অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহ্রিয়া
অধিকাংশ সময় দেখা যায়, আমরা বর্তমানে বাঁচি না। হয় অতীত নিয়ে মনঃকষ্টে, নয়তো ভবিষ্যতের দুশ্চিন্তায় বাঁচি। তার থেকেও বড় কথা হলো, জীবনে কী চাই, সেটাও আমরা জানি না। আমরা সেই জিনিসগুলোই জীবনে চাই, যেগুলো দেখে আশপাশের মানুষ ঈর্ষান্বিত হবে। যেন অন্যকে ঈর্ষান্বিত করতে পারাটাই জীবনের সার্থকতা।
সচরাচর আমরা চারটা বাধায় বৃত্তবন্দী হয়ে পড়ি, নিজে কেমন জীবন চাচ্ছি সেটা পেতে। তখন মনে হয়, অন্যরা আমাকে টপকে পারিবারিক, সামাজিক, পেশাগত জীবনে দিব্যি এগিয়ে যাচ্ছে।
আমরা মনে করি আমাদের অতীত ভবিষ্যৎকে নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে এ ভাবনা আমাদের মনে অসহায়ত্ব তৈরি করে। আমরা হেরে যাওয়া, প্রত্যাখ্যাত হওয়াকে সাফল্যহীনতা মনে করে ভয় পাই। আমরা না বলতে এবং না শুনতে পারি না। তাই মনে মনে খুব স্থিতি অবস্থা চাইলেও সাফল্য অর্জনের জন্য যেসব হিসাব-নিকাশ করে ঝুঁকি নিতে হয়, সেই সাহস করি না।
তাহলে ইচ্ছামতো বাঁচার উপায় কী? কীভাবে বাঁচলে নিজের আত্মবিশ্বাস ও আত্মসম্মান অটুট থাকবে?
রবীন্দ্রনাথের একটা চমৎকার কথা আছে—
‘সম্মুখে টানিয়া ধরে পশ্চাতে আমি...’
মনস্তত্ত্ব বলে, মানুষের ভবিষ্যৎ আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে তার অতীত আচরণ। অতীতের বিশ্বাস আমাদের ভবিষ্যতে নতুন কিছু পাওয়া ও সম্ভাবনা খোঁজার জায়গা থেকে মাঝে মাঝে দূরে সরিয়ে রাখে। কিন্তু গবেষণা জানাচ্ছে, আমরা যদি চাই মাত্র ১৫ শতাংশ আচরণে অতীতের ছাপ রেখে নিজেকে বদলে ফেলতে পারি। গতকাল আমি যা করেছি, করেছি। কিন্তু আগামীকালের আমাকে বদলানোর দায়িত্বটি শুধু আমার নিজেকেই নিতে হবে। অন্য কেউ পারবে না, যদি আমি সেই রিমোট কন্ট্রোলটি অতীতের ঘটনার হাতে তুলে দিই।
আপনি যদি হেরে যাওয়ার ভয় বা প্রত্যাখ্যানের ভয়ে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন, তাহলে আপনি মানসিকভাবে পঙ্গু হয়ে গেলেন। এই পঙ্গুত্ব নিয়ে আপনি বদলে যাওয়ার পথে হাঁটতে পারবেন না। ভয় মনের মধ্যে গেড়ে বসে থাকলে, নিজেকে তিনটি কথা বলুন।
প্রথমত, যেটা পেতে পারি, সেটা হারাতেও পারি। আমি জানি, কীভাবে পেতে হয়।
দ্বিতীয়ত, কিছু হারালে আমি দুর্বল হয়ে পড়ি না; বরং এই হারানোর অভিজ্ঞতা আমাকে আরও শক্তিশালী করে ভবিষ্যৎ মোকাবিলায়।
তৃতীয়ত, জীবন একটা যাত্রা। এটি কোনো গন্তব্য নয়। জীবনের পথে চলতে চলতে কখনো হোঁচট খেয়ে পড়ব, কখনো উঠে দাঁড়াব।
যা করতে পারেন
যদি মমতাময় কেউ না থাকে, নিজেই নিজেকে সে মমতা দেওয়ার চেষ্টা করুন এবং অপেক্ষা করুন হতাশ না হয়ে।
আপনি জীবনে আনন্দ, সাফল্য পাওয়ার অযোগ্য—এই ভ্রান্ত ধারণা বাদ দিন।
এমন কারও কাছে আর আত্মসমর্পণ করবেন না, যে আমার সম্মান ও যত্ন করে না।
জীবনের যেকোনো ধাপে ঘুরে দাঁড়ানো যায়, নতুন করে শুরু করা যায়।
নারী দিবসের মুহূর্তটি হোক আপনার নিজের মুহূর্ত। নিজেকে যত্ন করার, নিজেকে সম্মান করার, নিজেকে ভালোবাসার মুহূর্ত।
লেখক: চিকিৎসক ও সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার, ঢাকা
অধিকাংশ সময় দেখা যায়, আমরা বর্তমানে বাঁচি না। হয় অতীত নিয়ে মনঃকষ্টে, নয়তো ভবিষ্যতের দুশ্চিন্তায় বাঁচি। তার থেকেও বড় কথা হলো, জীবনে কী চাই, সেটাও আমরা জানি না। আমরা সেই জিনিসগুলোই জীবনে চাই, যেগুলো দেখে আশপাশের মানুষ ঈর্ষান্বিত হবে। যেন অন্যকে ঈর্ষান্বিত করতে পারাটাই জীবনের সার্থকতা।
সচরাচর আমরা চারটা বাধায় বৃত্তবন্দী হয়ে পড়ি, নিজে কেমন জীবন চাচ্ছি সেটা পেতে। তখন মনে হয়, অন্যরা আমাকে টপকে পারিবারিক, সামাজিক, পেশাগত জীবনে দিব্যি এগিয়ে যাচ্ছে।
আমরা মনে করি আমাদের অতীত ভবিষ্যৎকে নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে এ ভাবনা আমাদের মনে অসহায়ত্ব তৈরি করে। আমরা হেরে যাওয়া, প্রত্যাখ্যাত হওয়াকে সাফল্যহীনতা মনে করে ভয় পাই। আমরা না বলতে এবং না শুনতে পারি না। তাই মনে মনে খুব স্থিতি অবস্থা চাইলেও সাফল্য অর্জনের জন্য যেসব হিসাব-নিকাশ করে ঝুঁকি নিতে হয়, সেই সাহস করি না।
তাহলে ইচ্ছামতো বাঁচার উপায় কী? কীভাবে বাঁচলে নিজের আত্মবিশ্বাস ও আত্মসম্মান অটুট থাকবে?
