
দেশের ১১টি সিটি করপোরেশন ও ১৮টি পৌরসভার ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে ‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিস ডেলিভারি প্রকল্প’। এটি বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তবে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলে নগরের দুই কোটি মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হতো।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (বিয়াম) ভবনে ‘প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এমন মন্তব্য করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
এ গোলটেবিল আলোচনা আয়োজন করে ‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রজেক্ট-২য় পর্যায়’।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্প পরিচালক (পিডি) আবুল ফয়েজ মো. আলাউদ্দিন খান। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. আবু জামিল ফয়সাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আবদুল হামিদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফোরকান হোসেন, প্রকল্পের ডিপিডি মো. সিদ্দিকুর রহমান ও ডা. শারমিন মিজান প্রমুখ।
মূল প্রবন্ধে বিসিসি অ্যান্ড মার্কেটিং ফার্মের অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড মার্কেটিং স্পেশালিস্ট সৈয়দ ফয়সল আহমদ এই প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে এর সফলতা এবং চ্যালেঞ্জগুলো নিয়েও আলোচনা করেন।
গোলটেবিলের আলোচনায় বক্তারা বলেন, এ প্রকল্পে ১৬৭টি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আওতায় ৩৩৪টি স্যাটেলাইট ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রায় দুই কোটি মানুষকে ১৬ ধরনের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে। স্থায়ী চাকরি ও উচ্চ বেতন-ভাতা না থাকায় এসব স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দক্ষ ও অভিজ্ঞ চিকিৎসক-নার্স মেলে না। ফলে নগরের স্বল্প আয়ের মানুষেরা কাঙ্ক্ষিত সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন।
অন্য মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প হওয়ায় এ নিয়ে মাথাব্যথা নেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। অথচ স্থানীয় সরকার বিভাগ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলে পাওয়া যেত অভিজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী। এতে নিশ্চিত হতো নগরের দুই কোটি মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা।
বক্তারা আরও বলেন, জন স্বাস্থ্যসেবামূলক প্রকল্পগুলো মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেই এর কার্যকারিতা স্তিমিত হয়ে যায়। মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে স্বাস্থ্যসেবা শুধু প্রকল্পের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তখন এই সেবা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে। তাই প্রজেক্ট থেকে বেরিয়ে এসে একটি স্থায়ী কাঠামো গড়ে তুলতে হবে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, ‘স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা এই প্রকল্পটি অনেক ভালো। কিন্তু এখানে সমন্বয়ের প্রয়োজন। বাজেট বরাদ্দ ও জনবল নিয়োগ নিয়ে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। সমন্বয়ে কোনো নীতিমালা নেই। সমন্বয় না থাকলে পরামর্শ দিলে কোনো কাজ হবে না। একই সঙ্গে নগরস্বাস্থ্য নিয়ে কর্মকৌশলের কাঠামো ঠিক করতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন কর্মক্ষম জনসংখ্যা বেশি। কাজের জন্য প্রতিবছরই প্রচুর মানুষ শহরমুখী হচ্ছে। ২০৫০ সালের মধ্যে ৫৮ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ শহরবাসী হবে। এই বিশাল সংখ্যক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা দিতে পরিকল্পনা প্রয়োজন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর এবং স্থানীয় সরকারের মধ্যকার সমন্বয়হীনতা দূর করতে হবে। এ ছাড়া এই খাতে বাজেট বৃদ্ধি করারও সুযোগ আছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আবদুল হামিদ বলেন, স্থানীয় সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যকার সমন্বয় করা প্রয়োজন। তা না হলে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফোরকান হোসেন বলেন, এই স্বাস্থ্য সেবা শুধু প্রজেক্টের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না। প্রজেক্টের মেয়াদ শেষ হলে এই সেবা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে। তাই প্রজেক্ট থেকে বেরিয়ে এসে একটি স্থায়ী কাঠামো গড়ে তুলতে হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডেই এই সেবা চালু করতে হবে। এখানে স্থায়ীভাবে ডাক্তার ও কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পিডি আবুল ফয়েজ মো. আলাউদ্দিন খান বলেন, সমন্বয়ের কোনো বিকল্প নেই। যেহেতু শহরাঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবাটা সবার জন্য সমন্বিত নয়, সেহেতু স্থানীয় সরকারকে আলাদাভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অনেক পরিকল্পনা এবং কৌশলও প্রণয়ন করা হয়েছে। কিন্তু আলোর মুখ দেখেনি। সরকারের অনেক কাজ রয়েছে। তাই সরকারের একার পক্ষে এই সমন্বয় সম্ভব নয়। বেসরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং জনপ্রতিনিধিরা মিলে সমন্বিতভাবে কাজ করলে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, নগরের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ১৯৯৮ সালে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় ‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার (ইউপিএইচসি)’ শিরোনামে প্রকল্পটি শুরু হয়। পরে নানাভাবে নাম পরিবর্তন হয়ে প্রকল্পটি এপ্রিল ২০১৮ হতে মার্চ ২০২৩ মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য ১১৩৬ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে একনেকে অনুমোদন হয়। সংশোধন প্রস্তাবে ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ১২১৮.৯৪ কোটি টাকা এবং বাস্তবায়ন মেয়াদকাল এপ্রিল ২০১৮ হতে জুন ২০২৪ পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
এটি ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা, রংপুর,, গাজীপুর ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বেনাপোল, নেত্রকোনা, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, দিরাই, তাড়াব, কুষ্টিয়া, গোপালগঞ্জ, জগন্নাথপুর, কিশোরগঞ্জ, লাকসাম, পীরগঞ্জ, কক্সবাজার, জামালপুর ও পটুয়াখালী পৌরসভায়ও কাজ চলছে প্রকল্পের।

দেশের ১১টি সিটি করপোরেশন ও ১৮টি পৌরসভার ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে ‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিস ডেলিভারি প্রকল্প’। এটি বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তবে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলে নগরের দুই কোটি মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হতো।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (বিয়াম) ভবনে ‘প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এমন মন্তব্য করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
এ গোলটেবিল আলোচনা আয়োজন করে ‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রজেক্ট-২য় পর্যায়’।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্প পরিচালক (পিডি) আবুল ফয়েজ মো. আলাউদ্দিন খান। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. আবু জামিল ফয়সাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আবদুল হামিদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফোরকান হোসেন, প্রকল্পের ডিপিডি মো. সিদ্দিকুর রহমান ও ডা. শারমিন মিজান প্রমুখ।
মূল প্রবন্ধে বিসিসি অ্যান্ড মার্কেটিং ফার্মের অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড মার্কেটিং স্পেশালিস্ট সৈয়দ ফয়সল আহমদ এই প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে এর সফলতা এবং চ্যালেঞ্জগুলো নিয়েও আলোচনা করেন।
গোলটেবিলের আলোচনায় বক্তারা বলেন, এ প্রকল্পে ১৬৭টি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আওতায় ৩৩৪টি স্যাটেলাইট ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রায় দুই কোটি মানুষকে ১৬ ধরনের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে। স্থায়ী চাকরি ও উচ্চ বেতন-ভাতা না থাকায় এসব স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দক্ষ ও অভিজ্ঞ চিকিৎসক-নার্স মেলে না। ফলে নগরের স্বল্প আয়ের মানুষেরা কাঙ্ক্ষিত সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন।
অন্য মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প হওয়ায় এ নিয়ে মাথাব্যথা নেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। অথচ স্থানীয় সরকার বিভাগ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলে পাওয়া যেত অভিজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী। এতে নিশ্চিত হতো নগরের দুই কোটি মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা।
বক্তারা আরও বলেন, জন স্বাস্থ্যসেবামূলক প্রকল্পগুলো মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেই এর কার্যকারিতা স্তিমিত হয়ে যায়। মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে স্বাস্থ্যসেবা শুধু প্রকল্পের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তখন এই সেবা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে। তাই প্রজেক্ট থেকে বেরিয়ে এসে একটি স্থায়ী কাঠামো গড়ে তুলতে হবে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, ‘স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা এই প্রকল্পটি অনেক ভালো। কিন্তু এখানে সমন্বয়ের প্রয়োজন। বাজেট বরাদ্দ ও জনবল নিয়োগ নিয়ে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। সমন্বয়ে কোনো নীতিমালা নেই। সমন্বয় না থাকলে পরামর্শ দিলে কোনো কাজ হবে না। একই সঙ্গে নগরস্বাস্থ্য নিয়ে কর্মকৌশলের কাঠামো ঠিক করতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন কর্মক্ষম জনসংখ্যা বেশি। কাজের জন্য প্রতিবছরই প্রচুর মানুষ শহরমুখী হচ্ছে। ২০৫০ সালের মধ্যে ৫৮ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ শহরবাসী হবে। এই বিশাল সংখ্যক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা দিতে পরিকল্পনা প্রয়োজন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর এবং স্থানীয় সরকারের মধ্যকার সমন্বয়হীনতা দূর করতে হবে। এ ছাড়া এই খাতে বাজেট বৃদ্ধি করারও সুযোগ আছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আবদুল হামিদ বলেন, স্থানীয় সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যকার সমন্বয় করা প্রয়োজন। তা না হলে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফোরকান হোসেন বলেন, এই স্বাস্থ্য সেবা শুধু প্রজেক্টের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না। প্রজেক্টের মেয়াদ শেষ হলে এই সেবা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে। তাই প্রজেক্ট থেকে বেরিয়ে এসে একটি স্থায়ী কাঠামো গড়ে তুলতে হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডেই এই সেবা চালু করতে হবে। এখানে স্থায়ীভাবে ডাক্তার ও কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পিডি আবুল ফয়েজ মো. আলাউদ্দিন খান বলেন, সমন্বয়ের কোনো বিকল্প নেই। যেহেতু শহরাঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবাটা সবার জন্য সমন্বিত নয়, সেহেতু স্থানীয় সরকারকে আলাদাভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অনেক পরিকল্পনা এবং কৌশলও প্রণয়ন করা হয়েছে। কিন্তু আলোর মুখ দেখেনি। সরকারের অনেক কাজ রয়েছে। তাই সরকারের একার পক্ষে এই সমন্বয় সম্ভব নয়। বেসরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং জনপ্রতিনিধিরা মিলে সমন্বিতভাবে কাজ করলে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, নগরের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ১৯৯৮ সালে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় ‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার (ইউপিএইচসি)’ শিরোনামে প্রকল্পটি শুরু হয়। পরে নানাভাবে নাম পরিবর্তন হয়ে প্রকল্পটি এপ্রিল ২০১৮ হতে মার্চ ২০২৩ মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য ১১৩৬ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে একনেকে অনুমোদন হয়। সংশোধন প্রস্তাবে ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ১২১৮.৯৪ কোটি টাকা এবং বাস্তবায়ন মেয়াদকাল এপ্রিল ২০১৮ হতে জুন ২০২৪ পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
এটি ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা, রংপুর,, গাজীপুর ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বেনাপোল, নেত্রকোনা, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, দিরাই, তাড়াব, কুষ্টিয়া, গোপালগঞ্জ, জগন্নাথপুর, কিশোরগঞ্জ, লাকসাম, পীরগঞ্জ, কক্সবাজার, জামালপুর ও পটুয়াখালী পৌরসভায়ও কাজ চলছে প্রকল্পের।

দেশের ১১টি সিটি করপোরেশন ও ১৮টি পৌরসভার ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে ‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিস ডেলিভারি প্রকল্প’। এটি বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তবে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলে নগরের দুই কোটি মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হতো।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (বিয়াম) ভবনে ‘প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এমন মন্তব্য করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
এ গোলটেবিল আলোচনা আয়োজন করে ‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রজেক্ট-২য় পর্যায়’।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্প পরিচালক (পিডি) আবুল ফয়েজ মো. আলাউদ্দিন খান। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. আবু জামিল ফয়সাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আবদুল হামিদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফোরকান হোসেন, প্রকল্পের ডিপিডি মো. সিদ্দিকুর রহমান ও ডা. শারমিন মিজান প্রমুখ।
মূল প্রবন্ধে বিসিসি অ্যান্ড মার্কেটিং ফার্মের অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড মার্কেটিং স্পেশালিস্ট সৈয়দ ফয়সল আহমদ এই প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে এর সফলতা এবং চ্যালেঞ্জগুলো নিয়েও আলোচনা করেন।
গোলটেবিলের আলোচনায় বক্তারা বলেন, এ প্রকল্পে ১৬৭টি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আওতায় ৩৩৪টি স্যাটেলাইট ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রায় দুই কোটি মানুষকে ১৬ ধরনের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে। স্থায়ী চাকরি ও উচ্চ বেতন-ভাতা না থাকায় এসব স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দক্ষ ও অভিজ্ঞ চিকিৎসক-নার্স মেলে না। ফলে নগরের স্বল্প আয়ের মানুষেরা কাঙ্ক্ষিত সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন।
অন্য মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প হওয়ায় এ নিয়ে মাথাব্যথা নেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। অথচ স্থানীয় সরকার বিভাগ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলে পাওয়া যেত অভিজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী। এতে নিশ্চিত হতো নগরের দুই কোটি মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা।
বক্তারা আরও বলেন, জন স্বাস্থ্যসেবামূলক প্রকল্পগুলো মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেই এর কার্যকারিতা স্তিমিত হয়ে যায়। মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে স্বাস্থ্যসেবা শুধু প্রকল্পের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তখন এই সেবা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে। তাই প্রজেক্ট থেকে বেরিয়ে এসে একটি স্থায়ী কাঠামো গড়ে তুলতে হবে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, ‘স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা এই প্রকল্পটি অনেক ভালো। কিন্তু এখানে সমন্বয়ের প্রয়োজন। বাজেট বরাদ্দ ও জনবল নিয়োগ নিয়ে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। সমন্বয়ে কোনো নীতিমালা নেই। সমন্বয় না থাকলে পরামর্শ দিলে কোনো কাজ হবে না। একই সঙ্গে নগরস্বাস্থ্য নিয়ে কর্মকৌশলের কাঠামো ঠিক করতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন কর্মক্ষম জনসংখ্যা বেশি। কাজের জন্য প্রতিবছরই প্রচুর মানুষ শহরমুখী হচ্ছে। ২০৫০ সালের মধ্যে ৫৮ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ শহরবাসী হবে। এই বিশাল সংখ্যক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা দিতে পরিকল্পনা প্রয়োজন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর এবং স্থানীয় সরকারের মধ্যকার সমন্বয়হীনতা দূর করতে হবে। এ ছাড়া এই খাতে বাজেট বৃদ্ধি করারও সুযোগ আছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আবদুল হামিদ বলেন, স্থানীয় সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যকার সমন্বয় করা প্রয়োজন। তা না হলে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফোরকান হোসেন বলেন, এই স্বাস্থ্য সেবা শুধু প্রজেক্টের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না। প্রজেক্টের মেয়াদ শেষ হলে এই সেবা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে। তাই প্রজেক্ট থেকে বেরিয়ে এসে একটি স্থায়ী কাঠামো গড়ে তুলতে হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডেই এই সেবা চালু করতে হবে। এখানে স্থায়ীভাবে ডাক্তার ও কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পিডি আবুল ফয়েজ মো. আলাউদ্দিন খান বলেন, সমন্বয়ের কোনো বিকল্প নেই। যেহেতু শহরাঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবাটা সবার জন্য সমন্বিত নয়, সেহেতু স্থানীয় সরকারকে আলাদাভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অনেক পরিকল্পনা এবং কৌশলও প্রণয়ন করা হয়েছে। কিন্তু আলোর মুখ দেখেনি। সরকারের অনেক কাজ রয়েছে। তাই সরকারের একার পক্ষে এই সমন্বয় সম্ভব নয়। বেসরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং জনপ্রতিনিধিরা মিলে সমন্বিতভাবে কাজ করলে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, নগরের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ১৯৯৮ সালে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় ‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার (ইউপিএইচসি)’ শিরোনামে প্রকল্পটি শুরু হয়। পরে নানাভাবে নাম পরিবর্তন হয়ে প্রকল্পটি এপ্রিল ২০১৮ হতে মার্চ ২০২৩ মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য ১১৩৬ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে একনেকে অনুমোদন হয়। সংশোধন প্রস্তাবে ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ১২১৮.৯৪ কোটি টাকা এবং বাস্তবায়ন মেয়াদকাল এপ্রিল ২০১৮ হতে জুন ২০২৪ পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
এটি ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা, রংপুর,, গাজীপুর ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বেনাপোল, নেত্রকোনা, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, দিরাই, তাড়াব, কুষ্টিয়া, গোপালগঞ্জ, জগন্নাথপুর, কিশোরগঞ্জ, লাকসাম, পীরগঞ্জ, কক্সবাজার, জামালপুর ও পটুয়াখালী পৌরসভায়ও কাজ চলছে প্রকল্পের।

দেশের ১১টি সিটি করপোরেশন ও ১৮টি পৌরসভার ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে ‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিস ডেলিভারি প্রকল্প’। এটি বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তবে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলে নগরের দুই কোটি মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হতো।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (বিয়াম) ভবনে ‘প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এমন মন্তব্য করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
এ গোলটেবিল আলোচনা আয়োজন করে ‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রজেক্ট-২য় পর্যায়’।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্প পরিচালক (পিডি) আবুল ফয়েজ মো. আলাউদ্দিন খান। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. আবু জামিল ফয়সাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আবদুল হামিদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফোরকান হোসেন, প্রকল্পের ডিপিডি মো. সিদ্দিকুর রহমান ও ডা. শারমিন মিজান প্রমুখ।
মূল প্রবন্ধে বিসিসি অ্যান্ড মার্কেটিং ফার্মের অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড মার্কেটিং স্পেশালিস্ট সৈয়দ ফয়সল আহমদ এই প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে এর সফলতা এবং চ্যালেঞ্জগুলো নিয়েও আলোচনা করেন।
গোলটেবিলের আলোচনায় বক্তারা বলেন, এ প্রকল্পে ১৬৭টি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আওতায় ৩৩৪টি স্যাটেলাইট ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রায় দুই কোটি মানুষকে ১৬ ধরনের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে। স্থায়ী চাকরি ও উচ্চ বেতন-ভাতা না থাকায় এসব স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দক্ষ ও অভিজ্ঞ চিকিৎসক-নার্স মেলে না। ফলে নগরের স্বল্প আয়ের মানুষেরা কাঙ্ক্ষিত সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন।
অন্য মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প হওয়ায় এ নিয়ে মাথাব্যথা নেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। অথচ স্থানীয় সরকার বিভাগ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলে পাওয়া যেত অভিজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী। এতে নিশ্চিত হতো নগরের দুই কোটি মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা।
বক্তারা আরও বলেন, জন স্বাস্থ্যসেবামূলক প্রকল্পগুলো মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেই এর কার্যকারিতা স্তিমিত হয়ে যায়। মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে স্বাস্থ্যসেবা শুধু প্রকল্পের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তখন এই সেবা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে। তাই প্রজেক্ট থেকে বেরিয়ে এসে একটি স্থায়ী কাঠামো গড়ে তুলতে হবে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, ‘স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা এই প্রকল্পটি অনেক ভালো। কিন্তু এখানে সমন্বয়ের প্রয়োজন। বাজেট বরাদ্দ ও জনবল নিয়োগ নিয়ে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। সমন্বয়ে কোনো নীতিমালা নেই। সমন্বয় না থাকলে পরামর্শ দিলে কোনো কাজ হবে না। একই সঙ্গে নগরস্বাস্থ্য নিয়ে কর্মকৌশলের কাঠামো ঠিক করতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন কর্মক্ষম জনসংখ্যা বেশি। কাজের জন্য প্রতিবছরই প্রচুর মানুষ শহরমুখী হচ্ছে। ২০৫০ সালের মধ্যে ৫৮ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ শহরবাসী হবে। এই বিশাল সংখ্যক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা দিতে পরিকল্পনা প্রয়োজন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর এবং স্থানীয় সরকারের মধ্যকার সমন্বয়হীনতা দূর করতে হবে। এ ছাড়া এই খাতে বাজেট বৃদ্ধি করারও সুযোগ আছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আবদুল হামিদ বলেন, স্থানীয় সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যকার সমন্বয় করা প্রয়োজন। তা না হলে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফোরকান হোসেন বলেন, এই স্বাস্থ্য সেবা শুধু প্রজেক্টের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না। প্রজেক্টের মেয়াদ শেষ হলে এই সেবা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে। তাই প্রজেক্ট থেকে বেরিয়ে এসে একটি স্থায়ী কাঠামো গড়ে তুলতে হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডেই এই সেবা চালু করতে হবে। এখানে স্থায়ীভাবে ডাক্তার ও কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পিডি আবুল ফয়েজ মো. আলাউদ্দিন খান বলেন, সমন্বয়ের কোনো বিকল্প নেই। যেহেতু শহরাঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবাটা সবার জন্য সমন্বিত নয়, সেহেতু স্থানীয় সরকারকে আলাদাভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অনেক পরিকল্পনা এবং কৌশলও প্রণয়ন করা হয়েছে। কিন্তু আলোর মুখ দেখেনি। সরকারের অনেক কাজ রয়েছে। তাই সরকারের একার পক্ষে এই সমন্বয় সম্ভব নয়। বেসরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং জনপ্রতিনিধিরা মিলে সমন্বিতভাবে কাজ করলে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, নগরের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ১৯৯৮ সালে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় ‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার (ইউপিএইচসি)’ শিরোনামে প্রকল্পটি শুরু হয়। পরে নানাভাবে নাম পরিবর্তন হয়ে প্রকল্পটি এপ্রিল ২০১৮ হতে মার্চ ২০২৩ মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য ১১৩৬ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে একনেকে অনুমোদন হয়। সংশোধন প্রস্তাবে ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ১২১৮.৯৪ কোটি টাকা এবং বাস্তবায়ন মেয়াদকাল এপ্রিল ২০১৮ হতে জুন ২০২৪ পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
এটি ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা, রংপুর,, গাজীপুর ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বেনাপোল, নেত্রকোনা, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, দিরাই, তাড়াব, কুষ্টিয়া, গোপালগঞ্জ, জগন্নাথপুর, কিশোরগঞ্জ, লাকসাম, পীরগঞ্জ, কক্সবাজার, জামালপুর ও পটুয়াখালী পৌরসভায়ও কাজ চলছে প্রকল্পের।

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে
রাশিয়ায় টিকটকে চলতি বছরের শুরুতে ভাইরাল হয় এক ধরনের ওজন কমানোর ওষুধ। ‘মলিকিউল’ নামে একটি পিল। তরুণদের ফিডে ভেসে উঠতে থাকে নানা ক্যাপশন—‘মলিকিউল খাও, খাবার ভুলে যাও, ওজন কমাও’, কিংবা ‘বড়সড় পোশাক পরে ক্লাসের পেছনের বেঞ্চে বসতে চাও?’
৩ দিন আগে
সময়স্বল্পতার কারণে অনেকে সকালের নাশতা খাওয়া বাদ দিয়ে দেন। সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যাওয়া, নির্দিষ্ট সময়ে অফিস কিংবা স্কুল-কলেজে পৌঁছানোর তাড়া ইত্যাদি কারণে নাশতা আর খাওয়া হয়ে ওঠে না। ক্ষুধা না থাকা, ব্যস্ত সময়সূচি কিংবা ওজন কমানোর কথা ভেবেও অনেক সময় সকালে নাশতা খাওয়া থেকে বিরত থাকেন অনেকে।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগের ২৪ ঘণ্টায়ও ডেঙ্গুতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১ হাজার ১৪৭ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৪২৯, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৬৬, বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩২, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৮, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৯, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৫, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭০, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৯ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) নয়জন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৮৮ জন মারা গেছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭২ হাজার ৮২২ জন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে দুজন পুরুষ ও তিনজন নারী। তাদের মধ্যে ১৪ বছরের কিশোরী আছে। অন্যদের বয়স যথাক্রমে ৩৫, ২৫, ৩৫, ৫৮ বছর।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৪২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৬৯ হাজার ৪৫২ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগের ২৪ ঘণ্টায়ও ডেঙ্গুতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১ হাজার ১৪৭ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৪২৯, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৬৬, বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩২, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৮, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৯, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৫, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭০, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৯ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) নয়জন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৮৮ জন মারা গেছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭২ হাজার ৮২২ জন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে দুজন পুরুষ ও তিনজন নারী। তাদের মধ্যে ১৪ বছরের কিশোরী আছে। অন্যদের বয়স যথাক্রমে ৩৫, ২৫, ৩৫, ৫৮ বছর।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৪২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৬৯ হাজার ৪৫২ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

দেশের ১১টি সিটি করপোরেশন ও ১৮টি পৌরসভার ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে ‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিস ডেলিভারি প্রকল্প’। এটি বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তবে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলে নগরের দুই কোটি ম
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে
রাশিয়ায় টিকটকে চলতি বছরের শুরুতে ভাইরাল হয় এক ধরনের ওজন কমানোর ওষুধ। ‘মলিকিউল’ নামে একটি পিল। তরুণদের ফিডে ভেসে উঠতে থাকে নানা ক্যাপশন—‘মলিকিউল খাও, খাবার ভুলে যাও, ওজন কমাও’, কিংবা ‘বড়সড় পোশাক পরে ক্লাসের পেছনের বেঞ্চে বসতে চাও?’
৩ দিন আগে
সময়স্বল্পতার কারণে অনেকে সকালের নাশতা খাওয়া বাদ দিয়ে দেন। সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যাওয়া, নির্দিষ্ট সময়ে অফিস কিংবা স্কুল-কলেজে পৌঁছানোর তাড়া ইত্যাদি কারণে নাশতা আর খাওয়া হয়ে ওঠে না। ক্ষুধা না থাকা, ব্যস্ত সময়সূচি কিংবা ওজন কমানোর কথা ভেবেও অনেক সময় সকালে নাশতা খাওয়া থেকে বিরত থাকেন অনেকে।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ রোববার (২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১ হাজার ১৬২ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৪৩৬, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭৬, বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৬৩, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০৮, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৫৪, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮৭, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৮, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩২ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) আটজন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৮৩ জন মারা গেছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭১ হাজার ৬৭৫ জন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে ১৩ বছরের এক কিশোর আছে। সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। অন্যদের বয়স যথাক্রমে ৫২, ৪২, ২৮ ও ৫০। তাঁদের মধ্যে দুজন নারী আর দুজন পুরুষ রয়েছেন। এই পাঁচজনের মধ্যে ডিএনসিসিতে একজন, ডিএসসিসিতে তিনজন ও রাজশাহীর হাসপাতালে আরও একজন চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৯৫১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৬৮ হাজার ৪১০ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ রোববার (২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১ হাজার ১৬২ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৪৩৬, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭৬, বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৬৩, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০৮, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৫৪, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮৭, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৮, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩২ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) আটজন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৮৩ জন মারা গেছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭১ হাজার ৬৭৫ জন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে ১৩ বছরের এক কিশোর আছে। সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। অন্যদের বয়স যথাক্রমে ৫২, ৪২, ২৮ ও ৫০। তাঁদের মধ্যে দুজন নারী আর দুজন পুরুষ রয়েছেন। এই পাঁচজনের মধ্যে ডিএনসিসিতে একজন, ডিএসসিসিতে তিনজন ও রাজশাহীর হাসপাতালে আরও একজন চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৯৫১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৬৮ হাজার ৪১০ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

দেশের ১১টি সিটি করপোরেশন ও ১৮টি পৌরসভার ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে ‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিস ডেলিভারি প্রকল্প’। এটি বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তবে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলে নগরের দুই কোটি ম
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে
রাশিয়ায় টিকটকে চলতি বছরের শুরুতে ভাইরাল হয় এক ধরনের ওজন কমানোর ওষুধ। ‘মলিকিউল’ নামে একটি পিল। তরুণদের ফিডে ভেসে উঠতে থাকে নানা ক্যাপশন—‘মলিকিউল খাও, খাবার ভুলে যাও, ওজন কমাও’, কিংবা ‘বড়সড় পোশাক পরে ক্লাসের পেছনের বেঞ্চে বসতে চাও?’
৩ দিন আগে
সময়স্বল্পতার কারণে অনেকে সকালের নাশতা খাওয়া বাদ দিয়ে দেন। সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যাওয়া, নির্দিষ্ট সময়ে অফিস কিংবা স্কুল-কলেজে পৌঁছানোর তাড়া ইত্যাদি কারণে নাশতা আর খাওয়া হয়ে ওঠে না। ক্ষুধা না থাকা, ব্যস্ত সময়সূচি কিংবা ওজন কমানোর কথা ভেবেও অনেক সময় সকালে নাশতা খাওয়া থেকে বিরত থাকেন অনেকে।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ায় টিকটকে চলতি বছরের শুরুতে ভাইরাল হয় এক ধরনের ওজন কমানোর ওষুধ। ‘মলিকিউল’ নামে একটি পিল। তরুণদের ফিডে ভেসে উঠতে থাকে নানা ক্যাপশন—‘মলিকিউল খাও, খাবার ভুলে যাও, ওজন কমাও’, কিংবা ‘বড়সড় পোশাক পরে ক্লাসের পেছনের বেঞ্চে বসতে চাও?’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, ফ্রিজ ভর্তি নীল বাক্স। বাক্সের গায়ে ঝলমলে হোলোগ্রাম, তাতে লেখা ‘মলিকিউল প্লাস।’ বিভিন্ন অনলাইন স্টোরে অর্ডারের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। কিশোর-কিশোরীরা নিজেদের ‘ওজন কমানোর যাত্রা’ শেয়ার করছে সামাজিক মাধ্যমে।
কিন্তু এর পেছনে আছে ভয়ানক এক ফাঁদ। ২২ বছর বয়সী মারিয়া অনলাইনের এক জনপ্রিয় দোকান থেকে এই পিল কিনেছিলেন। দিনে দুইটা করে খেতেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে তার মুখ শুকিয়ে যায়, খাবারের প্রতি সম্পূর্ণ অনীহা তৈরি হয়। তিনি বলেন, ‘খাওয়ার তো ইচ্ছে হতোই না, পান করতেও চাইতাম না। ভেতরে-ভেতরে অস্থির লাগত, ঠোঁট কামড়াতাম, গাল চিবাতাম।’
এরপর মারিয়া প্রবল উদ্বেগে ভুগতে থাকেন। তাঁর মনে নেতিবাচক চিন্তা ভর করে। তিনি বলেন, ‘এই পিলগুলো আমার মানসিক অবস্থার ওপর ভয়ানক প্রভাব ফেলেছিল।’ সেন্ট পিটার্সবার্গে বসবাসকারী মারিয়া জানান, এমন ভয়াবহ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য তিনি প্রস্তুত ছিলেন না।

অন্য টিকটক ব্যবহারকারীরাও জানান, পিল খাওয়ার পর তাদের চোখের মণি বড় হয়ে যায়, হাত কাঁপে, ঘুম আসে না। কমপক্ষে তিনজন স্কুলশিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এপ্রিলে সাইবেরিয়ার চিতা শহরের এক স্কুলছাত্রীকে ‘মলিকিউল’-এর অতিরিক্ত সেবনের পর হাসপাতালে নেওয়া হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সে দ্রুত ওজন কমিয়ে গ্রীষ্মের আগে ছিপছিপে হতে চেয়েছিল।
আরেক স্কুলছাত্রীর মা জানান, তাঁর মেয়েকে আইসিইউতে নিতে হয়েছিল, কারণ সে একসঙ্গে অনেকগুলো পিল খেয়েছিল। মে মাসে সেন্ট পিটার্সবার্গের ১৩ বছর বয়সী এক ছেলেকে হাসপাতালে নিতে হয়, কারণ সে হ্যালুসিনেশন ও আতঙ্কে ভুগছিল। স্কুলে ওজন নিয়ে উপহাস করার হতো তাকে। এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সে এক বন্ধুর মাধ্যমে এই পিল কিনেছিল।
মলিকিউল পিলের মোড়কে সাধারণত লেখা থাকে ‘প্রাকৃতিক উপাদান’, যেমন—ড্যান্ডেলিয়ন রুট ও মৌরি বীজের নির্যাস দিয়ে তৈরি। কিন্তু এ বছরের শুরুতে রুশ দৈনিক ইজভেস্তিয়ার সাংবাদিকেরা অনলাইনে কেনা পিল পরীক্ষার জন্য জমা দেন। তাতে পাওয়া যায় ‘সিবিউট্রামিন’ নামের একটি পদার্থ।
এই সিবিউট্রামিন প্রথমে ১৯৮০-এর দশকে অবসাদনাশক ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, পরে ক্ষুধা দমনকারী হিসেবে প্রচলিত হয়। কিন্তু গবেষণায় দেখা যায়, এটি হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়, অথচ ওজন কমায় সামান্যই। ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এটি নিষিদ্ধ করা হয়। যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীনসহ অনেক দেশেই এখন অবৈধ।

রাশিয়ায় এটি এখনো ওজন কমানোর ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়, তবে কেবল প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এবং চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া সিবিউট্রামিন কেনাবেচা অপরাধ। কিন্তু তাতে এই ড্রাগের বিক্রি খুব একটা থামছে না। ব্যক্তিগত বিক্রেতা ও ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইনে এটি বিক্রি করছে—অনেক সময় বৈধ ওষুধের চেয়েও বেশি মাত্রায় এবং কোনো প্রেসক্রিপশন ছাড়াই।
এই অবৈধ পিলের দাম প্রায় ৮ থেকে ৯ ডলার, যা ২০ দিনের জন্য যথেষ্ট। অথচ রাশিয়ার বাজারে পরিচিত ওজন কমানোর ইনজেকশন যেমন ‘Ozempic’-এর দাম প্রতি মাসে ৪০ থেকে ১৬০ পাউন্ড (৫০ থেকে ২১০ ডলার)। সেন্ট পিটার্সবার্গের অন্তঃস্রাববিশেষজ্ঞ জেনিয়া সোলোভিয়েভা বলেন, ‘নিজে নিজে এই ওষুধ খাওয়া ভয়ানক বিপজ্জনক’, কারণ এসব তথাকথিত ‘ডায়েটারি সাপ্লিমেন্ট’-এ কত পরিমাণ সক্রিয় উপাদান আছে তা কেউ জানে না।
‘মলিকিউল’ বিক্রির দায়ে রাশিয়ায় নিয়মিত লোকজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সরকার অবৈধ বিক্রি বন্ধে হিমশিম খাচ্ছে। এপ্রিলে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত সেফ ইন্টারনেট লিগ বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানায়। এরপর কয়েকটি বড় অনলাইন মার্কেটপ্লেস মলিকিউল তাদের কার্ট থেকে সরিয়ে দেয়। কিন্তু অচিরেই এটি ফিরে আসে নতুন নামে—‘অ্যাটম।’ প্যাকেজিং প্রায় হুবহু আগের মতো।
সম্প্রতি রাশিয়ায় একটি আইন পাস হয়েছে, যাতে আদালতের আদেশ ছাড়াই ‘অবৈধ ফুড সাপ্লিমেন্ট বা খাদ্য পরিপূরক বিক্রি করা ওয়েবসাইট’ বন্ধ করা যায়। কিন্তু বিক্রেতারা এখন এসব পণ্যকে ‘স্পোর্টস নিউট্রিশন’ হিসেবে দেখিয়ে বিক্রি করছে।
টিকটকে এখনো এমন বিক্রেতা, যারা ‘মলিকিউল’ বিক্রি করছে। তবে নাম ভিন্ন—কখনো তা ‘মিউসলি’, ‘বিস্কুট’ বা ‘লাইটবাল্ব।’ কিছু বিক্রেতা তো আবার গোপনীয়তার ধারই ধারছেন না। কয়েক সপ্তাহ আগে বিবিসি এক জনপ্রিয় রুশ অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ‘মলিকিউল’-এর তালিকা খুঁজে পায়। জানতে চাইলে সংস্থাটি জানায়, তারা দ্রুত সিবিউট্রামিনযুক্ত সব পণ্য সরিয়ে ফেলেছে। তবে তারা স্বীকার করেছে, যেসব তালিকায় স্পষ্টভাবে ‘সিবিউট্রামিন’ লেখা নেই, সেগুলো শনাক্ত করা কঠিন।
যদি কেউ কোনোভাবে ‘মলিকিউল’ কিনতে সক্ষম হয়, তবুও বোঝা মুশকিল আসলে কী পাওয়া যাচ্ছে—আর এই পিল কোথায় তৈরি হচ্ছে, তা-ও অনিশ্চিত। বিবিসি কিছু বিক্রেতার কাছে এমন সনদপত্র পেয়েছে, যাতে লেখা আছে চীনের গুয়াংজু ও হেনান প্রদেশের কারখানায় উৎপাদিত। আবার কেউ কেউ দাবি করে, পণ্যটি জার্মানি থেকে আনা।
কিছু প্যাকেটে লেখা থাকে, এটি জার্মানির রেমাগেন শহরে তৈরি। কিন্তু বিবিসি খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, ওই ঠিকানায় এমন কোনো কোম্পানি নেই। আর কাজাখস্তানের কয়েকজন বিক্রেতা যারা রাশিয়ায় ‘মলিকিউল’ পাঠায়, তারা বিবিসিকে জানিয়েছে, তারা পণ্যটি বন্ধুদের কাছ থেকে বা রাজধানী আস্তানার কিছু গুদাম থেকে সংগ্রহ করে থাকে, কিন্তু মূল সরবরাহকারীর নাম জানে না।
এদিকে, অনলাইনে ইটিং ডিসঅর্ডার বা খাওয়ার ব্যাধি সংক্রান্ত অনেক কমিউনিটি এখন ‘মলিকিউল’ নামের ওষুধটি প্রচারের জায়গা হয়ে উঠেছে। ব্যবহারকারীরা হ্যাশট্যাগ আর নানা গোপন শব্দ ব্যবহার করে প্ল্যাটফর্মগুলোর নজরদারি এড়িয়ে যাচ্ছে। সোলোভিয়েভা বলেন, যেসব তরুণ-তরুণী আগে থেকেই ইটিং ডিসঅর্ডারে ভুগছে, তাদের জন্য মলিকিউল অত্যন্ত ক্ষতিকর। যারা পুনরায় অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকিতে আছে, তাদের হাতে সহজলভ্য এই ক্ষুধা দমনকারী ওষুধ ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে।

রুশ সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার আন্না এনিনা নিজেও অতীতে অননুমোদিত ওজন কমানোর ওষুধ ব্যবহার করেছেন। তবে তিনি প্রকাশ্যে তাঁর অনুসারীদের সতর্ক করে বলেন, ‘আমি নিজে ইটিং ডিসঅর্ডারে ভুগেছি…এর পরিণতি ভয়াবহ হবে। তোমরা এর জন্য দশগুণ অনুতপ্ত হবে।’
মারিয়া সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছেন। অতিরিক্ত মলিকিউল খাওয়ার পর তিনি মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার হন এবং হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। এখন তিনি বিভিন্ন ওজন কমানোর ফোরামে তরুণী ও মেয়েদের এই বড়ি না খেতে পরামর্শ দেন। এমনকি এক কিশোরীর বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদেরও সতর্ক করেছেন।
তবু মলিকিউল অনলাইনে এখনো জনপ্রিয়। আর মারিয়ার টিকটক ফিডে যখনই নতুন কোনো ভিডিও ভেসে ওঠে, তখন সেটি তাঁকে মনে করিয়ে দেয়—সেই পিলগুলোর কথা, যেগুলো তাঁকে অসুস্থ করে দিয়েছিল।

রাশিয়ায় টিকটকে চলতি বছরের শুরুতে ভাইরাল হয় এক ধরনের ওজন কমানোর ওষুধ। ‘মলিকিউল’ নামে একটি পিল। তরুণদের ফিডে ভেসে উঠতে থাকে নানা ক্যাপশন—‘মলিকিউল খাও, খাবার ভুলে যাও, ওজন কমাও’, কিংবা ‘বড়সড় পোশাক পরে ক্লাসের পেছনের বেঞ্চে বসতে চাও?’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, ফ্রিজ ভর্তি নীল বাক্স। বাক্সের গায়ে ঝলমলে হোলোগ্রাম, তাতে লেখা ‘মলিকিউল প্লাস।’ বিভিন্ন অনলাইন স্টোরে অর্ডারের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। কিশোর-কিশোরীরা নিজেদের ‘ওজন কমানোর যাত্রা’ শেয়ার করছে সামাজিক মাধ্যমে।
কিন্তু এর পেছনে আছে ভয়ানক এক ফাঁদ। ২২ বছর বয়সী মারিয়া অনলাইনের এক জনপ্রিয় দোকান থেকে এই পিল কিনেছিলেন। দিনে দুইটা করে খেতেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে তার মুখ শুকিয়ে যায়, খাবারের প্রতি সম্পূর্ণ অনীহা তৈরি হয়। তিনি বলেন, ‘খাওয়ার তো ইচ্ছে হতোই না, পান করতেও চাইতাম না। ভেতরে-ভেতরে অস্থির লাগত, ঠোঁট কামড়াতাম, গাল চিবাতাম।’
এরপর মারিয়া প্রবল উদ্বেগে ভুগতে থাকেন। তাঁর মনে নেতিবাচক চিন্তা ভর করে। তিনি বলেন, ‘এই পিলগুলো আমার মানসিক অবস্থার ওপর ভয়ানক প্রভাব ফেলেছিল।’ সেন্ট পিটার্সবার্গে বসবাসকারী মারিয়া জানান, এমন ভয়াবহ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য তিনি প্রস্তুত ছিলেন না।

অন্য টিকটক ব্যবহারকারীরাও জানান, পিল খাওয়ার পর তাদের চোখের মণি বড় হয়ে যায়, হাত কাঁপে, ঘুম আসে না। কমপক্ষে তিনজন স্কুলশিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এপ্রিলে সাইবেরিয়ার চিতা শহরের এক স্কুলছাত্রীকে ‘মলিকিউল’-এর অতিরিক্ত সেবনের পর হাসপাতালে নেওয়া হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সে দ্রুত ওজন কমিয়ে গ্রীষ্মের আগে ছিপছিপে হতে চেয়েছিল।
আরেক স্কুলছাত্রীর মা জানান, তাঁর মেয়েকে আইসিইউতে নিতে হয়েছিল, কারণ সে একসঙ্গে অনেকগুলো পিল খেয়েছিল। মে মাসে সেন্ট পিটার্সবার্গের ১৩ বছর বয়সী এক ছেলেকে হাসপাতালে নিতে হয়, কারণ সে হ্যালুসিনেশন ও আতঙ্কে ভুগছিল। স্কুলে ওজন নিয়ে উপহাস করার হতো তাকে। এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সে এক বন্ধুর মাধ্যমে এই পিল কিনেছিল।
মলিকিউল পিলের মোড়কে সাধারণত লেখা থাকে ‘প্রাকৃতিক উপাদান’, যেমন—ড্যান্ডেলিয়ন রুট ও মৌরি বীজের নির্যাস দিয়ে তৈরি। কিন্তু এ বছরের শুরুতে রুশ দৈনিক ইজভেস্তিয়ার সাংবাদিকেরা অনলাইনে কেনা পিল পরীক্ষার জন্য জমা দেন। তাতে পাওয়া যায় ‘সিবিউট্রামিন’ নামের একটি পদার্থ।
এই সিবিউট্রামিন প্রথমে ১৯৮০-এর দশকে অবসাদনাশক ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, পরে ক্ষুধা দমনকারী হিসেবে প্রচলিত হয়। কিন্তু গবেষণায় দেখা যায়, এটি হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়, অথচ ওজন কমায় সামান্যই। ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এটি নিষিদ্ধ করা হয়। যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীনসহ অনেক দেশেই এখন অবৈধ।

রাশিয়ায় এটি এখনো ওজন কমানোর ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়, তবে কেবল প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এবং চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া সিবিউট্রামিন কেনাবেচা অপরাধ। কিন্তু তাতে এই ড্রাগের বিক্রি খুব একটা থামছে না। ব্যক্তিগত বিক্রেতা ও ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইনে এটি বিক্রি করছে—অনেক সময় বৈধ ওষুধের চেয়েও বেশি মাত্রায় এবং কোনো প্রেসক্রিপশন ছাড়াই।
এই অবৈধ পিলের দাম প্রায় ৮ থেকে ৯ ডলার, যা ২০ দিনের জন্য যথেষ্ট। অথচ রাশিয়ার বাজারে পরিচিত ওজন কমানোর ইনজেকশন যেমন ‘Ozempic’-এর দাম প্রতি মাসে ৪০ থেকে ১৬০ পাউন্ড (৫০ থেকে ২১০ ডলার)। সেন্ট পিটার্সবার্গের অন্তঃস্রাববিশেষজ্ঞ জেনিয়া সোলোভিয়েভা বলেন, ‘নিজে নিজে এই ওষুধ খাওয়া ভয়ানক বিপজ্জনক’, কারণ এসব তথাকথিত ‘ডায়েটারি সাপ্লিমেন্ট’-এ কত পরিমাণ সক্রিয় উপাদান আছে তা কেউ জানে না।
‘মলিকিউল’ বিক্রির দায়ে রাশিয়ায় নিয়মিত লোকজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সরকার অবৈধ বিক্রি বন্ধে হিমশিম খাচ্ছে। এপ্রিলে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত সেফ ইন্টারনেট লিগ বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানায়। এরপর কয়েকটি বড় অনলাইন মার্কেটপ্লেস মলিকিউল তাদের কার্ট থেকে সরিয়ে দেয়। কিন্তু অচিরেই এটি ফিরে আসে নতুন নামে—‘অ্যাটম।’ প্যাকেজিং প্রায় হুবহু আগের মতো।
সম্প্রতি রাশিয়ায় একটি আইন পাস হয়েছে, যাতে আদালতের আদেশ ছাড়াই ‘অবৈধ ফুড সাপ্লিমেন্ট বা খাদ্য পরিপূরক বিক্রি করা ওয়েবসাইট’ বন্ধ করা যায়। কিন্তু বিক্রেতারা এখন এসব পণ্যকে ‘স্পোর্টস নিউট্রিশন’ হিসেবে দেখিয়ে বিক্রি করছে।
টিকটকে এখনো এমন বিক্রেতা, যারা ‘মলিকিউল’ বিক্রি করছে। তবে নাম ভিন্ন—কখনো তা ‘মিউসলি’, ‘বিস্কুট’ বা ‘লাইটবাল্ব।’ কিছু বিক্রেতা তো আবার গোপনীয়তার ধারই ধারছেন না। কয়েক সপ্তাহ আগে বিবিসি এক জনপ্রিয় রুশ অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ‘মলিকিউল’-এর তালিকা খুঁজে পায়। জানতে চাইলে সংস্থাটি জানায়, তারা দ্রুত সিবিউট্রামিনযুক্ত সব পণ্য সরিয়ে ফেলেছে। তবে তারা স্বীকার করেছে, যেসব তালিকায় স্পষ্টভাবে ‘সিবিউট্রামিন’ লেখা নেই, সেগুলো শনাক্ত করা কঠিন।
যদি কেউ কোনোভাবে ‘মলিকিউল’ কিনতে সক্ষম হয়, তবুও বোঝা মুশকিল আসলে কী পাওয়া যাচ্ছে—আর এই পিল কোথায় তৈরি হচ্ছে, তা-ও অনিশ্চিত। বিবিসি কিছু বিক্রেতার কাছে এমন সনদপত্র পেয়েছে, যাতে লেখা আছে চীনের গুয়াংজু ও হেনান প্রদেশের কারখানায় উৎপাদিত। আবার কেউ কেউ দাবি করে, পণ্যটি জার্মানি থেকে আনা।
কিছু প্যাকেটে লেখা থাকে, এটি জার্মানির রেমাগেন শহরে তৈরি। কিন্তু বিবিসি খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, ওই ঠিকানায় এমন কোনো কোম্পানি নেই। আর কাজাখস্তানের কয়েকজন বিক্রেতা যারা রাশিয়ায় ‘মলিকিউল’ পাঠায়, তারা বিবিসিকে জানিয়েছে, তারা পণ্যটি বন্ধুদের কাছ থেকে বা রাজধানী আস্তানার কিছু গুদাম থেকে সংগ্রহ করে থাকে, কিন্তু মূল সরবরাহকারীর নাম জানে না।
এদিকে, অনলাইনে ইটিং ডিসঅর্ডার বা খাওয়ার ব্যাধি সংক্রান্ত অনেক কমিউনিটি এখন ‘মলিকিউল’ নামের ওষুধটি প্রচারের জায়গা হয়ে উঠেছে। ব্যবহারকারীরা হ্যাশট্যাগ আর নানা গোপন শব্দ ব্যবহার করে প্ল্যাটফর্মগুলোর নজরদারি এড়িয়ে যাচ্ছে। সোলোভিয়েভা বলেন, যেসব তরুণ-তরুণী আগে থেকেই ইটিং ডিসঅর্ডারে ভুগছে, তাদের জন্য মলিকিউল অত্যন্ত ক্ষতিকর। যারা পুনরায় অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকিতে আছে, তাদের হাতে সহজলভ্য এই ক্ষুধা দমনকারী ওষুধ ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে।

রুশ সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার আন্না এনিনা নিজেও অতীতে অননুমোদিত ওজন কমানোর ওষুধ ব্যবহার করেছেন। তবে তিনি প্রকাশ্যে তাঁর অনুসারীদের সতর্ক করে বলেন, ‘আমি নিজে ইটিং ডিসঅর্ডারে ভুগেছি…এর পরিণতি ভয়াবহ হবে। তোমরা এর জন্য দশগুণ অনুতপ্ত হবে।’
মারিয়া সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছেন। অতিরিক্ত মলিকিউল খাওয়ার পর তিনি মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার হন এবং হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। এখন তিনি বিভিন্ন ওজন কমানোর ফোরামে তরুণী ও মেয়েদের এই বড়ি না খেতে পরামর্শ দেন। এমনকি এক কিশোরীর বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদেরও সতর্ক করেছেন।
তবু মলিকিউল অনলাইনে এখনো জনপ্রিয়। আর মারিয়ার টিকটক ফিডে যখনই নতুন কোনো ভিডিও ভেসে ওঠে, তখন সেটি তাঁকে মনে করিয়ে দেয়—সেই পিলগুলোর কথা, যেগুলো তাঁকে অসুস্থ করে দিয়েছিল।

দেশের ১১টি সিটি করপোরেশন ও ১৮টি পৌরসভার ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে ‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিস ডেলিভারি প্রকল্প’। এটি বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তবে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলে নগরের দুই কোটি ম
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে
সময়স্বল্পতার কারণে অনেকে সকালের নাশতা খাওয়া বাদ দিয়ে দেন। সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যাওয়া, নির্দিষ্ট সময়ে অফিস কিংবা স্কুল-কলেজে পৌঁছানোর তাড়া ইত্যাদি কারণে নাশতা আর খাওয়া হয়ে ওঠে না। ক্ষুধা না থাকা, ব্যস্ত সময়সূচি কিংবা ওজন কমানোর কথা ভেবেও অনেক সময় সকালে নাশতা খাওয়া থেকে বিরত থাকেন অনেকে।
৪ দিন আগেফিচার ডেস্ক

সময়স্বল্পতার কারণে অনেকে সকালের নাশতা খাওয়া বাদ দিয়ে দেন। সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যাওয়া, নির্দিষ্ট সময়ে অফিস কিংবা স্কুল-কলেজে পৌঁছানোর তাড়া ইত্যাদি কারণে নাশতা আর খাওয়া হয়ে ওঠে না। ক্ষুধা না থাকা, ব্যস্ত সময়সূচি কিংবা ওজন কমানোর কথা ভেবেও অনেক সময় সকালে নাশতা খাওয়া থেকে বিরত থাকেন অনেকে। কিন্তু যে কারণেই হোক না কেন, এর ফলে পুষ্টির ঘাটতি, পেটের আলসার এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
পুষ্টিবিদ ইতি খন্দকার পরামর্শ দিয়েছেন, ‘নাশতা অবশ্যই সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে শেষ করতে হবে। নাশতায় ওটস, ডিম ও সবজি দিয়ে খিচুড়ি করে খেতে পারেন কিংবা লাল আটার মাঝারি আকারের দুটি রুটি, এক বাটি কম মসলাযুক্ত সেদ্ধ সবজি এবং একটি ডিম রাখতে পারেন। ১০-১৫ মিনিট পর পুদিনাপাতা, লেবুর রস ও টক দই মেশানো এক বাটি খোসাসহ শসার সালাদ খাবেন।
নাশতা না করার স্বাস্থ্যঝুঁকিগুলো
ক্লান্তি: সকালে খাওয়া নাশতা মস্তিষ্ক এবং শরীরের সঠিক ক্রিয়াকলাপের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও শক্তি সরবরাহ করে। তাই নাশতা বাদ দিলে বিপাকপ্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। ফলে ক্লান্তি, অমনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি দুর্বল হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
স্থূলতা: অনেকের ধারণা, সকালে নাশতা না খাওয়া ওজন কমাতে সাহায্য করে। অথচ তা একেবারেই সঠিক নয়। নাশতা বাদ দিলে প্রায়ই ক্ষুধা বেড়ে যায়। ফলে দুপুর বা রাতে বেশি খাওয়া হয়। এ ছাড়া নাশতা না করার কারণে শরীরের পুষ্টির ঘাটতি পূরণের জন্য অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ করা হতে পারে। তবে বিষয়টি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হয়তো ওজনও বাড়বে। ইতি খন্দকার পরামর্শ দেন, ট্রান্সফ্যাট, ফার্স্ট ফুড, কোল্ড ড্রিংকস, চিনি, মিষ্টিজাতীয় খাবার ইত্যাদি খাওয়া বাদ দিতে হবে। পাশাপাশি দৈনিক পরিমাণমতো পানি পান করতে হবে।
দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি: সকালে খাওয়া নাশতা বিপাকপ্রক্রিয়া শুরু করতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। তবে এটি বাদ দিলে অস্থায়ীভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়, যা ভারসাম্য পুনরুদ্ধারের জন্য শরীর হরমোন মুক্ত করতে প্ররোচিত করে। রক্তে শর্করার মাত্রার এই ওঠানামা ইনসুলিন প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, যা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের প্রধান ঝুঁকির কারণ। এ ছাড়া সকালের নাশতা বাদ দেওয়া, না খেয়ে থাকার সময়কাল দীর্ঘায়িত করে। এতে প্রদাহ সৃষ্টিকারী উপাদান সাইটোকাইনস অতিরিক্ত নিঃসরণ হতে পারে। ফলে দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
পাকস্থলী ও ডিওডেনাল আলসার:
খাবার বাদ দেওয়া হলে পাকস্থলী অ্যাসিড তৈরি করার কাজ চালিয়ে যায়। কিন্তু তা প্রশমিত করার জন্য কোনো খাদ্য থাকে না। এতে পাকস্থলীর আস্তরণের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। ফলে দীর্ঘ মেয়াদে পাকস্থলী এবং ডিওডেনাল আলসার হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সকালের নাশতা বাদ দেওয়া ইসোফেগাস (খাদ্যনালি), পাকস্থলী, কোলন, যকৃৎ, পিত্তনালিসহ গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধির সঙ্গেও যুক্ত।
পিত্তথলিতে পাথর: খাবার খাওয়ার ফলে পিত্তথলি হজমের জন্য অন্ত্রে পিত্ত নিঃসরণ করে। দীর্ঘ সময়ের জন্য খাবার বাদ দিলে পিত্তথলির নিয়মিত সংকোচন বাধাগ্রস্ত হয়। এর ফলে পিত্ত জমাট বাঁধে। আর এই জমাট বাঁধার কারণে কোলেস্টেরল ও পিত্ত লবণ স্ফটিকের আকার ধারণ করে, যা পিত্তথলিতে পাথর তৈরি করে। এ ছাড়া খাবার বাদ দেওয়ায় কারণে অন্ত্রের কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে এবং মলের মাধ্যমে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল অপসারণকে ধীর করে দেয়। এ ছাড়া পিত্তথলিতে পাথর গঠনের ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি অবদান রাখে।
সকালবেলার নাশতায় অবশ্যই চার ধরনের খাবারের উপস্থিতি থাকা জরুরি। এগুলো হলো, প্রোটিনের মধ্যে ডিম, দুধ, চর্বিহীন মাংস ও শিম। জটিল কার্বোহাইড্রেটের মধ্যে ওটস, লাল চাল, বাকহুইট, লাল আটার রুটি, মিষ্টিআলু এবং ভুট্টা। স্বাস্থ্যকর চর্বির মধ্যে বাদাম, অ্যাভোকাডো ও জলপাই তেল এবং ফল ও সবজি।

