আজকের পত্রিকা ডেস্ক

পারমাণবিক অস্ত্রধারী ৯ দেশ—রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, ফ্রান্স, উত্তর কোরিয়া, ভারত, পাকিস্তান এবং ইসরায়েল তাদের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার আধুনিকায়নে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেছে। পারমাণবিক অস্ত্র হ্রাসের দীর্ঘমেয়াদি ধারা ব্যাহত হয়ে বরং অস্ত্র বৃদ্ধি ও আধুনিকায়নের দিকে ঝুঁকছে দেশগুলো। সুইডেনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই উদ্বেগজনক বৈশ্বিক চিত্র।
এসআইপিআরআইয়ের প্রতিবেদন অনুসারে, জানুয়ারি ২০২৫-এর হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে মোট পারমাণবিক ওয়ারহেডের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে আনুমানিক ১২ হাজার ২৪১টি। এর মধ্যে ৯ হাজার ৬১৪টি রয়েছে সক্রিয় সামরিক মজুদের আওতায়, যা প্রয়োজনে ব্যবহারযোগ্য।
এ ছাড়া, প্রায় ৩ হাজার ৯১২টি ওয়ারহেড স্থাপন করা রয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান ব্যবস্থায় এবং প্রায় ২ হাজার ১০০টি রয়েছে ‘হাই অপারেশনাল অ্যালার্ট’-এ, অর্থাৎ, তাৎক্ষণিক ব্যবহারের উপযোগী। এসব অধিকতর সক্রিয় অস্ত্রের বেশির ভাগই রয়েছে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের অধীনে।
স্নায়ুযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা ধীরে ধীরে হ্রাস পেলেও বর্তমানে সেই প্রবণতা থেমে যাওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। বরং, নতুন ওয়ারহেড সংযোজন এবং পুরাতন অস্ত্রব্যবস্থার আধুনিকায়ন লক্ষণীয়ভাবে বেড়েছে। এসআইপিআরআইয়ের পারমাণবিক অস্ত্রবিষয়ক বিশেষজ্ঞ হ্যান্স এম. ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘পরমাণু অস্ত্র হ্রাসের যে যুগটি দীর্ঘকাল ধরে চলে আসছিল, তা শেষ হয়ে এসেছে। এখন আমরা প্রত্যক্ষ করছি অস্ত্রভান্ডার বৃদ্ধির সুস্পষ্ট প্রবণতা, কূটনৈতিক নিয়ন্ত্রণহীনতা এবং যুদ্ধোন্মুখ বক্তব্যের পুনরুত্থান।’
বিশ্বের প্রায় ৯০ শতাংশ পারমাণবিক অস্ত্রের মালিকানা রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের হাতে। যদিও ২০২৪ সালে তাদের অস্ত্রের সামরিক স্টকপাইল বা মজুত মোটামুটি অপরিবর্তিত ছিল, তবে দুই দেশই বিস্তৃত ও দীর্ঘমেয়াদি আধুনিকায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এসআইপিআরআইয়ের তথ্যমতে, পারমাণবিক ওয়ারহেডের হিসাবে সবচেয়ে এগিয়ে আছে রাশিয়া। দেশটির কাছে আছে ৪ হাজার ৪৭৯টি ওয়ারহেড। বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের আছে ৩ হাজার ৭০৮টি।
রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পর এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে চীন। সংস্থাটি বলছে, অবস্থানের দিক থেকে ৩ নম্বরে থাকলেও চীনের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি বর্তমানে বিশ্বের মধ্যে সর্বাধিক গতিশীল। এসআইপিআরআইয়ের অনুমান, ২০২৫ সালের শুরুতে চীনের ওয়ারহেড সংখ্যা অন্তত ৬০০। সত্যিই যদি এই পরিমাণ ওয়ারহেড বর্তমানে চীনের কাছে থেকে থাকে, তাহলে ২০২৩ সাল থেকে প্রতিবছর গড়ে ১০০টি ওয়ারহেড বাড়িয়েছে দেশটি।
দেশটি উত্তরাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের মরুভূমি ও পাহাড়ি এলাকায় ইতিমধ্যে প্রায় ৩৫০টি নতুন আইসিবিএম (ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল বা আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র) সাইলো নির্মাণ করেছে। চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে চীন ২০৩৫ সালের মধ্যে ১ হাজার ৫০০ ওয়ারহেড করবে।
তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে ফ্রান্স। দেশটির ভান্ডারে রয়েছে ২৯০টি ওয়ারহেড। ফ্রান্স ২০২৪ সালে তৃতীয় প্রজন্মের এসএসবিএন (ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম সাবমেরিন), নতুন ক্রুজ মিসাইল এবং উন্নত ব্যালিস্টিক মিসাইল ও ওয়ারহেড নির্মাণে অগ্রসর হয়েছে। এই আধুনিকায়নের উদ্দেশ্য পারমাণবিক প্রতিরোধক্ষমতাকে আরও কার্যকর ও নির্ভরযোগ্য করা। ফরাসি সরকার দীর্ঘ মেয়াদে ২০৪০ সালের পর পর্যন্ত এই সক্ষমতা বজায় রাখার লক্ষ্য নিয়েছে। তাদের নীতি অস্ত্রের সংখ্যা না বাড়িয়ে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ানো।
ফ্রান্সেরই পর অবস্থান যুক্তরাজ্যের। দেশটির কাছে রয়েছে ২২৫টি ওয়ারহেড। ২০২৪ সালে যুক্তরাজ্য চারটি নতুন ব্যালিস্টিক মিসাইল সাবমেরিন নির্মাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকলেও প্রকল্পটি বড় ধরনের আর্থিক ও প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। লেবার সরকার তাদের ‘কন্টিনিউয়াস অ্যাট-সি ডিটারেন্স’ নীতি বজায় রাখতে চায় এবং অস্ত্রভান্ডারের সীমা বাড়ানোর আগের পরিকল্পনা বহাল রেখেছে। তবে বাজেট ঘাটতি ও নির্মাণ জটিলতা এই প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব ঘটাতে পারে।

১৮০ ও ১৭০টি ওয়ারহেড নিয়ে তালিকার ষষ্ঠ ও সপ্তম স্থানে যথাক্রমে আছে ভারত ও পাকিস্তান। ভারত ২০২৪ সালে অস্ত্রের সংখ্যা সামান্য বাড়ায়েছে এবং নতুন ধরনের ‘ক্যানিস্টারাইজড’ ক্ষেপণাস্ত্র (মূলত একটি ক্ষেপণাস্ত্রকে কন্টেইনারে করে পরিবহনযোগ্য করে তোলা এবং সেই কন্টেইনারকেই ক্ষেপণাস্ত্রটির নিক্ষেপণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করার ধারণা নিয়েই তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে ক্যানিস্টারাইজড ক্ষেপণাস্ত্রকে) উন্নয়নে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যা ভবিষ্যতে একাধিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম হতে পারে। পাকিস্তান একই সঙ্গে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি উন্নয়ন ও ফিসাইল উপাদান সঞ্চয়ের মাধ্যমে অস্ত্রভান্ডার সম্প্রসারণের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার কাছে আছে প্রায় ৫০টি পারমাণবিক ওয়ারহেড এবং আরও ৪০টি বোমা তৈরির মতো ফিসাইল উপাদান তাদের হাতে রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সূত্র বলছে, দেশটি এখন একটি ‘ট্যাকটিক্যাল নিউক্লিয়ার অস্ত্র’ ব্যবস্থার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এ ধরনের অস্ত্র ক্ষুদ্র পরিসরে ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়, যা যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতে পারে। ২০২৪ সালের নভেম্বরে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ঘোষণা দেন যে, পারমাণবিক কর্মসূচিতে দেশটি ‘সীমাহীন সম্প্রসারণ’ চালিয়ে যাবে। এ ঘোষণার পর থেকে তারা পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদনে গতি বাড়িয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
