
এই যে দিন-রাত হয়, আর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হয় তাপমাত্রার তারতম্য, কিংবা একেক মৌসুমে একেক তাপমাত্রা বা বিভিন্ন উচ্চতায় বিভিন্ন তাপ-চাপের মুখোমুখি হয়েও টিকে আছে মানুষ, এর মূল সূত্রটি কোথায়? তাপমাত্রা, চাপ বা অন্য কোনো শক্তির উপস্থিতিতে মানুষের স্নায়ুতন্ত্র কীভাবে সাড়া দেয়, যা মানুষকে বিভিন্ন বিচিত্র পরিবেশে টিকে থাকতে সহায়তা করে। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করেছেন মার্কিন দুই বিজ্ঞানী ডেভিড জুলিয়াস ও আহডেম পাটাপোশিয়ান। আর এতেই এবার চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন তাঁরা।
নোবেল কমিটি আজ সোমবার চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করে। এ সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তিতে নোবেল কমিটি জানায়, ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত নোবেল কমিটির বৈঠকে আজ মার্কিন বিজ্ঞানী ডেভিড জুলিয়াস ও আহডেম পাটাপোশিয়ানকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে তাঁদের গবেষণা দারুণভাবে এগিয়ে দিয়েছে আমাদের। মানুষের শরীরে কোন স্নায়ু তাপমাত্রা ও স্পর্শের অনুভূতি গ্রহণে কাজ করে, তা তাঁরা আবিষ্কার করেছেন।
মানুষের বেঁচে থাকার জন্য ঠান্ডা-গরমের অনুভূতি যেমন, তেমনি স্পর্শের অনুভূতি যথাযথ হওয়াটা ভীষণভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই অনুভূতির ওপরই নির্ভর করে পৃথিবীর সঙ্গে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে। প্রতিদিনের জীবনযাপনে এই অনুভূতিগুলোকে আলাদাভাবে চেনার তেমন সুযোগ থাকে না। কারণ, এগুলো এতই স্বাভাবিক বিষয় হয়ে উঠেছে যে, এর উপস্থিতি আলাদাভাবে বোঝার আর উপায় থাকে না। কিন্তু এই অনুভূতি মানুষের স্নায়ু কীভাবে শনাক্ত করে? এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েই এবার নোবেল পুরস্কার জিতে নিয়েছেন এই দুই বিজ্ঞানী।
ডেভিড জুলিয়াস মরিচের তীব্র গন্ধযুক্ত ক্যাপাসাইসিন পদার্থের মাধ্যমে সেই স্নায়ুকে খুঁজে বের করেন, যা ঝাল বা জ্বলুনির অনুভূতি জাগায়। এর মাধ্যমে তিনি তাপীয় পরিবর্তনের কারণে শরীরে সৃষ্ট সংবেদনের সঙ্গে জড়িত স্নায়ুকে শনাক্ত করেন। আর আহডেম পাটাপোশিয়ান চাপ সংবেদনশীল কোষের মাধ্যমে ত্বকের সেই সংবেদনশীল স্নায়ুকে খুঁজে বের করেন, যা যেকোনো চাপ বা যান্ত্রিক উদ্দীপনায় সাড়া দেয়। এই স্নায়ু এত দিন অজ্ঞাত ছিল। এই দুই আবিষ্কার যান্ত্রিক উদ্দীপনা, চাপ, তাপ ইত্যাদির পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট সংবেদ শনাক্তের সঙ্গে জড়িত স্নায়বিক ব্যবস্থা শনাক্ত করতে সহায়তা করে। এই দুই বিজ্ঞানী পরিবেশ ও মানুষের অনুভূতির মধ্যে বিদ্যমান সেই নিখোঁজ আন্তসংযোগকে খুঁজে করেছেন, যা শনাক্তের জন্য বিস্তর গবেষণা করেছেন বিজ্ঞানীরা।
মানুষের পৃথিবীর অন্যতম রহস্যজনক বিষয় ছিল পরিবেশকে অনুধাবনের প্রক্রিয়া। মানুষ কীভাবে তার চারপাশের পরিবেশকে অনুধাবন করে, তা এত দিন অজ্ঞাত ছিল। নোবেল কমিটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই সংবেদ প্রক্রিয়াটি নিয়ে মানুষের আগ্রহ ছিল দীর্ঘদিন। হাজার বছর আগে থেকেই মানুষ এটি বুঝতে চেষ্টা করেছে। চোখ কীভাবে আলোর দেখা পায়, শব্দ কীভাবে মানুষের কর্ণকুহরে প্রবেশ করে, কীভাবে নাক এত এত গন্ধ শনাক্ত করে, আর মুখ এত স্বাদ কোথা থেকে পায়—এই সবই রহস্য হয়ে ছিল। একে একে এই সব রহস্যের সমাধান করেছে মানুষ। কিন্তু গ্রীষ্মের দুপুরে খালি পায়ে পথে হাঁটার সময় তাপ কীভাবে অনুভূত হয়, বা গরম হাওয়া কীভাবে নাড়া দিয়ে যায় আমাদের, কিংবা খসখসে ঘাস কীভাবে পায়ের তলাকে বুঝিয়ে দিয়ে যায় তার খরতা, এর উত্তর এত দিন মিলছিল না। কিন্তু চারপাশের পরিবেশের সঙ্গে মানুষের মানিয়ে নেওয়ার বিষয়টি এই প্রশ্নগুলোর উত্তরের সঙ্গে সরাসরি জড়িত।
সতেরো শতকে দার্শনিক রেনে দেকার্ত ধারণা করেছিলেন, শরীরের বিভিন্ন অংশের ত্বকের সঙ্গে মস্তিষ্কের সংযোগ রয়েছে। যেমন, পা যদি কোনো উত্তপ্ত স্থান স্পর্শ করে, তবে সেখান থেকে মস্তিষ্কে এই উত্তাপ সম্পর্কে বার্তা যাবে। পরে সংবেদনশীল নিউরনের অস্তিত্ব আবিষ্কৃত হয়, যা পরিবেশে হওয়া বিভিন্ন পরিবর্তন শনাক্ত করতে পারে। ১৯৪৪ সালে জোসেফ আরলেঙ্গার ও হার্বার্ট গ্যাসার এমন সংবেদনশীল স্নায়ুর অস্তিত্ব আবিষ্কার করে নোবেল পুরস্কার পান। সেই সময় থেকে এই স্নায়ু কোষগুলোকেই এ ধরনের অনুভূতি শনাক্তের জন্য বিশেষায়িত বলে মনে করা হতো। কিন্তু তারপরও তাপমাত্রাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সংবেদ তৈরির প্রক্রিয়াটি অজ্ঞাত থেকে গিয়েছিল। এই বিষয়টিই আবিষ্কার করে এবার নোবেল জয় করলেন ডেভিড জুলিয়াস ও আহডেম পাটাপোশিয়ান।
ডেভিড জুলিয়াস ১৯৯০-এর দশকে মরিচে থাকা রাসায়নিক উপাদান ক্যাপসাইসিনের কারণে স্নায়ুকোষে সৃষ্ট সংবেদন নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সান ফ্রান্সেসকোয় তিনি ও তাঁর সহকর্মীরা উত্তাপ, যন্ত্রণা বা স্পর্শের অনুভূতির সঙ্গে যুক্ত জিনগুলো নিয়ে কাজ শুরু করেন। তাঁরা এ সম্পর্কিত একটি ডিএনএ লাইব্রেরি নিয়ে করেন। আর এর মধ্য থেকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন সেই প্রোটিন অণু, যা ক্যাপসাইসিনের কারণে সৃষ্ট সংবেদ শনাক্তের সঙ্গে যুক্ত। এভাবে ভয়াবহ পরিশ্রমের মাধ্যমে তাঁরা সেই জিনকে খুঁজে বের করতে সমর্থ হন, যা ক্যাপসাইসিনের সংবেদ গ্রহণের কাজটি করে। আর এরপর তাঁরা খুঁজে বের করেন সেই বিশেষ প্রোটিন, যা এই ক্যাপসাইসিনের কারণে সৃষ্ট সংবেদে সাড়া দেওয়ার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। তাঁরা এর নাম দেন টিআরপিভি-১। এ তো গেল উত্তাপের সংবেদের বিষয়টি। এবার ডেভিড জুলিয়াস ও আহডেম পাটাপোশিয়ান মিলে আবিষ্কার করেন টিআরপিএম-৮ নামের গ্রাহক অণুটি।
তাপমাত্রার পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট সংবেদের বিষয়টি তো গেল। কিন্তু চাপের মতো যান্ত্রিক নানা শক্তির কারণে সৃষ্ট সংবেদের ক্ষেত্রে কী ঘটে? ক্যালিফোর্নিয়ার লা জোলায় স্ক্রিপস রিসার্চে কাজ করার সময় বিষয়টি নিয়ে গবেষণা শুরু করেন আহডেম পাটাপোশিয়ান। লেবাননে জন্ম নেওয়া এই বিজ্ঞানী ও তাঁর সহকর্মীরা প্রথম ছোট পিপেট দিয়ে খোঁচা দিলে শরীরে কী ধরনের বৈদ্যুতিক সংকেত তৈরি হয়, তা খুঁজে বের করেন। এই সংকেত সৃষ্টি ও তা পাঠানোর সঙ্গে জড়িত সব জিনকে নিষ্ক্রিয় করার মাধ্যমে তাঁরা সেই অণুকে খুঁজে বের করতে চেষ্টা করেন, যা এ ধরনের বাইরের চাপের কারণে সৃষ্ট সংবেদের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। বহু চেষ্টার পর অবশেষে সেই জিনের দেখা পান তাঁরা। সম্পূর্ণ নতুন ধরনের এক আয়ন চ্যানেল তাঁরা খুঁজে বের করেন, যার নাম তাঁরা দেন পিজো-১। গ্রিক এই শব্দের অর্থ চাপ। একই কাজের সঙ্গে যুক্ত আরেকটি জিন পরে আবিষ্কৃত হয়, যার নাম দেওয়া হয় পিজো-২।
দীর্ঘদিনের রহস্য হয়ে থাকা এই দুই আবিষ্কার দুই বিজ্ঞানীকে নিয়ে আসে পাদপ্রদীপের আলোয়। এবার তাঁরা চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হলেন। নরওয়েজীয় নোবেল কমিটি জানিয়েছে, শত বছর পুরোনো এই পুরস্কারের আর্থিক মূল্য ১ কোটি সুইডিশ ক্রোনা (১১ লাখ ৫০ হাজার ডলার)। এই দুই বিজ্ঞানীর মধ্যে এবার এই অর্থ সমভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে।

এই যে দিন-রাত হয়, আর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হয় তাপমাত্রার তারতম্য, কিংবা একেক মৌসুমে একেক তাপমাত্রা বা বিভিন্ন উচ্চতায় বিভিন্ন তাপ-চাপের মুখোমুখি হয়েও টিকে আছে মানুষ, এর মূল সূত্রটি কোথায়? তাপমাত্রা, চাপ বা অন্য কোনো শক্তির উপস্থিতিতে মানুষের স্নায়ুতন্ত্র কীভাবে সাড়া দেয়, যা মানুষকে বিভিন্ন বিচিত্র পরিবেশে টিকে থাকতে সহায়তা করে। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করেছেন মার্কিন দুই বিজ্ঞানী ডেভিড জুলিয়াস ও আহডেম পাটাপোশিয়ান। আর এতেই এবার চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন তাঁরা।
নোবেল কমিটি আজ সোমবার চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করে। এ সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তিতে নোবেল কমিটি জানায়, ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত নোবেল কমিটির বৈঠকে আজ মার্কিন বিজ্ঞানী ডেভিড জুলিয়াস ও আহডেম পাটাপোশিয়ানকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে তাঁদের গবেষণা দারুণভাবে এগিয়ে দিয়েছে আমাদের। মানুষের শরীরে কোন স্নায়ু তাপমাত্রা ও স্পর্শের অনুভূতি গ্রহণে কাজ করে, তা তাঁরা আবিষ্কার করেছেন।
মানুষের বেঁচে থাকার জন্য ঠান্ডা-গরমের অনুভূতি যেমন, তেমনি স্পর্শের অনুভূতি যথাযথ হওয়াটা ভীষণভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই অনুভূতির ওপরই নির্ভর করে পৃথিবীর সঙ্গে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে। প্রতিদিনের জীবনযাপনে এই অনুভূতিগুলোকে আলাদাভাবে চেনার তেমন সুযোগ থাকে না। কারণ, এগুলো এতই স্বাভাবিক বিষয় হয়ে উঠেছে যে, এর উপস্থিতি আলাদাভাবে বোঝার আর উপায় থাকে না। কিন্তু এই অনুভূতি মানুষের স্নায়ু কীভাবে শনাক্ত করে? এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েই এবার নোবেল পুরস্কার জিতে নিয়েছেন এই দুই বিজ্ঞানী।
ডেভিড জুলিয়াস মরিচের তীব্র গন্ধযুক্ত ক্যাপাসাইসিন পদার্থের মাধ্যমে সেই স্নায়ুকে খুঁজে বের করেন, যা ঝাল বা জ্বলুনির অনুভূতি জাগায়। এর মাধ্যমে তিনি তাপীয় পরিবর্তনের কারণে শরীরে সৃষ্ট সংবেদনের সঙ্গে জড়িত স্নায়ুকে শনাক্ত করেন। আর আহডেম পাটাপোশিয়ান চাপ সংবেদনশীল কোষের মাধ্যমে ত্বকের সেই সংবেদনশীল স্নায়ুকে খুঁজে বের করেন, যা যেকোনো চাপ বা যান্ত্রিক উদ্দীপনায় সাড়া দেয়। এই স্নায়ু এত দিন অজ্ঞাত ছিল। এই দুই আবিষ্কার যান্ত্রিক উদ্দীপনা, চাপ, তাপ ইত্যাদির পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট সংবেদ শনাক্তের সঙ্গে জড়িত স্নায়বিক ব্যবস্থা শনাক্ত করতে সহায়তা করে। এই দুই বিজ্ঞানী পরিবেশ ও মানুষের অনুভূতির মধ্যে বিদ্যমান সেই নিখোঁজ আন্তসংযোগকে খুঁজে করেছেন, যা শনাক্তের জন্য বিস্তর গবেষণা করেছেন বিজ্ঞানীরা।
মানুষের পৃথিবীর অন্যতম রহস্যজনক বিষয় ছিল পরিবেশকে অনুধাবনের প্রক্রিয়া। মানুষ কীভাবে তার চারপাশের পরিবেশকে অনুধাবন করে, তা এত দিন অজ্ঞাত ছিল। নোবেল কমিটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই সংবেদ প্রক্রিয়াটি নিয়ে মানুষের আগ্রহ ছিল দীর্ঘদিন। হাজার বছর আগে থেকেই মানুষ এটি বুঝতে চেষ্টা করেছে। চোখ কীভাবে আলোর দেখা পায়, শব্দ কীভাবে মানুষের কর্ণকুহরে প্রবেশ করে, কীভাবে নাক এত এত গন্ধ শনাক্ত করে, আর মুখ এত স্বাদ কোথা থেকে পায়—এই সবই রহস্য হয়ে ছিল। একে একে এই সব রহস্যের সমাধান করেছে মানুষ। কিন্তু গ্রীষ্মের দুপুরে খালি পায়ে পথে হাঁটার সময় তাপ কীভাবে অনুভূত হয়, বা গরম হাওয়া কীভাবে নাড়া দিয়ে যায় আমাদের, কিংবা খসখসে ঘাস কীভাবে পায়ের তলাকে বুঝিয়ে দিয়ে যায় তার খরতা, এর উত্তর এত দিন মিলছিল না। কিন্তু চারপাশের পরিবেশের সঙ্গে মানুষের মানিয়ে নেওয়ার বিষয়টি এই প্রশ্নগুলোর উত্তরের সঙ্গে সরাসরি জড়িত।
সতেরো শতকে দার্শনিক রেনে দেকার্ত ধারণা করেছিলেন, শরীরের বিভিন্ন অংশের ত্বকের সঙ্গে মস্তিষ্কের সংযোগ রয়েছে। যেমন, পা যদি কোনো উত্তপ্ত স্থান স্পর্শ করে, তবে সেখান থেকে মস্তিষ্কে এই উত্তাপ সম্পর্কে বার্তা যাবে। পরে সংবেদনশীল নিউরনের অস্তিত্ব আবিষ্কৃত হয়, যা পরিবেশে হওয়া বিভিন্ন পরিবর্তন শনাক্ত করতে পারে। ১৯৪৪ সালে জোসেফ আরলেঙ্গার ও হার্বার্ট গ্যাসার এমন সংবেদনশীল স্নায়ুর অস্তিত্ব আবিষ্কার করে নোবেল পুরস্কার পান। সেই সময় থেকে এই স্নায়ু কোষগুলোকেই এ ধরনের অনুভূতি শনাক্তের জন্য বিশেষায়িত বলে মনে করা হতো। কিন্তু তারপরও তাপমাত্রাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সংবেদ তৈরির প্রক্রিয়াটি অজ্ঞাত থেকে গিয়েছিল। এই বিষয়টিই আবিষ্কার করে এবার নোবেল জয় করলেন ডেভিড জুলিয়াস ও আহডেম পাটাপোশিয়ান।
ডেভিড জুলিয়াস ১৯৯০-এর দশকে মরিচে থাকা রাসায়নিক উপাদান ক্যাপসাইসিনের কারণে স্নায়ুকোষে সৃষ্ট সংবেদন নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সান ফ্রান্সেসকোয় তিনি ও তাঁর সহকর্মীরা উত্তাপ, যন্ত্রণা বা স্পর্শের অনুভূতির সঙ্গে যুক্ত জিনগুলো নিয়ে কাজ শুরু করেন। তাঁরা এ সম্পর্কিত একটি ডিএনএ লাইব্রেরি নিয়ে করেন। আর এর মধ্য থেকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন সেই প্রোটিন অণু, যা ক্যাপসাইসিনের কারণে সৃষ্ট সংবেদ শনাক্তের সঙ্গে যুক্ত। এভাবে ভয়াবহ পরিশ্রমের মাধ্যমে তাঁরা সেই জিনকে খুঁজে বের করতে সমর্থ হন, যা ক্যাপসাইসিনের সংবেদ গ্রহণের কাজটি করে। আর এরপর তাঁরা খুঁজে বের করেন সেই বিশেষ প্রোটিন, যা এই ক্যাপসাইসিনের কারণে সৃষ্ট সংবেদে সাড়া দেওয়ার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। তাঁরা এর নাম দেন টিআরপিভি-১। এ তো গেল উত্তাপের সংবেদের বিষয়টি। এবার ডেভিড জুলিয়াস ও আহডেম পাটাপোশিয়ান মিলে আবিষ্কার করেন টিআরপিএম-৮ নামের গ্রাহক অণুটি।
তাপমাত্রার পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট সংবেদের বিষয়টি তো গেল। কিন্তু চাপের মতো যান্ত্রিক নানা শক্তির কারণে সৃষ্ট সংবেদের ক্ষেত্রে কী ঘটে? ক্যালিফোর্নিয়ার লা জোলায় স্ক্রিপস রিসার্চে কাজ করার সময় বিষয়টি নিয়ে গবেষণা শুরু করেন আহডেম পাটাপোশিয়ান। লেবাননে জন্ম নেওয়া এই বিজ্ঞানী ও তাঁর সহকর্মীরা প্রথম ছোট পিপেট দিয়ে খোঁচা দিলে শরীরে কী ধরনের বৈদ্যুতিক সংকেত তৈরি হয়, তা খুঁজে বের করেন। এই সংকেত সৃষ্টি ও তা পাঠানোর সঙ্গে জড়িত সব জিনকে নিষ্ক্রিয় করার মাধ্যমে তাঁরা সেই অণুকে খুঁজে বের করতে চেষ্টা করেন, যা এ ধরনের বাইরের চাপের কারণে সৃষ্ট সংবেদের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। বহু চেষ্টার পর অবশেষে সেই জিনের দেখা পান তাঁরা। সম্পূর্ণ নতুন ধরনের এক আয়ন চ্যানেল তাঁরা খুঁজে বের করেন, যার নাম তাঁরা দেন পিজো-১। গ্রিক এই শব্দের অর্থ চাপ। একই কাজের সঙ্গে যুক্ত আরেকটি জিন পরে আবিষ্কৃত হয়, যার নাম দেওয়া হয় পিজো-২।
দীর্ঘদিনের রহস্য হয়ে থাকা এই দুই আবিষ্কার দুই বিজ্ঞানীকে নিয়ে আসে পাদপ্রদীপের আলোয়। এবার তাঁরা চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হলেন। নরওয়েজীয় নোবেল কমিটি জানিয়েছে, শত বছর পুরোনো এই পুরস্কারের আর্থিক মূল্য ১ কোটি সুইডিশ ক্রোনা (১১ লাখ ৫০ হাজার ডলার)। এই দুই বিজ্ঞানীর মধ্যে এবার এই অর্থ সমভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে।

এই যে দিন-রাত হয়, আর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হয় তাপমাত্রার তারতম্য, কিংবা একেক মৌসুমে একেক তাপমাত্রা বা বিভিন্ন উচ্চতায় বিভিন্ন তাপ-চাপের মুখোমুখি হয়েও টিকে আছে মানুষ, এর মূল সূত্রটি কোথায়? তাপমাত্রা, চাপ বা অন্য কোনো শক্তির উপস্থিতিতে মানুষের স্নায়ুতন্ত্র কীভাবে সাড়া দেয়, যা মানুষকে বিভিন্ন বিচিত্র পরিবেশে টিকে থাকতে সহায়তা করে। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করেছেন মার্কিন দুই বিজ্ঞানী ডেভিড জুলিয়াস ও আহডেম পাটাপোশিয়ান। আর এতেই এবার চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন তাঁরা।
নোবেল কমিটি আজ সোমবার চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করে। এ সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তিতে নোবেল কমিটি জানায়, ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত নোবেল কমিটির বৈঠকে আজ মার্কিন বিজ্ঞানী ডেভিড জুলিয়াস ও আহডেম পাটাপোশিয়ানকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে তাঁদের গবেষণা দারুণভাবে এগিয়ে দিয়েছে আমাদের। মানুষের শরীরে কোন স্নায়ু তাপমাত্রা ও স্পর্শের অনুভূতি গ্রহণে কাজ করে, তা তাঁরা আবিষ্কার করেছেন।
মানুষের বেঁচে থাকার জন্য ঠান্ডা-গরমের অনুভূতি যেমন, তেমনি স্পর্শের অনুভূতি যথাযথ হওয়াটা ভীষণভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই অনুভূতির ওপরই নির্ভর করে পৃথিবীর সঙ্গে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে। প্রতিদিনের জীবনযাপনে এই অনুভূতিগুলোকে আলাদাভাবে চেনার তেমন সুযোগ থাকে না। কারণ, এগুলো এতই স্বাভাবিক বিষয় হয়ে উঠেছে যে, এর উপস্থিতি আলাদাভাবে বোঝার আর উপায় থাকে না। কিন্তু এই অনুভূতি মানুষের স্নায়ু কীভাবে শনাক্ত করে? এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েই এবার নোবেল পুরস্কার জিতে নিয়েছেন এই দুই বিজ্ঞানী।
ডেভিড জুলিয়াস মরিচের তীব্র গন্ধযুক্ত ক্যাপাসাইসিন পদার্থের মাধ্যমে সেই স্নায়ুকে খুঁজে বের করেন, যা ঝাল বা জ্বলুনির অনুভূতি জাগায়। এর মাধ্যমে তিনি তাপীয় পরিবর্তনের কারণে শরীরে সৃষ্ট সংবেদনের সঙ্গে জড়িত স্নায়ুকে শনাক্ত করেন। আর আহডেম পাটাপোশিয়ান চাপ সংবেদনশীল কোষের মাধ্যমে ত্বকের সেই সংবেদনশীল স্নায়ুকে খুঁজে বের করেন, যা যেকোনো চাপ বা যান্ত্রিক উদ্দীপনায় সাড়া দেয়। এই স্নায়ু এত দিন অজ্ঞাত ছিল। এই দুই আবিষ্কার যান্ত্রিক উদ্দীপনা, চাপ, তাপ ইত্যাদির পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট সংবেদ শনাক্তের সঙ্গে জড়িত স্নায়বিক ব্যবস্থা শনাক্ত করতে সহায়তা করে। এই দুই বিজ্ঞানী পরিবেশ ও মানুষের অনুভূতির মধ্যে বিদ্যমান সেই নিখোঁজ আন্তসংযোগকে খুঁজে করেছেন, যা শনাক্তের জন্য বিস্তর গবেষণা করেছেন বিজ্ঞানীরা।
