প্রতিদিন চা ও কফি পান করার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। এবার এই অভ্যাসের একটি ভালো দিক খুঁজে পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা। তাঁদের মতে, নিয়মিত কফি এবং চা পান করলে মুখ, গলা ও কণ্ঠনালী সম্পর্কিত ক্যানসারের ঝুঁকি কমতে পারে। নতুন এক গবেষণায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে।
পূর্ববর্তী ১৪টি গবেষণার ২৫ হাজারেরও বেশি রেকর্ড সংগ্রহ করেন গবেষকেরা। সেগুলোকে একত্রে মূল্যায়ন করে তারা এটি নির্ধারণ করার চেষ্টা করেন যে, মাথা ও গলার বিভিন্ন টিউমারের সঙ্গে রোগীদের খাদ্যাভ্যাসের কী সম্পর্ক রয়েছে।
গবেষণায় দেখা যায়, প্রতিদিন চার কাপের বেশি ক্যাফেইনযুক্ত কফি পান করলে মাথা বা গলার ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি ১৭ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। তবে অনেকেই কফি পছন্দ করেন না। তবে চা প্রেমীদের জন্যও ভালো খবর রয়েছে।
বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, যা কিছু আমরা খাই তা আমাদের পেট এবং ফুসফুসের দিকে যাওয়ার পথে টিউমার-সৃষ্টিকারী মিউটেশনকে (জিনগত পরিবর্তন) উসকে দিতে পারে। যারা তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার করেন, তাদের মাথা ও গলা স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা (এইচএনএসসিসি) হওয়ার ঝুঁকি ১০ গুণ বেশি। প্রতিদিন যে পরিমাণ অ্যালকোহল পান করা হয়, তার ওপর ভিত্তি করে এই ঝুঁকি আরও বাড়ে।
অপরদিকে চা এবং কফির মতো জনপ্রিয় পানীয়গুলোতে ক্যানসার এবং প্রদাহী বিরোধী শক্তিশালী উপাদান থাকে। এসব পানীয় ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদানগুলোর কিছু প্রভাব থেকে সুরক্ষা প্রদান করতে পারে।
এই বিষয়ের ওপর গবেষণা কিছুটা অসম্পূর্ণ ছিল। কিছু গবেষণা ইঙ্গিত দেয় যে, প্রতিদিন মধ্যম থেকে উচ্চ স্তরের কফি খাওয়া কিছু সুরক্ষামূলক প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে। তবে এই ফলাফল অন্য গবেষণার ফলাফলের বিপরীত। অনেক গবেষণায় মুখ এবং গলার ক্যানসার প্রতিরোধে তেমন কোনো প্রভাব ফেলেনি কফি। একইভাবে কিছু গবেষণায় চা-কে মাথা ও গলার ক্যানসারের ঝুঁকি কমানোর সঙ্গে সম্পর্কিত দেখা গেছে। তবে অন্য কিছু গবেষণায় তা দেখা যায়নি।
গবেষকেরা নতুন তথ্য এবং বড় পরিসরের ডেটা ব্যবহার করে। যেখানে ৯ হাজার ৫০০ এর বেশি মাথা ও গলা ক্যানসারের রোগী এবং প্রায় ১৬ হাজার সুস্থ ব্যক্তির তথ্য ছিল। কফি এবং চা খাওয়ার পর এগুলো যেসব কোষগুলোকে স্পর্শ করে তা পর্যবেক্ষণ করে গবেষকেরা। সেই কোষগুলো ক্যানসারের সঙ্গে কীভাবে সম্পর্কিত পরিষ্কারভাবে বুঝতে চেয়েছিলেন তারা।
গবেষণায় দেখা যায়, যারা প্রতিদিন ৪ কাপ বা তার বেশি ক্যাফেইনযুক্ত কফি পান করতেন, তাদের মুখের ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি ৩০ শতাংশ এবং গলার ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি ২২ শতাংশ কম ছিল। এ ছাড়া, প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ কাপ কফি পানের ফলে গলার নিচের অংশে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ৪০ শতাংশ কমে যায়।
কফির উপকার পেতে তাতে ক্যাফেইন থাকা জরুরি নয়। মুখগহ্বরের ক্যানসার ২৫ শতাংশ কমার সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল ডিক্যাফ কফি। চা পান করলে গলার নিচের অংশে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ৩০ শতাংশ কমে। কিন্ত দুই বা তিন কাপ চা পান করলে কণ্ঠনালী ক্যানসারের ঝুঁকি ৩৮ শতাংশ বাড়তে পারে। তবে এটি কেন ঘটে তা স্পষ্ট নয়।
বিশ্বের অনেক ধনী দেশে মাথা ও গলা ক্যানসার কমে যাচ্ছে। মানব প্যাপিলোমাভাইরাস (এইচপিভি) এর বিরুদ্ধে টিকা দেওয়ার মাধ্যমে জনসংখ্যার একটি বড় অংশ এই রোগের অন্যতম সাধারণ কারণ থেকে সুরক্ষিত হচ্ছে।
তবে, যেসব দেশে সহজ এবং সস্তায় স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া যায় না, সেসব দেশের মানুষের মাথা ও গলার ক্যানসার হওয়ার সৃষ্টি বেশি। এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকর জনস্বাস্থ্য কর্মসূচির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