তালিকায় সবার শেষে অবস্থান ইসরায়েলের। ইসরায়েল কখনো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার না করলেও তাদের পারমাণবিক অস্ত্র আছে বলেই ধারণা করা হয়। ২০২৪ সালে তারা জেরিকো ক্ষেপণাস্ত্রের একটি প্রপালশন সিস্টেম পরীক্ষা করে, যা পারমাণবিক বহনে সক্ষম বলে মনে করা হয়। এ ছাড়া, তাদের ডিমোনা পারমাণবিক স্থাপনায়ও কিছু উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড চালানো হয়। এসব কর্মকা ইসরায়েলের পারমাণবিক সক্ষমতা আধুনিকীকরণের ইঙ্গিত দেয়।
এসআইপিআরআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তিসমূহের অনুপস্থিতি, কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং যুদ্ধোন্মুখ বক্তব্য বিশ্ব নিরাপত্তার জন্য এক গভীর হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। অস্ত্র প্রতিযোগিতা অব্যাহত থাকলে সামান্য উত্তেজনাও অপ্রত্যাশিত পারমাণবিক সংকটে রূপ নিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে পারমাণবিক অস্ত্র বাড়ানো এবং আধুনিকায়নের প্রবণতা রোধে কার্যকর কূটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
আরও খবর পড়ুন:

পারমাণবিক অস্ত্রধারী ৯ দেশ—রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, ফ্রান্স, উত্তর কোরিয়া, ভারত, পাকিস্তান এবং ইসরায়েল তাদের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার আধুনিকায়নে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেছে। পারমাণবিক অস্ত্র হ্রাসের দীর্ঘমেয়াদি ধারা ব্যাহত হয়ে বরং অস্ত্র বৃদ্ধি ও আধুনিকায়নের দিকে ঝুঁকছে দেশগুলো। সুইডেনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই উদ্বেগজনক বৈশ্বিক চিত্র।
এসআইপিআরআইয়ের প্রতিবেদন অনুসারে, জানুয়ারি ২০২৫-এর হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে মোট পারমাণবিক ওয়ারহেডের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে আনুমানিক ১২ হাজার ২৪১টি। এর মধ্যে ৯ হাজার ৬১৪টি রয়েছে সক্রিয় সামরিক মজুদের আওতায়, যা প্রয়োজনে ব্যবহারযোগ্য।
এ ছাড়া, প্রায় ৩ হাজার ৯১২টি ওয়ারহেড স্থাপন করা রয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান ব্যবস্থায় এবং প্রায় ২ হাজার ১০০টি রয়েছে ‘হাই অপারেশনাল অ্যালার্ট’-এ, অর্থাৎ, তাৎক্ষণিক ব্যবহারের উপযোগী। এসব অধিকতর সক্রিয় অস্ত্রের বেশির ভাগই রয়েছে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের অধীনে।
স্নায়ুযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা ধীরে ধীরে হ্রাস পেলেও বর্তমানে সেই প্রবণতা থেমে যাওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। বরং, নতুন ওয়ারহেড সংযোজন এবং পুরাতন অস্ত্রব্যবস্থার আধুনিকায়ন লক্ষণীয়ভাবে বেড়েছে। এসআইপিআরআইয়ের পারমাণবিক অস্ত্রবিষয়ক বিশেষজ্ঞ হ্যান্স এম. ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘পরমাণু অস্ত্র হ্রাসের যে যুগটি দীর্ঘকাল ধরে চলে আসছিল, তা শেষ হয়ে এসেছে। এখন আমরা প্রত্যক্ষ করছি অস্ত্রভান্ডার বৃদ্ধির সুস্পষ্ট প্রবণতা, কূটনৈতিক নিয়ন্ত্রণহীনতা এবং যুদ্ধোন্মুখ বক্তব্যের পুনরুত্থান।’
বিশ্বের প্রায় ৯০ শতাংশ পারমাণবিক অস্ত্রের মালিকানা রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের হাতে। যদিও ২০২৪ সালে তাদের অস্ত্রের সামরিক স্টকপাইল বা মজুত মোটামুটি অপরিবর্তিত ছিল, তবে দুই দেশই বিস্তৃত ও দীর্ঘমেয়াদি আধুনিকায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এসআইপিআরআইয়ের তথ্যমতে, পারমাণবিক ওয়ারহেডের হিসাবে সবচেয়ে এগিয়ে আছে রাশিয়া। দেশটির কাছে আছে ৪ হাজার ৪৭৯টি ওয়ারহেড। বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের আছে ৩ হাজার ৭০৮টি।
রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পর এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে চীন। সংস্থাটি বলছে, অবস্থানের দিক থেকে ৩ নম্বরে থাকলেও চীনের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি বর্তমানে বিশ্বের মধ্যে সর্বাধিক গতিশীল। এসআইপিআরআইয়ের অনুমান, ২০২৫ সালের শুরুতে চীনের ওয়ারহেড সংখ্যা অন্তত ৬০০। সত্যিই যদি এই পরিমাণ ওয়ারহেড বর্তমানে চীনের কাছে থেকে থাকে, তাহলে ২০২৩ সাল থেকে প্রতিবছর গড়ে ১০০টি ওয়ারহেড বাড়িয়েছে দেশটি।
দেশটি উত্তরাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের মরুভূমি ও পাহাড়ি এলাকায় ইতিমধ্যে প্রায় ৩৫০টি নতুন আইসিবিএম (ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল বা আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র) সাইলো নির্মাণ করেছে। চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে চীন ২০৩৫ সালের মধ্যে ১ হাজার ৫০০ ওয়ারহেড করবে।
তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে ফ্রান্স। দেশটির ভান্ডারে রয়েছে ২৯০টি ওয়ারহেড। ফ্রান্স ২০২৪ সালে তৃতীয় প্রজন্মের এসএসবিএন (ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম সাবমেরিন), নতুন ক্রুজ মিসাইল এবং উন্নত ব্যালিস্টিক মিসাইল ও ওয়ারহেড নির্মাণে অগ্রসর হয়েছে। এই আধুনিকায়নের উদ্দেশ্য পারমাণবিক প্রতিরোধক্ষমতাকে আরও কার্যকর ও নির্ভরযোগ্য করা। ফরাসি সরকার দীর্ঘ মেয়াদে ২০৪০ সালের পর পর্যন্ত এই সক্ষমতা বজায় রাখার লক্ষ্য নিয়েছে। তাদের নীতি অস্ত্রের সংখ্যা না বাড়িয়ে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ানো।
ফ্রান্সেরই পর অবস্থান যুক্তরাজ্যের। দেশটির কাছে রয়েছে ২২৫টি ওয়ারহেড। ২০২৪ সালে যুক্তরাজ্য চারটি নতুন ব্যালিস্টিক মিসাইল সাবমেরিন নির্মাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকলেও প্রকল্পটি বড় ধরনের আর্থিক ও প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। লেবার সরকার তাদের ‘কন্টিনিউয়াস অ্যাট-সি ডিটারেন্স’ নীতি বজায় রাখতে চায় এবং অস্ত্রভান্ডারের সীমা বাড়ানোর আগের পরিকল্পনা বহাল রেখেছে। তবে বাজেট ঘাটতি ও নির্মাণ জটিলতা এই প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব ঘটাতে পারে।

