রমজান মাসজুড়ে রোজা রাখার বিধান মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের। ধর্মীয় এই আচারের মধ্য দিয়ে মূলত সংযমের অনুশীলন এবং দীন-দুঃখী মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার শিক্ষা গ্রহণ করে এই ধর্মের মানুষ। তবে মুসলিম ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের এই মাসটিতে প্রায় সময়ই দেখা যায় অন্য ধর্মেরও কেউ কেউ উপোস থাকছেন এবং নিজের ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী আরও বেশি বেশি প্রার্থনায় মগ্ন হয়েছেন। সম্প্রতি এ ধরনের কয়েকজন ব্যক্তির মুখোমুখি হয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের পত্রিকা দ্য ন্যাশনাল।
প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রতি বছরই রোজা রাখেন ৪৬ বছর বয়সী ভারতীয় চিকিৎসক ড. শিবা কৃষ্ণা কোটা। আবুধাবির একটি প্রসূতি হাসপাতালে কাজ করেন তিনি। রোজা রাখার কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, পবিত্র এই মাসটির শান্তি তাঁকে প্রার্থনার সঙ্গে সংযোগ ঘটাতে সাহায্য করে।
অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট শিবা কৃষ্ণা প্রথমবারের মতো রোজা রাখতে শুরু করেছিলেন ২০১১ সালে। সেই সময়টিতে তিনি সৌদি আরবে কাজ করতেন। একবার রোজা রেখেই তিনি আবিষ্কার করেছিলেন এই অনুশীলন তাঁকে মানসিক প্রশান্তি দেয় এবং প্রার্থনায় আরও বেশি মনোযোগী করে।
শিবা কৃষ্ণা বলেন, ‘প্রথম বছর ঈশ্বরের কাছে আমার দুটি প্রার্থনা ছিল। এর মধ্যে একটি হলো—মেডিকেল লাইসেন্সের জন্য আমার বন্ধু পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল এবং এটাই ছিল তার শেষ সুযোগ। আর আমার ছোট ভাই একটি সন্তানের জন্য পাঁচ বছর ধরে চেষ্টা করছিল। সে যাত্রায় আমার দুটি প্রার্থনাই সত্যি হয়। বন্ধু পাশ করার পাশাপাশি সন্তান লাভ করে আমার ভাই।’
এরপরই শিবা কৃষ্ণার উপলব্ধি হয়—ঈশ্বরের কাছ থেকে কোনো কিছু পাওয়ার আশায় তিনি প্রার্থনা করতে চান না। দ্বিতীয় বছর থেকে কোনো কিছু পাওয়ার আশা না করেই তিনি রোজা রাখছেন এবং প্রার্থনা করে যাচ্ছেন।
শিবা কৃষ্ণা বলেন, ‘আমি বুঝতে শুরু করেছি, বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে পার্থক্য খোঁজার বদলে আসলে মিল খুঁজে পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যদি আমরা এটি করি তবে পৃথিবী একটি চমৎকার জায়গা হবে।’
এদিকে দুবাইয়ে বসবাস করা মিশেল ওরিবেল্লো রোজার মাসে উপোস থাকছেন গত আট বছর ধরে। বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী এই ফিলিপিনো মনে করেন, এই অনুশীলন তাঁকে নীরবতা এবং প্রশান্তির যে শিক্ষা দেয় তা দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব রাখে।
৩৬ বছর বয়সী এই নারী বলেন, ‘এই সময়টিতে আপনি আপনার আত্মার সঙ্গে আরও বেশি একাত্ম হয়ে যান। আপনি আপনার ঈশ্বরের সঙ্গে কথা বলার সময় আপনার প্রার্থনার গাম্ভীর্য অনুভব করেন।’
ওরিবেল্লো একজন জনসংযোগ কর্মকর্তা। তিনি শারীরিক ব্যায়ামেও উৎসাহী এবং রমজান মাসেও তিনি এটি চালিয়ে যান। সারা দিন রোজা রাখার পর খেজুর এবং ফল দিয়ে তিনি তাঁর উপোস ভঙ্গ করেন। পরে ১০ কিলোমিটার জগিং এবং ব্যায়াম অনুশীলন করে রাতের খাবার গ্রহণ করেন। আর সাহরির সময়ও তিনি ফল ফলাদি সহ ছোট্ট একটি আহার গ্রহণ করেন।
২০১৬ সালে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে একাত্ম হয়ে রোজা রাখতে শুরু করেছিলেন ওরিবেল্লো। তবে অন্যরা এটি চালিয়ে না গেলেও তিনি ঠিকই চালিয়ে যাচ্ছেন। ওরিবেল্লো বলেন, ‘আমি সত্যিই রমজানের সময় স্বাস্থ্য উপকারিতা অনুভব করি। এটি আমাকে আরও শক্তি দেয়। আমি সত্যই শক্তিশালী হয়ে উঠি।’
আরব আমিরাতের ব্যাংক খাতে কাজ করা জয়রাজ বাসাক্রান নামে শ্রীলঙ্কান এক নাগরিক অবশ্য প্রতি রমজানেই ব্যতিক্রম একটি কাজ করেন। তিনি গরিব দুঃখী মানুষের জন্য খাবার রান্না করেন এবং রোজা রাখার পাশাপাশি তিনি খাবারগুলো বিলি করেন। গত চার বছর ধরে তিনি এই অনুশীলনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন।
২০২০ সালে শ্রীলঙ্কার একটি কমিউনিটি গ্রুপের কর্মীদের সঙ্গে ইফতারের খাবার বিতরণ করার পর রোজা রাখতে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন জয়রাজ। তিনি বলেন, ‘উপবাসের বাইরেও আমি এটি করতে পেরে আনন্দিত বোধ করি এবং এটি আমাকে আমি যে সমাজে বাস করি তার সঙ্গে সংযোগ ঘটায়।’
এ ছাড়া রোজা অনুশীলন ওজন কমাতে সাহায্য করে বলেও দাবি করেন জয়রাজ। চিকিৎসকেরা তাঁকে পরামর্শ দিয়েছেন—উপবাসের ফলে শারীরিক প্রদাহ কমা ছাড়াও অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে এবং আরও অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা দেখা যায়।
রমজান মাসজুড়ে রোজা রাখার বিধান মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের। ধর্মীয় এই আচারের মধ্য দিয়ে মূলত সংযমের অনুশীলন এবং দীন-দুঃখী মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার শিক্ষা গ্রহণ করে এই ধর্মের মানুষ। তবে মুসলিম ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের এই মাসটিতে প্রায় সময়ই দেখা যায় অন্য ধর্মেরও কেউ কেউ উপোস থাকছেন এবং নিজের ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী আরও বেশি বেশি প্রার্থনায় মগ্ন হয়েছেন। সম্প্রতি এ ধরনের কয়েকজন ব্যক্তির মুখোমুখি হয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের পত্রিকা দ্য ন্যাশনাল।
প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রতি বছরই রোজা রাখেন ৪৬ বছর বয়সী ভারতীয় চিকিৎসক ড. শিবা কৃষ্ণা কোটা। আবুধাবির একটি প্রসূতি হাসপাতালে কাজ করেন তিনি। রোজা রাখার কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, পবিত্র এই মাসটির শান্তি তাঁকে প্রার্থনার সঙ্গে সংযোগ ঘটাতে সাহায্য করে।
অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট শিবা কৃষ্ণা প্রথমবারের মতো রোজা রাখতে শুরু করেছিলেন ২০১১ সালে। সেই সময়টিতে তিনি সৌদি আরবে কাজ করতেন। একবার রোজা রেখেই তিনি আবিষ্কার করেছিলেন এই অনুশীলন তাঁকে মানসিক প্রশান্তি দেয় এবং প্রার্থনায় আরও বেশি মনোযোগী করে।
শিবা কৃষ্ণা বলেন, ‘প্রথম বছর ঈশ্বরের কাছে আমার দুটি প্রার্থনা ছিল। এর মধ্যে একটি হলো—মেডিকেল লাইসেন্সের জন্য আমার বন্ধু পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল এবং এটাই ছিল তার শেষ সুযোগ। আর আমার ছোট ভাই একটি সন্তানের জন্য পাঁচ বছর ধরে চেষ্টা করছিল। সে যাত্রায় আমার দুটি প্রার্থনাই সত্যি হয়। বন্ধু পাশ করার পাশাপাশি সন্তান লাভ করে আমার ভাই।’
এরপরই শিবা কৃষ্ণার উপলব্ধি হয়—ঈশ্বরের কাছ থেকে কোনো কিছু পাওয়ার আশায় তিনি প্রার্থনা করতে চান না। দ্বিতীয় বছর থেকে কোনো কিছু পাওয়ার আশা না করেই তিনি রোজা রাখছেন এবং প্রার্থনা করে যাচ্ছেন।
শিবা কৃষ্ণা বলেন, ‘আমি বুঝতে শুরু করেছি, বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে পার্থক্য খোঁজার বদলে আসলে মিল খুঁজে পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যদি আমরা এটি করি তবে পৃথিবী একটি চমৎকার জায়গা হবে।’
এদিকে দুবাইয়ে বসবাস করা মিশেল ওরিবেল্লো রোজার মাসে উপোস থাকছেন গত আট বছর ধরে। বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী এই ফিলিপিনো মনে করেন, এই অনুশীলন তাঁকে নীরবতা এবং প্রশান্তির যে শিক্ষা দেয় তা দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব রাখে।
৩৬ বছর বয়সী এই নারী বলেন, ‘এই সময়টিতে আপনি আপনার আত্মার সঙ্গে আরও বেশি একাত্ম হয়ে যান। আপনি আপনার ঈশ্বরের সঙ্গে কথা বলার সময় আপনার প্রার্থনার গাম্ভীর্য অনুভব করেন।’
ওরিবেল্লো একজন জনসংযোগ কর্মকর্তা। তিনি শারীরিক ব্যায়ামেও উৎসাহী এবং রমজান মাসেও তিনি এটি চালিয়ে যান। সারা দিন রোজা রাখার পর খেজুর এবং ফল দিয়ে তিনি তাঁর উপোস ভঙ্গ করেন। পরে ১০ কিলোমিটার জগিং এবং ব্যায়াম অনুশীলন করে রাতের খাবার গ্রহণ করেন। আর সাহরির সময়ও তিনি ফল ফলাদি সহ ছোট্ট একটি আহার গ্রহণ করেন।
২০১৬ সালে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে একাত্ম হয়ে রোজা রাখতে শুরু করেছিলেন ওরিবেল্লো। তবে অন্যরা এটি চালিয়ে না গেলেও তিনি ঠিকই চালিয়ে যাচ্ছেন। ওরিবেল্লো বলেন, ‘আমি সত্যিই রমজানের সময় স্বাস্থ্য উপকারিতা অনুভব করি। এটি আমাকে আরও শক্তি দেয়। আমি সত্যই শক্তিশালী হয়ে উঠি।’
আরব আমিরাতের ব্যাংক খাতে কাজ করা জয়রাজ বাসাক্রান নামে শ্রীলঙ্কান এক নাগরিক অবশ্য প্রতি রমজানেই ব্যতিক্রম একটি কাজ করেন। তিনি গরিব দুঃখী মানুষের জন্য খাবার রান্না করেন এবং রোজা রাখার পাশাপাশি তিনি খাবারগুলো বিলি করেন। গত চার বছর ধরে তিনি এই অনুশীলনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন।
২০২০ সালে শ্রীলঙ্কার একটি কমিউনিটি গ্রুপের কর্মীদের সঙ্গে ইফতারের খাবার বিতরণ করার পর রোজা রাখতে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন জয়রাজ। তিনি বলেন, ‘উপবাসের বাইরেও আমি এটি করতে পেরে আনন্দিত বোধ করি এবং এটি আমাকে আমি যে সমাজে বাস করি তার সঙ্গে সংযোগ ঘটায়।’
এ ছাড়া রোজা অনুশীলন ওজন কমাতে সাহায্য করে বলেও দাবি করেন জয়রাজ। চিকিৎসকেরা তাঁকে পরামর্শ দিয়েছেন—উপবাসের ফলে শারীরিক প্রদাহ কমা ছাড়াও অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে এবং আরও অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা দেখা যায়।
গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্লাস্টিক পণ্যে রয়েছে ‘থ্যালেটস’ (Phthalates) নামক রাসায়নিক পদার্থ। আর এই থ্যালেটস কোনো নির্বিরোধী রাসায়নিক উপাদান নয়। এর কারণে মৃত্যুর ঘটনা অনেক বেশি। থ্যালেটসের সংস্পর্শে আসার কারণে ২০১৮ সালে বিশ্বব্যাপী ৩ লাখ ৫৬ হাজারেরও বেশি মানুষের হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবর
১৮ ঘণ্টা আগেপুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের সিটি স্ক্যান মেশিনের ফিল্মসংকট দেখা দিয়েছে। এতে সিটি স্ক্যান করার প্রয়োজন এমন রোগী ও তাঁদের স্বজনদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে যাঁদের জরুরি ভিত্তিতে সিটি স্ক্যান করা প্রয়োজন, তাঁরা পড়ছেন সবচেয়ে বেশি...
১ দিন আগেআশার কথা হলো, পরিবর্তন আসছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক যুগান্তকারী পরীক্ষায় দেখা গেছে, তীব্রভাবে চিনাবাদামের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত দুই-তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ককে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে চিনাবাদাম খাইয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় আনা সম্ভব হয়েছে।
২ দিন আগেঅতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার বা ‘আল্ট্রা প্রসেসড ফুড’ (ইউপিএফ) বেশি খাওয়ার কারণে শুধু স্থূলতা, হতাশা, ডায়াবেটিস কিংবা হৃদরোগই নয়, বাড়ছে অকালমৃত্যুর ঝুঁকিও। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এই ধরনের খাবার খাওয়ার কারণে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু ঘটছে।
২ দিন আগে