অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের সার্জনরা বিশ্বে প্রথমবারের মতো সফলভাবে মানব মূত্রাশয় প্রতিস্থাপন করেছেন। ৪ মে এই অপারেশন হয়। ৮ ঘণ্টাব্যাপী এই জটিল অস্ত্রোপচারে একজন অঙ্গদাতা থেকে একটি কিডনি ও একটি মূত্রাশয় সংগ্রহ করে সেগুলো রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। ওই রোগী কিডনি রোগ ও ক্যানসারের কারণে তাঁর অঙ্গগুলো হারিয়েছিলেন। বিজ্ঞানবিষয়ক সংবাদমাধ্যম সায়েন্স অ্যালার্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেসের ইউরোলজিস্ট নিমা নাসিরি জানান, কিডনি তাৎক্ষণিকভাবে প্রচুর প্রস্রাব তৈরি করে এবং রোগীর কিডনির কার্যকারিতা দ্রুত উন্নত হয়। অস্ত্রোপচারের পর ডায়ালাইসিসের কোনো প্রয়োজন হয়নি এবং নতুন মূত্রাশয় থেকে প্রস্রাব সঠিকভাবে নিষ্কাশিত হয়েছে। অস্ত্রোপচারের পরপরই রোগী স্বাভাবিকভাবে প্রস্রাব করতে সক্ষম হন, যা তিনি সাত বছর ধরে পারেননি।
বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ মূত্রাশয়জনিত সমস্যায় ভুগছেন। এই অবিশ্বাস্য অর্জন তাঁদের জীবনে পরিবর্তন আনার সম্ভাবনা তৈরি করেছে। ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার ইউরোলজিস্ট ইন্দরবির গিল ব্যাখ্যা করেন, এই অস্ত্রোপচার চিকিৎসাবিজ্ঞানের এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এটি গুরুতর উপসর্গযুক্ত মূত্রাশয় রোগীদের চিকিৎসায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তিনি আরও বলেন, ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন অনেক প্রধান অঙ্গের অবস্থার জন্য একটি জীবনরক্ষাকারী ও জীবন উন্নয়নকারী চিকিৎসা বিকল্প। এখন মূত্রাশয়ও এই তালিকায় যুক্ত হলো।
এই মূত্রাশয় প্রতিস্থাপনের আগে যাঁদের মূত্রাশয় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ছিল, তাঁদের জন্য অন্ত্রের কিছু অংশকে মূত্রাশয়ের ভূমিকা পালনের জন্য ব্যবহার করা হতো। কিন্তু গিল বলেন, ‘এই পদ্ধতিতে ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দেয়। এর মধ্যে হজমের সমস্যা বা কিডনি কার্যকারিতা হ্রাস অন্যতম। কারণ, পরিপাকতন্ত্র ও মূত্রনালির মাইক্রোবায়োমের মধ্যে বিশাল পার্থক্য রয়েছে। তবে মূত্রাশয় প্রতিস্থাপন অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ছিল। কারণ, এটি আমাদের পেটের গভীরে অবস্থিত এবং এর রক্তনালি ব্যবস্থা অত্যন্ত জটিল।’
এই অস্ত্রোপচারের জন্য মেডিকেল টিম চার বছরের বেশি সময় ধরে প্রস্তুতি নিয়েছে। এর মধ্যে ভেন্টিলেটরে থাকা মৃত দাতাদের ওপর রোবট দিয়ে প্রতিস্থাপনের অনুশীলনও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এরপর তারা ৪১ বছর বয়সী অস্কার লারাইনজারের শরীরে নতুন কৌশলগুলো প্রয়োগ করেন। লারাইনজার গত সাত বছর ধরে ডায়ালাইসিসের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন। চার সন্তানের জনক এই ব্যক্তির কয়েক বছর আগে দুটি কিডনি ও বেশির ভাগ মূত্রাশয় বের করে নেওয়া হয়েছিল। একজন গড় পুরুষের মূত্রাশয় ৭০০ মিলিলিটার পর্যন্ত তরল ধারণ করতে পারে, কিন্তু লারাইনজারের অবশিষ্ট মূত্রাশয় মাত্র ৩০ মিলিলিটার ধারণ করতে পারত।