১৮০ ও ১৭০টি ওয়ারহেড নিয়ে তালিকার ষষ্ঠ ও সপ্তম স্থানে যথাক্রমে আছে ভারত ও পাকিস্তান। ভারত ২০২৪ সালে অস্ত্রের সংখ্যা সামান্য বাড়ায়েছে এবং নতুন ধরনের ‘ক্যানিস্টারাইজড’ ক্ষেপণাস্ত্র (মূলত একটি ক্ষেপণাস্ত্রকে কন্টেইনারে করে পরিবহনযোগ্য করে তোলা এবং সেই কন্টেইনারকেই ক্ষেপণাস্ত্রটির নিক্ষেপণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করার ধারণা নিয়েই তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে ক্যানিস্টারাইজড ক্ষেপণাস্ত্রকে) উন্নয়নে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যা ভবিষ্যতে একাধিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম হতে পারে। পাকিস্তান একই সঙ্গে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি উন্নয়ন ও ফিসাইল উপাদান সঞ্চয়ের মাধ্যমে অস্ত্রভান্ডার সম্প্রসারণের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার কাছে আছে প্রায় ৫০টি পারমাণবিক ওয়ারহেড এবং আরও ৪০টি বোমা তৈরির মতো ফিসাইল উপাদান তাদের হাতে রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সূত্র বলছে, দেশটি এখন একটি ‘ট্যাকটিক্যাল নিউক্লিয়ার অস্ত্র’ ব্যবস্থার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এ ধরনের অস্ত্র ক্ষুদ্র পরিসরে ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়, যা যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতে পারে। ২০২৪ সালের নভেম্বরে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ঘোষণা দেন যে, পারমাণবিক কর্মসূচিতে দেশটি ‘সীমাহীন সম্প্রসারণ’ চালিয়ে যাবে। এ ঘোষণার পর থেকে তারা পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদনে গতি বাড়িয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
তালিকায় সবার শেষে অবস্থান ইসরায়েলের। ইসরায়েল কখনো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার না করলেও তাদের পারমাণবিক অস্ত্র আছে বলেই ধারণা করা হয়। ২০২৪ সালে তারা জেরিকো ক্ষেপণাস্ত্রের একটি প্রপালশন সিস্টেম পরীক্ষা করে, যা পারমাণবিক বহনে সক্ষম বলে মনে করা হয়। এ ছাড়া, তাদের ডিমোনা পারমাণবিক স্থাপনায়ও কিছু উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড চালানো হয়। এসব কর্মকা ইসরায়েলের পারমাণবিক সক্ষমতা আধুনিকীকরণের ইঙ্গিত দেয়।
এসআইপিআরআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তিসমূহের অনুপস্থিতি, কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং যুদ্ধোন্মুখ বক্তব্য বিশ্ব নিরাপত্তার জন্য এক গভীর হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। অস্ত্র প্রতিযোগিতা অব্যাহত থাকলে সামান্য উত্তেজনাও অপ্রত্যাশিত পারমাণবিক সংকটে রূপ নিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে পারমাণবিক অস্ত্র বাড়ানো এবং আধুনিকায়নের প্রবণতা রোধে কার্যকর কূটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
আরও খবর পড়ুন:

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ওপর কানাডার কড়াকড়ির কারণে ভারতের আবেদনকারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে জানা গেছে। সরকারি তথ্য বলছে, একসময় পছন্দের গন্তব্য হলেও কানাডা এখন ভারতীয় শিক্ষার্থীদের কাছে সেই আকর্ষণ হারাচ্ছে।
৪৪ মিনিট আগে
মাত্র ২৫ বছর বয়সে নিজের নাম লাহোর হাইকোর্টের নথিতে দেখে খানিকটা শঙ্কিত হয়েছিলেন মাহনুর ওমর। কিন্তু ‘মাহনুর ওমর বনাম পাকিস্তান ফেডারেশন’ মামলার প্রথম শুনানি হওয়ার পর থেকেই রাওয়ালপিন্ডির এই তরুণ আইনজীবী আলোচনায় উঠে এসেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
গোলি কোহকান ইরানের অবহেলিত জাতিগোষ্ঠী বেলুচ সম্প্রদায়ের সদস্য। দেশটির মোট জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশ এই সম্প্রদায়ের। গোলি পরিচয়হীন একজন নারী। মাত্র ১২ বছর বয়সে নিজের চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি জানেন না কে চ্যাংপেং ঝাও। অথচ গত মাসেই তিনি এই ক্রিপ্টোকারেন্সি বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ীকে ক্ষমা করেছিলেন। রোববার (২ নভেম্বর) সম্প্রচারিত সিবিএস নিউজের ‘৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি ওই মন্তব্য করেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ওপর কানাডার কড়াকড়ির কারণে ভারতের আবেদনকারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে জানা গেছে। সরকারি তথ্য বলছে, একসময় পছন্দের গন্তব্য হলেও কানাডা এখন ভারতীয় শিক্ষার্থীদের কাছে সেই আকর্ষণ হারাচ্ছে। ২০২৫ সালের শুরুতে কানাডা পরপর দ্বিতীয় বছরের মতো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পারমিট বা ভিসার সংখ্যা কমিয়েছে, যা মূলত সাময়িক অভিবাসীদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও স্টুডেন্ট ভিসা জালিয়াতি ঠেকানোর বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া কানাডার অভিবাসন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের আগস্টে ভারতীয় আবেদনকারীদের প্রায় ৭৫ শতাংশের স্টুডেন্ট ভিসা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে (প্রতি ৪ জন আবেদনকারীর ৩ জনেরই বাতিল)। ২০২৩ সালের আগস্টে এই হার ছিল মাত্র ৩২ শতাংশ। তুলনামূলকভাবে একই সময়ে সামগ্রিকভাবে গড়ে ৪০ শতাংশ এবং চীনা শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ২৪ শতাংশ আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।
সরকারি তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের আগস্টে যেখানে ২০ হাজার ৯০০ ভারতীয় শিক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন, ২০২৫ সালের আগস্টে সে সংখ্যা নেমে এসেছে মাত্র ৪ হাজার ৫১৫ জনে।
গত এক দশক ধরে কানাডায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রধান উৎস ছিল ভারত। অথচ এখন ভারতীয় শিক্ষার্থীরাই হয়েছেন সবচেয়ে বেশি ভিসা প্রত্যাখ্যানের শিকার।
এই প্রত্যাখ্যানের ঢেউ এসেছে এমন সময়, যখন গত এক বছরের বেশি সময় ধরে কানাডা ও ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। ২০২৩ সালে কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভিযোগ করেছিলেন, ভারতের সরকার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সারে শহরে এক কানাডিয়ান নাগরিক হত্যাকাণ্ডে জড়িত। তবে ভারত বারবার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
