আলমগীর আলম
আমরা অনেকে জানি, প্রাচীনকাল থেকে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে উপকারী হিসেবে পরিচিত ফল বেল। অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসহ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানে ভরপুর এটি। প্রতি ১০০ গ্রাম বেলে থাকে ১.৮ গ্রাম প্রোটিন, ৩১.৮ গ্রাম শর্করা, ০.৩ গ্রাম চর্বি, ৫৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন এ, ৬০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ৮৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৬০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম।
বেলের পুষ্টিগুণ
কোষ্ঠকাঠিন্যের মহৌষধ: বেল পেট পরিষ্কার করে, এটি শুধু প্রবাদবাক্যই নয়, বৈজ্ঞানিকভাবে সত্য। এটি মল পরিষ্কার হতে সাহায্য করে। নিয়মিত ৩ মাস বেলের শরবত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য পুরোপুরি ভালো হয়ে যাওয়ার উদাহরণ আছে।
ডায়রিয়া কমাতে: কাঁচা বেল ডায়রিয়ার জন্য অব্যর্থ ওষুধ। ক্রনিক ডায়রিয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কাঁচা বেল চাকা চাকা করে কেটে রোদে শুকিয়ে গুঁড়া করে নিতে হবে। গরম পানিতে ১ চামচ এই গুঁড়ার সঙ্গে ব্রাউন সুগার মিশিয়ে দিনে দুবার পান করুন। এক সপ্তাহে ভালো ফল পাবেন।
পেপটিক আলসারের ওষুধ: পাকা বেলের শাঁসে সেই আঁশ আছে, যা আলসার উপশমে সাহায্য করে। আলসার কমাতে সপ্তাহে তিন দিন বেলের শরবত পান করুন। এ ছাড়া বেলের পাতা সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরদিন পান করলেও আলসার কমে।
ডায়াবেটিস কমায়: মিষ্টি ফল খেলে সুগার বাড়ে, কথাটি পুরোপুরি সঠিক নয়। সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গেছে, ডায়াবেটিস রোগীর খাবারের মধ্যে পাকা বেল বেশ উপকারী। এতে রয়েছে মেথানল নামের একটি উপাদান, যা ব্লাড সুগার কমাতে অনবদ্য কাজ করে। তবে ভালো ফল পেতে পাকা বেল শরবত করে নয়, এমনিই খেতে হবে।
যক্ষ্মার ক্ষতি কমায়: পাকা বেলে আছে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান, যা যক্ষ্মা কমাতে সাহায্য করে। তবে ভালো ফল পেতে ব্রাউন সুগারের সঙ্গে বা মধু দিয়ে বেলের শরবত করে রাতে খেতে হবে ঘুমোতে যাওয়ার আগে। এটি টানা ৪০ দিন খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
আর্থ্রাইটিস উপশম করে: এটি আজকাল শুধু বয়স্কদের নয়, কম বয়সের মানুষেরও হচ্ছে। গাঁটে ব্যথা, চলতে সমস্যা এগুলো এর লক্ষণ। কিন্তু বেলে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান এই ব্যথার হাত থেকে মুক্তি দিতে পারে।
ক্যানসার থেকে দূরে রাখে: ক্যানসার থেকে দূরে থাকতে চায় সবাই। বেল আমাদের এ রোগ থেকে দূরে রাখতে সহায়তা করতে পারে। এতে রয়েছে অ্যান্টি প্রলেফিরেটিভ ও অ্যান্টি মুটাজেন উপাদান। এগুলো টিউমার হতে দেয় না সহজে। আর যেহেতু এই ফলে উচ্চমাত্রার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান আছে, তাই এটি ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা কমায়।
ম্যালেরিয়া কমায় কাঁচা বেল: ম্যালেরিয়া হলে কাঁচা বেল গুঁড়া করে নিন। ১ চামচ এই গুঁড়ার সঙ্গে তুলসীর রস ও মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন দিনে দুবার।
বেল কীভাবে খাবেন
সিজনে পাকা বেল খেতে পারেন। উত্তম হচ্ছে কাঁচা বেল কেটে শুকিয়ে পাউডার করে রাখা। সারা বছর এটি খাওয়া যায়। পসারি দোকানে বেলশুট পাওয়া যায়, সেটাও খেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে বেলশুট বা পাউডার ১ টেবিল চামচ ২০০ মিলিলিটার পানিতে ভিজিয়ে রেখে রাতের খাওয়ার অন্তত ১ ঘণ্টা পর পান করুন।
আলমগীর আলম, খাদ্য পথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ, প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময়কেন্দ্র
আমরা অনেকে জানি, প্রাচীনকাল থেকে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে উপকারী হিসেবে পরিচিত ফল বেল। অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসহ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানে ভরপুর এটি। প্রতি ১০০ গ্রাম বেলে থাকে ১.৮ গ্রাম প্রোটিন, ৩১.৮ গ্রাম শর্করা, ০.৩ গ্রাম চর্বি, ৫৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন এ, ৬০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ৮৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৬০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম।
বেলের পুষ্টিগুণ
