অনলাইন ডেস্ক
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক এক নতুন মোড় নিয়েছে। একসময় এই সম্পর্ক বেশ শীতল ছিল। আফ্রিকায় রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলায় এই সফরটি ইউক্রেনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি।
দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ইনস্টিটিউটের স্টিভেন গ্রুজড বলেছেন, ‘রাশিয়া নিশ্চয়ই এই সফর নিয়ে বিরক্ত, তবে তাদের তেমন কিছু করার নেই।’
বৃহস্পতিবার বিবিসি জানিয়েছে, জেলেনস্কি যখন দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থান করছিলেন সেই সময়টিতেই কিয়েভে বড় ধরনের একটি বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এর ফলে সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরতে বাধ্য হন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
জেলেনস্কির সফর নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা জানিয়েছেন, এটি দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার ইঙ্গিত দেয়। ১৯৯১ সালের পর এবারই প্রথম কোনো ইউক্রেনীয় রাষ্ট্রপ্রধান আফ্রিকা সফর করলেন।
২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন চালানোর পর দক্ষিণ আফ্রিকা সহ অনেক আফ্রিকান দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়নি। এরপর থেকেই ইউক্রেন আফ্রিকান রাষ্ট্রগুলোর প্রতি কূটনৈতিক মনোযোগ বাড়িয়েছে এবং এখন পর্যন্ত ২০টি দেশে দূতাবাস চালু করেছে।
জেলেনস্কির দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের সময়টাও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনকে ‘স্বৈরাচারী’ আখ্যা দিয়ে সাময়িকভাবে সামরিক সহায়তা বন্ধ করেছেন। ট্রাম্প ইউক্রেনকেই যুদ্ধের জন্য দায়ী করছেন। এর ফলে ইউক্রেনের জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন নিশ্চিত করা আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে।
অন্যদিকে, রামাফোসার জন্যও সফরটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনি নিজেকে শান্তির দূত হিসেবে তুলে ধরতে চান এবং রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে সমাধান খুঁজতে আগ্রহী। জেলেনস্কির সফরের আগে রামাফোসা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন।
যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে ২০২৩ সালে রামাফোসা আফ্রিকান নেতাদের নিয়ে কিয়েভ ও মস্কো সফর করেছিলেন। তবে সেই সময় মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার সম্পর্ক টানাপোড়েনের মধ্যে পড়েছিল। বিশেষ করে, রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে যৌথ নৌ মহড়ায় অংশ নেওয়ার পর।
বর্তমানে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে। আর এমনটি হয়েছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিজে-তে করা গণহত্যার মামলার কারণে। তবে রামাফোসা ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এবং একটি সাক্ষাতের প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন।
জেলেনস্কির সঙ্গে তাঁর আলোচনায় বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের বিষয়টিও উঠে এসেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার অর্থনীতি সংকটে থাকায় নতুন বাণিজ্যিক অংশীদার খোঁজা এখন জরুরি। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বন্দর ও আর্থিক ব্যবস্থা ইউক্রেনের জন্য আফ্রিকায় প্রবেশের গেটওয়ে হতে পারে।
রাশিয়া ও ইউক্রেন—উভয়ই আফ্রিকার বড় শস্য রপ্তানিকারক। বিশ্লেষকেরা বলেন, আফ্রিকা কোনো পক্ষ বেছে নেবে না, বরং উভয়ের সঙ্গেই সম্পর্ক বজায় রাখবে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক এক নতুন মোড় নিয়েছে। একসময় এই সম্পর্ক বেশ শীতল ছিল। আফ্রিকায় রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলায় এই সফরটি ইউক্রেনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি।
দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ইনস্টিটিউটের স্টিভেন গ্রুজড বলেছেন, ‘রাশিয়া নিশ্চয়ই এই সফর নিয়ে বিরক্ত, তবে তাদের তেমন কিছু করার নেই।’
বৃহস্পতিবার বিবিসি জানিয়েছে, জেলেনস্কি যখন দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থান করছিলেন সেই সময়টিতেই কিয়েভে বড় ধরনের একটি বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এর ফলে সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরতে বাধ্য হন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
