আলমগীর আলম
শীত এলেই অনেকের হাঁটু, কোমর, ঘাড়ে কিংবা গোড়ালিতে ব্যথা বাড়ে। আবার শীত চলে গেলেই ব্যথা ঠিক হয়ে যায়। শীতে ব্যথা এতই তীব্র থাকে যে পেইন কিলার খেয়েও কমানো যায় না। কিন্তু প্রাকৃতিক নিয়ম অনুসরণ করলে শীতে ভালো থাকা যায়। এ জন্য ব্যথা বাড়ার কারণগুলো জানতে হবে।
শীতে ব্যথা বাড়ার কারণ
আপনি শীতে শরীরের যেকোনো অংশে ব্যথা অনুভব করতে পারেন। তবে ঠান্ডা আবহাওয়ার অস্বস্তির প্রধানতম জায়গা হচ্ছে নিতম্ব, হাঁটু ও গোড়ালি। নিয়মিত দৌড়ালে এই ব্যথা হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, আর্থ্রাইটিস আক্রান্ত ব্যক্তিরা সাধারণত ঠান্ডা হলে জয়েন্টে ব্যথা অনুভব করেন। কিছু তত্ত্ব আছে, বাতাসের ওজন বেড়ে যাওয়ায় ঠান্ডা আবহাওয়া শরীরে চাপ তৈরি করে। বায়োমেট্রিক চাপের কারণে নরম কোষগুলো ফুলে যেতে পারে এবং জয়েন্টে চাপ দিতে পারে। ফলে স্নায়ু মস্তিষ্কে বর্ধিত ব্যথার সংকেত পাঠায়।
সিজনাল ইফেকটিভ ডিজঅর্ডার (এসএডি) ব্যথার ধারণাকে প্রভাবিত করতে পারে। কারণ, বিষণ্নতা বা দুঃখের অনুভূতি শরীরের ব্যথার সঙ্গে যুক্ত। এ ছাড়া জয়েন্টের ভেতরে থাকা সাইনোভিয়াল তরল ঠান্ডা তাপমাত্রায় ঘন হয়ে যায়। ফলে ঠান্ডা আবহাওয়ায় জয়েন্ট শক্ত হয়ে যায় এবং ব্যথা করে।
শীতে শরীরের মধ্য অংশ ঠান্ডা তাপ সংরক্ষণ করে। এ সময় হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস ও পাচক অঙ্গগুলোতে রক্ত সরবরাহ বেশি থাকে। এ কারণে পা, হাঁটু, বাহু, কাঁধ ও অন্য জয়েন্টগুলোতে কম রক্ত সরবরাহ হয়। রক্তপ্রবাহ কমে যাওয়ার ফলে জয়েন্টগুলোতে রক্তনালি সংকুচিত হয়ে সেই জায়গাগুলোকে শক্ত ও ঠান্ডা করে। ফলে ব্যথা ও অস্বস্তি হয়। আরেকটি দিক হচ্ছে, ঠান্ডায় পানি কম পান করার কারণে শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি হওয়ার কারণে অস্থিতে তরল পদার্থের পরিমাণ কমে যায়। এ কারণেও ব্যথা হতে পারে।
শীতের অনেক সবজিতে পিউরিনের পরিমাণ বেশি থাকে। সেগুলো খেলে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যায়, ফলে ব্যথা বেড়ে যায়। ব্যথা কমাতে তাই এ সময় পিউরিনের মাত্রা হিসাব করে সবজি খাওয়া উচিত। ফুলকপি, বাঁধাকপি, শালগম, পুঁইশাক, লালশাকে পিউরিন বেশি থাকে। এগুলো কম খাওয়া উচিত। পিউরিনের মাত্রা অনেক বেশি থাকে গরু, খাসি ও হাঁসের মাংসে, পশুর কলিজা, কিডনি ও মগজে। সেগুলো খাওয়া একদমই কমিয়ে দিন।
ব্যথা কমাতে কী করবেন
» শরীর গরম রাখা জয়েন্টের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে; বিশেষ করে শীতকালে ঘরের বাইরে দৌড়ান।
» ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম পেশিতে রক্তপ্রবাহ ও শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমকে কার্যকর করে তোলে।
» শরীর গরম কাপড়ে ঢেকে রাখুন, যাতে উষ্ণ থাকার জন্য কম রক্তপ্রবাহের প্রয়োজন হয় এবং শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টের নরম কোষগুলোর সঞ্চালনব্যবস্থা ঠিক থাকে।
» নিয়মিত কুসুম গরম পানি পান করুন। তাতে শরীর হাইড্রেট থাকবে এবং ব্যথা কমে যাবে। প্রত্যেক মানুষের জন্য সারা দিনে দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করা উচিত। এক গ্লাস পানি একসঙ্গে পান না করে অল্প অল্প করে চুমুক দিয়ে পান করার অভ্যাস করুন।
» যেকোনো ব্যথার অন্যতম কারণ প্রদাহ। এই প্রদাহ দূর করার জন্য নিয়মিত ঘুমানোর আগে হলুদ চা-পান করুন। এতে প্রদাহ দূর হবে।
» যাঁদের পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ আছে, তাঁরা সকাল থেকে মাঝ দুপুরের মধ্যে নিয়মিত রোদে বসার চেষ্টা করুন।
লেখক: খাদ্য পথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ; প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র
শীত এলেই অনেকের হাঁটু, কোমর, ঘাড়ে কিংবা গোড়ালিতে ব্যথা বাড়ে। আবার শীত চলে গেলেই ব্যথা ঠিক হয়ে যায়। শীতে ব্যথা এতই তীব্র থাকে যে পেইন কিলার খেয়েও কমানো যায় না। কিন্তু প্রাকৃতিক নিয়ম অনুসরণ করলে শীতে ভালো থাকা যায়। এ জন্য ব্যথা বাড়ার কারণগুলো জানতে হবে।
শীতে ব্যথা বাড়ার কারণ
আপনি শীতে শরীরের যেকোনো অংশে ব্যথা অনুভব করতে পারেন। তবে ঠান্ডা আবহাওয়ার অস্বস্তির প্রধানতম জায়গা হচ্ছে নিতম্ব, হাঁটু ও গোড়ালি। নিয়মিত দৌড়ালে এই ব্যথা হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, আর্থ্রাইটিস আক্রান্ত ব্যক্তিরা সাধারণত ঠান্ডা হলে জয়েন্টে ব্যথা অনুভব করেন। কিছু তত্ত্ব আছে, বাতাসের ওজন বেড়ে যাওয়ায় ঠান্ডা আবহাওয়া শরীরে চাপ তৈরি করে। বায়োমেট্রিক চাপের কারণে নরম কোষগুলো ফুলে যেতে পারে এবং জয়েন্টে চাপ দিতে পারে। ফলে স্নায়ু মস্তিষ্কে বর্ধিত ব্যথার সংকেত পাঠায়।
সিজনাল ইফেকটিভ ডিজঅর্ডার (এসএডি) ব্যথার ধারণাকে প্রভাবিত করতে পারে। কারণ, বিষণ্নতা বা দুঃখের অনুভূতি শরীরের ব্যথার সঙ্গে যুক্ত। এ ছাড়া জয়েন্টের ভেতরে থাকা সাইনোভিয়াল তরল ঠান্ডা তাপমাত্রায় ঘন হয়ে যায়। ফলে ঠান্ডা আবহাওয়ায় জয়েন্ট শক্ত হয়ে যায় এবং ব্যথা করে।
শীতে শরীরের মধ্য অংশ ঠান্ডা তাপ সংরক্ষণ করে। এ সময় হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস ও পাচক অঙ্গগুলোতে রক্ত সরবরাহ বেশি থাকে। এ কারণে পা, হাঁটু, বাহু, কাঁধ ও অন্য জয়েন্টগুলোতে কম রক্ত সরবরাহ হয়। রক্তপ্রবাহ কমে যাওয়ার ফলে জয়েন্টগুলোতে রক্তনালি সংকুচিত হয়ে সেই জায়গাগুলোকে শক্ত ও ঠান্ডা করে। ফলে ব্যথা ও অস্বস্তি হয়। আরেকটি দিক হচ্ছে, ঠান্ডায় পানি কম পান করার কারণে শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি হওয়ার কারণে অস্থিতে তরল পদার্থের পরিমাণ কমে যায়। এ কারণেও ব্যথা হতে পারে।
শীতের অনেক সবজিতে পিউরিনের পরিমাণ বেশি থাকে। সেগুলো খেলে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যায়, ফলে ব্যথা বেড়ে যায়। ব্যথা কমাতে তাই এ সময় পিউরিনের মাত্রা হিসাব করে সবজি খাওয়া উচিত। ফুলকপি, বাঁধাকপি, শালগম, পুঁইশাক, লালশাকে পিউরিন বেশি থাকে। এগুলো কম খাওয়া উচিত। পিউরিনের মাত্রা অনেক বেশি থাকে গরু, খাসি ও হাঁসের মাংসে, পশুর কলিজা, কিডনি ও মগজে। সেগুলো খাওয়া একদমই কমিয়ে দিন।
ব্যথা কমাতে কী করবেন
» শরীর গরম রাখা জয়েন্টের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে; বিশেষ করে শীতকালে ঘরের বাইরে দৌড়ান।
» ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম পেশিতে রক্তপ্রবাহ ও শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমকে কার্যকর করে তোলে।
» শরীর গরম কাপড়ে ঢেকে রাখুন, যাতে উষ্ণ থাকার জন্য কম রক্তপ্রবাহের প্রয়োজন হয় এবং শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টের নরম কোষগুলোর সঞ্চালনব্যবস্থা ঠিক থাকে।
» নিয়মিত কুসুম গরম পানি পান করুন। তাতে শরীর হাইড্রেট থাকবে এবং ব্যথা কমে যাবে। প্রত্যেক মানুষের জন্য সারা দিনে দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করা উচিত। এক গ্লাস পানি একসঙ্গে পান না করে অল্প অল্প করে চুমুক দিয়ে পান করার অভ্যাস করুন।
» যেকোনো ব্যথার অন্যতম কারণ প্রদাহ। এই প্রদাহ দূর করার জন্য নিয়মিত ঘুমানোর আগে হলুদ চা-পান করুন। এতে প্রদাহ দূর হবে।
» যাঁদের পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ আছে, তাঁরা সকাল থেকে মাঝ দুপুরের মধ্যে নিয়মিত রোদে বসার চেষ্টা করুন।
লেখক: খাদ্য পথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ; প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র
মারাত্মক সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে অধিকাংশ গরিব দেশের লোকজন প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক পায় না। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। এই গরিব দেশের তালিকায় আছে বাংলাদেশও। গবেষণায় বলা হয়েছে, গরিব দেশগুলোতে মারাত্মক অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বা ওষুধ-প্রতিরোধী সংক্রমণে আক্রান্ত মাত্র...
১ দিন আগেগৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্লাস্টিক পণ্যে রয়েছে ‘থ্যালেটস’ (Phthalates) নামক রাসায়নিক পদার্থ। আর এই থ্যালেটস কোনো নির্বিরোধী রাসায়নিক উপাদান নয়। এর কারণে মৃত্যুর ঘটনা অনেক বেশি। থ্যালেটসের সংস্পর্শে আসার কারণে ২০১৮ সালে বিশ্বব্যাপী ৩ লাখ ৫৬ হাজারেরও বেশি মানুষের হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবর
২ দিন আগেপুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের সিটি স্ক্যান মেশিনের ফিল্মসংকট দেখা দিয়েছে। এতে সিটি স্ক্যান করার প্রয়োজন এমন রোগী ও তাঁদের স্বজনদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে যাঁদের জরুরি ভিত্তিতে সিটি স্ক্যান করা প্রয়োজন, তাঁরা পড়ছেন সবচেয়ে বেশি...
৩ দিন আগেআশার কথা হলো, পরিবর্তন আসছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক যুগান্তকারী পরীক্ষায় দেখা গেছে, তীব্রভাবে চিনাবাদামের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত দুই-তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ককে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে চিনাবাদাম খাইয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় আনা সম্ভব হয়েছে।
৩ দিন আগে