অধ্যাপক ডা. শাহীন আক্তার
মা-বাবা কিংবা অভিভাবকেরা সব সময় নবজাতকের সুস্থতা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন। নবজাতকের অসুস্থতার লক্ষণগুলো জেনে নিয়ে বুঝতে হবে, শিশুটি সুস্থ আছে কি না।
জন্মের এক মিনিটের মধ্যে কান্না না করা
প্রথম বিপদ চিহ্নটি হচ্ছে নবজাতকের জন্মের এক মিনিটের মধ্যে যদি কান্না না করে। এমন হলে ধরে নিতে হবে, শিশুটি মারাত্মক অসুস্থ। চিকিৎসক জরুরি ভিত্তিতে কান্নার ব্যবস্থা নেবেন এবং শিশুটিকে পেডিয়াট্রিক আইসিইউতে ভর্তি করবেন।
সময়ের আগে জন্মানো
নবজাতকের ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিপদ চিহ্ন হচ্ছে, সময়ের আগে জন্ম নেওয়া। নবজাতক ৩৭ সপ্তাহের আগে জন্মালে এবং তার জন্মের সময় ওজন আড়াই কেজির নিচে হলে অবশ্যই তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
নবজাতকের রং পরিবর্তন
নবজাতকের শরীর যদি নীল হয়ে যায় কিংবা নাকের ডগা, মুখের চারপাশ বা কানের লতি নীল হয়ে গেলে ধরে নিতে হবে, তার শরীরে অক্সিজেনের মারাত্মক ঘাটতি আছে। এই অবস্থায় দ্রুত নবজাতককে আইসিইউতে ভর্তি করানো জরুরি।
শ্বাসের সমস্যা
নবজাতকের শ্বাসপ্রশ্বাস প্রতি মিনিটে যদি ৬০ কিংবা তার বেশিবার হয়, বুকের খাঁচা যদি ভেঙে যায় অথবা যাওয়ার উপক্রম হয়, শিশুটি যদি কোঁকাতে থাকে, তাহলে বুঝে নিতে হবে, নবজাতকের নিউমোনিয়া হয়েছে।
শরীর গরম বা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া
নবজাতকের শরীরের তাপমাত্রা যদি ৯৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের নিচে হয়, তাহলে সেটি হাইপোথারমিয়া। আর তাপমাত্রা যদি ৯৯ ডিগ্রির ওপরে হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে যে শিশুটি মারাত্মক অসুস্থ এবং তার রক্তে জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা আছে। এ ধরনের ক্ষেত্রে দ্রুততম সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
খিঁচুনি
আরেকটি বিপদ চিহ্ন হচ্ছে নবজাতকের খিঁচুনি। আমাদের মনে রাখতে হবে, নবজাতকের খিঁচুনির বৈশিষ্ট্য কিশোর বয়সী শিশুদের মতো হবে, এমন নয়; বরং নবজাতকের ছোট করে একটি হাত, পা বা একটি আঙুলে সামান্য ঝাঁকুনি হতে পারে কিংবা তার পুরো শরীর শক্ত হয়ে যেতে পারে। এ রকম হলে অতি দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
নিস্তেজ হয়ে পড়া
নবজাতক যদি নড়াচড়া করা কমিয়ে দেয় এবং নিস্তেজ হয়ে যায়, তাহলেও এটিকে বিপদ চিহ্ন হিসেবে ধরে নিতে হবে।
খেতে না চাওয়া
আরেকটি বিপদ চিহ্ন হচ্ছে, নবজাতকের খেতে না চাওয়া। এর সঙ্গে শিশুর পেট ফুলে যাওয়া বা বমি হতে পারে। বারবার বমি করা এবং সবুজ বমি করলে চিকিৎসকের কাছে দ্রুততম সময়ে নিয়ে যেতে হবে।
হাত পা তালু হলুদ হওয়া
নবজাতকের জন্ডিস স্বাভাবিক ঘটনা হলেও তা পুরো শরীর ও হাত-পায়ের তালুতে দেখলে ধরে নিতে হবে, জন্ডিস মারাত্মক। তাকে ফটোথেরাপি দিতে হাসপাতালে দ্রুত নিয়ে যান।
পরামর্শ দিয়েছেন: নবজাতক, শিশু, কিশোর রোগ বিশেষজ্ঞ; এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল; বিভাগীয় প্রধান, আলোক এনআইসিইউ
মা-বাবা কিংবা অভিভাবকেরা সব সময় নবজাতকের সুস্থতা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন। নবজাতকের অসুস্থতার লক্ষণগুলো জেনে নিয়ে বুঝতে হবে, শিশুটি সুস্থ আছে কি না।
জন্মের এক মিনিটের মধ্যে কান্না না করা
প্রথম বিপদ চিহ্নটি হচ্ছে নবজাতকের জন্মের এক মিনিটের মধ্যে যদি কান্না না করে। এমন হলে ধরে নিতে হবে, শিশুটি মারাত্মক অসুস্থ। চিকিৎসক জরুরি ভিত্তিতে কান্নার ব্যবস্থা নেবেন এবং শিশুটিকে পেডিয়াট্রিক আইসিইউতে ভর্তি করবেন।
সময়ের আগে জন্মানো
নবজাতকের ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিপদ চিহ্ন হচ্ছে, সময়ের আগে জন্ম নেওয়া। নবজাতক ৩৭ সপ্তাহের আগে জন্মালে এবং তার জন্মের সময় ওজন আড়াই কেজির নিচে হলে অবশ্যই তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
নবজাতকের রং পরিবর্তন
নবজাতকের শরীর যদি নীল হয়ে যায় কিংবা নাকের ডগা, মুখের চারপাশ বা কানের লতি নীল হয়ে গেলে ধরে নিতে হবে, তার শরীরে অক্সিজেনের মারাত্মক ঘাটতি আছে। এই অবস্থায় দ্রুত নবজাতককে আইসিইউতে ভর্তি করানো জরুরি।
শ্বাসের সমস্যা
নবজাতকের শ্বাসপ্রশ্বাস প্রতি মিনিটে যদি ৬০ কিংবা তার বেশিবার হয়, বুকের খাঁচা যদি ভেঙে যায় অথবা যাওয়ার উপক্রম হয়, শিশুটি যদি কোঁকাতে থাকে, তাহলে বুঝে নিতে হবে, নবজাতকের নিউমোনিয়া হয়েছে।
শরীর গরম বা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া
নবজাতকের শরীরের তাপমাত্রা যদি ৯৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের নিচে হয়, তাহলে সেটি হাইপোথারমিয়া। আর তাপমাত্রা যদি ৯৯ ডিগ্রির ওপরে হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে যে শিশুটি মারাত্মক অসুস্থ এবং তার রক্তে জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা আছে। এ ধরনের ক্ষেত্রে দ্রুততম সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
খিঁচুনি
আরেকটি বিপদ চিহ্ন হচ্ছে নবজাতকের খিঁচুনি। আমাদের মনে রাখতে হবে, নবজাতকের খিঁচুনির বৈশিষ্ট্য কিশোর বয়সী শিশুদের মতো হবে, এমন নয়; বরং নবজাতকের ছোট করে একটি হাত, পা বা একটি আঙুলে সামান্য ঝাঁকুনি হতে পারে কিংবা তার পুরো শরীর শক্ত হয়ে যেতে পারে। এ রকম হলে অতি দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
নিস্তেজ হয়ে পড়া
নবজাতক যদি নড়াচড়া করা কমিয়ে দেয় এবং নিস্তেজ হয়ে যায়, তাহলেও এটিকে বিপদ চিহ্ন হিসেবে ধরে নিতে হবে।
খেতে না চাওয়া
আরেকটি বিপদ চিহ্ন হচ্ছে, নবজাতকের খেতে না চাওয়া। এর সঙ্গে শিশুর পেট ফুলে যাওয়া বা বমি হতে পারে। বারবার বমি করা এবং সবুজ বমি করলে চিকিৎসকের কাছে দ্রুততম সময়ে নিয়ে যেতে হবে।
হাত পা তালু হলুদ হওয়া
নবজাতকের জন্ডিস স্বাভাবিক ঘটনা হলেও তা পুরো শরীর ও হাত-পায়ের তালুতে দেখলে ধরে নিতে হবে, জন্ডিস মারাত্মক। তাকে ফটোথেরাপি দিতে হাসপাতালে দ্রুত নিয়ে যান।
পরামর্শ দিয়েছেন: নবজাতক, শিশু, কিশোর রোগ বিশেষজ্ঞ; এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল; বিভাগীয় প্রধান, আলোক এনআইসিইউ
আশার কথা হলো, পরিবর্তন আসছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক যুগান্তকারী পরীক্ষায় দেখা গেছে, তীব্রভাবে চিনাবাদামের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত দুই-তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ককে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে চিনাবাদাম খাইয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় আনা সম্ভব হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেঅতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার বা ‘আল্ট্রা প্রসেসড ফুড’ (ইউপিএফ) বেশি খাওয়ার কারণে শুধু স্থূলতা, হতাশা, ডায়াবেটিস কিংবা হৃদরোগই নয়, বাড়ছে অকালমৃত্যুর ঝুঁকিও। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এই ধরনের খাবার খাওয়ার কারণে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু ঘটছে।
১০ ঘণ্টা আগেদেশের প্রায় পাঁচ লাখ শিশু সময়মতো টিকার সব ডোজ পাচ্ছে না। তাদের মধ্যে ৭০ হাজার শিশু কোনো টিকাই পায় না। টিকা না পাওয়ার হার শহরাঞ্চলে বেশি। টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলেও এসব তথ্য উঠে এসেছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)...
১ দিন আগেভিটামিন ‘ডি’-এর অভাবে অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে; বিশেষ করে হৃদ্রোগ, কিডনি রোগ, বিষণ্নতাজনিত রোগ, রক্তে চর্বি বেড়ে যাওয়া, হাড় ক্ষয়, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসতন্ত্রের রোগ, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস, কম ওজনে জন্ম নেওয়া, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে। গতকাল সোমবার রাজধানীতে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব
১ দিন আগে