অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহ্রিয়া
জীবন সুন্দর—এ কথা কে না জানে! আমরা বিশ্বাস করতে চাই, বেঁচে থাকার প্রতিটি দিনই নতুন। প্রতিদিনই আমরা নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও এ কথা সত্য, আমাদের কাছে-পিঠের অনেক স্বজনই দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত। ক্যানসার, ডিমেনশিয়া, কিডনি ফেইলর বা এমন কোনো অসুস্থতা, যা সারিয়ে তোলা সম্ভব নয়; রোগী যত দিন বাঁচবে, তত দিন চিকিৎসার মধ্য দিয়ে তাকে যেতে হবে; এমন ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্যালিয়েটিভ কেয়ার। শব্দটা অনেকের জন্য নতুন।
জীবন সুন্দর, বেঁচে থাকার প্রতিটি ক্ষণই গুরুত্বপূর্ণ। প্যালিয়েটিভ কেয়ারের কাজ হচ্ছে, একজন মানুষের শারীরিক কষ্টের বাইরে মানসিক, সামাজিক ও আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্যের ভোগান্তি কমানো। একজন মানুষ যখন নিরাময় অযোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়, তখন কিন্তু নির্দিষ্ট করে বলা যায় না মানুষটির স্থায়িত্বকাল কতটুকু। নিরাময় অযোগ্য রোগে একজন মানুষ কিছুদিন থেকে বহু বছর ভুগতে পারে। ভোগান্তির কয়েক সপ্তাহ, মাস, বছর যেতে পারে। দেখা গেছে, প্যালিয়েটিভ কেয়ার সার্ভিস নিতে যারা আসে, তারা জীবনের শেষ ছয় থেকে বারো মাসের একটা সময় পার করে।
প্যালিয়েটিভ কেয়ার নিয়ে বিভিন্ন পেশাজীবীর দল কাজ করে। সেখানে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, সাইকোলজিস্ট আছেন।
মূলত এ ধরনের রোগীর ব্যথার চারটি ভাগ রয়েছে। শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আধ্যাত্মিক। প্যালিয়েটিভ কেয়ারে এই সব জায়গা নিয়ে কাজ করা হয়। একটু উদাহরণ দিয়ে বলা যায়, ক্যানসারের প্রাথমিক পর্যায় থেকে যখন আমরা ক্যানসার চিকিৎসা শুরু করি, তখনই সমানভাবে প্যালিয়েটিভ কেয়ারও শুরু হয়। দেশে বছরে যত ক্যানসারের রোগী পাওয়া যায়, তার মধ্যে ৭০ শতাংশ রোগীই নির্ণয় হয় একদম শেষ ধাপে। এই ৭০ শতাংশ রোগী কিন্তু অনিরাময়যোগ্য। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ক্যানসার আমরা নিরাময় করতে পারি না। কিন্তু চিকিৎসা দিই। চিকিৎসার সঙ্গে আরও যেসব চিকিৎসা চলে, সেগুলোকে বলা হয় সিনট্রম রিলিভ; অর্থাৎ রোগীর কষ্ট ও যন্ত্রণা লাঘব করে।
ফলে প্যালিয়েটিভ চিকিৎসার বিষয়ে রোগীর পরিবারকেও সচেতন হতে হবে।
লেখক: চিকিৎসক ও সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার, ঢাকা
জীবন সুন্দর—এ কথা কে না জানে! আমরা বিশ্বাস করতে চাই, বেঁচে থাকার প্রতিটি দিনই নতুন। প্রতিদিনই আমরা নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও এ কথা সত্য, আমাদের কাছে-পিঠের অনেক স্বজনই দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত। ক্যানসার, ডিমেনশিয়া, কিডনি ফেইলর বা এমন কোনো অসুস্থতা, যা সারিয়ে তোলা সম্ভব নয়; রোগী যত দিন বাঁচবে, তত দিন চিকিৎসার মধ্য দিয়ে তাকে যেতে হবে; এমন ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্যালিয়েটিভ কেয়ার। শব্দটা অনেকের জন্য নতুন।
জীবন সুন্দর, বেঁচে থাকার প্রতিটি ক্ষণই গুরুত্বপূর্ণ। প্যালিয়েটিভ কেয়ারের কাজ হচ্ছে, একজন মানুষের শারীরিক কষ্টের বাইরে মানসিক, সামাজিক ও আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্যের ভোগান্তি কমানো। একজন মানুষ যখন নিরাময় অযোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়, তখন কিন্তু নির্দিষ্ট করে বলা যায় না মানুষটির স্থায়িত্বকাল কতটুকু। নিরাময় অযোগ্য রোগে একজন মানুষ কিছুদিন থেকে বহু বছর ভুগতে পারে। ভোগান্তির কয়েক সপ্তাহ, মাস, বছর যেতে পারে। দেখা গেছে, প্যালিয়েটিভ কেয়ার সার্ভিস নিতে যারা আসে, তারা জীবনের শেষ ছয় থেকে বারো মাসের একটা সময় পার করে।
প্যালিয়েটিভ কেয়ার নিয়ে বিভিন্ন পেশাজীবীর দল কাজ করে। সেখানে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, সাইকোলজিস্ট আছেন।
মূলত এ ধরনের রোগীর ব্যথার চারটি ভাগ রয়েছে। শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আধ্যাত্মিক। প্যালিয়েটিভ কেয়ারে এই সব জায়গা নিয়ে কাজ করা হয়। একটু উদাহরণ দিয়ে বলা যায়, ক্যানসারের প্রাথমিক পর্যায় থেকে যখন আমরা ক্যানসার চিকিৎসা শুরু করি, তখনই সমানভাবে প্যালিয়েটিভ কেয়ারও শুরু হয়। দেশে বছরে যত ক্যানসারের রোগী পাওয়া যায়, তার মধ্যে ৭০ শতাংশ রোগীই নির্ণয় হয় একদম শেষ ধাপে। এই ৭০ শতাংশ রোগী কিন্তু অনিরাময়যোগ্য। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ক্যানসার আমরা নিরাময় করতে পারি না। কিন্তু চিকিৎসা দিই। চিকিৎসার সঙ্গে আরও যেসব চিকিৎসা চলে, সেগুলোকে বলা হয় সিনট্রম রিলিভ; অর্থাৎ রোগীর কষ্ট ও যন্ত্রণা লাঘব করে।
ফলে প্যালিয়েটিভ চিকিৎসার বিষয়ে রোগীর পরিবারকেও সচেতন হতে হবে।
লেখক: চিকিৎসক ও সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার, ঢাকা
উচ্চ কোলেস্টেরলকে ‘নীরব ঘাতক’ বলা হয়। কারণ, এটি ধমনির ভেতরে ধীরে ধীরে জমা হয় এবং সাধারণত কোনো স্পষ্ট লক্ষণ প্রকাশ করে না। নীরবে এটি হৃদ্রোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। পুষ্টিবিদ সিরাজাম মুনিরা বলেন, ‘স্যাচুরেটেড ফ্যাট নামক একধরনের ফ্যাট রয়েছে, যা দেহে খারাপ কোলেস্টেরল...
৫ ঘণ্টা আগেনাকের হাড় বাঁকা বা ডেভিয়েটেড নেসাল সেপ্টাম প্রচলিত সমস্যা, যার সমাধানে সাধারণত অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচারের পর অনেক রোগীর মনে একটি প্রশ্ন জাগে, নাক তো বন্ধ ছিল বলেই অপারেশন করালাম, তাহলে এখনো কেন বন্ধ লাগছে?
৫ ঘণ্টা আগেচোখের জন্য উপকারী কিছু পুষ্টি উপাদান; যেমন লুটেইন এবং জিয়াজ্যান্থিন মানুষের শরীরে তৈরি হয় না। এগুলো শুধু খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে পাওয়া যায়। তাই চোখের সুস্থতা বজায় রাখতে কিছু সুষম খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি চোখের রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমাতেও সহায়ক হতে পারে।
৬ ঘণ্টা আগেমস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে এবং তা ধরে রাখতে মস্তিষ্কের কিছু বিশেষ ব্যায়াম বেশ কাজে দেয়। স্মৃতিশক্তির খেলা, নতুন দক্ষতা শেখা, শব্দজট মেলানো, এমনকি ভিডিও গেমও এ ক্ষেত্রে সহায়ক। আমেরিকান বোর্ড অব মেডিকেল স্পেশালটিস স্বীকৃত নিউরোলজিস্ট ড. সুসান ডব্লিউ লি বলেন, কিছু নির্দিষ্ট...
৭ ঘণ্টা আগে