Ajker Patrika

কালাজ্বরের ঝুঁকিতে ৩ কোটি ৮০ লাখ মানুষ

কালাজ্বরের ঝুঁকিতে ৩ কোটি ৮০ লাখ মানুষ

বাংলাদেশের ২৬টি জেলার ১০০টি উপজেলা কালাজ্বর প্রবণ। এসব এলাকায় বসবাসকারী প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ মানুষ কালাজ্বরের ঝুঁকিতে রয়েছে। 

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে কালাজ্বর নির্মূলে সেন্টার অফ এক্সিলেন্স কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। 

বাংলাদেশে জাতীয় কালাজ্বর নির্মূল কর্মসূচি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের কৌশলগত কাঠামো অনুসরণ করে জাতীয় কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে। পরবর্তীতে বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে কালাজ্বর রোগের সংক্রমণ কমিয়ে এনেছে। এমনকি ২০১৭ সাল থেকে জাতীয় কালাজ্বর নির্মূল কর্মসূচি উপজেলা পর্যায়ে প্রতি ১০ হাজার জনসংখ্যার মধ্যে ১ জনের কম রোগী এই ধারা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছে। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী কালাজ্বর একটি নেগলেকটেড ট্রপিক্যাল ডিজিজ। এই রোগ কোনোভাবেই অবহেলা করা যাবে না। সময়মতো চিকিৎসা না হলে প্রায় ৯৫ শতাংশ কালাজ্বর রোগীর মৃত্যু হয়ে থাকে। ষাটের দশকে এই কালাজ্বরের চিকিৎসা হতো ব্রহ্মচারী ইনজেকশনের মাধ্যমে। এখন সারা দেশেই উন্নত চিকিৎসা হচ্ছে। কালাজ্বর নির্মূলে শুধু চিকিৎসাই নয়, প্রতিরোধ বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। 

অধ্যাপক আব্দুল্লাহ বলেন, ‘নারী মশার মাধ্যমেই সবচেয়ে বেশি সংক্রামক রোগ ছড়ায়। ডেঙ্গু, কালাজ্বর, চিকনগুনিয়াসহ বিভিন্ন রোগ মশার মাধ্যমে ছড়ায়। তাই সবার আগে মশা মারায় গুরুত্ব দিতে হবে। কালাজ্বর ছাড়াও আরও কিছু সংক্রামক রোগ আছে, সেগুলোর দিকে নজর দিতে হবে।’ 

অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আরও বলেন, ‘কালাজ্বর সেন্টার অব এক্সিলেন্সের মাধ্যমে কালাজ্বর নির্মূলে দেশে নতুন একটি অধ্যায়ের সূচনা হচ্ছে। আমার অবস্থান থেকে যত সহযোগিতা প্রয়োজন, আমি চেষ্টা করব। এ সময় কালাজ্বরসহ সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের পরিকল্পনার প্রস্তাব দিতে অনুরোধ করে তিনি বলেন, প্রস্তাবনাটি বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ মহলে দৃষ্টি আকর্ষণ করব।’ 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশের এনপিও ডা. সাবেরা সুলতানা। তিনি বলেন, কালাজ্বর প্রোগ্রাম ও সেন্টার ফর এক্সিলেন্স কার্যক্রম পরিচালনায় সার্বিক সহায়তা করা হবে। এ সময় কালাজ্বর প্রবণ এলাকা ময়মনসিংহ ও দিনাজপুর, রংপুর জোনে আরও ‍দুইটি সেন্টার অব এক্সিলেন্স প্রতিষ্ঠা করার বিষয়টি বিবেচনার অনুরোধ করেন। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরিফুল বাশার। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সহকারী পরিচালক ও প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. এমএম আক্তারুজ্জামান। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডিএনডিআইয়ের দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক ডা. কবিতা সিং।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত