আজকের পত্রিকা ডেস্ক

দক্ষিণ কোরিয়ায় একজনের পরিবার বা একা বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা প্রথমবারের মতো এক কোটির সীমা অতিক্রম করেছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, মোট ২ কোটি ৪১ লাখ পরিবারের মধ্যে প্রায় ১ কোটি ১২ লাখই একজনের পরিবার। অর্থাৎ দেশটির ৪২ শতাংশ মানুষ এখন একা থাকছেন, যা ২০২০ সালে ছিল ৩৯ দশমিক ২ শতাংশ।
বিশ্লেষকদের মধ্যে এই অবস্থাটি শুধু জনসংখ্যাগত পরিবর্তন নয়, বরং দেশটির জন্মহার ও বিয়ের হার কমে যাওয়া এবং বয়স্ক জনগোষ্ঠীর দ্রুত বৃদ্ধির প্রতিফলন। ২০২০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার জনসংখ্যা ছিল ৫ কোটি ১৮ লাখ, ২০২৪ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ১২ লাখে। এ নিয়ে টানা পাঁচ বছর দেশটির জনসংখ্যা কমছে।
‘স্ট্যাটিসটিকস কোরিয়া’-এর তথ্যে দেখা গেছে, দেশটিতে এমন অন্তত ৫৬ লাখ পরিবার রয়েছে, যে পরিবারের সদস্যদের বয়স ৬৫ বা তারও বেশি। এর মধ্যে ২১ লাখেরও বেশি প্রবীণ একা থাকেন। শুধু এক বছরে এর হার বেড়েছে ৩৭ শতাংশের বেশি। অন্যদিকে তরুণেরাও একা থাকার পথ বেছে নিচ্ছেন।
বর্তমানে একজনের পরিবারগুলোর মধ্যে ৩২ লাখ মানুষের বয়স ২০ ও ৩০-এর কোঠায়। আর ৩৮ লাখ মানুষই ষাটোর্ধ্ব। দেশটির রাজধানী সিউলে একা বসবাসকারীর হার ২০১৫ সালের ২৯ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৩ সালে ৩৯ দশমিক ৩ শতাংশে পৌঁছেছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ প্রবণতা দক্ষিণ কোরিয়ার আবাসন বাজারেও বড় প্রভাব ফেলছে। আগে যেখানে মূলত ক্রয়যোগ্য অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ হতো, এখন ভাড়াভিত্তিক ছোট আকারের আবাসনের চাহিদা বাড়ছে। এর সুযোগ নিতে অস্ট্রেলিয়ার ‘দ্য লিভিং কোম্পানি’ ও যুক্তরাষ্ট্রের ‘গ্রেস্টার’ এর মতো বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান সিউলে বিনিয়োগ শুরু করেছে। এ ক্ষেত্রে ছোট ফ্ল্যাট ও ‘অফিসটেল’—যেখানে বসবাস ও কাজের সুবিধা একসঙ্গে থাকে—এমন আবাসন ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
তবে এ জনসংখ্যাগত পরিবর্তনের সামাজিক প্রভাবও উদ্বেগজনক। ২০২২ সালে সিউল ইনস্টিটিউটের জরিপে দেখা যায়, একজনের পরিবারের ৬২ শতাংশ মানুষ একাকিত্ব অনুভব করেন। শহরটিতে ১ লাখ ৩০ হাজার তরুণ সামাজিকভাবে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন। আরও ভয়াবহ হলো, ২০২৩ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় ৩ হাজার ৬০০-এর বেশি ‘লোনলি ডেথ’ বা নিঃসঙ্গ মৃত্যুর ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে।
এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সিউল শহর কর্তৃপক্ষ গত বছর ‘লোনলিনেস ফ্রি সিউল’ নামে একটি পাঁচ বছর মেয়াদি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। শহরটির মেয়র সে-হুন বলেন, একাকিত্ব ও বিচ্ছিন্নতা শুধু ব্যক্তিগত নয়, এটি সামাজিক সমস্যা। এটি সমাধানে প্রশাসনিক সব সম্পদ কাজে লাগানো হবে।
এ ছাড়া ২০২৩ সালে লিঙ্গ সমতা ও পরিবার মন্ত্রণালয় বিচ্ছিন্ন তরুণ-তরুণীদের জন্য মাসিক ৬ লাখ ৫০ হাজার উন (প্রায় ৫৭ হাজার টাকা) পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে, যাতে তাঁদের মানসিক ও সামাজিক স্থিতি ফিরিয়ে আনা যায়।

দক্ষিণ কোরিয়ায় একজনের পরিবার বা একা বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা প্রথমবারের মতো এক কোটির সীমা অতিক্রম করেছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, মোট ২ কোটি ৪১ লাখ পরিবারের মধ্যে প্রায় ১ কোটি ১২ লাখই একজনের পরিবার। অর্থাৎ দেশটির ৪২ শতাংশ মানুষ এখন একা থাকছেন, যা ২০২০ সালে ছিল ৩৯ দশমিক ২ শতাংশ।
বিশ্লেষকদের মধ্যে এই অবস্থাটি শুধু জনসংখ্যাগত পরিবর্তন নয়, বরং দেশটির জন্মহার ও বিয়ের হার কমে যাওয়া এবং বয়স্ক জনগোষ্ঠীর দ্রুত বৃদ্ধির প্রতিফলন। ২০২০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার জনসংখ্যা ছিল ৫ কোটি ১৮ লাখ, ২০২৪ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ১২ লাখে। এ নিয়ে টানা পাঁচ বছর দেশটির জনসংখ্যা কমছে।
‘স্ট্যাটিসটিকস কোরিয়া’-এর তথ্যে দেখা গেছে, দেশটিতে এমন অন্তত ৫৬ লাখ পরিবার রয়েছে, যে পরিবারের সদস্যদের বয়স ৬৫ বা তারও বেশি। এর মধ্যে ২১ লাখেরও বেশি প্রবীণ একা থাকেন। শুধু এক বছরে এর হার বেড়েছে ৩৭ শতাংশের বেশি। অন্যদিকে তরুণেরাও একা থাকার পথ বেছে নিচ্ছেন।
বর্তমানে একজনের পরিবারগুলোর মধ্যে ৩২ লাখ মানুষের বয়স ২০ ও ৩০-এর কোঠায়। আর ৩৮ লাখ মানুষই ষাটোর্ধ্ব। দেশটির রাজধানী সিউলে একা বসবাসকারীর হার ২০১৫ সালের ২৯ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৩ সালে ৩৯ দশমিক ৩ শতাংশে পৌঁছেছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ প্রবণতা দক্ষিণ কোরিয়ার আবাসন বাজারেও বড় প্রভাব ফেলছে। আগে যেখানে মূলত ক্রয়যোগ্য অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ হতো, এখন ভাড়াভিত্তিক ছোট আকারের আবাসনের চাহিদা বাড়ছে। এর সুযোগ নিতে অস্ট্রেলিয়ার ‘দ্য লিভিং কোম্পানি’ ও যুক্তরাষ্ট্রের ‘গ্রেস্টার’ এর মতো বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান সিউলে বিনিয়োগ শুরু করেছে। এ ক্ষেত্রে ছোট ফ্ল্যাট ও ‘অফিসটেল’—যেখানে বসবাস ও কাজের সুবিধা একসঙ্গে থাকে—এমন আবাসন ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
তবে এ জনসংখ্যাগত পরিবর্তনের সামাজিক প্রভাবও উদ্বেগজনক। ২০২২ সালে সিউল ইনস্টিটিউটের জরিপে দেখা যায়, একজনের পরিবারের ৬২ শতাংশ মানুষ একাকিত্ব অনুভব করেন। শহরটিতে ১ লাখ ৩০ হাজার তরুণ সামাজিকভাবে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন। আরও ভয়াবহ হলো, ২০২৩ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় ৩ হাজার ৬০০-এর বেশি ‘লোনলি ডেথ’ বা নিঃসঙ্গ মৃত্যুর ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে।
এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সিউল শহর কর্তৃপক্ষ গত বছর ‘লোনলিনেস ফ্রি সিউল’ নামে একটি পাঁচ বছর মেয়াদি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। শহরটির মেয়র সে-হুন বলেন, একাকিত্ব ও বিচ্ছিন্নতা শুধু ব্যক্তিগত নয়, এটি সামাজিক সমস্যা। এটি সমাধানে প্রশাসনিক সব সম্পদ কাজে লাগানো হবে।
এ ছাড়া ২০২৩ সালে লিঙ্গ সমতা ও পরিবার মন্ত্রণালয় বিচ্ছিন্ন তরুণ-তরুণীদের জন্য মাসিক ৬ লাখ ৫০ হাজার উন (প্রায় ৫৭ হাজার টাকা) পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে, যাতে তাঁদের মানসিক ও সামাজিক স্থিতি ফিরিয়ে আনা যায়।

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। আগাম ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) প্রায় ৫০ লাখ নিবন্ধিত ভোটার শহরের পরবর্তী মেয়র নির্বাচনে ভোট দেবেন। তবে চূড়ান্ত ভোট গ্রহণের আগে বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জোহরান মামদানি এগিয়ে আছেন।
১২ মিনিট আগে
হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ইসরায়েল পাঁচ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে। এতে গাজায় পরিবারগুলোর মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। এ ছাড়া দখলদার দেশটি ৪৫ ফিলিস্তিনি বন্দীর মরদেহও ফেরত দিয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৩৮ মিনিট আগে
ট্রাম্প নিজে নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকায় বেড়ে উঠেছেন। যদিও তিনি একজন রিপাবলিকান, সাক্ষাৎকারে কার্যত তিনি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোকেই সমর্থন দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি কুমোর ভক্ত নই, তবে যদি খারাপ এক ডেমোক্র্যাট আর এক কমিউনিস্টের মধ্যে বেছে নিতে হয়, তাহলে আমি সব সময় খারাপ ডেমোক্র্যাটকেই বেছে ন
৯ ঘণ্টা আগে
২০২৪ সালে দেশটিতে অন্তত ৩১ জন নারীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে; যা গত ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত ৩০ জন নারীকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। এসব নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, তাঁরা তাঁদের স্বামীকে হত্যা করেছেন।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। আগাম ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) প্রায় ৫০ লাখ নিবন্ধিত ভোটার শহরের পরবর্তী মেয়র নির্বাচনে ভোট দেবেন। তবে চূড়ান্ত ভোট গ্রহণের আগে বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জোহরান মামদানি এগিয়ে আছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, নিউইয়র্ক সিটি বোর্ড অব ইলেকশনের তথ্য অনুযায়ী, গত ৯ দিনে ৭ লাখ ৩৪ হাজার ৩১৭টি আগাম ভোট পড়েছে, যা ২০২১ সালের মেয়র নির্বাচনের তুলনায় চার গুণের বেশি।
রিয়েলক্লিয়ারপলিটিকসের সর্বশেষ গড় জরিপে দেখা যাচ্ছে, ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জোহরান মামদানি ৪৫ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটারের সমর্থন পেয়েছেন। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোর চেয়ে ১৪ দশমিক ৭ পয়েন্ট এবং রিপাবলিকান কার্টিস স্লিওয়ার চেয়ে ২৮ দশমিক ৫ পয়েন্টে এগিয়ে। তবে গত সোমবার রাতে কুমোকে সমর্থন দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। এই সমর্থন ভোটারদের মন বদলাতে পারবে কি না, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
মামদানি ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট অব আমেরিকার সদস্য। তাঁর নীতিমালা উদারপন্থী ভোটারদের মধ্যে উচ্ছ্বাস জাগিয়েছে। তিনি সর্বজনীন বিনা মূল্যের শিশু যত্ন, বাসে বিনা মূল্যে যাতায়াত এবং ভাড়া নিয়ন্ত্রিত প্রায় ১০ লাখ অ্যাপার্টমেন্টের ভাড়াটিয়াদের জন্য ভাড়া স্থগিত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
নিউইয়র্ক সিটিতে প্রতি চার বছর অন্তর মেয়র নির্বাচন হয়। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে মেয়র হতে পারেন। বর্তমান মেয়র এরিক অ্যাডামস। তিনি ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে দায়িত্বে আছেন, এ বছর শুরুর দিকে প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ান। তার বিরুদ্ধে ঘুষ ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ফেডারেল অপরাধের মামলা হয়েছিল। তবে বিচারক এপ্রিল মাসে মামলা খারিজ করে দেন।
