চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমারের মুদ্রা ‘কিয়েতে’র মান ধারাবাহিকভাবে কমছিল। তবে গত চার সপ্তাহে মার্কিন ডলারের বিপরীতে মুদ্রাটির মান ৬০ শতাংশ কমেছে। ফলে গত আট মাসে নিত্য পণ্য ও জ্বালানির দাম দ্বিগুণ বা তার বেশি বেড়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার ১ ডলার ভাঙিয়ে পাওয়া গেছে ২ হাজার ৭০০ কিয়েত। চলতি মাসের ১ তারিখ তা ছিল ১ হাজার ৬৯৫ কিয়েত। অর্থাৎ এক মাসের কম সময়ে কিয়েতের মান ৬০ শতাংশের বেশি কমেছে। অন্যদিকে অভ্যুত্থানের দিন ১ ডলারের বিপরীতে পাওয়া যেত ১ হাজার ৩৯৫ কিয়েত। বর্তমানে ডলারে ৮৫ টাকা হিসেবে, ১ টাকা ভাঙিয়ে পাওয়া যাবে প্রায় ৩২ কিয়েত।
ডলারের বিপরীতে যখন স্থানীয় মুদ্রার মান কমে তখন নানামুখী সমস্যা হয়। আমদানি ব্যয় ও নিত্য পণ্যের দাম বাড়ে, শেয়ারবাজার অস্থির হয়ে পড়ে।
গত সপ্তাহে দেশটির বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনের খুচরা বাজারে ৪৮ কেজির একটি চালে বস্তা বিক্রি হয়েছে ৪৮ হাজার কিয়েতে। ফেব্রুয়ারির পর পণ্যটির দাম ৪০ শতাংশ বেড়েছে। অথচ মিয়ানমার বিশ্বের অন্যতম চাল রপ্তানিকারক দেশ। আর একই সময়ে বাজারটিতে পেট্রলের দাম দ্বিগুণ হয়ে লিটারে ১ হাজার ৪৪৫ কিয়েতে পৌঁছেছে।
দেশটির বিরাজমান অর্থনৈতিক দুরবস্থার সঙ্গে রাজনৈতিক কারণ সরাসরি যুক্ত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক শীর্ষ কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, রাজনৈতিক অবস্থা যত খারাপ হবে, মুদ্রার মান তত কমবে।
বাজারের স্থিতিশীলতাসহ সার্বিক অর্থনীতি স্বাভাবিক করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হয়। কিন্তু দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখনো পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি।
বরং উল্টো হয়েছে। নিয়ন্ত্রিত শেয়ারবাজার পরিচালনার যে কৌশল ছিল তা চলতি মাস থেকে তা বাদ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিশ্লেষকদের ধারণা, দেশটির রিজার্ভ প্রায় শুকিয়ে গেছে। বিশ্বব্যাংকের হিসেব মতে ২০২০ সালের শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ছিল ৭৬৭ কোটি ডলার।
সম্প্রতি দেশটির রাজনৈতিক দলগুলোর জোট জাতীয় ঐক্য সরকার (নাগ) দেশব্যাপী বিদ্রোহের ডাক দিয়েছে। ফলে শহরের পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলেও সরকারি বাহিনী ও জান্তাবিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেড়েছে। অনেক সরকারি বাহিনীর সদস্য জান্তাবিরোধীদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন। পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্সের (এএপিপি) তথ্য, অভ্যুত্থানের পর সেখানে অন্তত ১ হাজার ১৩৯ বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে। বন্দী রয়েছেন বা হুলিয়া জারি করা হয়েছে ৬ হাজার ৮৯১ জনের বিরুদ্ধে।
পাশাপাশি শিগগির সেখানে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেখা দিতে পারে, যা স্বাস্থ্যসহ সার্বিক অবস্থাকে আরও খারাপ করবে। এ পরিস্থিতিতে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সেখানে ৩০ লাখ মানুষের জরুরি খাদ্য সহায়তা লাগবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক কার্যক্রম বিষয়ক দপ্তর।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমারের মুদ্রা ‘কিয়েতে’র মান ধারাবাহিকভাবে কমছিল। তবে গত চার সপ্তাহে মার্কিন ডলারের বিপরীতে মুদ্রাটির মান ৬০ শতাংশ কমেছে। ফলে গত আট মাসে নিত্য পণ্য ও জ্বালানির দাম দ্বিগুণ বা তার বেশি বেড়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার ১ ডলার ভাঙিয়ে পাওয়া গেছে ২ হাজার ৭০০ কিয়েত। চলতি মাসের ১ তারিখ তা ছিল ১ হাজার ৬৯৫ কিয়েত। অর্থাৎ এক মাসের কম সময়ে কিয়েতের মান ৬০ শতাংশের বেশি কমেছে। অন্যদিকে অভ্যুত্থানের দিন ১ ডলারের বিপরীতে পাওয়া যেত ১ হাজার ৩৯৫ কিয়েত। বর্তমানে ডলারে ৮৫ টাকা হিসেবে, ১ টাকা ভাঙিয়ে পাওয়া যাবে প্রায় ৩২ কিয়েত।
ডলারের বিপরীতে যখন স্থানীয় মুদ্রার মান কমে তখন নানামুখী সমস্যা হয়। আমদানি ব্যয় ও নিত্য পণ্যের দাম বাড়ে, শেয়ারবাজার অস্থির হয়ে পড়ে।
গত সপ্তাহে দেশটির বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনের খুচরা বাজারে ৪৮ কেজির একটি চালে বস্তা বিক্রি হয়েছে ৪৮ হাজার কিয়েতে। ফেব্রুয়ারির পর পণ্যটির দাম ৪০ শতাংশ বেড়েছে। অথচ মিয়ানমার বিশ্বের অন্যতম চাল রপ্তানিকারক দেশ। আর একই সময়ে বাজারটিতে পেট্রলের দাম দ্বিগুণ হয়ে লিটারে ১ হাজার ৪৪৫ কিয়েতে পৌঁছেছে।
দেশটির বিরাজমান অর্থনৈতিক দুরবস্থার সঙ্গে রাজনৈতিক কারণ সরাসরি যুক্ত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক শীর্ষ কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, রাজনৈতিক অবস্থা যত খারাপ হবে, মুদ্রার মান তত কমবে।
বাজারের স্থিতিশীলতাসহ সার্বিক অর্থনীতি স্বাভাবিক করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হয়। কিন্তু দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখনো পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি।
বরং উল্টো হয়েছে। নিয়ন্ত্রিত শেয়ারবাজার পরিচালনার যে কৌশল ছিল তা চলতি মাস থেকে তা বাদ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিশ্লেষকদের ধারণা, দেশটির রিজার্ভ প্রায় শুকিয়ে গেছে। বিশ্বব্যাংকের হিসেব মতে ২০২০ সালের শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ছিল ৭৬৭ কোটি ডলার।
সম্প্রতি দেশটির রাজনৈতিক দলগুলোর জোট জাতীয় ঐক্য সরকার (নাগ) দেশব্যাপী বিদ্রোহের ডাক দিয়েছে। ফলে শহরের পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলেও সরকারি বাহিনী ও জান্তাবিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেড়েছে। অনেক সরকারি বাহিনীর সদস্য জান্তাবিরোধীদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন। পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্সের (এএপিপি) তথ্য, অভ্যুত্থানের পর সেখানে অন্তত ১ হাজার ১৩৯ বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে। বন্দী রয়েছেন বা হুলিয়া জারি করা হয়েছে ৬ হাজার ৮৯১ জনের বিরুদ্ধে।
পাশাপাশি শিগগির সেখানে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেখা দিতে পারে, যা স্বাস্থ্যসহ সার্বিক অবস্থাকে আরও খারাপ করবে। এ পরিস্থিতিতে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সেখানে ৩০ লাখ মানুষের জরুরি খাদ্য সহায়তা লাগবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক কার্যক্রম বিষয়ক দপ্তর।
চলমান যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি করার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর যুক্তি, ‘রাশিয়া খুবই বড় শক্তি, ইউক্রেন নয়। তাই যুদ্ধ এড়িয়ে টিকে থাকতে হলে চুক্তি ছাড়া ইউক্রেনের কোনো গতি নেই।’ এই মন্তব্য ট্রাম্পের আলাস্কা বৈঠকের পর এসেছে...
৩ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি ক্ষমতায় থাকাকালে চীন কখনোই তাইওয়ানে আক্রমণ করবে না। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তাঁকে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের আগে ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন ট্রাম্প। খবর রয়টার্সের।
৪ ঘণ্টা আগেবোল্টন বলেছেন, ‘এই বৈঠকের পর ট্রাম্প কিছুই পাননি। যা পেয়েছেন তা হলো, আরও কিছু বৈঠকের প্রতিশ্রুতি। অন্যদিকে পুতিন ‘সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে অনেক দূর এগিয়ে গেছেন, যা আমি সব সময় তাঁর প্রধান লক্ষ্য বলে মনে করেছি।’
৬ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি হয়তো আশা করেছিলেন, এই বৈঠকে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে একটি চুক্তি হবে। কিন্তু এমন কোনো কিছুই হয়নি। তাই ট্রাম্পের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার জন্য সোমবার ওয়াশিংটনে যাচ্ছেন জেলেনস্কি।
৬ ঘণ্টা আগে