সময়স্বল্পতার কারণে অনেকে সকালের নাশতা খাওয়া বাদ দিয়ে দেন। সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যাওয়া, নির্দিষ্ট সময়ে অফিস কিংবা স্কুল-কলেজে পৌঁছানোর তাড়া ইত্যাদি কারণে নাশতা আর খাওয়া হয়ে ওঠে না। ক্ষুধা না থাকা, ব্যস্ত সময়সূচি কিংবা ওজন কমানোর কথা ভেবেও অনেক সময় সকালে নাশতা খাওয়া থেকে বিরত থাকেন অনেকে। কিন্তু যে কারণেই হোক না কেন, এর ফলে পুষ্টির ঘাটতি, পেটের আলসার এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
পুষ্টিবিদ ইতি খন্দকার পরামর্শ দিয়েছেন, ‘নাশতা অবশ্যই সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে শেষ করতে হবে। নাশতায় ওটস, ডিম ও সবজি দিয়ে খিচুড়ি করে খেতে পারেন কিংবা লাল আটার মাঝারি আকারের দুটি রুটি, এক বাটি কম মসলাযুক্ত সেদ্ধ সবজি এবং একটি ডিম রাখতে পারেন। ১০-১৫ মিনিট পর পুদিনাপাতা, লেবুর রস ও টক দই মেশানো এক বাটি খোসাসহ শসার সালাদ খাবেন।
নাশতা না করার স্বাস্থ্যঝুঁকিগুলো
ক্লান্তি: সকালে খাওয়া নাশতা মস্তিষ্ক এবং শরীরের সঠিক ক্রিয়াকলাপের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও শক্তি সরবরাহ করে। তাই নাশতা বাদ দিলে বিপাকপ্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। ফলে ক্লান্তি, অমনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি দুর্বল হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
স্থূলতা: অনেকের ধারণা, সকালে নাশতা না খাওয়া ওজন কমাতে সাহায্য করে। অথচ তা একেবারেই সঠিক নয়। নাশতা বাদ দিলে প্রায়ই ক্ষুধা বেড়ে যায়। ফলে দুপুর বা রাতে বেশি খাওয়া হয়। এ ছাড়া নাশতা না করার কারণে শরীরের পুষ্টির ঘাটতি পূরণের জন্য অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ করা হতে পারে। তবে বিষয়টি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হয়তো ওজনও বাড়বে। ইতি খন্দকার পরামর্শ দেন, ট্রান্সফ্যাট, ফার্স্ট ফুড, কোল্ড ড্রিংকস, চিনি, মিষ্টিজাতীয় খাবার ইত্যাদি খাওয়া বাদ দিতে হবে। পাশাপাশি দৈনিক পরিমাণমতো পানি পান করতে হবে।
দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি: সকালে খাওয়া নাশতা বিপাকপ্রক্রিয়া শুরু করতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। তবে এটি বাদ দিলে অস্থায়ীভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়, যা ভারসাম্য পুনরুদ্ধারের জন্য শরীর হরমোন মুক্ত করতে প্ররোচিত করে। রক্তে শর্করার মাত্রার এই ওঠানামা ইনসুলিন প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, যা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের প্রধান ঝুঁকির কারণ। এ ছাড়া সকালের নাশতা বাদ দেওয়া, না খেয়ে থাকার সময়কাল দীর্ঘায়িত করে। এতে প্রদাহ সৃষ্টিকারী উপাদান সাইটোকাইনস অতিরিক্ত নিঃসরণ হতে পারে। ফলে দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
পাকস্থলী ও ডিওডেনাল আলসার:
খাবার বাদ দেওয়া হলে পাকস্থলী অ্যাসিড তৈরি করার কাজ চালিয়ে যায়। কিন্তু তা প্রশমিত করার জন্য কোনো খাদ্য থাকে না। এতে পাকস্থলীর আস্তরণের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। ফলে দীর্ঘ মেয়াদে পাকস্থলী এবং ডিওডেনাল আলসার হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সকালের নাশতা বাদ দেওয়া ইসোফেগাস (খাদ্যনালি), পাকস্থলী, কোলন, যকৃৎ, পিত্তনালিসহ গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধির সঙ্গেও যুক্ত।
পিত্তথলিতে পাথর: খাবার খাওয়ার ফলে পিত্তথলি হজমের জন্য অন্ত্রে পিত্ত নিঃসরণ করে। দীর্ঘ সময়ের জন্য খাবার বাদ দিলে পিত্তথলির নিয়মিত সংকোচন বাধাগ্রস্ত হয়। এর ফলে পিত্ত জমাট বাঁধে। আর এই জমাট বাঁধার কারণে কোলেস্টেরল ও পিত্ত লবণ স্ফটিকের আকার ধারণ করে, যা পিত্তথলিতে পাথর তৈরি করে। এ ছাড়া খাবার বাদ দেওয়ায় কারণে অন্ত্রের কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে এবং মলের মাধ্যমে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল অপসারণকে ধীর করে দেয়। এ ছাড়া পিত্তথলিতে পাথর গঠনের ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি অবদান রাখে।
সকালবেলার নাশতায় অবশ্যই চার ধরনের খাবারের উপস্থিতি থাকা জরুরি। এগুলো হলো, প্রোটিনের মধ্যে ডিম, দুধ, চর্বিহীন মাংস ও শিম। জটিল কার্বোহাইড্রেটের মধ্যে ওটস, লাল চাল, বাকহুইট, লাল আটার রুটি, মিষ্টিআলু এবং ভুট্টা। স্বাস্থ্যকর চর্বির মধ্যে বাদাম, অ্যাভোকাডো ও জলপাই তেল এবং ফল ও সবজি।

দেশের ১১টি সিটি করপোরেশন ও ১৮টি পৌরসভার ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে ‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিস ডেলিভারি প্রকল্প’। এটি বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তবে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলে নগরের দুই কোটি ম
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে
রাশিয়ায় টিকটকে চলতি বছরের শুরুতে ভাইরাল হয় এক ধরনের ওজন কমানোর ওষুধ। ‘মলিকিউল’ নামে একটি পিল। তরুণদের ফিডে ভেসে উঠতে থাকে নানা ক্যাপশন—‘মলিকিউল খাও, খাবার ভুলে যাও, ওজন কমাও’, কিংবা ‘বড়সড় পোশাক পরে ক্লাসের পেছনের বেঞ্চে বসতে চাও?’
৩ দিন আগে