আজকের পত্রিকা ডেস্ক

দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া ভয়াবহ দাবানলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৪ জনে দাঁড়িয়েছে। আজ বুধবার একটি অগ্নিনির্বাপণকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে পাইলট নিহত হয়েছে। কয়েক দশকের মধ্যে অন্যতম ভয়াবহ দাবানল মোকাবিলা করছে দক্ষিণ কোরিয়া।
সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এই ভয়াবহ দাবানলের কারণে ২৭ হাজারের বেশি মানুষকে বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নিতে হয়েছে। প্রবল বাতাস ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। পুরো এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ শত শত বন্দীকে কারাগার থেকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান দাক-সু বলেছেন, ‘আমরা এই ভয়াবহ দাবানলের মোকাবিলায় সব ধরনের কর্মী ও সরঞ্জাম মোতায়েন করছি, কিন্তু পরিস্থিতি ভালো নয়।’ তিনি আরও জানান, কোরিয়ায় অবস্থিত মার্কিন সামরিক বাহিনীও সহায়তা করছে।
কোরিয়া ফরেস্ট সার্ভিস জানিয়েছে, দাবানলে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এর আগে নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, ইউসিওং কাউন্টিতে ১৪ জন এবং সানচেওং কাউন্টিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা সন চ্যাং-হো জানান, মৃতদের মধ্যে বেশির ভাগই ষাট ও সত্তরোর্ধ্ব বয়সের মানুষ।
ফরেস্ট সার্ভিস আরও জানায়, আগুন নেভানোর চেষ্টাকালে তাদের একটি অগ্নিনির্বাপক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে এবং পাইলট নিহত হয়েছেন। পাহাড়ি অঞ্চলের কারণে দাবানল মোকাবিলায় হেলিকপ্টারের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এই ঘটনার পর কিছু সময়ের জন্য হেলিকপ্টার চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
ইউসিওং কাউন্টির এই আগুন এখন পর্যন্ত ৬৮ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে ফায়ার সার্ভিস। প্রবল বাতাসের কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে, এর ভয়াবহতা ও গতি ‘অকল্পনীয়’ বলে মন্তব্য করেছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট সায়েন্সের বন দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ লি বিয়ং-দু। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বব্যাপী দাবানলের প্রকোপ বাড়তে পারে। তিনি গত জানুয়ারিতে লস অ্যাঞ্জেলেসের অংশবিশেষ এবং সম্প্রতি উত্তর-পূর্ব জাপানে দাবানলের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি রয়টার্সকে বলেন, ‘আমাদের স্বীকার করতে হবে যে বড় আকারের দাবানল বাড়বে এবং এর জন্য আমাদের আরও সম্পদ ও প্রশিক্ষিত জনবল প্রয়োজন।’
এদিকে কোরিয়া ফরেস্ট সার্ভিস তাদের ৪৮টি রুশ হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে প্রযুক্তিগত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নিষেধাজ্ঞার ফলে যন্ত্রাংশ আমদানি করতে না পারায় গত বছর থেকে আটটি হেলিকপ্টার অচল হয়ে আছে বলে ডেমোক্রেটিক পার্টির একজন আইনপ্রণেতা গত অক্টোবরে জানিয়েছিলেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার আবহাওয়া দপ্তর আগামীকাল বৃহস্পতিবার বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে, তবে দাবানল উপদ্রুত এলাকায় মাত্র ৫ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আজ বুধবার চারটি পৃথক এলাকায় ১০ হাজারের বেশি দমকলকর্মী, শত শত পুলিশ কর্মকর্তা ও সামরিক ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে এবং ৮৭টি হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে।
গত শনিবার আগুন লাগার পর ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান—আন্দং শহরের হাহো গ্রাম এবং বাইয়োংসান কনফুসিয়ান একাডেমি—আজ বুধবার হুমকির মুখে পড়েছে। কর্মকর্তারা জানান, কর্তৃপক্ষ এই স্থানগুলো রক্ষার জন্য আগুন প্রতিরোধক স্প্রে ব্যবহার করছে। আগুনে ইতিমধ্যে ৬৮১ সালে নির্মিত গউন মন্দির পুড়ে গেছে।
সরকার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোকে বিশেষ দুর্যোগ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং জানিয়েছে, আগুনে ১৫ হাজার হেক্টরের বেশি (৩৭ হাজার ৬৫ একর) জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া ভয়াবহ দাবানলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৪ জনে দাঁড়িয়েছে। আজ বুধবার একটি অগ্নিনির্বাপণকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে পাইলট নিহত হয়েছে। কয়েক দশকের মধ্যে অন্যতম ভয়াবহ দাবানল মোকাবিলা করছে দক্ষিণ কোরিয়া।
সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এই ভয়াবহ দাবানলের কারণে ২৭ হাজারের বেশি মানুষকে বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নিতে হয়েছে। প্রবল বাতাস ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। পুরো এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ শত শত বন্দীকে কারাগার থেকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান দাক-সু বলেছেন, ‘আমরা এই ভয়াবহ দাবানলের মোকাবিলায় সব ধরনের কর্মী ও সরঞ্জাম মোতায়েন করছি, কিন্তু পরিস্থিতি ভালো নয়।’ তিনি আরও জানান, কোরিয়ায় অবস্থিত মার্কিন সামরিক বাহিনীও সহায়তা করছে।
কোরিয়া ফরেস্ট সার্ভিস জানিয়েছে, দাবানলে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এর আগে নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, ইউসিওং কাউন্টিতে ১৪ জন এবং সানচেওং কাউন্টিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা সন চ্যাং-হো জানান, মৃতদের মধ্যে বেশির ভাগই ষাট ও সত্তরোর্ধ্ব বয়সের মানুষ।
ফরেস্ট সার্ভিস আরও জানায়, আগুন নেভানোর চেষ্টাকালে তাদের একটি অগ্নিনির্বাপক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে এবং পাইলট নিহত হয়েছেন। পাহাড়ি অঞ্চলের কারণে দাবানল মোকাবিলায় হেলিকপ্টারের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এই ঘটনার পর কিছু সময়ের জন্য হেলিকপ্টার চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
ইউসিওং কাউন্টির এই আগুন এখন পর্যন্ত ৬৮ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে ফায়ার সার্ভিস। প্রবল বাতাসের কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে, এর ভয়াবহতা ও গতি ‘অকল্পনীয়’ বলে মন্তব্য করেছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট সায়েন্সের বন দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ লি বিয়ং-দু। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বব্যাপী দাবানলের প্রকোপ বাড়তে পারে। তিনি গত জানুয়ারিতে লস অ্যাঞ্জেলেসের অংশবিশেষ এবং সম্প্রতি উত্তর-পূর্ব জাপানে দাবানলের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি রয়টার্সকে বলেন, ‘আমাদের স্বীকার করতে হবে যে বড় আকারের দাবানল বাড়বে এবং এর জন্য আমাদের আরও সম্পদ ও প্রশিক্ষিত জনবল প্রয়োজন।’
এদিকে কোরিয়া ফরেস্ট সার্ভিস তাদের ৪৮টি রুশ হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে প্রযুক্তিগত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নিষেধাজ্ঞার ফলে যন্ত্রাংশ আমদানি করতে না পারায় গত বছর থেকে আটটি হেলিকপ্টার অচল হয়ে আছে বলে ডেমোক্রেটিক পার্টির একজন আইনপ্রণেতা গত অক্টোবরে জানিয়েছিলেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার আবহাওয়া দপ্তর আগামীকাল বৃহস্পতিবার বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে, তবে দাবানল উপদ্রুত এলাকায় মাত্র ৫ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আজ বুধবার চারটি পৃথক এলাকায় ১০ হাজারের বেশি দমকলকর্মী, শত শত পুলিশ কর্মকর্তা ও সামরিক ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে এবং ৮৭টি হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে।
গত শনিবার আগুন লাগার পর ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান—আন্দং শহরের হাহো গ্রাম এবং বাইয়োংসান কনফুসিয়ান একাডেমি—আজ বুধবার হুমকির মুখে পড়েছে। কর্মকর্তারা জানান, কর্তৃপক্ষ এই স্থানগুলো রক্ষার জন্য আগুন প্রতিরোধক স্প্রে ব্যবহার করছে। আগুনে ইতিমধ্যে ৬৮১ সালে নির্মিত গউন মন্দির পুড়ে গেছে।
সরকার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোকে বিশেষ দুর্যোগ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং জানিয়েছে, আগুনে ১৫ হাজার হেক্টরের বেশি (৩৭ হাজার ৬৫ একর) জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া ভয়াবহ দাবানলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৪ জনে দাঁড়িয়েছে। আজ বুধবার একটি অগ্নিনির্বাপণকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে পাইলট নিহত হয়েছে। কয়েক দশকের মধ্যে অন্যতম ভয়াবহ দাবানল মোকাবিলা করছে দক্ষিণ কোরিয়া।
সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এই ভয়াবহ দাবানলের কারণে ২৭ হাজারের বেশি মানুষকে বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নিতে হয়েছে। প্রবল বাতাস ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। পুরো এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ শত শত বন্দীকে কারাগার থেকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান দাক-সু বলেছেন, ‘আমরা এই ভয়াবহ দাবানলের মোকাবিলায় সব ধরনের কর্মী ও সরঞ্জাম মোতায়েন করছি, কিন্তু পরিস্থিতি ভালো নয়।’ তিনি আরও জানান, কোরিয়ায় অবস্থিত মার্কিন সামরিক বাহিনীও সহায়তা করছে।
কোরিয়া ফরেস্ট সার্ভিস জানিয়েছে, দাবানলে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এর আগে নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, ইউসিওং কাউন্টিতে ১৪ জন এবং সানচেওং কাউন্টিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা সন চ্যাং-হো জানান, মৃতদের মধ্যে বেশির ভাগই ষাট ও সত্তরোর্ধ্ব বয়সের মানুষ।
ফরেস্ট সার্ভিস আরও জানায়, আগুন নেভানোর চেষ্টাকালে তাদের একটি অগ্নিনির্বাপক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে এবং পাইলট নিহত হয়েছেন। পাহাড়ি অঞ্চলের কারণে দাবানল মোকাবিলায় হেলিকপ্টারের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এই ঘটনার পর কিছু সময়ের জন্য হেলিকপ্টার চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
ইউসিওং কাউন্টির এই আগুন এখন পর্যন্ত ৬৮ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে ফায়ার সার্ভিস। প্রবল বাতাসের কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে, এর ভয়াবহতা ও গতি ‘অকল্পনীয়’ বলে মন্তব্য করেছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট সায়েন্সের বন দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ লি বিয়ং-দু। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বব্যাপী দাবানলের প্রকোপ বাড়তে পারে। তিনি গত জানুয়ারিতে লস অ্যাঞ্জেলেসের অংশবিশেষ এবং সম্প্রতি উত্তর-পূর্ব জাপানে দাবানলের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি রয়টার্সকে বলেন, ‘আমাদের স্বীকার করতে হবে যে বড় আকারের দাবানল বাড়বে এবং এর জন্য আমাদের আরও সম্পদ ও প্রশিক্ষিত জনবল প্রয়োজন।’
এদিকে কোরিয়া ফরেস্ট সার্ভিস তাদের ৪৮টি রুশ হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে প্রযুক্তিগত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নিষেধাজ্ঞার ফলে যন্ত্রাংশ আমদানি করতে না পারায় গত বছর থেকে আটটি হেলিকপ্টার অচল হয়ে আছে বলে ডেমোক্রেটিক পার্টির একজন আইনপ্রণেতা গত অক্টোবরে জানিয়েছিলেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার আবহাওয়া দপ্তর আগামীকাল বৃহস্পতিবার বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে, তবে দাবানল উপদ্রুত এলাকায় মাত্র ৫ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আজ বুধবার চারটি পৃথক এলাকায় ১০ হাজারের বেশি দমকলকর্মী, শত শত পুলিশ কর্মকর্তা ও সামরিক ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে এবং ৮৭টি হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে।
