Ajker Patrika

টাক মাথায় চুল গজাল কীভাবে, গোপন কৌশল ফাঁস করলেন ধনকুবের ব্রায়ান জনসন

টাক মাথায় চুল গজাল কীভাবে, গোপন কৌশল ফাঁস করলেন ধনকুবের ব্রায়ান জনসন

নিজের যৌবন ধরে রাখতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেন প্রযুক্তি ধনকুবের ব্রায়ান জনসন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের চুলের চমকপ্রদ পরিবর্তন শেয়ার করেন। ৪৬ বছর বয়সী এই ব্যক্তি এক বছরের কম সময় নিজের চুল পড়া রোধ করেছেন এবং চুলের প্রাকৃতিক রং পুনরুদ্ধার করেছেন।

এক্স প্ল্যাটফর্মে একাধিক টুইটে চুল পড়া প্রতিরোধে এবং স্বাস্থ্যকর চুল বজায় রাখার বিস্তৃত পরিকল্পনা উন্মোচন করেছেন ব্রায়ান। তিনি বলেন, স্বাভাবিকভাবে এই সময়ের মধ্যে তাঁর মাথার সব চুল পড়ে যাওয়ার কথা। তবে পুষ্টি, টপিক্যাল চিকিৎসা (নির্দিষ্ট স্থানের জন্য বিশেষ চিকিৎসা) এবং লাইট থেরাপির মাধ্যমে তিনি চুল পড়া রোধ করেছেন। 

পুরুষদের কম বয়স থেকেই চুল পড়া রোধে ব্যবস্থা নিতে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করেছেন তিনি। চল্লিশ এবং তার পরেও সম্পূর্ণ মাথার চুল বজায় রাখা সম্ভব বলে দাবি করেন ব্রায়ান। 

এক্স পোস্টে ব্রায়ান বলেন, ‘জিনগতভাবে, আমার টাক থাকার কথা। আমার ২০ বছরের শেষ দিকে চুল পড়া শুরু হয় এবং চুল সাদা হতে শুরু করেছিল। এখন ৪৭ বছর বয়সে আমার পুরো মাথায় চুল আছে এবং আমার প্রায় ৭০ শতাংশ সাদা চুল চলে গেছে। 

পরবর্তী টুইটগুলোতে নতুন চুল গজানোর একটি বহুমুখী পদ্ধতির কথা উল্লেখ করেন তিনি। তাঁর এই সাফল্যের মূল কারণ হলো ভিটামিন এবং পুষ্টির কৌশলগত ব্যবহার। বিশেষ করে প্রোটিন এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড খাদ্যতালিকায় রাখা, যা তার চুল গজাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। 

পুষ্টির পাশাপাশি জিনের জন্য তিনি একটি ব্যক্তিগত করা স্থানীয় ফর্মুলা তৈরি করেছেন। এই ফর্মুলায় মেলাটোনিন, ক্যাফিন এবং ভিটামিন ডি৩ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ ছাড়া তিনি তাঁর দৈনন্দিন রুটিনে রেড লাইট (লাল আলো) থেরাপি অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এই থেরাপি নেওয়ার জন্য দিনজুড়ে বিশেষ টুপি পরে থাকেন তিনি। 

জনসনের চুল গজানোর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো মিনোক্সিডিল সেবন করা। এটি একধরনের চুল পড়ার ওষুধ। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, এটি শুধু কম মাত্রায় নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত হয়। কারণ, ওষুধটির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। যেমন অতিরিক্ত চুল বৃদ্ধি এবং মাথাব্যথা। 

চুল গজানোর থেরাপি তৈরির জন্য বেশ কিছু কোম্পানির সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন জনসন। তবে এগুলো তৈরিতে আরও কয়েক বছর সময় লাগবে। 

ডায়াগনস্টিকস এবং চিকিৎসার জন্য প্রতিবছর ২০ লাখ ডলারের বেশি ব্যয় করেন ব্রায়ান জনসন। পাশাপাশি সময়ের সঙ্গে বয়স বাড়া ধীর করতে একটি সূক্ষ্মভাবে তৈরি করা রুটিন অনুসরণ করেন তিনি। কয়েক দিন আগে শরীরের ‘মোট প্লাজমা’ পরিবর্তনের মতো বিপজ্জনক পদ্ধতির কথা প্রকাশ করেছিলেন। এর মাধ্যমে তাঁর দেহ থেকে বিষাক্ত উপাদান পরিষ্কার করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। 

জনসন তাঁর ৩০ বছর বয়সে পেমেন্ট প্রসেসিং কোম্পানি বিথ্রেইন পেমেন্ট সলিউশনস ‘ইবে’-কে ৮০ কোটি ডলার নগদে বিক্রি করে নিজের ভাগ্য গড়েন। তাঁর বর্তমানে সম্পদের পরিমাণ আনুমানিক ৪০ কোটি ডলার। 

ব্রায়ান জনসন একজন আমেরিকান উদ্যোক্তা, ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট এবং লেখক। তিনি কার্নেলের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও। এই কোম্পানি এমন ডিভাইস তৈরি করে, যা মস্তিষ্কের কার্যকলাপ নিরীক্ষণ ও রেকর্ড করে। তাঁর একটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম প্রাথমিক পর্যায়ের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কোম্পানি বা স্টার্টআপগুলোতে বিনিয়োগ করে থাকে।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত