অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, ইংল্যান্ডে ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের মধ্যে ফুসফুস ক্যানসারের হার সবচেয়ে বেশি। অক্সফোর্ডের নাফিল্ড ডিপার্টমেন্ট অব প্রাইমারি কেয়ার হেলথ সায়েন্সেসের পরিচালিত এই গবেষণায় জাতিসত্তা ও সামাজিক পরিস্থিতি কীভাবে ক্যানসারের ঝুঁকি ও জটিলতাকে প্রভাবিত করে, তা উঠে এসেছে।
১ কোটি ৭৫ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত রেকর্ড এবং ৮৪ হাজার ফুসফুস ক্যানসারের রোগীর তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে এই গবেষণা পরিচালিত হয়েছে। গবেষণার ফলাফল সম্প্রতি ‘দ্য ল্যানসেট রিজিওনাল হেলথ–ইউরোপ’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। ২০০৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে এসব তথ্য–উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হয়।
এমন সময়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো, যখন ইংল্যান্ডে একটি লক্ষ্যভিত্তিক ফুসফুস স্বাস্থ্য পরীক্ষা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে সম্ভাব্য ৪০ শতাংশ ব্যক্তিকে স্ক্রিনিং করা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সবাইকে এর আওতায় আনা।
গবেষণায় দেখা গেছে, ফুসফুস ক্যানসারের হার দরিদ্র এলাকার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। দরিদ্রতম এলাকার পুরুষদের মধ্যে প্রতি ১ লাখ জনে ২১৫ জনে এই ক্যানসার শনাক্ত হয়েছে, যা সবচেয়ে সমৃদ্ধ এলাকার (মাত্র ৯৪ টি) তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।
নারীদের ক্ষেত্রে এ ব্যবধান প্রায় একই রকম। দরিদ্র এলাকায় প্রতি ১ লাখ নারীর মধ্যে ১৪৭ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে, যেখানে সমৃদ্ধ এলাকায় এ হার মাত্র ৬২।
জাতিগত পার্থক্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বাংলাদেশি পুরুষদের মধ্যে ফুসফুস ক্যানসারের হার সবচেয়ে বেশি। এরপর রয়েছে শ্বেতাঙ্গ, চীনা ও ক্যারিবীয় পুরুষেরা। অন্যদিকে, নারীদের মধ্যে ভারতীয়, ক্যারিবীয়, আফ্রিকান, চীনা এবং অন্যান্য এশীয় পটভূমির ব্যক্তিদের অ্যাডেনোকার্সিনোমা (ফুসফুস ক্যানসারের একটি সাধারণ ধরন) হওয়ার ঝুঁকি দ্বিগুণ।
গবেষণার প্রধান লেখক ড. ড্যানিয়েল জু-হসুয়ান চেন বলেন, ‘এটি শুধু ধূমপানের বিষয়ে নয়; জাতিগত পটভূমি ও সামাজিক পরিস্থিতি ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি এবং রোগের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।’
অন্যদিকে, দরিদ্র এলাকার মানুষের মধ্যে মারাত্মক ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৩৫ শতাংশ বেশি। পুরুষ ও ধূমপায়ীদের দেরিতে ক্যানসার ধরা পড়ার প্রবণতা নারীদের তুলনায় বেশি।
২০১৯ সালে চালু হওয়া পাইলট প্রকল্পের সাফল্যের পর এই লক্ষ্যভিত্তিক স্ক্রিনিং কর্মসূচি সারা দেশে চালু করা হয়। ৫৫ থেকে ৭৪ বছর বয়সী এবং ধূমপানের ইতিহাস রয়েছে এমন ব্যক্তিদের স্ক্রিনিংয়ের জন্য বাছাই করা হয়।
পরীক্ষাগুলো সাধারণত দরিদ্র এলাকায় মোবাইল ইউনিটে পরিচালিত হয়। যেমন—সুপার মার্কেটের পার্কিং এলাকায়, যেখানে ধূমপায়ীদের সংখ্যা বেশি। পাইলট প্রকল্পে ৯ লাখ মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, যার মধ্যে ২ হাজার জনের বেশি ক্যানসারের আক্রান্ত শনাক্ত হন। এর ৭৬ শতাংশ ক্যানসার প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে, যেখানে আগের হার ছিল মাত্র ২৯ শতাংশ।
গবেষকেরা আশা করছেন, তাঁদের ফলাফল সরকারের ক্যানসার স্ক্রিনিং কর্মসূচির সম্প্রসারণে সহায়ক হবে এবং সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সম্প্রদায়গুলোকে সময়মতো সহায়তা দেওয়া সম্ভব হবে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, ইংল্যান্ডে ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের মধ্যে ফুসফুস ক্যানসারের হার সবচেয়ে বেশি। অক্সফোর্ডের নাফিল্ড ডিপার্টমেন্ট অব প্রাইমারি কেয়ার হেলথ সায়েন্সেসের পরিচালিত এই গবেষণায় জাতিসত্তা ও সামাজিক পরিস্থিতি কীভাবে ক্যানসারের ঝুঁকি ও জটিলতাকে প্রভাবিত করে, তা উঠে এসেছে।
১ কোটি ৭৫ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত রেকর্ড এবং ৮৪ হাজার ফুসফুস ক্যানসারের রোগীর তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে এই গবেষণা পরিচালিত হয়েছে। গবেষণার ফলাফল সম্প্রতি ‘দ্য ল্যানসেট রিজিওনাল হেলথ–ইউরোপ’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। ২০০৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে এসব তথ্য–উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হয়।
এমন সময়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো, যখন ইংল্যান্ডে একটি লক্ষ্যভিত্তিক ফুসফুস স্বাস্থ্য পরীক্ষা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে সম্ভাব্য ৪০ শতাংশ ব্যক্তিকে স্ক্রিনিং করা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সবাইকে এর আওতায় আনা।
গবেষণায় দেখা গেছে, ফুসফুস ক্যানসারের হার দরিদ্র এলাকার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। দরিদ্রতম এলাকার পুরুষদের মধ্যে প্রতি ১ লাখ জনে ২১৫ জনে এই ক্যানসার শনাক্ত হয়েছে, যা সবচেয়ে সমৃদ্ধ এলাকার (মাত্র ৯৪ টি) তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।
নারীদের ক্ষেত্রে এ ব্যবধান প্রায় একই রকম। দরিদ্র এলাকায় প্রতি ১ লাখ নারীর মধ্যে ১৪৭ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে, যেখানে সমৃদ্ধ এলাকায় এ হার মাত্র ৬২।
জাতিগত পার্থক্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বাংলাদেশি পুরুষদের মধ্যে ফুসফুস ক্যানসারের হার সবচেয়ে বেশি। এরপর রয়েছে শ্বেতাঙ্গ, চীনা ও ক্যারিবীয় পুরুষেরা। অন্যদিকে, নারীদের মধ্যে ভারতীয়, ক্যারিবীয়, আফ্রিকান, চীনা এবং অন্যান্য এশীয় পটভূমির ব্যক্তিদের অ্যাডেনোকার্সিনোমা (ফুসফুস ক্যানসারের একটি সাধারণ ধরন) হওয়ার ঝুঁকি দ্বিগুণ।
গবেষণার প্রধান লেখক ড. ড্যানিয়েল জু-হসুয়ান চেন বলেন, ‘এটি শুধু ধূমপানের বিষয়ে নয়; জাতিগত পটভূমি ও সামাজিক পরিস্থিতি ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি এবং রোগের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।’
অন্যদিকে, দরিদ্র এলাকার মানুষের মধ্যে মারাত্মক ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৩৫ শতাংশ বেশি। পুরুষ ও ধূমপায়ীদের দেরিতে ক্যানসার ধরা পড়ার প্রবণতা নারীদের তুলনায় বেশি।
২০১৯ সালে চালু হওয়া পাইলট প্রকল্পের সাফল্যের পর এই লক্ষ্যভিত্তিক স্ক্রিনিং কর্মসূচি সারা দেশে চালু করা হয়। ৫৫ থেকে ৭৪ বছর বয়সী এবং ধূমপানের ইতিহাস রয়েছে এমন ব্যক্তিদের স্ক্রিনিংয়ের জন্য বাছাই করা হয়।
পরীক্ষাগুলো সাধারণত দরিদ্র এলাকায় মোবাইল ইউনিটে পরিচালিত হয়। যেমন—সুপার মার্কেটের পার্কিং এলাকায়, যেখানে ধূমপায়ীদের সংখ্যা বেশি। পাইলট প্রকল্পে ৯ লাখ মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, যার মধ্যে ২ হাজার জনের বেশি ক্যানসারের আক্রান্ত শনাক্ত হন। এর ৭৬ শতাংশ ক্যানসার প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে, যেখানে আগের হার ছিল মাত্র ২৯ শতাংশ।
গবেষকেরা আশা করছেন, তাঁদের ফলাফল সরকারের ক্যানসার স্ক্রিনিং কর্মসূচির সম্প্রসারণে সহায়ক হবে এবং সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সম্প্রদায়গুলোকে সময়মতো সহায়তা দেওয়া সম্ভব হবে।
পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের সিটি স্ক্যান মেশিনের ফিল্মসংকট দেখা দিয়েছে। এতে সিটি স্ক্যান করার প্রয়োজন এমন রোগী ও তাঁদের স্বজনদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে যাঁদের জরুরি ভিত্তিতে সিটি স্ক্যান করা প্রয়োজন, তাঁরা পড়ছেন সবচেয়ে বেশি...
১০ ঘণ্টা আগেআশার কথা হলো, পরিবর্তন আসছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক যুগান্তকারী পরীক্ষায় দেখা গেছে, তীব্রভাবে চিনাবাদামের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত দুই-তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ককে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে চিনাবাদাম খাইয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় আনা সম্ভব হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগেঅতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার বা ‘আল্ট্রা প্রসেসড ফুড’ (ইউপিএফ) বেশি খাওয়ার কারণে শুধু স্থূলতা, হতাশা, ডায়াবেটিস কিংবা হৃদরোগই নয়, বাড়ছে অকালমৃত্যুর ঝুঁকিও। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এই ধরনের খাবার খাওয়ার কারণে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু ঘটছে।
২১ ঘণ্টা আগেদেশের প্রায় পাঁচ লাখ শিশু সময়মতো টিকার সব ডোজ পাচ্ছে না। তাদের মধ্যে ৭০ হাজার শিশু কোনো টিকাই পায় না। টিকা না পাওয়ার হার শহরাঞ্চলে বেশি। টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলেও এসব তথ্য উঠে এসেছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)...
১ দিন আগে