Ajker Patrika

শিনজো আবের মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান জাপান 

আপডেট : ০৯ জুলাই ২০২২, ১২: ৫৫
শিনজো আবের মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান জাপান 

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান জাপান। দেশটির সর্বস্তরের মানুষ শনিবার সাবেক জাতীয় নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। অনেকেই ছুটে যাচ্ছেন শিনজো আবে যেখানে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন, সেই নারা শহরে। ফুলে ফুলে ভরে উঠছে শিনজো আবের লুটিয়ে পড়ার স্থানটি।     

স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার সকালের দিকে কিয়োতোর নিকটবর্তী নারা শহরে নির্বাচনী প্রচারণা সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে (৬৭)। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে পড়ে পুরো জাপানবাসী। এরই মধ্যে বিশ্বনেতারা আবের মৃত্যুর ঘটনায় শোক জানিয়েছেন। একে দেখা হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রতি ‘আঘাত’ হিসেবে। 

স্থানীয় নাগরিক নাতসুমি নিওয়া এসেছিলেন শিনজো আবের গুলিবিদ্ধ হওয়ার স্থানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘নারাতে এমন ঘটনা ঘটবে, তা কখনো ভাবিনি।’

নাতসুমির মতো অনেকেই হামলাস্থলে এসে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। কেউ কেউ আবার চোখের জল ধরে রাখতে পারছিলেন না। জাপানজুড়েই আবের স্মরণে হচ্ছে র‍্যালি ও শোকসভা। 

শিনজো আবের ওপর হামলার ঘটনায় ৪১ বছর বয়সী তেতসুয়া ইয়ামাগামি নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। এক সংবাদ সম্মেলনে হামলাকারীর বরাত দিয়ে জাপানের পুলিশ জানিয়েছে, এ হত্যার সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তবে ‘নির্দিষ্ট সংগঠনের’ বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভ রয়েছে। শিনজো আবেকে হত্যার বিষয়টি তিনি স্বীকার করেছেন। হাতে তৈরি বন্দুকে শিনজো আবেকে গুলি করা হয়।

ফাইল ছবি: রয়টার্সজাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শিনজো আবে। ২০০৬ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হন আবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তিনিই ছিলেন সবচেয়ে কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। ২০১২ সালে তিনি দ্বিতীয়বার জাপানের প্রধানমন্ত্রী হন। অসুস্থতার কারণে ২০২০ সালে তিনি পদত্যাগ করেন। তবে ক্ষমতায় থাকা লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) ওপর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে তাঁর। আবে তাঁর সরকারের অর্থনৈতিক নীতির জন্য সুপরিচিত। পাশাপাশি তিনি প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়িয়ে সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করেছিলেন। 

বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে, শিনজো আবের হত্যার তদন্তে ৯০ সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। হত্যাকারীর বাড়িতে একাধিক হাতে তৈরি বন্দুক পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত চালানো হচ্ছে। 

এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জাপানে বিখ্যাত ব্যক্তিদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জোরেশোরে। দেশটিতে সুপরিচিত রাজনীতিবিদেরা সাধারণত ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি বিভিন্ন র‍্যালি বা সভায় অংশ নিয়ে থাকেন। শিনজো আবের ওপর হামলার পর এ ধরনের কর্মকাণ্ড একেবারেই সীমিত হয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত