দূষণ ও বিষাক্ত উপাদানে পরিপূর্ণ জীবনযাত্রা শরীরের পুষ্টির চাহিদাকে ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দেয়, যা অনেক সময় আমাদের খাদ্য গ্রহণের তুলনায় বেশি হয়ে যায়। এমনকি সঠিক খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করেও আমরা যথেষ্ট পুষ্টি পাচ্ছি না, কারণ বর্তমান সময়ে খাবারের পুষ্টিগুণ আগের দশকগুলোর তুলনায় অনেক কমে গেছে। এভাবেই শরীরের চাহিদা খাদ্যে মেটানো সম্ভব না হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন ভারতের পুষ্টিবিদ সুয়াশ ভান্ডারি। তিনি সাপ্লিমেন্ট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আইথ্রাইভ এসেনশিয়ালের প্রধান।
ভান্ডারি জানান, প্রচলিত কৃষি পদ্ধতি এবং পুষ্টিহীন মাটি খাদ্যের প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ অনেকাংশেই কমে গেছে। এর পাশাপাশি, প্রতিদিনের মানসিক চাপ, যেমন—সময়সীমা মেনে কাজ করা, দিনের পর দিন স্ক্রিনের সামনে বসে থাকা, আর্থিক চাপে থাকা ও আবেগজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা—এসবই আমাদের শরীরের পুষ্টি মজুদ আরও দ্রুত কমিয়ে দেয়। এসব কারণেই উচ্চমানের সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সুয়াশ ভান্ডারি বলেন, তবে মনে রাখতে হবে, সব সাপ্লিমেন্ট একরকম নয়—গুণগত মানের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন।
আয়রন
পুষ্টিবিদ সুয়াশ বলেন, আয়রনের মাত্রা পর্যবেক্ষণ না করে সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করলে হেমোক্রোমাটোসিস (অতিরিক্ত আয়রন জমা হওয়া) হতে পারে, যা অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোর ক্ষতি করতে পারে।
ভারতের অ্যাপোলো হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, অতিরিক্ত আয়রনের কারণে লিভার সিরোসিস হতে পারে। অগ্ন্যাশয়ে আয়রন জমা হলে টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। হৃদপিণ্ডে আয়রন জমা হলে কার্ডিওমায়োপ্যাথি হতে পারে।
ক্যালসিয়াম
ভিটামিন ডি ও ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা না জেনে ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করলে সফট টিস্যু ক্যালসিফিকেশন হতে পারে, যার ফলে জয়েন্ট বা অভ্যন্তরীণ অঙ্গে ক্যালসিয়াম স্টোন জমা হতে পারে।
ভিটামিন ই
সুয়াশ ভান্ডারি বলেন, উচ্চ মাত্রায় (আন্তর্জাতিক মান ৪০০-এর বেশি) ভিটামিন ই গ্রহণ করলে এটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমানোর পরিবর্তে বাড়িয়ে দিতে পারে, যা প্রদাহ (ইনফ্লেমেশন) বৃদ্ধি করতে পারে।
ভিটামিন এ
দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিদিন ১০ হাজারের বেশি ভিটামিন এ গ্রহণ করলে হাইপারভিটামিনোসিস অর্ধাৎ ভিটামিন এ বিষক্রিয়া হতে পারে। শরীরে ভিটামিন এ বেড়ে গেলে মাথা ব্যথা, শরীরে ব্যথা ও বমির লক্ষণ দেখা যায়।
পুষ্টিবিদ সুয়াশ বলেন, সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের আগে নিশ্চিত করা জরুরি, এগুলোর মধ্যে অপ্রয়োজনীয় সংযোজন, ফিলার, সংরক্ষণকারী উপাদান, কৃত্রিম রং, মিষ্টি করার উপাদান বা ভারী ধাতুর মতো দূষিত পদার্থ নেই। পাশাপাশি, সঠিক মাত্রা (ডোজ) নির্ধারণ করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
সুয়াশ ভান্ডারি বলেন, ‘এমনকি গ্লুটাথিওন বা এনএডি+ এর মতো দীর্ঘায়ু বৃদ্ধির জন্য ব্যবহৃত সাপ্লিমেন্টও ভুল মাত্রায় গ্রহণ করলে উপকারের চেয়ে বেশি ক্ষতিকর হতে পারে। প্রতিটি মানুষের শারীরিক চাহিদা ভিন্ন, তাই সঠিকভাবে সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের একমাত্র উপায় হলো নিজের শরীরের বর্তমান অবস্থা জানা। এর মধ্যে আপনার খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাত্রা, মানসিক চাপের মাত্রা এবং অভ্যন্তরীণ শারীরিক অবস্থার সবকিছু অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে।’
দূষণ ও বিষাক্ত উপাদানে পরিপূর্ণ জীবনযাত্রা শরীরের পুষ্টির চাহিদাকে ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দেয়, যা অনেক সময় আমাদের খাদ্য গ্রহণের তুলনায় বেশি হয়ে যায়। এমনকি সঠিক খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করেও আমরা যথেষ্ট পুষ্টি পাচ্ছি না, কারণ বর্তমান সময়ে খাবারের পুষ্টিগুণ আগের দশকগুলোর তুলনায় অনেক কমে গেছে। এভাবেই শরীরের চাহিদা খাদ্যে মেটানো সম্ভব না হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন ভারতের পুষ্টিবিদ সুয়াশ ভান্ডারি। তিনি সাপ্লিমেন্ট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আইথ্রাইভ এসেনশিয়ালের প্রধান।
ভান্ডারি জানান, প্রচলিত কৃষি পদ্ধতি এবং পুষ্টিহীন মাটি খাদ্যের প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ অনেকাংশেই কমে গেছে। এর পাশাপাশি, প্রতিদিনের মানসিক চাপ, যেমন—সময়সীমা মেনে কাজ করা, দিনের পর দিন স্ক্রিনের সামনে বসে থাকা, আর্থিক চাপে থাকা ও আবেগজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা—এসবই আমাদের শরীরের পুষ্টি মজুদ আরও দ্রুত কমিয়ে দেয়। এসব কারণেই উচ্চমানের সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সুয়াশ ভান্ডারি বলেন, তবে মনে রাখতে হবে, সব সাপ্লিমেন্ট একরকম নয়—গুণগত মানের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন।
আয়রন
পুষ্টিবিদ সুয়াশ বলেন, আয়রনের মাত্রা পর্যবেক্ষণ না করে সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করলে হেমোক্রোমাটোসিস (অতিরিক্ত আয়রন জমা হওয়া) হতে পারে, যা অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোর ক্ষতি করতে পারে।
ভারতের অ্যাপোলো হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, অতিরিক্ত আয়রনের কারণে লিভার সিরোসিস হতে পারে। অগ্ন্যাশয়ে আয়রন জমা হলে টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। হৃদপিণ্ডে আয়রন জমা হলে কার্ডিওমায়োপ্যাথি হতে পারে।
ক্যালসিয়াম
ভিটামিন ডি ও ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা না জেনে ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করলে সফট টিস্যু ক্যালসিফিকেশন হতে পারে, যার ফলে জয়েন্ট বা অভ্যন্তরীণ অঙ্গে ক্যালসিয়াম স্টোন জমা হতে পারে।
ভিটামিন ই
সুয়াশ ভান্ডারি বলেন, উচ্চ মাত্রায় (আন্তর্জাতিক মান ৪০০-এর বেশি) ভিটামিন ই গ্রহণ করলে এটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমানোর পরিবর্তে বাড়িয়ে দিতে পারে, যা প্রদাহ (ইনফ্লেমেশন) বৃদ্ধি করতে পারে।
ভিটামিন এ
দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিদিন ১০ হাজারের বেশি ভিটামিন এ গ্রহণ করলে হাইপারভিটামিনোসিস অর্ধাৎ ভিটামিন এ বিষক্রিয়া হতে পারে। শরীরে ভিটামিন এ বেড়ে গেলে মাথা ব্যথা, শরীরে ব্যথা ও বমির লক্ষণ দেখা যায়।
পুষ্টিবিদ সুয়াশ বলেন, সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের আগে নিশ্চিত করা জরুরি, এগুলোর মধ্যে অপ্রয়োজনীয় সংযোজন, ফিলার, সংরক্ষণকারী উপাদান, কৃত্রিম রং, মিষ্টি করার উপাদান বা ভারী ধাতুর মতো দূষিত পদার্থ নেই। পাশাপাশি, সঠিক মাত্রা (ডোজ) নির্ধারণ করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
সুয়াশ ভান্ডারি বলেন, ‘এমনকি গ্লুটাথিওন বা এনএডি+ এর মতো দীর্ঘায়ু বৃদ্ধির জন্য ব্যবহৃত সাপ্লিমেন্টও ভুল মাত্রায় গ্রহণ করলে উপকারের চেয়ে বেশি ক্ষতিকর হতে পারে। প্রতিটি মানুষের শারীরিক চাহিদা ভিন্ন, তাই সঠিকভাবে সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের একমাত্র উপায় হলো নিজের শরীরের বর্তমান অবস্থা জানা। এর মধ্যে আপনার খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাত্রা, মানসিক চাপের মাত্রা এবং অভ্যন্তরীণ শারীরিক অবস্থার সবকিছু অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে।’
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কারও মৃত্যু হয়নি। তবে এ সময়ে সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরও ১৯০ জন রোগী। আজ শুক্রবার (৮ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরও ৪০৮ জন ডেঙ্গু রোগী।
১ দিন আগেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ৩১৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৩ দিন আগেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও দুজন চিকিৎসাধীন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আরও ৩৯৫ জন ডেঙ্গু রোগী সারা দেশের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
৪ দিন আগে