স্তন ক্যানসার সচেতনতা মাস
ফিচার ডেস্ক
নারীর ক্যানসারের মধ্যে স্তন ক্যানসারই বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি নির্ণয় হওয়া রোগ। ২০২২ সালে আনুমানিক ২ দশমিক ৩ মিলিয়ন নারী এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং আরও ৬ লাখ ৭০ হাজার নারী মারা গেছেন। যেখানে উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে এই রোগে ৫ বছর বেঁচে থাকার হার ৯০ শতাংশের বেশি, সেখানে ভারতে এই সংখ্যা ৬৬ শতাংশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় ৪০ শতাংশে নেমে আসে। এই বৈষম্যগুলো মূলত প্রাথমিক শনাক্তকরণ, সময়মতো রোগনির্ণয় এবং কার্যকর চিকিৎসার অসমতার কারণে হয়েছে। বর্তমান ধারা বজায় থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে এ রোগের ঘটনা এবং মৃত্যুহার ৪০ শতাংশ বাড়বে। তাই জরুরি এবং সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন।
অপরিহারযোগ্য ঝুঁকি
ব্রেস্ট, খাদ্যনালি ও কলোরেক্টাল সার্জন মো. সেতাবুর রহমান স্তন ক্যানসারের অপরিহারযোগ্য ঝুঁকি সম্পর্কে জানিয়েছেন। তিনি কিছু ধরন সম্পর্কে আলোচনা করেন—
লিঙ্গ: স্তন ক্যানসার নারী-পুরুষ উভয়ের হতে পারে। তবে পুরুষের তুলনায় নারীর প্রায় ১০০ গুণ বেশি হয় এ ক্যানসার।
বয়স: স্তন ক্যানসারে আক্রান্তের হার ৪০ বছর বয়সের পরে বাড়ে। ৭০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে সর্বোচ্চ। গবেষণায় দেখা গেছে, আক্রমণাত্মক স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে দুজনের বয়স ৫৫ বছরের বেশি।
পারিবারিক ও জেনেটিক: পরিবারের কারও স্তন
বা ডিম্বাশয়ের ক্যানসারের ইতিহাস থাকলে অন্যদের ঝুঁকি বাড়ে। ৪০ বছরের কম বয়সীর নিকটাত্মীয়ের স্তন ক্যানসার থাকলে ঝুঁকি আরও বাড়ে।
স্বাস্থ্য: এক স্তনে ক্যানসার ধরা পড়লে ভবিষ্যতে অন্য স্তনে ক্যানসার ধরা পড়ার ঝুঁকি থাকে।
ঋতুস্রাব ও সন্তান জন্মদান: ১২ বছরের আগে ঋতুস্রাব শুরু এবং মেনোপজ ৫৫ বছরের পরে হলে অধিক বয়সে সন্তান জন্ম কিংবা সন্তান না হওয়ার কারণে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।
ঘন স্তন টিস্যু: স্তন টিস্যু ঘন হলে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
জেনেটিক পলিমরফিজম: কিছু জিনের জেনেটিক পলিমরফিজমের কারণে ঝুঁকি কম-বেশি হয়।
স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় যেসব অভ্যাস
বিশ্বব্যাপী নারীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির অন্যতম বড় কারণ স্তন ক্যানসার। তবে সচেতন জীবনযাপন এবং কিছু অভ্যাস বদলালে এই ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব।
যা করবেন—
নিয়মিত শরীরচর্চা করুন।
নারীর ক্যানসারের মধ্যে স্তন ক্যানসারই বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি নির্ণয় হওয়া রোগ। ২০২২ সালে আনুমানিক ২ দশমিক ৩ মিলিয়ন নারী এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং আরও ৬ লাখ ৭০ হাজার নারী মারা গেছেন। যেখানে উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে এই রোগে ৫ বছর বেঁচে থাকার হার ৯০ শতাংশের বেশি, সেখানে ভারতে এই সংখ্যা ৬৬ শতাংশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় ৪০ শতাংশে নেমে আসে। এই বৈষম্যগুলো মূলত প্রাথমিক শনাক্তকরণ, সময়মতো রোগনির্ণয় এবং কার্যকর চিকিৎসার অসমতার কারণে হয়েছে। বর্তমান ধারা বজায় থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে এ রোগের ঘটনা এবং মৃত্যুহার ৪০ শতাংশ বাড়বে। তাই জরুরি এবং সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন।
অপরিহারযোগ্য ঝুঁকি
ব্রেস্ট, খাদ্যনালি ও কলোরেক্টাল সার্জন মো. সেতাবুর রহমান স্তন ক্যানসারের অপরিহারযোগ্য ঝুঁকি সম্পর্কে জানিয়েছেন। তিনি কিছু ধরন সম্পর্কে আলোচনা করেন—
লিঙ্গ: স্তন ক্যানসার নারী-পুরুষ উভয়ের হতে পারে। তবে পুরুষের তুলনায় নারীর প্রায় ১০০ গুণ বেশি হয় এ ক্যানসার।
বয়স: স্তন ক্যানসারে আক্রান্তের হার ৪০ বছর বয়সের পরে বাড়ে। ৭০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে সর্বোচ্চ। গবেষণায় দেখা গেছে, আক্রমণাত্মক স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে দুজনের বয়স ৫৫ বছরের বেশি।
পারিবারিক ও জেনেটিক: পরিবারের কারও স্তন
বা ডিম্বাশয়ের ক্যানসারের ইতিহাস থাকলে অন্যদের ঝুঁকি বাড়ে। ৪০ বছরের কম বয়সীর নিকটাত্মীয়ের স্তন ক্যানসার থাকলে ঝুঁকি আরও বাড়ে।
স্বাস্থ্য: এক স্তনে ক্যানসার ধরা পড়লে ভবিষ্যতে অন্য স্তনে ক্যানসার ধরা পড়ার ঝুঁকি থাকে।
ঋতুস্রাব ও সন্তান জন্মদান: ১২ বছরের আগে ঋতুস্রাব শুরু এবং মেনোপজ ৫৫ বছরের পরে হলে অধিক বয়সে সন্তান জন্ম কিংবা সন্তান না হওয়ার কারণে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।
ঘন স্তন টিস্যু: স্তন টিস্যু ঘন হলে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
জেনেটিক পলিমরফিজম: কিছু জিনের জেনেটিক পলিমরফিজমের কারণে ঝুঁকি কম-বেশি হয়।
স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় যেসব অভ্যাস
বিশ্বব্যাপী নারীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির অন্যতম বড় কারণ স্তন ক্যানসার। তবে সচেতন জীবনযাপন এবং কিছু অভ্যাস বদলালে এই ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব।
যা করবেন—
নিয়মিত শরীরচর্চা করুন।
একটি রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ৫০টিরও বেশি ধরনের ক্যানসার শনাক্ত করা সম্ভব বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই রক্ত পরীক্ষা ক্যানসার শনাক্ত করার গতিও বাড়িয়ে দেয়।
১১ ঘণ্টা আগেজাতিসংঘের সংজ্ঞা অনুযায়ী ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের তরুণ বলা হয়। বাংলাদেশে তরুণের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। বর্তমানে এই তরুণদের মধ্যেও বিভিন্ন রকমের নন-কমিউনিকেবল রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। তার মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম। আগে মনে করা হতো, ডায়াবেটিস বয়স্ক মানুষের রোগ।
১৭ ঘণ্টা আগেহিমালয়ের ‘হিমলুং’ পর্বত শিখরে অভিযান শুরু করতে যাচ্ছেন দেশের নারী পর্বতারোহী নুরুননাহার নিম্মি। ৩০ দিনের এই অভিযানে শনিবার (আজ) নেপালের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন তিনি। শুক্রবার (গতকাল) রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযাত্রী নুরুননাহার নিম্মির হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয়।
১৮ ঘণ্টা আগেনা কখনো আক্রান্ত হয়েছি। অনেকে এটিকে সাধারণ সমস্যা ভেবে অবহেলা করে থাকেন। কিন্তু এই ব্যথা হওয়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ রোগ হলো টনসিলোফ্যারিঞ্জাইটিস। এটি ফ্যারিক্স ও টনসিলের একযোগে সংক্রমণ, যা হঠাৎ করেই শুরু হয়ে যায় এবং রোগীকে অনেকটা দুর্বল করে দেয়।
২০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
একটি রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ৫০টিরও বেশি ধরনের ক্যানসার শনাক্ত করা সম্ভব বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই রক্ত পরীক্ষা ক্যানসার শনাক্ত করার গতিও বাড়িয়ে দেয়।
মার্কিন ওষুধ কোম্পানি গ্রেইলের গ্যালেরি টেস্ট নামে এই পরীক্ষাটি উত্তর আমেরিকায় প্রয়োগ করে দেখা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, এই রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে এমন অনেক ক্যানসার শনাক্ত করা সম্ভব যেগুলোর মধ্যে প্রায় তিন-চতুর্থাংশের জন্য এখনো কোনো নিয়মিত স্ক্রিনিং পদ্ধতি নেই।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, শনাক্ত হওয়া ক্যানসারের অর্ধেকেরও বেশি প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়েছে। যে পর্যায়ে ক্যানসারটি সহজে চিকিৎসাযোগ্য এবং অনেক ক্ষেত্রেই নিরাময়যোগ্য অবস্থায় থাকে। এই পরীক্ষাটি টিউমার থেকে ভেঙে রক্তে মিশে যাওয়া ক্যানসার সৃষ্টিকারী ডিএনএ-এর অংশ শনাক্ত করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ২৫ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে এই ট্রায়ালে এক বছর ধরে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রায় প্রতি ১০০ জনে একজনের টেস্ট পজিটিভ এসেছে। তাদের মধ্যে ৬২ শতাংশের ক্ষেত্রেই পরবর্তীতে ক্যানসার নিশ্চিতভাবে শনাক্ত হয়েছে।
আর যাদের পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ ছিল, তাদের মধ্যে ৯৯ শতাংশের ক্ষেত্রেই পরীক্ষাটি সঠিকভাবে ক্যানসার না থাকার বিষয়টি নির্ধারণ করতে পেরেছিল।
স্তন, অন্ত্র ও জরায়ুমুখের স্ক্রিনিংয়ের সঙ্গে এই রক্ত পরীক্ষা যুক্ত করা হলে ক্যানসার শনাক্তের হার ৭ গুণ বেড়ে যায়।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, শনাক্ত হওয়া ক্যানসারের তিন-চতুর্থাংশই ছিল ডিম্বাশয়, যকৃৎ, পাকস্থলী, মূত্রথলি ও অগ্ন্যাশয়ের মতো দেহের জটিল অংশগুলোর ক্যানসার, যেগুলোর জন্য বর্তমানে কোনো স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম নেই।
এই রক্ত পরীক্ষাটি প্রতি ১০ টির মধ্যে ৯ টির ক্ষেত্রে সঠিকভাবে ক্যানসারের উৎস সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে পেরেছে। এই চমকপ্রদ ফলাফল ইঙ্গিত দিচ্ছে, ভবিষ্যতে এই রক্ত পরীক্ষা প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসার শনাক্তে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
গবেষণাটির সঙ্গে জড়িত নন এমন বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেছেন, এই রক্ত পরীক্ষা ক্যানসারজনিত মৃত্যুহার কমাতে পারবে কিনা, তা প্রমাণ করতে আরও শক্ত প্রমাণের প্রয়োজন।
গবেষণার সম্পূর্ণ তথ্য এখনো কোনো স্বীকৃত জার্নালে প্রকাশিত হয়নি। এর প্রাথমিক ফলাফল বার্লিনে ইউরোপীয় সোসাইটি ফর মেডিকেল অনকোলোজি কংগ্রেসে প্রকাশ করা হবে।
তবে এই পরীক্ষার সফলতা অনেকটাই নির্ভর করছে ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্য সেবা এনএইচএস-এর ১ লাখ ৪০ হাজার রোগীর ওপর পরিচালিত তিন বছরের একটি বড় ট্রায়ালের ফলাফলের ওপর, যা আগামী বছর প্রকাশিত হবে। এনএইচএস আগে জানিয়েছিল, যদি ফলাফল সফল হয়, তাহলে আরও ১০ লাখ মানুষের ওপর এই পরীক্ষা চালানো হবে।
এই গবেষণার প্রধান গবেষক ওরেগন হেলথ অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটির রেডিয়েশন মেডিসিনের সহযোগী অধ্যাপক ড. নিমা নবাবিজাদেহ বলেন, এই নতুন তথ্যগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে যে এই পরীক্ষা আমাদের ক্যানসার স্ক্রিনিংয়ের পদ্ধতিকে মৌলিকভাবে বদলে দিতে পারে। কারণ এটি অনেক ধরনের ক্যানসার প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করতে সাহায্য করবে, যে পর্যায়ে চিকিৎসা বা সম্পূর্ণ আরোগ্যের সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি।
তবে লন্ডনের ইনস্টিটিউট অব ক্যানসার রিসার্চের ট্রান্সলেশনাল ক্যানসার জেনেটিকস বিভাগের অধ্যাপক ক্লেয়ার টার্নবুল সতর্ক করে বলেন, ‘গ্যালেরি টেস্ট দিয়ে আপাতদৃষ্টিতে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত করা গেলেও, এটি ক্যানসারজনিত মৃত্যু কমাতে আদৌ কোনো সুবিধা দেয় কিনা, তা বোঝার জন্য মৃত্যুর হারকে ভিত্তি ধরে র্যান্ডমাইজড স্টাডি থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।
এই রক্ত পরীক্ষার উদ্ভাবক গ্রেইল কোম্পানির বায়োফার্মা বিভাগের প্রেসিডেন্ট হারপাল কুমার বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা মনে করি, এই ফলাফলগুলো অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। আমাদের সামনে একটি বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে অনেক বেশি সংখ্যক ক্যানসার, বিশেষ করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ক্যানসারগুলো আগেই শনাক্ত করতে পারব এবং চিকিৎসা ও আরোগ্যও সম্ভব হতে পারে।
তবে ক্যানসার রিসার্চ ইউকের নাসের তুরাবি বলেন, ‘যে ক্যানসারগুলো হয়তো ক্ষতিকর নয়, সেগুলো যাতে এই বাড়তি শনাক্তকরণে আওতায় না আসে সেটার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন। ইউকে ন্যাশনাল স্ক্রিনিং কমিটি আরও পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে, এই পরীক্ষাগুলো ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্যসেবা এনএইচএসের সেবায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে কি না।
একটি রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ৫০টিরও বেশি ধরনের ক্যানসার শনাক্ত করা সম্ভব বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই রক্ত পরীক্ষা ক্যানসার শনাক্ত করার গতিও বাড়িয়ে দেয়।
মার্কিন ওষুধ কোম্পানি গ্রেইলের গ্যালেরি টেস্ট নামে এই পরীক্ষাটি উত্তর আমেরিকায় প্রয়োগ করে দেখা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, এই রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে এমন অনেক ক্যানসার শনাক্ত করা সম্ভব যেগুলোর মধ্যে প্রায় তিন-চতুর্থাংশের জন্য এখনো কোনো নিয়মিত স্ক্রিনিং পদ্ধতি নেই।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, শনাক্ত হওয়া ক্যানসারের অর্ধেকেরও বেশি প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়েছে। যে পর্যায়ে ক্যানসারটি সহজে চিকিৎসাযোগ্য এবং অনেক ক্ষেত্রেই নিরাময়যোগ্য অবস্থায় থাকে। এই পরীক্ষাটি টিউমার থেকে ভেঙে রক্তে মিশে যাওয়া ক্যানসার সৃষ্টিকারী ডিএনএ-এর অংশ শনাক্ত করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ২৫ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে এই ট্রায়ালে এক বছর ধরে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রায় প্রতি ১০০ জনে একজনের টেস্ট পজিটিভ এসেছে। তাদের মধ্যে ৬২ শতাংশের ক্ষেত্রেই পরবর্তীতে ক্যানসার নিশ্চিতভাবে শনাক্ত হয়েছে।
আর যাদের পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ ছিল, তাদের মধ্যে ৯৯ শতাংশের ক্ষেত্রেই পরীক্ষাটি সঠিকভাবে ক্যানসার না থাকার বিষয়টি নির্ধারণ করতে পেরেছিল।
স্তন, অন্ত্র ও জরায়ুমুখের স্ক্রিনিংয়ের সঙ্গে এই রক্ত পরীক্ষা যুক্ত করা হলে ক্যানসার শনাক্তের হার ৭ গুণ বেড়ে যায়।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, শনাক্ত হওয়া ক্যানসারের তিন-চতুর্থাংশই ছিল ডিম্বাশয়, যকৃৎ, পাকস্থলী, মূত্রথলি ও অগ্ন্যাশয়ের মতো দেহের জটিল অংশগুলোর ক্যানসার, যেগুলোর জন্য বর্তমানে কোনো স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম নেই।
এই রক্ত পরীক্ষাটি প্রতি ১০ টির মধ্যে ৯ টির ক্ষেত্রে সঠিকভাবে ক্যানসারের উৎস সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে পেরেছে। এই চমকপ্রদ ফলাফল ইঙ্গিত দিচ্ছে, ভবিষ্যতে এই রক্ত পরীক্ষা প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসার শনাক্তে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
গবেষণাটির সঙ্গে জড়িত নন এমন বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেছেন, এই রক্ত পরীক্ষা ক্যানসারজনিত মৃত্যুহার কমাতে পারবে কিনা, তা প্রমাণ করতে আরও শক্ত প্রমাণের প্রয়োজন।
গবেষণার সম্পূর্ণ তথ্য এখনো কোনো স্বীকৃত জার্নালে প্রকাশিত হয়নি। এর প্রাথমিক ফলাফল বার্লিনে ইউরোপীয় সোসাইটি ফর মেডিকেল অনকোলোজি কংগ্রেসে প্রকাশ করা হবে।
তবে এই পরীক্ষার সফলতা অনেকটাই নির্ভর করছে ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্য সেবা এনএইচএস-এর ১ লাখ ৪০ হাজার রোগীর ওপর পরিচালিত তিন বছরের একটি বড় ট্রায়ালের ফলাফলের ওপর, যা আগামী বছর প্রকাশিত হবে। এনএইচএস আগে জানিয়েছিল, যদি ফলাফল সফল হয়, তাহলে আরও ১০ লাখ মানুষের ওপর এই পরীক্ষা চালানো হবে।
এই গবেষণার প্রধান গবেষক ওরেগন হেলথ অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটির রেডিয়েশন মেডিসিনের সহযোগী অধ্যাপক ড. নিমা নবাবিজাদেহ বলেন, এই নতুন তথ্যগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে যে এই পরীক্ষা আমাদের ক্যানসার স্ক্রিনিংয়ের পদ্ধতিকে মৌলিকভাবে বদলে দিতে পারে। কারণ এটি অনেক ধরনের ক্যানসার প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করতে সাহায্য করবে, যে পর্যায়ে চিকিৎসা বা সম্পূর্ণ আরোগ্যের সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি।
তবে লন্ডনের ইনস্টিটিউট অব ক্যানসার রিসার্চের ট্রান্সলেশনাল ক্যানসার জেনেটিকস বিভাগের অধ্যাপক ক্লেয়ার টার্নবুল সতর্ক করে বলেন, ‘গ্যালেরি টেস্ট দিয়ে আপাতদৃষ্টিতে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত করা গেলেও, এটি ক্যানসারজনিত মৃত্যু কমাতে আদৌ কোনো সুবিধা দেয় কিনা, তা বোঝার জন্য মৃত্যুর হারকে ভিত্তি ধরে র্যান্ডমাইজড স্টাডি থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।
এই রক্ত পরীক্ষার উদ্ভাবক গ্রেইল কোম্পানির বায়োফার্মা বিভাগের প্রেসিডেন্ট হারপাল কুমার বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা মনে করি, এই ফলাফলগুলো অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। আমাদের সামনে একটি বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে অনেক বেশি সংখ্যক ক্যানসার, বিশেষ করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ক্যানসারগুলো আগেই শনাক্ত করতে পারব এবং চিকিৎসা ও আরোগ্যও সম্ভব হতে পারে।
তবে ক্যানসার রিসার্চ ইউকের নাসের তুরাবি বলেন, ‘যে ক্যানসারগুলো হয়তো ক্ষতিকর নয়, সেগুলো যাতে এই বাড়তি শনাক্তকরণে আওতায় না আসে সেটার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন। ইউকে ন্যাশনাল স্ক্রিনিং কমিটি আরও পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে, এই পরীক্ষাগুলো ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্যসেবা এনএইচএসের সেবায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে কি না।
নারীর ক্যানসারের মধ্যে স্তন ক্যানসারই বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি নির্ণয় হওয়া রোগ। ২০২২ সালে আনুমানিক ২ দশমিক ৩ মিলিয়ন নারী এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং আরও ৬ লাখ ৭০ হাজার নারী মারা গেছেন। যেখানে উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে এই রোগে ৫ বছর বেঁচে থাকার হার ৯০ শতাংশের বেশি, সেখানে ভারতে এই সংখ্যা ৬৬ শতাংশ...