গত শনিবার আগুন লাগার পর ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান—আন্দং শহরের হাহো গ্রাম এবং বাইয়োংসান কনফুসিয়ান একাডেমি—আজ বুধবার হুমকির মুখে পড়েছে। কর্মকর্তারা জানান, কর্তৃপক্ষ এই স্থানগুলো রক্ষার জন্য আগুন প্রতিরোধক স্প্রে ব্যবহার করছে। আগুনে ইতিমধ্যে ৬৮১ সালে নির্মিত গউন মন্দির পুড়ে গেছে।
সরকার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোকে বিশেষ দুর্যোগ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং জানিয়েছে, আগুনে ১৫ হাজার হেক্টরের বেশি (৩৭ হাজার ৬৫ একর) জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া ভয়াবহ দাবানলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৪ জনে দাঁড়িয়েছে। আজ বুধবার একটি অগ্নিনির্বাপণকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে পাইলট নিহত হয়েছে। কয়েক দশকের মধ্যে অন্যতম ভয়াবহ দাবানল মোকাবিলা করছে দক্ষিণ কোরিয়া।
সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এই ভয়াবহ দাবানলের কারণে ২৭ হাজারের বেশি মানুষকে বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নিতে হয়েছে। প্রবল বাতাস ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। পুরো এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ শত শত বন্দীকে কারাগার থেকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান দাক-সু বলেছেন, ‘আমরা এই ভয়াবহ দাবানলের মোকাবিলায় সব ধরনের কর্মী ও সরঞ্জাম মোতায়েন করছি, কিন্তু পরিস্থিতি ভালো নয়।’ তিনি আরও জানান, কোরিয়ায় অবস্থিত মার্কিন সামরিক বাহিনীও সহায়তা করছে।
কোরিয়া ফরেস্ট সার্ভিস জানিয়েছে, দাবানলে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এর আগে নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, ইউসিওং কাউন্টিতে ১৪ জন এবং সানচেওং কাউন্টিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা সন চ্যাং-হো জানান, মৃতদের মধ্যে বেশির ভাগই ষাট ও সত্তরোর্ধ্ব বয়সের মানুষ।
ফরেস্ট সার্ভিস আরও জানায়, আগুন নেভানোর চেষ্টাকালে তাদের একটি অগ্নিনির্বাপক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে এবং পাইলট নিহত হয়েছেন। পাহাড়ি অঞ্চলের কারণে দাবানল মোকাবিলায় হেলিকপ্টারের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এই ঘটনার পর কিছু সময়ের জন্য হেলিকপ্টার চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
ইউসিওং কাউন্টির এই আগুন এখন পর্যন্ত ৬৮ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে ফায়ার সার্ভিস। প্রবল বাতাসের কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে, এর ভয়াবহতা ও গতি ‘অকল্পনীয়’ বলে মন্তব্য করেছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট সায়েন্সের বন দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ লি বিয়ং-দু। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বব্যাপী দাবানলের প্রকোপ বাড়তে পারে। তিনি গত জানুয়ারিতে লস অ্যাঞ্জেলেসের অংশবিশেষ এবং সম্প্রতি উত্তর-পূর্ব জাপানে দাবানলের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি রয়টার্সকে বলেন, ‘আমাদের স্বীকার করতে হবে যে বড় আকারের দাবানল বাড়বে এবং এর জন্য আমাদের আরও সম্পদ ও প্রশিক্ষিত জনবল প্রয়োজন।’
এদিকে কোরিয়া ফরেস্ট সার্ভিস তাদের ৪৮টি রুশ হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে প্রযুক্তিগত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নিষেধাজ্ঞার ফলে যন্ত্রাংশ আমদানি করতে না পারায় গত বছর থেকে আটটি হেলিকপ্টার অচল হয়ে আছে বলে ডেমোক্রেটিক পার্টির একজন আইনপ্রণেতা গত অক্টোবরে জানিয়েছিলেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার আবহাওয়া দপ্তর আগামীকাল বৃহস্পতিবার বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে, তবে দাবানল উপদ্রুত এলাকায় মাত্র ৫ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আজ বুধবার চারটি পৃথক এলাকায় ১০ হাজারের বেশি দমকলকর্মী, শত শত পুলিশ কর্মকর্তা ও সামরিক ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে এবং ৮৭টি হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে।
গত শনিবার আগুন লাগার পর ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান—আন্দং শহরের হাহো গ্রাম এবং বাইয়োংসান কনফুসিয়ান একাডেমি—আজ বুধবার হুমকির মুখে পড়েছে। কর্মকর্তারা জানান, কর্তৃপক্ষ এই স্থানগুলো রক্ষার জন্য আগুন প্রতিরোধক স্প্রে ব্যবহার করছে। আগুনে ইতিমধ্যে ৬৮১ সালে নির্মিত গউন মন্দির পুড়ে গেছে।
সরকার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোকে বিশেষ দুর্যোগ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং জানিয়েছে, আগুনে ১৫ হাজার হেক্টরের বেশি (৩৭ হাজার ৬৫ একর) জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে ১ হাজার ৪০০ টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এর আগে, মার্কিন ফেডারেল সরকার অচলাবস্থার কারণে বিমান চলাচল সীমিত রাখার নির্দেশ দেয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৫ মিনিট আগে
পাকিস্তান সরকার দেশটির সংবিধানে ২৭তম সংশোধনী আনতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে এই বিষয়ক বিল উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে দেশটির বিচারব্যবস্থা ও সামরিক কমান্ড কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তাবও
৪৪ মিনিট আগে
হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার প্রায় এক মাস পরও গাজায় মৃত্যুর মিছিল থামছে না। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে লাশ উদ্ধারের কাজ চলতে থাকায় নতুন করে নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল শনিবার জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬
১ ঘণ্টা আগে
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য জানিয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে ১ হাজার ৪০০ টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এর আগে, মার্কিন ফেডারেল সরকার অচলাবস্থার কারণে বিমান চলাচল সীমিত রাখার নির্দেশ দেয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং সংস্থা ফ্লাইটওয়্যারের তথ্যে জানা যায়, আরও প্রায় ৬ হাজার ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে। শুক্রবার এই সংখ্যা ছিল ৭ হাজারের বেশি। এ সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) জানায়, ৪০টি ব্যস্ত বিমানবন্দরে বিমান চলাচলের সক্ষমতা সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো হবে। কারণ, সরকারের অচলাবস্থায় বেতন না পাওয়া আকাশপথ নিয়ন্ত্রকেরা (এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার) অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব করছেন।
রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটরা এখনো কংগ্রেসে বাজেট নিয়ে তৈরি হওয়া অচলাবস্থা দূর করতে পারছে না। ১ অক্টোবর শুরু হওয়া এ স্থবিরতা চলতে থাকায় রোববার ৩৯ তম দিনে পা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের দীর্ঘতম সরকার অচলাবস্থা। দুই দলের সিনেটররা সপ্তাহান্তে ওয়াশিংটনে থেকে আলোচনায় বসেছেন। তাদের লক্ষ্য সরকার পুনরায় চালুর পথ খোঁজা। কারণ, খাদ্য সহায়তা কমে যাওয়া ও ফ্লাইট বিপর্যয়ে এখন সাধারণ মানুষও প্রভাবিত হচ্ছেন।
শনিবার এক বিবৃতিতে আমেরিকান এয়ারলাইনস ওয়াশিংটনের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানায়, ‘অচলাবস্থা শেষ করতে দ্রুত সমাধানে পৌঁছান।’
নিউজার্সির নিউয়ার্ক লিবার্টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ছিল সবচেয়ে দীর্ঘ অপেক্ষার সময়। শনিবার বিকেলের হিসাব অনুযায়ী, সেখানে আগমনকারী ফ্লাইট গড়ে চার ঘণ্টার বেশি দেরি করছিল, আর প্রস্থানকারী ফ্লাইটের গড় বিলম্ব ছিল দেড় ঘণ্টা। শনিবার সর্বাধিক ফ্লাইট বাতিল হয়েছে নর্থ ক্যারোলিনার শার্লট/ডগলাস আন্তর্জাতিক, নিউয়ার্ক লিবার্টি আন্তর্জাতিক, ও শিকাগোর ও’হেয়ার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
এফএএর তথ্যে দেখা গেছে, নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া ফ্লাইটগুলো গড়ে তিন ঘণ্টা, আটলান্টার হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন বিমানবন্দর থেকে আড়াই ঘণ্টার বেশি এবং লা–গার্ডিয়া বিমানবন্দর থেকে প্রায় এক ঘণ্টা বিলম্বিত হচ্ছিল।
আগামী ২৭ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে থ্যাংকসগিভিং ছুটি। এটি বছরের সবচেয়ে ব্যস্ত ভ্রমণ মৌসুমগুলোর একটি। এবার শুধু বাণিজ্যিক ফ্লাইটই নয়, প্রাইভেট জেটের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। শনিবার এক্সে শেয়ার করা পোস্টে পরিবহন সচিব ডাফি জানান, বড় বিমানবন্দরগুলিতে প্রাইভেট জেটের সংখ্যা কমানো হয়েছে। তাদের এখন ছোট বিমানবন্দর বা রানওয়ে ব্যবহার করতে বলা হয়েছে, যাতে নিয়ন্ত্রকেরা বাণিজ্যিক ফ্লাইটে মনোযোগ দিতে পারেন।
তবে সামনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এফএএ জানিয়েছে, ধীরে ধীরে ফ্লাইট কমানো হবে—শুক্রবার থেকে ৪ শতাংশ, ১১ নভেম্বর ৬ শতাংশ, ১৩ নভেম্বর ৮ শতাংশ এবং ১৪ নভেম্বর থেকে পূর্ণ ১০ শতাংশ কমানো হবে। সংস্থাটি বলেছে, এই সিদ্ধান্ত নিরাপত্তা রক্ষার জন্য জরুরি। কারণ, নিয়ন্ত্রকেরা বেতন ছাড়া কাজ করে অতিরিক্ত চাপের মধ্যে রয়েছেন।
আইনের কারণে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের বেতন ছাড়া কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে। অনেকে অসুস্থতার অজুহাতে ছুটি নিচ্ছেন বা জীবিকা চালাতে দ্বিতীয় চাকরি করছেন। তারা ১৪ লাখ সরকারি কর্মীরই অংশ, যারা কেউ বিনা বেতনে কাজ করছেন, কেউ বাধ্যতামূলক ছুটিতে আছেন। বিমান চলাচলে বিপর্যয়ের আরেক কারণ হলো পরিবহন নিরাপত্তা সংস্থার (টিএসএ) ৬৪ হাজার কর্মীর বেশির ভাগই অচলাবস্থার সময় কোনো বেতন পাচ্ছেন না।
এর আগে, ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় আগের সরকার অচলাবস্থায় দেখা গিয়েছিল, টিএসএ কর্মীদের প্রায় ১০ শতাংশ বিনা বেতনে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে ১ হাজার ৪০০ টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এর আগে, মার্কিন ফেডারেল সরকার অচলাবস্থার কারণে বিমান চলাচল সীমিত রাখার নির্দেশ দেয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং সংস্থা ফ্লাইটওয়্যারের তথ্যে জানা যায়, আরও প্রায় ৬ হাজার ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে। শুক্রবার এই সংখ্যা ছিল ৭ হাজারের বেশি। এ সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) জানায়, ৪০টি ব্যস্ত বিমানবন্দরে বিমান চলাচলের সক্ষমতা সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো হবে। কারণ, সরকারের অচলাবস্থায় বেতন না পাওয়া আকাশপথ নিয়ন্ত্রকেরা (এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার) অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব করছেন।
রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটরা এখনো কংগ্রেসে বাজেট নিয়ে তৈরি হওয়া অচলাবস্থা দূর করতে পারছে না। ১ অক্টোবর শুরু হওয়া এ স্থবিরতা চলতে থাকায় রোববার ৩৯ তম দিনে পা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের দীর্ঘতম সরকার অচলাবস্থা। দুই দলের সিনেটররা সপ্তাহান্তে ওয়াশিংটনে থেকে আলোচনায় বসেছেন। তাদের লক্ষ্য সরকার পুনরায় চালুর পথ খোঁজা। কারণ, খাদ্য সহায়তা কমে যাওয়া ও ফ্লাইট বিপর্যয়ে এখন সাধারণ মানুষও প্রভাবিত হচ্ছেন।
শনিবার এক বিবৃতিতে আমেরিকান এয়ারলাইনস ওয়াশিংটনের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানায়, ‘অচলাবস্থা শেষ করতে দ্রুত সমাধানে পৌঁছান।’
