ডা. জাহেদ পারভেজ
প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেদের মাথার মাঝখানে ও কপালের দুই পাশ থেকে ধীরে ধীরে চুল পাতলা হয়ে যাওয়া এবং একপর্যায়ে চুল পড়ে মাথা খালি হয়ে যাওয়া বংশগত টাক হিসেবে পরিচিত। চিকিৎসাশাস্ত্রের ভাষায় এটিকে মেল প্যাটার্ন হেয়ার লস বলে। এজাতীয় টাক হওয়ার কারণ, টেস্টোস্টেরন নামে হরমোন মাথার ত্বকের ওই জায়গাগুলোতে ডাইহাইড্রো টেস্টোস্টেরনে (ডিএইচটি) পরিণত হয়। ডিএইচটির প্রভাবে প্রথমে মোটা চুল পড়ে যায়। তারপর পড়ে পাতলা চুল। এভাবে একপর্যায়ে চুলের গোড়া শুকিয়ে গিয়ে চুল সম্পূর্ণভাবে ঝরে যায়।
পরিবারে অন্যদের অল্প বয়সে টাক পড়ার সমস্যা থাকলে এভাবে চুল পড়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। চুল পড়ে যাওয়াকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। এর একটি হলো অ্যানাজেন ইফফ্লুভিয়াম, অন্যটি টেলোজেন ইফফ্লুভিয়াম। বিভিন্ন ওষুধ ও কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে যখন চুল পড়ে যায়, সেটাকে বলে অ্যানাজেন ইফফ্লুভিয়াম। আর চুলের ফলিকল রেস্টিং স্টেজে গিয়ে চুল পড়ে গেলে তাকে বলে টেলোজেন ইফফ্লুভিয়াম। চুলের ফলিকল রেস্টিং স্টেজে যাওয়া মানে চুল আর বড় না হওয়া এবং একসময় বেশি হারে চুল ঝরে যাওয়া।
নারীদেরও পুরুষদের মতো টাক হতে পারে। মেনোপজ হওয়ার পর, অর্থাৎ ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সের নারীদের মাসিক বন্ধ হয়ে গেলে মেয়েলি হরমোনের পরিমাণ কমে যায় এবং পুরুষ হরমোন বা টেস্টোস্টেরন বা অ্যান্ড্রোজেনের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে তখন নারীদেরও একই নিয়মে পুরুষদের মতো টাক পড়ে।
টেস্টোস্টেরন হরমোন ডিএইচটিতে পরিণত হতে ৫-আলফা রিডাকটেজ নামে একটি অ্যানজাইমের প্রয়োজন। এই অ্যানজাইমের কার্যকারিতা যাঁদের মাথার ত্বকে বেশি, তাঁদেরই এজাতীয় টাক পড়ে। এর কার্যকারিতা বেশি বা কম হওয়াটা নির্ভর করে জেনেটিকের ওপর; অর্থাৎ বংশগত প্রভাবের ওপর। ফলে বাবার মাথায় টাক থাকলে ছেলের মাথায় টাক পড়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
চিকিৎসা
টাক নিরাময়ে বিশেষজ্ঞের অধীনে চিকিৎসা নেওয়াই মঙ্গল। বংশগত টাক পড়ার আশঙ্কা থাকলে ওষুধ সেবনে তা থেকে রক্ষা পাওয়ার আশা রয়েছে। যত দিন মাথায় চুল প্রয়োজন, ওষুধ চালিয়ে যেতে হবে। এরই মধ্যে যাঁদের টাক পড়ে গেছে, তাঁদের ক্ষেত্রেও ওষুধ সেবনে উপকার পাওয়া যাবে।
আশার কথা হলো, চিকিৎসাবিজ্ঞানে নতুন চিকিৎসাব্যবস্থা এসেছে। এতে ওষুধ প্রয়োগে চুলের গোড়া শুকিয়ে যাবে না এবং টাকও পড়বে না। চুল ঝরা বন্ধের লোশন ও শ্যাম্পু পাওয়া যায়। সেগুলো ভালো কাজ করে।
তবে আধুনিক চিকিৎসা হচ্ছে মেসোথেরাপি ও পিআরপি। অ্যান্ড্রোজেনিক অ্যালোপেসিয়া বা বংশগত টাকের জন্য এটি একটি কার্যকর চিকিৎসা।
ডা. জাহেদ পারভেজ, সহকারী অধ্যাপক, ত্বক, চর্ম, যৌন ও হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি বিভাগ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, ঢাকা
প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেদের মাথার মাঝখানে ও কপালের দুই পাশ থেকে ধীরে ধীরে চুল পাতলা হয়ে যাওয়া এবং একপর্যায়ে চুল পড়ে মাথা খালি হয়ে যাওয়া বংশগত টাক হিসেবে পরিচিত। চিকিৎসাশাস্ত্রের ভাষায় এটিকে মেল প্যাটার্ন হেয়ার লস বলে। এজাতীয় টাক হওয়ার কারণ, টেস্টোস্টেরন নামে হরমোন মাথার ত্বকের ওই জায়গাগুলোতে ডাইহাইড্রো টেস্টোস্টেরনে (ডিএইচটি) পরিণত হয়। ডিএইচটির প্রভাবে প্রথমে মোটা চুল পড়ে যায়। তারপর পড়ে পাতলা চুল। এভাবে একপর্যায়ে চুলের গোড়া শুকিয়ে গিয়ে চুল সম্পূর্ণভাবে ঝরে যায়।
পরিবারে অন্যদের অল্প বয়সে টাক পড়ার সমস্যা থাকলে এভাবে চুল পড়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। চুল পড়ে যাওয়াকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। এর একটি হলো অ্যানাজেন ইফফ্লুভিয়াম, অন্যটি টেলোজেন ইফফ্লুভিয়াম। বিভিন্ন ওষুধ ও কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে যখন চুল পড়ে যায়, সেটাকে বলে অ্যানাজেন ইফফ্লুভিয়াম। আর চুলের ফলিকল রেস্টিং স্টেজে গিয়ে চুল পড়ে গেলে তাকে বলে টেলোজেন ইফফ্লুভিয়াম। চুলের ফলিকল রেস্টিং স্টেজে যাওয়া মানে চুল আর বড় না হওয়া এবং একসময় বেশি হারে চুল ঝরে যাওয়া।
নারীদেরও পুরুষদের মতো টাক হতে পারে। মেনোপজ হওয়ার পর, অর্থাৎ ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সের নারীদের মাসিক বন্ধ হয়ে গেলে মেয়েলি হরমোনের পরিমাণ কমে যায় এবং পুরুষ হরমোন বা টেস্টোস্টেরন বা অ্যান্ড্রোজেনের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে তখন নারীদেরও একই নিয়মে পুরুষদের মতো টাক পড়ে।
টেস্টোস্টেরন হরমোন ডিএইচটিতে পরিণত হতে ৫-আলফা রিডাকটেজ নামে একটি অ্যানজাইমের প্রয়োজন। এই অ্যানজাইমের কার্যকারিতা যাঁদের মাথার ত্বকে বেশি, তাঁদেরই এজাতীয় টাক পড়ে। এর কার্যকারিতা বেশি বা কম হওয়াটা নির্ভর করে জেনেটিকের ওপর; অর্থাৎ বংশগত প্রভাবের ওপর। ফলে বাবার মাথায় টাক থাকলে ছেলের মাথায় টাক পড়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
চিকিৎসা
টাক নিরাময়ে বিশেষজ্ঞের অধীনে চিকিৎসা নেওয়াই মঙ্গল। বংশগত টাক পড়ার আশঙ্কা থাকলে ওষুধ সেবনে তা থেকে রক্ষা পাওয়ার আশা রয়েছে। যত দিন মাথায় চুল প্রয়োজন, ওষুধ চালিয়ে যেতে হবে। এরই মধ্যে যাঁদের টাক পড়ে গেছে, তাঁদের ক্ষেত্রেও ওষুধ সেবনে উপকার পাওয়া যাবে।
আশার কথা হলো, চিকিৎসাবিজ্ঞানে নতুন চিকিৎসাব্যবস্থা এসেছে। এতে ওষুধ প্রয়োগে চুলের গোড়া শুকিয়ে যাবে না এবং টাকও পড়বে না। চুল ঝরা বন্ধের লোশন ও শ্যাম্পু পাওয়া যায়। সেগুলো ভালো কাজ করে।
তবে আধুনিক চিকিৎসা হচ্ছে মেসোথেরাপি ও পিআরপি। অ্যান্ড্রোজেনিক অ্যালোপেসিয়া বা বংশগত টাকের জন্য এটি একটি কার্যকর চিকিৎসা।
ডা. জাহেদ পারভেজ, সহকারী অধ্যাপক, ত্বক, চর্ম, যৌন ও হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি বিভাগ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, ঢাকা
মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার মধ্যে অন্যতম হলো বিষণ্নতা। এই সমস্যার জন্য জিনগত ও পরিবেশগত বিভিন্ন বিষয়কে দায়ী করা হয়। তবে নতুন এক গবেষণায় মুখের অণুজীব বৈচিত্র্য এবং বিষণ্নতার লক্ষণের মধ্যে গভীর সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন। আর ঘন ঘন বা অতিরিক্ত মুখ পরিষ্কারের অভ্যাস এই অণুজীব বৈচিত্র্য নষ্ট করতে পারে।
৩৫ মিনিট আগেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেদেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৫২ রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ সময়ে ডেঙ্গুতে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) এই হিসাব পাওয়া গেছে।
১৮ ঘণ্টা আগেবিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্প্রতি তাদের ভ্যারিয়েন্ট আন্ডার মনিটরিং বা ভিইউএম তালিকায় এনবি ১.৮.১ যুক্ত করেছে। এটি মূলত ওমিক্রন উপধরন, যা ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া এবং বাংলাদেশেও শনাক্ত হয়েছে। এনবি ১.৮.১ বেশ দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। তবে এই ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণে গুরুতর অসুস্থতা, হাসপাতালে ভর্তি বৃদ্ধির...
১ দিন আগে