আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মের সর্বোচ্চ নেতা প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরসূরি কে হবেন, তা আগে থেকে বলা প্রায় অসম্ভব। কারণ, অতি গোপনীয় পোপ নির্বাচনে কার্ডিনালদের অবস্থান সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলায়। এমনকি কেউ কেউ নিজেদের পছন্দের বা অপছন্দের প্রার্থীকে জেতাতে নানা কৌশলও নেন।
২০১৩ সালের শেষ নির্বাচনে খুব কম লোকেই ভেবেছিলেন যে, জর্জ মারিও বার্গোলিও পোপ নির্বাচিত হবেন। পরে তিনিই হন পোপ ফ্রান্সিস। বর্তমানে তাঁর সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে যাদের নাম আলোচনায় আসছে, তারা হলেন—
পিয়েত্রো পারোলিন, ৭০, ইতালি
পিয়েত্রে পারোলিনকে ‘কন্টিন্যুয়িটি ক্যান্ডিডেট’ বা ‘ধারাবাহিকতার প্রার্থী’ হিসেবে দেখা হয়। তিনি পোপ ফ্রান্সিসের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ২০১৩ সাল থেকে তিনি ভ্যাটিকানের সেক্রেটারি অব স্টেট। কূটনৈতিক বিষয়ে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। এর মধ্যে চীন ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সংবেদনশীল আলোচনাও অন্তর্ভুক্ত। ধর্মনিরপেক্ষ কূটনীতিকেরা তাঁকে পোপের নির্ভরযোগ্য প্রতিনিধি মনে করেন।
২০১৮ সালে চীন সরকারের সঙ্গে বিশপ নিয়োগ নিয়ে একটি বিতর্কিত চুক্তিতে তাঁর বড় ভূমিকা ছিল। কেউ কেউ এই চুক্তিকে কমিউনিস্ট সরকারের কাছে ‘বিকিয়ে দেওয়া’ বলে সমালোচনা করেন। পারোলিনের সমালোচকেরা তাঁকে আধুনিক এবং বাস্তববাদী বলে মনে করেন। তাদের মতে, তিনি বিশ্বাসের কঠিন সত্যের চেয়ে আদর্শ ও কূটনৈতিক সমাধানকে বেশি গুরুত্ব দেন। তাঁর সমর্থকেরা তাঁকে সাহসী আদর্শবাদী ও শান্তির দৃঢ় প্রবক্তা বলেন।
লুইস আন্তোনিও টাগলে, ৬৭, ফিলিপাইন
ম্যানিলার সাবেক আর্চবিশপ টাগলে নির্বাচিত হলে তিনিই হবেন প্রথম এশীয় পোপ। বিগত কয়েক দশক ধরে এশিয়াতেই ক্যাথলিক জনসংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। একসময় টাগলেকে ফ্রান্সিসের পছন্দের উত্তরসূরি মনে করা হতো। তিনি পোপের প্রগতিশীল ধারা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য শক্তিশালী প্রার্থীও ছিলেন। তবে সম্প্রতি তাঁর প্রভাব কিছুটা কমেছে বলে মনে হয়। তিনি মনে করেন, সমকামী ও বিবাহবিচ্ছেদ হওয়া দম্পতিদের প্রতি ক্যাথলিক চার্চের অবস্থান খুব কঠোর। তবে ফিলিপাইনে তিনি গর্ভপাতের অধিকারের বিরোধিতা করেছেন।
পিটার টার্কসন, ৭৬, ঘানা
টার্কসন নির্বাচিত হলে কয়েক শতাব্দীর মধ্যে তিনিই হবেন প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ পোপ। তিনি জলবায়ু সংকট, দারিদ্র্য এবং অর্থনৈতিক ন্যায়বিচারের মতো বিষয়ে স্পষ্টভাষী। একই সঙ্গে তিনি পুরোহিত নিয়োগ, বিয়ে (শুধুমাত্র পুরুষ ও নারীর মধ্যে) এবং সমকামিতা নিয়ে চার্চের ঐতিহ্যবাহী অবস্থানের সমর্থক। তবে শেষের বিষয়টি নিয়ে তাঁর মতামত কিছুটা নরম হয়েছে। তিনি মনে করেন, অনেক আফ্রিকান দেশের আইন এ বিষয়ে খুব কঠোর। তিনি দুর্নীতি ও মানবাধিকার নিয়েও কথা বলেছেন।
রবার্ট ফ্রান্সিস প্রেভস্ট, ৬৯, যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ব পরাশক্তি অবস্থান এবং ধর্মনিরপেক্ষ বৈশ্বিক প্রভাবের কারণে ভ্যাটিকান ঐতিহ্যগতভাবে কোনো মার্কিনিকে পোপের জায়গায় দেখার ধারণার বিরোধিতা করে আসছে। তা সত্ত্বেও শিকাগোতে জন্ম নেওয়া মধ্যপন্থী প্রেভস্টকে নজরে রাখা হচ্ছে। ফ্রান্সিস ২০২৩ সালে তাঁকে কার্ডিনাল করেন।
রবার্ট ফ্রান্সিস অগাস্টিনীয় ব্যবস্থার সাবেক প্রধান। ফ্রান্সিস তাঁকে শক্তিশালী বিশপ মনোনয়ন বিভাগের প্রধানও করেছিলেন। এই বিভাগ বিশ্বজুড়ে নতুন বিশপ নির্বাচন দেখাশোনা করে। এই গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো এবং পেরুতে তাঁর উল্লেখযোগ্য মিশনারি অভিজ্ঞতা (তিনি চিক্লায়ো শহরের বিশপ ছিলেন) হয়তো তাঁকে মার্কিন পোপের ধারণার বিরোধী কার্ডিনালদের কাছে কিছুটা গ্রহণযোগ্য করে তুলতে পারে।
পিটার এরদো, ৭২, হাঙ্গেরি
এরদো পোপ নির্বাচনের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান রক্ষণশীল প্রার্থী। এরদো ঐতিহ্যবাহী ক্যাথলিক শিক্ষা ও মতবাদের দৃঢ় সমর্থক। তিনি নির্বাচিত হলে ফ্রান্সিসের পদ্ধতির থেকে একটি বড় পরিবর্তন আসবে। তাঁকে একজন মহান বুদ্ধিমান এবং সংস্কৃতিমান ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করা হয়। প্রয়াত কার্ডিনাল জর্জ পেল তাঁকে পছন্দ করতেন। পেল বিশ্বাস করতেন, এরদো পোপ ফ্রান্সিসের পরের ভ্যাটিকানে আইনের শাসন ফিরিয়ে আনবেন।
২০১৫ সালে এরদো হাঙ্গেরির জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের সঙ্গে সুর মিলিয়েছিলেন। সে সময় তিনি অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য পোপ ফ্রান্সিসের আহ্বানকে সমর্থন করেননি।
মাত্তেও জুপ্পি, ৬৯, ইতালি
পোপ ফ্রান্সিস তাঁকে ২০১৯ সালে কার্ডিনাল করেন। জুপ্পিকে চার্চের প্রগতিশীল ধারার অনুসারী মনে করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ফ্রান্সিসের উত্তরাধিকার এগিয়ে নিয়ে যাবেন। তিনিও দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ফ্রান্সিসের মতো উদ্বিগ্ন। সমলিঙ্গ সম্পর্কের ক্ষেত্রে তিনি (আপেক্ষিকভাবে) উদারপন্থী। দুই বছর আগে ফ্রান্সিস তাঁকে ইউক্রেনের জন্য ভ্যাটিকানের শান্তি দূত করেন। এই ভূমিকায় তিনি মস্কো সফর করেন ‘মানবতার নিদর্শনকে উৎসাহিত করতে’। সেখানে তিনি রাশিয়ান অর্থোডক্স চার্চের প্রধান এবং ভ্লাদিমির পুতিনের মিত্র প্যাট্রিয়ার্ক সঙ্গে দেখা করেন। তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও দেখা করেছেন।
জোসে টোলেন্টিনো কালাকা দে মেন্ডোনকা, ৫৯, পর্তুগাল
টোলেন্টিনো ফ্রান্সিসের সম্ভাব্য উত্তরসূরিদের মধ্যে অন্যতম তরুণ। এটি হয়তো তাঁর বিপক্ষে যেতে পারে। উচ্চাকাঙ্ক্ষী কার্ডিনালরা হয়তো পরবর্তী সুযোগের জন্য আরও ২০ বা ৩০ বছর অপেক্ষা করতে চাইবেন না। সমলিঙ্গের সম্পর্কের প্রতি সহনশীলতার দৃষ্টিভঙ্গি এবং নারীদের ধর্মযাজক হওয়ার পক্ষে থাকা এক নারীবাদী সন্ন্যাসিনীর প্রতি সহানুভূতি দেখানোয় তিনি বিতর্কে জড়িয়েছেন। তিনি ফ্রান্সিসের বেশির ভাগ নীতির ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তিনি মনে করেন, চার্চকে আধুনিক সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত হতে হবে।
মারিও গ্রেচ, ৬৮, মাল্টা
গ্রেচকে একসময় ঐতিহ্যবাদী হিসেবে দেখা হতো। তবে ২০১৩ সালে ফ্রান্সিস পোপ নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি আরও প্রগতিশীল ধারণা গ্রহণ করতে শুরু করেন। তাঁর সমর্থকেরা বলেন, তাঁর পরিবর্তিত মতামত উন্নয়ন ও পরিবর্তনের ক্ষমতা দেখায়। তিনি এনজিও জাহাজগুলোর কার্যক্রম সীমিত করতে চাওয়া ইউরোপীয় রাজনৈতিক নেতাদের সমালোচনা করেছেন। তিনি নারী ডিকনদের প্রতিও সমর্থন জানিয়েছেন।
পিয়েরবাতিস্তা পিজ্জাবাল্লা, ৬০, ইতালি
২০২০ সাল থেকে পিজ্জাবাল্লা জেরুজালেমের ল্যাটিন প্যাট্রিয়ার্ক। এই পবিত্র ভূমিতে খ্রিষ্টান সংখ্যালঘুদের পক্ষে কথা বলার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর পিজ্জাবাল্লা গাজায় হামাসের হাতে বন্দী শিশুদের বিনিময়ে নিজেকে জিম্মি হিসেবে প্রস্তাব করেন। কয়েক মাস আলোচনার পর ২০২৪ সালের মে মাসে তিনি গাজা সফর করেন। আশা করা হচ্ছে, তিনি ফ্রান্সিসের নেতৃত্বের কিছু দিক চালিয়ে যাবেন। তবে বিতর্কিত বিষয়ে তিনি খুব বেশি জনসমক্ষে মন্তব্য করেননি।
রবার্ট সারাহ, ৭৯, গিনি
সারাহ একজন ঐতিহ্যবাহী, অর্থোডক্স কার্ডিনাল। এক ভ্যাটিকান পর্যবেক্ষকের মতে, তিনি একসময় নিজেকে ফ্রান্সিসের ‘সমান্তরাল কর্তৃপক্ষ’ হিসেবে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। ২০২০ সালে তিনি তৎকালীন অবসরপ্রাপ্ত পোপ বেনেডিক্টের সঙ্গে পুরোহিতদের ব্রহ্মচর্য রক্ষা করে একটি বই লেখেন। এটিকে ফ্রান্সিসের কর্তৃত্বের প্রতি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হয়েছিল। তিনি ‘লিঙ্গ মতাদর্শকে’ সমাজের জন্য হুমকি বলে নিন্দা করেছেন। তিনি ইসলামিক মৌলবাদের বিরুদ্ধেও কথা বলেছেন। টার্কসনের মতো তিনিও নির্বাচিত হলে কয়েক শতাব্দীর মধ্যে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ পোপ হিসেবে ইতিহাস গড়তে পারেন।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মের সর্বোচ্চ নেতা প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরসূরি কে হবেন, তা আগে থেকে বলা প্রায় অসম্ভব। কারণ, অতি গোপনীয় পোপ নির্বাচনে কার্ডিনালদের অবস্থান সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলায়। এমনকি কেউ কেউ নিজেদের পছন্দের বা অপছন্দের প্রার্থীকে জেতাতে নানা কৌশলও নেন।
২০১৩ সালের শেষ নির্বাচনে খুব কম লোকেই ভেবেছিলেন যে, জর্জ মারিও বার্গোলিও পোপ নির্বাচিত হবেন। পরে তিনিই হন পোপ ফ্রান্সিস। বর্তমানে তাঁর সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে যাদের নাম আলোচনায় আসছে, তারা হলেন—
পিয়েত্রো পারোলিন, ৭০, ইতালি
পিয়েত্রে পারোলিনকে ‘কন্টিন্যুয়িটি ক্যান্ডিডেট’ বা ‘ধারাবাহিকতার প্রার্থী’ হিসেবে দেখা হয়। তিনি পোপ ফ্রান্সিসের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ২০১৩ সাল থেকে তিনি ভ্যাটিকানের সেক্রেটারি অব স্টেট। কূটনৈতিক বিষয়ে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। এর মধ্যে চীন ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সংবেদনশীল আলোচনাও অন্তর্ভুক্ত। ধর্মনিরপেক্ষ কূটনীতিকেরা তাঁকে পোপের নির্ভরযোগ্য প্রতিনিধি মনে করেন।
২০১৮ সালে চীন সরকারের সঙ্গে বিশপ নিয়োগ নিয়ে একটি বিতর্কিত চুক্তিতে তাঁর বড় ভূমিকা ছিল। কেউ কেউ এই চুক্তিকে কমিউনিস্ট সরকারের কাছে ‘বিকিয়ে দেওয়া’ বলে সমালোচনা করেন। পারোলিনের সমালোচকেরা তাঁকে আধুনিক এবং বাস্তববাদী বলে মনে করেন। তাদের মতে, তিনি বিশ্বাসের কঠিন সত্যের চেয়ে আদর্শ ও কূটনৈতিক সমাধানকে বেশি গুরুত্ব দেন। তাঁর সমর্থকেরা তাঁকে সাহসী আদর্শবাদী ও শান্তির দৃঢ় প্রবক্তা বলেন।
লুইস আন্তোনিও টাগলে, ৬৭, ফিলিপাইন
ম্যানিলার সাবেক আর্চবিশপ টাগলে নির্বাচিত হলে তিনিই হবেন প্রথম এশীয় পোপ। বিগত কয়েক দশক ধরে এশিয়াতেই ক্যাথলিক জনসংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। একসময় টাগলেকে ফ্রান্সিসের পছন্দের উত্তরসূরি মনে করা হতো। তিনি পোপের প্রগতিশীল ধারা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য শক্তিশালী প্রার্থীও ছিলেন। তবে সম্প্রতি তাঁর প্রভাব কিছুটা কমেছে বলে মনে হয়। তিনি মনে করেন, সমকামী ও বিবাহবিচ্ছেদ হওয়া দম্পতিদের প্রতি ক্যাথলিক চার্চের অবস্থান খুব কঠোর। তবে ফিলিপাইনে তিনি গর্ভপাতের অধিকারের বিরোধিতা করেছেন।
পিটার টার্কসন, ৭৬, ঘানা
টার্কসন নির্বাচিত হলে কয়েক শতাব্দীর মধ্যে তিনিই হবেন প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ পোপ। তিনি জলবায়ু সংকট, দারিদ্র্য এবং অর্থনৈতিক ন্যায়বিচারের মতো বিষয়ে স্পষ্টভাষী। একই সঙ্গে তিনি পুরোহিত নিয়োগ, বিয়ে (শুধুমাত্র পুরুষ ও নারীর মধ্যে) এবং সমকামিতা নিয়ে চার্চের ঐতিহ্যবাহী অবস্থানের সমর্থক। তবে শেষের বিষয়টি নিয়ে তাঁর মতামত কিছুটা নরম হয়েছে। তিনি মনে করেন, অনেক আফ্রিকান দেশের আইন এ বিষয়ে খুব কঠোর। তিনি দুর্নীতি ও মানবাধিকার নিয়েও কথা বলেছেন।
রবার্ট ফ্রান্সিস প্রেভস্ট, ৬৯, যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ব পরাশক্তি অবস্থান এবং ধর্মনিরপেক্ষ বৈশ্বিক প্রভাবের কারণে ভ্যাটিকান ঐতিহ্যগতভাবে কোনো মার্কিনিকে পোপের জায়গায় দেখার ধারণার বিরোধিতা করে আসছে। তা সত্ত্বেও শিকাগোতে জন্ম নেওয়া মধ্যপন্থী প্রেভস্টকে নজরে রাখা হচ্ছে। ফ্রান্সিস ২০২৩ সালে তাঁকে কার্ডিনাল করেন।
রবার্ট ফ্রান্সিস অগাস্টিনীয় ব্যবস্থার সাবেক প্রধান। ফ্রান্সিস তাঁকে শক্তিশালী বিশপ মনোনয়ন বিভাগের প্রধানও করেছিলেন। এই বিভাগ বিশ্বজুড়ে নতুন বিশপ নির্বাচন দেখাশোনা করে। এই গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো এবং পেরুতে তাঁর উল্লেখযোগ্য মিশনারি অভিজ্ঞতা (তিনি চিক্লায়ো শহরের বিশপ ছিলেন) হয়তো তাঁকে মার্কিন পোপের ধারণার বিরোধী কার্ডিনালদের কাছে কিছুটা গ্রহণযোগ্য করে তুলতে পারে।
পিটার এরদো, ৭২, হাঙ্গেরি
এরদো পোপ নির্বাচনের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান রক্ষণশীল প্রার্থী। এরদো ঐতিহ্যবাহী ক্যাথলিক শিক্ষা ও মতবাদের দৃঢ় সমর্থক। তিনি নির্বাচিত হলে ফ্রান্সিসের পদ্ধতির থেকে একটি বড় পরিবর্তন আসবে। তাঁকে একজন মহান বুদ্ধিমান এবং সংস্কৃতিমান ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করা হয়। প্রয়াত কার্ডিনাল জর্জ পেল তাঁকে পছন্দ করতেন। পেল বিশ্বাস করতেন, এরদো পোপ ফ্রান্সিসের পরের ভ্যাটিকানে আইনের শাসন ফিরিয়ে আনবেন।
২০১৫ সালে এরদো হাঙ্গেরির জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের সঙ্গে সুর মিলিয়েছিলেন। সে সময় তিনি অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য পোপ ফ্রান্সিসের আহ্বানকে সমর্থন করেননি।
মাত্তেও জুপ্পি, ৬৯, ইতালি
পোপ ফ্রান্সিস তাঁকে ২০১৯ সালে কার্ডিনাল করেন। জুপ্পিকে চার্চের প্রগতিশীল ধারার অনুসারী মনে করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ফ্রান্সিসের উত্তরাধিকার এগিয়ে নিয়ে যাবেন। তিনিও দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ফ্রান্সিসের মতো উদ্বিগ্ন। সমলিঙ্গ সম্পর্কের ক্ষেত্রে তিনি (আপেক্ষিকভাবে) উদারপন্থী। দুই বছর আগে ফ্রান্সিস তাঁকে ইউক্রেনের জন্য ভ্যাটিকানের শান্তি দূত করেন। এই ভূমিকায় তিনি মস্কো সফর করেন ‘মানবতার নিদর্শনকে উৎসাহিত করতে’। সেখানে তিনি রাশিয়ান অর্থোডক্স চার্চের প্রধান এবং ভ্লাদিমির পুতিনের মিত্র প্যাট্রিয়ার্ক সঙ্গে দেখা করেন। তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও দেখা করেছেন।
জোসে টোলেন্টিনো কালাকা দে মেন্ডোনকা, ৫৯, পর্তুগাল
টোলেন্টিনো ফ্রান্সিসের সম্ভাব্য উত্তরসূরিদের মধ্যে অন্যতম তরুণ। এটি হয়তো তাঁর বিপক্ষে যেতে পারে। উচ্চাকাঙ্ক্ষী কার্ডিনালরা হয়তো পরবর্তী সুযোগের জন্য আরও ২০ বা ৩০ বছর অপেক্ষা করতে চাইবেন না। সমলিঙ্গের সম্পর্কের প্রতি সহনশীলতার দৃষ্টিভঙ্গি এবং নারীদের ধর্মযাজক হওয়ার পক্ষে থাকা এক নারীবাদী সন্ন্যাসিনীর প্রতি সহানুভূতি দেখানোয় তিনি বিতর্কে জড়িয়েছেন। তিনি ফ্রান্সিসের বেশির ভাগ নীতির ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তিনি মনে করেন, চার্চকে আধুনিক সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত হতে হবে।
মারিও গ্রেচ, ৬৮, মাল্টা
গ্রেচকে একসময় ঐতিহ্যবাদী হিসেবে দেখা হতো। তবে ২০১৩ সালে ফ্রান্সিস পোপ নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি আরও প্রগতিশীল ধারণা গ্রহণ করতে শুরু করেন। তাঁর সমর্থকেরা বলেন, তাঁর পরিবর্তিত মতামত উন্নয়ন ও পরিবর্তনের ক্ষমতা দেখায়। তিনি এনজিও জাহাজগুলোর কার্যক্রম সীমিত করতে চাওয়া ইউরোপীয় রাজনৈতিক নেতাদের সমালোচনা করেছেন। তিনি নারী ডিকনদের প্রতিও সমর্থন জানিয়েছেন।
পিয়েরবাতিস্তা পিজ্জাবাল্লা, ৬০, ইতালি
২০২০ সাল থেকে পিজ্জাবাল্লা জেরুজালেমের ল্যাটিন প্যাট্রিয়ার্ক। এই পবিত্র ভূমিতে খ্রিষ্টান সংখ্যালঘুদের পক্ষে কথা বলার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর পিজ্জাবাল্লা গাজায় হামাসের হাতে বন্দী শিশুদের বিনিময়ে নিজেকে জিম্মি হিসেবে প্রস্তাব করেন। কয়েক মাস আলোচনার পর ২০২৪ সালের মে মাসে তিনি গাজা সফর করেন। আশা করা হচ্ছে, তিনি ফ্রান্সিসের নেতৃত্বের কিছু দিক চালিয়ে যাবেন। তবে বিতর্কিত বিষয়ে তিনি খুব বেশি জনসমক্ষে মন্তব্য করেননি।
রবার্ট সারাহ, ৭৯, গিনি
সারাহ একজন ঐতিহ্যবাহী, অর্থোডক্স কার্ডিনাল। এক ভ্যাটিকান পর্যবেক্ষকের মতে, তিনি একসময় নিজেকে ফ্রান্সিসের ‘সমান্তরাল কর্তৃপক্ষ’ হিসেবে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। ২০২০ সালে তিনি তৎকালীন অবসরপ্রাপ্ত পোপ বেনেডিক্টের সঙ্গে পুরোহিতদের ব্রহ্মচর্য রক্ষা করে একটি বই লেখেন। এটিকে ফ্রান্সিসের কর্তৃত্বের প্রতি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হয়েছিল। তিনি ‘লিঙ্গ মতাদর্শকে’ সমাজের জন্য হুমকি বলে নিন্দা করেছেন। তিনি ইসলামিক মৌলবাদের বিরুদ্ধেও কথা বলেছেন। টার্কসনের মতো তিনিও নির্বাচিত হলে কয়েক শতাব্দীর মধ্যে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ পোপ হিসেবে ইতিহাস গড়তে পারেন।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মের সর্বোচ্চ নেতা প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরসূরি কে হবেন, তা আগে থেকে বলা প্রায় অসম্ভব। কারণ, অতি গোপনীয় পোপ নির্বাচনে কার্ডিনালদের অবস্থান সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলায়। এমনকি কেউ কেউ নিজেদের পছন্দের বা অপছন্দের প্রার্থীকে জেতাতে নানা কৌশলও নেন।
২০১৩ সালের শেষ নির্বাচনে খুব কম লোকেই ভেবেছিলেন যে, জর্জ মারিও বার্গোলিও পোপ নির্বাচিত হবেন। পরে তিনিই হন পোপ ফ্রান্সিস। বর্তমানে তাঁর সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে যাদের নাম আলোচনায় আসছে, তারা হলেন—
পিয়েত্রো পারোলিন, ৭০, ইতালি
পিয়েত্রে পারোলিনকে ‘কন্টিন্যুয়িটি ক্যান্ডিডেট’ বা ‘ধারাবাহিকতার প্রার্থী’ হিসেবে দেখা হয়। তিনি পোপ ফ্রান্সিসের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ২০১৩ সাল থেকে তিনি ভ্যাটিকানের সেক্রেটারি অব স্টেট। কূটনৈতিক বিষয়ে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। এর মধ্যে চীন ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সংবেদনশীল আলোচনাও অন্তর্ভুক্ত। ধর্মনিরপেক্ষ কূটনীতিকেরা তাঁকে পোপের নির্ভরযোগ্য প্রতিনিধি মনে করেন।
২০১৮ সালে চীন সরকারের সঙ্গে বিশপ নিয়োগ নিয়ে একটি বিতর্কিত চুক্তিতে তাঁর বড় ভূমিকা ছিল। কেউ কেউ এই চুক্তিকে কমিউনিস্ট সরকারের কাছে ‘বিকিয়ে দেওয়া’ বলে সমালোচনা করেন। পারোলিনের সমালোচকেরা তাঁকে আধুনিক এবং বাস্তববাদী বলে মনে করেন। তাদের মতে, তিনি বিশ্বাসের কঠিন সত্যের চেয়ে আদর্শ ও কূটনৈতিক সমাধানকে বেশি গুরুত্ব দেন। তাঁর সমর্থকেরা তাঁকে সাহসী আদর্শবাদী ও শান্তির দৃঢ় প্রবক্তা বলেন।
লুইস আন্তোনিও টাগলে, ৬৭, ফিলিপাইন
ম্যানিলার সাবেক আর্চবিশপ টাগলে নির্বাচিত হলে তিনিই হবেন প্রথম এশীয় পোপ। বিগত কয়েক দশক ধরে এশিয়াতেই ক্যাথলিক জনসংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। একসময় টাগলেকে ফ্রান্সিসের পছন্দের উত্তরসূরি মনে করা হতো। তিনি পোপের প্রগতিশীল ধারা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য শক্তিশালী প্রার্থীও ছিলেন। তবে সম্প্রতি তাঁর প্রভাব কিছুটা কমেছে বলে মনে হয়। তিনি মনে করেন, সমকামী ও বিবাহবিচ্ছেদ হওয়া দম্পতিদের প্রতি ক্যাথলিক চার্চের অবস্থান খুব কঠোর। তবে ফিলিপাইনে তিনি গর্ভপাতের অধিকারের বিরোধিতা করেছেন।
পিটার টার্কসন, ৭৬, ঘানা
টার্কসন নির্বাচিত হলে কয়েক শতাব্দীর মধ্যে তিনিই হবেন প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ পোপ। তিনি জলবায়ু সংকট, দারিদ্র্য এবং অর্থনৈতিক ন্যায়বিচারের মতো বিষয়ে স্পষ্টভাষী। একই সঙ্গে তিনি পুরোহিত নিয়োগ, বিয়ে (শুধুমাত্র পুরুষ ও নারীর মধ্যে) এবং সমকামিতা নিয়ে চার্চের ঐতিহ্যবাহী অবস্থানের সমর্থক। তবে শেষের বিষয়টি নিয়ে তাঁর মতামত কিছুটা নরম হয়েছে। তিনি মনে করেন, অনেক আফ্রিকান দেশের আইন এ বিষয়ে খুব কঠোর। তিনি দুর্নীতি ও মানবাধিকার নিয়েও কথা বলেছেন।
রবার্ট ফ্রান্সিস প্রেভস্ট, ৬৯, যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ব পরাশক্তি অবস্থান এবং ধর্মনিরপেক্ষ বৈশ্বিক প্রভাবের কারণে ভ্যাটিকান ঐতিহ্যগতভাবে কোনো মার্কিনিকে পোপের জায়গায় দেখার ধারণার বিরোধিতা করে আসছে। তা সত্ত্বেও শিকাগোতে জন্ম নেওয়া মধ্যপন্থী প্রেভস্টকে নজরে রাখা হচ্ছে। ফ্রান্সিস ২০২৩ সালে তাঁকে কার্ডিনাল করেন।
রবার্ট ফ্রান্সিস অগাস্টিনীয় ব্যবস্থার সাবেক প্রধান। ফ্রান্সিস তাঁকে শক্তিশালী বিশপ মনোনয়ন বিভাগের প্রধানও করেছিলেন। এই বিভাগ বিশ্বজুড়ে নতুন বিশপ নির্বাচন দেখাশোনা করে। এই গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো এবং পেরুতে তাঁর উল্লেখযোগ্য মিশনারি অভিজ্ঞতা (তিনি চিক্লায়ো শহরের বিশপ ছিলেন) হয়তো তাঁকে মার্কিন পোপের ধারণার বিরোধী কার্ডিনালদের কাছে কিছুটা গ্রহণযোগ্য করে তুলতে পারে।
পিটার এরদো, ৭২, হাঙ্গেরি
এরদো পোপ নির্বাচনের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান রক্ষণশীল প্রার্থী। এরদো ঐতিহ্যবাহী ক্যাথলিক শিক্ষা ও মতবাদের দৃঢ় সমর্থক। তিনি নির্বাচিত হলে ফ্রান্সিসের পদ্ধতির থেকে একটি বড় পরিবর্তন আসবে। তাঁকে একজন মহান বুদ্ধিমান এবং সংস্কৃতিমান ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করা হয়। প্রয়াত কার্ডিনাল জর্জ পেল তাঁকে পছন্দ করতেন। পেল বিশ্বাস করতেন, এরদো পোপ ফ্রান্সিসের পরের ভ্যাটিকানে আইনের শাসন ফিরিয়ে আনবেন।
২০১৫ সালে এরদো হাঙ্গেরির জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের সঙ্গে সুর মিলিয়েছিলেন। সে সময় তিনি অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য পোপ ফ্রান্সিসের আহ্বানকে সমর্থন করেননি।
মাত্তেও জুপ্পি, ৬৯, ইতালি
পোপ ফ্রান্সিস তাঁকে ২০১৯ সালে কার্ডিনাল করেন। জুপ্পিকে চার্চের প্রগতিশীল ধারার অনুসারী মনে করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ফ্রান্সিসের উত্তরাধিকার এগিয়ে নিয়ে যাবেন। তিনিও দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ফ্রান্সিসের মতো উদ্বিগ্ন। সমলিঙ্গ সম্পর্কের ক্ষেত্রে তিনি (আপেক্ষিকভাবে) উদারপন্থী। দুই বছর আগে ফ্রান্সিস তাঁকে ইউক্রেনের জন্য ভ্যাটিকানের শান্তি দূত করেন। এই ভূমিকায় তিনি মস্কো সফর করেন ‘মানবতার নিদর্শনকে উৎসাহিত করতে’। সেখানে তিনি রাশিয়ান অর্থোডক্স চার্চের প্রধান এবং ভ্লাদিমির পুতিনের মিত্র প্যাট্রিয়ার্ক সঙ্গে দেখা করেন। তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও দেখা করেছেন।
জোসে টোলেন্টিনো কালাকা দে মেন্ডোনকা, ৫৯, পর্তুগাল
টোলেন্টিনো ফ্রান্সিসের সম্ভাব্য উত্তরসূরিদের মধ্যে অন্যতম তরুণ। এটি হয়তো তাঁর বিপক্ষে যেতে পারে। উচ্চাকাঙ্ক্ষী কার্ডিনালরা হয়তো পরবর্তী সুযোগের জন্য আরও ২০ বা ৩০ বছর অপেক্ষা করতে চাইবেন না। সমলিঙ্গের সম্পর্কের প্রতি সহনশীলতার দৃষ্টিভঙ্গি এবং নারীদের ধর্মযাজক হওয়ার পক্ষে থাকা এক নারীবাদী সন্ন্যাসিনীর প্রতি সহানুভূতি দেখানোয় তিনি বিতর্কে জড়িয়েছেন। তিনি ফ্রান্সিসের বেশির ভাগ নীতির ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তিনি মনে করেন, চার্চকে আধুনিক সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত হতে হবে।
মারিও গ্রেচ, ৬৮, মাল্টা
গ্রেচকে একসময় ঐতিহ্যবাদী হিসেবে দেখা হতো। তবে ২০১৩ সালে ফ্রান্সিস পোপ নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি আরও প্রগতিশীল ধারণা গ্রহণ করতে শুরু করেন। তাঁর সমর্থকেরা বলেন, তাঁর পরিবর্তিত মতামত উন্নয়ন ও পরিবর্তনের ক্ষমতা দেখায়। তিনি এনজিও জাহাজগুলোর কার্যক্রম সীমিত করতে চাওয়া ইউরোপীয় রাজনৈতিক নেতাদের সমালোচনা করেছেন। তিনি নারী ডিকনদের প্রতিও সমর্থন জানিয়েছেন।
পিয়েরবাতিস্তা পিজ্জাবাল্লা, ৬০, ইতালি
২০২০ সাল থেকে পিজ্জাবাল্লা জেরুজালেমের ল্যাটিন প্যাট্রিয়ার্ক। এই পবিত্র ভূমিতে খ্রিষ্টান সংখ্যালঘুদের পক্ষে কথা বলার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর পিজ্জাবাল্লা গাজায় হামাসের হাতে বন্দী শিশুদের বিনিময়ে নিজেকে জিম্মি হিসেবে প্রস্তাব করেন। কয়েক মাস আলোচনার পর ২০২৪ সালের মে মাসে তিনি গাজা সফর করেন। আশা করা হচ্ছে, তিনি ফ্রান্সিসের নেতৃত্বের কিছু দিক চালিয়ে যাবেন। তবে বিতর্কিত বিষয়ে তিনি খুব বেশি জনসমক্ষে মন্তব্য করেননি।
রবার্ট সারাহ, ৭৯, গিনি
সারাহ একজন ঐতিহ্যবাহী, অর্থোডক্স কার্ডিনাল। এক ভ্যাটিকান পর্যবেক্ষকের মতে, তিনি একসময় নিজেকে ফ্রান্সিসের ‘সমান্তরাল কর্তৃপক্ষ’ হিসেবে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। ২০২০ সালে তিনি তৎকালীন অবসরপ্রাপ্ত পোপ বেনেডিক্টের সঙ্গে পুরোহিতদের ব্রহ্মচর্য রক্ষা করে একটি বই লেখেন। এটিকে ফ্রান্সিসের কর্তৃত্বের প্রতি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হয়েছিল। তিনি ‘লিঙ্গ মতাদর্শকে’ সমাজের জন্য হুমকি বলে নিন্দা করেছেন। তিনি ইসলামিক মৌলবাদের বিরুদ্ধেও কথা বলেছেন। টার্কসনের মতো তিনিও নির্বাচিত হলে কয়েক শতাব্দীর মধ্যে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ পোপ হিসেবে ইতিহাস গড়তে পারেন।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মের সর্বোচ্চ নেতা প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরসূরি কে হবেন, তা আগে থেকে বলা প্রায় অসম্ভব। কারণ, অতি গোপনীয় পোপ নির্বাচনে কার্ডিনালদের অবস্থান সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলায়। এমনকি কেউ কেউ নিজেদের পছন্দের বা অপছন্দের প্রার্থীকে জেতাতে নানা কৌশলও নেন।
২০১৩ সালের শেষ নির্বাচনে খুব কম লোকেই ভেবেছিলেন যে, জর্জ মারিও বার্গোলিও পোপ নির্বাচিত হবেন। পরে তিনিই হন পোপ ফ্রান্সিস। বর্তমানে তাঁর সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে যাদের নাম আলোচনায় আসছে, তারা হলেন—
পিয়েত্রো পারোলিন, ৭০, ইতালি
পিয়েত্রে পারোলিনকে ‘কন্টিন্যুয়িটি ক্যান্ডিডেট’ বা ‘ধারাবাহিকতার প্রার্থী’ হিসেবে দেখা হয়। তিনি পোপ ফ্রান্সিসের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ২০১৩ সাল থেকে তিনি ভ্যাটিকানের সেক্রেটারি অব স্টেট। কূটনৈতিক বিষয়ে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। এর মধ্যে চীন ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সংবেদনশীল আলোচনাও অন্তর্ভুক্ত। ধর্মনিরপেক্ষ কূটনীতিকেরা তাঁকে পোপের নির্ভরযোগ্য প্রতিনিধি মনে করেন।
২০১৮ সালে চীন সরকারের সঙ্গে বিশপ নিয়োগ নিয়ে একটি বিতর্কিত চুক্তিতে তাঁর বড় ভূমিকা ছিল। কেউ কেউ এই চুক্তিকে কমিউনিস্ট সরকারের কাছে ‘বিকিয়ে দেওয়া’ বলে সমালোচনা করেন। পারোলিনের সমালোচকেরা তাঁকে আধুনিক এবং বাস্তববাদী বলে মনে করেন। তাদের মতে, তিনি বিশ্বাসের কঠিন সত্যের চেয়ে আদর্শ ও কূটনৈতিক সমাধানকে বেশি গুরুত্ব দেন। তাঁর সমর্থকেরা তাঁকে সাহসী আদর্শবাদী ও শান্তির দৃঢ় প্রবক্তা বলেন।
লুইস আন্তোনিও টাগলে, ৬৭, ফিলিপাইন