২০২৩ সালে কানাডার অভিবাসন বিভাগ প্রায় ১ হাজার ৫৫০টি জাল আবেদনপত্র শনাক্ত করে, যার বেশির ভাগই এসেছিল ভারত থেকে। এরপর ২০২৪ সালে স্টুডেন্ট ভিসা যাচাইয়ে আরও শক্তিশালী ব্যবস্থা চালু করে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। ওই বছর প্রায় ১৪ হাজারের বেশি জাল আবেদনপত্র শনাক্ত করা হয়—যা সব দেশের আবেদনকারীদের মধ্যে পাওয়া গিয়েছিল। এ কারণে কানাডা এখন বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত যাচাইব্যবস্থা চালু করেছে এবং অর্থনৈতিক যোগ্যতার মানদণ্ডও বাড়িয়েছে।
এদিকে অটোয়ায় ভারতীয় দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের আবেদন প্রত্যাখ্যানের বিষয়টি তাদের নজরে এসেছে। স্টুডেন্ট ভিসা প্রদান সম্পূর্ণরূপে কানাডার নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তবে দূতাবাস বলেছে, বিশ্বের মানসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের অন্যতম উৎস ভারত। কানাডার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অতীতে এই প্রতিভা ও একাডেমিক উৎকর্ষতা থেকে ব্যাপকভাবে উপকৃত হয়েছে।
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনিতা আনন্দ গত অক্টোবরে ভারত সফরের সময় রয়টার্সকে বলেন, তাঁর সরকার অভিবাসনব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিয়ে উদ্বিগ্ন হলেও কানাডা চায় ভারতীয় শিক্ষার্থীরা যেন দেশটিতে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেন।
শিক্ষা–ভিসা সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান বর্ডার পাসের কর্মকর্তা মাইকেল পিয়েত্রোকার্লো বলেন, এখন আবেদনকারীদের ওপর আগের চেয়ে অনেক বেশি যাচাই-বাছাই চলছে। শুধু ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখানো এখন যথেষ্ট নয়, আবেদনকারীদের প্রমাণ করতে হচ্ছে টাকার উৎস কী।
কানাডার ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত তিন থেকে চার বছরে ভারতীয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা দুই-তৃতীয়াংশ কমে গেছে। এ ছাড়া রেজিনা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাসকাচেওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়েও ভারতীয় শিক্ষার্থী ভর্তির সংখ্যা কমেছে বলে জানা গেছে।
আন্তর্জাতিক শিখ ছাত্র সমিতির প্রতিষ্ঠাতা জসপ্রীত সিংহ যান্ত্রিক প্রকৌশলে পড়তে ২০১৫ সালে ভারত থেকে কানাডায় আসেন। তিনি বলেন, একসময় সরকার নতুনদের উদ্দেশে প্রচারণা চালাত—Study, Work, Stay (পড়ো, কাজ করো, থাকো)। কিন্তু এখন সেই মনোভাব একেবারে বদলে গেছে।
জসপ্রীত সিংহ আরও বলেন, ‘আমি জানি, প্রতারণা এখন বড় সমস্যা। তাই ভিসা প্রত্যাখ্যানের খবর শুনে অবাক হইনি। তবে কানাডায় স্থায়ীভাবে থাকা বা কাজ পাওয়া এখন এত কঠিন হয়ে গেছে যে, এটা ভেবেই এখন অনেকে খুশি।’

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ওপর কানাডার কড়াকড়ির কারণে ভারতের আবেদনকারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে জানা গেছে। সরকারি তথ্য বলছে, একসময় পছন্দের গন্তব্য হলেও কানাডা এখন ভারতীয় শিক্ষার্থীদের কাছে সেই আকর্ষণ হারাচ্ছে। ২০২৫ সালের শুরুতে কানাডা পরপর দ্বিতীয় বছরের মতো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পারমিট বা ভিসার সংখ্যা কমিয়েছে, যা মূলত সাময়িক অভিবাসীদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও স্টুডেন্ট ভিসা জালিয়াতি ঠেকানোর বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া কানাডার অভিবাসন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের আগস্টে ভারতীয় আবেদনকারীদের প্রায় ৭৫ শতাংশের স্টুডেন্ট ভিসা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে (প্রতি ৪ জন আবেদনকারীর ৩ জনেরই বাতিল)। ২০২৩ সালের আগস্টে এই হার ছিল মাত্র ৩২ শতাংশ। তুলনামূলকভাবে একই সময়ে সামগ্রিকভাবে গড়ে ৪০ শতাংশ এবং চীনা শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ২৪ শতাংশ আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।
সরকারি তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের আগস্টে যেখানে ২০ হাজার ৯০০ ভারতীয় শিক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন, ২০২৫ সালের আগস্টে সে সংখ্যা নেমে এসেছে মাত্র ৪ হাজার ৫১৫ জনে।
গত এক দশক ধরে কানাডায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রধান উৎস ছিল ভারত। অথচ এখন ভারতীয় শিক্ষার্থীরাই হয়েছেন সবচেয়ে বেশি ভিসা প্রত্যাখ্যানের শিকার।
এই প্রত্যাখ্যানের ঢেউ এসেছে এমন সময়, যখন গত এক বছরের বেশি সময় ধরে কানাডা ও ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। ২০২৩ সালে কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভিযোগ করেছিলেন, ভারতের সরকার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সারে শহরে এক কানাডিয়ান নাগরিক হত্যাকাণ্ডে জড়িত। তবে ভারত বারবার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
২০২৩ সালে কানাডার অভিবাসন বিভাগ প্রায় ১ হাজার ৫৫০টি জাল আবেদনপত্র শনাক্ত করে, যার বেশির ভাগই এসেছিল ভারত থেকে। এরপর ২০২৪ সালে স্টুডেন্ট ভিসা যাচাইয়ে আরও শক্তিশালী ব্যবস্থা চালু করে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। ওই বছর প্রায় ১৪ হাজারের বেশি জাল আবেদনপত্র শনাক্ত করা হয়—যা সব দেশের আবেদনকারীদের মধ্যে পাওয়া গিয়েছিল। এ কারণে কানাডা এখন বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত যাচাইব্যবস্থা চালু করেছে এবং অর্থনৈতিক যোগ্যতার মানদণ্ডও বাড়িয়েছে।
এদিকে অটোয়ায় ভারতীয় দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের আবেদন প্রত্যাখ্যানের বিষয়টি তাদের নজরে এসেছে। স্টুডেন্ট ভিসা প্রদান সম্পূর্ণরূপে কানাডার নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তবে দূতাবাস বলেছে, বিশ্বের মানসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের অন্যতম উৎস ভারত। কানাডার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অতীতে এই প্রতিভা ও একাডেমিক উৎকর্ষতা থেকে ব্যাপকভাবে উপকৃত হয়েছে।
