ডা. মৌসুমি আহমেদ মৌরী
সাধারণত সময়ের আগে যে শিশুর জন্ম হয়, তার ওজন কম থাকে। তবে অনেক সময় মায়ের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা বা গর্ভাবস্থার জটিলতার কারণেও সঠিক সময়ে অর্থাৎ ৩৭ সপ্তাহ পূর্ণ করে জন্মানো শিশুরও ওজন কম হতে পারে। এদের বলা হয় স্বল্প ওজনের কিন্তু পূর্ণ গর্ভাবস্থার নবজাতক।
দেশে প্রতিবছর ২৫ হাজার নবজাতক স্বল্প ওজনের এবং অপরিণত হওয়ার কারণে মারা যায়। এ ছাড়া আমাদের দেশে ১৬ শতাংশ অপরিণত নবজাতক এবং ২৩ শতাংশ স্বল্প ওজনের নবজাতকের জন্ম হয়।
কারণ
» কম বয়সে মা হওয়া কিংবা অপুষ্টিতে ভোগা মা।
» মায়ের ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের মতো বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা।
» একের বেশি সন্তান একসঙ্গে গর্ভে থাকা।
» গর্ভের সন্তানের শারীরিক জটিলতা।
» মায়ের জরায়ুর সমস্যা।
» মায়ের গর্ভকালীন রক্তপাত।
লক্ষণ
» শিশুর ওজন কম এবং আকারে ছোট হওয়া।
» নড়াচড়া স্বাভাবিক নবজাতকের চেয়ে কম করা।
» গায়ের চামড়া পাতলা ধরনের হওয়া।
» চামড়ার নিচে মেদ খুব কম থাকা।
» অনেক সময় রক্তনালি পরিষ্কার দেখা।
» মায়ের বুকের দুধ টেনে খেতে না পারা কিংবা অসুবিধা হওয়া।
জটিলতা
» শরীরের তাপমাত্রা এবংয় গ্লুকোজের মাত্রা কমে যাওয়া।
» শ্বাসকষ্ট হওয়া বা হঠাৎ শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া।
» জন্ডিস অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়া।
» রক্তস্বল্পতা।
» সংক্রমণের ঝুঁকি এবং তার জটিলতা।
» হার্টের সমস্যা।
» অন্ধত্ব ও বধির হওয়ার ঝুঁকি।
» হজমে অসুবিধা, বমি ও খাদ্যনালির সমস্যা।
» জন্মগত বিভিন্ন ত্রুটি।
এ ধরনের শিশুকে স্বাভাবিক শিশুর তুলনায় বেশি যত্নের প্রয়োজন হয়। এ জন্য যা করতে হবে—
» অপরিণত শিশুর শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত কমে যায়। তাই তাদের উষ্ণ রাখতে হবে এবং শরীরের তাপমাত্রা ঠিক আছে কি না, সেটি অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
» সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে নবজাতককে পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
» পাশাপাশি শিশুকে ক্যাঙারু মাদার কেয়ারে দিতে হবে।
» চিকিৎসকের পরামর্শে প্রয়োজন হলে শিশুকে নবজাতকের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা এনআইসিইউতে রেখে চিকিৎসা করাতে হবে।
অপরিণত শিশুর জন্ম প্রতিরোধে করণীয়
» সরকারনির্ধারিত বিয়ের বয়স মেনে চলা।
» মায়ের পুষ্টি নিশ্চিত করা, যাতে গর্ভের সন্তানও মায়ের মাধ্যমে সঠিক পুষ্টি পায়।
» মাকে নিয়মিত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রেখে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ কিংবা অন্যান্য সমস্যার সঠিকভাবে চিকিৎসা করা।
» গর্ভকালে মায়ের শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন নিশ্চিত করা।
» প্রসূতি মায়ের প্রয়োজনীয় টিকা নেওয়া।
অপরিণত নবজাতক
গর্ভাবস্থায় ৩৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগে যে শিশু জন্ম নেয়, তারা অপরিণত নবজাতক।
স্বল্প ওজনের নবজাতক
জন্মের সময় নবজাতকের ওজন ২ হাজার ৫০০ গ্রাম বা ২ দশমিক ৫ কেজির কম হলে তারা স্বল্প ওজনের নবজাতক।
সাধারণত সময়ের আগে যে শিশুর জন্ম হয়, তার ওজন কম থাকে। তবে অনেক সময় মায়ের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা বা গর্ভাবস্থার জটিলতার কারণেও সঠিক সময়ে অর্থাৎ ৩৭ সপ্তাহ পূর্ণ করে জন্মানো শিশুরও ওজন কম হতে পারে। এদের বলা হয় স্বল্প ওজনের কিন্তু পূর্ণ গর্ভাবস্থার নবজাতক।
দেশে প্রতিবছর ২৫ হাজার নবজাতক স্বল্প ওজনের এবং অপরিণত হওয়ার কারণে মারা যায়। এ ছাড়া আমাদের দেশে ১৬ শতাংশ অপরিণত নবজাতক এবং ২৩ শতাংশ স্বল্প ওজনের নবজাতকের জন্ম হয়।
কারণ
» কম বয়সে মা হওয়া কিংবা অপুষ্টিতে ভোগা মা।
» মায়ের ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের মতো বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা।
» একের বেশি সন্তান একসঙ্গে গর্ভে থাকা।
» গর্ভের সন্তানের শারীরিক জটিলতা।
» মায়ের জরায়ুর সমস্যা।
» মায়ের গর্ভকালীন রক্তপাত।
লক্ষণ
» শিশুর ওজন কম এবং আকারে ছোট হওয়া।
» নড়াচড়া স্বাভাবিক নবজাতকের চেয়ে কম করা।
» গায়ের চামড়া পাতলা ধরনের হওয়া।
» চামড়ার নিচে মেদ খুব কম থাকা।
» অনেক সময় রক্তনালি পরিষ্কার দেখা।
» মায়ের বুকের দুধ টেনে খেতে না পারা কিংবা অসুবিধা হওয়া।
জটিলতা
» শরীরের তাপমাত্রা এবংয় গ্লুকোজের মাত্রা কমে যাওয়া।
» শ্বাসকষ্ট হওয়া বা হঠাৎ শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া।
» জন্ডিস অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়া।
» রক্তস্বল্পতা।
» সংক্রমণের ঝুঁকি এবং তার জটিলতা।
» হার্টের সমস্যা।
» অন্ধত্ব ও বধির হওয়ার ঝুঁকি।
» হজমে অসুবিধা, বমি ও খাদ্যনালির সমস্যা।
» জন্মগত বিভিন্ন ত্রুটি।
এ ধরনের শিশুকে স্বাভাবিক শিশুর তুলনায় বেশি যত্নের প্রয়োজন হয়। এ জন্য যা করতে হবে—
» অপরিণত শিশুর শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত কমে যায়। তাই তাদের উষ্ণ রাখতে হবে এবং শরীরের তাপমাত্রা ঠিক আছে কি না, সেটি অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
» সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে নবজাতককে পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
» পাশাপাশি শিশুকে ক্যাঙারু মাদার কেয়ারে দিতে হবে।
» চিকিৎসকের পরামর্শে প্রয়োজন হলে শিশুকে নবজাতকের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা এনআইসিইউতে রেখে চিকিৎসা করাতে হবে।
অপরিণত শিশুর জন্ম প্রতিরোধে করণীয়
» সরকারনির্ধারিত বিয়ের বয়স মেনে চলা।
» মায়ের পুষ্টি নিশ্চিত করা, যাতে গর্ভের সন্তানও মায়ের মাধ্যমে সঠিক পুষ্টি পায়।
» মাকে নিয়মিত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রেখে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ কিংবা অন্যান্য সমস্যার সঠিকভাবে চিকিৎসা করা।
» গর্ভকালে মায়ের শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন নিশ্চিত করা।
» প্রসূতি মায়ের প্রয়োজনীয় টিকা নেওয়া।
অপরিণত নবজাতক
গর্ভাবস্থায় ৩৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগে যে শিশু জন্ম নেয়, তারা অপরিণত নবজাতক।
স্বল্প ওজনের নবজাতক
জন্মের সময় নবজাতকের ওজন ২ হাজার ৫০০ গ্রাম বা ২ দশমিক ৫ কেজির কম হলে তারা স্বল্প ওজনের নবজাতক।
আশার কথা হলো, পরিবর্তন আসছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক যুগান্তকারী পরীক্ষায় দেখা গেছে, তীব্রভাবে চিনাবাদামের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত দুই-তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ককে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে চিনাবাদাম খাইয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় আনা সম্ভব হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেঅতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার বা ‘আল্ট্রা প্রসেসড ফুড’ (ইউপিএফ) বেশি খাওয়ার কারণে শুধু স্থূলতা, হতাশা, ডায়াবেটিস কিংবা হৃদরোগই নয়, বাড়ছে অকালমৃত্যুর ঝুঁকিও। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এই ধরনের খাবার খাওয়ার কারণে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু ঘটছে।
৯ ঘণ্টা আগেদেশের প্রায় পাঁচ লাখ শিশু সময়মতো টিকার সব ডোজ পাচ্ছে না। তাদের মধ্যে ৭০ হাজার শিশু কোনো টিকাই পায় না। টিকা না পাওয়ার হার শহরাঞ্চলে বেশি। টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলেও এসব তথ্য উঠে এসেছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)...
২১ ঘণ্টা আগেভিটামিন ‘ডি’-এর অভাবে অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে; বিশেষ করে হৃদ্রোগ, কিডনি রোগ, বিষণ্নতাজনিত রোগ, রক্তে চর্বি বেড়ে যাওয়া, হাড় ক্ষয়, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসতন্ত্রের রোগ, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস, কম ওজনে জন্ম নেওয়া, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে। গতকাল সোমবার রাজধানীতে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব
১ দিন আগে