সার্জনরা দাতা অঙ্গ প্রতিস্থাপনের আগে কিছু শিরা ও ধমনি সংযুক্ত করে প্রক্রিয়াটিকে কিছুটা সরল করতে সক্ষম হন। গিল বলেন, ‘পুরো প্রক্রিয়াটি জটিল হওয়া সত্ত্বেও সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়েছে এবং অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। রোগী ভালো আছেন এবং আমরা তাঁর ক্লিনিক্যাল অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট।’ চিকিৎসকেরা মূত্রাশয় প্রতিস্থাপনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য আরও চারটি অস্ত্রোপচারের পরিকল্পনা করছেন। যদি এই চারটি অস্ত্রোপচার সফল হয়, তাহলে বৃহত্তর ট্রায়াল শুরু হবে।
লারাইনজার তাঁর ফলোআপ অ্যাপয়েন্টমেন্টে চিকিৎসকদের বলেন, ‘আমি একটি টাইম বোমা ছিলাম। কিন্তু এখন আমার আশা আছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের সার্জনরা বিশ্বে প্রথমবারের মতো সফলভাবে মানব মূত্রাশয় প্রতিস্থাপন করেছেন। ৪ মে এই অপারেশন হয়। ৮ ঘণ্টাব্যাপী এই জটিল অস্ত্রোপচারে একজন অঙ্গদাতা থেকে একটি কিডনি ও একটি মূত্রাশয় সংগ্রহ করে সেগুলো রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। ওই রোগী কিডনি রোগ ও ক্যানসারের কারণে তাঁর অঙ্গগুলো হারিয়েছিলেন। বিজ্ঞানবিষয়ক সংবাদমাধ্যম সায়েন্স অ্যালার্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেসের ইউরোলজিস্ট নিমা নাসিরি জানান, কিডনি তাৎক্ষণিকভাবে প্রচুর প্রস্রাব তৈরি করে এবং রোগীর কিডনির কার্যকারিতা দ্রুত উন্নত হয়। অস্ত্রোপচারের পর ডায়ালাইসিসের কোনো প্রয়োজন হয়নি এবং নতুন মূত্রাশয় থেকে প্রস্রাব সঠিকভাবে নিষ্কাশিত হয়েছে। অস্ত্রোপচারের পরপরই রোগী স্বাভাবিকভাবে প্রস্রাব করতে সক্ষম হন, যা তিনি সাত বছর ধরে পারেননি।
বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ মূত্রাশয়জনিত সমস্যায় ভুগছেন। এই অবিশ্বাস্য অর্জন তাঁদের জীবনে পরিবর্তন আনার সম্ভাবনা তৈরি করেছে। ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার ইউরোলজিস্ট ইন্দরবির গিল ব্যাখ্যা করেন, এই অস্ত্রোপচার চিকিৎসাবিজ্ঞানের এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এটি গুরুতর উপসর্গযুক্ত মূত্রাশয় রোগীদের চিকিৎসায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তিনি আরও বলেন, ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন অনেক প্রধান অঙ্গের অবস্থার জন্য একটি জীবনরক্ষাকারী ও জীবন উন্নয়নকারী চিকিৎসা বিকল্প। এখন মূত্রাশয়ও এই তালিকায় যুক্ত হলো।
এই মূত্রাশয় প্রতিস্থাপনের আগে যাঁদের মূত্রাশয় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ছিল, তাঁদের জন্য অন্ত্রের কিছু অংশকে মূত্রাশয়ের ভূমিকা পালনের জন্য ব্যবহার করা হতো। কিন্তু গিল বলেন, ‘এই পদ্ধতিতে ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দেয়। এর মধ্যে হজমের সমস্যা বা কিডনি কার্যকারিতা হ্রাস অন্যতম। কারণ, পরিপাকতন্ত্র ও মূত্রনালির মাইক্রোবায়োমের মধ্যে বিশাল পার্থক্য রয়েছে। তবে মূত্রাশয় প্রতিস্থাপন অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ছিল। কারণ, এটি আমাদের পেটের গভীরে অবস্থিত এবং এর রক্তনালি ব্যবস্থা অত্যন্ত জটিল।’
