Ajker Patrika

কারেনে বিদ্রোহ জোরদার, থাইল্যান্ডে পালিয়েছে বহু মানুষ

কারেনে বিদ্রোহ জোরদার, থাইল্যান্ডে পালিয়েছে বহু মানুষ

ঢাকা: সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ ক্রমশ শহর থেকে শহরে, গ্রামান্তরে ছড়িয়ে পড়ছে। স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে সক্রিয় রাজ্যগুলোয় বাড়ছে সংঘর্ষ। মিয়ানমার সেনাবাহিনী ‘তাতমাদাউ’য়ের সঙ্গে দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলিয় কারেন রাজ্যের বিদ্রোহীদের মধ্যে সম্প্রতি সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করেছে। গ্রাম ছেড়ে পার্শ্ববর্তী থাইল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছে হাজার হাজার মিয়ানমার নাগরিক।

থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তানি সাংরাত আজ শুক্রবার এক বিবৃতি বলেন, ‘সম্প্রতি সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত ২ হাজার ২৬৭ মিয়ানমার নাগরিক থাইল্যান্ডে প্রবেশ করেছে।’ আগামীতে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

মিয়ানমারের কারেন রাজ্যে সংঘর্ষ তীব্র হওয়ায় পালাচ্ছে সীমান্তবর্তী থাইল্যান্ডের গ্রামবাসীরাও। তানি সাংরাত বলেন, ‘এরই মধ্যে আমাদের দু’টি গ্রামের লোকজন বাড়ি–ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। আরও ২২০ গ্রাসবাসী নিরাপত্তা প্রার্থনা করেছে।’

গত মঙ্গলবার থাই–মিয়ানমার সীমান্তের সালয়ুইন নদীর কাছে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে ‘কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ)’ তুমুল সংঘর্ষ হয়।

এতে সেনাবাহিনীর একটি ঘাঁটি দখল করে জ্বালিয়ে দিতে সক্ষম হয় কেএনইউ। সংঘর্ষে ১৩ মিয়ানমার সৈন্য এবং নিজেদের তিন যোদ্ধা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেএনইউয়ের আন্তর্জাতিক দপ্তর সম্পাদক প্যাডো সো তাও নি। রয়টার্সের পক্ষে যোগাযোগ করেও এ বিষয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

উত্তরাঞ্চলীয় কাচিন রাজ্যের ‘কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি’র সঙ্গেও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ বাড়ছে। দুপক্ষের সাম্প্রতিক সংঘর্ষে অঞ্চলটির অন্তত ১১ হাজার মানুষ স্থানচ্যুত হয়েছে।

জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সাম্প্রতিক সংঘর্ষে মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চলে ৪০ হাজার, উত্তরাঞ্চলে ১১ হাজার এবং উত্তর–পূর্বাঞ্চলে পাঁচ হাজার ৮০০ মানুষ স্থানচ্যুত হয়েছে।’

এদিকে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নতুন ছয় রোহিঙ্গা কক্সবাজারের টেকনাফে অনুপ্রবেশ করেছে। মিয়ানমারে কারাভোগ শেষে আকিয়াবের মংডু শহরের সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে তারা টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোরা শালবাগান এলাকায় প্রবেশ করেন। পরে রোহিঙ্গা শিবিরে থাকা তাদের পরিবারের কাছে আশ্রয় নেন।

অনুপ্রবেশকারীরা হলেন আকিয়াবের মংডু শহরের মংনামা হাসু মিয়ার ছেলে মো. আরিফ (২৪), রশিদ আহমদের ছেলে মো. ইউনুছ (২৮), কালা মিয়ার ছেলে বশির আহম্মদ (২৫), মোহাম্মদ আমিনের ছেলে সোনা আলী (৫৬), মৃত আবদুস সালামের ছেলে মো. সৈয়দ আলম (৪৭) ও মৃত আলী জোহারের ছেলে মো. শওকত আলী (৩৭)।

নতুন আসা রোহিঙ্গাদের গতিবিধির ওপর গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার-১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) কমান্ডিং কর্মকর্তা ও অধিনায়ক মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম তারিক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জাকসু নির্বাচন বর্জনের পর রাতে বিক্ষোভ মিছিল ছাত্রদলের

স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির হোতা মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু গ্রেপ্তার

নতুন ট্রেন্ড ন্যানো ব্যানানা, নিজের থ্রিডি ফিগারিন বানাবেন যেভাবে

ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী চার্লি কার্ককে গুলি করে হত্যা

প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ ছাত্রদল সমর্থিত ভিপির

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত