Ajker Patrika

বাড়লে গরম, বাড়ে চিনি খাওয়াও—বিস্ময়কর তথ্য দিলেন বিজ্ঞানীরা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩: ১৪
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

তীব্র গরমে আইসক্রিম, ঠান্ডা পানীয় বা হিমায়িত মিষ্টান্ন খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা যত বাড়ছে, আমেরিকানেরা তত বেশি এসব মিষ্টি খাবারের দিকে ঝুঁকছেন—এমনটাই জানাচ্ছে নতুন গবেষণা। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করছেন, এর স্বাস্থ্যঝুঁকি মারাত্মক হতে পারে।

এ বিষয়ে কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞানী প্যান হে মত দিয়েছেন—জলবায়ু পরিবর্তন খাদ্য উৎপাদন, খাদ্যের প্রাপ্যতা ও মানে বড় প্রভাব ফেলবে। এ বিষয়ে প্রচুর প্রমাণ রয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে গরম কীভাবে মানুষের খাদ্যাভ্যাস বদলায়, তা নিয়ে গবেষণা কম হয়েছে।

আজ সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০০৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের পরিবারগুলোর খাদ্য ক্রয়ের ও স্থানীয় আবহাওয়ার তথ্য মিলিয়ে দেখেছেন বিজ্ঞানীরা। এতে দেখা গেছে, তাপমাত্রা বেড়ে গেলে চিনি গ্রহণও বেড়ে যায়। বিশেষ করে, সফট ড্রিংক ও জুসের মতো চিনিযুক্ত পানীয়ই বেশি খাওয়া হয়। গবেষণায় দেখা যায়, প্রতি ১.৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে প্রতিদিন প্রতিজনের চিনি গ্রহণ গড়ে ০.৭ গ্রাম বেড়ে যায়। সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি দেখা গেছে ৬৮ থেকে ৮৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রার মধ্যে।

গরমে শরীর দ্রুত পানিশূন্য হয়, ফলে মানুষ ঠান্ডা ও মিষ্টি খাবার-পানীয়ের দিকে বেশি ঝোঁকে। নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোতে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি। কারণ, তুলনামূলক সস্তা ও সহজলভ্য হওয়ায় তারা চিনিযুক্ত খাবার বেশি কেনে। এসব পরিবারের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে থাকার সুযোগ কম থাকাও একটি কারণ।

গবেষণায় আশঙ্কা করা হচ্ছে, যদি দূষণ কমানো না যায়, তবে ২০৯৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে গড়ে প্রতিদিন মাথাপিছু চিনির গ্রহণ প্রায় ৩ গ্রাম পর্যন্ত বাড়তে পারে। এতে স্থূলতা, ডায়াবেটিস ও হৃদ্‌রোগের মতো ঝুঁকি বাড়বে।

আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন পরামর্শ দিয়েছে, প্রতিদিন মোট ক্যালরির মাত্র ৬ শতাংশের বেশি যেন চিনি থেকে না আসে। এ ক্ষেত্রে পুরুষদের জন্য চিনির সর্বোচ্চ মাত্রা ৩৬ গ্রাম এবং নারীদের জন্য ২৬ গ্রাম।

গবেষক প্যান হে বলেন, চিনি গ্রহণের স্বাস্থ্যঝুঁকি আগেই আলোচিত। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে যুক্ত হলে বিষয়টি আরও জটিল হবে। তাই নীতিনির্ধারকদের এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, উষ্ণ আবহাওয়ায় খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন বৈষম্য আরও বাড়াতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে খাদ্যাভ্যাস ও স্বাস্থ্যগত প্রভাব কেমন হতে পারে, তা বুঝতে বিশ্বজুড়ে আরও গবেষণা জরুরি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত