অনলাইন ডেস্ক
প্রতিদিন এক কাপ অতিরিক্ত ইনস্ট্যান্ট কফি খাওয়া চোখের মারাত্মক রোগ ড্রাই বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের (ড্রাই এএমডি) ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দিতে পারে। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি জেনেটিক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক গবেষণা সাময়িকী ‘ফুড সায়েন্স অ্যান্ড নিউট্রিশন’বে প্রকাশিত এই গবেষণায় ৫ লাখেরও বেশি মানুষের জিনোম ডেটা সেট ব্যবহৃত হয়েছে। এই গবেষণায় দেখা গেছে, ইনস্ট্যান্ট কফি গ্রহণের পরিমাণ বাড়লে ড্রাই এএমডির ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। প্রতিটি স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন ইনস্ট্যান্ট কফি খাওয়ার সঙ্গে ড্রাই এএমডির ঝুঁকি প্রায় ৭ দশমিক ৯ গুণ বেড়ে যায়।
অন্যদিকে, গ্রাউন্ড কফি বা ডিক্যাফ কফির সঙ্গে এ ধরনের কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, ইনস্ট্যান্ট কফি তৈরির জন্য কফির বীজ বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় শুকিয়ে পাউডার বা দানাদার রূপে রূপান্তর করা হয়। এটি গরম পানিতে গুলে দ্রুত পানীয় কফি তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়। এই কফি দীর্ঘ সময় ধরে সংরক্ষণ করা যায়। এগুলো অতিরিক্ত প্রসেসিং করানোর কারণে এতে ক্ষতিকর উপাদান যুক্ত হতে পারে।
অন্যদিকে, গ্রাউন্ড কফি হলো—ভাজা কফি বীজকে চূর্ণ করে তৈরি করা প্রাকৃতিক কফি, যেটি ফিল্টার, প্রেস বা এসপ্রেসো মেশিনে ব্রিউ করে বানাতে হয়। এতে তেমন কোনো প্রক্রিয়াজাতকরণ হয় না এবং এর স্বাদ ও ঘ্রাণ ইনস্ট্যান্ট কফির তুলনায় অনেক বেশি তীব্র।
গবেষকেরা মনে করছেন, ইনস্ট্যান্ট কফি প্রস্তুতের সময় তৈরি হওয়া কিছু রাসায়নিক উপাদান (যেমন: অ্যাক্রিলামাইড, অক্সিডাইজ লিপিড ও অ্যাডভান্সড গ্লাইকেশন অ্যান্ড প্রোডাক্টস) রেটিনাল কোষে জমে প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস তৈরি করতে পারে, যা এএমডির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
এ ছাড়া, ইনস্ট্যান্ট কফি প্রক্রিয়াকরণে ব্যবহৃত পানিশূন্যকরণ ও পুনর্গঠন প্রক্রিয়াগুলোও সমস্যা তৈরি করতে পারে বলে গবেষণায় ধারণা করা হয়েছে।
অন্যদিকে, গ্রাউন্ড কফি বা ডিক্যাফ কফিতে এসব পদার্থ নেই বলে তারা মনে করছেন।
গবেষণাটি জেনেটিক কোরিলেশন ও মেন্ডেলিয়ান র্যান্ডমাইজেশন পদ্ধতি ব্যবহার করে নিশ্চিত করেছে যে, ইনস্ট্যান্ট কফি পান করাই এই রোগের ঝুঁকির সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত। তবে গবেষণায় কোনো ডিএনএ ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যায়নি, যা একই সঙ্গে ইনস্ট্যান্ট কফি গ্রহণ ও এএমডির জন্য দায়ী। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, কফির প্রক্রিয়াজাতকরণ থেকে আসা রাসায়নিক পদার্থই ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
এএমডি কী এবং যে কারণে উদ্বেগজনক
ড্রাই এএমডি হলো চোখের এমন একটি অবক্ষয়জনিত রোগ, যেখানে ম্যাকুলা (চোখের কেন্দ্রীয় অংশ) ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যায় এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও খারাপ হয়। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৮ দশমিক ৭ শতাংশ বয়স্ক মানুষ এএমিডিতে আক্রান্ত (২০২০ সালে আনুমানিক ১৯৬ মিলিয়ন) এবং ২০৪০ সালের মধ্যে তা বেড়ে দাঁড়াতে পারে প্রায় ২৪০ মিলিয়নে।
এএমডি একবার দেখা দিলে তা পুরোপুরি নিরাময় সম্ভব নয়, কেবল চিকিৎসা ও খাদ্যতালিকা দিয়ে এর গতি কিছুটা ধীর করা যায়। ফলে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়াই সবচেয়ে কার্যকর উপায় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গবেষকেরা বলছেন, যাদের এএমডি হওয়ার পারিবারিক ইতিহাস আছে বা যাদের প্রাথমিক পর্যায়ে চোখে সমস্যা দেখা যাচ্ছে, তাদের ইনস্ট্যান্ট কফি খাওয়া কমানো উচিত। তারা চাইলে গ্রাউন্ড কফি বা ডিক্যাফ বেছে নিতে পারেন।
এই গবেষণায় বিশালসংখ্যক মানুষের জেনেটিক (বংশগত) তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে, যা সংগ্রহ করা হয়েছে যুক্তরাজ্যের ইউকে বায়োব্যাংক ও ফিনল্যান্ডের ফিনজেন (Finngen) নামক দুটি বড় গবেষণা প্রকল্প থেকে।
গবেষণায় মেন্ডেলিয়ান র্যান্ডমাইজেশন (এমআর) পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে, যা জীববিজ্ঞানের একধরনের পদ্ধতি, যেখানে জিনগত ভিন্নতা ব্যবহার করে স্বাস্থ্য আচরণ (যেমন: কফি খাওয়া) ও রোগের মধ্যে সম্পর্ক নির্ণয় করা হয়। এতে অন্যান্য জীবনের অভ্যাসগত বিভ্রান্তি (যেমন খাদ্যাভ্যাস বা ধূমপান) কম প্রভাব ফেলে।
প্রতিদিন এক কাপ অতিরিক্ত ইনস্ট্যান্ট কফি খাওয়া চোখের মারাত্মক রোগ ড্রাই বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের (ড্রাই এএমডি) ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দিতে পারে। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি জেনেটিক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক গবেষণা সাময়িকী ‘ফুড সায়েন্স অ্যান্ড নিউট্রিশন’বে প্রকাশিত এই গবেষণায় ৫ লাখেরও বেশি মানুষের জিনোম ডেটা সেট ব্যবহৃত হয়েছে। এই গবেষণায় দেখা গেছে, ইনস্ট্যান্ট কফি গ্রহণের পরিমাণ বাড়লে ড্রাই এএমডির ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। প্রতিটি স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন ইনস্ট্যান্ট কফি খাওয়ার সঙ্গে ড্রাই এএমডির ঝুঁকি প্রায় ৭ দশমিক ৯ গুণ বেড়ে যায়।
অন্যদিকে, গ্রাউন্ড কফি বা ডিক্যাফ কফির সঙ্গে এ ধরনের কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, ইনস্ট্যান্ট কফি তৈরির জন্য কফির বীজ বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় শুকিয়ে পাউডার বা দানাদার রূপে রূপান্তর করা হয়। এটি গরম পানিতে গুলে দ্রুত পানীয় কফি তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়। এই কফি দীর্ঘ সময় ধরে সংরক্ষণ করা যায়। এগুলো অতিরিক্ত প্রসেসিং করানোর কারণে এতে ক্ষতিকর উপাদান যুক্ত হতে পারে।
অন্যদিকে, গ্রাউন্ড কফি হলো—ভাজা কফি বীজকে চূর্ণ করে তৈরি করা প্রাকৃতিক কফি, যেটি ফিল্টার, প্রেস বা এসপ্রেসো মেশিনে ব্রিউ করে বানাতে হয়। এতে তেমন কোনো প্রক্রিয়াজাতকরণ হয় না এবং এর স্বাদ ও ঘ্রাণ ইনস্ট্যান্ট কফির তুলনায় অনেক বেশি তীব্র।
গবেষকেরা মনে করছেন, ইনস্ট্যান্ট কফি প্রস্তুতের সময় তৈরি হওয়া কিছু রাসায়নিক উপাদান (যেমন: অ্যাক্রিলামাইড, অক্সিডাইজ লিপিড ও অ্যাডভান্সড গ্লাইকেশন অ্যান্ড প্রোডাক্টস) রেটিনাল কোষে জমে প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস তৈরি করতে পারে, যা এএমডির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
এ ছাড়া, ইনস্ট্যান্ট কফি প্রক্রিয়াকরণে ব্যবহৃত পানিশূন্যকরণ ও পুনর্গঠন প্রক্রিয়াগুলোও সমস্যা তৈরি করতে পারে বলে গবেষণায় ধারণা করা হয়েছে।
অন্যদিকে, গ্রাউন্ড কফি বা ডিক্যাফ কফিতে এসব পদার্থ নেই বলে তারা মনে করছেন।
