দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি নেলসন ম্যান্ডেলা। দেশটির কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকার আদায়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। এ জন্য দীর্ঘ ২৭ বছর কারাবরণ করতে হয় ম্যান্ডেলাকে। আজকের এই দিনে, অর্থাৎ ১৯৯০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি কারামুক্ত হন তিনি।
১৯৪৪ সালে আইনজীবী নেলসন ম্যান্ডেলা যোগ দেন আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসে (এএনসি)। এটি দক্ষিণ আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গদের সবচেয়ে পুরোনো সংগঠন। প্রথমে তিনি জোহানেসবার্গের এএনসির যুব শাখার নেতা হন। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে অহিংস প্রতিরোধে কাজ করা ম্যান্ডেলা ১৯৫২ সালে দলটির ডেপুটি ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট হন। দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ আধিপত্য এবং জাতিগত বিচ্ছিন্নতার অবসান চেয়েছিলেন এই নেতা।
১৯৬১ সালে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন ম্যান্ডেলা। খালাস পেলেও ১৯৬২ সালে অবৈধভাবে দেশত্যাগের অভিযোগে পুনরায় গ্রেপ্তার হন। বিচারে দোষী সাব্যস্ত হন এবং পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ম্যান্ডেলাকে রোবেন দ্বীপের কারাগারে পাঠানো হয়। নাশকতার অভিযোগে ১৯৬৪ সালে আবার বিচারের মুখোমুখি হতে হয়। ১৯৬৪ সালের জুন মাসে অন্যান্য এএনসি নেতার সঙ্গে দোষী সাব্যস্ত হন এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন ম্যান্ডেলা।
ম্যান্ডেলা তাঁর ২৭ বছরের কারাজীবনের মধ্যে প্রথম ১৮ বছর কাটান রোবেন দ্বীপের ভয়ানক কারাগারে। ছোট্ট একটি সেলে রাখা হয় তাঁকে, ছিল না কোনো বিছানা। বাধ্য করা হয়েছিল একটি পাথরের খনিতে কঠোর পরিশ্রম করতে। বাইরের জগতের সঙ্গে ছিলেন প্রায় যোগাযোগবিচ্ছিন্ন। প্রতি ছয় মাসে একটি চিঠি লিখতে পারতেন। তেমনি এই সময়ের মধ্যে একটি চিঠি পেতে পারতেন। বছরে একবার তাঁকে ৩০ মিনিটের জন্য একজন দর্শনার্থীর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
তবে এত কিছুর পরও ম্যান্ডেলা তাঁর সংকল্পে অটুট ছিলেন। তিনি কারাগারেও আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, যা দক্ষিণ আফ্রিকার কর্মকর্তাদের রোবেন দ্বীপের অবস্থার ব্যাপক উন্নতি করতে বাধ্য করেছিল। পরে তাঁকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তিনি গৃহবন্দী থাকতেন।
১৯৮৯ সালে এফ ডব্লিউ ডি ক্লার্ক দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি হলে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটে। তিনি এএনসির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন, মৃত্যুদণ্ডগুলো স্থগিত করেন এবং ১৯৯০ সালের ফেব্রুয়ারিতে নেলসন ম্যান্ডেলার মুক্তির আদেশ দেন।
ম্যান্ডেলা পরবর্তীকালে বর্ণবাদের অবসান এবং একটি বহুজাতিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য আলোচনায় এএনসির নেতৃত্ব দেন। ১৯৯৩ সালে যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান ম্যান্ডেলা ও ডি ক্লার্ক। এক বছর পরে এএনসি দেশের প্রথম অবাধ নির্বাচনে বিজয়ী হয় এবং ম্যান্ডেলা দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।
ম্যান্ডেলা ১৯৯৯ সালে রাজনীতি থেকে অবসর নেন। তবে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শান্তি ও সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য বিশ্বব্যাপী কাজ করে যান।
সূত্র: হিস্টরি ডট কম
দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি নেলসন ম্যান্ডেলা। দেশটির কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকার আদায়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। এ জন্য দীর্ঘ ২৭ বছর কারাবরণ করতে হয় ম্যান্ডেলাকে। আজকের এই দিনে, অর্থাৎ ১৯৯০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি কারামুক্ত হন তিনি।
১৯৪৪ সালে আইনজীবী নেলসন ম্যান্ডেলা যোগ দেন আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসে (এএনসি)। এটি দক্ষিণ আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গদের সবচেয়ে পুরোনো সংগঠন। প্রথমে তিনি জোহানেসবার্গের এএনসির যুব শাখার নেতা হন। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে অহিংস প্রতিরোধে কাজ করা ম্যান্ডেলা ১৯৫২ সালে দলটির ডেপুটি ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট হন। দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ আধিপত্য এবং জাতিগত বিচ্ছিন্নতার অবসান চেয়েছিলেন এই নেতা।
১৯৬১ সালে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন ম্যান্ডেলা। খালাস পেলেও ১৯৬২ সালে অবৈধভাবে দেশত্যাগের অভিযোগে পুনরায় গ্রেপ্তার হন। বিচারে দোষী সাব্যস্ত হন এবং পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ম্যান্ডেলাকে রোবেন দ্বীপের কারাগারে পাঠানো হয়। নাশকতার অভিযোগে ১৯৬৪ সালে আবার বিচারের মুখোমুখি হতে হয়। ১৯৬৪ সালের জুন মাসে অন্যান্য এএনসি নেতার সঙ্গে দোষী সাব্যস্ত হন এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন ম্যান্ডেলা।
ম্যান্ডেলা তাঁর ২৭ বছরের কারাজীবনের মধ্যে প্রথম ১৮ বছর কাটান রোবেন দ্বীপের ভয়ানক কারাগারে। ছোট্ট একটি সেলে রাখা হয় তাঁকে, ছিল না কোনো বিছানা। বাধ্য করা হয়েছিল একটি পাথরের খনিতে কঠোর পরিশ্রম করতে। বাইরের জগতের সঙ্গে ছিলেন প্রায় যোগাযোগবিচ্ছিন্ন। প্রতি ছয় মাসে একটি চিঠি লিখতে পারতেন। তেমনি এই সময়ের মধ্যে একটি চিঠি পেতে পারতেন। বছরে একবার তাঁকে ৩০ মিনিটের জন্য একজন দর্শনার্থীর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
তবে এত কিছুর পরও ম্যান্ডেলা তাঁর সংকল্পে অটুট ছিলেন। তিনি কারাগারেও আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, যা দক্ষিণ আফ্রিকার কর্মকর্তাদের রোবেন দ্বীপের অবস্থার ব্যাপক উন্নতি করতে বাধ্য করেছিল। পরে তাঁকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তিনি গৃহবন্দী থাকতেন।
১৯৮৯ সালে এফ ডব্লিউ ডি ক্লার্ক দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি হলে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটে। তিনি এএনসির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন, মৃত্যুদণ্ডগুলো স্থগিত করেন এবং ১৯৯০ সালের ফেব্রুয়ারিতে নেলসন ম্যান্ডেলার মুক্তির আদেশ দেন।
ম্যান্ডেলা পরবর্তীকালে বর্ণবাদের অবসান এবং একটি বহুজাতিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য আলোচনায় এএনসির নেতৃত্ব দেন। ১৯৯৩ সালে যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান ম্যান্ডেলা ও ডি ক্লার্ক। এক বছর পরে এএনসি দেশের প্রথম অবাধ নির্বাচনে বিজয়ী হয় এবং ম্যান্ডেলা দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।
ম্যান্ডেলা ১৯৯৯ সালে রাজনীতি থেকে অবসর নেন। তবে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শান্তি ও সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য বিশ্বব্যাপী কাজ করে যান।
সূত্র: হিস্টরি ডট কম
যুক্তরাষ্ট্রকে কেন ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জড়ানো হলো, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে তার কৈফিয়ত চেয়েছেন ডেমোক্র্যাট সিনেটর চাক শুমার। কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া তিনি কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার স্পষ্ট জবাব জানতে চেয়েছেন ওই ডেমোক্র্যাট নেতা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
১১ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা থেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়েছে ইরান। স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকেরা। পাহাড়ের ভেতরে গড়ে ওঠা এই গোপন ও কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত পরমাণু জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের একাধিক প্রবেশপথে মাটি জমে থাকতে দেখা
১ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে ইরানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলার ঘোষণা দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি বিশ্বজুড়ে অচল হয়ে পড়ে। স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৮টার দিকে এই বিভ্রাট শুরু হয়, যা চলে অনেকক্ষণ। তবে এখন আবার স্বাভাবিকভাবে চলছে প্ল্যাটফর্মটি।
১ ঘণ্টা আগেইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর প্রথম প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। তিনি এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ এবং পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির (এনপিটি) গুরুতর লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন—এই
২ ঘণ্টা আগে