ম্যানিলার সাবেক আর্চবিশপ টাগলে নির্বাচিত হলে তিনিই হবেন প্রথম এশীয় পোপ। বিগত কয়েক দশক ধরে এশিয়াতেই ক্যাথলিক জনসংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। একসময় টাগলেকে ফ্রান্সিসের পছন্দের উত্তরসূরি মনে করা হতো। তিনি পোপের প্রগতিশীল ধারা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য শক্তিশালী প্রার্থীও ছিলেন। তবে সম্প্রতি তাঁর প্রভাব কিছুটা কমেছে বলে মনে হয়। তিনি মনে করেন, সমকামী ও বিবাহবিচ্ছেদ হওয়া দম্পতিদের প্রতি ক্যাথলিক চার্চের অবস্থান খুব কঠোর। তবে ফিলিপাইনে তিনি গর্ভপাতের অধিকারের বিরোধিতা করেছেন।
পিটার টার্কসন, ৭৬, ঘানা
টার্কসন নির্বাচিত হলে কয়েক শতাব্দীর মধ্যে তিনিই হবেন প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ পোপ। তিনি জলবায়ু সংকট, দারিদ্র্য এবং অর্থনৈতিক ন্যায়বিচারের মতো বিষয়ে স্পষ্টভাষী। একই সঙ্গে তিনি পুরোহিত নিয়োগ, বিয়ে (শুধুমাত্র পুরুষ ও নারীর মধ্যে) এবং সমকামিতা নিয়ে চার্চের ঐতিহ্যবাহী অবস্থানের সমর্থক। তবে শেষের বিষয়টি নিয়ে তাঁর মতামত কিছুটা নরম হয়েছে। তিনি মনে করেন, অনেক আফ্রিকান দেশের আইন এ বিষয়ে খুব কঠোর। তিনি দুর্নীতি ও মানবাধিকার নিয়েও কথা বলেছেন।
রবার্ট ফ্রান্সিস প্রেভস্ট, ৬৯, যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ব পরাশক্তি অবস্থান এবং ধর্মনিরপেক্ষ বৈশ্বিক প্রভাবের কারণে ভ্যাটিকান ঐতিহ্যগতভাবে কোনো মার্কিনিকে পোপের জায়গায় দেখার ধারণার বিরোধিতা করে আসছে। তা সত্ত্বেও শিকাগোতে জন্ম নেওয়া মধ্যপন্থী প্রেভস্টকে নজরে রাখা হচ্ছে। ফ্রান্সিস ২০২৩ সালে তাঁকে কার্ডিনাল করেন।
রবার্ট ফ্রান্সিস অগাস্টিনীয় ব্যবস্থার সাবেক প্রধান। ফ্রান্সিস তাঁকে শক্তিশালী বিশপ মনোনয়ন বিভাগের প্রধানও করেছিলেন। এই বিভাগ বিশ্বজুড়ে নতুন বিশপ নির্বাচন দেখাশোনা করে। এই গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো এবং পেরুতে তাঁর উল্লেখযোগ্য মিশনারি অভিজ্ঞতা (তিনি চিক্লায়ো শহরের বিশপ ছিলেন) হয়তো তাঁকে মার্কিন পোপের ধারণার বিরোধী কার্ডিনালদের কাছে কিছুটা গ্রহণযোগ্য করে তুলতে পারে।
পিটার এরদো, ৭২, হাঙ্গেরি
এরদো পোপ নির্বাচনের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান রক্ষণশীল প্রার্থী। এরদো ঐতিহ্যবাহী ক্যাথলিক শিক্ষা ও মতবাদের দৃঢ় সমর্থক। তিনি নির্বাচিত হলে ফ্রান্সিসের পদ্ধতির থেকে একটি বড় পরিবর্তন আসবে। তাঁকে একজন মহান বুদ্ধিমান এবং সংস্কৃতিমান ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করা হয়। প্রয়াত কার্ডিনাল জর্জ পেল তাঁকে পছন্দ করতেন। পেল বিশ্বাস করতেন, এরদো পোপ ফ্রান্সিসের পরের ভ্যাটিকানে আইনের শাসন ফিরিয়ে আনবেন।
২০১৫ সালে এরদো হাঙ্গেরির জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের সঙ্গে সুর মিলিয়েছিলেন। সে সময় তিনি অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য পোপ ফ্রান্সিসের আহ্বানকে সমর্থন করেননি।
মাত্তেও জুপ্পি, ৬৯, ইতালি
পোপ ফ্রান্সিস তাঁকে ২০১৯ সালে কার্ডিনাল করেন। জুপ্পিকে চার্চের প্রগতিশীল ধারার অনুসারী মনে করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ফ্রান্সিসের উত্তরাধিকার এগিয়ে নিয়ে যাবেন। তিনিও দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ফ্রান্সিসের মতো উদ্বিগ্ন। সমলিঙ্গ সম্পর্কের ক্ষেত্রে তিনি (আপেক্ষিকভাবে) উদারপন্থী। দুই বছর আগে ফ্রান্সিস তাঁকে ইউক্রেনের জন্য ভ্যাটিকানের শান্তি দূত করেন। এই ভূমিকায় তিনি মস্কো সফর করেন ‘মানবতার নিদর্শনকে উৎসাহিত করতে’। সেখানে তিনি রাশিয়ান অর্থোডক্স চার্চের প্রধান এবং ভ্লাদিমির পুতিনের মিত্র প্যাট্রিয়ার্ক সঙ্গে দেখা করেন। তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও দেখা করেছেন।
জোসে টোলেন্টিনো কালাকা দে মেন্ডোনকা, ৫৯, পর্তুগাল
টোলেন্টিনো ফ্রান্সিসের সম্ভাব্য উত্তরসূরিদের মধ্যে অন্যতম তরুণ। এটি হয়তো তাঁর বিপক্ষে যেতে পারে। উচ্চাকাঙ্ক্ষী কার্ডিনালরা হয়তো পরবর্তী সুযোগের জন্য আরও ২০ বা ৩০ বছর অপেক্ষা করতে চাইবেন না। সমলিঙ্গের সম্পর্কের প্রতি সহনশীলতার দৃষ্টিভঙ্গি এবং নারীদের ধর্মযাজক হওয়ার পক্ষে থাকা এক নারীবাদী সন্ন্যাসিনীর প্রতি সহানুভূতি দেখানোয় তিনি বিতর্কে জড়িয়েছেন। তিনি ফ্রান্সিসের বেশির ভাগ নীতির ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তিনি মনে করেন, চার্চকে আধুনিক সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত হতে হবে।
মারিও গ্রেচ, ৬৮, মাল্টা
গ্রেচকে একসময় ঐতিহ্যবাদী হিসেবে দেখা হতো। তবে ২০১৩ সালে ফ্রান্সিস পোপ নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি আরও প্রগতিশীল ধারণা গ্রহণ করতে শুরু করেন। তাঁর সমর্থকেরা বলেন, তাঁর পরিবর্তিত মতামত উন্নয়ন ও পরিবর্তনের ক্ষমতা দেখায়। তিনি এনজিও জাহাজগুলোর কার্যক্রম সীমিত করতে চাওয়া ইউরোপীয় রাজনৈতিক নেতাদের সমালোচনা করেছেন। তিনি নারী ডিকনদের প্রতিও সমর্থন জানিয়েছেন।
পিয়েরবাতিস্তা পিজ্জাবাল্লা, ৬০, ইতালি
২০২০ সাল থেকে পিজ্জাবাল্লা জেরুজালেমের ল্যাটিন প্যাট্রিয়ার্ক। এই পবিত্র ভূমিতে খ্রিষ্টান সংখ্যালঘুদের পক্ষে কথা বলার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর পিজ্জাবাল্লা গাজায় হামাসের হাতে বন্দী শিশুদের বিনিময়ে নিজেকে জিম্মি হিসেবে প্রস্তাব করেন। কয়েক মাস আলোচনার পর ২০২৪ সালের মে মাসে তিনি গাজা সফর করেন। আশা করা হচ্ছে, তিনি ফ্রান্সিসের নেতৃত্বের কিছু দিক চালিয়ে যাবেন। তবে বিতর্কিত বিষয়ে তিনি খুব বেশি জনসমক্ষে মন্তব্য করেননি।
রবার্ট সারাহ, ৭৯, গিনি
সারাহ একজন ঐতিহ্যবাহী, অর্থোডক্স কার্ডিনাল। এক ভ্যাটিকান পর্যবেক্ষকের মতে, তিনি একসময় নিজেকে ফ্রান্সিসের ‘সমান্তরাল কর্তৃপক্ষ’ হিসেবে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। ২০২০ সালে তিনি তৎকালীন অবসরপ্রাপ্ত পোপ বেনেডিক্টের সঙ্গে পুরোহিতদের ব্রহ্মচর্য রক্ষা করে একটি বই লেখেন। এটিকে ফ্রান্সিসের কর্তৃত্বের প্রতি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হয়েছিল। তিনি ‘লিঙ্গ মতাদর্শকে’ সমাজের জন্য হুমকি বলে নিন্দা করেছেন। তিনি ইসলামিক মৌলবাদের বিরুদ্ধেও কথা বলেছেন। টার্কসনের মতো তিনিও নির্বাচিত হলে কয়েক শতাব্দীর মধ্যে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ পোপ হিসেবে ইতিহাস গড়তে পারেন।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
৬ ঘণ্টা আগে
একটা সময় যুক্তরাষ্ট্রে আসা প্রতি চারজন বিদেশি পর্যটকের একজন ছিলেন কানাডিয়ান। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত ব্যাপক শুল্ক এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ করার ইঙ্গিতের পর কানাডার বহু নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটানো...
