Ajker Patrika

অর্থনৈতিক দুর্দশার মধ্যে ভুটানে ভোট মঙ্গলবার

আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯: ৪৯
অর্থনৈতিক দুর্দশার মধ্যে ভুটানে ভোট মঙ্গলবার

দক্ষিণ এশিয়ার ভূবেষ্টিত দেশ ভুটানে জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল মঙ্গলবার। ভয়াবহ অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে এ ভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণে প্রবৃদ্ধির বিপরীতে দেশটির মোট জাতীয় সুখকে (জিএনএইচ) অগ্রাধিকার দেওয়া অনেক দিনের নীতি প্রশ্নের মুখে পড়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে মধ্য বামপন্থী পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি) এবং ভুটান টেনড্রেল পার্টি। দুই দলই সংবিধানে নিহিত দর্শনগত জায়গা থেকে এমন সরকার গঠনে অঙ্গীকারবদ্ধ, যেটা সাফল্য পরিমাপ করে ‘মানুষের সুখ ও কল্যাণের’ নিক্তিতে। 

ভোটারদের অনেকে মনে করছেন, সুইজারল্যান্ডের সমান আয়তনের পাহাড়বেষ্টিত এবং বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা জনবসতির দেশটিতে ভোটগ্রহণে কয়েক দিন লাগতে পারে। ৪৬ বছর বয়সী কৃষক কিনলে ওয়াংচুক বলেন, ‘আমাদের বেশি নতুন রাস্তা বা সেতু প্রয়োজন নেই। আমাদের সত্যিই যা প্রয়োজন, তা হলো তরুণদের জন্য বেশি বেশি কাজ।’ 

বিশ্বব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুসারে, ভুটানে তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার বেড়ে ২৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে গত ৫ বছরে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আটকে আছে গড়ে ১ দশমিক ৭ শতাংশের মধ্যে। গত কয়েক নির্বাচনের সময় থেকে আর্থিক ও শিক্ষাগত সুবিধার সন্ধানে রেকর্ডসংখ্যক তরুণ জনগোষ্ঠী বিদেশে চলে গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গেছে অস্ট্রেলিয়ায়। 

স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, গত জুলাই পর্যন্ত আগের এক বছরে অন্তত ১৫ হাজার ভুটানি নাগরিকের ভিসা ইস্যু করা হয়, যা গত ছয় বছরের সম্মিলিত হিসাবের চেয়েও বেশি এবং এটি প্রায় দেশটির জনগণের ২ শতাংশ। এ কারণে বিদেশে অভিবাসনের বিষয়টি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী উভয় দলের কাছে বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে। 

ভুটান টেনড্রেল পার্টির ক্যারিয়ার সিভিল পার্টির পেমা সিওয়াং বলেন, দেশটি মেধাবীদের প্রতিনিয়ত হারাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘যদি এই প্রবণতা অব্যাহত থাকে, তাহলে আমাদের দেশ গ্রামশূন্য ও মরুর দেশে পরিণত হতে পারে।’ 

অন্যদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী পিডিপির প্রধান শেরিং তোবগেও অনেকটা একই সুরে কথা বলেছেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘নজিরবিহীন অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং গণ প্রস্থানের দেশ হতে পারে ভুটান।’ তাঁর দলের রাজনৈতিক ইশতেহারে উদ্ধৃত করা সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রতি ৮ জনের ১ জনই খাদ্য ও অনেক মৌলিক চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। 

এদিকে ভুটানের পর্যটন খাত করোনার অভিঘাত থেকে এখনো পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়ায়নি। গত বছর সরকার পর্যটন খাতে পর্যটক আকর্ষণে বিদেশিদের জন্য লক্ষণীয় ফি কমায়। তবুও তেমন পর্যটক আসেনি। চার বছর আগে ভুটানে পর্যটক এসেছিল ৩ লাখ ১৬ হাজার। এর এক-তৃতীয়াংশ বিদেশি পর্যটক এসেছে দেশটিতে গত বছর। রাজনৈতিক দলগুলো পর্যটনসহ দেশটির অর্থনীতির অন্য খাতগুলো চাঙা করার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন। ক্রমেই তীব্র হচ্ছে দেশটির অর্থনৈতিক সংকট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ না করার প্রস্তাব

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

পরিপাকতন্ত্রের ওষুধের পেছনেই মানুষের ব্যয় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত