ফিচার ডেস্ক
সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক গবেষণায় উঠে এসেছে, প্রক্রিয়াজাত মাংস, চিনি মেশানো কোমল পানীয় এবং ট্রান্স ফ্যাট শরীরের জন্য একেবারেই নিরাপদ নয়। যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিকস অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশনের বিজ্ঞানীরা ৬০টির বেশি গবেষণার তথ্য বিশ্লেষণ করে জানিয়েছেন, এসব খাবার টাইপ-২ ডায়াবেটিস, কোলন ক্যানসার এবং হৃদ্রোগের আশঙ্কা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তোলে।
গবেষণাটি জানিয়েছে, প্রতিদিন মাত্র একটি হট ডগে থাকা প্রক্রিয়াজাত মাংস টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১১ শতাংশ এবং কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি ৭ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়। একইভাবে ১২ আউন্স বা তার চেয়ে ছোট এক বোতল কোমল পানীয় পানে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ৮ শতাংশ এবং হৃদ্রোগের ঝুঁকি ২ শতাংশ বাড়ে।
প্রশ্ন হলো, এ খাবারগুলো কেন ক্ষতিকর।
প্রক্রিয়াজাত মাংস সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয় নাইট্রাইট নামের একধরনের রাসায়নিক। এটি পাকস্থলীতে ক্যানসার সৃষ্টিকারী পদার্থে রূপ নেয়। কোমল পানীয় অতিরিক্ত চিনি সরাসরি শরীরে ঢুকিয়ে রক্তে শর্করার ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়, ফলে ওজন বেড়ে যায় এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। আর ট্রান্স ফ্যাট খেলে শরীরে ভালো কোলেস্টেরল কমে এবং খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে যায়। ফলে রক্তনালিতে চর্বি জমে হৃদ্রোগের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার কি একেবারে বাদ দিতে হবে
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব খাবার একেবারে বন্ধ করতে হবে, এমন নয়। কিন্তু যতটা সম্ভব কম খাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। সপ্তাহে এক দিন বা মাঝেমধ্যে খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু প্রতিদিন খেলে তা শরীরের ওপর দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তবে ভালো স্বাস্থ্যের জন্য শুধু কিছু বাদ দিলেই হবে না, ভালো খাবারও যুক্ত করতে হবে। যেমন ফল, শাকসবজি, বাদাম, ডাল, দই বা দইয়ের মতো ফারমেন্টেড খাবার নিয়মিত খাওয়া উচিত। এগুলো দীর্ঘস্থায়ী সুস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. নিতা ফোরোহি বলেন, ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রক্রিয়াজাত মাংস, চিনিযুক্ত কোমল পানীয় ও কারখানায় উৎপাদিত ট্রান্স ফ্যাট এড়িয়ে চলুন কিংবা যথাসম্ভব কমান। প্রক্রিয়াজাত মাংসের ক্ষেত্রে কোনো নিরাপদ মাত্রা নেই।’
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, খাবার নিয়ে আতঙ্কিত
না হয়ে সচেতন হোন। খাবার শুধু পুষ্টির উৎস নয়, এটি আমাদের জীবনের আনন্দ, সংস্কৃতি ও সম্পর্কের অংশ। তাই পরিমিতিতে থেকে সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার চেষ্টা করুন, যেখানে প্রক্রিয়াজাত মাংস ও চিনিযুক্ত পানীয় কম থাকবে। আর প্রাকৃতিক ও পুষ্টিকর খাবার বেশি থাকবে।
এভাবে ছোট ছোট সচেতন সিদ্ধান্তই আপনাকে সুস্থ জীবনযাপনের দিকে এগিয়ে নেবে।
সূত্র: সিএনএন
সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক গবেষণায় উঠে এসেছে, প্রক্রিয়াজাত মাংস, চিনি মেশানো কোমল পানীয় এবং ট্রান্স ফ্যাট শরীরের জন্য একেবারেই নিরাপদ নয়। যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিকস অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশনের বিজ্ঞানীরা ৬০টির বেশি গবেষণার তথ্য বিশ্লেষণ করে জানিয়েছেন, এসব খাবার টাইপ-২ ডায়াবেটিস, কোলন ক্যানসার এবং হৃদ্রোগের আশঙ্কা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তোলে।
গবেষণাটি জানিয়েছে, প্রতিদিন মাত্র একটি হট ডগে থাকা প্রক্রিয়াজাত মাংস টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১১ শতাংশ এবং কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি ৭ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়। একইভাবে ১২ আউন্স বা তার চেয়ে ছোট এক বোতল কোমল পানীয় পানে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ৮ শতাংশ এবং হৃদ্রোগের ঝুঁকি ২ শতাংশ বাড়ে।
প্রশ্ন হলো, এ খাবারগুলো কেন ক্ষতিকর।
প্রক্রিয়াজাত মাংস সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয় নাইট্রাইট নামের একধরনের রাসায়নিক। এটি পাকস্থলীতে ক্যানসার সৃষ্টিকারী পদার্থে রূপ নেয়। কোমল পানীয় অতিরিক্ত চিনি সরাসরি শরীরে ঢুকিয়ে রক্তে শর্করার ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়, ফলে ওজন বেড়ে যায় এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। আর ট্রান্স ফ্যাট খেলে শরীরে ভালো কোলেস্টেরল কমে এবং খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে যায়। ফলে রক্তনালিতে চর্বি জমে হৃদ্রোগের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার কি একেবারে বাদ দিতে হবে
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব খাবার একেবারে বন্ধ করতে হবে, এমন নয়। কিন্তু যতটা সম্ভব কম খাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। সপ্তাহে এক দিন বা মাঝেমধ্যে খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু প্রতিদিন খেলে তা শরীরের ওপর দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তবে ভালো স্বাস্থ্যের জন্য শুধু কিছু বাদ দিলেই হবে না, ভালো খাবারও যুক্ত করতে হবে। যেমন ফল, শাকসবজি, বাদাম, ডাল, দই বা দইয়ের মতো ফারমেন্টেড খাবার নিয়মিত খাওয়া উচিত। এগুলো দীর্ঘস্থায়ী সুস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. নিতা ফোরোহি বলেন, ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রক্রিয়াজাত মাংস, চিনিযুক্ত কোমল পানীয় ও কারখানায় উৎপাদিত ট্রান্স ফ্যাট এড়িয়ে চলুন কিংবা যথাসম্ভব কমান। প্রক্রিয়াজাত মাংসের ক্ষেত্রে কোনো নিরাপদ মাত্রা নেই।’
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, খাবার নিয়ে আতঙ্কিত
না হয়ে সচেতন হোন। খাবার শুধু পুষ্টির উৎস নয়, এটি আমাদের জীবনের আনন্দ, সংস্কৃতি ও সম্পর্কের অংশ। তাই পরিমিতিতে থেকে সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার চেষ্টা করুন, যেখানে প্রক্রিয়াজাত মাংস ও চিনিযুক্ত পানীয় কম থাকবে। আর প্রাকৃতিক ও পুষ্টিকর খাবার বেশি থাকবে।
এভাবে ছোট ছোট সচেতন সিদ্ধান্তই আপনাকে সুস্থ জীবনযাপনের দিকে এগিয়ে নেবে।
সূত্র: সিএনএন
শরীরে ইউরিয়া অথবা ব্লাড ইউরিয়া নাইট্রোজেন কিংবা বিইউএন বেড়ে যাওয়া সাধারণত কিডনির কার্যক্ষমতা, ডিহাইড্রেশন, উচ্চ প্রোটিন গ্রহণ বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার সঙ্গে যুক্ত। আমাদের শরীরে ইউরিয়া সরাসরি খাবার থেকে আসে না। ইউরিয়া হলো প্রোটিন বিপাকের একটি উপজাত। যখন আমরা প্রোটিন খাই, তখন শরীর সেগুলো...
৫ ঘণ্টা আগেশিশুদের অসুখ-বিসুখ দিনরাত যেন লেগেই থাকে। হঠাৎ নবজাতকের কান্না, পেটব্যথা, কানব্যথা, পিঁপড়া অথবা পোকামাকড়ের কামড়, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, হাত-পা মচকানো, অ্যালার্জির কারণে সাদা শরীরে লাল দানা—এ ধরনের সমস্যার কারণে মা-বাবা উদ্বিগ্ন হয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। শিশুস্বাস্থ্য সম্পর্কে সাধারণ ধারণা থাকলে...
৬ ঘণ্টা আগেকন্টাক্ট লেন্স হলো একটি ছোট, পাতলা, স্বচ্ছ বা অর্ধ স্বচ্ছ প্লাস্টিকের তৈরি ডিভাইস, যা সরাসরি চোখের কর্নিয়ার ওপর বসানো হয়। এর মূল উদ্দেশ্য হলো চোখের দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখা, যেভাবে চশমা কাজ করে।
৬ ঘণ্টা আগেসকালে শরীরচর্চা ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি কয়েক ধরনের পানীয় পান রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। অল্প সময়ে সহজে সেগুলো তৈরি করা যায় এবং মৌসুমি ফ্লু ও অন্যান্য রোগ থেকে রক্ষা পেতে সহায়ক...
৬ ঘণ্টা আগে