নিউজার্সির নিউয়ার্ক লিবার্টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ছিল সবচেয়ে দীর্ঘ অপেক্ষার সময়। শনিবার বিকেলের হিসাব অনুযায়ী, সেখানে আগমনকারী ফ্লাইট গড়ে চার ঘণ্টার বেশি দেরি করছিল, আর প্রস্থানকারী ফ্লাইটের গড় বিলম্ব ছিল দেড় ঘণ্টা। শনিবার সর্বাধিক ফ্লাইট বাতিল হয়েছে নর্থ ক্যারোলিনার শার্লট/ডগলাস আন্তর্জাতিক, নিউয়ার্ক লিবার্টি আন্তর্জাতিক, ও শিকাগোর ও’হেয়ার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
এফএএর তথ্যে দেখা গেছে, নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া ফ্লাইটগুলো গড়ে তিন ঘণ্টা, আটলান্টার হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন বিমানবন্দর থেকে আড়াই ঘণ্টার বেশি এবং লা–গার্ডিয়া বিমানবন্দর থেকে প্রায় এক ঘণ্টা বিলম্বিত হচ্ছিল।
আগামী ২৭ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে থ্যাংকসগিভিং ছুটি। এটি বছরের সবচেয়ে ব্যস্ত ভ্রমণ মৌসুমগুলোর একটি। এবার শুধু বাণিজ্যিক ফ্লাইটই নয়, প্রাইভেট জেটের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। শনিবার এক্সে শেয়ার করা পোস্টে পরিবহন সচিব ডাফি জানান, বড় বিমানবন্দরগুলিতে প্রাইভেট জেটের সংখ্যা কমানো হয়েছে। তাদের এখন ছোট বিমানবন্দর বা রানওয়ে ব্যবহার করতে বলা হয়েছে, যাতে নিয়ন্ত্রকেরা বাণিজ্যিক ফ্লাইটে মনোযোগ দিতে পারেন।
তবে সামনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এফএএ জানিয়েছে, ধীরে ধীরে ফ্লাইট কমানো হবে—শুক্রবার থেকে ৪ শতাংশ, ১১ নভেম্বর ৬ শতাংশ, ১৩ নভেম্বর ৮ শতাংশ এবং ১৪ নভেম্বর থেকে পূর্ণ ১০ শতাংশ কমানো হবে। সংস্থাটি বলেছে, এই সিদ্ধান্ত নিরাপত্তা রক্ষার জন্য জরুরি। কারণ, নিয়ন্ত্রকেরা বেতন ছাড়া কাজ করে অতিরিক্ত চাপের মধ্যে রয়েছেন।
আইনের কারণে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের বেতন ছাড়া কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে। অনেকে অসুস্থতার অজুহাতে ছুটি নিচ্ছেন বা জীবিকা চালাতে দ্বিতীয় চাকরি করছেন। তারা ১৪ লাখ সরকারি কর্মীরই অংশ, যারা কেউ বিনা বেতনে কাজ করছেন, কেউ বাধ্যতামূলক ছুটিতে আছেন। বিমান চলাচলে বিপর্যয়ের আরেক কারণ হলো পরিবহন নিরাপত্তা সংস্থার (টিএসএ) ৬৪ হাজার কর্মীর বেশির ভাগই অচলাবস্থার সময় কোনো বেতন পাচ্ছেন না।
এর আগে, ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় আগের সরকার অচলাবস্থায় দেখা গিয়েছিল, টিএসএ কর্মীদের প্রায় ১০ শতাংশ বিনা বেতনে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।

দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এই ভয়াবহ দাবানলের কারণে ২৭ হাজারের বেশি মানুষকে বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নিতে হয়েছে। প্রবল বাতাস ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। পুরো এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ শত শত বন্দীকে কারাগার থেকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে।
২৬ মার্চ ২০২৫
পাকিস্তান সরকার দেশটির সংবিধানে ২৭তম সংশোধনী আনতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে এই বিষয়ক বিল উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে দেশটির বিচারব্যবস্থা ও সামরিক কমান্ড কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তাবও
৪৪ মিনিট আগে
হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার প্রায় এক মাস পরও গাজায় মৃত্যুর মিছিল থামছে না। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে লাশ উদ্ধারের কাজ চলতে থাকায় নতুন করে নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল শনিবার জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬
১ ঘণ্টা আগে
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য জানিয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তান সরকার দেশটির সংবিধানে ২৭তম সংশোধনী আনতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে এই বিষয়ক বিল উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে দেশটির বিচারব্যবস্থা ও সামরিক কমান্ড কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আজারবাইজান থেকে ভার্চুয়ালি মন্ত্রিসভা বৈঠক পরিচালনা করে ২৭তম সংবিধান সংশোধনী খসড়ায় অনুমোদন দেন। এরপরই বিলটি সিনেটে উত্থাপন করা হয় এবং তা পাঠানো হয় আইন ও বিচারবিষয়ক স্থায়ী কমিটিতে।
আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার বিলটি উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ২৭তম সংশোধনী আসলে ২০০৬ সালে পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘চার্টার অব ডেমোক্রেসির’ অংশ। কিন্তু ১৮তম সংশোধনীর সময় তা সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি।
সংশোধনী প্রস্তাব অনুযায়ী, সংবিধানের ২৪৩ ধারা, যেখানে বলা হয়েছে ‘সশস্ত্র বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ ও কমান্ড ফেডারেল সরকারের হাতে থাকবে’ এবং ‘সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হবেন রাষ্ট্রপতি’-এ কিছু পরিবর্তন আনা হবে। খসড়া অনুযায়ী, সশস্ত্র বাহিনীর ‘চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটি’ (CJCSC) পদটি বাতিল করে নতুন একটি পদ তৈরি করা হবে ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস।’
এ ছাড়া বিলটিতে বলা হয়েছে, সেনা কর্মকর্তা বা বিমান ও নৌবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের দেওয়া সম্মানসূচক উপাধি; যেমন ফিল্ড মার্শাল, মার্শাল অব দ্য এয়ার ফোর্স ও অ্যাডমিরাল অব দ্য ফ্লিট—আজীবন বহাল থাকবে। আইনমন্ত্রী বলেন, এসব উপাধি বাতিল করার ক্ষমতা শুধু পার্লামেন্টের হাতে থাকবে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেসের সুপারিশে পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে একজন কর্মকর্তাকে ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ দেবেন।