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনিতা আনন্দ গত অক্টোবরে ভারত সফরের সময় রয়টার্সকে বলেন, তাঁর সরকার অভিবাসনব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিয়ে উদ্বিগ্ন হলেও কানাডা চায় ভারতীয় শিক্ষার্থীরা যেন দেশটিতে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেন।
শিক্ষা–ভিসা সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান বর্ডার পাসের কর্মকর্তা মাইকেল পিয়েত্রোকার্লো বলেন, এখন আবেদনকারীদের ওপর আগের চেয়ে অনেক বেশি যাচাই-বাছাই চলছে। শুধু ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখানো এখন যথেষ্ট নয়, আবেদনকারীদের প্রমাণ করতে হচ্ছে টাকার উৎস কী।
কানাডার ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত তিন থেকে চার বছরে ভারতীয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা দুই-তৃতীয়াংশ কমে গেছে। এ ছাড়া রেজিনা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাসকাচেওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়েও ভারতীয় শিক্ষার্থী ভর্তির সংখ্যা কমেছে বলে জানা গেছে।
আন্তর্জাতিক শিখ ছাত্র সমিতির প্রতিষ্ঠাতা জসপ্রীত সিংহ যান্ত্রিক প্রকৌশলে পড়তে ২০১৫ সালে ভারত থেকে কানাডায় আসেন। তিনি বলেন, একসময় সরকার নতুনদের উদ্দেশে প্রচারণা চালাত—Study, Work, Stay (পড়ো, কাজ করো, থাকো)। কিন্তু এখন সেই মনোভাব একেবারে বদলে গেছে।
জসপ্রীত সিংহ আরও বলেন, ‘আমি জানি, প্রতারণা এখন বড় সমস্যা। তাই ভিসা প্রত্যাখ্যানের খবর শুনে অবাক হইনি। তবে কানাডায় স্থায়ীভাবে থাকা বা কাজ পাওয়া এখন এত কঠিন হয়ে গেছে যে, এটা ভেবেই এখন অনেকে খুশি।’

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, ফ্রান্স, উত্তর কোরিয়া, ভারত, পাকিস্তান, ইসরায়েল, পারমাণবিক অস্ত্র
২৫ জুন ২০২৫
মাত্র ২৫ বছর বয়সে নিজের নাম লাহোর হাইকোর্টের নথিতে দেখে খানিকটা শঙ্কিত হয়েছিলেন মাহনুর ওমর। কিন্তু ‘মাহনুর ওমর বনাম পাকিস্তান ফেডারেশন’ মামলার প্রথম শুনানি হওয়ার পর থেকেই রাওয়ালপিন্ডির এই তরুণ আইনজীবী আলোচনায় উঠে এসেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
গোলি কোহকান ইরানের অবহেলিত জাতিগোষ্ঠী বেলুচ সম্প্রদায়ের সদস্য। দেশটির মোট জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশ এই সম্প্রদায়ের। গোলি পরিচয়হীন একজন নারী। মাত্র ১২ বছর বয়সে নিজের চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি জানেন না কে চ্যাংপেং ঝাও। অথচ গত মাসেই তিনি এই ক্রিপ্টোকারেন্সি বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ীকে ক্ষমা করেছিলেন। রোববার (২ নভেম্বর) সম্প্রচারিত সিবিএস নিউজের ‘৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি ওই মন্তব্য করেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মাত্র ২৫ বছর বয়সে নিজের নাম লাহোর হাইকোর্টের নথিতে দেখে খানিকটা শঙ্কিত হয়েছিলেন মাহনুর ওমর। কিন্তু ‘মাহনুর ওমর বনাম পাকিস্তান ফেডারেশন’ মামলার প্রথম শুনানি হওয়ার পর থেকেই রাওয়ালপিন্ডির এই তরুণ আইনজীবী আলোচনায় উঠে এসেছেন। তিনি পাকিস্তানের তথাকথিত ‘পিরিয়ড ট্যাক্স’ এর বিরুদ্ধে লড়ছেন, যা নারীদের জন্য অত্যন্ত অন্যায্য এক ব্যবস্থা হিসেবে সমালোচিত।
সোমবার (৩ নভেম্বর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, পাকিস্তানে স্যানিটারি প্যাডের ওপর আরোপিত উচ্চ কর ও শুল্কের কারণে এসব পণ্য অনেক নারীর নাগালের বাইরে। ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, এসব কর পণ্যের খুচরা দামে প্রায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি ঘটায়। এক জরিপে দেখা গেছে, গ্রামীণ নারীদের মাত্র ১৬.২ শতাংশ নিয়মিত প্যাড ব্যবহার করতে পারেন। অথচ দেশটির সরকার ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে গবাদিপশুর বীর্য, দুধ ও চিজের মতো জিনিসকে করমুক্ত করেছে। আর নারীদের ঋতুকালীন স্বাস্থ্যরক্ষার পণ্যগুলোকে বিলাসদ্রব্য হিসেবে করের আওতায় রেখেছে।
ওমর প্রশ্ন তুলেছেন, ‘যখন দেশে নারী মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও জন প্রতিনিধিরা রয়েছেন, তখন কীভাবে এমন লিঙ্গ-অন্ধ নীতি প্রশ্নহীনভাবে পাস হয়? এটা যদি ভুলেও হয়ে থাকে, তবুও সংশোধন জরুরি।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও ইউনিসেফ বলছে, মাসিক স্বাস্থ্য একটি মানবাধিকারের অংশ। কিন্তু পাকিস্তানে গরিব নারী ও স্কুলছাত্রীদের জন্য এটি এখনো কষ্টকর বাস্তবতা।
ওমরের মামলায় সহায়তা দিচ্ছে ‘মাহওয়ারি জাস্টিস’ নামে একটি তরুণ নেতৃত্বাধীন সংগঠন যা ঋতুচক্রকালীন স্বাস্থ্য শিক্ষা দেয় ও দরিদ্র নারীদের মধ্যে স্যানিটারি পণ্য বিতরণ করে। ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যার পর সংগঠনটি গড়ে ওঠে। কারণ সে সময় হাজারো নারী নিরাপদ বিকল্পের অভাবে নোংরা কাপড় ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছিলেন।
আইনজীবী আহসান জেহাঙ্গির খানের মতে, ‘নারীদের একটি জৈবিক প্রক্রিয়ার জন্য কর আরোপ করা মানে তাদের মর্যাদা হরণ করা।’ গবেষণায় দেখা গেছে, পাকিস্তানে প্রতি পাঁচজন মেয়ের একজন মাসিকের সময় স্কুল মিস করে। এ ছাড়া, অপরিচ্ছন্ন কাপড় ব্যবহারে সংক্রমণ ও প্রজনন সমস্যার ঝুঁকি দ্বিগুণ হয়।
সরকার এখনো মামলাটির জবাব দেয়নি। তবে মাহনুর ওমরের আশা—রায় যদি অনুকূলে আসে, তাহলে শুধু প্যাডের দামই কমবে না, বরং পাকিস্তানি সমাজে নারীদের ঋতুচক্র নিয়ে ট্যাবু ও নীরবতার সংস্কৃতিও ভাঙবে। তিনি বলেন, ‘সমস্যা মাসিক নয়, বরং সমাজের সেই নীরবতা, যা এটিকে অদৃশ্য করে রেখেছে।’

মাত্র ২৫ বছর বয়সে নিজের নাম লাহোর হাইকোর্টের নথিতে দেখে খানিকটা শঙ্কিত হয়েছিলেন মাহনুর ওমর। কিন্তু ‘মাহনুর ওমর বনাম পাকিস্তান ফেডারেশন’ মামলার প্রথম শুনানি হওয়ার পর থেকেই রাওয়ালপিন্ডির এই তরুণ আইনজীবী আলোচনায় উঠে এসেছেন। তিনি পাকিস্তানের তথাকথিত ‘পিরিয়ড ট্যাক্স’ এর বিরুদ্ধে লড়ছেন, যা নারীদের জন্য অত্যন্ত অন্যায্য এক ব্যবস্থা হিসেবে সমালোচিত।
সোমবার (৩ নভেম্বর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, পাকিস্তানে স্যানিটারি প্যাডের ওপর আরোপিত উচ্চ কর ও শুল্কের কারণে এসব পণ্য অনেক নারীর নাগালের বাইরে। ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, এসব কর পণ্যের খুচরা দামে প্রায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি ঘটায়। এক জরিপে দেখা গেছে, গ্রামীণ নারীদের মাত্র ১৬.২ শতাংশ নিয়মিত প্যাড ব্যবহার করতে পারেন। অথচ দেশটির সরকার ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে গবাদিপশুর বীর্য, দুধ ও চিজের মতো জিনিসকে করমুক্ত করেছে। আর নারীদের ঋতুকালীন স্বাস্থ্যরক্ষার পণ্যগুলোকে বিলাসদ্রব্য হিসেবে করের আওতায় রেখেছে।
