ডা. অদিতি সরকার
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ওপর চাপ পড়তে থাকে। এসব অঙ্গপ্রত্য়ঙ্গের মধ্যে হাঁটু অন্যতম। প্রতিদিনের হাঁটাচলা, ভার বহন এবং শরীরের ভারসাম্য রক্ষার দায়িত্বে থাকা এই গুরুত্বপূর্ণ জোড়াটি বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, যার ফলে অনেক বয়স্ক মানুষ হাঁটুর ব্যথায় ভোগেন।
৫০ বছর পার হওয়ার পর থেকেই অনেকের হাঁটুতে ব্যথা শুরু হয়। মূলত হাঁটুর কার্টিলেজ বা তরুণাস্থি পাতলা হয়ে গেলে বা ক্ষয়ে গেলে হাঁটুতে ঘষা লাগে, যা ব্যথার কারণ হয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে ‘অস্টিওআর্থ্রাইটিস’। তবে শুধু বয়স নয়, অতিরিক্ত ওজন, পুরোনো আঘাত, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, গাউট বা ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা, এমনকি দীর্ঘদিন ব্যায়ামহীন জীবনযাপনও হাঁটুর ক্ষতির ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
অনেক রোগী ক্লিনিকে এসে বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে হাঁটুর জড়তা অনুভব করেন, কয়েক পা হাঁটার পর কিছুটা উন্নতি হয়, কিন্তু দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকলে বা হাঁটলে ব্যথা আবার বেড়ে যায়। কারও কারও ক্ষেত্রে হাঁটু ফুলে যায়, শব্দ করে কিংবা নড়াচড়ায় সীমাবদ্ধতা আসে।
প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ
প্রথমত, হাঁটুব্যথা কমাতে হলে ওজন নিয়ন্ত্রণে আনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হাঁটুর ওপর বাড়তি চাপ কমালে ব্যথা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম, বিশেষ করে হাঁটা এবং হাঁটুর জন্য নির্দিষ্ট কিছু স্ট্রেচিং ও স্ট্রেনদেনিং ব্যায়াম অত্যন্ত উপকারী। তবে ব্যায়াম শুরু করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে; কারণ, ভুল ব্যায়াম বিপরীত ফল দিতে পারে।
দ্বিতীয়ত, সুষম ও পরিমিত খাবার খাওয়া উচিত। ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি-সমৃদ্ধ খাবার, যেমন দুধ, দই, সামুদ্রিক মাছ, ডিম, পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে অবশ্যই নির্দিষ্ট খাদ্যাভ্যাস মেনে চলতে হবে।
ব্যথা বেশি হলে কখনো কখনো অ্যানালজেসিক ওষুধ বা ফিজিওথেরাপি প্রয়োজন হয়। আধুনিক চিকিৎসায় কখনো হাঁটুর মধ্যে স্টেরয়েড ইনজেকশন বা প্লেটলেট রিচ প্লাজমা (PRP) থেরাপির কথাও বলা হয়। তবে সব চিকিৎসাই ব্যক্তির বয়স, রোগের মাত্রা ও সাধারণ স্বাস্থ্যের অবস্থা দেখে নির্ধারণ করতে হয়।
চিকিৎসা নিতে দেরি করা উচিত নয়। অনেক সময় হাঁটুর অবনতি এমন জায়গায় চলে যায় যে অস্ত্রোপচার ছাড়া আর উপায় থাকে না। হাঁটুর প্রতিস্থাপন এখন বেশ সফল একটি চিকিৎসাপদ্ধতি হলেও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ও প্রাথমিক পর্যায়ে সঠিক চিকিৎসাই হাঁটু রক্ষার সবচেয়ে ভালো উপায়।
যে কথা না বললেই নয়, বয়স্কদের হাঁটুর ব্যথাকে ‘স্বাভাবিক বার্ধক্য’ বলে এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়। সচেতনতা, নিয়মিত জীবনযাপন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে সুস্থ হাঁটু, সুস্থ জীবন অর্জন সম্ভব।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ওপর চাপ পড়তে থাকে। এসব অঙ্গপ্রত্য়ঙ্গের মধ্যে হাঁটু অন্যতম। প্রতিদিনের হাঁটাচলা, ভার বহন এবং শরীরের ভারসাম্য রক্ষার দায়িত্বে থাকা এই গুরুত্বপূর্ণ জোড়াটি বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, যার ফলে অনেক বয়স্ক মানুষ হাঁটুর ব্যথায় ভোগেন।
৫০ বছর পার হওয়ার পর থেকেই অনেকের হাঁটুতে ব্যথা শুরু হয়। মূলত হাঁটুর কার্টিলেজ বা তরুণাস্থি পাতলা হয়ে গেলে বা ক্ষয়ে গেলে হাঁটুতে ঘষা লাগে, যা ব্যথার কারণ হয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে ‘অস্টিওআর্থ্রাইটিস’। তবে শুধু বয়স নয়, অতিরিক্ত ওজন, পুরোনো আঘাত, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, গাউট বা ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা, এমনকি দীর্ঘদিন ব্যায়ামহীন জীবনযাপনও হাঁটুর ক্ষতির ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
অনেক রোগী ক্লিনিকে এসে বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে হাঁটুর জড়তা অনুভব করেন, কয়েক পা হাঁটার পর কিছুটা উন্নতি হয়, কিন্তু দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকলে বা হাঁটলে ব্যথা আবার বেড়ে যায়। কারও কারও ক্ষেত্রে হাঁটু ফুলে যায়, শব্দ করে কিংবা নড়াচড়ায় সীমাবদ্ধতা আসে।
প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ
প্রথমত, হাঁটুব্যথা কমাতে হলে ওজন নিয়ন্ত্রণে আনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হাঁটুর ওপর বাড়তি চাপ কমালে ব্যথা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম, বিশেষ করে হাঁটা এবং হাঁটুর জন্য নির্দিষ্ট কিছু স্ট্রেচিং ও স্ট্রেনদেনিং ব্যায়াম অত্যন্ত উপকারী। তবে ব্যায়াম শুরু করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে; কারণ, ভুল ব্যায়াম বিপরীত ফল দিতে পারে।
দ্বিতীয়ত, সুষম ও পরিমিত খাবার খাওয়া উচিত। ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি-সমৃদ্ধ খাবার, যেমন দুধ, দই, সামুদ্রিক মাছ, ডিম, পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে অবশ্যই নির্দিষ্ট খাদ্যাভ্যাস মেনে চলতে হবে।
ব্যথা বেশি হলে কখনো কখনো অ্যানালজেসিক ওষুধ বা ফিজিওথেরাপি প্রয়োজন হয়। আধুনিক চিকিৎসায় কখনো হাঁটুর মধ্যে স্টেরয়েড ইনজেকশন বা প্লেটলেট রিচ প্লাজমা (PRP) থেরাপির কথাও বলা হয়। তবে সব চিকিৎসাই ব্যক্তির বয়স, রোগের মাত্রা ও সাধারণ স্বাস্থ্যের অবস্থা দেখে নির্ধারণ করতে হয়।
চিকিৎসা নিতে দেরি করা উচিত নয়। অনেক সময় হাঁটুর অবনতি এমন জায়গায় চলে যায় যে অস্ত্রোপচার ছাড়া আর উপায় থাকে না। হাঁটুর প্রতিস্থাপন এখন বেশ সফল একটি চিকিৎসাপদ্ধতি হলেও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ও প্রাথমিক পর্যায়ে সঠিক চিকিৎসাই হাঁটু রক্ষার সবচেয়ে ভালো উপায়।
যে কথা না বললেই নয়, বয়স্কদের হাঁটুর ব্যথাকে ‘স্বাভাবিক বার্ধক্য’ বলে এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়। সচেতনতা, নিয়মিত জীবনযাপন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে সুস্থ হাঁটু, সুস্থ জীবন অর্জন সম্ভব।
শরীরের ব্যথায় কখনো ভোগেনি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজের এক গবেষণা বলছে, বিশ্বে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন শরীরে ব্যথার সমস্যায় ভুগছে। তাদের কারও গিরায় ব্যথা, কারও পেশিতে, আবার কেউ হাড়ের ব্যথায় আক্রান্ত। বাংলাদেশে ব্যথার সমস্যায় ভোগা রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি।
৫ ঘণ্টা আগেদেশে গত এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এক শিশুসহ (১৩) তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই সময়ে হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছে ৩২৫ জন ডেঙ্গু রোগী।
৯ ঘণ্টা আগেহাইপোগ্লাইসিমিয়া বা রক্ত শর্করার স্বল্পতা হলো এমন একটি অবস্থা, যখন রক্তের শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যায়। এ পরিমাণ হয় সাধারণত ৩ দশমিক ৯ মিলিমোলস পার লিটার বা ৭০ মিলি গ্রামস পার ডেসিলিটারের কম। এ সময় কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। সেগুলো হলো—
১৯ ঘণ্টা আগেবর্ষাকাল এলেই বাড়ে সর্দি-কাশি, জ্বরের প্রকোপ। কিন্তু শুধু এসব নয়, এ সময়ে বাড়ছে হৃদ্রোগের সমস্যাও। আগের ধারণা ছিল, হৃদ্রোগ শহরের মানুষের সমস্যা। কিন্তু এখন গ্রামেও এতে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রামীণ জীবন ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আর মানসিক চাপের কারণে বাড়ছে এই ঝুঁকি।
২০ ঘণ্টা আগে