ডা. মো. আরমান হোসেন রনি
আমাদের দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ ডায়াবেটিস রোগী রোজা রাখেন। কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে যাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া রোজা রাখেন, তাঁরা কিছু জটিলতার সম্মুখীন হন; বিশেষ করে রক্তে সুগারের স্বল্পতা বা আধিক্য, ডায়াবেটিক কিটো অ্যাসিডোসিস, পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশনে ভোগেন এই রোগে আক্রান্ত মানুষ।
রোজায় খাদ্যাভ্যাস এবং খাওয়ার সময়সূচিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। সেহরি বা ইফতারে বেশি খাবার খাওয়ার ফলে রক্তে সুগারের মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যায়। ফলে দীর্ঘদিন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের এ সময় রক্তে হঠাৎ সুগার বেড়ে গিয়ে চোখের ভেতরে রেটিনায় রক্তক্ষরণ হয়ে দৃষ্টিশক্তি হারানোর আশঙ্কা থাকে। আর এ কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের খাবার-দাবার সুনিয়ন্ত্রিত ও পরিমিত হওয়া প্রয়োজন।
এ সময় ডায়াবেটিস রোগীদের চোখের যত্নে করণীয়
পর্যাপ্ত পানি পান করুন
দীর্ঘ সময় পানি না খাওয়ার কারণে শরীর পানিশূন্য হয়ে যেতে পারে, যা চোখের শুষ্কতা বাড়াতে পারে। ইফতার ও সেহরির মধ্যে পর্যাপ্ত পানি পান করুন (প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস)।
শাকসবজি ও পুষ্টিকর খাবার খান
ভিটামিন এ, সি, এবং ই সমৃদ্ধ খাবার; যেমন গাজর, পালংশাক, বাদাম, কমলা ইত্যাদি চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন
রক্তে শর্করার মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত থাকলে চোখের রক্তনালি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই এ সময়ও নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করুন।
দীর্ঘ সময় স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকবেন না
অনেকে মোবাইল ফোন বা টিভি স্ক্রিনের দিকে বেশি সময় তাকিয়ে থাকেন, যা চোখের শুষ্কতা ও ক্লান্তি বাড়াতে পারে। প্রতি ২০ মিনিট পর ২০ সেকেন্ডের জন্য দূরের কোনো কিছুর দিকে তাকান।
চোখ চুলকালে ঘষবেন না
চোখ শুষ্ক হয়ে গেলে বা চুলকালে হাত দিয়ে ঘষবেন না। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চোখের ড্রপ ব্যবহার করুন।
পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে চোখের ফোলা ভাব, লালচে ভাব ও চোখের শুষ্কতা বেড়ে যেতে পারে। প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।
নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা করুন
যদি ডায়াবেটিসজনিত চোখের কোনো সমস্যা; যেমন ঝাপসা দেখা, চোখে ব্যথা কিংবা আলোতে সংবেদনশীলতা ইত্যাদি অনুভব করেন, তবে দ্রুততম সময়ে অবশ্যই একজন চক্ষুবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
ডা. মো. আরমান হোসেন রনি , চক্ষুবিশেষজ্ঞ ও সার্জন, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতাল, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা
আমাদের দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ ডায়াবেটিস রোগী রোজা রাখেন। কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে যাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া রোজা রাখেন, তাঁরা কিছু জটিলতার সম্মুখীন হন; বিশেষ করে রক্তে সুগারের স্বল্পতা বা আধিক্য, ডায়াবেটিক কিটো অ্যাসিডোসিস, পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশনে ভোগেন এই রোগে আক্রান্ত মানুষ।
রোজায় খাদ্যাভ্যাস এবং খাওয়ার সময়সূচিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। সেহরি বা ইফতারে বেশি খাবার খাওয়ার ফলে রক্তে সুগারের মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যায়। ফলে দীর্ঘদিন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের এ সময় রক্তে হঠাৎ সুগার বেড়ে গিয়ে চোখের ভেতরে রেটিনায় রক্তক্ষরণ হয়ে দৃষ্টিশক্তি হারানোর আশঙ্কা থাকে। আর এ কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের খাবার-দাবার সুনিয়ন্ত্রিত ও পরিমিত হওয়া প্রয়োজন।
এ সময় ডায়াবেটিস রোগীদের চোখের যত্নে করণীয়
পর্যাপ্ত পানি পান করুন
দীর্ঘ সময় পানি না খাওয়ার কারণে শরীর পানিশূন্য হয়ে যেতে পারে, যা চোখের শুষ্কতা বাড়াতে পারে। ইফতার ও সেহরির মধ্যে পর্যাপ্ত পানি পান করুন (প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস)।
শাকসবজি ও পুষ্টিকর খাবার খান
ভিটামিন এ, সি, এবং ই সমৃদ্ধ খাবার; যেমন গাজর, পালংশাক, বাদাম, কমলা ইত্যাদি চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন
রক্তে শর্করার মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত থাকলে চোখের রক্তনালি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই এ সময়ও নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করুন।
দীর্ঘ সময় স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকবেন না
অনেকে মোবাইল ফোন বা টিভি স্ক্রিনের দিকে বেশি সময় তাকিয়ে থাকেন, যা চোখের শুষ্কতা ও ক্লান্তি বাড়াতে পারে। প্রতি ২০ মিনিট পর ২০ সেকেন্ডের জন্য দূরের কোনো কিছুর দিকে তাকান।
চোখ চুলকালে ঘষবেন না
চোখ শুষ্ক হয়ে গেলে বা চুলকালে হাত দিয়ে ঘষবেন না। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চোখের ড্রপ ব্যবহার করুন।
পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে চোখের ফোলা ভাব, লালচে ভাব ও চোখের শুষ্কতা বেড়ে যেতে পারে। প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।
নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা করুন
যদি ডায়াবেটিসজনিত চোখের কোনো সমস্যা; যেমন ঝাপসা দেখা, চোখে ব্যথা কিংবা আলোতে সংবেদনশীলতা ইত্যাদি অনুভব করেন, তবে দ্রুততম সময়ে অবশ্যই একজন চক্ষুবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
ডা. মো. আরমান হোসেন রনি , চক্ষুবিশেষজ্ঞ ও সার্জন, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতাল, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা
শরীরের ব্যথায় কখনো ভোগেনি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজের এক গবেষণা বলছে, বিশ্বে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন শরীরে ব্যথার সমস্যায় ভুগছে। তাদের কারও গিরায় ব্যথা, কারও পেশিতে, আবার কেউ হাড়ের ব্যথায় আক্রান্ত। বাংলাদেশে ব্যথার সমস্যায় ভোগা রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি।
৫ ঘণ্টা আগেদেশে গত এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এক শিশুসহ (১৩) তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই সময়ে হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছে ৩২৫ জন ডেঙ্গু রোগী।
৯ ঘণ্টা আগেহাইপোগ্লাইসিমিয়া বা রক্ত শর্করার স্বল্পতা হলো এমন একটি অবস্থা, যখন রক্তের শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যায়। এ পরিমাণ হয় সাধারণত ৩ দশমিক ৯ মিলিমোলস পার লিটার বা ৭০ মিলি গ্রামস পার ডেসিলিটারের কম। এ সময় কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। সেগুলো হলো—
১৯ ঘণ্টা আগেবর্ষাকাল এলেই বাড়ে সর্দি-কাশি, জ্বরের প্রকোপ। কিন্তু শুধু এসব নয়, এ সময়ে বাড়ছে হৃদ্রোগের সমস্যাও। আগের ধারণা ছিল, হৃদ্রোগ শহরের মানুষের সমস্যা। কিন্তু এখন গ্রামেও এতে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রামীণ জীবন ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আর মানসিক চাপের কারণে বাড়ছে এই ঝুঁকি।
২০ ঘণ্টা আগে