গবেষণাটি জেনেটিক কোরিলেশন ও মেন্ডেলিয়ান র্যান্ডমাইজেশন পদ্ধতি ব্যবহার করে নিশ্চিত করেছে যে, ইনস্ট্যান্ট কফি পান করাই এই রোগের ঝুঁকির সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত। তবে গবেষণায় কোনো ডিএনএ ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যায়নি, যা একই সঙ্গে ইনস্ট্যান্ট কফি গ্রহণ ও এএমডির জন্য দায়ী। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, কফির প্রক্রিয়াজাতকরণ থেকে আসা রাসায়নিক পদার্থই ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
এএমডি কী এবং যে কারণে উদ্বেগজনক
ড্রাই এএমডি হলো চোখের এমন একটি অবক্ষয়জনিত রোগ, যেখানে ম্যাকুলা (চোখের কেন্দ্রীয় অংশ) ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যায় এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও খারাপ হয়। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৮ দশমিক ৭ শতাংশ বয়স্ক মানুষ এএমিডিতে আক্রান্ত (২০২০ সালে আনুমানিক ১৯৬ মিলিয়ন) এবং ২০৪০ সালের মধ্যে তা বেড়ে দাঁড়াতে পারে প্রায় ২৪০ মিলিয়নে।
এএমডি একবার দেখা দিলে তা পুরোপুরি নিরাময় সম্ভব নয়, কেবল চিকিৎসা ও খাদ্যতালিকা দিয়ে এর গতি কিছুটা ধীর করা যায়। ফলে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়াই সবচেয়ে কার্যকর উপায় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গবেষকেরা বলছেন, যাদের এএমডি হওয়ার পারিবারিক ইতিহাস আছে বা যাদের প্রাথমিক পর্যায়ে চোখে সমস্যা দেখা যাচ্ছে, তাদের ইনস্ট্যান্ট কফি খাওয়া কমানো উচিত। তারা চাইলে গ্রাউন্ড কফি বা ডিক্যাফ বেছে নিতে পারেন।
এই গবেষণায় বিশালসংখ্যক মানুষের জেনেটিক (বংশগত) তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে, যা সংগ্রহ করা হয়েছে যুক্তরাজ্যের ইউকে বায়োব্যাংক ও ফিনল্যান্ডের ফিনজেন (Finngen) নামক দুটি বড় গবেষণা প্রকল্প থেকে।
গবেষণায় মেন্ডেলিয়ান র্যান্ডমাইজেশন (এমআর) পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে, যা জীববিজ্ঞানের একধরনের পদ্ধতি, যেখানে জিনগত ভিন্নতা ব্যবহার করে স্বাস্থ্য আচরণ (যেমন: কফি খাওয়া) ও রোগের মধ্যে সম্পর্ক নির্ণয় করা হয়। এতে অন্যান্য জীবনের অভ্যাসগত বিভ্রান্তি (যেমন খাদ্যাভ্যাস বা ধূমপান) কম প্রভাব ফেলে।
শরীরের ব্যথায় কখনো ভোগেনি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজের এক গবেষণা বলছে, বিশ্বে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন শরীরে ব্যথার সমস্যায় ভুগছে। তাদের কারও গিরায় ব্যথা, কারও পেশিতে, আবার কেউ হাড়ের ব্যথায় আক্রান্ত। বাংলাদেশে ব্যথার সমস্যায় ভোগা রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি।
৪ ঘণ্টা আগেদেশে গত এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এক শিশুসহ (১৩) তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই সময়ে হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছে ৩২৫ জন ডেঙ্গু রোগী।
৯ ঘণ্টা আগেহাইপোগ্লাইসিমিয়া বা রক্ত শর্করার স্বল্পতা হলো এমন একটি অবস্থা, যখন রক্তের শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যায়। এ পরিমাণ হয় সাধারণত ৩ দশমিক ৯ মিলিমোলস পার লিটার বা ৭০ মিলি গ্রামস পার ডেসিলিটারের কম। এ সময় কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। সেগুলো হলো—
১৯ ঘণ্টা আগেবর্ষাকাল এলেই বাড়ে সর্দি-কাশি, জ্বরের প্রকোপ। কিন্তু শুধু এসব নয়, এ সময়ে বাড়ছে হৃদ্রোগের সমস্যাও। আগের ধারণা ছিল, হৃদ্রোগ শহরের মানুষের সমস্যা। কিন্তু এখন গ্রামেও এতে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রামীণ জীবন ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আর মানসিক চাপের কারণে বাড়ছে এই ঝুঁকি।
২০ ঘণ্টা আগে