আজকের পত্রিকা ডেস্ক
প্লাস্টিকের বোতলে অনেক বেশি মাইক্রোপ্লাস্টিক থাকে—এমন আশঙ্কায় যাঁরা কাচের বোতল ব্যবহার শুরু করেছিলেন, তাঁদেরও বোধ হয় সতর্ক হওয়ার সময় এসে গেছে। কারণ, কাচের বোতলে বিক্রি হওয়া পানি, কোমল পানীয়, বিয়ার ও ওয়াইনে প্লাস্টিকের বোতলের চেয়ে বেশি মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে। এমনই চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ করেছে ফ্রান্সের খাদ্যনিরাপত্তা-বিষয়ক সংস্থা (এএনএসইএস)।
গত মাসে ‘জার্নাল অব ফুড কম্পোজিশন অ্যান্ড অ্যানালাইসিস’-এ এই গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, বিশ্বের নানা প্রান্তে এরই মধ্যে বাতাস, খাবার এমনকি মানুষের শরীরেও এই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র প্লাস্টিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যদিও এত দিনে নিশ্চিতভাবে বলা যায়নি, এগুলো মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর কি না। তবে এ নিয়ে গবেষণা ক্রমেই বাড়ছে।
এএনএসইএসের গবেষণা পরিচালক গিয়োম ডুফলোস এএফপিকে বলেন, ‘আমরা ফ্রান্সে বিক্রি হওয়া বিভিন্ন ধরনের পানীয়তে মাইক্রোপ্লাস্টিকের পরিমাণ খতিয়ে দেখেছি এবং বোতলের ধরন এর ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলে, সেটাও আমরা পরীক্ষা করেছি।’
গবেষণায় দেখা গেছে, কাচের বোতলে বিক্রি হওয়া কোমল পানীয়, লেমোনেড, আইস টি এবং বিয়ারে প্রতি লিটারে গড়ে প্রায় ১০০ মাইক্রোপ্লাস্টিক কণার উপস্থিতি রয়েছে। এই সংখ্যা প্লাস্টিকের বোতল কিংবা ধাতব ক্যানের তুলনায় ৫ থেকে ৫০ গুণ বেশি।
গবেষণার প্রধান ও পিএইচডি শিক্ষার্থী আইসেলিন চাইব এএফপিকে বলেন, ‘আমরা আসলে উল্টোটা আশা করেছিলাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘পরে লক্ষ করি, কাচের বোতল থেকে যে কণা সংগ্রহ করা হয়েছে, সেগুলোর আকৃতি, রং এবং রাসায়নিক উপাদান বোতলের মুখে লাগানো ক্যাপের বাইরের রঙের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়। মানে, সেখান থেকে এই প্লাস্টিকের কণা ছড়িয়ে পড়ছে।’
সংস্থাটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ক্যাপের বাইরের রঙে ছোট ছোট দাগ দেখা গেছে, যা খালি চোখে দেখা যায় না। সম্ভবত ক্যাপগুলো একসঙ্গে রাখার সময় ঘষা লাগার কারণে এসব দাগ হয়েছে। এর ফলে ক্যাপের ওপর ছোট ছোট প্লাস্টিকের কণা তৈরি হয়, যা পানীয়তে চলে যাচ্ছে।
পানির ক্ষেত্রে কাচের বোতলে প্রতি লিটারে ৪ দশমিক ৫টি এবং প্লাস্টিকের বোতলে ১ দশমিক ৬টি কণা পাওয়া গেছে। ওয়াইনেও খুব কম পরিমাণে মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে, এমনকি কাচের বোতলে ক্যাপ লাগানো হলেও। এ নিয়ে ডুফলোস বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে কেন পার্থক্য হলো, সেটি এখনো ব্যাখ্যা করা সম্ভব হয়নি।’
অন্যদিকে, কোমল পানীয়তে প্রতি লিটারে ৩০টি, লেমোনেডে ৪০টি এবং বিয়ারে প্রায় ৬০টি মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা পাওয়া গেছে। তবে কত পরিমাণ মাইক্রোপ্লাস্টিক মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর, সে বিষয়ে এখনো কোনো আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বা সুনির্দিষ্ট সীমা নেই। তাই এএনএসইএস বলছে, এই তথ্য থেকে সুস্পষ্টভাবে স্বাস্থ্যঝুঁকি নির্ণয় করা সম্ভব নয়।
তবে সংস্থাটি মনে করে, বোতলের ক্যাপ থেকে মাইক্রোপ্লাস্টিক কমানোর উপায় সহজে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। এরই মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে একটি পরিষ্কারের পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। এতে ক্যাপগুলো বাতাস দিয়ে ফুঁ দিয়ে তারপর পানি ও অ্যালকোহল দিয়ে ধুয়ে ফেলা হয়। এতে কণার উপস্থিতি ৬০ শতাংশ কমে গেছে।
প্লাস্টিকের বোতলে অনেক বেশি মাইক্রোপ্লাস্টিক থাকে—এমন আশঙ্কায় যাঁরা কাচের বোতল ব্যবহার শুরু করেছিলেন, তাঁদেরও বোধ হয় সতর্ক হওয়ার সময় এসে গেছে। কারণ, কাচের বোতলে বিক্রি হওয়া পানি, কোমল পানীয়, বিয়ার ও ওয়াইনে প্লাস্টিকের বোতলের চেয়ে বেশি মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে। এমনই চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ করেছে ফ্রান্সের খাদ্যনিরাপত্তা-বিষয়ক সংস্থা (এএনএসইএস)।
গত মাসে ‘জার্নাল অব ফুড কম্পোজিশন অ্যান্ড অ্যানালাইসিস’-এ এই গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, বিশ্বের নানা প্রান্তে এরই মধ্যে বাতাস, খাবার এমনকি মানুষের শরীরেও এই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র প্লাস্টিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যদিও এত দিনে নিশ্চিতভাবে বলা যায়নি, এগুলো মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর কি না। তবে এ নিয়ে গবেষণা ক্রমেই বাড়ছে।
এএনএসইএসের গবেষণা পরিচালক গিয়োম ডুফলোস এএফপিকে বলেন, ‘আমরা ফ্রান্সে বিক্রি হওয়া বিভিন্ন ধরনের পানীয়তে মাইক্রোপ্লাস্টিকের পরিমাণ খতিয়ে দেখেছি এবং বোতলের ধরন এর ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলে, সেটাও আমরা পরীক্ষা করেছি।’
গবেষণায় দেখা গেছে, কাচের বোতলে বিক্রি হওয়া কোমল পানীয়, লেমোনেড, আইস টি এবং বিয়ারে প্রতি লিটারে গড়ে প্রায় ১০০ মাইক্রোপ্লাস্টিক কণার উপস্থিতি রয়েছে। এই সংখ্যা প্লাস্টিকের বোতল কিংবা ধাতব ক্যানের তুলনায় ৫ থেকে ৫০ গুণ বেশি।
গবেষণার প্রধান ও পিএইচডি শিক্ষার্থী আইসেলিন চাইব এএফপিকে বলেন, ‘আমরা আসলে উল্টোটা আশা করেছিলাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘পরে লক্ষ করি, কাচের বোতল থেকে যে কণা সংগ্রহ করা হয়েছে, সেগুলোর আকৃতি, রং এবং রাসায়নিক উপাদান বোতলের মুখে লাগানো ক্যাপের বাইরের রঙের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়। মানে, সেখান থেকে এই প্লাস্টিকের কণা ছড়িয়ে পড়ছে।’
সংস্থাটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ক্যাপের বাইরের রঙে ছোট ছোট দাগ দেখা গেছে, যা খালি চোখে দেখা যায় না। সম্ভবত ক্যাপগুলো একসঙ্গে রাখার সময় ঘষা লাগার কারণে এসব দাগ হয়েছে। এর ফলে ক্যাপের ওপর ছোট ছোট প্লাস্টিকের কণা তৈরি হয়, যা পানীয়তে চলে যাচ্ছে।
পানির ক্ষেত্রে কাচের বোতলে প্রতি লিটারে ৪ দশমিক ৫টি এবং প্লাস্টিকের বোতলে ১ দশমিক ৬টি কণা পাওয়া গেছে। ওয়াইনেও খুব কম পরিমাণে মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে, এমনকি কাচের বোতলে ক্যাপ লাগানো হলেও। এ নিয়ে ডুফলোস বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে কেন পার্থক্য হলো, সেটি এখনো ব্যাখ্যা করা সম্ভব হয়নি।’
অন্যদিকে, কোমল পানীয়তে প্রতি লিটারে ৩০টি, লেমোনেডে ৪০টি এবং বিয়ারে প্রায় ৬০টি মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা পাওয়া গেছে। তবে কত পরিমাণ মাইক্রোপ্লাস্টিক মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর, সে বিষয়ে এখনো কোনো আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বা সুনির্দিষ্ট সীমা নেই। তাই এএনএসইএস বলছে, এই তথ্য থেকে সুস্পষ্টভাবে স্বাস্থ্যঝুঁকি নির্ণয় করা সম্ভব নয়।
তবে সংস্থাটি মনে করে, বোতলের ক্যাপ থেকে মাইক্রোপ্লাস্টিক কমানোর উপায় সহজে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। এরই মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে একটি পরিষ্কারের পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। এতে ক্যাপগুলো বাতাস দিয়ে ফুঁ দিয়ে তারপর পানি ও অ্যালকোহল দিয়ে ধুয়ে ফেলা হয়। এতে কণার উপস্থিতি ৬০ শতাংশ কমে গেছে।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৫২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তবে চিকিৎসাধীন কোনো রোগীর মৃত্যু হয়। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১৯ মিনিট আগেসচেতনতার অভাবে নবজাতককে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর প্রবণতা কমার কারণে নবজাতক মৃত্যুর হার বাড়ছে বলে জানিয়েছেন একদল বিশেষজ্ঞ। তাঁরা বলছেন, এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ও চিকিৎসকেরা মিলে কৌটা দুধের বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে তারা এসব দুধ নবজাতককে খাওয়ানোর জন্য প্ররোচিত করে। ফলে নবজাতককে বুকের দু
১ দিন আগেগরমে স্বস্তির অপর নাম এসি। বাইরে যখন তাপমাত্রা অসহনীয়, তখন ঘরের মধ্যে শীতল বাতাস যেন এক স্বর্গীয় অনুভূতি। শুধু আরামই নয়, এসি ব্যবহারে ঘরের আর্দ্রতাও নিয়ন্ত্রিত থাকে। তবে অনেকেই আছেন যারা গরমে গরমে কষ্ট করেও এসি ব্যবহার করেন না। তাঁদের বিশ্বাস, এসি থেকে অসুস্থ হওয়া যায়। এটি অনেকের কাছে অবাস্তব মনে...
১ দিন আগেডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২ দিন আগে