শায়লা শারমিন
এই সময়ে প্রখর সূর্যের তাপ, অতিরিক্ত গরম ও ঘামের ফলে শরীরে দেখা দিচ্ছে পানিস্বল্পতা, ডায়রিয়া ও হজমে সমস্যা, এমনকি জ্বর থেকে হিট স্ট্রোক পর্যন্ত। পাশাপাশি পানিবাহিত নানা রোগের প্রাদুর্ভাব তো আছেই। তাই সাবধান হোন খাওয়ার পানি, পানীয় এবং খাবার নির্বাচনে।
বাইরের খাবার বাদ দিন
হোটেল-রেস্টুরেন্টের তৈরি খাবার, পানি, রাস্তার পাশে তৈরি শরবত, পানীয়, খোলা পানি, জুস প্রভৃতি অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে নিজেকে দূরে রাখুন; বিশেষ করে রাস্তার পাশে তৈরি লেবুর শরবত, হারবাল জুস, আইসক্রিম এবং খাবার একেবারে বর্জন করুন। এগুলো প্রতিটি একেকটা জটিল রোগের আধার, যা আপনার স্বাস্থ্যের সুরক্ষার চেয়ে ক্ষতিই করবে বেশি।
পানি ও পানি ধারণ করে রাখে এমন খাবার
সারা দিনের খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত পানি এবং পানি ধারণ করে রাখে– এমন খাবার খান। এগুলোর মধ্যে আছে ফল, ফলের রস, কম তেল-মসলায় রান্না ঝোল তরকারি, সবজি, পাতলা ডাল, সালাদ ইত্যাদি। ফল, সবজি ও সালাদ প্রচুর পানি ও আঁশ সরবরাহ করে শরীরকে রাখবে কর্মক্ষম ও সুস্থ। ফল ও সবজিতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও মিনারেলস আপনার শরীরের পানি এবং পিএইচ মাত্রায় ভারসাম্য ধরে রাখবে, ঠিক রাখবে সোডিয়াম-পটাশিয়াম লেভেলও।
মাঝেমধ্যে ডাবের পানি ও স্যালাইন খেতে পারেন। কিন্তু যাঁদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে, তাঁরা স্যালাইনের পরিবর্তে বিশুদ্ধ পানি বেশি খাবেন। পাশাপাশি লেবুপানি খেতে পারেন।
ঠান্ডা খাবার বেছে নিন
গরমে এমন খাবার বেছে নিন, যা আপনার অন্ত্রকে ঠান্ডা রাখবে। ভাত কিংবা রুটি যে যা খেতে অভ্যস্ত, তার সঙ্গে অল্প তেল-মসলাযুক্ত তরকারি নির্বাচন করুন। বেছে নিন পেঁপে, কলা, লাউ, ডাঁটা, শসা, করলা, ঢ্যাঁড়স, বিভিন্ন ধরনের শাক, চালকুমড়া, মিষ্টিকুমড়া, ধুন্দুল, চিচিঙ্গা, পটোল প্রভৃতি। পাশাপাশি দেশি ও ছোট মাছের পদ রাখুন। মাংসের ক্ষেত্রে সাদা মাংসকেই প্রাধান্য দিন। আর অবশ্যই কম ক্যালরিসম্পন্ন ও সুষম খাবার খেতে হবে।
সকালের নাশতার ক্ষেত্রেও তা-ই করুন। নাশতার টেবিলে রাখুন পেঁপে কিংবা গাজর, শসা, টমেটোর জুস অথবা দেশি টক ফলের ককটেল জুস। জুসে চিনি মেশাবেন না। সঙ্গে রাখুন বিস্কুট। ফলের মধ্যে বেছে নিন বেশি আঁশসমৃদ্ধ ও কম মিষ্টি ফল। টক দই, লাচ্ছি, লেবুর শরবত, সবজির সালাদ, লাবাং, মাঠা প্রভৃতি রাখুন সারা দিনের খাদ্যতালিকায়। বাসায় মেহমান এলে ঠান্ডা লেবুর শরবত, লাচ্ছি কিংবা ম্যাঙ্গো মিল্ক বা লাবাং দিয়ে শুরু করুন আতিথেয়তা।
যেসব খাবার বাদ দেবেন