ওমর প্রশ্ন তুলেছেন, ‘যখন দেশে নারী মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও জন প্রতিনিধিরা রয়েছেন, তখন কীভাবে এমন লিঙ্গ-অন্ধ নীতি প্রশ্নহীনভাবে পাস হয়? এটা যদি ভুলেও হয়ে থাকে, তবুও সংশোধন জরুরি।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও ইউনিসেফ বলছে, মাসিক স্বাস্থ্য একটি মানবাধিকারের অংশ। কিন্তু পাকিস্তানে গরিব নারী ও স্কুলছাত্রীদের জন্য এটি এখনো কষ্টকর বাস্তবতা।
ওমরের মামলায় সহায়তা দিচ্ছে ‘মাহওয়ারি জাস্টিস’ নামে একটি তরুণ নেতৃত্বাধীন সংগঠন যা ঋতুচক্রকালীন স্বাস্থ্য শিক্ষা দেয় ও দরিদ্র নারীদের মধ্যে স্যানিটারি পণ্য বিতরণ করে। ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যার পর সংগঠনটি গড়ে ওঠে। কারণ সে সময় হাজারো নারী নিরাপদ বিকল্পের অভাবে নোংরা কাপড় ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছিলেন।
আইনজীবী আহসান জেহাঙ্গির খানের মতে, ‘নারীদের একটি জৈবিক প্রক্রিয়ার জন্য কর আরোপ করা মানে তাদের মর্যাদা হরণ করা।’ গবেষণায় দেখা গেছে, পাকিস্তানে প্রতি পাঁচজন মেয়ের একজন মাসিকের সময় স্কুল মিস করে। এ ছাড়া, অপরিচ্ছন্ন কাপড় ব্যবহারে সংক্রমণ ও প্রজনন সমস্যার ঝুঁকি দ্বিগুণ হয়।
সরকার এখনো মামলাটির জবাব দেয়নি। তবে মাহনুর ওমরের আশা—রায় যদি অনুকূলে আসে, তাহলে শুধু প্যাডের দামই কমবে না, বরং পাকিস্তানি সমাজে নারীদের ঋতুচক্র নিয়ে ট্যাবু ও নীরবতার সংস্কৃতিও ভাঙবে। তিনি বলেন, ‘সমস্যা মাসিক নয়, বরং সমাজের সেই নীরবতা, যা এটিকে অদৃশ্য করে রেখেছে।’

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, ফ্রান্স, উত্তর কোরিয়া, ভারত, পাকিস্তান, ইসরায়েল, পারমাণবিক অস্ত্র
২৫ জুন ২০২৫
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ওপর কানাডার কড়াকড়ির কারণে ভারতের আবেদনকারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে জানা গেছে। সরকারি তথ্য বলছে, একসময় পছন্দের গন্তব্য হলেও কানাডা এখন ভারতীয় শিক্ষার্থীদের কাছে সেই আকর্ষণ হারাচ্ছে।
৪৪ মিনিট আগে
গোলি কোহকান ইরানের অবহেলিত জাতিগোষ্ঠী বেলুচ সম্প্রদায়ের সদস্য। দেশটির মোট জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশ এই সম্প্রদায়ের। গোলি পরিচয়হীন একজন নারী। মাত্র ১২ বছর বয়সে নিজের চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি জানেন না কে চ্যাংপেং ঝাও। অথচ গত মাসেই তিনি এই ক্রিপ্টোকারেন্সি বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ীকে ক্ষমা করেছিলেন। রোববার (২ নভেম্বর) সম্প্রচারিত সিবিএস নিউজের ‘৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি ওই মন্তব্য করেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইরানে স্বামীকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক বালিকাবধূর প্রাণ বাঁচাতে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ১০০ কোটি তুমান (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা) জোগাড় করতে হবে। নইলে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে ২৫ বছর বয়সী গোলি কোহকান নামের এই নারী সাত বছর ধরে উত্তর ইরানের গোরগান কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ডের অপেক্ষায়। ২০১৮ সালের মে মাসে ১৮ বছর বয়সে স্বামীকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। পরে আদালত তাঁকে ‘কিসাস’ (প্রতিশোধমূলক শাস্তি) আইনে মৃত্যুদণ্ড দেন।
গোলি কোহকান ইরানের অবহেলিত জাতিগোষ্ঠী বেলুচ সম্প্রদায়ের সদস্য। দেশটির মোট জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশ এই সম্প্রদায়ের। গোলি পরিচয়হীন একজন নারী। মাত্র ১২ বছর বয়সে নিজের চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। এরপর ১৩ বছর বয়সে তিনি গর্ভবতী হন এবং এক ছেলের জন্ম দেন।
২০১৮ সালের মে মাসে ঘটনার দিন গোলি দেখতে পান, তাঁর স্বামী পাঁচ বছরের ছেলেকে মারধর করছেন। তখন তিনি চাচাতো ভাইকে ফোন করে সাহায্য চান। তাঁর চাচাতো ভাই এসে পৌঁছালে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। হাতাহাতির একপর্যায়ে গোলির স্বামী নিহত হন। পরে গোলি নিজেই অ্যাম্বুলেন্স ডাকেন ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান।
স্থানীয় পুলিশ এসে আইনজীবী ছাড়াই গোলিকে জোর করে স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করে। নিরক্ষর গোলি জেরার চাপে জবানবন্দিতে সই করে হত্যার দায় স্বীকার করেন, যা পরে তাঁর মৃত্যুদণ্ডের ভিত্তি হয়।
মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, গোলির মামলা ইরানে নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতীক। দেশটিতে বাল্যবিবাহ বৈধ ও পারিবারিক সহিংসতার বিরুদ্ধে আইনি সুরক্ষা নেই বললেই চলে।
নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ইরান হিউম্যান রাইটসের (আইএইচআর) পরিচালক মাহমুদ আমিরি-মোগাদ্দাম বলেন, গোলি সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর একজন দরিদ্র নারী। সমাজের সবচেয়ে দুর্বল অংশের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। তাঁর শাস্তি ইরানি কর্তৃপক্ষের ভয় সৃষ্টির হাতিয়ার ও বৈষম্যমূলক আইনের বাস্তব উদাহরণ।
আইএইচআর জানিয়েছে, গোলি দীর্ঘ সময় ধরে তাঁর স্বামী কর্তৃক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। একবার স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে তিনি বাবার বাড়িতে ফিরে যান। তখন তাঁর বাবা বলেন, ‘আমি মেয়েকে সাদা পোশাকে (বিয়ের সময়) বিদায় দিয়েছি, এখন সে শুধু কাফনের কাপড়েই ফিরতে পারবে।’
ইরানি আইনে হত্যা মামলায় ভুক্তভোগীর পরিবার চাইলে ‘দিয়াহ’ বা রক্তঋণ নিয়ে আসামিকে ক্ষমা করতে পারে। জানা গেছে, কারাগার কর্তৃপক্ষ গোলির স্বামীর পরিবারকে রাজি করিয়েছে। এখন গোলি যদি ১০০ কোটি তুমান পরিশোধ করেন এবং গোরগান শহর ছেড়ে চলে যান, তবে তাঁর সাজা মওকুফ হবে।