চলতি বছরের নির্বাচনটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে প্রগতিশীল, মূলধারার ও রক্ষণশীল তিন শক্তি মুখোমুখি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহরটির নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায়। রিয়েলক্লিয়ারপলিটিকসের বিভিন্ন জরিপে মামদানিকে কুমোর চেয়ে ৩ থেকে ২৫ পয়েন্ট পর্যন্ত এগিয়ে দেখানো হয়েছে।
তবে প্রতিটি জরিপে কিছুটা অনিশ্চয়তা থাকে। জরিপকারীরা সাধারণত ভোটারদের প্রতিনিধিত্বমূলক নমুনা নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সব জরিপেই ত্রুটির সীমা থাকে। ফলে প্রকৃত সমর্থন জরিপে প্রকাশিত সংখ্যার কয়েক পয়েন্ট ওপরে বা নিচে থাকতে পারে। কেউ কেউ অনির্ধারিত ভোটারদের ভিন্নভাবে ধরেন। তাই বিভিন্ন জরিপের ফল একত্র করলে পক্ষপাত কমে।
তবে এ বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত ডেমোক্রেটিক পার্টির মেয়রাল প্রাইমারিতে বেশির ভাগ জরিপ ভয়ানকভাবে ভুল প্রমাণিত হয়। প্রায় সব জরিপেই কুমোর সহজ জয়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মামদানি বিশাল ব্যবধানে জয় পান।

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। আগাম ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) প্রায় ৫০ লাখ নিবন্ধিত ভোটার শহরের পরবর্তী মেয়র নির্বাচনে ভোট দেবেন। তবে চূড়ান্ত ভোট গ্রহণের আগে বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জোহরান মামদানি এগিয়ে আছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, নিউইয়র্ক সিটি বোর্ড অব ইলেকশনের তথ্য অনুযায়ী, গত ৯ দিনে ৭ লাখ ৩৪ হাজার ৩১৭টি আগাম ভোট পড়েছে, যা ২০২১ সালের মেয়র নির্বাচনের তুলনায় চার গুণের বেশি।
রিয়েলক্লিয়ারপলিটিকসের সর্বশেষ গড় জরিপে দেখা যাচ্ছে, ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জোহরান মামদানি ৪৫ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটারের সমর্থন পেয়েছেন। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোর চেয়ে ১৪ দশমিক ৭ পয়েন্ট এবং রিপাবলিকান কার্টিস স্লিওয়ার চেয়ে ২৮ দশমিক ৫ পয়েন্টে এগিয়ে। তবে গত সোমবার রাতে কুমোকে সমর্থন দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। এই সমর্থন ভোটারদের মন বদলাতে পারবে কি না, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
মামদানি ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট অব আমেরিকার সদস্য। তাঁর নীতিমালা উদারপন্থী ভোটারদের মধ্যে উচ্ছ্বাস জাগিয়েছে। তিনি সর্বজনীন বিনা মূল্যের শিশু যত্ন, বাসে বিনা মূল্যে যাতায়াত এবং ভাড়া নিয়ন্ত্রিত প্রায় ১০ লাখ অ্যাপার্টমেন্টের ভাড়াটিয়াদের জন্য ভাড়া স্থগিত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
নিউইয়র্ক সিটিতে প্রতি চার বছর অন্তর মেয়র নির্বাচন হয়। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে মেয়র হতে পারেন। বর্তমান মেয়র এরিক অ্যাডামস। তিনি ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে দায়িত্বে আছেন, এ বছর শুরুর দিকে প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ান। তার বিরুদ্ধে ঘুষ ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ফেডারেল অপরাধের মামলা হয়েছিল। তবে বিচারক এপ্রিল মাসে মামলা খারিজ করে দেন।
চলতি বছরের নির্বাচনটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে প্রগতিশীল, মূলধারার ও রক্ষণশীল তিন শক্তি মুখোমুখি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহরটির নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায়। রিয়েলক্লিয়ারপলিটিকসের বিভিন্ন জরিপে মামদানিকে কুমোর চেয়ে ৩ থেকে ২৫ পয়েন্ট পর্যন্ত এগিয়ে দেখানো হয়েছে।
তবে প্রতিটি জরিপে কিছুটা অনিশ্চয়তা থাকে। জরিপকারীরা সাধারণত ভোটারদের প্রতিনিধিত্বমূলক নমুনা নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সব জরিপেই ত্রুটির সীমা থাকে। ফলে প্রকৃত সমর্থন জরিপে প্রকাশিত সংখ্যার কয়েক পয়েন্ট ওপরে বা নিচে থাকতে পারে। কেউ কেউ অনির্ধারিত ভোটারদের ভিন্নভাবে ধরেন। তাই বিভিন্ন জরিপের ফল একত্র করলে পক্ষপাত কমে।
তবে এ বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত ডেমোক্রেটিক পার্টির মেয়রাল প্রাইমারিতে বেশির ভাগ জরিপ ভয়ানকভাবে ভুল প্রমাণিত হয়। প্রায় সব জরিপেই কুমোর সহজ জয়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মামদানি বিশাল ব্যবধানে জয় পান।

দক্ষিণ কোরিয়ায় একজনের পরিবার বা একা বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা প্রথমবারের মতো এক কোটির সীমা অতিক্রম করেছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, মোট ২ কোটি ৪১ লাখ পরিবারের মধ্যে প্রায় ১ কোটি ১২ লাখই একজনের পরিবার।
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ইসরায়েল পাঁচ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে। এতে গাজায় পরিবারগুলোর মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। এ ছাড়া দখলদার দেশটি ৪৫ ফিলিস্তিনি বন্দীর মরদেহও ফেরত দিয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৩৮ মিনিট আগে
ট্রাম্প নিজে নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকায় বেড়ে উঠেছেন। যদিও তিনি একজন রিপাবলিকান, সাক্ষাৎকারে কার্যত তিনি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোকেই সমর্থন দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি কুমোর ভক্ত নই, তবে যদি খারাপ এক ডেমোক্র্যাট আর এক কমিউনিস্টের মধ্যে বেছে নিতে হয়, তাহলে আমি সব সময় খারাপ ডেমোক্র্যাটকেই বেছে ন