কোষ্ঠকাঠিন্যের মহৌষধ: বেল পেট পরিষ্কার করে, এটি শুধু প্রবাদবাক্যই নয়, বৈজ্ঞানিকভাবে সত্য। এটি মল পরিষ্কার হতে সাহায্য করে। নিয়মিত ৩ মাস বেলের শরবত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য পুরোপুরি ভালো হয়ে যাওয়ার উদাহরণ আছে।
ডায়রিয়া কমাতে: কাঁচা বেল ডায়রিয়ার জন্য অব্যর্থ ওষুধ। ক্রনিক ডায়রিয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কাঁচা বেল চাকা চাকা করে কেটে রোদে শুকিয়ে গুঁড়া করে নিতে হবে। গরম পানিতে ১ চামচ এই গুঁড়ার সঙ্গে ব্রাউন সুগার মিশিয়ে দিনে দুবার পান করুন। এক সপ্তাহে ভালো ফল পাবেন।
পেপটিক আলসারের ওষুধ: পাকা বেলের শাঁসে সেই আঁশ আছে, যা আলসার উপশমে সাহায্য করে। আলসার কমাতে সপ্তাহে তিন দিন বেলের শরবত পান করুন। এ ছাড়া বেলের পাতা সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরদিন পান করলেও আলসার কমে।
ডায়াবেটিস কমায়: মিষ্টি ফল খেলে সুগার বাড়ে, কথাটি পুরোপুরি সঠিক নয়। সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গেছে, ডায়াবেটিস রোগীর খাবারের মধ্যে পাকা বেল বেশ উপকারী। এতে রয়েছে মেথানল নামের একটি উপাদান, যা ব্লাড সুগার কমাতে অনবদ্য কাজ করে। তবে ভালো ফল পেতে পাকা বেল শরবত করে নয়, এমনিই খেতে হবে।
যক্ষ্মার ক্ষতি কমায়: পাকা বেলে আছে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান, যা যক্ষ্মা কমাতে সাহায্য করে। তবে ভালো ফল পেতে ব্রাউন সুগারের সঙ্গে বা মধু দিয়ে বেলের শরবত করে রাতে খেতে হবে ঘুমোতে যাওয়ার আগে। এটি টানা ৪০ দিন খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
আর্থ্রাইটিস উপশম করে: এটি আজকাল শুধু বয়স্কদের নয়, কম বয়সের মানুষেরও হচ্ছে। গাঁটে ব্যথা, চলতে সমস্যা এগুলো এর লক্ষণ। কিন্তু বেলে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান এই ব্যথার হাত থেকে মুক্তি দিতে পারে।
ক্যানসার থেকে দূরে রাখে: ক্যানসার থেকে দূরে থাকতে চায় সবাই। বেল আমাদের এ রোগ থেকে দূরে রাখতে সহায়তা করতে পারে। এতে রয়েছে অ্যান্টি প্রলেফিরেটিভ ও অ্যান্টি মুটাজেন উপাদান। এগুলো টিউমার হতে দেয় না সহজে। আর যেহেতু এই ফলে উচ্চমাত্রার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান আছে, তাই এটি ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা কমায়।
ম্যালেরিয়া কমায় কাঁচা বেল: ম্যালেরিয়া হলে কাঁচা বেল গুঁড়া করে নিন। ১ চামচ এই গুঁড়ার সঙ্গে তুলসীর রস ও মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন দিনে দুবার।
বেল কীভাবে খাবেন
সিজনে পাকা বেল খেতে পারেন। উত্তম হচ্ছে কাঁচা বেল কেটে শুকিয়ে পাউডার করে রাখা। সারা বছর এটি খাওয়া যায়। পসারি দোকানে বেলশুট পাওয়া যায়, সেটাও খেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে বেলশুট বা পাউডার ১ টেবিল চামচ ২০০ মিলিলিটার পানিতে ভিজিয়ে রেখে রাতের খাওয়ার অন্তত ১ ঘণ্টা পর পান করুন।
আলমগীর আলম, খাদ্য পথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ, প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময়কেন্দ্র
ওষুধ প্রতিরোধী গনোরিয়া ও এমআরএসএ (মেথিসিলিন-প্রতিরোধী স্ট্যাফিলোকক্কাস অরিয়াস) মোকাবিলায় দুটি নতুন অ্যান্টিবায়োটিক উদ্ভাবন করেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) গবেষকেরা জানিয়েছেন, এই ওষুধগুলোর ‘পরমাণু থেকে পরমাণু’ সম্পূর্ণভাবে এআই দিয়ে নকশা করা হয়েছে...
১৭ ঘণ্টা আগেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৫২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তবে চিকিৎসাধীন কোনো রোগীর মৃত্যু হয়। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২০ ঘণ্টা আগেসচেতনতার অভাবে নবজাতককে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর প্রবণতা কমার কারণে নবজাতক মৃত্যুর হার বাড়ছে বলে জানিয়েছেন একদল বিশেষজ্ঞ। তাঁরা বলছেন, এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ও চিকিৎসকেরা মিলে কৌটা দুধের বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে তারা এসব দুধ নবজাতককে খাওয়ানোর জন্য প্ররোচিত করে। ফলে নবজাতককে বুকের দু
২ দিন আগেগরমে স্বস্তির অপর নাম এসি। বাইরে যখন তাপমাত্রা অসহনীয়, তখন ঘরের মধ্যে শীতল বাতাস যেন এক স্বর্গীয় অনুভূতি। শুধু আরামই নয়, এসি ব্যবহারে ঘরের আর্দ্রতাও নিয়ন্ত্রিত থাকে। তবে অনেকেই আছেন যারা গরমে গরমে কষ্ট করেও এসি ব্যবহার করেন না। তাঁদের বিশ্বাস, এসি থেকে অসুস্থ হওয়া যায়। এটি অনেকের কাছে অবাস্তব মনে...
২ দিন আগে