৭ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতার পর ১২৩ জন বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে পূর্ব ইউরোপের দেশ বেলারুশ। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোলেসনিকোভা ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অধিকারকর্মী আলেস বিয়ালিয়াতস্কি। বেলারুশে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত জন কোয়ালের সঙ্গে আলোচনার পরই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া
৯ ঘণ্টা আগে
রাতভর রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের বৈদ্যুতিক অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে দেশটির অন্তত ১০ লাখ পরিবার বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল।
সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়।
সানা আরও জানায়, আহতদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শীও জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন।
আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল।
সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়।
সানা আরও জানায়, আহতদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শীও জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন।
আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মের সর্বোচ্চ নেতা প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরসূরি কে হবেন, তা আগে থেকে বলা প্রায় অসম্ভব। কারণ, অতি গোপনীয় পোপ নির্বাচনে কার্ডিনালদের অবস্থান সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলায়। এমনকি কেউ কেউ নিজেদের পছন্দের বা অপছন্দের প্রার্থীকে জেতাতে নানা কৌশলও নেন।
০৮ মে ২০২৫
একটা সময় যুক্তরাষ্ট্রে আসা প্রতি চারজন বিদেশি পর্যটকের একজন ছিলেন কানাডিয়ান। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত ব্যাপক শুল্ক এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ করার ইঙ্গিতের পর কানাডার বহু নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটানো...
৭ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতার পর ১২৩ জন বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে পূর্ব ইউরোপের দেশ বেলারুশ। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোলেসনিকোভা ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অধিকারকর্মী আলেস বিয়ালিয়াতস্কি। বেলারুশে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত জন কোয়ালের সঙ্গে আলোচনার পরই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া
৯ ঘণ্টা আগে
রাতভর রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের বৈদ্যুতিক অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে দেশটির অন্তত ১০ লাখ পরিবার বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

একটা সময় যুক্তরাষ্ট্রে আসা প্রতি চারজন বিদেশি পর্যটকের একজন ছিলেন কানাডিয়ান। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত ব্যাপক শুল্ক ও কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ করার ইঙ্গিতের পর কানাডার বহু নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটানো থেকে সরে যাচ্ছেন। টানা ১২ মাস চলা এই ভ্রমণ বর্জন থামার কোনো লক্ষণ এখনো নেই।
দীর্ঘদিন ধরে কানাডা ছিল যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক পর্যটকের সবচেয়ে বড় উৎস। ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসা বিদেশি পর্যটকদের ২৮ শতাংশই ছিলেন কানাডিয়ান। কিন্তু ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে সেই সংখ্যা দ্রুত কমতে শুরু করে।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশন (ইউএসটিএ) জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ ২৩ শতাংশ কমেছে। ফলে আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার (৩০০ কোটি পাউন্ড) আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
তবে কানাডিয়ানরা ভ্রমণ কমাননি। তাহলে প্রশ্ন হলো, তাঁরা যাচ্ছেন কোথায়?
অনেকে নিজের দেশেই ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভ্রমণবিষয়ক লেখক ও কনটেন্ট নির্মাতা এমিলি ব্রিয়োঁ জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর আহ্বানে সাড়া দিয়ে কানাডিয়ানরা যুক্তরাষ্ট্র বাদ দিয়ে দেশের ভেতরেই ঘুরতে শুরু করেছেন। এমিলি ব্রিয়োঁ বলেন, ‘আমি আগে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র দুটো দেশেই রোড ট্রিপ কভার করতাম। কিন্তু গত মার্চে সিদ্ধান্ত নিই, শুধু কানাডাকেই কেন্দ্র করব। আমি ২০২৫ সালের এপ্রিলে গ্র্যান্ড ক্যানিয়নে যাওয়ার পারিবারিক ভ্রমণ বাতিল করে সেই বাজেট কানাডায় ঘুরে ব্যয় করেছি।’
টরন্টোভিত্তিক জনসংযোগকর্মী ট্রেসি লামুরি আরও কড়া অবস্থান নিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি আর কখনো সীমান্ত পার হব না। ভ্রমণের জন্য ইউরোপ বেছে নিয়েছি, আর কাজের জন্য জুমই যথেষ্ট। ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ আর মানবাধিকার পরিস্থিতির কারণে আগেও যুক্তরাষ্ট্র নিরাপদ মনে হতো না, এখন তো পুরোপুরি ‘নো-গো’ তালিকায়।
এই মনোভাব শুধু কানাডিয়ানদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। ইউএসটিএর হিসাব অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক পর্যটকেরা যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ কমিয়ে দিলে মোট ক্ষতি ৫.৭ বিলিয়ন ডলার (৪.২৮ বিলিয়ন পাউন্ড) হতে পারে।
কানাডার জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা স্ট্যাটিস্টিকস কানাডা জানায়, ২০২৫ সালে দেশের ভেতরে ভ্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। পাশাপাশি কানাডিয়ানদের ভ্রমণ বেড়েছে মেক্সিকো, পর্তুগাল, বাহামাস ও বেলিজে। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, মেক্সিকোর শহরগুলোতে কানাডিয়ান পর্যটক প্রায় ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে বুয়েনস আইরেস, ওসাকা, কোপেনহেগেন ও কুরাসাওয়ের মতো গন্তব্যে কানাডিয়ানদের খরচ ২০২৪ সালের তুলনায় ১০০ শতাংশের বেশি বেড়েছে।

অন্যদিকে, কানাডিয়ান পর্যটকের ওপর নির্ভরশীল যুক্তরাষ্ট্রের অনেক অঞ্চল ক্ষতির মুখে পড়েছে। জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা ভারমন্টে কানাডা থেকে আসা পর্যটক কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ। লাস ভেগাসে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১৮ শতাংশ কানাডিয়ানের ভ্রমণ কমেছে। ফোর্ট লডারডেল, আপস্টেট নিউইয়র্কসহ অনেক এলাকাতেও একই চিত্র দেখা যাচ্ছে।
এদিকে ইউরোপ ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট বাড়ানোয় যুক্তরাষ্ট্র এড়িয়ে যাওয়া কানাডিয়ানদের জন্য বিকল্প আরও সহজ হয়েছে। এয়ার কানাডার নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্ক গালার্ডো এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বার্লিন, পন্তা দেলগাদা, নঁত ও ব্রাসেলসের মতো ইউরোপীয় শহরে নতুন নন-স্টপ রুট চালু করছি, যাতে ভ্রমণ সহজ হয় এবং পর্যটন ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার হয়।’
৪ থেকে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে এয়ার কানাডা ক্যারিবীয়, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকায় ১৩টি নতুন রুট চালু করছে; যা মূলত শীতকালে ফ্লোরিডা বা ক্যালিফোর্নিয়ার ওপর নির্ভর করা কানাডিয়ান ‘স্নোবার্ড’দের লক্ষ্য করেই।
এই প্রবণতা কত দিন চলবে, তা স্পষ্ট নয়। তবে এমিলি ব্রিয়োঁ মনে করেন, এর প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। তিনি বলেন, ‘এটা কানাডিয়ানদের জন্য নিজের দেশের কম পরিচিত অঞ্চল ঘুরে দেখার সুযোগ। যেমন ব্যানফের বদলে কুটেনে। আমার মনে হচ্ছে না এটা স্বল্পমেয়াদি বিষয়; বরং কানাডিয়ানদের ভ্রমণ পছন্দে একটি স্থায়ী পরিবর্তনের সূচনা হচ্ছে।’

একটা সময় যুক্তরাষ্ট্রে আসা প্রতি চারজন বিদেশি পর্যটকের একজন ছিলেন কানাডিয়ান। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত ব্যাপক শুল্ক ও কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ করার ইঙ্গিতের পর কানাডার বহু নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটানো থেকে সরে যাচ্ছেন। টানা ১২ মাস চলা এই ভ্রমণ বর্জন থামার কোনো লক্ষণ এখনো নেই।
দীর্ঘদিন ধরে কানাডা ছিল যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক পর্যটকের সবচেয়ে বড় উৎস। ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসা বিদেশি পর্যটকদের ২৮ শতাংশই ছিলেন কানাডিয়ান। কিন্তু ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে সেই সংখ্যা দ্রুত কমতে শুরু করে।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশন (ইউএসটিএ) জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ ২৩ শতাংশ কমেছে। ফলে আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার (৩০০ কোটি পাউন্ড) আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
তবে কানাডিয়ানরা ভ্রমণ কমাননি। তাহলে প্রশ্ন হলো, তাঁরা যাচ্ছেন কোথায়?