সংশোধনীর আরেকটি বড় প্রস্তাব হলো, একটি নতুন আদালত গঠন—ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্ট। এই আদালত প্রতিষ্ঠিত হলে সুপ্রিম কোর্টের কিছু ক্ষমতা কমে যাবে। খসড়ায় বলা হয়েছে, সংবিধানের কিছু বিশেষ এখতিয়ার সুপ্রিম কোর্ট থেকে সরিয়ে নতুন ফেডারেল সংবিধান আদালতে স্থানান্তর করা হবে।
বিচারপতি নিয়োগে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। পাশাপাশি নতুন আদালতে বিচারপতির সংখ্যা নির্ধারণের ক্ষমতা থাকবে পার্লামেন্টের হাতে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ফেডারেল সংবিধান আদালতে দেশের সব প্রদেশের সমান প্রতিনিধিত্ব থাকবে। এই আদালতের প্রধান বিচারপতির মেয়াদ হবে তিন বছর।
২৭তম সংবিধান সংশোধনীর প্রধান বিষয়গুলো

পাকিস্তান সরকার দেশটির সংবিধানে ২৭তম সংশোধনী আনতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে এই বিষয়ক বিল উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে দেশটির বিচারব্যবস্থা ও সামরিক কমান্ড কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আজারবাইজান থেকে ভার্চুয়ালি মন্ত্রিসভা বৈঠক পরিচালনা করে ২৭তম সংবিধান সংশোধনী খসড়ায় অনুমোদন দেন। এরপরই বিলটি সিনেটে উত্থাপন করা হয় এবং তা পাঠানো হয় আইন ও বিচারবিষয়ক স্থায়ী কমিটিতে।
আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার বিলটি উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ২৭তম সংশোধনী আসলে ২০০৬ সালে পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘চার্টার অব ডেমোক্রেসির’ অংশ। কিন্তু ১৮তম সংশোধনীর সময় তা সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি।
সংশোধনী প্রস্তাব অনুযায়ী, সংবিধানের ২৪৩ ধারা, যেখানে বলা হয়েছে ‘সশস্ত্র বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ ও কমান্ড ফেডারেল সরকারের হাতে থাকবে’ এবং ‘সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হবেন রাষ্ট্রপতি’-এ কিছু পরিবর্তন আনা হবে। খসড়া অনুযায়ী, সশস্ত্র বাহিনীর ‘চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটি’ (CJCSC) পদটি বাতিল করে নতুন একটি পদ তৈরি করা হবে ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস।’
এ ছাড়া বিলটিতে বলা হয়েছে, সেনা কর্মকর্তা বা বিমান ও নৌবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের দেওয়া সম্মানসূচক উপাধি; যেমন ফিল্ড মার্শাল, মার্শাল অব দ্য এয়ার ফোর্স ও অ্যাডমিরাল অব দ্য ফ্লিট—আজীবন বহাল থাকবে। আইনমন্ত্রী বলেন, এসব উপাধি বাতিল করার ক্ষমতা শুধু পার্লামেন্টের হাতে থাকবে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেসের সুপারিশে পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে একজন কর্মকর্তাকে ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ দেবেন।
সংশোধনীর আরেকটি বড় প্রস্তাব হলো, একটি নতুন আদালত গঠন—ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্ট। এই আদালত প্রতিষ্ঠিত হলে সুপ্রিম কোর্টের কিছু ক্ষমতা কমে যাবে। খসড়ায় বলা হয়েছে, সংবিধানের কিছু বিশেষ এখতিয়ার সুপ্রিম কোর্ট থেকে সরিয়ে নতুন ফেডারেল সংবিধান আদালতে স্থানান্তর করা হবে।
বিচারপতি নিয়োগে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। পাশাপাশি নতুন আদালতে বিচারপতির সংখ্যা নির্ধারণের ক্ষমতা থাকবে পার্লামেন্টের হাতে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ফেডারেল সংবিধান আদালতে দেশের সব প্রদেশের সমান প্রতিনিধিত্ব থাকবে। এই আদালতের প্রধান বিচারপতির মেয়াদ হবে তিন বছর।
২৭তম সংবিধান সংশোধনীর প্রধান বিষয়গুলো

দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এই ভয়াবহ দাবানলের কারণে ২৭ হাজারের বেশি মানুষকে বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নিতে হয়েছে। প্রবল বাতাস ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। পুরো এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ শত শত বন্দীকে কারাগার থেকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে।
২৬ মার্চ ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে ১ হাজার ৪০০ টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এর আগে, মার্কিন ফেডারেল সরকার অচলাবস্থার কারণে বিমান চলাচল সীমিত রাখার নির্দেশ দেয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৫ মিনিট আগে
হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার প্রায় এক মাস পরও গাজায় মৃত্যুর মিছিল থামছে না। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে লাশ উদ্ধারের কাজ চলতে থাকায় নতুন করে নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল শনিবার জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬
১ ঘণ্টা আগে
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য জানিয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার প্রায় এক মাস পরও গাজায় মৃত্যুর মিছিল থামছে না। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে লাশ উদ্ধারের কাজ চলতে থাকায় নতুন করে নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল শনিবার জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯ হাজার ১৬৯ জনে। নতুন করে কিছু লাশ উদ্ধার ও পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় এই সংখ্যা বেড়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর গত এক মাসে ইসরায়েলি হামলায় আরও ২৪০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। শনিবারও নতুন হত্যাকাণ্ডের খবর মিলেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে ‘হলুদ রেখা’ পেরিয়ে সেনাদের কাছে পৌঁছে যাওয়া এক ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
