লে. কর্নেল ডা. নাসির উদ্দিন আহমদ
অনেকের হাত-পা বরফের মতো ঠান্ডা হয়ে থাকে। ঠান্ডা হাওয়ার সংস্পর্শে এলে পা শীতল হবে, এটা স্বাভাবিক বিষয়। শীতের প্রকোপ ছাড়াও অনেক রোগব্যাধিতে এমনটি হতে পারে।
ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ, রক্তশূন্যতা, হাইপোথাইরয়েডিজম, রেনোডস সিনড্রোম, প্রান্তীয় স্নায়বিক রোগ, প্রান্তীয় রক্তনালির রোগ থাকলে এমনটি হতে পারে। এ ছাড়া ভয়, আতঙ্ক, মানসিক আঘাত থাকলে রক্তে বেড়ে যায় অ্যাড্রেনালিন নামক হরমোন।
এটি রক্তনালি সাময়িক সময়ের জন্য সরু করে দেয় বলে পায়ে রক্তপ্রবাহ কমে যায়। ফলে পা ঠান্ডা হয়ে আসে।
হৃদ্রোগে রক্তসঞ্চালনের ক্ষমতা কমে যায়। শরীরে রক্ত সরবরাহ কম হলে পায়ে এর প্রভাব পড়ে বেশি। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেশি থাকলে রক্তনালি সরু হয়ে যায়। এ ছাড়া এতে রক্তনালির স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হয়ে যায়। ডায়াবেটিসে প্রান্তীয় স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এগুলো সবই ঠান্ডা করে দিতে পারে পা।
হিমোগ্লোবিনের অন্যতম প্রধান কাজ হচ্ছে অক্সিজেন বহন করা। রক্তশূন্যতার কারণে শরীরে পর্যাপ্ত অক্সিজেন বাহিত হতে না পারলেও হাত-পা ঠান্ডা হতে পারে।
হাইপোথাইরয়েডিজমের ফলে শরীরে বিপাকীয় কার্যক্রম ব্যাহত হয়। শরীরে ক্যালরি কম উৎপন্ন হয়। ফলে শরীরে অসংখ্য লক্ষণ প্রকাশ পায়। ঠান্ডা সহ্য করার ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া এই রোগের অন্যতম প্রধান লক্ষণ।
রেনোডস সিনড্রোমে রক্তনালি খুব বেশি আক্রান্ত হয়। শীতের কনকনে ঠান্ডা হাওয়ায় সাময়িকভাবে এমনকি রক্তচলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। হাত-পায়ের আঙুল ফ্যাকাশে কিংবা নীলাভ বর্ণ ধারণ করে। এ রোগে অনেক ক্ষেত্রে আঙুলের প্রান্তভাগে আলসার দেখা দেয়। এমনকি গ্যাংগ্রিন সৃষ্টি হতে পারে।
কিছু কিছু রোগে প্রান্তীয় রক্তনালি সরু হয়ে যায়। এগুলোকে বলে পেরিফেরাল আর্টেরিয়াল ডিজিজ। ধূমপায়ী পুরুষের এ রোগ বেশি হয়ে থাকে। এতে পা ঠান্ডা হয়ে যায়। হাঁটলে পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা অনুভূত হয়। গ্যাংগ্রিন হওয়ার কারণে পা কেটে ফেলতে হয়।
যেসব লক্ষণ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে, সেগুলো হলো:
» অস্থিসন্ধিতে ব্যথা
» আঁটসাঁট চামড়া
» ত্বকের রং বদল
» অনুভূতি শক্তি হ্রাস
» আলসার
» স্নায়বিক দুর্বলতা
» ওপরে বর্ণিত যেকোনো রোগের উপস্থিতি
করণীয়
» রক্তচলাচল বাড়াতে হাঁটুন এবং শরীরচর্চা করুন। এতে শরীর গরম হবে, উত্তাপ ছড়িয়ে পড়বে পায়ে।
» শীতের সময় মোজা পরুন হাতে-পায়ে।
» অজু কিংবা গোসলের সময় গরম পানি ব্যবহার করুন।
» পা ঠান্ডা হলে গরম পানিতে পা ডুবিয়ে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। এতে রক্তসঞ্চালন বেড়ে যাবে।
» গরম পানির ব্যাগ ব্যবহার করা যেতে পারে।
» ধূমপান, অ্যালকোহল, অতিরিক্ত কফি থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।
» কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
» মানসিক সমস্যা মুক্ত থাকুন।
» আয়রন, ভিটামিন, ফলিক অ্যাসিড রক্তসঞ্চালনে সাহায্য করে। এগুলো যোগ করুন খাদ্যতালিকায়।
পরামর্শ দিয়েছেন: লে. কর্নেল ডা. নাসির উদ্দিন আহমদ, মেডিসিন স্পেশালিস্ট ও এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট, সিএমএইচ, বরিশাল
অনেকের হাত-পা বরফের মতো ঠান্ডা হয়ে থাকে। ঠান্ডা হাওয়ার সংস্পর্শে এলে পা শীতল হবে, এটা স্বাভাবিক বিষয়। শীতের প্রকোপ ছাড়াও অনেক রোগব্যাধিতে এমনটি হতে পারে।
ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ, রক্তশূন্যতা, হাইপোথাইরয়েডিজম, রেনোডস সিনড্রোম, প্রান্তীয় স্নায়বিক রোগ, প্রান্তীয় রক্তনালির রোগ থাকলে এমনটি হতে পারে। এ ছাড়া ভয়, আতঙ্ক, মানসিক আঘাত থাকলে রক্তে বেড়ে যায় অ্যাড্রেনালিন নামক হরমোন।
এটি রক্তনালি সাময়িক সময়ের জন্য সরু করে দেয় বলে পায়ে রক্তপ্রবাহ কমে যায়। ফলে পা ঠান্ডা হয়ে আসে।
হৃদ্রোগে রক্তসঞ্চালনের ক্ষমতা কমে যায়। শরীরে রক্ত সরবরাহ কম হলে পায়ে এর প্রভাব পড়ে বেশি। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেশি থাকলে রক্তনালি সরু হয়ে যায়। এ ছাড়া এতে রক্তনালির স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হয়ে যায়। ডায়াবেটিসে প্রান্তীয় স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এগুলো সবই ঠান্ডা করে দিতে পারে পা।
হিমোগ্লোবিনের অন্যতম প্রধান কাজ হচ্ছে অক্সিজেন বহন করা। রক্তশূন্যতার কারণে শরীরে পর্যাপ্ত অক্সিজেন বাহিত হতে না পারলেও হাত-পা ঠান্ডা হতে পারে।
হাইপোথাইরয়েডিজমের ফলে শরীরে বিপাকীয় কার্যক্রম ব্যাহত হয়। শরীরে ক্যালরি কম উৎপন্ন হয়। ফলে শরীরে অসংখ্য লক্ষণ প্রকাশ পায়। ঠান্ডা সহ্য করার ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া এই রোগের অন্যতম প্রধান লক্ষণ।
রেনোডস সিনড্রোমে রক্তনালি খুব বেশি আক্রান্ত হয়। শীতের কনকনে ঠান্ডা হাওয়ায় সাময়িকভাবে এমনকি রক্তচলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। হাত-পায়ের আঙুল ফ্যাকাশে কিংবা নীলাভ বর্ণ ধারণ করে। এ রোগে অনেক ক্ষেত্রে আঙুলের প্রান্তভাগে আলসার দেখা দেয়। এমনকি গ্যাংগ্রিন সৃষ্টি হতে পারে।
কিছু কিছু রোগে প্রান্তীয় রক্তনালি সরু হয়ে যায়। এগুলোকে বলে পেরিফেরাল আর্টেরিয়াল ডিজিজ। ধূমপায়ী পুরুষের এ রোগ বেশি হয়ে থাকে। এতে পা ঠান্ডা হয়ে যায়। হাঁটলে পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা অনুভূত হয়। গ্যাংগ্রিন হওয়ার কারণে পা কেটে ফেলতে হয়।
যেসব লক্ষণ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে, সেগুলো হলো:
» অস্থিসন্ধিতে ব্যথা
» আঁটসাঁট চামড়া
» ত্বকের রং বদল
» অনুভূতি শক্তি হ্রাস
» আলসার
» স্নায়বিক দুর্বলতা
» ওপরে বর্ণিত যেকোনো রোগের উপস্থিতি
করণীয়
» রক্তচলাচল বাড়াতে হাঁটুন এবং শরীরচর্চা করুন। এতে শরীর গরম হবে, উত্তাপ ছড়িয়ে পড়বে পায়ে।
» শীতের সময় মোজা পরুন হাতে-পায়ে।
» অজু কিংবা গোসলের সময় গরম পানি ব্যবহার করুন।
» পা ঠান্ডা হলে গরম পানিতে পা ডুবিয়ে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। এতে রক্তসঞ্চালন বেড়ে যাবে।
» গরম পানির ব্যাগ ব্যবহার করা যেতে পারে।
» ধূমপান, অ্যালকোহল, অতিরিক্ত কফি থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।
» কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
» মানসিক সমস্যা মুক্ত থাকুন।
» আয়রন, ভিটামিন, ফলিক অ্যাসিড রক্তসঞ্চালনে সাহায্য করে। এগুলো যোগ করুন খাদ্যতালিকায়।
পরামর্শ দিয়েছেন: লে. কর্নেল ডা. নাসির উদ্দিন আহমদ, মেডিসিন স্পেশালিস্ট ও এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট, সিএমএইচ, বরিশাল
পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের সিটি স্ক্যান মেশিনের ফিল্মসংকট দেখা দিয়েছে। এতে সিটি স্ক্যান করার প্রয়োজন এমন রোগী ও তাঁদের স্বজনদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে যাঁদের জরুরি ভিত্তিতে সিটি স্ক্যান করা প্রয়োজন, তাঁরা পড়ছেন সবচেয়ে বেশি...
৩ ঘণ্টা আগেআশার কথা হলো, পরিবর্তন আসছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক যুগান্তকারী পরীক্ষায় দেখা গেছে, তীব্রভাবে চিনাবাদামের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত দুই-তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ককে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে চিনাবাদাম খাইয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় আনা সম্ভব হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগেঅতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার বা ‘আল্ট্রা প্রসেসড ফুড’ (ইউপিএফ) বেশি খাওয়ার কারণে শুধু স্থূলতা, হতাশা, ডায়াবেটিস কিংবা হৃদরোগই নয়, বাড়ছে অকালমৃত্যুর ঝুঁকিও। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এই ধরনের খাবার খাওয়ার কারণে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু ঘটছে।
১৪ ঘণ্টা আগেদেশের প্রায় পাঁচ লাখ শিশু সময়মতো টিকার সব ডোজ পাচ্ছে না। তাদের মধ্যে ৭০ হাজার শিশু কোনো টিকাই পায় না। টিকা না পাওয়ার হার শহরাঞ্চলে বেশি। টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলেও এসব তথ্য উঠে এসেছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)...
১ দিন আগে