৯ ঘণ্টা আগে
২০২৪ সালে দেশটিতে অন্তত ৩১ জন নারীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে; যা গত ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত ৩০ জন নারীকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। এসব নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, তাঁরা তাঁদের স্বামীকে হত্যা করেছেন।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ইসরায়েল পাঁচ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে। এতে গাজায় পরিবারগুলোর মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। এ ছাড়া দখলদার দেশটি ৪৫ ফিলিস্তিনি বন্দীর মরদেহও ফেরত দিয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় মুক্তি পান ওই পাঁচ ফিলিস্তিনি। পরে তাদের শারীরিক পরীক্ষার জন্য দেইর আল-বালাহর আল-আকসা হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে স্বজনেরা জড়ো হন। কেউ কেউ মুক্ত হওয়া বন্দীদের জড়িয়ে ধরেন, কেউ আবার নিখোঁজ পরিবারের সদস্যদের খোঁজে উদ্বিগ্নভাবে ঘুরে বেড়ান।
গাজায় আল জাজিরার সাংবাদিক হিন্দ খুদারি বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েলি বাহিনী এই প্রথমবার অজানা ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দিল।’ ইসরায়েলে এখনো হাজারো ফিলিস্তিনি বন্দী আছেন। তাঁদের অনেকে অভিযোগ ছাড়াই আটক, যাকে মানবাধিকার সংস্থাগুলো স্বেচ্ছাচারী আটক বলে মনে করে।
এর আগে সোমবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির (আইসিআরসি) মাধ্যমে ইসরায়েল তাদের কাছে আরও ৪৫ ফিলিস্তিনির মরদেহ হস্তান্তর করেছে। এ নিয়ে যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে এখন পর্যন্ত ২৭০টি মরদেহ গাজায় ফেরত এসেছে। মন্ত্রণালয় বলেছে, ফরেনসিক টিম এখন পর্যন্ত ৭৮টি মরদেহ শনাক্ত করেছে। চিকিৎসা নীতিমালা ও প্রটোকল মেনে পরীক্ষার পর মরদেহগুলো পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়া হবে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফেরত পাওয়া অনেক মরদেহে নির্যাতনের চিহ্ন ছিল। কারও হাত বাঁধা, চোখ বেঁধে রাখা, মুখ বিকৃত—এমন অবস্থায় মরদেহগুলো পাঠানো হয়েছে। তা ছাড়া মরদেহগুলোর সঙ্গে কোনো শনাক্তকরণ ট্যাগও ছিল না। এই মরদেহ ও বন্দিবিনিময় যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের অংশ। ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর এই যুদ্ধবিরতি তুরস্ক, মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় হয়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রও ভূমিকা রেখেছে।
দেইর আল-বালাহ থেকে প্রতিবেদনে খুদারি বলেন, ‘অনেক মরদেহে নির্যাতনের স্পষ্ট চিহ্ন দেখা গেছে।’ তিনি আরও জানান, নিখোঁজ ফিলিস্তিনিদের পরিবারগুলো এখনো মরদেহের ভেতর স্বজনদের খুঁজে বেড়াচ্ছে। তিনি বলেন, ‘যেসব মরদেহ শনাক্ত করা যাবে না, সেগুলো দেইর আল-বালাহতে গণকবরে দাফন করা হবে।’
এদিকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও ইসরায়েল হামলা চালানো অব্যাহত রেখেছে। নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের একটি সূত্র আল জাজিরাকে জানায়, সোমবার রাফাহর উত্তরে ইসরায়েলি গোলাগুলিতে তিনজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজায় তারা বিমান হামলা চালিয়েছে। তাদের দাবি, কিছু ব্যক্তি ‘হলুদ রেখা’ অতিক্রম করেছিল, যা ইসরায়েল নিয়ন্ত্রিত এলাকা। তারা এটিকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন বলে অভিহিত করে।
এই ঘটনা স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি। এ ছাড়া ওই একই ঘটনায় নিহত তিনজন ফিলিস্তিনির কথা ইসরায়েল বলছে কি না, সেটিও পরিষ্কার নয়। কারণ, গাজা শহরের পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে যে তিনজন আহত হয়েছে, তাদের মধ্যে একটি শিশুও আছে বলে আল-আহলি আরব হাসপাতালের একটি সূত্র জানিয়েছে।
গাজা শহর থেকে আল জাজিরার তারেক আবু আজযুম জানিয়েছেন, ইসরায়েল এখনো কোয়াডকপ্টার ড্রোন ব্যবহার করে আংশিক ধসে যাওয়া ভবনের ওপর গ্রেনেড ফেলছে। তিনি বলেন, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এসব কর্মকাণ্ডকে যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে।
গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয় অভিযোগ করেছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল ১২৫ বারের বেশি লঙ্ঘন করেছে। তারা সতর্ক করে বলেছে, এই হামলাগুলো অব্যাহত থাকলে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ আবার শুরু হতে পারে।

হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ইসরায়েল পাঁচ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে। এতে গাজায় পরিবারগুলোর মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। এ ছাড়া দখলদার দেশটি ৪৫ ফিলিস্তিনি বন্দীর মরদেহও ফেরত দিয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় মুক্তি পান ওই পাঁচ ফিলিস্তিনি। পরে তাদের শারীরিক পরীক্ষার জন্য দেইর আল-বালাহর আল-আকসা হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে স্বজনেরা জড়ো হন। কেউ কেউ মুক্ত হওয়া বন্দীদের জড়িয়ে ধরেন, কেউ আবার নিখোঁজ পরিবারের সদস্যদের খোঁজে উদ্বিগ্নভাবে ঘুরে বেড়ান।