অনেকে নিজের দেশেই ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভ্রমণবিষয়ক লেখক ও কনটেন্ট নির্মাতা এমিলি ব্রিয়োঁ জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর আহ্বানে সাড়া দিয়ে কানাডিয়ানরা যুক্তরাষ্ট্র বাদ দিয়ে দেশের ভেতরেই ঘুরতে শুরু করেছেন। এমিলি ব্রিয়োঁ বলেন, ‘আমি আগে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র দুটো দেশেই রোড ট্রিপ কভার করতাম। কিন্তু গত মার্চে সিদ্ধান্ত নিই, শুধু কানাডাকেই কেন্দ্র করব। আমি ২০২৫ সালের এপ্রিলে গ্র্যান্ড ক্যানিয়নে যাওয়ার পারিবারিক ভ্রমণ বাতিল করে সেই বাজেট কানাডায় ঘুরে ব্যয় করেছি।’
টরন্টোভিত্তিক জনসংযোগকর্মী ট্রেসি লামুরি আরও কড়া অবস্থান নিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি আর কখনো সীমান্ত পার হব না। ভ্রমণের জন্য ইউরোপ বেছে নিয়েছি, আর কাজের জন্য জুমই যথেষ্ট। ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ আর মানবাধিকার পরিস্থিতির কারণে আগেও যুক্তরাষ্ট্র নিরাপদ মনে হতো না, এখন তো পুরোপুরি ‘নো-গো’ তালিকায়।
এই মনোভাব শুধু কানাডিয়ানদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। ইউএসটিএর হিসাব অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক পর্যটকেরা যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ কমিয়ে দিলে মোট ক্ষতি ৫.৭ বিলিয়ন ডলার (৪.২৮ বিলিয়ন পাউন্ড) হতে পারে।
কানাডার জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা স্ট্যাটিস্টিকস কানাডা জানায়, ২০২৫ সালে দেশের ভেতরে ভ্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। পাশাপাশি কানাডিয়ানদের ভ্রমণ বেড়েছে মেক্সিকো, পর্তুগাল, বাহামাস ও বেলিজে। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, মেক্সিকোর শহরগুলোতে কানাডিয়ান পর্যটক প্রায় ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে বুয়েনস আইরেস, ওসাকা, কোপেনহেগেন ও কুরাসাওয়ের মতো গন্তব্যে কানাডিয়ানদের খরচ ২০২৪ সালের তুলনায় ১০০ শতাংশের বেশি বেড়েছে।

অন্যদিকে, কানাডিয়ান পর্যটকের ওপর নির্ভরশীল যুক্তরাষ্ট্রের অনেক অঞ্চল ক্ষতির মুখে পড়েছে। জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা ভারমন্টে কানাডা থেকে আসা পর্যটক কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ। লাস ভেগাসে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১৮ শতাংশ কানাডিয়ানের ভ্রমণ কমেছে। ফোর্ট লডারডেল, আপস্টেট নিউইয়র্কসহ অনেক এলাকাতেও একই চিত্র দেখা যাচ্ছে।
এদিকে ইউরোপ ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট বাড়ানোয় যুক্তরাষ্ট্র এড়িয়ে যাওয়া কানাডিয়ানদের জন্য বিকল্প আরও সহজ হয়েছে। এয়ার কানাডার নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্ক গালার্ডো এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বার্লিন, পন্তা দেলগাদা, নঁত ও ব্রাসেলসের মতো ইউরোপীয় শহরে নতুন নন-স্টপ রুট চালু করছি, যাতে ভ্রমণ সহজ হয় এবং পর্যটন ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার হয়।’
৪ থেকে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে এয়ার কানাডা ক্যারিবীয়, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকায় ১৩টি নতুন রুট চালু করছে; যা মূলত শীতকালে ফ্লোরিডা বা ক্যালিফোর্নিয়ার ওপর নির্ভর করা কানাডিয়ান ‘স্নোবার্ড’দের লক্ষ্য করেই।
এই প্রবণতা কত দিন চলবে, তা স্পষ্ট নয়। তবে এমিলি ব্রিয়োঁ মনে করেন, এর প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। তিনি বলেন, ‘এটা কানাডিয়ানদের জন্য নিজের দেশের কম পরিচিত অঞ্চল ঘুরে দেখার সুযোগ। যেমন ব্যানফের বদলে কুটেনে। আমার মনে হচ্ছে না এটা স্বল্পমেয়াদি বিষয়; বরং কানাডিয়ানদের ভ্রমণ পছন্দে একটি স্থায়ী পরিবর্তনের সূচনা হচ্ছে।’

ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মের সর্বোচ্চ নেতা প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরসূরি কে হবেন, তা আগে থেকে বলা প্রায় অসম্ভব। কারণ, অতি গোপনীয় পোপ নির্বাচনে কার্ডিনালদের অবস্থান সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলায়। এমনকি কেউ কেউ নিজেদের পছন্দের বা অপছন্দের প্রার্থীকে জেতাতে নানা কৌশলও নেন।
০৮ মে ২০২৫
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
৬ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতার পর ১২৩ জন বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে পূর্ব ইউরোপের দেশ বেলারুশ। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোলেসনিকোভা ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অধিকারকর্মী আলেস বিয়ালিয়াতস্কি। বেলারুশে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত জন কোয়ালের সঙ্গে আলোচনার পরই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া
৯ ঘণ্টা আগে
রাতভর রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের বৈদ্যুতিক অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে দেশটির অন্তত ১০ লাখ পরিবার বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতার পর ১২৩ জন বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে পূর্ব ইউরোপের দেশ বেলারুশ। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোলেসনিকোভা ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অধিকারকর্মী আলেস বিয়ালিয়াতস্কি। বেলারুশে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত জন কোয়ালের সঙ্গে আলোচনার পরই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্দী মুক্তির বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার মিত্রদেশ বেলারুশের ওপর আরোপিত কিছু অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সার উৎপাদনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান পটাশ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা। পটাশ বেলারুশের অন্যতম প্রধান রপ্তানি পণ্য।
১২৩ বন্দী মুক্তির পর জন কোয়াল বলেন, ‘দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হলে পর্যায়ক্রমে আরও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।’ বেলারুশের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, পটাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা তাৎক্ষণিকভাবে তুলে নেওয়া হবে।
২০২০ সাল থেকে কারাবন্দী বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোলেসনিকোভা দীর্ঘ সময় একাকী বন্দিত্বে ছিলেন। মুক্তির পর তাঁর বোন তাতিয়ানা খোমিচ ভিডিও কলে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন এবং বিষয়টি নিশ্চিত করেন। খোমিচ বলেন, ‘সে মুক্ত। তাকে ভালো ও সুস্থই দেখাচ্ছে। তাকে জড়িয়ে ধরার অপেক্ষায় আছি।’ তিনি আরও জানান, কোলেসনিকোভা প্রথমেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং আলোচনায় অংশ নেওয়া বেলারুশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
অন্যদিকে, বেলারুশের একটি আদালত ২০২৩ সালের মার্চে শান্তিতে নোবেলজয়ী অধিকারকর্মী অ্যালেস বিলিয়াতস্কিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। সে সময় দেশটির আদালত চোরাচালান ও জনজীবনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কর্মকাণ্ডে অর্থায়নে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেন।
৬৩ বছর বিলিয়াতস্কি ২০২২ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী তিনজনের একজন। ২০২১ সালে বেলারুশের বিতর্কিত নির্বাচনের পর বিক্ষোভে জড়িয়ে পড়লে বিলিয়াতস্কিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে বিরোধী দলকে সহযোগিতার জন্য অবৈধভাবে বাইরে থেকে বেলারুশে অর্থ আনার অভিযোগে আনা হয়।
মুক্তিপ্রাপ্ত কয়েকজনকে শিগগিরই লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের বাইরে লোকজন জড়ো হচ্ছেন।
এই সমঝোতাকে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর জন্য বড় কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরেই তাঁকে বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। পাঁচ বছর আগে অনুষ্ঠিত বিতর্কিত নির্বাচনের পর ব্যাপক বিক্ষোভ নিরাপত্তা বাহিনী কঠোরভাবে দমন করে। সে সময় শত শত মানুষ গ্রেপ্তার হন, তাঁদের মধ্যেই ছিলেন কোলেসনিকোভা।
২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের পর বেলারুশের বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরও কড়া হয়। কারণ, দেশটির ভূখণ্ড ব্যবহার করেই রুশ সেনা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত কোয়াল জানান, আলোচনায় তিনি লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও কথা বলেছেন এবং সম্ভাব্য শান্তি আলোচনায় মিনস্ক কী ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে, সে বিষয়েও মতবিনিময় হয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, মিনস্কের সঙ্গে ওয়াশিংটনের এই সম্পৃক্ততা যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের ইঙ্গিত, যা ইউরোপের অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ইউরোপ যেখানে এখনো বেলারুশকে বিচ্ছিন্ন ও নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে চাপে রাখতে চায়, সেখানে যুক্তরাষ্ট্র ধীরে ধীরে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে এগোচ্ছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতার পর ১২৩ জন বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে পূর্ব ইউরোপের দেশ বেলারুশ। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোলেসনিকোভা ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অধিকারকর্মী আলেস বিয়ালিয়াতস্কি। বেলারুশে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত জন কোয়ালের সঙ্গে আলোচনার পরই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্দী মুক্তির বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার মিত্রদেশ বেলারুশের ওপর আরোপিত কিছু অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সার উৎপাদনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান পটাশ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা। পটাশ বেলারুশের অন্যতম প্রধান রপ্তানি পণ্য।
১২৩ বন্দী মুক্তির পর জন কোয়াল বলেন, ‘দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হলে পর্যায়ক্রমে আরও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।’ বেলারুশের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, পটাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা তাৎক্ষণিকভাবে তুলে নেওয়া হবে।
