ডা. জাহেদ পারভেজ
শীতের শুষ্ক ও ঠান্ডা আবহাওয়ার প্রভাব ঠোঁটের ওপর পড়ে ভীষণভাবে। তাই শীতকালে ঠোঁট ফাটা স্বাভাবিক ঘটনা। শীতে চামড়ার শুষ্কতার কারণে ঠোঁট ফাটে—এই ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয়। ঠোঁট ফাটা বন্ধ করতে বারবার জিহ্বা দিয়ে ভেজালেও ঠোঁট ফাটে। আবার শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়লে যেকোনো ঋতুতেই ঠোঁট ফাটে।
সিবেসিয়াস গ্রন্থি নামক আণুবীক্ষণিক এক্সক্রনিক গ্রন্থি রয়েছে আমাদের ত্বকে। এ থেকে তৈলাক্ত বা মোমের মতো সিবাম নামে একধরনের রস বের হয়। এই রস ঘামের সঙ্গে মিশে ত্বকে ছড়িয়ে যায় এবং ত্বক মসৃণ ও সতেজ রাখে বলে ত্বক ফাটে না। কিন্তু শীতকালে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে যাওয়ায় আমাদের ঘাম কম হয়। এ জন্য সিবেসিয়াস গ্রন্থি থেকে বেরিয়ে আসা সিবাম শরীরের চামড়ায় ঠিকমতো ছড়িয়ে পড়তে পারে না। শরীরের শুকনো জায়গাগুলো তখন কুঁচকে গিয়ে ফেটে যায়। শরীরের অন্য জায়গার তুলনায় আমাদের ঠোঁটের চামড়া পাতলা। তা ছাড়া ঠোঁটের অবস্থান নাকের নিচে থাকায় নিশ্বাসের সঙ্গে বেরিয়ে আসা গরম বাতাস ঠোঁট দুটোকে আরও শুকিয়ে দেয়। ফলে শরীরের অন্য জায়গার তুলনায় ঠোঁট দ্রুত ফাটে।
ঠোঁট ফাটার আরেকটি কারণ হচ্ছে ঠোঁট ও শরীরে আর্দ্রতার ভারসাম্যের অভাব। শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকে বলে ঠোঁট আর্দ্রতা হারায় খুব দ্রুত এবং ফাটতে থাকে। এ ছাড়া বারবার জিব দিয়ে ঠোঁট চাটার অভ্যাস, পুষ্টিহীনতা ও ভিটামিনের অভাব, প্রখর সূর্যতাপ, বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, অ্যালার্জি, থাইরয়েডের সমস্যা এবং শরীরে ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের অভাব। আবার অনেক সময় ঠোঁটে লাগানো লিপস্টিক, লিপবাম বা লিপজেলে অ্যালার্জি থাকলে চুলকানি হয়ে ঠোঁট ফাটতে পারে। অনেকের সাইট্রাস-জাতীয় ফল বেশি খেলেও ঠোঁট ফেটে যায়।
যা করবেন
ঠোঁট ফাটা এড়াতে ঠোঁট যাতে সব সময় ভেজা থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। সারা দিনই কিছুক্ষণ পর পর ঠোঁটে ক্রিম বা ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে রাখতে হবে। বাইরে বেরোনোর আগে মুখের পাশাপাশি ঠোঁটেও সানস্ক্রিন দিন। ঠোঁটের লিপবামে সূর্যরশ্মি থেকে রক্ষা পাওয়ার মতো উপকরণ (এসপিএফ) আছে কি না, দেখে নিন। শরীর যাতে পানিশূন্য না হয়, সে জন্য প্রতিদিন আড়াই লিটার পানি পান করুন। এর পরেও ঠোঁট ফেটে রক্ত বের হলে একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
যা করবেন না
ঠোঁট ফাটা কমাতে অনেক কিছু ব্যবহার করবেন না। বিশেষ করে লিপবামে থাকা রাসায়নিক উপাদান ঠোঁটে যতটা সম্ভব কম লাগান। কসমেটিকসে ল্যানোলিন, স্যালিসিলিক অ্যাসিডের মতো উপকরণ থাকে। এগুলো এড়িয়ে চলুন।
ঘরোয়া যত্ন
শীতে ঠোঁটের যত্ন নেওয়ার জন্য অ্যালোভেরা জেল লাগাতে পারেন। এ ছাড়া এক ফোঁটা ঘি লাগিয়ে রাখলেও ঠোঁট নরম থাকবে। মধু ও গ্লিসারিনের পেস্ট বানিয়ে লাগালে ঠোঁট ফাটবে না। ঠোঁটে আলতো করে চিনি ঘষলে মৃত কোষ উঠে তাকে নরম রাখবে। এ ছাড়া ঠোঁটে নারকেল তেল ব্যবহার করলেও তা ফাটবে না।
ডা. জাহেদ পারভেজ, সহকারী অধ্যাপক, চর্ম, যৌন ও হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট বিশেষজ্ঞ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
শীতের শুষ্ক ও ঠান্ডা আবহাওয়ার প্রভাব ঠোঁটের ওপর পড়ে ভীষণভাবে। তাই শীতকালে ঠোঁট ফাটা স্বাভাবিক ঘটনা। শীতে চামড়ার শুষ্কতার কারণে ঠোঁট ফাটে—এই ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয়। ঠোঁট ফাটা বন্ধ করতে বারবার জিহ্বা দিয়ে ভেজালেও ঠোঁট ফাটে। আবার শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়লে যেকোনো ঋতুতেই ঠোঁট ফাটে।
সিবেসিয়াস গ্রন্থি নামক আণুবীক্ষণিক এক্সক্রনিক গ্রন্থি রয়েছে আমাদের ত্বকে। এ থেকে তৈলাক্ত বা মোমের মতো সিবাম নামে একধরনের রস বের হয়। এই রস ঘামের সঙ্গে মিশে ত্বকে ছড়িয়ে যায় এবং ত্বক মসৃণ ও সতেজ রাখে বলে ত্বক ফাটে না। কিন্তু শীতকালে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে যাওয়ায় আমাদের ঘাম কম হয়। এ জন্য সিবেসিয়াস গ্রন্থি থেকে বেরিয়ে আসা সিবাম শরীরের চামড়ায় ঠিকমতো ছড়িয়ে পড়তে পারে না। শরীরের শুকনো জায়গাগুলো তখন কুঁচকে গিয়ে ফেটে যায়। শরীরের অন্য জায়গার তুলনায় আমাদের ঠোঁটের চামড়া পাতলা। তা ছাড়া ঠোঁটের অবস্থান নাকের নিচে থাকায় নিশ্বাসের সঙ্গে বেরিয়ে আসা গরম বাতাস ঠোঁট দুটোকে আরও শুকিয়ে দেয়। ফলে শরীরের অন্য জায়গার তুলনায় ঠোঁট দ্রুত ফাটে।
ঠোঁট ফাটার আরেকটি কারণ হচ্ছে ঠোঁট ও শরীরে আর্দ্রতার ভারসাম্যের অভাব। শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকে বলে ঠোঁট আর্দ্রতা হারায় খুব দ্রুত এবং ফাটতে থাকে। এ ছাড়া বারবার জিব দিয়ে ঠোঁট চাটার অভ্যাস, পুষ্টিহীনতা ও ভিটামিনের অভাব, প্রখর সূর্যতাপ, বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, অ্যালার্জি, থাইরয়েডের সমস্যা এবং শরীরে ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের অভাব। আবার অনেক সময় ঠোঁটে লাগানো লিপস্টিক, লিপবাম বা লিপজেলে অ্যালার্জি থাকলে চুলকানি হয়ে ঠোঁট ফাটতে পারে। অনেকের সাইট্রাস-জাতীয় ফল বেশি খেলেও ঠোঁট ফেটে যায়।
যা করবেন
ঠোঁট ফাটা এড়াতে ঠোঁট যাতে সব সময় ভেজা থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। সারা দিনই কিছুক্ষণ পর পর ঠোঁটে ক্রিম বা ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে রাখতে হবে। বাইরে বেরোনোর আগে মুখের পাশাপাশি ঠোঁটেও সানস্ক্রিন দিন। ঠোঁটের লিপবামে সূর্যরশ্মি থেকে রক্ষা পাওয়ার মতো উপকরণ (এসপিএফ) আছে কি না, দেখে নিন। শরীর যাতে পানিশূন্য না হয়, সে জন্য প্রতিদিন আড়াই লিটার পানি পান করুন। এর পরেও ঠোঁট ফেটে রক্ত বের হলে একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
যা করবেন না
ঠোঁট ফাটা কমাতে অনেক কিছু ব্যবহার করবেন না। বিশেষ করে লিপবামে থাকা রাসায়নিক উপাদান ঠোঁটে যতটা সম্ভব কম লাগান। কসমেটিকসে ল্যানোলিন, স্যালিসিলিক অ্যাসিডের মতো উপকরণ থাকে। এগুলো এড়িয়ে চলুন।
ঘরোয়া যত্ন
শীতে ঠোঁটের যত্ন নেওয়ার জন্য অ্যালোভেরা জেল লাগাতে পারেন। এ ছাড়া এক ফোঁটা ঘি লাগিয়ে রাখলেও ঠোঁট নরম থাকবে। মধু ও গ্লিসারিনের পেস্ট বানিয়ে লাগালে ঠোঁট ফাটবে না। ঠোঁটে আলতো করে চিনি ঘষলে মৃত কোষ উঠে তাকে নরম রাখবে। এ ছাড়া ঠোঁটে নারকেল তেল ব্যবহার করলেও তা ফাটবে না।
ডা. জাহেদ পারভেজ, সহকারী অধ্যাপক, চর্ম, যৌন ও হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট বিশেষজ্ঞ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ৩৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এক দিনে আরও ৩২৯ রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ সময়ে ডেঙ্গুতে এক পুরুষের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত) এই হিসাব পাওয়া গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেমানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার মধ্যে অন্যতম হলো বিষণ্নতা। এই সমস্যার জন্য জিনগত ও পরিবেশগত বিভিন্ন বিষয়কে দায়ী করা হয়। তবে নতুন এক গবেষণায় মুখের অণুজীব বৈচিত্র্য এবং বিষণ্নতার লক্ষণের মধ্যে গভীর সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন। আর ঘন ঘন বা অতিরিক্ত মুখ পরিষ্কারের অভ্যাস এই অণুজীব বৈচিত্র্য নষ্ট করতে পারে।
৮ ঘণ্টা আগেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
১ দিন আগে