয়নি। আইআরইএল ও মিডওয়েস্টের পক্ষ থেকেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। কেআইএ-র মুখপাত্র ফোন ও বার্তায় সাড়া দেননি।
বিরল খনিজ তুলনামূলক প্রচুর থাকলেও এগুলোকে চুম্বকে রূপান্তরের প্রযুক্তি প্রায় পুরোপুরি চীনের নিয়ন্ত্রণে। চীন এ বছর ভারতসহ বড় বড় অর্থনীতির কাছে প্রক্রিয়াজাত খনিজ রপ্তানি কড়াভাবে সীমিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধের মধ্যে কৌশলগত চাপ বজায় রাখতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সরবরাহ নিশ্চিত করতে দিল্লি সক্রিয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত ৩১ আগস্ট জানান, চীনে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং-এর সঙ্গে বৈঠকে তিনি বিরল খনিজ খনন নিয়ে আলোচনা করেছেন। হ্লাইং-এর সেনারা বর্তমানে কেআইএ-এর সঙ্গে কাচিনের নিয়ন্ত্রণ নিতে লড়াই করছে। তবে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি। তবে এই বিষয়ে কোনো চুক্তি প্রকাশ্যে ঘোষণা হয়নি এবং মিয়ানমার সেনা সরকারের পক্ষ থেকেও কোনো মন্তব্য আসেনি।
শিল্পোৎপাদন পর্যায়ে বিরল খনিজকে উচ্চমানের বিশুদ্ধতায় প্রক্রিয়াকরণে ভারতের সক্ষমতা এখনো অত্যন্ত সীমিত। আইআরইএল জাপানি ও কোরিয়ান কোম্পানির সঙ্গে অংশীদারত্ব খুঁজছে বিরল খনিজ চুম্বক বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের জন্য।
কেআইএ-র সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আলোচনায় জড়িত এক ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, গুরুত্বপূর্ণ খনিজে ভারতের আগ্রহ গোপন কিছু নয়। তিনি বলেন, ‘আমরা স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বব্যাপী সম্ভাব্য সরবরাহকারীদের সঙ্গে ব্যবসায়িক সহযোগিতার মাধ্যমে বিরল খনিজ নিশ্চিত করার পক্ষে।’ তবে সরাসরি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগের প্রসঙ্গে কিছু বলেননি।
রয়টার্স আগে জানিয়েছিল, গত ডিসেম্বরে আইআরইএল-এর একটি দল মিয়ানমারের কাচিনে গিয়ে খনিজসম্পদ প্রাপ্যতার বিষয়টি যাচাই করেছিল। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনও মিয়ানমারের বিরল খনিজ আহরণের প্রস্তাব পেয়েছিল, যার মধ্যে ভারতের সহযোগিতার প্রস্তাবও ছিল।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক বিশ্লেষক অংশুমান চৌধুরী জানান, চীনের কেআইএ-এর সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্ক রয়েছে এবং কেআইএ চীনকেও খনিজ সরবরাহ করে। তিনি বলেন, ‘যদি চীন বিরল খনিজ নিশ্চিত করতে কেআইএ-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে, তবে ভারত কেন পিছিয়ে থাকবে? প্রতিযোগিতার বাস্তবতাই এ যোগাযোগকে ব্যাখ্যা করে।’
রয়টার্সকে দেওয়া এক প্রশ্নে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, বেইজিং জানে না কেআইএ ভারতের সঙ্গে কাজ করছে কি না। তবে তিনি বলেন, ‘উত্তর মিয়ানমারের সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে চীনের গঠনমূলক ভূমিকাকে প্রশংসা ও ধন্যবাদ জানায়।’
কেআইএ ১৯৬১ সালে মিয়ানমারের সংখ্যালঘু কাচিন জনগোষ্ঠীর স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গঠিত হয়। ধীরে ধীরে এটি দেশের অন্যতম শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে। ২০২১ সালের অভ্যুত্থানে মিয়ানমারের জান্তাবাহিনী নির্বাচিত বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করার পর দেশজুড়ে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে। সে সময় কেআইএ চীন-সমর্থিত জান্তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধের মূল স্তম্ভে পরিণত হয়।
গত বছর কেআইএ জান্তাপন্থী বাহিনীর কাছ থেকে কাচিন অঙ্গরাজ্যের চিপওয়ে-পাংওয়া খনি এলাকা দখল করে, যা বিশ্বে ভারী বিরল খনিজ—ডিসপ্রোসিয়াম ও টার্বিয়ামের—বৃহত্তম সরবরাহকারী। যদিও কেআইএ চীনকে এসব খনিজের সরবরাহ চালিয়ে যাচ্ছে, তবু তাদের সম্পর্ক অচলাবস্থায় পড়েছে জান্তা সেনাদের সঙ্গে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভামো শহরের লড়াই নিয়ে।
চীন জান্তাকে নিজের প্রভাব বলয়ে স্থিতিশীলতার রক্ষক হিসেবে দেখে এবং কেআইএ-কে পিছিয়ে আসার চাপ দিচ্ছে। অন্যদিকে, কেআইএ প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াচ্ছে। দিল্লির কর্মকর্তারা কেআইএ-এর সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির মাধ্যমে বিরল খনিজ সরবরাহপথ তৈরি করতে আগ্রহী। তবে দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলের কারণে বিপুল পরিমাণ খনিজ ভারতে আনা কতটা সম্ভব, তা নিয়ে সন্দেহ আছে বলে জানান দুই সূত্র।
খনিজ চীনে নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবর্তী সড়কপথে। আলোচনায় আইআরইএল জড়িত থাকলেও পরিবহনের দায়ভার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর দেওয়া হোক, এমনটাই চায় সংস্থাটি বলে জানিয়েছেন অবগত তিনটি সূত্র। তবে ভারত ও কেআইএ খনিজ সরবরাহে সমঝোতায় এলেও চীনের সাহায্য ছাড়া সেগুলো প্রক্রিয়াকরণ বড় চ্যালেঞ্জ হবে, জানান বেলজিয়ামভিত্তিক খনিজ বিশেষজ্ঞ নাবিল মানচেরি।
তিনি বলেন, ‘তাত্ত্বিকভাবে ভারত এ খনিজ পেলে তা আলাদা করে ব্যবহারযোগ্য পণ্য তৈরি করতে পারবে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে উল্লেখযোগ্য সরবরাহ দিতে এ উৎপাদন সক্ষমতায় পৌঁছাতে সময় লাগবে।’
ভারত মিয়ানমারের শক্তিশালী এক বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সহায়তায় দেশটি থেকে বিরল খনিজ সংগ্রহের চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে অবগত চারটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, চীনের কড়া নিয়ন্ত্রণে থাকা এ কৌশলগত সম্পদের বিকল্প উৎস খুঁজছে দিল্লি। ভারতের খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে মিয়ানমারের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের খনিগুলো থেকে বিরল খনিজের নমুনা সংগ্রহ ও পরিবহনের উদ্যোগ নিতে বলেছে। অপর তিনটি সূত্র জানিয়েছে, এসব খনি মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মির (কেআইএ) নিয়ন্ত্রণে।
খবরে বলা হয়েছে, ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান আইআরইএল ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মিডওয়েস্ট অ্যাডভান্সড ম্যাটেরিয়ালস কেআইএ—এর সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনায় অংশ নিয়েছিল বলে জানান ওই তিন সূত্র। মিডওয়েস্ট অ্যাডভান্সড ম্যাটেরিয়ালস গত বছর বিরল খনিজ চুম্বক বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের জন্য ভারত সরকারের তহবিল পেয়েছে।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ আশা করছে—নমুনাগুলো দেশে এনে পরীক্ষা করে দেখা হবে, সেগুলোতে যথেষ্ট পরিমাণে ভারী বিরল খনিজ আছে কি না। কাচিনে ভারতীয় কোম্পানিগুলো যেসব খনিজের নমুনা সংগ্রহ করেছে সেগুলো সাধারণত বৈদ্যুতিক যানবাহন ও উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতির জন্য চুম্বক তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
দুটি সূত্রের দাবি, ভারতের খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের গত জুলাইয়ে এই অনুরোধ জানায় সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোকে। সে সময় এক অনলাইন বৈঠকে আইআরইএল, মিডওয়েস্ট ও অন্তত আরও একটি কোম্পানির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
