ডা. মো. আরমান হোসেন রনি
রেটিনায় পানি জমাকে সাধারণভাবে রেটিনাল ইডিমা বা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ম্যাকুলার ইডিমা বলা হয়। এটি চোখের রেটিনার ভেতরে তরল জমে ফুলে ওঠার কারণে হয়।
কারণ
রেটিনায় পানি জমার প্রধান কারণ হলো, রেটিনার রক্তনালির অস্বাভাবিকতা।
ডায়াবেটিস: দীর্ঘদিনের ডায়াবেটিস রেটিনার রক্তনালিকে দুর্বল করে দেয়। ফলে তরল লিক হয়ে রেটিনায় জমে যায়।
রেটিনাল ভেইন অবস্ট্রাকশন: রেটিনার শিরা বন্ধ হয়ে গেলে রক্ত জমাট বাঁধে। এতে পানি রেটিনায় জমতে শুরু করে।
ইউভাইটিস: চোখের ভেতরে প্রদাহ হলে রেটিনার চারপাশের টিস্যু ফুলে যায় ও পানি জমে।
চোখের অপারেশন-পরবর্তী জটিলতা: যেমন ক্যাটার্যাক্ট সার্জারির পর অনেক সময় ম্যাকুলায় পানি জমতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপ ও অন্যান্য রক্তনালির রোগ: রেটিনায় স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ ব্যাহত হয়ে এডিমা তৈরি হয়।
উপসর্গ
» দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যাওয়া।
» সোজা লাইন বাঁকা বা ঢেউখেলানো দেখা।
» রং ফ্যাকাশে বা কম উজ্জ্বল দেখা।
» কেন্দ্রীয় দৃষ্টিশক্তি ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাওয়া।
» অনেক ক্ষেত্রে পড়া, লেখা বা সূক্ষ্ম কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
নির্ণয়
চোখের চিকিৎসক বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে রেটিনায় পানি জমা নির্ণয় করেন। সেগুলোর মধ্যে আছে—
ফান্ডাস পরীক্ষা: সরাসরি রেটিনা দেখে ফুলে ওঠা অংশ চিহ্নিত করা যায়।
ওসিটি: এটি নির্ভুল পরীক্ষা, যা রেটিনার স্তর ও পানি জমা স্পষ্টভাবে দেখায়।
ফ্লুরোসিন এঞ্জিওগ্রাফি: রক্তনালির ভেতরে বিশেষ ডাই দিয়ে কোথা থেকে তরল লিক হচ্ছে, তা চিহ্নিত করা যায়।
চিকিৎসা
রেটিনায় পানি জমার চিকিৎসা নির্ভর করে মূল কারণের ওপর।
ওষুধ ইনজেকশন: চোখে বিশেষ ইনজেকশন দেওয়া হয়, যা রক্তনালির অস্বাভাবিকতা কমায়।
স্টেরয়েড ইনজেকশন বা ইমপ্লান্ট: প্রদাহের কারণে পানি জমলে এগুলো কার্যকর।
লেজার চিকিৎসা: এতে ক্ষতিগ্রস্ত রক্তনালিকে সিল করে দেওয়া হয়, যাতে তরল আর লিক না করে।
মূল রোগ নিয়ন্ত্রণ: রেটিনায় পানি জমা রোধে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা রক্তনালির অন্যান্য সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত জরুরি।
প্রতিরোধ
» ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়মিত ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করা।
» উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা।
» নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করা, বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের বছরে অন্তত একবার চোখ পরীক্ষা করা জরুরি।
» চোখে অপারেশনের পর চিকিৎসকের নির্দেশ মেনে চলা।
পরামর্শ দিয়েছেন: চক্ষুবিশেষজ্ঞ ও সার্জন, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা
রেটিনায় পানি জমাকে সাধারণভাবে রেটিনাল ইডিমা বা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ম্যাকুলার ইডিমা বলা হয়। এটি চোখের রেটিনার ভেতরে তরল জমে ফুলে ওঠার কারণে হয়।
কারণ
রেটিনায় পানি জমার প্রধান কারণ হলো, রেটিনার রক্তনালির অস্বাভাবিকতা।
ডায়াবেটিস: দীর্ঘদিনের ডায়াবেটিস রেটিনার রক্তনালিকে দুর্বল করে দেয়। ফলে তরল লিক হয়ে রেটিনায় জমে যায়।
রেটিনাল ভেইন অবস্ট্রাকশন: রেটিনার শিরা বন্ধ হয়ে গেলে রক্ত জমাট বাঁধে। এতে পানি রেটিনায় জমতে শুরু করে।
ইউভাইটিস: চোখের ভেতরে প্রদাহ হলে রেটিনার চারপাশের টিস্যু ফুলে যায় ও পানি জমে।
চোখের অপারেশন-পরবর্তী জটিলতা: যেমন ক্যাটার্যাক্ট সার্জারির পর অনেক সময় ম্যাকুলায় পানি জমতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপ ও অন্যান্য রক্তনালির রোগ: রেটিনায় স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ ব্যাহত হয়ে এডিমা তৈরি হয়।
উপসর্গ
» দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যাওয়া।
» সোজা লাইন বাঁকা বা ঢেউখেলানো দেখা।
» রং ফ্যাকাশে বা কম উজ্জ্বল দেখা।
» কেন্দ্রীয় দৃষ্টিশক্তি ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাওয়া।
» অনেক ক্ষেত্রে পড়া, লেখা বা সূক্ষ্ম কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
নির্ণয়
চোখের চিকিৎসক বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে রেটিনায় পানি জমা নির্ণয় করেন। সেগুলোর মধ্যে আছে—
ফান্ডাস পরীক্ষা: সরাসরি রেটিনা দেখে ফুলে ওঠা অংশ চিহ্নিত করা যায়।
ওসিটি: এটি নির্ভুল পরীক্ষা, যা রেটিনার স্তর ও পানি জমা স্পষ্টভাবে দেখায়।
ফ্লুরোসিন এঞ্জিওগ্রাফি: রক্তনালির ভেতরে বিশেষ ডাই দিয়ে কোথা থেকে তরল লিক হচ্ছে, তা চিহ্নিত করা যায়।
চিকিৎসা
রেটিনায় পানি জমার চিকিৎসা নির্ভর করে মূল কারণের ওপর।
ওষুধ ইনজেকশন: চোখে বিশেষ ইনজেকশন দেওয়া হয়, যা রক্তনালির অস্বাভাবিকতা কমায়।
স্টেরয়েড ইনজেকশন বা ইমপ্লান্ট: প্রদাহের কারণে পানি জমলে এগুলো কার্যকর।
লেজার চিকিৎসা: এতে ক্ষতিগ্রস্ত রক্তনালিকে সিল করে দেওয়া হয়, যাতে তরল আর লিক না করে।
মূল রোগ নিয়ন্ত্রণ: রেটিনায় পানি জমা রোধে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা রক্তনালির অন্যান্য সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত জরুরি।
প্রতিরোধ
» ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়মিত ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করা।
» উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা।
» নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করা, বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের বছরে অন্তত একবার চোখ পরীক্ষা করা জরুরি।
» চোখে অপারেশনের পর চিকিৎসকের নির্দেশ মেনে চলা।
পরামর্শ দিয়েছেন: চক্ষুবিশেষজ্ঞ ও সার্জন, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা
দেশে ডেঙ্গু ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। চলতি সেপ্টেম্বরে মৃত্যুর সংখ্যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রতিদিন নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। সর্বশেষ গতকাল রোববার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭৪০ জন রোগী।
১৪ ঘণ্টা আগেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে; যা এক দিনের মধ্যে এ বছরের সর্বোচ্চ সংখ্যা। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭৪০ জন। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যাও এক দিনে সর্বোচ্চ।
১ দিন আগেডেঙ্গুতে দুদিনে মারা যাওয়া ১২ জনের মধ্যে ছয়জন নারী ও ছয়জন পুরুষ। তাদের মধ্যে বরিশাল বিভাগের পাঁচজন, চট্টগ্রাম বিভাগের একজন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তিনজন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের দুজন ও ময়মনসিংহ বিভাগের একজন রয়েছে।
১ দিন আগেদেশের মানুষের দীর্ঘমেয়াদি ও অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার ক্রমেই বাড়ছে। প্রতিবছর যত মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, তার দুই-তৃতীয়াংশের বেশি মারা যাচ্ছেন এসব রোগের কারণে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে, দেশের প্রায় ৫৩ শতাংশ পরিবারের অন্তত একজন সদস্য কোনো দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত।
২ দিন আগে