প্রতি বছর প্রায় ৯ লাখ মানুষের মাথা ও গলার ক্যানসার হয়। এই ধরনের ক্যানসারে বার্ষিক মৃত্যুর সংখ্যা তার প্রায় অর্ধেক। যারা বেঁচে থাকেন, তাদের মুখ বিকৃত হয়ে যেতে পারে। এর ফলে তারা কথা বলার ও খাবার গেলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারে।
ইউটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় রোগ বিজ্ঞানী ইউয়ান-চিন আ্যমি লি বলেন, ‘যদিও কফি এবং চা পান করার মাধ্যমে ক্যানসারের ঝুঁকি কমানোর বিষয়ে আগে কিছু গবেষণা হয়েছে। এই গবেষণাটি মাথা ও গলার ক্যানসারের বিভিন্ন জায়গায় তাদের বিভিন্ন প্রভাব দেখিয়েছে। এতে এমনও দেখা গেছে যে, ডিক্যাফ কফিরও কিছু ভালো প্রভাব রয়েছে।
ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে কফি এবং চা কীভাবে প্রভাব ফেলতে পারে তা আরও ভালোভাবে জানার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন বলে অ্যামি লি দাবি করেন।
গবেষণাটি ‘ক্যানসার’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
তথ্যসূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট
প্রতিদিন চা ও কফি পান করার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। এবার এই অভ্যাসের একটি ভালো দিক খুঁজে পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা। তাঁদের মতে, নিয়মিত কফি এবং চা পান করলে মুখ, গলা ও কণ্ঠনালী সম্পর্কিত ক্যানসারের ঝুঁকি কমতে পারে। নতুন এক গবেষণায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে।
পূর্ববর্তী ১৪টি গবেষণার ২৫ হাজারেরও বেশি রেকর্ড সংগ্রহ করেন গবেষকেরা। সেগুলোকে একত্রে মূল্যায়ন করে তারা এটি নির্ধারণ করার চেষ্টা করেন যে, মাথা ও গলার বিভিন্ন টিউমারের সঙ্গে রোগীদের খাদ্যাভ্যাসের কী সম্পর্ক রয়েছে।
গবেষণায় দেখা যায়, প্রতিদিন চার কাপের বেশি ক্যাফেইনযুক্ত কফি পান করলে মাথা বা গলার ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি ১৭ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। তবে অনেকেই কফি পছন্দ করেন না। তবে চা প্রেমীদের জন্যও ভালো খবর রয়েছে।
বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, যা কিছু আমরা খাই তা আমাদের পেট এবং ফুসফুসের দিকে যাওয়ার পথে টিউমার-সৃষ্টিকারী মিউটেশনকে (জিনগত পরিবর্তন) উসকে দিতে পারে। যারা তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার করেন, তাদের মাথা ও গলা স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা (এইচএনএসসিসি) হওয়ার ঝুঁকি ১০ গুণ বেশি। প্রতিদিন যে পরিমাণ অ্যালকোহল পান করা হয়, তার ওপর ভিত্তি করে এই ঝুঁকি আরও বাড়ে।
অপরদিকে চা এবং কফির মতো জনপ্রিয় পানীয়গুলোতে ক্যানসার এবং প্রদাহী বিরোধী শক্তিশালী উপাদান থাকে। এসব পানীয় ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদানগুলোর কিছু প্রভাব থেকে সুরক্ষা প্রদান করতে পারে।
এই বিষয়ের ওপর গবেষণা কিছুটা অসম্পূর্ণ ছিল। কিছু গবেষণা ইঙ্গিত দেয় যে, প্রতিদিন মধ্যম থেকে উচ্চ স্তরের কফি খাওয়া কিছু সুরক্ষামূলক প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে। তবে এই ফলাফল অন্য গবেষণার ফলাফলের বিপরীত। অনেক গবেষণায় মুখ এবং গলার ক্যানসার প্রতিরোধে তেমন কোনো প্রভাব ফেলেনি কফি। একইভাবে কিছু গবেষণায় চা-কে মাথা ও গলার ক্যানসারের ঝুঁকি কমানোর সঙ্গে সম্পর্কিত দেখা গেছে। তবে অন্য কিছু গবেষণায় তা দেখা যায়নি।
গবেষকেরা নতুন তথ্য এবং বড় পরিসরের ডেটা ব্যবহার করে। যেখানে ৯ হাজার ৫০০ এর বেশি মাথা ও গলা ক্যানসারের রোগী এবং প্রায় ১৬ হাজার সুস্থ ব্যক্তির তথ্য ছিল। কফি এবং চা খাওয়ার পর এগুলো যেসব কোষগুলোকে স্পর্শ করে তা পর্যবেক্ষণ করে গবেষকেরা। সেই কোষগুলো ক্যানসারের সঙ্গে কীভাবে সম্পর্কিত পরিষ্কারভাবে বুঝতে চেয়েছিলেন তারা।
গবেষণায় দেখা যায়, যারা প্রতিদিন ৪ কাপ বা তার বেশি ক্যাফেইনযুক্ত কফি পান করতেন, তাদের মুখের ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি ৩০ শতাংশ এবং গলার ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি ২২ শতাংশ কম ছিল। এ ছাড়া, প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ কাপ কফি পানের ফলে গলার নিচের অংশে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ৪০ শতাংশ কমে যায়।
কফির উপকার পেতে তাতে ক্যাফেইন থাকা জরুরি নয়। মুখগহ্বরের ক্যানসার ২৫ শতাংশ কমার সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল ডিক্যাফ কফি। চা পান করলে গলার নিচের অংশে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ৩০ শতাংশ কমে। কিন্ত দুই বা তিন কাপ চা পান করলে কণ্ঠনালী ক্যানসারের ঝুঁকি ৩৮ শতাংশ বাড়তে পারে। তবে এটি কেন ঘটে তা স্পষ্ট নয়।
বিশ্বের অনেক ধনী দেশে মাথা ও গলা ক্যানসার কমে যাচ্ছে। মানব প্যাপিলোমাভাইরাস (এইচপিভি) এর বিরুদ্ধে টিকা দেওয়ার মাধ্যমে জনসংখ্যার একটি বড় অংশ এই রোগের অন্যতম সাধারণ কারণ থেকে সুরক্ষিত হচ্ছে।
তবে, যেসব দেশে সহজ এবং সস্তায় স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া যায় না, সেসব দেশের মানুষের মাথা ও গলার ক্যানসার হওয়ার সৃষ্টি বেশি। এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকর জনস্বাস্থ্য কর্মসূচির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
প্রতি বছর প্রায় ৯ লাখ মানুষের মাথা ও গলার ক্যানসার হয়। এই ধরনের ক্যানসারে বার্ষিক মৃত্যুর সংখ্যা তার প্রায় অর্ধেক। যারা বেঁচে থাকেন, তাদের মুখ বিকৃত হয়ে যেতে পারে। এর ফলে তারা কথা বলার ও খাবার গেলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারে।
ইউটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় রোগ বিজ্ঞানী ইউয়ান-চিন আ্যমি লি বলেন, ‘যদিও কফি এবং চা পান করার মাধ্যমে ক্যানসারের ঝুঁকি কমানোর বিষয়ে আগে কিছু গবেষণা হয়েছে। এই গবেষণাটি মাথা ও গলার ক্যানসারের বিভিন্ন জায়গায় তাদের বিভিন্ন প্রভাব দেখিয়েছে। এতে এমনও দেখা গেছে যে, ডিক্যাফ কফিরও কিছু ভালো প্রভাব রয়েছে।
ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে কফি এবং চা কীভাবে প্রভাব ফেলতে পারে তা আরও ভালোভাবে জানার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন বলে অ্যামি লি দাবি করেন।
গবেষণাটি ‘ক্যানসার’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
তথ্যসূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট
আশার কথা হলো, পরিবর্তন আসছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক যুগান্তকারী পরীক্ষায় দেখা গেছে, তীব্রভাবে চিনাবাদামের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত দুই-তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ককে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে চিনাবাদাম খাইয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় আনা সম্ভব হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেঅতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার বা ‘আল্ট্রা প্রসেসড ফুড’ (ইউপিএফ) বেশি খাওয়ার কারণে শুধু স্থূলতা, হতাশা, ডায়াবেটিস কিংবা হৃদরোগই নয়, বাড়ছে অকালমৃত্যুর ঝুঁকিও। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এই ধরনের খাবার খাওয়ার কারণে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু ঘটছে।
৫ ঘণ্টা আগেদেশের প্রায় পাঁচ লাখ শিশু সময়মতো টিকার সব ডোজ পাচ্ছে না। তাদের মধ্যে ৭০ হাজার শিশু কোনো টিকাই পায় না। টিকা না পাওয়ার হার শহরাঞ্চলে বেশি। টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলেও এসব তথ্য উঠে এসেছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)...
১৬ ঘণ্টা আগেভিটামিন ‘ডি’-এর অভাবে অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে; বিশেষ করে হৃদ্রোগ, কিডনি রোগ, বিষণ্নতাজনিত রোগ, রক্তে চর্বি বেড়ে যাওয়া, হাড় ক্ষয়, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসতন্ত্রের রোগ, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস, কম ওজনে জন্ম নেওয়া, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে। গতকাল সোমবার রাজধানীতে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব
২১ ঘণ্টা আগে