গাজায় আল জাজিরার সাংবাদিক হিন্দ খুদারি বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েলি বাহিনী এই প্রথমবার অজানা ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দিল।’ ইসরায়েলে এখনো হাজারো ফিলিস্তিনি বন্দী আছেন। তাঁদের অনেকে অভিযোগ ছাড়াই আটক, যাকে মানবাধিকার সংস্থাগুলো স্বেচ্ছাচারী আটক বলে মনে করে।
এর আগে সোমবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির (আইসিআরসি) মাধ্যমে ইসরায়েল তাদের কাছে আরও ৪৫ ফিলিস্তিনির মরদেহ হস্তান্তর করেছে। এ নিয়ে যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে এখন পর্যন্ত ২৭০টি মরদেহ গাজায় ফেরত এসেছে। মন্ত্রণালয় বলেছে, ফরেনসিক টিম এখন পর্যন্ত ৭৮টি মরদেহ শনাক্ত করেছে। চিকিৎসা নীতিমালা ও প্রটোকল মেনে পরীক্ষার পর মরদেহগুলো পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়া হবে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফেরত পাওয়া অনেক মরদেহে নির্যাতনের চিহ্ন ছিল। কারও হাত বাঁধা, চোখ বেঁধে রাখা, মুখ বিকৃত—এমন অবস্থায় মরদেহগুলো পাঠানো হয়েছে। তা ছাড়া মরদেহগুলোর সঙ্গে কোনো শনাক্তকরণ ট্যাগও ছিল না। এই মরদেহ ও বন্দিবিনিময় যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের অংশ। ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর এই যুদ্ধবিরতি তুরস্ক, মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় হয়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রও ভূমিকা রেখেছে।
দেইর আল-বালাহ থেকে প্রতিবেদনে খুদারি বলেন, ‘অনেক মরদেহে নির্যাতনের স্পষ্ট চিহ্ন দেখা গেছে।’ তিনি আরও জানান, নিখোঁজ ফিলিস্তিনিদের পরিবারগুলো এখনো মরদেহের ভেতর স্বজনদের খুঁজে বেড়াচ্ছে। তিনি বলেন, ‘যেসব মরদেহ শনাক্ত করা যাবে না, সেগুলো দেইর আল-বালাহতে গণকবরে দাফন করা হবে।’
এদিকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও ইসরায়েল হামলা চালানো অব্যাহত রেখেছে। নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের একটি সূত্র আল জাজিরাকে জানায়, সোমবার রাফাহর উত্তরে ইসরায়েলি গোলাগুলিতে তিনজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজায় তারা বিমান হামলা চালিয়েছে। তাদের দাবি, কিছু ব্যক্তি ‘হলুদ রেখা’ অতিক্রম করেছিল, যা ইসরায়েল নিয়ন্ত্রিত এলাকা। তারা এটিকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন বলে অভিহিত করে।
এই ঘটনা স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি। এ ছাড়া ওই একই ঘটনায় নিহত তিনজন ফিলিস্তিনির কথা ইসরায়েল বলছে কি না, সেটিও পরিষ্কার নয়। কারণ, গাজা শহরের পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে যে তিনজন আহত হয়েছে, তাদের মধ্যে একটি শিশুও আছে বলে আল-আহলি আরব হাসপাতালের একটি সূত্র জানিয়েছে।
গাজা শহর থেকে আল জাজিরার তারেক আবু আজযুম জানিয়েছেন, ইসরায়েল এখনো কোয়াডকপ্টার ড্রোন ব্যবহার করে আংশিক ধসে যাওয়া ভবনের ওপর গ্রেনেড ফেলছে। তিনি বলেন, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এসব কর্মকাণ্ডকে যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে।
গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয় অভিযোগ করেছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল ১২৫ বারের বেশি লঙ্ঘন করেছে। তারা সতর্ক করে বলেছে, এই হামলাগুলো অব্যাহত থাকলে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ আবার শুরু হতে পারে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় একজনের পরিবার বা একা বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা প্রথমবারের মতো এক কোটির সীমা অতিক্রম করেছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, মোট ২ কোটি ৪১ লাখ পরিবারের মধ্যে প্রায় ১ কোটি ১২ লাখই একজনের পরিবার।
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। আগাম ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) প্রায় ৫০ লাখ নিবন্ধিত ভোটার শহরের পরবর্তী মেয়র নির্বাচনে ভোট দেবেন। তবে চূড়ান্ত ভোট গ্রহণের আগে বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জোহরান মামদানি এগিয়ে আছেন।
১২ মিনিট আগে
ট্রাম্প নিজে নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকায় বেড়ে উঠেছেন। যদিও তিনি একজন রিপাবলিকান, সাক্ষাৎকারে কার্যত তিনি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোকেই সমর্থন দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি কুমোর ভক্ত নই, তবে যদি খারাপ এক ডেমোক্র্যাট আর এক কমিউনিস্টের মধ্যে বেছে নিতে হয়, তাহলে আমি সব সময় খারাপ ডেমোক্র্যাটকেই বেছে ন
৯ ঘণ্টা আগে
২০২৪ সালে দেশটিতে অন্তত ৩১ জন নারীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে; যা গত ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত ৩০ জন নারীকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। এসব নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, তাঁরা তাঁদের স্বামীকে হত্যা করেছেন।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যদি বামপন্থী প্রার্থী জোহরান মামদানি নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচিত হন, তাহলে তিনি শহরটিতে ফেডারেল বরাদ্দ দেবেন না।
রোববার মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিবিএসের ‘৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘যদি নিউইয়র্কে একজন কমিউনিস্ট মেয়র হয়, তাহলে ওখানে অর্থ পাঠানো মানে সেই অর্থের অপচয় করা। তাই প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিউইয়র্কে অনেক অর্থ দেওয়া আমার জন্য কঠিন হবে।’
ট্রাম্প প্রশাসন এর আগেও ডেমোক্র্যাটদের নিয়ন্ত্রিত অঙ্গরাজ্য বা শহরগুলোর উন্নয়ন প্রকল্পে ফেডারেল অনুদান কমানোর উদ্যোগ নিয়েছিল।
আগামীকাল মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহর নিউইয়র্কে মেয়র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনমত জরিপে দেখা গেছে, জোহরান মামদানি তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোর চেয়ে এগিয়ে আছেন।
নিউইয়র্ক সিটি চলতি অর্থবছরে ৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন পাউন্ড) ফেডারেল সহায়তা পেয়েছে। তবে মামদানি জয়ী হলে এই সহায়তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি বিল দে ব্লাসিওকে দেখেছি—কতটা খারাপ মেয়র ছিলেন তিনি। কিন্তু মামদানি দে ব্লাসিওর চেয়ে খারাপ।’
ট্রাম্প নিজে নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকায় বেড়ে উঠেছেন। যদিও তিনি একজন রিপাবলিকান, সাক্ষাৎকারে কার্যত তিনি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোকেই সমর্থন দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি কুমোর ভক্ত নই, তবে যদি খারাপ এক ডেমোক্র্যাট আর এক কমিউনিস্টের মধ্যে বেছে নিতে হয়, তাহলে আমি সব সময় খারাপ ডেমোক্র্যাটকেই বেছে নেব।’
৩৪ বছর বয়সী জোহরান মামদানি নিজেকে ‘গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী’ হিসেবে পরিচয় দেন। তবে তিনি কমিউনিস্ট হওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে রসিকতা করে তিনি বলেন, ‘আমি মূলত এক স্ক্যান্ডিনেভীয় রাজনীতিকের মতো; শুধু একটু গা-চামড়ায় বাদামি।’
সোমবার এক বক্তব্যে মামদানি বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির প্রতিক্রিয়া হিসেবে নিউইয়র্ক সিটিতে তাঁর প্রতিচ্ছবি তৈরি নয়, বরং বিকল্প তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা এমন এক শহর চাই, যা এখানে বসবাসকারী সবার মর্যাদায় বিশ্বাস করে।’
অ্যান্ড্রু কুমো পাল্টা বক্তব্যে বলেন, তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করা অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একমাত্র প্রার্থী। তিনি বলেন, ‘আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়েছি। নিউইয়র্কের জন্য লড়াই করার সময় আমি থামব না।’
কুমো কোভিড-১৯ মহামারির সময় নিউইয়র্কের গভর্নর ছিলেন। তখন বেশির ভাগ অঙ্গরাজ্য ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ায়। যদিও পরবর্তী সময়ে রাজ্যের কয়েকটি হাসপাতালে মৃত্যুর সংখ্যা গোপন রাখার অভিযোগে কুমোও সমালোচনার মুখে পড়েন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যদি বামপন্থী প্রার্থী জোহরান মামদানি নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচিত হন, তাহলে তিনি শহরটিতে ফেডারেল বরাদ্দ দেবেন না।
রোববার মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিবিএসের ‘৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘যদি নিউইয়র্কে একজন কমিউনিস্ট মেয়র হয়, তাহলে ওখানে অর্থ পাঠানো মানে সেই অর্থের অপচয় করা। তাই প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিউইয়র্কে অনেক অর্থ দেওয়া আমার জন্য কঠিন হবে।’
ট্রাম্প প্রশাসন এর আগেও ডেমোক্র্যাটদের নিয়ন্ত্রিত অঙ্গরাজ্য বা শহরগুলোর উন্নয়ন প্রকল্পে ফেডারেল অনুদান কমানোর উদ্যোগ নিয়েছিল।
আগামীকাল মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহর নিউইয়র্কে মেয়র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনমত জরিপে দেখা গেছে, জোহরান মামদানি তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোর চেয়ে এগিয়ে আছেন।
নিউইয়র্ক সিটি চলতি অর্থবছরে ৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন পাউন্ড) ফেডারেল সহায়তা পেয়েছে। তবে মামদানি জয়ী হলে এই সহায়তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি বিল দে ব্লাসিওকে দেখেছি—কতটা খারাপ মেয়র ছিলেন তিনি। কিন্তু মামদানি দে ব্লাসিওর চেয়ে খারাপ।’
ট্রাম্প নিজে নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকায় বেড়ে উঠেছেন। যদিও তিনি একজন রিপাবলিকান, সাক্ষাৎকারে কার্যত তিনি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোকেই সমর্থন দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি কুমোর ভক্ত নই, তবে যদি খারাপ এক ডেমোক্র্যাট আর এক কমিউনিস্টের মধ্যে বেছে নিতে হয়, তাহলে আমি সব সময় খারাপ ডেমোক্র্যাটকেই বেছে নেব।’
৩৪ বছর বয়সী জোহরান মামদানি নিজেকে ‘গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী’ হিসেবে পরিচয় দেন। তবে তিনি কমিউনিস্ট হওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে রসিকতা করে তিনি বলেন, ‘আমি মূলত এক স্ক্যান্ডিনেভীয় রাজনীতিকের মতো; শুধু একটু গা-চামড়ায় বাদামি।’
সোমবার এক বক্তব্যে মামদানি বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির প্রতিক্রিয়া হিসেবে নিউইয়র্ক সিটিতে তাঁর প্রতিচ্ছবি তৈরি নয়, বরং বিকল্প তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা এমন এক শহর চাই, যা এখানে বসবাসকারী সবার মর্যাদায় বিশ্বাস করে।’
অ্যান্ড্রু কুমো পাল্টা বক্তব্যে বলেন, তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করা অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একমাত্র প্রার্থী। তিনি বলেন, ‘আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়েছি। নিউইয়র্কের জন্য লড়াই করার সময় আমি থামব না।’
কুমো কোভিড-১৯ মহামারির সময় নিউইয়র্কের গভর্নর ছিলেন। তখন বেশির ভাগ অঙ্গরাজ্য ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ায়। যদিও পরবর্তী সময়ে রাজ্যের কয়েকটি হাসপাতালে মৃত্যুর সংখ্যা গোপন রাখার অভিযোগে কুমোও সমালোচনার মুখে পড়েন।

দক্ষিণ কোরিয়ায় একজনের পরিবার বা একা বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা প্রথমবারের মতো এক কোটির সীমা অতিক্রম করেছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, মোট ২ কোটি ৪১ লাখ পরিবারের মধ্যে প্রায় ১ কোটি ১২ লাখই একজনের পরিবার।
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। আগাম ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) প্রায় ৫০ লাখ নিবন্ধিত ভোটার শহরের পরবর্তী মেয়র নির্বাচনে ভোট দেবেন। তবে চূড়ান্ত ভোট গ্রহণের আগে বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জোহরান মামদানি এগিয়ে আছেন।
১২ মিনিট আগে
হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ইসরায়েল পাঁচ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে। এতে গাজায় পরিবারগুলোর মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। এ ছাড়া দখলদার দেশটি ৪৫ ফিলিস্তিনি বন্দীর মরদেহও ফেরত দিয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৩৮ মিনিট আগে
২০২৪ সালে দেশটিতে অন্তত ৩১ জন নারীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে; যা গত ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত ৩০ জন নারীকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। এসব নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, তাঁরা তাঁদের স্বামীকে হত্যা করেছেন।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মানবাধিকার কর্মীদের মতে, ইরানে মৃত্যুদণ্ডের উন্মাদনা চলছে। ২০২৪ সালে দেশটিতে অন্তত ৩১ জন নারীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে; যা গত ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত ৩০ জন নারীকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। এসব নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, তাঁরা তাঁদের স্বামীকে হত্যা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইরানিয়ান মানবাধিকার সংগঠন আব্দর রহমান বোরোমান্ড সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক রয়া বোরোমান্ড বলেন, কাউকে খুনের জন্য ইরানে কোনো কারাদণ্ডের বিধান নেই। হয় আপনাকে ক্ষমা করা হবে অথবা মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে।
কিন্তু ইরানের চেয়েও যেসব দেশে বেশি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়, সেখানেও এত বেশিসংখ্যক নারীর মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় না বলে তথ্য দিচ্ছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তবে এসব মৃত্যুদণ্ডের মাত্র ১২ শতাংশ সরকারি সূত্রে প্রকাশ করা হয়।
নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ইরান হিউম্যান রাইটসের (আইএইচআর) প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ইরান বর্তমানে বিশ্বে সর্বাধিক নারী মৃত্যুদণ্ড কার্যকরকারী দেশ।
রয়া বোরোমান্ড বলেন, ‘২০০০ সাল থেকে পরবর্তী ২২ বছরে কমপক্ষে ২৩৩ জন নারীর মৃত্যুদণ্ডের তথ্য পেয়েছি। তাদের মধ্যে ১০৬ জনকে খুনের দায়ে আর ৯৬ জন অবৈধ মাদকসংক্রান্ত অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’ এর একটি ক্ষুদ্র অংশকে বিবাহবহির্ভূত যৌন সম্পর্কের কারণেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলেও জানান বোরোমান্ড।
এ ছাড়া দেশটির আইন অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডের আদেশ পরিবর্তন করা যায় না। ‘দিয়াহ’ বা রক্তঋণ নিয়ে শুধু নিহতের পরিবার পারে কাউকে ক্ষমা করতে।
সম্প্রতি গোলি কোহকান নামের এক বালিকাবধূর মৃত্যুদণ্ডকে ঘিরে ইরানের এই অন্ধকার দিকটি আবারও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বর্তমানে ২৫ বছর বয়সী গোলি কোহকান নামের এই নারী সাত বছর ধরে উত্তর ইরানের গোরগান কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ডের অপেক্ষায়। ২০১৮ সালের মে মাসে ১৮ বছর বয়সে স্বামীকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। পরে আদালত তাঁকে ‘কিসাস’ (প্রতিশোধমূলক শাস্তি) আইনে মৃত্যুদণ্ড দেন।
গোলির মতো আরও তিন নারী মৃত্যুদণ্ডের মুখে পড়েছিলেন। সামিরা সাবজিয়ান ফারদ, যাকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ১৫ বছর বয়সে বিয়ের পর স্বামীর হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ফাতেমা সালবেহি, ২০০৮ সালে ১৭ বছর বয়সে স্বামীর হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন; পরে তাঁর ফাঁসি কার্যকর হয়। জয়নাব সেকানভান্দ, ২০১২ সালে ১৭ বছর বয়সে স্বামীর হত্যার অভিযোগে আটক হন। আদালতে স্বামীর নির্যাতনের কথা জানালেও তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

মানবাধিকার কর্মীদের মতে, ইরানে মৃত্যুদণ্ডের উন্মাদনা চলছে। ২০২৪ সালে দেশটিতে অন্তত ৩১ জন নারীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে; যা গত ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত ৩০ জন নারীকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। এসব নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, তাঁরা তাঁদের স্বামীকে হত্যা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইরানিয়ান মানবাধিকার সংগঠন আব্দর রহমান বোরোমান্ড সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক রয়া বোরোমান্ড বলেন, কাউকে খুনের জন্য ইরানে কোনো কারাদণ্ডের বিধান নেই। হয় আপনাকে ক্ষমা করা হবে অথবা মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে।
কিন্তু ইরানের চেয়েও যেসব দেশে বেশি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়, সেখানেও এত বেশিসংখ্যক নারীর মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় না বলে তথ্য দিচ্ছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তবে এসব মৃত্যুদণ্ডের মাত্র ১২ শতাংশ সরকারি সূত্রে প্রকাশ করা হয়।
নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ইরান হিউম্যান রাইটসের (আইএইচআর) প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ইরান বর্তমানে বিশ্বে সর্বাধিক নারী মৃত্যুদণ্ড কার্যকরকারী দেশ।
রয়া বোরোমান্ড বলেন, ‘২০০০ সাল থেকে পরবর্তী ২২ বছরে কমপক্ষে ২৩৩ জন নারীর মৃত্যুদণ্ডের তথ্য পেয়েছি। তাদের মধ্যে ১০৬ জনকে খুনের দায়ে আর ৯৬ জন অবৈধ মাদকসংক্রান্ত অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’ এর একটি ক্ষুদ্র অংশকে বিবাহবহির্ভূত যৌন সম্পর্কের কারণেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলেও জানান বোরোমান্ড।
এ ছাড়া দেশটির আইন অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডের আদেশ পরিবর্তন করা যায় না। ‘দিয়াহ’ বা রক্তঋণ নিয়ে শুধু নিহতের পরিবার পারে কাউকে ক্ষমা করতে।
সম্প্রতি গোলি কোহকান নামের এক বালিকাবধূর মৃত্যুদণ্ডকে ঘিরে ইরানের এই অন্ধকার দিকটি আবারও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বর্তমানে ২৫ বছর বয়সী গোলি কোহকান নামের এই নারী সাত বছর ধরে উত্তর ইরানের গোরগান কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ডের অপেক্ষায়। ২০১৮ সালের মে মাসে ১৮ বছর বয়সে স্বামীকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। পরে আদালত তাঁকে ‘কিসাস’ (প্রতিশোধমূলক শাস্তি) আইনে মৃত্যুদণ্ড দেন।
গোলির মতো আরও তিন নারী মৃত্যুদণ্ডের মুখে পড়েছিলেন। সামিরা সাবজিয়ান ফারদ, যাকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ১৫ বছর বয়সে বিয়ের পর স্বামীর হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ফাতেমা সালবেহি, ২০০৮ সালে ১৭ বছর বয়সে স্বামীর হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন; পরে তাঁর ফাঁসি কার্যকর হয়। জয়নাব সেকানভান্দ, ২০১২ সালে ১৭ বছর বয়সে স্বামীর হত্যার অভিযোগে আটক হন। আদালতে স্বামীর নির্যাতনের কথা জানালেও তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ায় একজনের পরিবার বা একা বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা প্রথমবারের মতো এক কোটির সীমা অতিক্রম করেছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, মোট ২ কোটি ৪১ লাখ পরিবারের মধ্যে প্রায় ১ কোটি ১২ লাখই একজনের পরিবার।
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। আগাম ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) প্রায় ৫০ লাখ নিবন্ধিত ভোটার শহরের পরবর্তী মেয়র নির্বাচনে ভোট দেবেন। তবে চূড়ান্ত ভোট গ্রহণের আগে বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জোহরান মামদানি এগিয়ে আছেন।
১২ মিনিট আগে
হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ইসরায়েল পাঁচ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে। এতে গাজায় পরিবারগুলোর মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। এ ছাড়া দখলদার দেশটি ৪৫ ফিলিস্তিনি বন্দীর মরদেহও ফেরত দিয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৩৮ মিনিট আগে
ট্রাম্প নিজে নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকায় বেড়ে উঠেছেন। যদিও তিনি একজন রিপাবলিকান, সাক্ষাৎকারে কার্যত তিনি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোকেই সমর্থন দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি কুমোর ভক্ত নই, তবে যদি খারাপ এক ডেমোক্র্যাট আর এক কমিউনিস্টের মধ্যে বেছে নিতে হয়, তাহলে আমি সব সময় খারাপ ডেমোক্র্যাটকেই বেছে ন
৯ ঘণ্টা আগে