ক্রনিক কিডনি ডিজিজ
ডা. তানিয়া মাহবুব
কিডনি রোগীদের একটি সাধারণ জিজ্ঞাসা, তাঁরা রোজা রাখতে সক্ষম কি না। একজন কিডনি রোগী রোজা পালন করতে পারবেন কি না, তা নির্ভর করে তাঁর সার্বিক শারীরিক সুস্থতা ও কিডনির কার্যক্ষমতার ওপর।
ক্রনিক কিডনি ডিজিজ বা সিকেডি স্টেজ ১ থেকে ৫ পর্যন্ত পাঁচ ভাগে বিভক্ত। এর শেষ ধাপ ইন্ড স্টেজ রেনাল ডিজিজ বা ইএসআরডি। এই স্টেজে রোগীকে ডায়ালাইসিসে নির্ভর থাকতে হয়।
এ ক্ষেত্রে যাঁরা স্টেজ ৪, ৫ এবং ইএসআরডির রোগী বা যাঁরা পেরিটোনিয়াল বা হেমোডায়ালাইসিস নির্ভর, তাঁরা রোজা রাখার জন্য সম্পূর্ণভাবে অনুপযুক্ত। তবে সিকেডি স্টেজ ১, ২ ও ৩-এ আক্রান্ত রোগী একজন কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে থেকে, তাঁর নির্দেশনা মেনে এবং আনুষঙ্গিক স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনা করে রোজা রাখতে পারেন।
কিডনি রোগীদের একটি বিরাট অংশ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এ ক্ষেত্রে যাঁদের ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত এবং ইতিমধ্যে যাঁরা ডায়াবেটিসজনিত বিভিন্ন জটিলতা যেমন—রক্তে চিনির পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত বেশি বা কম অর্থাৎ, হাইপোগ্লাইসেমিয়া ও হাইপারগ্লাইসেমিয়া ও ডায়াবেটিক কিটোএসিডোসিসে ভুগেছেন, তাঁদের রোজা রাখা যাবে না। এ ছাড়া যাঁদের দিনে তিনবার কিংবা ততোধিক বার ইনসুলিন গ্রহণ করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়, তাঁরাও রোজা রাখার উপযুক্ত নন।
যেসব কিডনি রোগী বারবার কিডনির পাথরে আক্রান্ত হন বা যাঁদের প্রায়শই প্রস্রাবে সংক্রমণ হয়, তাঁদের জন্য রোজা রাখা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, পানিশূন্যতা এই রোগের উপসর্গগুলো বাড়াতে পারে। এ ক্ষেত্রে তাঁরা রোজা রাখলেও ইফতারের পর পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। এ ছাড়া কিডনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শে কিডনির কার্যকারিতা নিয়মিত পরীক্ষা করাতে হবে।
কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট রোগীর কিডনি পূর্ণ কার্যক্ষম থাকা সত্ত্বেও তাদের প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ইমিউনোসপ্রেসেন্ট সেবন করতে হয়। কিন্তু রোজা রেখে সময়মতো
এই ওষুধ গ্রহণ করা অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না বিধায় তাঁদের রোজা রাখা অনুচিত। নিয়মিত ও সঠিক সময়ে এই ওষুধ গ্রহণ না করলে কিডনি অকার্যকর হয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে।
কিডনি রোগীদের শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা অন্যান্য রোগীর তুলনায় সাধারণত বেশি থাকে। মাত্রাতিরিক্ত পটাশিয়াম হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। কাজেই তাঁদের পটাশিয়ামযুক্ত খাবার; যেমন খেজুর, কলা, কমলা, মাল্টা, ডাব প্রভৃতি ফল খাওয়া বাদ দিতে হবে।
কনসালট্যান্ট নেফ্রোলজি, প্রাভা হেলথ
কিডনি রোগীদের একটি সাধারণ জিজ্ঞাসা, তাঁরা রোজা রাখতে সক্ষম কি না। একজন কিডনি রোগী রোজা পালন করতে পারবেন কি না, তা নির্ভর করে তাঁর সার্বিক শারীরিক সুস্থতা ও কিডনির কার্যক্ষমতার ওপর।
ক্রনিক কিডনি ডিজিজ বা সিকেডি স্টেজ ১ থেকে ৫ পর্যন্ত পাঁচ ভাগে বিভক্ত। এর শেষ ধাপ ইন্ড স্টেজ রেনাল ডিজিজ বা ইএসআরডি। এই স্টেজে রোগীকে ডায়ালাইসিসে নির্ভর থাকতে হয়।
এ ক্ষেত্রে যাঁরা স্টেজ ৪, ৫ এবং ইএসআরডির রোগী বা যাঁরা পেরিটোনিয়াল বা হেমোডায়ালাইসিস নির্ভর, তাঁরা রোজা রাখার জন্য সম্পূর্ণভাবে অনুপযুক্ত। তবে সিকেডি স্টেজ ১, ২ ও ৩-এ আক্রান্ত রোগী একজন কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে থেকে, তাঁর নির্দেশনা মেনে এবং আনুষঙ্গিক স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনা করে রোজা রাখতে পারেন।
কিডনি রোগীদের একটি বিরাট অংশ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এ ক্ষেত্রে যাঁদের ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত এবং ইতিমধ্যে যাঁরা ডায়াবেটিসজনিত বিভিন্ন জটিলতা যেমন—রক্তে চিনির পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত বেশি বা কম অর্থাৎ, হাইপোগ্লাইসেমিয়া ও হাইপারগ্লাইসেমিয়া ও ডায়াবেটিক কিটোএসিডোসিসে ভুগেছেন, তাঁদের রোজা রাখা যাবে না। এ ছাড়া যাঁদের দিনে তিনবার কিংবা ততোধিক বার ইনসুলিন গ্রহণ করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়, তাঁরাও রোজা রাখার উপযুক্ত নন।
যেসব কিডনি রোগী বারবার কিডনির পাথরে আক্রান্ত হন বা যাঁদের প্রায়শই প্রস্রাবে সংক্রমণ হয়, তাঁদের জন্য রোজা রাখা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, পানিশূন্যতা এই রোগের উপসর্গগুলো বাড়াতে পারে। এ ক্ষেত্রে তাঁরা রোজা রাখলেও ইফতারের পর পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। এ ছাড়া কিডনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শে কিডনির কার্যকারিতা নিয়মিত পরীক্ষা করাতে হবে।
কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট রোগীর কিডনি পূর্ণ কার্যক্ষম থাকা সত্ত্বেও তাদের প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ইমিউনোসপ্রেসেন্ট সেবন করতে হয়। কিন্তু রোজা রেখে সময়মতো
এই ওষুধ গ্রহণ করা অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না বিধায় তাঁদের রোজা রাখা অনুচিত। নিয়মিত ও সঠিক সময়ে এই ওষুধ গ্রহণ না করলে কিডনি অকার্যকর হয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে।
কিডনি রোগীদের শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা অন্যান্য রোগীর তুলনায় সাধারণত বেশি থাকে। মাত্রাতিরিক্ত পটাশিয়াম হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। কাজেই তাঁদের পটাশিয়ামযুক্ত খাবার; যেমন খেজুর, কলা, কমলা, মাল্টা, ডাব প্রভৃতি ফল খাওয়া বাদ দিতে হবে।
কনসালট্যান্ট নেফ্রোলজি, প্রাভা হেলথ
আশার কথা হলো, পরিবর্তন আসছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক যুগান্তকারী পরীক্ষায় দেখা গেছে, তীব্রভাবে চিনাবাদামের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত দুই-তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ককে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে চিনাবাদাম খাইয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় আনা সম্ভব হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেঅতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার বা ‘আল্ট্রা প্রসেসড ফুড’ (ইউপিএফ) বেশি খাওয়ার কারণে শুধু স্থূলতা, হতাশা, ডায়াবেটিস কিংবা হৃদরোগই নয়, বাড়ছে অকালমৃত্যুর ঝুঁকিও। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এই ধরনের খাবার খাওয়ার কারণে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু ঘটছে।
৯ ঘণ্টা আগেদেশের প্রায় পাঁচ লাখ শিশু সময়মতো টিকার সব ডোজ পাচ্ছে না। তাদের মধ্যে ৭০ হাজার শিশু কোনো টিকাই পায় না। টিকা না পাওয়ার হার শহরাঞ্চলে বেশি। টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলেও এসব তথ্য উঠে এসেছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)...
২১ ঘণ্টা আগেভিটামিন ‘ডি’-এর অভাবে অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে; বিশেষ করে হৃদ্রোগ, কিডনি রোগ, বিষণ্নতাজনিত রোগ, রক্তে চর্বি বেড়ে যাওয়া, হাড় ক্ষয়, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসতন্ত্রের রোগ, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস, কম ওজনে জন্ম নেওয়া, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে। গতকাল সোমবার রাজধানীতে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব
১ দিন আগে