সারা দিনের খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন তেলে ভাজা খাবার, অতিরিক্ত মিষ্টি ও উচ্চ ক্যালরিবহুল খাবার। বাদ দিন চর্বিযুক্ত মাছ ও মাংস। রাতের খাবারও হবে খুব হালকা। বেড টাইমে এক কাপ টক দই বা স্কিমড মিল্ক খেয়ে ঘুমাতে যান। রিচ ফুড রাতে খাওয়ার অভ্যাস না করাই ভালো। সারা দিনে ১২ থেকে ১৩ গ্লাস পানি পান করুন, সুস্থ থাকুন।
লেখক: সিনিয়র নিউট্রিশনিস্ট ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল, ঢাকা
এই সময়ে প্রখর সূর্যের তাপ, অতিরিক্ত গরম ও ঘামের ফলে শরীরে দেখা দিচ্ছে পানিস্বল্পতা, ডায়রিয়া ও হজমে সমস্যা, এমনকি জ্বর থেকে হিট স্ট্রোক পর্যন্ত। পাশাপাশি পানিবাহিত নানা রোগের প্রাদুর্ভাব তো আছেই। তাই সাবধান হোন খাওয়ার পানি, পানীয় এবং খাবার নির্বাচনে।
বাইরের খাবার বাদ দিন
হোটেল-রেস্টুরেন্টের তৈরি খাবার, পানি, রাস্তার পাশে তৈরি শরবত, পানীয়, খোলা পানি, জুস প্রভৃতি অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে নিজেকে দূরে রাখুন; বিশেষ করে রাস্তার পাশে তৈরি লেবুর শরবত, হারবাল জুস, আইসক্রিম এবং খাবার একেবারে বর্জন করুন। এগুলো প্রতিটি একেকটা জটিল রোগের আধার, যা আপনার স্বাস্থ্যের সুরক্ষার চেয়ে ক্ষতিই করবে বেশি।
পানি ও পানি ধারণ করে রাখে এমন খাবার
সারা দিনের খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত পানি এবং পানি ধারণ করে রাখে– এমন খাবার খান। এগুলোর মধ্যে আছে ফল, ফলের রস, কম তেল-মসলায় রান্না ঝোল তরকারি, সবজি, পাতলা ডাল, সালাদ ইত্যাদি। ফল, সবজি ও সালাদ প্রচুর পানি ও আঁশ সরবরাহ করে শরীরকে রাখবে কর্মক্ষম ও সুস্থ। ফল ও সবজিতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও মিনারেলস আপনার শরীরের পানি এবং পিএইচ মাত্রায় ভারসাম্য ধরে রাখবে, ঠিক রাখবে সোডিয়াম-পটাশিয়াম লেভেলও।
মাঝেমধ্যে ডাবের পানি ও স্যালাইন খেতে পারেন। কিন্তু যাঁদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে, তাঁরা স্যালাইনের পরিবর্তে বিশুদ্ধ পানি বেশি খাবেন। পাশাপাশি লেবুপানি খেতে পারেন।
ঠান্ডা খাবার বেছে নিন
গরমে এমন খাবার বেছে নিন, যা আপনার অন্ত্রকে ঠান্ডা রাখবে। ভাত কিংবা রুটি যে যা খেতে অভ্যস্ত, তার সঙ্গে অল্প তেল-মসলাযুক্ত তরকারি নির্বাচন করুন। বেছে নিন পেঁপে, কলা, লাউ, ডাঁটা, শসা, করলা, ঢ্যাঁড়স, বিভিন্ন ধরনের শাক, চালকুমড়া, মিষ্টিকুমড়া, ধুন্দুল, চিচিঙ্গা, পটোল প্রভৃতি। পাশাপাশি দেশি ও ছোট মাছের পদ রাখুন। মাংসের ক্ষেত্রে সাদা মাংসকেই প্রাধান্য দিন। আর অবশ্যই কম ক্যালরিসম্পন্ন ও সুষম খাবার খেতে হবে।