রবীন্দ্রনাথের একটা চমৎকার কথা আছে—
‘সম্মুখে টানিয়া ধরে পশ্চাতে আমি...’
মনস্তত্ত্ব বলে, মানুষের ভবিষ্যৎ আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে তার অতীত আচরণ। অতীতের বিশ্বাস আমাদের ভবিষ্যতে নতুন কিছু পাওয়া ও সম্ভাবনা খোঁজার জায়গা থেকে মাঝে মাঝে দূরে সরিয়ে রাখে। কিন্তু গবেষণা জানাচ্ছে, আমরা যদি চাই মাত্র ১৫ শতাংশ আচরণে অতীতের ছাপ রেখে নিজেকে বদলে ফেলতে পারি। গতকাল আমি যা করেছি, করেছি। কিন্তু আগামীকালের আমাকে বদলানোর দায়িত্বটি শুধু আমার নিজেকেই নিতে হবে। অন্য কেউ পারবে না, যদি আমি সেই রিমোট কন্ট্রোলটি অতীতের ঘটনার হাতে তুলে দিই।
আপনি যদি হেরে যাওয়ার ভয় বা প্রত্যাখ্যানের ভয়ে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন, তাহলে আপনি মানসিকভাবে পঙ্গু হয়ে গেলেন। এই পঙ্গুত্ব নিয়ে আপনি বদলে যাওয়ার পথে হাঁটতে পারবেন না। ভয় মনের মধ্যে গেড়ে বসে থাকলে, নিজেকে তিনটি কথা বলুন।
প্রথমত, যেটা পেতে পারি, সেটা হারাতেও পারি। আমি জানি, কীভাবে পেতে হয়।
দ্বিতীয়ত, কিছু হারালে আমি দুর্বল হয়ে পড়ি না; বরং এই হারানোর অভিজ্ঞতা আমাকে আরও শক্তিশালী করে ভবিষ্যৎ মোকাবিলায়।
তৃতীয়ত, জীবন একটা যাত্রা। এটি কোনো গন্তব্য নয়। জীবনের পথে চলতে চলতে কখনো হোঁচট খেয়ে পড়ব, কখনো উঠে দাঁড়াব।
যা করতে পারেন
যদি মমতাময় কেউ না থাকে, নিজেই নিজেকে সে মমতা দেওয়ার চেষ্টা করুন এবং অপেক্ষা করুন হতাশ না হয়ে।
আপনি জীবনে আনন্দ, সাফল্য পাওয়ার অযোগ্য—এই ভ্রান্ত ধারণা বাদ দিন।
এমন কারও কাছে আর আত্মসমর্পণ করবেন না, যে আমার সম্মান ও যত্ন করে না।
জীবনের যেকোনো ধাপে ঘুরে দাঁড়ানো যায়, নতুন করে শুরু করা যায়।
নারী দিবসের মুহূর্তটি হোক আপনার নিজের মুহূর্ত। নিজেকে যত্ন করার, নিজেকে সম্মান করার, নিজেকে ভালোবাসার মুহূর্ত।
লেখক: চিকিৎসক ও সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার, ঢাকা
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ৩৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এক দিনে আরও ৩২৯ রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ সময়ে ডেঙ্গুতে এক পুরুষের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত) এই হিসাব পাওয়া গেছে।
৮ ঘণ্টা আগেমানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার মধ্যে অন্যতম হলো বিষণ্নতা। এই সমস্যার জন্য জিনগত ও পরিবেশগত বিভিন্ন বিষয়কে দায়ী করা হয়। তবে নতুন এক গবেষণায় মুখের অণুজীব বৈচিত্র্য এবং বিষণ্নতার লক্ষণের মধ্যে গভীর সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন। আর ঘন ঘন বা অতিরিক্ত মুখ পরিষ্কারের অভ্যাস এই অণুজীব বৈচিত্র্য নষ্ট করতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
১ দিন আগে