কাচিন আর্মির এক কর্মকর্তা জানান, ভারতীয়দের বিশ্লেষণ করতে দেওয়ার জন্য নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছে বিদ্রোহীরা। তারা ভারতে খনিজের ব্যাপক রপ্তানি সম্ভব কি না, তা মূল্যায়ন করতেও রাজি হয়েছে।
কেআইএ-এর সঙ্গে ভারতের এই যোগাযোগের খবর প্রথমবারের মতো প্রকাশ করল রয়টার্স। ভারতের পররাষ্ট্র ও খনিজ মন্ত্রণালয় রয়টার্সের প্রশ্নের জবাব দেয়নি। আইআরইএল ও মিডওয়েস্টের পক্ষ থেকেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। কেআইএ-র মুখপাত্র ফোন ও বার্তায় সাড়া দেননি।
বিরল খনিজ তুলনামূলক প্রচুর থাকলেও এগুলোকে চুম্বকে রূপান্তরের প্রযুক্তি প্রায় পুরোপুরি চীনের নিয়ন্ত্রণে। চীন এ বছর ভারতসহ বড় বড় অর্থনীতির কাছে প্রক্রিয়াজাত খনিজ রপ্তানি কড়াভাবে সীমিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধের মধ্যে কৌশলগত চাপ বজায় রাখতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সরবরাহ নিশ্চিত করতে দিল্লি সক্রিয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত ৩১ আগস্ট জানান, চীনে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং-এর সঙ্গে বৈঠকে তিনি বিরল খনিজ খনন নিয়ে আলোচনা করেছেন। হ্লাইং-এর সেনারা বর্তমানে কেআইএ-এর সঙ্গে কাচিনের নিয়ন্ত্রণ নিতে লড়াই করছে। তবে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি। তবে এই বিষয়ে কোনো চুক্তি প্রকাশ্যে ঘোষণা হয়নি এবং মিয়ানমার সেনা সরকারের পক্ষ থেকেও কোনো মন্তব্য আসেনি।
শিল্পোৎপাদন পর্যায়ে বিরল খনিজকে উচ্চমানের বিশুদ্ধতায় প্রক্রিয়াকরণে ভারতের সক্ষমতা এখনো অত্যন্ত সীমিত। আইআরইএল জাপানি ও কোরিয়ান কোম্পানির সঙ্গে অংশীদারত্ব খুঁজছে বিরল খনিজ চুম্বক বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের জন্য।
কেআইএ-র সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আলোচনায় জড়িত এক ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, গুরুত্বপূর্ণ খনিজে ভারতের আগ্রহ গোপন কিছু নয়। তিনি বলেন, ‘আমরা স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বব্যাপী সম্ভাব্য সরবরাহকারীদের সঙ্গে ব্যবসায়িক সহযোগিতার মাধ্যমে বিরল খনিজ নিশ্চিত করার পক্ষে।’ তবে সরাসরি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগের প্রসঙ্গে কিছু বলেননি।
রয়টার্স আগে জানিয়েছিল, গত ডিসেম্বরে আইআরইএল-এর একটি দল মিয়ানমারের কাচিনে গিয়ে খনিজসম্পদ প্রাপ্যতার বিষয়টি যাচাই করেছিল। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনও মিয়ানমারের বিরল খনিজ আহরণের প্রস্তাব পেয়েছিল, যার মধ্যে ভারতের সহযোগিতার প্রস্তাবও ছিল।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক বিশ্লেষক অংশুমান চৌধুরী জানান, চীনের কেআইএ-এর সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্ক রয়েছে এবং কেআইএ চীনকেও খনিজ সরবরাহ করে। তিনি বলেন, ‘যদি চীন বিরল খনিজ নিশ্চিত করতে কেআইএ-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে, তবে ভারত কেন পিছিয়ে থাকবে? প্রতিযোগিতার বাস্তবতাই এ যোগাযোগকে ব্যাখ্যা করে।’
রয়টার্সকে দেওয়া এক প্রশ্নে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, বেইজিং জানে না কেআইএ ভারতের সঙ্গে কাজ করছে কি না। তবে তিনি বলেন, ‘উত্তর মিয়ানমারের সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে চীনের গঠনমূলক ভূমিকাকে প্রশংসা ও ধন্যবাদ জানায়।’
কেআইএ ১৯৬১ সালে মিয়ানমারের সংখ্যালঘু কাচিন জনগোষ্ঠীর স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গঠিত হয়। ধীরে ধীরে এটি দেশের অন্যতম শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে। ২০২১ সালের অভ্যুত্থানে মিয়ানমারের জান্তাবাহিনী নির্বাচিত বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করার পর দেশজুড়ে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে। সে সময় কেআইএ চীন-সমর্থিত জান্তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধের মূল স্তম্ভে পরিণত হয়।
গত বছর কেআইএ জান্তাপন্থী বাহিনীর কাছ থেকে কাচিন অঙ্গরাজ্যের চিপওয়ে-পাংওয়া খনি এলাকা দখল করে, যা বিশ্বে ভারী বিরল খনিজ—ডিসপ্রোসিয়াম ও টার্বিয়ামের—বৃহত্তম সরবরাহকারী। যদিও কেআইএ চীনকে এসব খনিজের সরবরাহ চালিয়ে যাচ্ছে, তবু তাদের সম্পর্ক অচলাবস্থায় পড়েছে জান্তা সেনাদের সঙ্গে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভামো শহরের লড়াই নিয়ে।
চীন জান্তাকে নিজের প্রভাব বলয়ে স্থিতিশীলতার রক্ষক হিসেবে দেখে এবং কেআইএ-কে পিছিয়ে আসার চাপ দিচ্ছে। অন্যদিকে, কেআইএ প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াচ্ছে। দিল্লির কর্মকর্তারা কেআইএ-এর সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির মাধ্যমে বিরল খনিজ সরবরাহপথ তৈরি করতে আগ্রহী। তবে দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলের কারণে বিপুল পরিমাণ খনিজ ভারতে আনা কতটা সম্ভব, তা নিয়ে সন্দেহ আছে বলে জানান দুই সূত্র।
খনিজ চীনে নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবর্তী সড়কপথে। আলোচনায় আইআরইএল জড়িত থাকলেও পরিবহনের দায়ভার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর দেওয়া হোক, এমনটাই চায় সংস্থাটি বলে জানিয়েছেন অবগত তিনটি সূত্র। তবে ভারত ও কেআইএ খনিজ সরবরাহে সমঝোতায় এলেও চীনের সাহায্য ছাড়া সেগুলো প্রক্রিয়াকরণ বড় চ্যালেঞ্জ হবে, জানান বেলজিয়ামভিত্তিক খনিজ বিশেষজ্ঞ নাবিল মানচেরি।
তিনি বলেন, ‘তাত্ত্বিকভাবে ভারত এ খনিজ পেলে তা আলাদা করে ব্যবহারযোগ্য পণ্য তৈরি করতে পারবে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে উল্লেখযোগ্য সরবরাহ দিতে এ উৎপাদন সক্ষমতায় পৌঁছাতে সময় লাগবে।’
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে মঙ্গলবারের তুলনায় বুধবার সকাল কিছুটা শান্ত মনে হলেও পরিস্থিতি এখনো ভয়াবহ। ভোর থেকে এই শহরের প্রধান মোড়গুলোতে ব্যারিকেড বসিয়ে ভেতরের রাস্তা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিয়েছে সেনারা।
১ ঘণ্টা আগেহিমালয়কন্যা নেপালে সরকারের দুর্নীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, এরই মধ্যে অন্তত ২৯ জনের প্রাণ ঝরেছে। এরপর নেপালের প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করায় সরকারেরও পতন হয়েছে। দেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেনাবাহিনী।
১ ঘণ্টা আগেনেপালের পর্যটন এলাকা চন্দ্রগিরিতে একটি কেবল কারে আগুন দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। নেপালি ইংরেজি সংবাদমাধ্যম দ্য হিমালয়ান এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এ ছাড়া, বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন মার্কেট, নেতাদের বাসভবন এমনকি থানাতেও আগুন ধরিয়ে দেয়।
৪ ঘণ্টা আগে‘মধ্যস্থতাকারী’—শব্দটা যেন কাতারের প্রতিশব্দই হয়ে উঠেছে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, দ্বন্দ্ব চলছে এমন দুই দেশের সঙ্গে বেশ আলাদাভাবে সুসম্পর্ক রয়েছে কাতারের। এবং বরাবরই বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যে সমঝোতা নিশ্চিতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় দেখা যায় এই আরব দেশটিকে। উদাহরণ হিসেবে বলা হয় যুক্তরাষ্ট্র-ইরান, হামাস-
৪ ঘণ্টা আগে