তবে শর্ত অনুযায়ী, মুক্তি পেলেও গোলি তাঁর ১১ বছর বয়সী ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারবেন না। ছেলেটিকে বর্তমানে তাঁর দাদা-দাদির কাছে রাখা হয়েছে।
ইরানে নারীর অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ব্রামশের (Bramsh) সদস্য জিবা বাক্তিয়ারি বলেন, গোলি কোহকানের ঘটনা নতুন নয়। বেলুচ নারীদের পাশাপাশি ইরানের অধিকাংশ নারীই এমন নির্যাতনের শিকার। তাঁদের কথা কেউ জানে না, কেউ শোনে না। দারিদ্র্যের কারণে পরিবারগুলো মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দেয়। তারপরই তাদের জীবনে নেমে আসে এমন নির্যাতন।

ইরানে স্বামীকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক বালিকাবধূর প্রাণ বাঁচাতে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ১০০ কোটি তুমান (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা) জোগাড় করতে হবে। নইলে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে ২৫ বছর বয়সী গোলি কোহকান নামের এই নারী সাত বছর ধরে উত্তর ইরানের গোরগান কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ডের অপেক্ষায়। ২০১৮ সালের মে মাসে ১৮ বছর বয়সে স্বামীকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। পরে আদালত তাঁকে ‘কিসাস’ (প্রতিশোধমূলক শাস্তি) আইনে মৃত্যুদণ্ড দেন।
গোলি কোহকান ইরানের অবহেলিত জাতিগোষ্ঠী বেলুচ সম্প্রদায়ের সদস্য। দেশটির মোট জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশ এই সম্প্রদায়ের। গোলি পরিচয়হীন একজন নারী। মাত্র ১২ বছর বয়সে নিজের চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। এরপর ১৩ বছর বয়সে তিনি গর্ভবতী হন এবং এক ছেলের জন্ম দেন।
২০১৮ সালের মে মাসে ঘটনার দিন গোলি দেখতে পান, তাঁর স্বামী পাঁচ বছরের ছেলেকে মারধর করছেন। তখন তিনি চাচাতো ভাইকে ফোন করে সাহায্য চান। তাঁর চাচাতো ভাই এসে পৌঁছালে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। হাতাহাতির একপর্যায়ে গোলির স্বামী নিহত হন। পরে গোলি নিজেই অ্যাম্বুলেন্স ডাকেন ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান।
স্থানীয় পুলিশ এসে আইনজীবী ছাড়াই গোলিকে জোর করে স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করে। নিরক্ষর গোলি জেরার চাপে জবানবন্দিতে সই করে হত্যার দায় স্বীকার করেন, যা পরে তাঁর মৃত্যুদণ্ডের ভিত্তি হয়।
মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, গোলির মামলা ইরানে নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতীক। দেশটিতে বাল্যবিবাহ বৈধ ও পারিবারিক সহিংসতার বিরুদ্ধে আইনি সুরক্ষা নেই বললেই চলে।
নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ইরান হিউম্যান রাইটসের (আইএইচআর) পরিচালক মাহমুদ আমিরি-মোগাদ্দাম বলেন, গোলি সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর একজন দরিদ্র নারী। সমাজের সবচেয়ে দুর্বল অংশের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। তাঁর শাস্তি ইরানি কর্তৃপক্ষের ভয় সৃষ্টির হাতিয়ার ও বৈষম্যমূলক আইনের বাস্তব উদাহরণ।
আইএইচআর জানিয়েছে, গোলি দীর্ঘ সময় ধরে তাঁর স্বামী কর্তৃক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। একবার স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে তিনি বাবার বাড়িতে ফিরে যান। তখন তাঁর বাবা বলেন, ‘আমি মেয়েকে সাদা পোশাকে (বিয়ের সময়) বিদায় দিয়েছি, এখন সে শুধু কাফনের কাপড়েই ফিরতে পারবে।’
ইরানি আইনে হত্যা মামলায় ভুক্তভোগীর পরিবার চাইলে ‘দিয়াহ’ বা রক্তঋণ নিয়ে আসামিকে ক্ষমা করতে পারে। জানা গেছে, কারাগার কর্তৃপক্ষ গোলির স্বামীর পরিবারকে রাজি করিয়েছে। এখন গোলি যদি ১০০ কোটি তুমান পরিশোধ করেন এবং গোরগান শহর ছেড়ে চলে যান, তবে তাঁর সাজা মওকুফ হবে।
তবে শর্ত অনুযায়ী, মুক্তি পেলেও গোলি তাঁর ১১ বছর বয়সী ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারবেন না। ছেলেটিকে বর্তমানে তাঁর দাদা-দাদির কাছে রাখা হয়েছে।
ইরানে নারীর অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ব্রামশের (Bramsh) সদস্য জিবা বাক্তিয়ারি বলেন, গোলি কোহকানের ঘটনা নতুন নয়। বেলুচ নারীদের পাশাপাশি ইরানের অধিকাংশ নারীই এমন নির্যাতনের শিকার। তাঁদের কথা কেউ জানে না, কেউ শোনে না। দারিদ্র্যের কারণে পরিবারগুলো মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দেয়। তারপরই তাদের জীবনে নেমে আসে এমন নির্যাতন।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, ফ্রান্স, উত্তর কোরিয়া, ভারত, পাকিস্তান, ইসরায়েল, পারমাণবিক অস্ত্র
২৫ জুন ২০২৫
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ওপর কানাডার কড়াকড়ির কারণে ভারতের আবেদনকারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে জানা গেছে। সরকারি তথ্য বলছে, একসময় পছন্দের গন্তব্য হলেও কানাডা এখন ভারতীয় শিক্ষার্থীদের কাছে সেই আকর্ষণ হারাচ্ছে।
৪৪ মিনিট আগে
মাত্র ২৫ বছর বয়সে নিজের নাম লাহোর হাইকোর্টের নথিতে দেখে খানিকটা শঙ্কিত হয়েছিলেন মাহনুর ওমর। কিন্তু ‘মাহনুর ওমর বনাম পাকিস্তান ফেডারেশন’ মামলার প্রথম শুনানি হওয়ার পর থেকেই রাওয়ালপিন্ডির এই তরুণ আইনজীবী আলোচনায় উঠে এসেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি জানেন না কে চ্যাংপেং ঝাও। অথচ গত মাসেই তিনি এই ক্রিপ্টোকারেন্সি বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ীকে ক্ষমা করেছিলেন। রোববার (২ নভেম্বর) সম্প্রচারিত সিবিএস নিউজের ‘৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি ওই মন্তব্য করেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি জানেন না কে চ্যাংপেং ঝাও। অথচ গত মাসেই তিনি এই ক্রিপ্টোকারেন্সি বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ীকে ক্ষমা করেছিলেন। রোববার (২ নভেম্বর) সম্প্রচারিত সিবিএস নিউজের ‘৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি ওই মন্তব্য করেন।
এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, চ্যাংপেং ঝাও ২০২৩ সালে অর্থপাচারে সহযোগিতা করার অভিযোগে দোষ স্বীকার করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে তিনি চার মাস কারাভোগও করেন এবং নিজ প্রতিষ্ঠিত ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ ‘বাইন্যান্স’ এর প্রধান নির্বাহী পদ থেকেও সরে দাঁড়ান।