সকালের নাশতার ক্ষেত্রেও তা-ই করুন। নাশতার টেবিলে রাখুন পেঁপে কিংবা গাজর, শসা, টমেটোর জুস অথবা দেশি টক ফলের ককটেল জুস। জুসে চিনি মেশাবেন না। সঙ্গে রাখুন বিস্কুট। ফলের মধ্যে বেছে নিন বেশি আঁশসমৃদ্ধ ও কম মিষ্টি ফল। টক দই, লাচ্ছি, লেবুর শরবত, সবজির সালাদ, লাবাং, মাঠা প্রভৃতি রাখুন সারা দিনের খাদ্যতালিকায়। বাসায় মেহমান এলে ঠান্ডা লেবুর শরবত, লাচ্ছি কিংবা ম্যাঙ্গো মিল্ক বা লাবাং দিয়ে শুরু করুন আতিথেয়তা।
যেসব খাবার বাদ দেবেন
সারা দিনের খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন তেলে ভাজা খাবার, অতিরিক্ত মিষ্টি ও উচ্চ ক্যালরিবহুল খাবার। বাদ দিন চর্বিযুক্ত মাছ ও মাংস। রাতের খাবারও হবে খুব হালকা। বেড টাইমে এক কাপ টক দই বা স্কিমড মিল্ক খেয়ে ঘুমাতে যান। রিচ ফুড রাতে খাওয়ার অভ্যাস না করাই ভালো। সারা দিনে ১২ থেকে ১৩ গ্লাস পানি পান করুন, সুস্থ থাকুন।
লেখক: সিনিয়র নিউট্রিশনিস্ট ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল, ঢাকা
গর্ভধারণের আগে দক্ষিণ এশিয়ার বিবাহিত নারীদের মধ্যে অপুষ্টির সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। এই পরিস্থিতির আশানুরূপ উন্নতি হয়নি। এ-সংক্রান্ত একটি বিশ্লেষণে আরও দেখা গেছে, এই অঞ্চলে নারীদের স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজন থাকাটা বড় সমস্যা ছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ওজন একটি সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত
২০ ঘণ্টা আগেডায়াবেটিস ও ওজন কমানোর চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত ওষুধ ওজেম্পিক ও ওয়েগোভির মূল উপাদান সেমাগ্লুটাইড। তবে এই ওষুধটির ভিন্ন ব্যবহারও আবিষ্কার করেছেন একদল আন্তর্জাতিক গবেষক। তাঁরা বলেছে, যারা লিভার তথা যকৃতের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত তাদের চিকিৎসার জন্যও এই ওষুধটি বেশ কার্যকর হতে পারে।
১ দিন আগে‘ডিজিটাল অন্তরঙ্গতা বাস্তব জীবনের প্রতি আগ্রহ নষ্ট করে। তাই শিশুরা যখন গেম খেলে অথবা জীবনসঙ্গীরা যখন গেমে মগ্ন হয়, তারা প্রকৃত ঘনিষ্ঠতার প্রতি আগ্রহ হারায়। শিশুরা পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা ও সংযুক্তির প্রয়োজন মেটানোর আগ্রহ হারিয়ে ফেলে; যা তাদের ও মা-বাবার মধ্যকার...
১ দিন আগেকখনো কখনো তীব্র মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, আলো ও শব্দে অসহ্য যন্ত্রণা; এসবের কারণে কাজের জায়গা তো বটেই, ব্যক্তিগত জীবনও প্রভাবিত হতে পারে। এসবই মাইগ্রেন নামের এক নীরব শত্রুর কাজ। অনেকে মাসের পর মাস, এমনকি বছরের পর বছর মাইগ্রেনকে সাধারণ মাথাব্যথা ভেবে অবহেলা করেন। অথচ সময়মতো চিকিৎসা নিলে...
১ দিন আগে