জেলেনস্কির সফর নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা জানিয়েছেন, এটি দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার ইঙ্গিত দেয়। ১৯৯১ সালের পর এবারই প্রথম কোনো ইউক্রেনীয় রাষ্ট্রপ্রধান আফ্রিকা সফর করলেন।
২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন চালানোর পর দক্ষিণ আফ্রিকা সহ অনেক আফ্রিকান দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়নি। এরপর থেকেই ইউক্রেন আফ্রিকান রাষ্ট্রগুলোর প্রতি কূটনৈতিক মনোযোগ বাড়িয়েছে এবং এখন পর্যন্ত ২০টি দেশে দূতাবাস চালু করেছে।
জেলেনস্কির দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের সময়টাও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনকে ‘স্বৈরাচারী’ আখ্যা দিয়ে সাময়িকভাবে সামরিক সহায়তা বন্ধ করেছেন। ট্রাম্প ইউক্রেনকেই যুদ্ধের জন্য দায়ী করছেন। এর ফলে ইউক্রেনের জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন নিশ্চিত করা আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে।
অন্যদিকে, রামাফোসার জন্যও সফরটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনি নিজেকে শান্তির দূত হিসেবে তুলে ধরতে চান এবং রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে সমাধান খুঁজতে আগ্রহী। জেলেনস্কির সফরের আগে রামাফোসা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন।
যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে ২০২৩ সালে রামাফোসা আফ্রিকান নেতাদের নিয়ে কিয়েভ ও মস্কো সফর করেছিলেন। তবে সেই সময় মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার সম্পর্ক টানাপোড়েনের মধ্যে পড়েছিল। বিশেষ করে, রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে যৌথ নৌ মহড়ায় অংশ নেওয়ার পর।
বর্তমানে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে। আর এমনটি হয়েছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিজে-তে করা গণহত্যার মামলার কারণে। তবে রামাফোসা ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এবং একটি সাক্ষাতের প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন।
জেলেনস্কির সঙ্গে তাঁর আলোচনায় বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের বিষয়টিও উঠে এসেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার অর্থনীতি সংকটে থাকায় নতুন বাণিজ্যিক অংশীদার খোঁজা এখন জরুরি। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বন্দর ও আর্থিক ব্যবস্থা ইউক্রেনের জন্য আফ্রিকায় প্রবেশের গেটওয়ে হতে পারে।
রাশিয়া ও ইউক্রেন—উভয়ই আফ্রিকার বড় শস্য রপ্তানিকারক। বিশ্লেষকেরা বলেন, আফ্রিকা কোনো পক্ষ বেছে নেবে না, বরং উভয়ের সঙ্গেই সম্পর্ক বজায় রাখবে।
ইসরায়েলের চ্যানেল-১২ জানিয়েছে, ইসরায়েল ‘অপারেশন নার্নিয়া’ (Operation Narnia) নামে একটি অভিযানের আওতায় নয়জন ইরানি পরমাণুবিজ্ঞানীকে ‘একযোগে’ হত্যা করেছে। এর পরপরই দশম ইরানি পরমাণুবিজ্ঞানীকেও হত্যা করেছে তারা। ইসরায়েলি মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, এই অভিযান ছিল অত্যন্ত গোপনীয়। ধারণা করা হচ্ছে, এতে ‘গোপন...
১১ মিনিট আগেকুদস ফোর্স হচ্ছে আইআরজিসির একটি বিশেষ শাখা, যাদের প্রধান দায়িত্ব হলো ইরানের বাইরে বিভিন্ন সশস্ত্র ও মিত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা এবং সমন্বয় রক্ষা। এর মধ্যে রয়েছে লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ফিলিস্তিনের হামাস।
১ ঘণ্টা আগেএলেইনা ৩১ বছর আগে লেখা সেই চিঠির জবাব পেয়েছেন পিয়া ব্রোডম্যান নামের একজনের কাছ থেকে। তিনি লিখেছেন, ‘আমার নাম পিয়া। আমি জার্মানিতে থাকি। আজ আমি নরওয়ের ভেগা অঞ্চলের ছোট্ট দ্বীপ লিসশেলেয়ায় তোমার বোতলবন্দী চিঠিটি খুঁজে পেয়েছি।’
৩ ঘণ্টা আগেতুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মধ্যপ্রাচ্যে একটি ‘নতুন সাইকস-পিকট তন্ত্র’ প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ইস্তাম্বুলে ওআইসির সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে এরদোয়ান বলেছেন, ‘রক্ত দিয়ে নতুন সীমান্ত টেনে আমাদের অঞ্চলে একটি নতুন সাইকস-পিকট ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার অনুমতি আমরা দেব না।’
৩ ঘণ্টা আগে