মানুষের পৃথিবীর অন্যতম রহস্যজনক বিষয় ছিল পরিবেশকে অনুধাবনের প্রক্রিয়া। মানুষ কীভাবে তার চারপাশের পরিবেশকে অনুধাবন করে, তা এত দিন অজ্ঞাত ছিল। নোবেল কমিটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই সংবেদ প্রক্রিয়াটি নিয়ে মানুষের আগ্রহ ছিল দীর্ঘদিন। হাজার বছর আগে থেকেই মানুষ এটি বুঝতে চেষ্টা করেছে। চোখ কীভাবে আলোর দেখা পায়, শব্দ কীভাবে মানুষের কর্ণকুহরে প্রবেশ করে, কীভাবে নাক এত এত গন্ধ শনাক্ত করে, আর মুখ এত স্বাদ কোথা থেকে পায়—এই সবই রহস্য হয়ে ছিল। একে একে এই সব রহস্যের সমাধান করেছে মানুষ। কিন্তু গ্রীষ্মের দুপুরে খালি পায়ে পথে হাঁটার সময় তাপ কীভাবে অনুভূত হয়, বা গরম হাওয়া কীভাবে নাড়া দিয়ে যায় আমাদের, কিংবা খসখসে ঘাস কীভাবে পায়ের তলাকে বুঝিয়ে দিয়ে যায় তার খরতা, এর উত্তর এত দিন মিলছিল না। কিন্তু চারপাশের পরিবেশের সঙ্গে মানুষের মানিয়ে নেওয়ার বিষয়টি এই প্রশ্নগুলোর উত্তরের সঙ্গে সরাসরি জড়িত।
সতেরো শতকে দার্শনিক রেনে দেকার্ত ধারণা করেছিলেন, শরীরের বিভিন্ন অংশের ত্বকের সঙ্গে মস্তিষ্কের সংযোগ রয়েছে। যেমন, পা যদি কোনো উত্তপ্ত স্থান স্পর্শ করে, তবে সেখান থেকে মস্তিষ্কে এই উত্তাপ সম্পর্কে বার্তা যাবে। পরে সংবেদনশীল নিউরনের অস্তিত্ব আবিষ্কৃত হয়, যা পরিবেশে হওয়া বিভিন্ন পরিবর্তন শনাক্ত করতে পারে। ১৯৪৪ সালে জোসেফ আরলেঙ্গার ও হার্বার্ট গ্যাসার এমন সংবেদনশীল স্নায়ুর অস্তিত্ব আবিষ্কার করে নোবেল পুরস্কার পান। সেই সময় থেকে এই স্নায়ু কোষগুলোকেই এ ধরনের অনুভূতি শনাক্তের জন্য বিশেষায়িত বলে মনে করা হতো। কিন্তু তারপরও তাপমাত্রাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সংবেদ তৈরির প্রক্রিয়াটি অজ্ঞাত থেকে গিয়েছিল। এই বিষয়টিই আবিষ্কার করে এবার নোবেল জয় করলেন ডেভিড জুলিয়াস ও আহডেম পাটাপোশিয়ান।
ডেভিড জুলিয়াস ১৯৯০-এর দশকে মরিচে থাকা রাসায়নিক উপাদান ক্যাপসাইসিনের কারণে স্নায়ুকোষে সৃষ্ট সংবেদন নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সান ফ্রান্সেসকোয় তিনি ও তাঁর সহকর্মীরা উত্তাপ, যন্ত্রণা বা স্পর্শের অনুভূতির সঙ্গে যুক্ত জিনগুলো নিয়ে কাজ শুরু করেন। তাঁরা এ সম্পর্কিত একটি ডিএনএ লাইব্রেরি নিয়ে করেন। আর এর মধ্য থেকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন সেই প্রোটিন অণু, যা ক্যাপসাইসিনের কারণে সৃষ্ট সংবেদ শনাক্তের সঙ্গে যুক্ত। এভাবে ভয়াবহ পরিশ্রমের মাধ্যমে তাঁরা সেই জিনকে খুঁজে বের করতে সমর্থ হন, যা ক্যাপসাইসিনের সংবেদ গ্রহণের কাজটি করে। আর এরপর তাঁরা খুঁজে বের করেন সেই বিশেষ প্রোটিন, যা এই ক্যাপসাইসিনের কারণে সৃষ্ট সংবেদে সাড়া দেওয়ার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। তাঁরা এর নাম দেন টিআরপিভি-১। এ তো গেল উত্তাপের সংবেদের বিষয়টি। এবার ডেভিড জুলিয়াস ও আহডেম পাটাপোশিয়ান মিলে আবিষ্কার করেন টিআরপিএম-৮ নামের গ্রাহক অণুটি।
তাপমাত্রার পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট সংবেদের বিষয়টি তো গেল। কিন্তু চাপের মতো যান্ত্রিক নানা শক্তির কারণে সৃষ্ট সংবেদের ক্ষেত্রে কী ঘটে? ক্যালিফোর্নিয়ার লা জোলায় স্ক্রিপস রিসার্চে কাজ করার সময় বিষয়টি নিয়ে গবেষণা শুরু করেন আহডেম পাটাপোশিয়ান। লেবাননে জন্ম নেওয়া এই বিজ্ঞানী ও তাঁর সহকর্মীরা প্রথম ছোট পিপেট দিয়ে খোঁচা দিলে শরীরে কী ধরনের বৈদ্যুতিক সংকেত তৈরি হয়, তা খুঁজে বের করেন। এই সংকেত সৃষ্টি ও তা পাঠানোর সঙ্গে জড়িত সব জিনকে নিষ্ক্রিয় করার মাধ্যমে তাঁরা সেই অণুকে খুঁজে বের করতে চেষ্টা করেন, যা এ ধরনের বাইরের চাপের কারণে সৃষ্ট সংবেদের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। বহু চেষ্টার পর অবশেষে সেই জিনের দেখা পান তাঁরা। সম্পূর্ণ নতুন ধরনের এক আয়ন চ্যানেল তাঁরা খুঁজে বের করেন, যার নাম তাঁরা দেন পিজো-১। গ্রিক এই শব্দের অর্থ চাপ। একই কাজের সঙ্গে যুক্ত আরেকটি জিন পরে আবিষ্কৃত হয়, যার নাম দেওয়া হয় পিজো-২।
দীর্ঘদিনের রহস্য হয়ে থাকা এই দুই আবিষ্কার দুই বিজ্ঞানীকে নিয়ে আসে পাদপ্রদীপের আলোয়। এবার তাঁরা চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হলেন। নরওয়েজীয় নোবেল কমিটি জানিয়েছে, শত বছর পুরোনো এই পুরস্কারের আর্থিক মূল্য ১ কোটি সুইডিশ ক্রোনা (১১ লাখ ৫০ হাজার ডলার)। এই দুই বিজ্ঞানীর মধ্যে এবার এই অর্থ সমভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে।

এই যে দিন-রাত হয়, আর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হয় তাপমাত্রার তারতম্য, কিংবা একেক মৌসুমে একেক তাপমাত্রা বা বিভিন্ন উচ্চতায় বিভিন্ন তাপ-চাপের মুখোমুখি হয়েও টিকে আছে মানুষ, এর মূল সূত্রটি কোথায়? তাপমাত্রা, চাপ বা অন্য কোনো শক্তির উপস্থিতিতে মানুষের স্নায়ুতন্ত্র কীভাবে সাড়া দেয়, যা মানুষকে বিভিন্ন বিচিত্র পরিবেশে টিকে থাকতে সহায়তা করে। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করেছেন মার্কিন দুই বিজ্ঞানী ডেভিড জুলিয়াস ও আহডেম পাটাপোশিয়ান। আর এতেই এবার চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন তাঁরা।
নোবেল কমিটি আজ সোমবার চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করে। এ সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তিতে নোবেল কমিটি জানায়, ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত নোবেল কমিটির বৈঠকে আজ মার্কিন বিজ্ঞানী ডেভিড জুলিয়াস ও আহডেম পাটাপোশিয়ানকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে তাঁদের গবেষণা দারুণভাবে এগিয়ে দিয়েছে আমাদের। মানুষের শরীরে কোন স্নায়ু তাপমাত্রা ও স্পর্শের অনুভূতি গ্রহণে কাজ করে, তা তাঁরা আবিষ্কার করেছেন।
মানুষের বেঁচে থাকার জন্য ঠান্ডা-গরমের অনুভূতি যেমন, তেমনি স্পর্শের অনুভূতি যথাযথ হওয়াটা ভীষণভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই অনুভূতির ওপরই নির্ভর করে পৃথিবীর সঙ্গে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে। প্রতিদিনের জীবনযাপনে এই অনুভূতিগুলোকে আলাদাভাবে চেনার তেমন সুযোগ থাকে না। কারণ, এগুলো এতই স্বাভাবিক বিষয় হয়ে উঠেছে যে, এর উপস্থিতি আলাদাভাবে বোঝার আর উপায় থাকে না। কিন্তু এই অনুভূতি মানুষের স্নায়ু কীভাবে শনাক্ত করে? এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েই এবার নোবেল পুরস্কার জিতে নিয়েছেন এই দুই বিজ্ঞানী।
ডেভিড জুলিয়াস মরিচের তীব্র গন্ধযুক্ত ক্যাপাসাইসিন পদার্থের মাধ্যমে সেই স্নায়ুকে খুঁজে বের করেন, যা ঝাল বা জ্বলুনির অনুভূতি জাগায়। এর মাধ্যমে তিনি তাপীয় পরিবর্তনের কারণে শরীরে সৃষ্ট সংবেদনের সঙ্গে জড়িত স্নায়ুকে শনাক্ত করেন। আর আহডেম পাটাপোশিয়ান চাপ সংবেদনশীল কোষের মাধ্যমে ত্বকের সেই সংবেদনশীল স্নায়ুকে খুঁজে বের করেন, যা যেকোনো চাপ বা যান্ত্রিক উদ্দীপনায় সাড়া দেয়। এই স্নায়ু এত দিন অজ্ঞাত ছিল। এই দুই আবিষ্কার যান্ত্রিক উদ্দীপনা, চাপ, তাপ ইত্যাদির পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট সংবেদ শনাক্তের সঙ্গে জড়িত স্নায়বিক ব্যবস্থা শনাক্ত করতে সহায়তা করে। এই দুই বিজ্ঞানী পরিবেশ ও মানুষের অনুভূতির মধ্যে বিদ্যমান সেই নিখোঁজ আন্তসংযোগকে খুঁজে করেছেন, যা শনাক্তের জন্য বিস্তর গবেষণা করেছেন বিজ্ঞানীরা।
মানুষের পৃথিবীর অন্যতম রহস্যজনক বিষয় ছিল পরিবেশকে অনুধাবনের প্রক্রিয়া। মানুষ কীভাবে তার চারপাশের পরিবেশকে অনুধাবন করে, তা এত দিন অজ্ঞাত ছিল। নোবেল কমিটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই সংবেদ প্রক্রিয়াটি নিয়ে মানুষের আগ্রহ ছিল দীর্ঘদিন। হাজার বছর আগে থেকেই মানুষ এটি বুঝতে চেষ্টা করেছে। চোখ কীভাবে আলোর দেখা পায়, শব্দ কীভাবে মানুষের কর্ণকুহরে প্রবেশ করে, কীভাবে নাক এত এত গন্ধ শনাক্ত করে, আর মুখ এত স্বাদ কোথা থেকে পায়—এই সবই রহস্য হয়ে ছিল। একে একে এই সব রহস্যের সমাধান করেছে মানুষ। কিন্তু গ্রীষ্মের দুপুরে খালি পায়ে পথে হাঁটার সময় তাপ কীভাবে অনুভূত হয়, বা গরম হাওয়া কীভাবে নাড়া দিয়ে যায় আমাদের, কিংবা খসখসে ঘাস কীভাবে পায়ের তলাকে বুঝিয়ে দিয়ে যায় তার খরতা, এর উত্তর এত দিন মিলছিল না। কিন্তু চারপাশের পরিবেশের সঙ্গে মানুষের মানিয়ে নেওয়ার বিষয়টি এই প্রশ্নগুলোর উত্তরের সঙ্গে সরাসরি জড়িত।