এই ‘হলুদ রেখা’ হচ্ছে সেই সীমারেখা, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েলি বাহিনী পিছু হটতে রাজি হয়েছিল। ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলেও আরেক ফিলিস্তিনি ওই রেখা পেরিয়ে তাদের সেনাদের ওপর ‘তাৎক্ষণিক হুমকি’ তৈরি করায় তাকেও হত্যা করা হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনারা এখনো সীমারেখার কাছে যাওয়া সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে। পরিবারগুলো এতে হতাহত হচ্ছে। গাজার খান ইউনিস শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর ফেলে যাওয়া বিস্ফোরক বিস্ফোরিত হয়ে এক ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে নাসের হাসপাতাল।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) রাফাহ সীমান্ত আবার খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে আহত ও অসুস্থদের চিকিৎসার জন্য বাইরে পাঠানো যায়। ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার ফিলিস্তিনি রোগী রাফাহ হয়ে মিসর ও অন্যান্য দেশে গেছেন চিকিৎসার জন্য। তবে আরও প্রায় ১৬ হাজার ৫০০ রোগী চিকিৎসার অপেক্ষায় আছে।
সংস্থাটি বলেছে, ‘রাফাহ সীমান্ত গাজার চিকিৎসা সরবরাহ প্রবেশ ও রোগীদের বেরিয়ে যাওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পথ। জরুরি চিকিৎসা নেওয়ার জন্য মিসর এখনো অন্যতম প্রধান গন্তব্য।’
এদিকে দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনাদের অভিযান ও দখলদার ইসরায়েলি বসতকারীদের হামলা অব্যাহত আছে। অভিযোগ উঠেছে, ফিলিস্তিনিদের ভূমি দখল করে অবৈধ ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যেই এসব হামলা চলছে। শনিবার নাবলুসের দক্ষিণে বেইতা শহরে অলিভ তুলতে যাওয়া ফিলিস্তিনি কৃষক, কর্মী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায় একদল ইসরায়েলি বসতকারী।
ইসরায়েলি বর্ণবৈষম্যবিরোধী কর্মী জোনাথন পোলাক আল জাজিরাকে বলেন, তিনি ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে জলপাই তুলতে গিয়েছিলেন। তখন ডজনখানেক মুখোশধারী ইসরায়েলি বসতকারী লাঠি নিয়ে পাহাড় থেকে নেমে এসে তাদের দিকে বিশাল পাথর ছুড়ে মারে। পোলাক আরও বলেন, ‘ওরা পাথর ছুড়তে শুরু করলে আমরা প্রাণ বাঁচাতে দৌড় দিই।’
জোনাথন পোলাক জানান, হামলায় অন্তত ডজনখানেক মানুষ আহত হয়েছে, যাদের চিকিৎসা নিতে হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন সাংবাদিক গুরুতরভাবে মার খেয়েছেন, আর ৭০ বছর বয়সী এক কর্মীর গাল ও চোয়ালের হাড় ভেঙে গেছে।
ফিলিস্তিনি সাংবাদিক ইউনিয়ন জানিয়েছে, হামলায় পাঁচ সাংবাদিক আহত হয়েছেন—রানিন সাওয়াফতে, মোহাম্মদ আল-আত্রাশ, লুয়াই সাঈদ, নাসের ইশতাইয়েহ ও নাঈল বুয়াইতেল। সংগঠনটি হামলাটিকে ‘সাংবাদিকদের হত্যার উদ্দেশ্যে চালানো যুদ্ধাপরাধ’ বলে অভিহিত করেছে। রয়টার্স জানিয়েছে, তাদের দুই কর্মী—একজন সাংবাদিক ও তার সঙ্গে থাকা নিরাপত্তা উপদেষ্টা এই হামলায় আহত হয়েছেন।

হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার প্রায় এক মাস পরও গাজায় মৃত্যুর মিছিল থামছে না। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে লাশ উদ্ধারের কাজ চলতে থাকায় নতুন করে নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল শনিবার জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯ হাজার ১৬৯ জনে। নতুন করে কিছু লাশ উদ্ধার ও পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় এই সংখ্যা বেড়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর গত এক মাসে ইসরায়েলি হামলায় আরও ২৪০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। শনিবারও নতুন হত্যাকাণ্ডের খবর মিলেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে ‘হলুদ রেখা’ পেরিয়ে সেনাদের কাছে পৌঁছে যাওয়া এক ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
এই ‘হলুদ রেখা’ হচ্ছে সেই সীমারেখা, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েলি বাহিনী পিছু হটতে রাজি হয়েছিল। ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলেও আরেক ফিলিস্তিনি ওই রেখা পেরিয়ে তাদের সেনাদের ওপর ‘তাৎক্ষণিক হুমকি’ তৈরি করায় তাকেও হত্যা করা হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনারা এখনো সীমারেখার কাছে যাওয়া সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে। পরিবারগুলো এতে হতাহত হচ্ছে। গাজার খান ইউনিস শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর ফেলে যাওয়া বিস্ফোরক বিস্ফোরিত হয়ে এক ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে নাসের হাসপাতাল।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) রাফাহ সীমান্ত আবার খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে আহত ও অসুস্থদের চিকিৎসার জন্য বাইরে পাঠানো যায়। ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার ফিলিস্তিনি রোগী রাফাহ হয়ে মিসর ও অন্যান্য দেশে গেছেন চিকিৎসার জন্য। তবে আরও প্রায় ১৬ হাজার ৫০০ রোগী চিকিৎসার অপেক্ষায় আছে।
সংস্থাটি বলেছে, ‘রাফাহ সীমান্ত গাজার চিকিৎসা সরবরাহ প্রবেশ ও রোগীদের বেরিয়ে যাওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পথ। জরুরি চিকিৎসা নেওয়ার জন্য মিসর এখনো অন্যতম প্রধান গন্তব্য।’
এদিকে দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনাদের অভিযান ও দখলদার ইসরায়েলি বসতকারীদের হামলা অব্যাহত আছে। অভিযোগ উঠেছে, ফিলিস্তিনিদের ভূমি দখল করে অবৈধ ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যেই এসব হামলা চলছে। শনিবার নাবলুসের দক্ষিণে বেইতা শহরে অলিভ তুলতে যাওয়া ফিলিস্তিনি কৃষক, কর্মী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায় একদল ইসরায়েলি বসতকারী।
ইসরায়েলি বর্ণবৈষম্যবিরোধী কর্মী জোনাথন পোলাক আল জাজিরাকে বলেন, তিনি ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে জলপাই তুলতে গিয়েছিলেন। তখন ডজনখানেক মুখোশধারী ইসরায়েলি বসতকারী লাঠি নিয়ে পাহাড় থেকে নেমে এসে তাদের দিকে বিশাল পাথর ছুড়ে মারে। পোলাক আরও বলেন, ‘ওরা পাথর ছুড়তে শুরু করলে আমরা প্রাণ বাঁচাতে দৌড় দিই।’