১৯ ঘণ্টা আগেজাতিসংঘের সংজ্ঞা অনুযায়ী ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের তরুণ বলা হয়। বাংলাদেশে তরুণের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। বর্তমানে এই তরুণদের মধ্যেও বিভিন্ন রকমের নন-কমিউনিকেবল রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। তার মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম। আগে মনে করা হতো, ডায়াবেটিস বয়স্ক মানুষের রোগ।
১৭ ঘণ্টা আগেহিমালয়ের ‘হিমলুং’ পর্বত শিখরে অভিযান শুরু করতে যাচ্ছেন দেশের নারী পর্বতারোহী নুরুননাহার নিম্মি। ৩০ দিনের এই অভিযানে শনিবার (আজ) নেপালের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন তিনি। শুক্রবার (গতকাল) রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযাত্রী নুরুননাহার নিম্মির হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয়।
১৮ ঘণ্টা আগেনা কখনো আক্রান্ত হয়েছি। অনেকে এটিকে সাধারণ সমস্যা ভেবে অবহেলা করে থাকেন। কিন্তু এই ব্যথা হওয়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ রোগ হলো টনসিলোফ্যারিঞ্জাইটিস। এটি ফ্যারিক্স ও টনসিলের একযোগে সংক্রমণ, যা হঠাৎ করেই শুরু হয়ে যায় এবং রোগীকে অনেকটা দুর্বল করে দেয়।
২০ ঘণ্টা আগেমো. ইকবাল হোসেন
জাতিসংঘের সংজ্ঞা অনুযায়ী ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের তরুণ বলা হয়। বাংলাদেশে তরুণের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। বর্তমানে এই তরুণদের মধ্যেও বিভিন্ন রকমের নন-কমিউনিকেবল রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। তার মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম। আগে মনে করা হতো, ডায়াবেটিস বয়স্ক মানুষের রোগ। কিন্তু এখন অল্প বয়সী তরুণদের মধ্যেও এই রোগ হওয়ার প্রবণতা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
এদের মধ্যে টাইপ ওয়ান এবং টাইপ টু—উভয় ধরনের ডায়াবেটিসই দেখা যায়। তবে টাইপ টুর প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, আমাদের দেশের প্রায় ৪ শতাংশ, অর্থাৎ প্রতি ২৫ জনে ১ জন তরুণ-তরুণী ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এদের অর্ধেকের বেশি জানেই না যে তাদের ডায়াবেটিস আছে। কারণ, ডায়াবেটিস হলে শুরুতে কোনো লক্ষণ থাকে না।
ডায়াবেটিসের লক্ষণ
জটিলতা
দীর্ঘ মেয়াদে রক্তে উচ্চমাত্রার সুগার থাকলে ডায়াবেটিসজনিত জটিলতাগুলো দেখা দিতে পারে। যেমন ডায়াবেটিস রেটিনোপ্যাথি, ডায়াবেটিস নেফ্রোপ্যাথি, ডায়াবেটিস নিউরোপ্যাথি এবং ডায়াবেটিস ফুটের মতো জটিল সমস্যা। এখন তরুণদের মধ্যে আশঙ্কাজনক হারে এসব সমস্যা বাড়ছে; যা তরুণদের অল্প বয়সে বৃদ্ধদের কাতারে ফেলে দিচ্ছে। এমনিতেই দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অনেক বেশি। সেই সঙ্গে তরুণদের ডায়াবেটিস বাড়তি হতাশা যোগ করেছে। অল্প বয়সে দীর্ঘমেয়াদি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে তারা পরিবার এবং দেশের জন্য হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
ঝুঁকিতে কারা
বেশির ভাগ তরুণের ক্ষেত্রে দেখা যায়, ডায়াবেটিসের শুরুতে রক্তে উচ্চমাত্রায় সুগার পাওয়া যায়। কারণ, তারা বা পরিবারের লোকজন কখনো চিন্তাও করে না যে এত অল্প বয়সে ডায়াবেটিস হতে পারে। এ ছাড়া ডায়াবেটিসের শুরুতেই তেমন কোনো লক্ষণ থাকে না। যদি কোনো লক্ষণ দেখাও যায়, সে ক্ষেত্রে তরুণেরা এটাকে শারীরিক দুর্বলতা ভাবে। এই দুর্বলতা কাটাতে তারা নিজেরা এবং পরিবারের পক্ষ থেকে খাওয়ার পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এ কারণে সুগার আরও বাড়তে থাকে।
প্রতিরোধ
ডায়াবেটিস একটি লাইফস্টাইল ডিজিজ। তাই ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সবার আগে লাইফস্টাইল পরিবর্তন করতে হবে। খাওয়া, ঘুম, ব্যায়ামসহ সবকিছুতে তরুণদের ব্যাপক অনিয়ম দেখা যায়; যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি আরও ত্বরান্বিত করছে।
বর্তমান সময়ে তরুণদের খাবারের একটা বড় অংশজুড়ে থাকে ফাস্ট ফুড। অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড খাওয়ার কারণে তারা অল্প বয়সে মুটিয়ে যাচ্ছে। প্রায় সব ফাস্ট ফুডই উচ্চ শর্করা এবং ট্রান্সফ্যাটযুক্ত; যা তাদের ওবেসিটির অন্যতম কারণ। এর ফলে তাদের রক্তে চর্বির পরিমাণ বাড়ছে, উচ্চ রক্তচাপ হচ্ছে, মেয়েদের পিসিওএস হচ্ছে, যা ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকিকে আরও ত্বরান্বিত করছে। তাই তরুণদের ফাস্ট ফুড খাওয়ার অভ্যাস কমাতে হবে, বাসায় তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবারে আগ্রহী করে তুলতে হবে।
তরুণদের জীবনযাপনের আরেকটি খারাপ অভ্যাস হচ্ছে ঘুম। তাঁরা বিভিন্ন ইলেকট্রিক ডিভাইস ব্যবহারের কারণে গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন। বেশির ভাগ তরুণই রাত ৩টা বা ৪টার আগে ঘুমান না। আমরা জানি, রাতে দেরি করে ঘুমালে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগ ইনসুলিন নামক একটি হরমোনের ভারসাম্যহীনতার ফলেই হয়ে থাকে।
তাই তাদের রাতের আঁধারে অন্তত সাত ঘণ্টা ঘুমের অভ্যাস করতে হবে।
এ ছাড়া তরুণদের মধ্যে এখন মানসিক বিষণ্নতাও বাড়ছে। বর্তমান সময়ে বাবা-মায়েরা তরুণদের স্কুল/কলেজ, কোচিং, টিউশনের বাইরে অন্য কোনো কোথাও রাখতে চান না। এ জন্য তাদের ডিভাইস আসক্তি বাড়ে। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য তাদের খেলাধুলার সময় এবং জায়গা—কোনোটাই থাকে না। নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগও তেমন থাকে না; যা তরুণদের বিষণ্নতার অন্যতম কারণ।
করণীয়
ডায়াবেটিসকে লাইফস্টাইল ডিজিজ বলা হয়। এটি কখনো ভালো হয় না, তবে চাইলে ভালো রাখা যায়। তবে ভালো রাখতে হলে আপনাকে ডায়েট, ডিসিপ্লিন ও ড্রাগ—এই তিন জিনিসের সঠিক কম্বিনেশন তৈরি করতে হবে। তবে আপনি এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রেখে একটি স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবেন।
সে কারণে তরুণদের ডাক্তারের পরামর্শের পাশাপাশি লাইফস্টাইল পরিবর্তন করে এই রোগ প্রতিরোধের চেষ্টা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞ পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী নিজের সারা দিনের খাদ্যতালিকা ঠিক করতে হবে। প্রয়োজনে একজন সাইকিয়াট্রিস্টের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। একজন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত হেলথ চেকআপ করাতে হবে। প্রয়োজন হলে ওষুধ/ইনসুলিন নিতে হবে। সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন ব্যায়ামের অভ্যাস তৈরি করতে হবে। এ ছাড়া রাতের প্রথম ভাগে ঘুমিয়ে পড়তে হবে। তবেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং ডায়াবেটিসজনিত বিভিন্ন জটিলতা প্রতিহত করা সম্ভব হবে।
তরুণদের এই ডায়াবেটিসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়া দেশের জন্য কোনোভাবেই কল্যাণকর নয়। তরুণেরা আগামীর কান্ডারি। তারা এত অল্প বয়সে এমন দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত হলে দেশ অনেক পিছিয়ে পড়বে। কারণ, দেশের প্রতিটি কল্যাণকর এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে সুস্থ তরুণদের অংশগ্রহণ অনেক বেশি থাকতে হবে।
লেখক: সিনিয়র পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল
জাতিসংঘের সংজ্ঞা অনুযায়ী ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের তরুণ বলা হয়। বাংলাদেশে তরুণের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। বর্তমানে এই তরুণদের মধ্যেও বিভিন্ন রকমের নন-কমিউনিকেবল রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। তার মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম। আগে মনে করা হতো, ডায়াবেটিস বয়স্ক মানুষের রোগ। কিন্তু এখন অল্প বয়সী তরুণদের মধ্যেও এই রোগ হওয়ার প্রবণতা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
এদের মধ্যে টাইপ ওয়ান এবং টাইপ টু—উভয় ধরনের ডায়াবেটিসই দেখা যায়। তবে টাইপ টুর প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, আমাদের দেশের প্রায় ৪ শতাংশ, অর্থাৎ প্রতি ২৫ জনে ১ জন তরুণ-তরুণী ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এদের অর্ধেকের বেশি জানেই না যে তাদের ডায়াবেটিস আছে। কারণ, ডায়াবেটিস হলে শুরুতে কোনো লক্ষণ থাকে না।
ডায়াবেটিসের লক্ষণ
জটিলতা
দীর্ঘ মেয়াদে রক্তে উচ্চমাত্রার সুগার থাকলে ডায়াবেটিসজনিত জটিলতাগুলো দেখা দিতে পারে। যেমন ডায়াবেটিস রেটিনোপ্যাথি, ডায়াবেটিস নেফ্রোপ্যাথি, ডায়াবেটিস নিউরোপ্যাথি এবং ডায়াবেটিস ফুটের মতো জটিল সমস্যা। এখন তরুণদের মধ্যে আশঙ্কাজনক হারে এসব সমস্যা বাড়ছে; যা তরুণদের অল্প বয়সে বৃদ্ধদের কাতারে ফেলে দিচ্ছে। এমনিতেই দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অনেক বেশি। সেই সঙ্গে তরুণদের ডায়াবেটিস বাড়তি হতাশা যোগ করেছে। অল্প বয়সে দীর্ঘমেয়াদি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে তারা পরিবার এবং দেশের জন্য হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
ঝুঁকিতে কারা
বেশির ভাগ তরুণের ক্ষেত্রে দেখা যায়, ডায়াবেটিসের শুরুতে রক্তে উচ্চমাত্রায় সুগার পাওয়া যায়। কারণ, তারা বা পরিবারের লোকজন কখনো চিন্তাও করে না যে এত অল্প বয়সে ডায়াবেটিস হতে পারে। এ ছাড়া ডায়াবেটিসের শুরুতেই তেমন কোনো লক্ষণ থাকে না। যদি কোনো লক্ষণ দেখাও যায়, সে ক্ষেত্রে তরুণেরা এটাকে শারীরিক দুর্বলতা ভাবে। এই দুর্বলতা কাটাতে তারা নিজেরা এবং পরিবারের পক্ষ থেকে খাওয়ার পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এ কারণে সুগার আরও বাড়তে থাকে।
প্রতিরোধ
ডায়াবেটিস একটি লাইফস্টাইল ডিজিজ। তাই ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সবার আগে লাইফস্টাইল পরিবর্তন করতে হবে। খাওয়া, ঘুম, ব্যায়ামসহ সবকিছুতে তরুণদের ব্যাপক অনিয়ম দেখা যায়; যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি আরও ত্বরান্বিত করছে।
বর্তমান সময়ে তরুণদের খাবারের একটা বড় অংশজুড়ে থাকে ফাস্ট ফুড। অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড খাওয়ার কারণে তারা অল্প বয়সে মুটিয়ে যাচ্ছে। প্রায় সব ফাস্ট ফুডই উচ্চ শর্করা এবং ট্রান্সফ্যাটযুক্ত; যা তাদের ওবেসিটির অন্যতম কারণ। এর ফলে তাদের রক্তে চর্বির পরিমাণ বাড়ছে, উচ্চ রক্তচাপ হচ্ছে, মেয়েদের পিসিওএস হচ্ছে, যা ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকিকে আরও ত্বরান্বিত করছে। তাই তরুণদের ফাস্ট ফুড খাওয়ার অভ্যাস কমাতে হবে, বাসায় তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবারে আগ্রহী করে তুলতে হবে।
তরুণদের জীবনযাপনের আরেকটি খারাপ অভ্যাস হচ্ছে ঘুম। তাঁরা বিভিন্ন ইলেকট্রিক ডিভাইস ব্যবহারের কারণে গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন। বেশির ভাগ তরুণই রাত ৩টা বা ৪টার আগে ঘুমান না। আমরা জানি, রাতে দেরি করে ঘুমালে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগ ইনসুলিন নামক একটি হরমোনের ভারসাম্যহীনতার ফলেই হয়ে থাকে।
তাই তাদের রাতের আঁধারে অন্তত সাত ঘণ্টা ঘুমের অভ্যাস করতে হবে।
এ ছাড়া তরুণদের মধ্যে এখন মানসিক বিষণ্নতাও বাড়ছে। বর্তমান সময়ে বাবা-মায়েরা তরুণদের স্কুল/কলেজ, কোচিং, টিউশনের বাইরে অন্য কোনো কোথাও রাখতে চান না। এ জন্য তাদের ডিভাইস আসক্তি বাড়ে। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য তাদের খেলাধুলার সময় এবং জায়গা—কোনোটাই থাকে না। নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগও তেমন থাকে না; যা তরুণদের বিষণ্নতার অন্যতম কারণ।
করণীয়
ডায়াবেটিসকে লাইফস্টাইল ডিজিজ বলা হয়। এটি কখনো ভালো হয় না, তবে চাইলে ভালো রাখা যায়। তবে ভালো রাখতে হলে আপনাকে ডায়েট, ডিসিপ্লিন ও ড্রাগ—এই তিন জিনিসের সঠিক কম্বিনেশন তৈরি করতে হবে। তবে আপনি এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রেখে একটি স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবেন।
সে কারণে তরুণদের ডাক্তারের পরামর্শের পাশাপাশি লাইফস্টাইল পরিবর্তন করে এই রোগ প্রতিরোধের চেষ্টা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞ পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী নিজের সারা দিনের খাদ্যতালিকা ঠিক করতে হবে। প্রয়োজনে একজন সাইকিয়াট্রিস্টের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। একজন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত হেলথ চেকআপ করাতে হবে। প্রয়োজন হলে ওষুধ/ইনসুলিন নিতে হবে। সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন ব্যায়ামের অভ্যাস তৈরি করতে হবে। এ ছাড়া রাতের প্রথম ভাগে ঘুমিয়ে পড়তে হবে। তবেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং ডায়াবেটিসজনিত বিভিন্ন জটিলতা প্রতিহত করা সম্ভব হবে।
তরুণদের এই ডায়াবেটিসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়া দেশের জন্য কোনোভাবেই কল্যাণকর নয়। তরুণেরা আগামীর কান্ডারি। তারা এত অল্প বয়সে এমন দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত হলে দেশ অনেক পিছিয়ে পড়বে। কারণ, দেশের প্রতিটি কল্যাণকর এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে সুস্থ তরুণদের অংশগ্রহণ অনেক বেশি থাকতে হবে।
লেখক: সিনিয়র পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল
নারীর ক্যানসারের মধ্যে স্তন ক্যানসারই বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি নির্ণয় হওয়া রোগ। ২০২২ সালে আনুমানিক ২ দশমিক ৩ মিলিয়ন নারী এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং আরও ৬ লাখ ৭০ হাজার নারী মারা গেছেন। যেখানে উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে এই রোগে ৫ বছর বেঁচে থাকার হার ৯০ শতাংশের বেশি, সেখানে ভারতে এই সংখ্যা ৬৬ শতাংশ...
১৯ ঘণ্টা আগেএকটি রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ৫০টিরও বেশি ধরনের ক্যানসার শনাক্ত করা সম্ভব বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই রক্ত পরীক্ষা ক্যানসার শনাক্ত করার গতিও বাড়িয়ে দেয়।
১১ ঘণ্টা আগেহিমালয়ের ‘হিমলুং’ পর্বত শিখরে অভিযান শুরু করতে যাচ্ছেন দেশের নারী পর্বতারোহী নুরুননাহার নিম্মি। ৩০ দিনের এই অভিযানে শনিবার (আজ) নেপালের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন তিনি। শুক্রবার (গতকাল) রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযাত্রী নুরুননাহার নিম্মির হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয়।
১৮ ঘণ্টা আগেনা কখনো আক্রান্ত হয়েছি। অনেকে এটিকে সাধারণ সমস্যা ভেবে অবহেলা করে থাকেন। কিন্তু এই ব্যথা হওয়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ রোগ হলো টনসিলোফ্যারিঞ্জাইটিস। এটি ফ্যারিক্স ও টনসিলের একযোগে সংক্রমণ, যা হঠাৎ করেই শুরু হয়ে যায় এবং রোগীকে অনেকটা দুর্বল করে দেয়।
২০ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক
হিমালয়ের ‘হিমলুং’ পর্বত শিখরে অভিযান শুরু করতে যাচ্ছেন দেশের নারী পর্বতারোহী নুরুননাহার নিম্মি। ৩০ দিনের এই অভিযানে শনিবার (আজ) নেপালের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন তিনি।
শুক্রবার (গতকাল) রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযাত্রী নুরুননাহার নিম্মির হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয়। এ সময় অভিযানের বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।
৭ হাজার ১২৬ মিটার উচ্চতার ‘হিমলুং হিমাল’ পর্বত শিখর তিব্বত সীমান্তবর্তী নেপালের মানাসলু অঞ্চলে অবস্থিত। ‘হিমলুং হিমাল’ পর্বত শিখর অভিযানটি পরিচালনা করছে বাংলা মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাব এবং স্পনসর করছে পূবালী ব্যাংক পিএলসি।
হিমলুং শিখরে এটি ক্লাবের দ্বিতীয় অভিযান উল্লেখ করে অভিযানটি নিয়ে মুহিত বলেন, ক্লাবের পক্ষ থেকে এর আগেও পর্বতটিতে অভিযান হয়েছে। সেবার সফল হয়েছি। নিম্মি খুবই এনার্জেটিক, প্রতিশ্রুতিবদ্ধ পর্বতারোহী। তাঁকে নিয়ে খুব আশাবাদী আমরা। সবকিছু অনুকূলে থাকলে তিনি দেশের পতাকার গৌরব ধরে রাখবেন।
নুরুননাহার নিম্মি পেশায় ব্যাংক কর্মকর্তা। পূবালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার পদে কর্মরত আছেন। অবসর পেলেই পর্বত অভিযানে অংশ নেন। নিম্মি ভারতে মৌলিক পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণ শেষ করে ৬ হাজার মিটারের একটি পর্বতে অভিযান করেছেন।
এই প্রথম ৭ হাজার মিটার উচ্চতার কোনো পর্বত শিখরে যাচ্ছেন তিনি।
নিম্মি বললেন, ‘এটা আমার চ্যালেঞ্জিং। প্রথমবারের মতো ৭ হাজার মিটারের পর্বতে যাচ্ছি। দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে প্রস্তুত করেছি। আশা করি দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনতে পারব।’
অক্টোবরজুড়ে বিশ্বব্যাপী স্তন ক্যানসার সচেতনতা মাস হিসেবে পালিত হয়। ‘রাইজ ফর হার’ স্লোগানে নিম্মিও স্তন ক্যানসার প্রতিরোধের বার্তা নিয়ে হিমলুং অভিযানে যাচ্ছেন। তাঁর কথায়, রাইজ ফর হার স্লোগানটি মূলত ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করা প্রত্যেক নারীকে উৎসর্গ করতে চাই। ভয়াবহ দুঃস্মৃতি বহন করা প্রত্যেক নারীকে শক্তির বার্তা দিতে আমি এই পর্বত শিখরে যাচ্ছি। হিমলুংয়ের সুউচ্চ শিখরে পৌঁছে স্তন ক্যানসার নিয়ে একটি বার্তা দিতে চাই।
এর আগে ২০২৪ সালের অক্টোবরে ৬ হাজার ১৬১ মিটারের আইল্যান্ড পিক চূড়ায় পা রাখেন নিম্মি।
হিমালয়ের ‘হিমলুং’ পর্বত শিখরে অভিযান শুরু করতে যাচ্ছেন দেশের নারী পর্বতারোহী নুরুননাহার নিম্মি। ৩০ দিনের এই অভিযানে শনিবার (আজ) নেপালের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন তিনি।
শুক্রবার (গতকাল) রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযাত্রী নুরুননাহার নিম্মির হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয়। এ সময় অভিযানের বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।
৭ হাজার ১২৬ মিটার উচ্চতার ‘হিমলুং হিমাল’ পর্বত শিখর তিব্বত সীমান্তবর্তী নেপালের মানাসলু অঞ্চলে অবস্থিত। ‘হিমলুং হিমাল’ পর্বত শিখর অভিযানটি পরিচালনা করছে বাংলা মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাব এবং স্পনসর করছে পূবালী ব্যাংক পিএলসি।
হিমলুং শিখরে এটি ক্লাবের দ্বিতীয় অভিযান উল্লেখ করে অভিযানটি নিয়ে মুহিত বলেন, ক্লাবের পক্ষ থেকে এর আগেও পর্বতটিতে অভিযান হয়েছে। সেবার সফল হয়েছি। নিম্মি খুবই এনার্জেটিক, প্রতিশ্রুতিবদ্ধ পর্বতারোহী। তাঁকে নিয়ে খুব আশাবাদী আমরা। সবকিছু অনুকূলে থাকলে তিনি দেশের পতাকার গৌরব ধরে রাখবেন।
নুরুননাহার নিম্মি পেশায় ব্যাংক কর্মকর্তা। পূবালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার পদে কর্মরত আছেন। অবসর পেলেই পর্বত অভিযানে অংশ নেন। নিম্মি ভারতে মৌলিক পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণ শেষ করে ৬ হাজার মিটারের একটি পর্বতে অভিযান করেছেন।
এই প্রথম ৭ হাজার মিটার উচ্চতার কোনো পর্বত শিখরে যাচ্ছেন তিনি।
নিম্মি বললেন, ‘এটা আমার চ্যালেঞ্জিং। প্রথমবারের মতো ৭ হাজার মিটারের পর্বতে যাচ্ছি। দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে প্রস্তুত করেছি। আশা করি দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনতে পারব।’
অক্টোবরজুড়ে বিশ্বব্যাপী স্তন ক্যানসার সচেতনতা মাস হিসেবে পালিত হয়। ‘রাইজ ফর হার’ স্লোগানে নিম্মিও স্তন ক্যানসার প্রতিরোধের বার্তা নিয়ে হিমলুং অভিযানে যাচ্ছেন। তাঁর কথায়, রাইজ ফর হার স্লোগানটি মূলত ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করা প্রত্যেক নারীকে উৎসর্গ করতে চাই। ভয়াবহ দুঃস্মৃতি বহন করা প্রত্যেক নারীকে শক্তির বার্তা দিতে আমি এই পর্বত শিখরে যাচ্ছি। হিমলুংয়ের সুউচ্চ শিখরে পৌঁছে স্তন ক্যানসার নিয়ে একটি বার্তা দিতে চাই।
এর আগে ২০২৪ সালের অক্টোবরে ৬ হাজার ১৬১ মিটারের আইল্যান্ড পিক চূড়ায় পা রাখেন নিম্মি।
নারীর ক্যানসারের মধ্যে স্তন ক্যানসারই বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি নির্ণয় হওয়া রোগ। ২০২২ সালে আনুমানিক ২ দশমিক ৩ মিলিয়ন নারী এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং আরও ৬ লাখ ৭০ হাজার নারী মারা গেছেন। যেখানে উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে এই রোগে ৫ বছর বেঁচে থাকার হার ৯০ শতাংশের বেশি, সেখানে ভারতে এই সংখ্যা ৬৬ শতাংশ...
১৯ ঘণ্টা আগেএকটি রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ৫০টিরও বেশি ধরনের ক্যানসার শনাক্ত করা সম্ভব বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই রক্ত পরীক্ষা ক্যানসার শনাক্ত করার গতিও বাড়িয়ে দেয়।
১১ ঘণ্টা আগেজাতিসংঘের সংজ্ঞা অনুযায়ী ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের তরুণ বলা হয়। বাংলাদেশে তরুণের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। বর্তমানে এই তরুণদের মধ্যেও বিভিন্ন রকমের নন-কমিউনিকেবল রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। তার মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম। আগে মনে করা হতো, ডায়াবেটিস বয়স্ক মানুষের রোগ।
১৭ ঘণ্টা আগেনা কখনো আক্রান্ত হয়েছি। অনেকে এটিকে সাধারণ সমস্যা ভেবে অবহেলা করে থাকেন। কিন্তু এই ব্যথা হওয়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ রোগ হলো টনসিলোফ্যারিঞ্জাইটিস। এটি ফ্যারিক্স ও টনসিলের একযোগে সংক্রমণ, যা হঠাৎ করেই শুরু হয়ে যায় এবং রোগীকে অনেকটা দুর্বল করে দেয়।
২০ ঘণ্টা আগেডা. মো. আব্দুল হাফিজ শাফী
গলাব্যথায় আমরা প্রায় সবাই কখনো
না কখনো আক্রান্ত হয়েছি। অনেকে এটিকে সাধারণ সমস্যা ভেবে অবহেলা করে থাকেন। কিন্তু এই ব্যথা হওয়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ রোগ হলো টনসিলোফ্যারিঞ্জাইটিস। এটি ফ্যারিক্স ও টনসিলের একযোগে সংক্রমণ, যা হঠাৎ করেই শুরু হয়ে যায় এবং রোগীকে অনেকটা দুর্বল করে দেয়।
সহজ ভাষায় বলতে গেলে গলার পেছনের অংশ ফ্যারিঙ্ক্স এবং দুই পাশে থাকা প্যালাটাইন টনসিলের সংক্রমণকে টনসিলোফ্যারিঞ্জাইটিস বোঝায়।
উপসর্গ
টনসিলোফ্যারিঞ্জাইটিস রোগীদের সাধারণত কিছু নির্দিষ্ট উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন গলাব্যথা, গিলতে কষ্ট, গলার পাশের লিম্ফ নোড ফোলা, মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হতে পারে, গলা শুকিয়ে যাওয়া বা জ্বালাপোড়া করা, জ্বর ও শরীর দুর্বল লাগা। শিশুদের ক্ষেত্রে অনেক সময় খাওয়ার অনীহা, এমনকি শিশুদের পেটের অস্বস্তি এবং বমির মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
ইনফেকশনের কারণ
এ রোগের সবচেয়ে পরিচিত জীবাণুর নাম হলো গ্রুপ এ বিটা-হিমোলাইটিক স্ট্রেপটোকক্কাস। ভাইরাসজনিত সংক্রমণ হওয়ার কারণেও টনসিলোফ্যারিঞ্জাইটিস হতে পারে। এ ছাড়া সংক্রমিত ব্যক্তির কাশি-হাঁচি, ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ কিংবা দূষিত জিনিসপত্র ব্যবহার করলেও এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে।
রোগনির্ণয়
চিকিৎসকেরা সাধারণত উপসর্গ দেখে রোগ নির্ণয় করেন। গলা লালচে হয়ে যায়, গলার পেছনের ত্বক উজ্জ্বল লাল রং ধারণ করে। এ ছাড়া গলার পেছনে শ্লেষ্মা কিংবা কফ জমে থাকতে পারে। প্রয়োজন হলে গলার সোয়াব কালচার টেস্ট করা হয়। এতে বোঝা যায়, ব্যাকটেরিয়া নাকি ভাইরাস দায়ী।
চিকিৎসা
চিকিৎসা নির্ভর করে উপসর্গ এবং এর কারণের ওপর। ভাইরাসজনিত সংক্রমণ: সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করার প্রয়োজন হয় না। তবে বিশ্রাম, গরম পানির গার্গল করলে এর উপশম হতে পারে। এ ছাড়া প্রচুর তরল খাবার গ্রহণ এর উপশমে সাহায্য করে। স্ট্রেপটোকক্কাল সংক্রমণ: এ ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক অপরিহার্য। সঠিক ডোজে এবং পূর্ণ মেয়াদে ওষুধ খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। না হলে জটিলতা তৈরি হতে পারে।
অবহেলার ঝুঁকি
আমাদের মনে রাখা জরুরি, প্রাথমিক যত্ন নিলেই টনসিলোফ্যারিঞ্জাইটিস সহজে ভালো হয়ে যায়। তবে অবহেলা করলে জটিলতা বেড়ে যেতে পারে।
এ ছাড়া সময়মতো চিকিৎসা না নিলে টনসিলোফ্যারিঞ্জাইটিস থেকে টনসিলে ফোড়া এবং কানে ব্যথা হতে পারে।
আবার স্ট্রেপটোকক্কাস জীবাণু হৃদ্পিণ্ড, কিডনি অথবা জয়েন্টের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা তৈরি করতে পারে। তাই অবহেলা না করে দ্রুততম সময়ে একজন নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন।
প্রতিরোধ
গলাব্যথা কিংবা কাশি বেড়ে যেতে পারে। তাই এ সময় ঠান্ডা পানীয়, সফট ড্রিংক, আইসক্রিম এড়িয়ে চলাই ভালো।
গলাব্যথাকে সাধারণ সমস্যা ভেবে কখনোই অবহেলা করা উচিত নয়। টনসিলোফ্যারিঞ্জাইটিস দ্রুত শনাক্ত এবং চিকিৎসা করলে রোগী শিগগির সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং বিভিন্ন জটিলতাও এতে এড়ানো যায়।
লেখক: আবাসিক সার্জন (ইএনটি), সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
গলাব্যথায় আমরা প্রায় সবাই কখনো
না কখনো আক্রান্ত হয়েছি। অনেকে এটিকে সাধারণ সমস্যা ভেবে অবহেলা করে থাকেন। কিন্তু এই ব্যথা হওয়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ রোগ হলো টনসিলোফ্যারিঞ্জাইটিস। এটি ফ্যারিক্স ও টনসিলের একযোগে সংক্রমণ, যা হঠাৎ করেই শুরু হয়ে যায় এবং রোগীকে অনেকটা দুর্বল করে দেয়।
সহজ ভাষায় বলতে গেলে গলার পেছনের অংশ ফ্যারিঙ্ক্স এবং দুই পাশে থাকা প্যালাটাইন টনসিলের সংক্রমণকে টনসিলোফ্যারিঞ্জাইটিস বোঝায়।
উপসর্গ
টনসিলোফ্যারিঞ্জাইটিস রোগীদের সাধারণত কিছু নির্দিষ্ট উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন গলাব্যথা, গিলতে কষ্ট, গলার পাশের লিম্ফ নোড ফোলা, মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হতে পারে, গলা শুকিয়ে যাওয়া বা জ্বালাপোড়া করা, জ্বর ও শরীর দুর্বল লাগা। শিশুদের ক্ষেত্রে অনেক সময় খাওয়ার অনীহা, এমনকি শিশুদের পেটের অস্বস্তি এবং বমির মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
ইনফেকশনের কারণ
এ রোগের সবচেয়ে পরিচিত জীবাণুর নাম হলো গ্রুপ এ বিটা-হিমোলাইটিক স্ট্রেপটোকক্কাস। ভাইরাসজনিত সংক্রমণ হওয়ার কারণেও টনসিলোফ্যারিঞ্জাইটিস হতে পারে। এ ছাড়া সংক্রমিত ব্যক্তির কাশি-হাঁচি, ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ কিংবা দূষিত জিনিসপত্র ব্যবহার করলেও এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে।
রোগনির্ণয়
চিকিৎসকেরা সাধারণত উপসর্গ দেখে রোগ নির্ণয় করেন। গলা লালচে হয়ে যায়, গলার পেছনের ত্বক উজ্জ্বল লাল রং ধারণ করে। এ ছাড়া গলার পেছনে শ্লেষ্মা কিংবা কফ জমে থাকতে পারে। প্রয়োজন হলে গলার সোয়াব কালচার টেস্ট করা হয়। এতে বোঝা যায়, ব্যাকটেরিয়া নাকি ভাইরাস দায়ী।
চিকিৎসা
চিকিৎসা নির্ভর করে উপসর্গ এবং এর কারণের ওপর। ভাইরাসজনিত সংক্রমণ: সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করার প্রয়োজন হয় না। তবে বিশ্রাম, গরম পানির গার্গল করলে এর উপশম হতে পারে। এ ছাড়া প্রচুর তরল খাবার গ্রহণ এর উপশমে সাহায্য করে। স্ট্রেপটোকক্কাল সংক্রমণ: এ ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক অপরিহার্য। সঠিক ডোজে এবং পূর্ণ মেয়াদে ওষুধ খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। না হলে জটিলতা তৈরি হতে পারে।
অবহেলার ঝুঁকি
আমাদের মনে রাখা জরুরি, প্রাথমিক যত্ন নিলেই টনসিলোফ্যারিঞ্জাইটিস সহজে ভালো হয়ে যায়। তবে অবহেলা করলে জটিলতা বেড়ে যেতে পারে।
এ ছাড়া সময়মতো চিকিৎসা না নিলে টনসিলোফ্যারিঞ্জাইটিস থেকে টনসিলে ফোড়া এবং কানে ব্যথা হতে পারে।
আবার স্ট্রেপটোকক্কাস জীবাণু হৃদ্পিণ্ড, কিডনি অথবা জয়েন্টের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা তৈরি করতে পারে। তাই অবহেলা না করে দ্রুততম সময়ে একজন নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন।
প্রতিরোধ
গলাব্যথা কিংবা কাশি বেড়ে যেতে পারে। তাই এ সময় ঠান্ডা পানীয়, সফট ড্রিংক, আইসক্রিম এড়িয়ে চলাই ভালো।
গলাব্যথাকে সাধারণ সমস্যা ভেবে কখনোই অবহেলা করা উচিত নয়। টনসিলোফ্যারিঞ্জাইটিস দ্রুত শনাক্ত এবং চিকিৎসা করলে রোগী শিগগির সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং বিভিন্ন জটিলতাও এতে এড়ানো যায়।
লেখক: আবাসিক সার্জন (ইএনটি), সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
নারীর ক্যানসারের মধ্যে স্তন ক্যানসারই বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি নির্ণয় হওয়া রোগ। ২০২২ সালে আনুমানিক ২ দশমিক ৩ মিলিয়ন নারী এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং আরও ৬ লাখ ৭০ হাজার নারী মারা গেছেন। যেখানে উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে এই রোগে ৫ বছর বেঁচে থাকার হার ৯০ শতাংশের বেশি, সেখানে ভারতে এই সংখ্যা ৬৬ শতাংশ...
১৯ ঘণ্টা আগেএকটি রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ৫০টিরও বেশি ধরনের ক্যানসার শনাক্ত করা সম্ভব বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই রক্ত পরীক্ষা ক্যানসার শনাক্ত করার গতিও বাড়িয়ে দেয়।
১১ ঘণ্টা আগেজাতিসংঘের সংজ্ঞা অনুযায়ী ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের তরুণ বলা হয়। বাংলাদেশে তরুণের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। বর্তমানে এই তরুণদের মধ্যেও বিভিন্ন রকমের নন-কমিউনিকেবল রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। তার মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম। আগে মনে করা হতো, ডায়াবেটিস বয়স্ক মানুষের রোগ।
১৭ ঘণ্টা আগেহিমালয়ের ‘হিমলুং’ পর্বত শিখরে অভিযান শুরু করতে যাচ্ছেন দেশের নারী পর্বতারোহী নুরুননাহার নিম্মি। ৩০ দিনের এই অভিযানে শনিবার (আজ) নেপালের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন তিনি। শুক্রবার (গতকাল) রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযাত্রী নুরুননাহার নিম্মির হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয়।
১৮ ঘণ্টা আগে