সতেরো শতকে দার্শনিক রেনে দেকার্ত ধারণা করেছিলেন, শরীরের বিভিন্ন অংশের ত্বকের সঙ্গে মস্তিষ্কের সংযোগ রয়েছে। যেমন, পা যদি কোনো উত্তপ্ত স্থান স্পর্শ করে, তবে সেখান থেকে মস্তিষ্কে এই উত্তাপ সম্পর্কে বার্তা যাবে। পরে সংবেদনশীল নিউরনের অস্তিত্ব আবিষ্কৃত হয়, যা পরিবেশে হওয়া বিভিন্ন পরিবর্তন শনাক্ত করতে পারে। ১৯৪৪ সালে জোসেফ আরলেঙ্গার ও হার্বার্ট গ্যাসার এমন সংবেদনশীল স্নায়ুর অস্তিত্ব আবিষ্কার করে নোবেল পুরস্কার পান। সেই সময় থেকে এই স্নায়ু কোষগুলোকেই এ ধরনের অনুভূতি শনাক্তের জন্য বিশেষায়িত বলে মনে করা হতো। কিন্তু তারপরও তাপমাত্রাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সংবেদ তৈরির প্রক্রিয়াটি অজ্ঞাত থেকে গিয়েছিল। এই বিষয়টিই আবিষ্কার করে এবার নোবেল জয় করলেন ডেভিড জুলিয়াস ও আহডেম পাটাপোশিয়ান।
ডেভিড জুলিয়াস ১৯৯০-এর দশকে মরিচে থাকা রাসায়নিক উপাদান ক্যাপসাইসিনের কারণে স্নায়ুকোষে সৃষ্ট সংবেদন নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সান ফ্রান্সেসকোয় তিনি ও তাঁর সহকর্মীরা উত্তাপ, যন্ত্রণা বা স্পর্শের অনুভূতির সঙ্গে যুক্ত জিনগুলো নিয়ে কাজ শুরু করেন। তাঁরা এ সম্পর্কিত একটি ডিএনএ লাইব্রেরি নিয়ে করেন। আর এর মধ্য থেকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন সেই প্রোটিন অণু, যা ক্যাপসাইসিনের কারণে সৃষ্ট সংবেদ শনাক্তের সঙ্গে যুক্ত। এভাবে ভয়াবহ পরিশ্রমের মাধ্যমে তাঁরা সেই জিনকে খুঁজে বের করতে সমর্থ হন, যা ক্যাপসাইসিনের সংবেদ গ্রহণের কাজটি করে। আর এরপর তাঁরা খুঁজে বের করেন সেই বিশেষ প্রোটিন, যা এই ক্যাপসাইসিনের কারণে সৃষ্ট সংবেদে সাড়া দেওয়ার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। তাঁরা এর নাম দেন টিআরপিভি-১। এ তো গেল উত্তাপের সংবেদের বিষয়টি। এবার ডেভিড জুলিয়াস ও আহডেম পাটাপোশিয়ান মিলে আবিষ্কার করেন টিআরপিএম-৮ নামের গ্রাহক অণুটি।
তাপমাত্রার পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট সংবেদের বিষয়টি তো গেল। কিন্তু চাপের মতো যান্ত্রিক নানা শক্তির কারণে সৃষ্ট সংবেদের ক্ষেত্রে কী ঘটে? ক্যালিফোর্নিয়ার লা জোলায় স্ক্রিপস রিসার্চে কাজ করার সময় বিষয়টি নিয়ে গবেষণা শুরু করেন আহডেম পাটাপোশিয়ান। লেবাননে জন্ম নেওয়া এই বিজ্ঞানী ও তাঁর সহকর্মীরা প্রথম ছোট পিপেট দিয়ে খোঁচা দিলে শরীরে কী ধরনের বৈদ্যুতিক সংকেত তৈরি হয়, তা খুঁজে বের করেন। এই সংকেত সৃষ্টি ও তা পাঠানোর সঙ্গে জড়িত সব জিনকে নিষ্ক্রিয় করার মাধ্যমে তাঁরা সেই অণুকে খুঁজে বের করতে চেষ্টা করেন, যা এ ধরনের বাইরের চাপের কারণে সৃষ্ট সংবেদের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। বহু চেষ্টার পর অবশেষে সেই জিনের দেখা পান তাঁরা। সম্পূর্ণ নতুন ধরনের এক আয়ন চ্যানেল তাঁরা খুঁজে বের করেন, যার নাম তাঁরা দেন পিজো-১। গ্রিক এই শব্দের অর্থ চাপ। একই কাজের সঙ্গে যুক্ত আরেকটি জিন পরে আবিষ্কৃত হয়, যার নাম দেওয়া হয় পিজো-২।
দীর্ঘদিনের রহস্য হয়ে থাকা এই দুই আবিষ্কার দুই বিজ্ঞানীকে নিয়ে আসে পাদপ্রদীপের আলোয়। এবার তাঁরা চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হলেন। নরওয়েজীয় নোবেল কমিটি জানিয়েছে, শত বছর পুরোনো এই পুরস্কারের আর্থিক মূল্য ১ কোটি সুইডিশ ক্রোনা (১১ লাখ ৫০ হাজার ডলার)। এই দুই বিজ্ঞানীর মধ্যে এবার এই অর্থ সমভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে।

পাকিস্তানের পার্লামেন্ট দেশটির সংবিধানের ২৭তম সংশোধনী পাস করেছে। এই বিতর্কিত সংশোধনী দেশটির সেনাপ্রধানের ক্ষমতা আরও বাড়াবে এবং তাঁকে আজীবন আইনি দায়মুক্তি দেবে। একই সঙ্গে এটি সুপ্রিম কোর্টের স্বাধীনতাও সীমিত করবে। সমালোচকেরা একে ‘গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক’ বলে বর্ণনা করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির ইতিহাসে দীর্ঘতম সরকারি শাটডাউন বা অচলাবস্থা শেষ করতে একটি বিলে স্বাক্ষর করেছেন। এর আগে, মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস বা প্রতিনিধি পরিষদ খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি পুনরায় চালু করা, কয়েক লক্ষ ফেডারেল কর্মচারীর বেতন প্রদান এবং ক্ষতিগ্র
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন এইচ-১বি ভিসা নীতির লক্ষ্য হলো যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষ বিদেশি কর্মীদের অস্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়া। যাতে তারা আমেরিকানদের উচ্চ দক্ষতার কাজে প্রশিক্ষণ দিতে পারে। বিদেশি শ্রমিকের ওপর দীর্ঘমেয়াদি নির্ভরশীলতা চান না ট্রাম্প, এমনটি জানিয়েছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী
৩ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ডেকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারাকে খুবই ব্যক্তিগত ও বিব্রতকর এক প্রশ্ন করেছেন। ট্রাম্প সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে সরাসরি জিজ্ঞেস করেন যে ‘তোমার বিবি কয়টা?’ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের পার্লামেন্ট দেশটির সংবিধানের ২৭তম সংশোধনী পাস করেছে। এই বিতর্কিত সংশোধনী দেশটির সেনাপ্রধানের ক্ষমতা আরও বাড়াবে এবং তাঁকে আজীবন আইনি দায়মুক্তি দেবে। একই সঙ্গে এটি সুপ্রিম কোর্টের স্বাধীনতাও সীমিত করবে। সমালোচকেরা একে ‘গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক’ বলে বর্ণনা করেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার রাতে পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি তথা জাতীয় পরিষদে বিলটি পাস হয়েছে। পাকিস্তানের ক্ষমতাধর সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির—যিনি দেশটির ডি–ফ্যাক্টো শাসক হিসেবে পরিচিত—এই ২৭ তম সংশোধনীর প্রধান উপকারভোগী।
বিলটি এখন সামান্য পরিবর্তনের জন্য সিনেটে ফেরত পাঠানো হবে। এর আগে উচ্চকক্ষ সিনেট গত সোমবার এটি অনুমোদন করে। এরপর প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এতে স্বাক্ষর করলে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে সংবিধানের অংশ হয়ে যাবে।
এই সংশোধনীর অধীনে এ বছর শুরুর দিকে পাঁচ তারকাবিশিষ্ট জেনারেল হিসেবে মনোনীত হওয়া সেনাপ্রধান আসিম মুনির অভূতপূর্ব ক্ষমতা অর্জন করবেন। তাঁকে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস—নামে নতুন একটি পদে উন্নীত করা হবে। এর ফলে তিনি কেবল সেনাবাহিনীই নয়, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীরও প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি তাঁকে আজীবন ফৌজদারি বিচারের হাত থেকে দায়মুক্তি দেওয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডজাঙ্কট অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর এবং ‘The Army and Democracy: Military Politics in Pakistan’—বইয়ের লেখক আকিল শাহ বলেছেন, মুনির ‘সাংবিধানিকভাবে অভূতপূর্ব এক সুরক্ষিত পদ সৃষ্টির মাধ্যমে নিজে ও ভবিষ্যতের সেনাপ্রধানদের ক্ষমতায় স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।’ তিনি বলেন, সংশোধনীতে দেওয়া দায়মুক্তি ‘নাগরিক কর্তৃত্বের নীতিকে উপহাসে পরিণত করেছে, কারণ এটি তাকে সব ধরনের জবাবদিহির ঊর্ধ্বে স্থাপন করেছে।’
এই সংশোধনী সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা ও কার্যপরিধিও ব্যাপকভাবে খর্ব করেছে। পাকিস্তান রাষ্ট্রে এই প্রতিষ্ঠানটিই এত দিন নির্বাহী ক্ষমতার একমাত্র নিয়ামক হিসেবে টিকে ছিল। সংশোধনী অনুযায়ী—সুপ্রিম কোর্টের ঊর্ধ্বে একটি নতুন ফেডারেল সাংবিধানিক আদালত গঠন করা হবে, যার বিচারপতিদের মনোনয়ন দেবে নির্বাহী বিভাগ। সমালোচকেরা বলছেন, এতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার অবশিষ্ট প্রতীকটিও ভেঙে পড়বে। বিচারপতিদের বদলি বা স্থানান্তর সংক্রান্ত সিদ্ধান্তও এখন থেকে এককভাবে প্রেসিডেন্টের হাতে থাকবে, ফলে বিচার বিভাগে জবাবদিহির ধারণা পুরোপুরি বিলুপ্ত হবে।
সাংবিধানিক আইনজীবী সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এই সংশোধনী ‘পাকিস্তানের বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ধারণাটিকেই ধ্বংস করে দিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এর মাধ্যমে দেশটি কার্যত আজীবন একনায়কতন্ত্রের পথে হাঁটছে।’ বিরোধীরা বলছেন, এই আইন সামরিক শাসনকে সংবিধানে স্থায়ী রূপ দিচ্ছে এবং পাকিস্তানকে পূর্ণ কর্তৃত্ববাদে ঠেলে দিচ্ছে।
১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর থেকে পাকিস্তান কয়েক দশক সরাসরি সামরিক শাসনের অধীনে ছিল। সে সময় জেনারেলরা সংবিধান স্থগিত করে দিয়েছিলেন। তবে ২০০৮ সালে জেনারেল পারভেজ মুশাররফের পতনের পর দেশটি এক ভঙ্গুর গণতন্ত্রে রূপ নেয়—যেখানে নির্বাচিত বেসামরিক সরকারই মুখে নেতৃত্ব দেয়, কিন্তু পর্দার আড়ালে সেনাবাহিনীই নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেনাবাহিনী আবারও দেশের প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ কুক্ষিগত করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর মাধ্যমে শীর্ষ সেনা কর্মকর্তারা আরও ক্ষমতাবান হচ্ছেন। ২০২২ সালে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর আসিম মুনির আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কার্যত রাষ্ট্রপ্রধানের মতো সফর করেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে দুটি বৈঠক করেছেন, যেখানে ট্রাম্প তাঁকে ‘আমার প্রিয় ফিল্ড মার্শাল’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। সরকারি জোটের নেতা প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা এই সংশোধনীকে ন্যায়বিচার ও সেনাবাহিনীর ‘আধুনিকীকরণ ও দক্ষতা বৃদ্ধি’র উদ্যোগ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন।
অতীতে সংবিধান পরিবর্তনের প্রস্তাব নিয়ে সিনেট ও জাতীয় পরিষদে সপ্তাহজুড়ে বিতর্ক হতো। কিন্তু এবার তা কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুই কক্ষেই পাস হয়ে যায়। বিশ্লেষকদের মতে, দুর্বল জোট সরকারের অসহায়ত্ব এবং মুনিরের অপ্রতিরোধ্য প্রভাবেরই প্রমাণ এটি। বুধবার কেবল চারজন সংসদ সদস্য বিলটির বিরোধিতা করেন।
পাকিস্তানের বৃহত্তম বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এই ভোট বর্জন করেছে। যদিও জনসমর্থনে দলটি এখনো শক্তিশালী, কিন্তু মুনির সেনাপ্রধান হওয়ার পর থেকে তাদের রাজনৈতিক শক্তি ও প্রভাব প্রায় নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয়েছে। দলের নেতা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে আছেন এবং তার মুক্তির সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।
বহুদলীয় বিরোধী জোট তেহরিক-ই-তাহাফুজ-ই-আইন-ই-পাকিস্তান (টিটিএপি) অভিযোগ করেছে যে, সরকার ‘সংবিধানের ভিত্তি নড়িয়ে দিয়েছে।’ এক যৌথ চিঠিতে শতাধিক আইনজীবী ও অধিকারকর্মী এই সংশোধনীকে ‘সংবিধান বিকৃতি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তারা বলেন, এই প্রক্রিয়ায় ‘আইনজীবী সমাজ, বিচার বিভাগ এবং নাগরিক সমাজের সঙ্গে কোনো অর্থবহ আলোচনা বা মতবিনিময় হয়নি।’

পাকিস্তানের পার্লামেন্ট দেশটির সংবিধানের ২৭তম সংশোধনী পাস করেছে। এই বিতর্কিত সংশোধনী দেশটির সেনাপ্রধানের ক্ষমতা আরও বাড়াবে এবং তাঁকে আজীবন আইনি দায়মুক্তি দেবে। একই সঙ্গে এটি সুপ্রিম কোর্টের স্বাধীনতাও সীমিত করবে। সমালোচকেরা একে ‘গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক’ বলে বর্ণনা করেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার রাতে পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি তথা জাতীয় পরিষদে বিলটি পাস হয়েছে। পাকিস্তানের ক্ষমতাধর সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির—যিনি দেশটির ডি–ফ্যাক্টো শাসক হিসেবে পরিচিত—এই ২৭ তম সংশোধনীর প্রধান উপকারভোগী।
বিলটি এখন সামান্য পরিবর্তনের জন্য সিনেটে ফেরত পাঠানো হবে। এর আগে উচ্চকক্ষ সিনেট গত সোমবার এটি অনুমোদন করে। এরপর প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এতে স্বাক্ষর করলে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে সংবিধানের অংশ হয়ে যাবে।
এই সংশোধনীর অধীনে এ বছর শুরুর দিকে পাঁচ তারকাবিশিষ্ট জেনারেল হিসেবে মনোনীত হওয়া সেনাপ্রধান আসিম মুনির অভূতপূর্ব ক্ষমতা অর্জন করবেন। তাঁকে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস—নামে নতুন একটি পদে উন্নীত করা হবে। এর ফলে তিনি কেবল সেনাবাহিনীই নয়, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীরও প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি তাঁকে আজীবন ফৌজদারি বিচারের হাত থেকে দায়মুক্তি দেওয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডজাঙ্কট অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর এবং ‘The Army and Democracy: Military Politics in Pakistan’—বইয়ের লেখক আকিল শাহ বলেছেন, মুনির ‘সাংবিধানিকভাবে অভূতপূর্ব এক সুরক্ষিত পদ সৃষ্টির মাধ্যমে নিজে ও ভবিষ্যতের সেনাপ্রধানদের ক্ষমতায় স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।’ তিনি বলেন, সংশোধনীতে দেওয়া দায়মুক্তি ‘নাগরিক কর্তৃত্বের নীতিকে উপহাসে পরিণত করেছে, কারণ এটি তাকে সব ধরনের জবাবদিহির ঊর্ধ্বে স্থাপন করেছে।’
এই সংশোধনী সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা ও কার্যপরিধিও ব্যাপকভাবে খর্ব করেছে। পাকিস্তান রাষ্ট্রে এই প্রতিষ্ঠানটিই এত দিন নির্বাহী ক্ষমতার একমাত্র নিয়ামক হিসেবে টিকে ছিল। সংশোধনী অনুযায়ী—সুপ্রিম কোর্টের ঊর্ধ্বে একটি নতুন ফেডারেল সাংবিধানিক আদালত গঠন করা হবে, যার বিচারপতিদের মনোনয়ন দেবে নির্বাহী বিভাগ। সমালোচকেরা বলছেন, এতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার অবশিষ্ট প্রতীকটিও ভেঙে পড়বে। বিচারপতিদের বদলি বা স্থানান্তর সংক্রান্ত সিদ্ধান্তও এখন থেকে এককভাবে প্রেসিডেন্টের হাতে থাকবে, ফলে বিচার বিভাগে জবাবদিহির ধারণা পুরোপুরি বিলুপ্ত হবে।
সাংবিধানিক আইনজীবী সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এই সংশোধনী ‘পাকিস্তানের বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ধারণাটিকেই ধ্বংস করে দিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এর মাধ্যমে দেশটি কার্যত আজীবন একনায়কতন্ত্রের পথে হাঁটছে।’ বিরোধীরা বলছেন, এই আইন সামরিক শাসনকে সংবিধানে স্থায়ী রূপ দিচ্ছে এবং পাকিস্তানকে পূর্ণ কর্তৃত্ববাদে ঠেলে দিচ্ছে।
১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর থেকে পাকিস্তান কয়েক দশক সরাসরি সামরিক শাসনের অধীনে ছিল। সে সময় জেনারেলরা সংবিধান স্থগিত করে দিয়েছিলেন। তবে ২০০৮ সালে জেনারেল পারভেজ মুশাররফের পতনের পর দেশটি এক ভঙ্গুর গণতন্ত্রে রূপ নেয়—যেখানে নির্বাচিত বেসামরিক সরকারই মুখে নেতৃত্ব দেয়, কিন্তু পর্দার আড়ালে সেনাবাহিনীই নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেনাবাহিনী আবারও দেশের প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ কুক্ষিগত করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর মাধ্যমে শীর্ষ সেনা কর্মকর্তারা আরও ক্ষমতাবান হচ্ছেন। ২০২২ সালে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর আসিম মুনির আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কার্যত রাষ্ট্রপ্রধানের মতো সফর করেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে দুটি বৈঠক করেছেন, যেখানে ট্রাম্প তাঁকে ‘আমার প্রিয় ফিল্ড মার্শাল’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। সরকারি জোটের নেতা প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা এই সংশোধনীকে ন্যায়বিচার ও সেনাবাহিনীর ‘আধুনিকীকরণ ও দক্ষতা বৃদ্ধি’র উদ্যোগ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন।
অতীতে সংবিধান পরিবর্তনের প্রস্তাব নিয়ে সিনেট ও জাতীয় পরিষদে সপ্তাহজুড়ে বিতর্ক হতো। কিন্তু এবার তা কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুই কক্ষেই পাস হয়ে যায়। বিশ্লেষকদের মতে, দুর্বল জোট সরকারের অসহায়ত্ব এবং মুনিরের অপ্রতিরোধ্য প্রভাবেরই প্রমাণ এটি। বুধবার কেবল চারজন সংসদ সদস্য বিলটির বিরোধিতা করেন।
পাকিস্তানের বৃহত্তম বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এই ভোট বর্জন করেছে। যদিও জনসমর্থনে দলটি এখনো শক্তিশালী, কিন্তু মুনির সেনাপ্রধান হওয়ার পর থেকে তাদের রাজনৈতিক শক্তি ও প্রভাব প্রায় নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয়েছে। দলের নেতা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে আছেন এবং তার মুক্তির সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।
বহুদলীয় বিরোধী জোট তেহরিক-ই-তাহাফুজ-ই-আইন-ই-পাকিস্তান (টিটিএপি) অভিযোগ করেছে যে, সরকার ‘সংবিধানের ভিত্তি নড়িয়ে দিয়েছে।’ এক যৌথ চিঠিতে শতাধিক আইনজীবী ও অধিকারকর্মী এই সংশোধনীকে ‘সংবিধান বিকৃতি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তারা বলেন, এই প্রক্রিয়ায় ‘আইনজীবী সমাজ, বিচার বিভাগ এবং নাগরিক সমাজের সঙ্গে কোনো অর্থবহ আলোচনা বা মতবিনিময় হয়নি।’

এই যে দিন-রাত হয়, আর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হয় তাপমাত্রার তারতম্য, কিংবা একেক মৌসুমে একেক তাপমাত্রা বা বিভিন্ন উচ্চতায় বিভিন্ন তাপ-চাপের মুখোমুখি হয়েও টিকে আছে মানুষ, এর মূল সূত্রটি কোথায়
০৪ অক্টোবর ২০২১
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির ইতিহাসে দীর্ঘতম সরকারি শাটডাউন বা অচলাবস্থা শেষ করতে একটি বিলে স্বাক্ষর করেছেন। এর আগে, মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস বা প্রতিনিধি পরিষদ খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি পুনরায় চালু করা, কয়েক লক্ষ ফেডারেল কর্মচারীর বেতন প্রদান এবং ক্ষতিগ্র
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন এইচ-১বি ভিসা নীতির লক্ষ্য হলো যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষ বিদেশি কর্মীদের অস্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়া। যাতে তারা আমেরিকানদের উচ্চ দক্ষতার কাজে প্রশিক্ষণ দিতে পারে। বিদেশি শ্রমিকের ওপর দীর্ঘমেয়াদি নির্ভরশীলতা চান না ট্রাম্প, এমনটি জানিয়েছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী
৩ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ডেকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারাকে খুবই ব্যক্তিগত ও বিব্রতকর এক প্রশ্ন করেছেন। ট্রাম্প সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে সরাসরি জিজ্ঞেস করেন যে ‘তোমার বিবি কয়টা?’ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির ইতিহাসে দীর্ঘতম সরকারি শাটডাউন বা অচলাবস্থা শেষ করতে একটি বিলে স্বাক্ষর করেছেন। এর আগে, মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস বা প্রতিনিধি পরিষদ খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি পুনরায় চালু করা, কয়েক লক্ষ ফেডারেল কর্মচারীর বেতন প্রদান এবং ক্ষতিগ্রস্ত বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারে সরকারি ব্যয় নির্বাহে জরুরি এক বিলে সম্মতি দেয়।
রিপাবলিকান পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস ২২২-২০৯ ভোটে বিলটি পাস করে। ট্রাম্পের সমর্থনেই মূলত তাঁর দল ঐক্যবদ্ধ ছিল। তবে নিম্নকক্ষের ডেমোক্র্যাট সদস্যরা তীব্র বিরোধিতা করেন। তারা ক্ষুব্ধ ছিলেন এই কারণে যে—সিনেটে তাদের সহকর্মীদের দীর্ঘ অচলাবস্থা সৃষ্টিকারী অবস্থানও শেষ পর্যন্ত ফেডারেল স্বাস্থ্যবিমা ভর্তুকি বাড়ানোর কোনো চুক্তি আনতে ব্যর্থ হয়েছে।
বিলটিতে ট্রাম্পের স্বাক্ষর ৪৩ দিনের এই অচলাবস্থায় কর্মবিরতিতে থাকা ফেডারেল কর্মীদের আজ বৃহস্পতিবার থেকেই কাজে ফেরার সুযোগ দেবে। তবে পুরোপুরি সরকারি কার্যক্রম কত দ্রুত স্বাভাবিক হবে, তা এখনো অনিশ্চিত।
হোয়াইট হাউসে গভীর রাতে আয়োজিত স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা আর কখনো এমন কিছু হতে দিতে পারি না। এটি দেশ চালানোর উপায় হতে পারে না।’ তিনি এ সময় ডেমোক্র্যাটদের কঠোর সমালোচনাও করেন।
যাই হোক, এই আইন আইন ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারি অর্থায়ন বাড়াবে, যা যুক্তরাষ্ট্রের ৩৮ ট্রিলিয়ন ডলারের ঋণে প্রতি বছর প্রায় ১ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলার নতুন সংযোজনের পথ তৈরি করবে।
অচলাবস্থার অবসান যুক্তরাষ্ট্রে বিমান চলাচল-সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ সেবাগুলোর পুনরুদ্ধারে আশার আলো জাগিয়েছে, বিশেষ করে থ্যাঙ্কসগিভিংয়ের বিশাল ভ্রমণ মৌসুম শুরু হতে মাত্র দুই সপ্তাহ বাকি। একই সঙ্গে কোটি পরিবারের জন্য খাদ্য সহায়তা পুনরায় চালু হওয়ায় বড়দিনের কেনাকাটার মৌসুমে তাদের ব্যয় করার সক্ষমতাও বাড়তে পারে।
তবে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, কিছু তথ্যের ঘাটতি হয়তো আর কখনো পূরণ করা যাবে না। বিশেষ করে অক্টোবর মাসের কর্মসংস্থান ও ভোক্তা মূল্যসূচক (সিপিআই) সম্পর্কিত প্রতিবেদন হয়তো আর প্রকাশই হবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির ইতিহাসে দীর্ঘতম সরকারি শাটডাউন বা অচলাবস্থা শেষ করতে একটি বিলে স্বাক্ষর করেছেন। এর আগে, মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস বা প্রতিনিধি পরিষদ খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি পুনরায় চালু করা, কয়েক লক্ষ ফেডারেল কর্মচারীর বেতন প্রদান এবং ক্ষতিগ্রস্ত বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারে সরকারি ব্যয় নির্বাহে জরুরি এক বিলে সম্মতি দেয়।
রিপাবলিকান পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস ২২২-২০৯ ভোটে বিলটি পাস করে। ট্রাম্পের সমর্থনেই মূলত তাঁর দল ঐক্যবদ্ধ ছিল। তবে নিম্নকক্ষের ডেমোক্র্যাট সদস্যরা তীব্র বিরোধিতা করেন। তারা ক্ষুব্ধ ছিলেন এই কারণে যে—সিনেটে তাদের সহকর্মীদের দীর্ঘ অচলাবস্থা সৃষ্টিকারী অবস্থানও শেষ পর্যন্ত ফেডারেল স্বাস্থ্যবিমা ভর্তুকি বাড়ানোর কোনো চুক্তি আনতে ব্যর্থ হয়েছে।
বিলটিতে ট্রাম্পের স্বাক্ষর ৪৩ দিনের এই অচলাবস্থায় কর্মবিরতিতে থাকা ফেডারেল কর্মীদের আজ বৃহস্পতিবার থেকেই কাজে ফেরার সুযোগ দেবে। তবে পুরোপুরি সরকারি কার্যক্রম কত দ্রুত স্বাভাবিক হবে, তা এখনো অনিশ্চিত।
হোয়াইট হাউসে গভীর রাতে আয়োজিত স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা আর কখনো এমন কিছু হতে দিতে পারি না। এটি দেশ চালানোর উপায় হতে পারে না।’ তিনি এ সময় ডেমোক্র্যাটদের কঠোর সমালোচনাও করেন।
যাই হোক, এই আইন আইন ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারি অর্থায়ন বাড়াবে, যা যুক্তরাষ্ট্রের ৩৮ ট্রিলিয়ন ডলারের ঋণে প্রতি বছর প্রায় ১ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলার নতুন সংযোজনের পথ তৈরি করবে।
অচলাবস্থার অবসান যুক্তরাষ্ট্রে বিমান চলাচল-সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ সেবাগুলোর পুনরুদ্ধারে আশার আলো জাগিয়েছে, বিশেষ করে থ্যাঙ্কসগিভিংয়ের বিশাল ভ্রমণ মৌসুম শুরু হতে মাত্র দুই সপ্তাহ বাকি। একই সঙ্গে কোটি পরিবারের জন্য খাদ্য সহায়তা পুনরায় চালু হওয়ায় বড়দিনের কেনাকাটার মৌসুমে তাদের ব্যয় করার সক্ষমতাও বাড়তে পারে।
তবে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, কিছু তথ্যের ঘাটতি হয়তো আর কখনো পূরণ করা যাবে না। বিশেষ করে অক্টোবর মাসের কর্মসংস্থান ও ভোক্তা মূল্যসূচক (সিপিআই) সম্পর্কিত প্রতিবেদন হয়তো আর প্রকাশই হবে না।

এই যে দিন-রাত হয়, আর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হয় তাপমাত্রার তারতম্য, কিংবা একেক মৌসুমে একেক তাপমাত্রা বা বিভিন্ন উচ্চতায় বিভিন্ন তাপ-চাপের মুখোমুখি হয়েও টিকে আছে মানুষ, এর মূল সূত্রটি কোথায়
০৪ অক্টোবর ২০২১
পাকিস্তানের পার্লামেন্ট দেশটির সংবিধানের ২৭তম সংশোধনী পাস করেছে। এই বিতর্কিত সংশোধনী দেশটির সেনাপ্রধানের ক্ষমতা আরও বাড়াবে এবং তাঁকে আজীবন আইনি দায়মুক্তি দেবে। একই সঙ্গে এটি সুপ্রিম কোর্টের স্বাধীনতাও সীমিত করবে। সমালোচকেরা একে ‘গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক’ বলে বর্ণনা করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন এইচ-১বি ভিসা নীতির লক্ষ্য হলো যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষ বিদেশি কর্মীদের অস্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়া। যাতে তারা আমেরিকানদের উচ্চ দক্ষতার কাজে প্রশিক্ষণ দিতে পারে। বিদেশি শ্রমিকের ওপর দীর্ঘমেয়াদি নির্ভরশীলতা চান না ট্রাম্প, এমনটি জানিয়েছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী
৩ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ডেকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারাকে খুবই ব্যক্তিগত ও বিব্রতকর এক প্রশ্ন করেছেন। ট্রাম্প সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে সরাসরি জিজ্ঞেস করেন যে ‘তোমার বিবি কয়টা?’ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন এইচ-১বি ভিসা নীতির লক্ষ্য হলো, যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষ বিদেশি কর্মীদের অস্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়া। যাতে তারা আমেরিকানদের উচ্চ দক্ষতার কাজে প্রশিক্ষণ দিতে পারে। বিদেশি শ্রমিকের ওপর দীর্ঘমেয়াদি নির্ভরশীলতা চান না ট্রাম্প, এমনটি জানিয়েছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন সাম্প্রতিক সময়ে আগ্রাসী অভিবাসন নীতি সংস্কারের পথে হাঁটছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্প বলেছেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমেরিকাকে বিদেশি প্রতিভা আনতেই হবে। তার ঠিক পরদিনই বেসেন্ট এই মন্তব্য করলেন।