জোনাথন পোলাক জানান, হামলায় অন্তত ডজনখানেক মানুষ আহত হয়েছে, যাদের চিকিৎসা নিতে হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন সাংবাদিক গুরুতরভাবে মার খেয়েছেন, আর ৭০ বছর বয়সী এক কর্মীর গাল ও চোয়ালের হাড় ভেঙে গেছে।
ফিলিস্তিনি সাংবাদিক ইউনিয়ন জানিয়েছে, হামলায় পাঁচ সাংবাদিক আহত হয়েছেন—রানিন সাওয়াফতে, মোহাম্মদ আল-আত্রাশ, লুয়াই সাঈদ, নাসের ইশতাইয়েহ ও নাঈল বুয়াইতেল। সংগঠনটি হামলাটিকে ‘সাংবাদিকদের হত্যার উদ্দেশ্যে চালানো যুদ্ধাপরাধ’ বলে অভিহিত করেছে। রয়টার্স জানিয়েছে, তাদের দুই কর্মী—একজন সাংবাদিক ও তার সঙ্গে থাকা নিরাপত্তা উপদেষ্টা এই হামলায় আহত হয়েছেন।

দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এই ভয়াবহ দাবানলের কারণে ২৭ হাজারের বেশি মানুষকে বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নিতে হয়েছে। প্রবল বাতাস ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। পুরো এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ শত শত বন্দীকে কারাগার থেকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে।
২৬ মার্চ ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে ১ হাজার ৪০০ টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এর আগে, মার্কিন ফেডারেল সরকার অচলাবস্থার কারণে বিমান চলাচল সীমিত রাখার নির্দেশ দেয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৫ মিনিট আগে
পাকিস্তান সরকার দেশটির সংবিধানে ২৭তম সংশোধনী আনতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে এই বিষয়ক বিল উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে দেশটির বিচারব্যবস্থা ও সামরিক কমান্ড কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তাবও
৪৪ মিনিট আগে
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য জানিয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য জানিয়েছে।
লাভরভ বলেন, ‘৫ নভেম্বর নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে প্রেসিডেন্ট পুতিন যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নের কাজ চলছে। ফলাফল সম্পর্কে জনসাধারণকে পরে জানানো হবে।’
তাসের প্রতিবেদনে বলা হয়, পুতিনের এই নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক ঘোষণার পর আসে। গত সপ্তাহে ট্রাম্প হঠাৎ ঘোষণা দেন, যুক্তরাষ্ট্র আবারও পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা শুরু করবে।
লাভরভ আরও জানান, রাশিয়া এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ট্রাম্পের এই নির্দেশনা নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা পায়নি।
গত কয়েক সপ্তাহে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক মারাত্মকভাবে খারাপ হয়েছে। নির্বাচনের আগে ট্রাম্প এক দিনে ইউক্রেন যুদ্ধ থামাবেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ফলাফল না আসায় তিনি পুতিনের কর্মকাণ্ডে বারবার হতাশ হয়েছেন। এর ফলে সম্প্রতি পুতিনের সঙ্গে নির্ধারিত একটি বৈঠক বাতিল করেছেন এবং জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর প্রথমবারের মতো রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন।

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য জানিয়েছে।
লাভরভ বলেন, ‘৫ নভেম্বর নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে প্রেসিডেন্ট পুতিন যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নের কাজ চলছে। ফলাফল সম্পর্কে জনসাধারণকে পরে জানানো হবে।’
তাসের প্রতিবেদনে বলা হয়, পুতিনের এই নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক ঘোষণার পর আসে। গত সপ্তাহে ট্রাম্প হঠাৎ ঘোষণা দেন, যুক্তরাষ্ট্র আবারও পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা শুরু করবে।
লাভরভ আরও জানান, রাশিয়া এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ট্রাম্পের এই নির্দেশনা নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা পায়নি।
গত কয়েক সপ্তাহে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক মারাত্মকভাবে খারাপ হয়েছে। নির্বাচনের আগে ট্রাম্প এক দিনে ইউক্রেন যুদ্ধ থামাবেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ফলাফল না আসায় তিনি পুতিনের কর্মকাণ্ডে বারবার হতাশ হয়েছেন। এর ফলে সম্প্রতি পুতিনের সঙ্গে নির্ধারিত একটি বৈঠক বাতিল করেছেন এবং জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর প্রথমবারের মতো রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন।

দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এই ভয়াবহ দাবানলের কারণে ২৭ হাজারের বেশি মানুষকে বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নিতে হয়েছে। প্রবল বাতাস ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। পুরো এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ শত শত বন্দীকে কারাগার থেকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে।
২৬ মার্চ ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে ১ হাজার ৪০০ টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এর আগে, মার্কিন ফেডারেল সরকার অচলাবস্থার কারণে বিমান চলাচল সীমিত রাখার নির্দেশ দেয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৫ মিনিট আগে
পাকিস্তান সরকার দেশটির সংবিধানে ২৭তম সংশোধনী আনতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে এই বিষয়ক বিল উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে দেশটির বিচারব্যবস্থা ও সামরিক কমান্ড কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তাবও
৪৪ মিনিট আগে
হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার প্রায় এক মাস পরও গাজায় মৃত্যুর মিছিল থামছে না। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে লাশ উদ্ধারের কাজ চলতে থাকায় নতুন করে নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল শনিবার জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬
১ ঘণ্টা আগে