২০২০ সাল থেকে কারাবন্দী বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোলেসনিকোভা দীর্ঘ সময় একাকী বন্দিত্বে ছিলেন। মুক্তির পর তাঁর বোন তাতিয়ানা খোমিচ ভিডিও কলে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন এবং বিষয়টি নিশ্চিত করেন। খোমিচ বলেন, ‘সে মুক্ত। তাকে ভালো ও সুস্থই দেখাচ্ছে। তাকে জড়িয়ে ধরার অপেক্ষায় আছি।’ তিনি আরও জানান, কোলেসনিকোভা প্রথমেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং আলোচনায় অংশ নেওয়া বেলারুশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
অন্যদিকে, বেলারুশের একটি আদালত ২০২৩ সালের মার্চে শান্তিতে নোবেলজয়ী অধিকারকর্মী অ্যালেস বিলিয়াতস্কিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। সে সময় দেশটির আদালত চোরাচালান ও জনজীবনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কর্মকাণ্ডে অর্থায়নে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেন।
৬৩ বছর বিলিয়াতস্কি ২০২২ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী তিনজনের একজন। ২০২১ সালে বেলারুশের বিতর্কিত নির্বাচনের পর বিক্ষোভে জড়িয়ে পড়লে বিলিয়াতস্কিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে বিরোধী দলকে সহযোগিতার জন্য অবৈধভাবে বাইরে থেকে বেলারুশে অর্থ আনার অভিযোগে আনা হয়।
মুক্তিপ্রাপ্ত কয়েকজনকে শিগগিরই লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের বাইরে লোকজন জড়ো হচ্ছেন।
এই সমঝোতাকে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর জন্য বড় কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরেই তাঁকে বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। পাঁচ বছর আগে অনুষ্ঠিত বিতর্কিত নির্বাচনের পর ব্যাপক বিক্ষোভ নিরাপত্তা বাহিনী কঠোরভাবে দমন করে। সে সময় শত শত মানুষ গ্রেপ্তার হন, তাঁদের মধ্যেই ছিলেন কোলেসনিকোভা।
২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের পর বেলারুশের বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরও কড়া হয়। কারণ, দেশটির ভূখণ্ড ব্যবহার করেই রুশ সেনা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত কোয়াল জানান, আলোচনায় তিনি লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও কথা বলেছেন এবং সম্ভাব্য শান্তি আলোচনায় মিনস্ক কী ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে, সে বিষয়েও মতবিনিময় হয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, মিনস্কের সঙ্গে ওয়াশিংটনের এই সম্পৃক্ততা যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের ইঙ্গিত, যা ইউরোপের অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ইউরোপ যেখানে এখনো বেলারুশকে বিচ্ছিন্ন ও নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে চাপে রাখতে চায়, সেখানে যুক্তরাষ্ট্র ধীরে ধীরে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে এগোচ্ছে।

ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মের সর্বোচ্চ নেতা প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরসূরি কে হবেন, তা আগে থেকে বলা প্রায় অসম্ভব। কারণ, অতি গোপনীয় পোপ নির্বাচনে কার্ডিনালদের অবস্থান সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলায়। এমনকি কেউ কেউ নিজেদের পছন্দের বা অপছন্দের প্রার্থীকে জেতাতে নানা কৌশলও নেন।
০৮ মে ২০২৫
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
৬ ঘণ্টা আগে
একটা সময় যুক্তরাষ্ট্রে আসা প্রতি চারজন বিদেশি পর্যটকের একজন ছিলেন কানাডিয়ান। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত ব্যাপক শুল্ক এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ করার ইঙ্গিতের পর কানাডার বহু নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটানো...
৭ ঘণ্টা আগে
রাতভর রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের বৈদ্যুতিক অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে দেশটির অন্তত ১০ লাখ পরিবার বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাতভর রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের বৈদ্যুতিক অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে দেশটির অন্তত ১০ লাখ পরিবার বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহোর ক্লাইমেঙ্কোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, রাতভর চালানো এসব হামলায় দেশের পাঁচটি অঞ্চল আক্রান্ত হয়েছে। এতে কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আগুন নেভানো এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো রাশিয়ার হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠেছে। তবে শীতকাল ঘনিয়ে আসায় সাম্প্রতিক সময়ে এসব হামলার মাত্রা আরও বেড়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ বন্ধের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে জার্মানি সফরে যাচ্ছেন। সেখানে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আলোচনা করবেন। বার্লিনে প্রস্তাবিত শান্তি চুক্তির সর্বশেষ খসড়া নিয়েই মূলত আলোচনা হবে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, রাতভর হামলায় রাশিয়া ৪৫০টির বেশি ড্রোন ও ৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লাইমেঙ্কো জানান, হামলার শিকার অঞ্চলগুলো হলো—দনিপ্রোপেত্রোভস্ক, কিরোভোহরাদ, মাইকোলাইভ, ওডেসা ও চেরনিহিভ।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করছে, এসব হামলায় তারা কিনঝাল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন অস্ত্র ব্যবহার করেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো মাঝপথে দিক পরিবর্তন করতে পারে, ফলে এগুলো শনাক্ত করা কঠিন।
আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) জানিয়েছে, ইউক্রেনের জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংযোগ সারা রাত বিচ্ছিন্ন ছিল। হামলার কারণে জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিড ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে আবার বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। রুশ নিয়ন্ত্রণাধীন এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বর্তমানে চালু নেই, তবে রিঅ্যাক্টর ঠান্ডা রাখতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রয়োজন।
এদিকে রাশিয়ার সারাতোভ অঞ্চলে ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় একটি আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দুজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় গভর্নর রোমান বুসারগিন।

রাতভর রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের বৈদ্যুতিক অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে দেশটির অন্তত ১০ লাখ পরিবার বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহোর ক্লাইমেঙ্কোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, রাতভর চালানো এসব হামলায় দেশের পাঁচটি অঞ্চল আক্রান্ত হয়েছে। এতে কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আগুন নেভানো এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো রাশিয়ার হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠেছে। তবে শীতকাল ঘনিয়ে আসায় সাম্প্রতিক সময়ে এসব হামলার মাত্রা আরও বেড়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ বন্ধের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে জার্মানি সফরে যাচ্ছেন। সেখানে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আলোচনা করবেন। বার্লিনে প্রস্তাবিত শান্তি চুক্তির সর্বশেষ খসড়া নিয়েই মূলত আলোচনা হবে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, রাতভর হামলায় রাশিয়া ৪৫০টির বেশি ড্রোন ও ৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লাইমেঙ্কো জানান, হামলার শিকার অঞ্চলগুলো হলো—দনিপ্রোপেত্রোভস্ক, কিরোভোহরাদ, মাইকোলাইভ, ওডেসা ও চেরনিহিভ।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করছে, এসব হামলায় তারা কিনঝাল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন অস্ত্র ব্যবহার করেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো মাঝপথে দিক পরিবর্তন করতে পারে, ফলে এগুলো শনাক্ত করা কঠিন।
আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) জানিয়েছে, ইউক্রেনের জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংযোগ সারা রাত বিচ্ছিন্ন ছিল। হামলার কারণে জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিড ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে আবার বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। রুশ নিয়ন্ত্রণাধীন এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বর্তমানে চালু নেই, তবে রিঅ্যাক্টর ঠান্ডা রাখতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রয়োজন।
এদিকে রাশিয়ার সারাতোভ অঞ্চলে ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় একটি আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দুজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় গভর্নর রোমান বুসারগিন।

ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মের সর্বোচ্চ নেতা প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরসূরি কে হবেন, তা আগে থেকে বলা প্রায় অসম্ভব। কারণ, অতি গোপনীয় পোপ নির্বাচনে কার্ডিনালদের অবস্থান সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলায়। এমনকি কেউ কেউ নিজেদের পছন্দের বা অপছন্দের প্রার্থীকে জেতাতে নানা কৌশলও নেন।
০৮ মে ২০২৫
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
৬ ঘণ্টা আগে
একটা সময় যুক্তরাষ্ট্রে আসা প্রতি চারজন বিদেশি পর্যটকের একজন ছিলেন কানাডিয়ান। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত ব্যাপক শুল্ক এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ করার ইঙ্গিতের পর কানাডার বহু নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটানো...
৭ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতার পর ১২৩ জন বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে পূর্ব ইউরোপের দেশ বেলারুশ। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোলেসনিকোভা ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অধিকারকর্মী আলেস বিয়ালিয়াতস্কি। বেলারুশে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত জন কোয়ালের সঙ্গে আলোচনার পরই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া
৯ ঘণ্টা আগে