এই অস্ত্রোপচারের জন্য মেডিকেল টিম চার বছরের বেশি সময় ধরে প্রস্তুতি নিয়েছে। এর মধ্যে ভেন্টিলেটরে থাকা মৃত দাতাদের ওপর রোবট দিয়ে প্রতিস্থাপনের অনুশীলনও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এরপর তারা ৪১ বছর বয়সী অস্কার লারাইনজারের শরীরে নতুন কৌশলগুলো প্রয়োগ করেন। লারাইনজার গত সাত বছর ধরে ডায়ালাইসিসের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন। চার সন্তানের জনক এই ব্যক্তির কয়েক বছর আগে দুটি কিডনি ও বেশির ভাগ মূত্রাশয় বের করে নেওয়া হয়েছিল। একজন গড় পুরুষের মূত্রাশয় ৭০০ মিলিলিটার পর্যন্ত তরল ধারণ করতে পারে, কিন্তু লারাইনজারের অবশিষ্ট মূত্রাশয় মাত্র ৩০ মিলিলিটার ধারণ করতে পারত।
সার্জনরা দাতা অঙ্গ প্রতিস্থাপনের আগে কিছু শিরা ও ধমনি সংযুক্ত করে প্রক্রিয়াটিকে কিছুটা সরল করতে সক্ষম হন। গিল বলেন, ‘পুরো প্রক্রিয়াটি জটিল হওয়া সত্ত্বেও সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়েছে এবং অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। রোগী ভালো আছেন এবং আমরা তাঁর ক্লিনিক্যাল অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট।’ চিকিৎসকেরা মূত্রাশয় প্রতিস্থাপনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য আরও চারটি অস্ত্রোপচারের পরিকল্পনা করছেন। যদি এই চারটি অস্ত্রোপচার সফল হয়, তাহলে বৃহত্তর ট্রায়াল শুরু হবে।
লারাইনজার তাঁর ফলোআপ অ্যাপয়েন্টমেন্টে চিকিৎসকদের বলেন, ‘আমি একটি টাইম বোমা ছিলাম। কিন্তু এখন আমার আশা আছে।’
শরীরের ব্যথায় কখনো ভোগেনি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজের এক গবেষণা বলছে, বিশ্বে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন শরীরে ব্যথার সমস্যায় ভুগছে। তাদের কারও গিরায় ব্যথা, কারও পেশিতে, আবার কেউ হাড়ের ব্যথায় আক্রান্ত। বাংলাদেশে ব্যথার সমস্যায় ভোগা রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি।
৪ ঘণ্টা আগেদেশে গত এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এক শিশুসহ (১৩) তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই সময়ে হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছে ৩২৫ জন ডেঙ্গু রোগী।
৯ ঘণ্টা আগেহাইপোগ্লাইসিমিয়া বা রক্ত শর্করার স্বল্পতা হলো এমন একটি অবস্থা, যখন রক্তের শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যায়। এ পরিমাণ হয় সাধারণত ৩ দশমিক ৯ মিলিমোলস পার লিটার বা ৭০ মিলি গ্রামস পার ডেসিলিটারের কম। এ সময় কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। সেগুলো হলো—
১৯ ঘণ্টা আগেবর্ষাকাল এলেই বাড়ে সর্দি-কাশি, জ্বরের প্রকোপ। কিন্তু শুধু এসব নয়, এ সময়ে বাড়ছে হৃদ্রোগের সমস্যাও। আগের ধারণা ছিল, হৃদ্রোগ শহরের মানুষের সমস্যা। কিন্তু এখন গ্রামেও এতে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রামীণ জীবন ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আর মানসিক চাপের কারণে বাড়ছে এই ঝুঁকি।
২০ ঘণ্টা আগে