ফক্স নিউজের সাংবাদিক ব্রায়ান কিলমেইডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বেসেন্ট বলেন, ট্রাম্পের নতুন এইচ-১বি ভিসা নীতি একধরনের ‘জ্ঞান স্থানান্তর উদ্যোগ’, যার উদ্দেশ্য আমেরিকার উৎপাদন খাতকে পুনরুজ্জীবিত করা। তিনি বলেন, এই নতুন পন্থার লক্ষ্য হলো কয়েক দশকের আউটসোর্সিং বা উৎপাদন স্থানান্তরের পর যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন শিল্পকে পুনর্গঠন করা।
বেসেন্ট বলেন, ‘২০ থেকে ৩০ বছর ধরে আমরা নিখুঁত উৎপাদনশিল্পের কাজ বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছি...এখন হুট করে আমরা বলতেই পারি না যে, কাল থেকেই আমরা নিজেরা জাহাজ বানাব। আমরা যুক্তরাষ্ট্রে সেমিকন্ডাক্টর শিল্প ফিরিয়ে আনতে চাই। অ্যারিজোনায় বড় বড় স্থাপনাগুলো গড়ে উঠবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের ভাবনাটা হলো—বিদেশি বিশেষজ্ঞদের তিন, পাঁচ বা সাত বছরের জন্য আনা হবে, যাতে তারা আমেরিকান শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দিতে পারে। এরপর তারা নিজ দেশে ফিরে যাবে, আর তখন আমেরিকান শ্রমিকেরাই সেই দায়িত্ব নেবে।’
বিদেশি শ্রমিকেরা আমেরিকানদের চাকরি কেড়ে নেয়—এমন আশঙ্কার জবাবে বেসেন্ট বলেন, ‘এই মুহূর্তে কোনো আমেরিকানই ওই কাজ করতে পারবে না—এখনো নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বহু বছর ধরে এখানে জাহাজ বা সেমিকন্ডাক্টর তৈরি করিনি। বিদেশি অংশীদাররা আসবে, আমেরিকানদের শেখাবে—এটাই সবচেয়ে বড় সাফল্য।’
বেসেন্ট ব্যাখ্যা করেন, ট্রাম্প টিমের এই নতুন এইচ-১বি নীতি রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের বৃহত্তর পরিকল্পনারই অংশ—যার উদ্দেশ্য হলো গুরুত্বপূর্ণ শিল্পগুলোকে দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আমদানি নির্ভরতা কমানো।
এ ছাড়া বেসেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের অর্থনৈতিক কর্মসূচি নিয়েও কথা বলেন। তিনি নিশ্চিত করেন, বছরে ১ লাখ ডলারের নিচে আয় করা পরিবারের জন্য ২ হাজার ডলারের শুল্ক-রিবেট বা ফেরতের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে। বেসেন্ট বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ২ হাজার ডলারের রিবেট নিয়ে কথা বলছেন...এটি এমন এক পদক্ষেপ, যাতে পরিবারগুলো শক্তিশালী বাণিজ্য নীতির সুফল সরাসরি পায়।’
বেসেন্ট বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি হলো ‘প্যারালাল প্রস্পারিটি বা সমান্তরাল সমৃদ্ধি’ যেখানে ওয়াল স্ট্রিট ও মেইন স্ট্রিট একসঙ্গে এগিয়ে যাবে। আর এটি নির্ভর করছে ট্রেজারি বাজারকে গভীর, তরল ও স্থিতিশীল রাখার ওপর।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন এইচ-১বি ভিসা নীতির লক্ষ্য হলো, যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষ বিদেশি কর্মীদের অস্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়া। যাতে তারা আমেরিকানদের উচ্চ দক্ষতার কাজে প্রশিক্ষণ দিতে পারে। বিদেশি শ্রমিকের ওপর দীর্ঘমেয়াদি নির্ভরশীলতা চান না ট্রাম্প, এমনটি জানিয়েছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন সাম্প্রতিক সময়ে আগ্রাসী অভিবাসন নীতি সংস্কারের পথে হাঁটছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্প বলেছেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমেরিকাকে বিদেশি প্রতিভা আনতেই হবে। তার ঠিক পরদিনই বেসেন্ট এই মন্তব্য করলেন।
ফক্স নিউজের সাংবাদিক ব্রায়ান কিলমেইডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বেসেন্ট বলেন, ট্রাম্পের নতুন এইচ-১বি ভিসা নীতি একধরনের ‘জ্ঞান স্থানান্তর উদ্যোগ’, যার উদ্দেশ্য আমেরিকার উৎপাদন খাতকে পুনরুজ্জীবিত করা। তিনি বলেন, এই নতুন পন্থার লক্ষ্য হলো কয়েক দশকের আউটসোর্সিং বা উৎপাদন স্থানান্তরের পর যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন শিল্পকে পুনর্গঠন করা।
বেসেন্ট বলেন, ‘২০ থেকে ৩০ বছর ধরে আমরা নিখুঁত উৎপাদনশিল্পের কাজ বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছি...এখন হুট করে আমরা বলতেই পারি না যে, কাল থেকেই আমরা নিজেরা জাহাজ বানাব। আমরা যুক্তরাষ্ট্রে সেমিকন্ডাক্টর শিল্প ফিরিয়ে আনতে চাই। অ্যারিজোনায় বড় বড় স্থাপনাগুলো গড়ে উঠবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের ভাবনাটা হলো—বিদেশি বিশেষজ্ঞদের তিন, পাঁচ বা সাত বছরের জন্য আনা হবে, যাতে তারা আমেরিকান শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দিতে পারে। এরপর তারা নিজ দেশে ফিরে যাবে, আর তখন আমেরিকান শ্রমিকেরাই সেই দায়িত্ব নেবে।’
বিদেশি শ্রমিকেরা আমেরিকানদের চাকরি কেড়ে নেয়—এমন আশঙ্কার জবাবে বেসেন্ট বলেন, ‘এই মুহূর্তে কোনো আমেরিকানই ওই কাজ করতে পারবে না—এখনো নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বহু বছর ধরে এখানে জাহাজ বা সেমিকন্ডাক্টর তৈরি করিনি। বিদেশি অংশীদাররা আসবে, আমেরিকানদের শেখাবে—এটাই সবচেয়ে বড় সাফল্য।’
বেসেন্ট ব্যাখ্যা করেন, ট্রাম্প টিমের এই নতুন এইচ-১বি নীতি রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের বৃহত্তর পরিকল্পনারই অংশ—যার উদ্দেশ্য হলো গুরুত্বপূর্ণ শিল্পগুলোকে দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আমদানি নির্ভরতা কমানো।
এ ছাড়া বেসেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের অর্থনৈতিক কর্মসূচি নিয়েও কথা বলেন। তিনি নিশ্চিত করেন, বছরে ১ লাখ ডলারের নিচে আয় করা পরিবারের জন্য ২ হাজার ডলারের শুল্ক-রিবেট বা ফেরতের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে। বেসেন্ট বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ২ হাজার ডলারের রিবেট নিয়ে কথা বলছেন...এটি এমন এক পদক্ষেপ, যাতে পরিবারগুলো শক্তিশালী বাণিজ্য নীতির সুফল সরাসরি পায়।’
বেসেন্ট বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি হলো ‘প্যারালাল প্রস্পারিটি বা সমান্তরাল সমৃদ্ধি’ যেখানে ওয়াল স্ট্রিট ও মেইন স্ট্রিট একসঙ্গে এগিয়ে যাবে। আর এটি নির্ভর করছে ট্রেজারি বাজারকে গভীর, তরল ও স্থিতিশীল রাখার ওপর।

এই যে দিন-রাত হয়, আর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হয় তাপমাত্রার তারতম্য, কিংবা একেক মৌসুমে একেক তাপমাত্রা বা বিভিন্ন উচ্চতায় বিভিন্ন তাপ-চাপের মুখোমুখি হয়েও টিকে আছে মানুষ, এর মূল সূত্রটি কোথায়
০৪ অক্টোবর ২০২১
পাকিস্তানের পার্লামেন্ট দেশটির সংবিধানের ২৭তম সংশোধনী পাস করেছে। এই বিতর্কিত সংশোধনী দেশটির সেনাপ্রধানের ক্ষমতা আরও বাড়াবে এবং তাঁকে আজীবন আইনি দায়মুক্তি দেবে। একই সঙ্গে এটি সুপ্রিম কোর্টের স্বাধীনতাও সীমিত করবে। সমালোচকেরা একে ‘গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক’ বলে বর্ণনা করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির ইতিহাসে দীর্ঘতম সরকারি শাটডাউন বা অচলাবস্থা শেষ করতে একটি বিলে স্বাক্ষর করেছেন। এর আগে, মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস বা প্রতিনিধি পরিষদ খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি পুনরায় চালু করা, কয়েক লক্ষ ফেডারেল কর্মচারীর বেতন প্রদান এবং ক্ষতিগ্র
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ডেকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারাকে খুবই ব্যক্তিগত ও বিব্রতকর এক প্রশ্ন করেছেন। ট্রাম্প সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে সরাসরি জিজ্ঞেস করেন যে ‘তোমার বিবি কয়টা?’ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ডেকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারাকে খুবই ব্যক্তিগত ও বিব্রতকর এক প্রশ্ন করেছেন। ট্রাম্প সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে সরাসরি জিজ্ঞেস করেন যে ‘তোমার বিবি কয়টা?’ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
আহমেদ আল-শারা হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করেন পাশের একটি ফটক দিয়ে, মূল ফটক দিয়ে নয়। প্রবেশের আগেই সাংবাদিকেরা শারাকে তাঁর অতীত জীবন নিয়ে বিব্রতকর প্রশ্ন করতে থাকেন। যদিও শারা এসবে কর্ণপাত করেননি। তবে হোয়াইট হাউসেও প্রায় একই রকম বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হয় আল-শারার জন্য এবং এবারে এই পরিস্থিতি তৈরি করেন খোদ আমন্ত্রণদাতা ট্রাম্প।
এক ভিডিওতে দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আল-শারাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা দিচ্ছেন। এরপর দেরাজ থেকে নিজের ব্র্যান্ডের কোলোনের সোনালি ঢাকনার একটি পারফিউম স্প্রে বের করেন ট্রাম্প। সেটির ঢাকনা খুলে ট্রাম্প বলেন, ‘এটা পুরুষদের জন্য পারফিউম। এটা সবচেয়ে ভালো সুগন্ধি, ঠিক আছে?’ তবে এ বিষয়ে আল-শারাকে খুব একটা আগ্রহী বলে মনে হয়নি।
এরপর ট্রাম্প আরও একটি পারফিউমের বোতল এগিয়ে দেন শারার দিকে এবং বলেন, দ্বিতীয় বোতলটি তাঁর স্ত্রীর জন্য। এরপর মজার ছলে জিজ্ঞেস করেন, ‘তোমার কয়জন বিবি আছে? একজন?’ এরপর আল-শারা যখন হেসে জানান যে তাঁর মাত্র একজনই স্ত্রী আছেন, তখন ট্রাম্প হেসে তাঁর হাতে চাপড় দেন।
এ সময় ট্রাম্প আল-শারাকে অপ্রস্তুত করে আবারও বলেন, ‘তোমাদের ক্ষেত্রে আমি কখনো নিশ্চিত হতে পারি না।’ ইসলামে কঠোর শর্ত সাপেক্ষে চারজন স্ত্রী রাখার অনুমতির প্রসঙ্গ টেনে ট্রাম্পের এই রসিকতা একদম বিপরীত এক পরিবেশের ইঙ্গিত দেয়।

ওয়াশিংটন সফর ছিল শারার আন্তর্জাতিক সংযোগের প্রচারণার অংশ। তিনি যুদ্ধের পোশাক ছেড়ে এখন প্রচার করছেন এক নতুন বার্তা—তাঁর দল হায়াত তাহরির আল-শাম পশ্চিমা বিশ্বের জন্য কোনো হুমকি নয়, বরং তারা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারকে উৎখাত করে নতুন বাস্তবতা তৈরি করেছে।
এতে ট্রাম্প পড়েছেন এক সূক্ষ্ম কূটনৈতিক ভারসাম্যের মধ্যে। ট্রাম্পের কঠোরপন্থী সমর্থকেরা; যেমন লরা লুমার হোয়াইট হাউসে এই সাক্ষাতের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
সোমবার আল-শারার সফরের জন্য ট্রাম্প প্রশাসন বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়। তবে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে সাধারণ রাষ্ট্রীয় অতিথিদের মতো সম্মান দেওয়া হয়নি। প্রথা অনুসারে তিনি মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করেননি, তাঁকে হোয়াইট হাউসের ওয়েস্ট উইংয়ের সামনে লিমোজিন থেকেও নামানো হয়নি, তাঁর দেশের পতাকা হোয়াইট হাউসে ছিল না। এমনকি হোয়াইট হাউসের দরজায়ও কেউ তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানায়নি।
ট্রাম্প-শারা বৈঠকের এক দিন পর সিরিয়ার কর্মকর্তা ঘোষণা দেন, তাদের দেশ আইসিস-বিরোধী বৈশ্বিক জোটে যোগ দিয়েছে। বিনিময়ে, ট্রাম্প সোমবার সিরিয়ার ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বসানো ‘সিজার অ্যাক্ট’ নিষেধাজ্ঞার মেয়াদে ছাড় দেন। স্থায়ীভাবে তা প্রত্যাহারের জন্য অবশ্য কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন হবে।
বৈঠকের পর ট্রাম্প আল-শারার ব্যাপারে তাঁর প্রশংসা গোপন রাখতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘সে এসেছে এক ভয়ংকর কঠিন জায়গা থেকে, আর সে নিজেও কঠিন মানুষ। আমি তাকে পছন্দ করি।’
উল্লেখ্য, আহমেদ আল-শারার স্ত্রীর নাম লতিফা আল-দ্রৌবি। তাঁর জন্ম ১৯৮৪ সালের দিকে। দামেস্ক ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নকালে আল-শারার সঙ্গে তাঁর পরিচয়। তাঁরা ২০১২ সালের দিকে বিয়ে করেন। এই দম্পতির তিন সন্তান রয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ডেকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারাকে খুবই ব্যক্তিগত ও বিব্রতকর এক প্রশ্ন করেছেন। ট্রাম্প সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে সরাসরি জিজ্ঞেস করেন যে ‘তোমার বিবি কয়টা?’ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
আহমেদ আল-শারা হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করেন পাশের একটি ফটক দিয়ে, মূল ফটক দিয়ে নয়। প্রবেশের আগেই সাংবাদিকেরা শারাকে তাঁর অতীত জীবন নিয়ে বিব্রতকর প্রশ্ন করতে থাকেন। যদিও শারা এসবে কর্ণপাত করেননি। তবে হোয়াইট হাউসেও প্রায় একই রকম বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হয় আল-শারার জন্য এবং এবারে এই পরিস্থিতি তৈরি করেন খোদ আমন্ত্রণদাতা ট্রাম্প।
এক ভিডিওতে দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আল-শারাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা দিচ্ছেন। এরপর দেরাজ থেকে নিজের ব্র্যান্ডের কোলোনের সোনালি ঢাকনার একটি পারফিউম স্প্রে বের করেন ট্রাম্প। সেটির ঢাকনা খুলে ট্রাম্প বলেন, ‘এটা পুরুষদের জন্য পারফিউম। এটা সবচেয়ে ভালো সুগন্ধি, ঠিক আছে?’ তবে এ বিষয়ে আল-শারাকে খুব একটা আগ্রহী বলে মনে হয়নি।
এরপর ট্রাম্প আরও একটি পারফিউমের বোতল এগিয়ে দেন শারার দিকে এবং বলেন, দ্বিতীয় বোতলটি তাঁর স্ত্রীর জন্য। এরপর মজার ছলে জিজ্ঞেস করেন, ‘তোমার কয়জন বিবি আছে? একজন?’ এরপর আল-শারা যখন হেসে জানান যে তাঁর মাত্র একজনই স্ত্রী আছেন, তখন ট্রাম্প হেসে তাঁর হাতে চাপড় দেন।
এ সময় ট্রাম্প আল-শারাকে অপ্রস্তুত করে আবারও বলেন, ‘তোমাদের ক্ষেত্রে আমি কখনো নিশ্চিত হতে পারি না।’ ইসলামে কঠোর শর্ত সাপেক্ষে চারজন স্ত্রী রাখার অনুমতির প্রসঙ্গ টেনে ট্রাম্পের এই রসিকতা একদম বিপরীত এক পরিবেশের ইঙ্গিত দেয়।

ওয়াশিংটন সফর ছিল শারার আন্তর্জাতিক সংযোগের প্রচারণার অংশ। তিনি যুদ্ধের পোশাক ছেড়ে এখন প্রচার করছেন এক নতুন বার্তা—তাঁর দল হায়াত তাহরির আল-শাম পশ্চিমা বিশ্বের জন্য কোনো হুমকি নয়, বরং তারা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারকে উৎখাত করে নতুন বাস্তবতা তৈরি করেছে।
এতে ট্রাম্প পড়েছেন এক সূক্ষ্ম কূটনৈতিক ভারসাম্যের মধ্যে। ট্রাম্পের কঠোরপন্থী সমর্থকেরা; যেমন লরা লুমার হোয়াইট হাউসে এই সাক্ষাতের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
সোমবার আল-শারার সফরের জন্য ট্রাম্প প্রশাসন বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়। তবে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে সাধারণ রাষ্ট্রীয় অতিথিদের মতো সম্মান দেওয়া হয়নি। প্রথা অনুসারে তিনি মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করেননি, তাঁকে হোয়াইট হাউসের ওয়েস্ট উইংয়ের সামনে লিমোজিন থেকেও নামানো হয়নি, তাঁর দেশের পতাকা হোয়াইট হাউসে ছিল না। এমনকি হোয়াইট হাউসের দরজায়ও কেউ তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানায়নি।
ট্রাম্প-শারা বৈঠকের এক দিন পর সিরিয়ার কর্মকর্তা ঘোষণা দেন, তাদের দেশ আইসিস-বিরোধী বৈশ্বিক জোটে যোগ দিয়েছে। বিনিময়ে, ট্রাম্প সোমবার সিরিয়ার ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বসানো ‘সিজার অ্যাক্ট’ নিষেধাজ্ঞার মেয়াদে ছাড় দেন। স্থায়ীভাবে তা প্রত্যাহারের জন্য অবশ্য কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন হবে।
বৈঠকের পর ট্রাম্প আল-শারার ব্যাপারে তাঁর প্রশংসা গোপন রাখতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘সে এসেছে এক ভয়ংকর কঠিন জায়গা থেকে, আর সে নিজেও কঠিন মানুষ। আমি তাকে পছন্দ করি।’
উল্লেখ্য, আহমেদ আল-শারার স্ত্রীর নাম লতিফা আল-দ্রৌবি। তাঁর জন্ম ১৯৮৪ সালের দিকে। দামেস্ক ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নকালে আল-শারার সঙ্গে তাঁর পরিচয়। তাঁরা ২০১২ সালের দিকে বিয়ে করেন। এই দম্পতির তিন সন্তান রয়েছে।

এই যে দিন-রাত হয়, আর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হয় তাপমাত্রার তারতম্য, কিংবা একেক মৌসুমে একেক তাপমাত্রা বা বিভিন্ন উচ্চতায় বিভিন্ন তাপ-চাপের মুখোমুখি হয়েও টিকে আছে মানুষ, এর মূল সূত্রটি কোথায়
০৪ অক্টোবর ২০২১
পাকিস্তানের পার্লামেন্ট দেশটির সংবিধানের ২৭তম সংশোধনী পাস করেছে। এই বিতর্কিত সংশোধনী দেশটির সেনাপ্রধানের ক্ষমতা আরও বাড়াবে এবং তাঁকে আজীবন আইনি দায়মুক্তি দেবে। একই সঙ্গে এটি সুপ্রিম কোর্টের স্বাধীনতাও সীমিত করবে। সমালোচকেরা একে ‘গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক’ বলে বর্ণনা করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির ইতিহাসে দীর্ঘতম সরকারি শাটডাউন বা অচলাবস্থা শেষ করতে একটি বিলে স্বাক্ষর করেছেন। এর আগে, মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস বা প্রতিনিধি পরিষদ খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি পুনরায় চালু করা, কয়েক লক্ষ ফেডারেল কর্মচারীর বেতন প্রদান এবং ক্ষতিগ্র
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন এইচ-১বি ভিসা নীতির লক্ষ্য হলো যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষ বিদেশি কর্মীদের অস্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়া। যাতে তারা আমেরিকানদের উচ্চ দক্ষতার কাজে প্রশিক্ষণ দিতে পারে। বিদেশি শ্রমিকের ওপর দীর্ঘমেয়াদি নির্ভরশীলতা চান না ট্রাম্প, এমনটি জানিয়েছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী
৩ ঘণ্টা আগে