সাম্প্রতিক সময়ে ঝাওয়ের কোম্পানিগুলো ট্রাম্প–সংশ্লিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে নতুন ডিজিটাল মুদ্রা প্রকল্পে কাজ করছে। এর মধ্যে ডোমিনারি হোল্ডিংস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের বোর্ড অব অ্যাডভাইজার্সে ট্রাম্পের দুই ছেলে রয়েছেন, যা ট্রাম্প টাওয়ারেই অবস্থিত।
সাক্ষাৎকারে সাংবাদিক নোরা ও’ডনেল জানতে চান—সরকার যখন ঝাওয়ের কর্মকাণ্ডকে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর বলেছে, তখন কেন ট্রাম্প তাঁকে ক্ষমা করলেন? জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি জানিই না উনি কে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি তাঁর সঙ্গে কখনো দেখা করেছি বলে মনে পড়ে না। কেউ আমাকে বলেছিল, তিনি বাইডেন প্রশাসনের উইচ হান্টের শিকার।’
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিপ্টোকারেন্সি শিল্পে নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন। তাঁর মতে, যুক্তরাষ্ট্র যদি এই খাতে নেতৃত্ব না দেয়, তবে চীনসহ প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো এগিয়ে যাবে।
এদিকে ট্রাম্পের ক্ষমার মাধ্যমে ঝাওয়ের ওপর আর্থিক ব্যবসা পরিচালনায় থাকা নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও, বাইন্যান্সে তাঁর ভূমিকা কীভাবে প্রভাবিত হবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানান, ক্রিপটোকারেন্সির বিরুদ্ধে যুদ্ধের অংশ হিসেবে ঝাওয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল বাইডেন প্রশাসন। তিনি বলেন, ‘এটি ছিল বাড়াবাড়ি রকমের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা। প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্প) এটি সাংবিধানিক ক্ষমতার প্রয়োগের মাধ্যমে সংশোধন করেছেন।’
উল্লেখ্য, বাইন্যান্স বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যবহৃত ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ। ট্রাম্প প্রশাসন অতীতেও ক্রিপটো উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে মামলা স্থগিত করেছে। এর মধ্যে বিটমেক্স প্রতিষ্ঠাতারা সহ ‘সিল্ক রোড’-এর প্রতিষ্ঠাতা রস উলব্রিক্টও তাঁর ক্ষমা পেয়েছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি জানেন না কে চ্যাংপেং ঝাও। অথচ গত মাসেই তিনি এই ক্রিপ্টোকারেন্সি বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ীকে ক্ষমা করেছিলেন। রোববার (২ নভেম্বর) সম্প্রচারিত সিবিএস নিউজের ‘৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি ওই মন্তব্য করেন।
এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, চ্যাংপেং ঝাও ২০২৩ সালে অর্থপাচারে সহযোগিতা করার অভিযোগে দোষ স্বীকার করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে তিনি চার মাস কারাভোগও করেন এবং নিজ প্রতিষ্ঠিত ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ ‘বাইন্যান্স’ এর প্রধান নির্বাহী পদ থেকেও সরে দাঁড়ান।
সাম্প্রতিক সময়ে ঝাওয়ের কোম্পানিগুলো ট্রাম্প–সংশ্লিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে নতুন ডিজিটাল মুদ্রা প্রকল্পে কাজ করছে। এর মধ্যে ডোমিনারি হোল্ডিংস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের বোর্ড অব অ্যাডভাইজার্সে ট্রাম্পের দুই ছেলে রয়েছেন, যা ট্রাম্প টাওয়ারেই অবস্থিত।
সাক্ষাৎকারে সাংবাদিক নোরা ও’ডনেল জানতে চান—সরকার যখন ঝাওয়ের কর্মকাণ্ডকে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর বলেছে, তখন কেন ট্রাম্প তাঁকে ক্ষমা করলেন? জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি জানিই না উনি কে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি তাঁর সঙ্গে কখনো দেখা করেছি বলে মনে পড়ে না। কেউ আমাকে বলেছিল, তিনি বাইডেন প্রশাসনের উইচ হান্টের শিকার।’
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিপ্টোকারেন্সি শিল্পে নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন। তাঁর মতে, যুক্তরাষ্ট্র যদি এই খাতে নেতৃত্ব না দেয়, তবে চীনসহ প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো এগিয়ে যাবে।
এদিকে ট্রাম্পের ক্ষমার মাধ্যমে ঝাওয়ের ওপর আর্থিক ব্যবসা পরিচালনায় থাকা নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও, বাইন্যান্সে তাঁর ভূমিকা কীভাবে প্রভাবিত হবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানান, ক্রিপটোকারেন্সির বিরুদ্ধে যুদ্ধের অংশ হিসেবে ঝাওয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল বাইডেন প্রশাসন। তিনি বলেন, ‘এটি ছিল বাড়াবাড়ি রকমের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা। প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্প) এটি সাংবিধানিক ক্ষমতার প্রয়োগের মাধ্যমে সংশোধন করেছেন।’
উল্লেখ্য, বাইন্যান্স বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যবহৃত ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ। ট্রাম্প প্রশাসন অতীতেও ক্রিপটো উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে মামলা স্থগিত করেছে। এর মধ্যে বিটমেক্স প্রতিষ্ঠাতারা সহ ‘সিল্ক রোড’-এর প্রতিষ্ঠাতা রস উলব্রিক্টও তাঁর ক্ষমা পেয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, ফ্রান্স, উত্তর কোরিয়া, ভারত, পাকিস্তান, ইসরায়েল, পারমাণবিক অস্ত্র
২৫ জুন ২০২৫
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ওপর কানাডার কড়াকড়ির কারণে ভারতের আবেদনকারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে জানা গেছে। সরকারি তথ্য বলছে, একসময় পছন্দের গন্তব্য হলেও কানাডা এখন ভারতীয় শিক্ষার্থীদের কাছে সেই আকর্ষণ হারাচ্ছে।
৪৪ মিনিট আগে
মাত্র ২৫ বছর বয়সে নিজের নাম লাহোর হাইকোর্টের নথিতে দেখে খানিকটা শঙ্কিত হয়েছিলেন মাহনুর ওমর। কিন্তু ‘মাহনুর ওমর বনাম পাকিস্তান ফেডারেশন’ মামলার প্রথম শুনানি হওয়ার পর থেকেই রাওয়ালপিন্ডির এই তরুণ আইনজীবী আলোচনায় উঠে এসেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
গোলি কোহকান ইরানের অবহেলিত জাতিগোষ্ঠী বেলুচ সম্প্রদায়ের সদস্য। দেশটির মোট জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশ এই সম্প্রদায়ের। গোলি পরিচয়হীন একজন নারী। মাত্র ১২ বছর বয়সে নিজের চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগে