Ajker Patrika

পাখি আনে জীবনানন্দ

অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৯: ৩৯
পাখি আনে জীবনানন্দ

সেই কবিতা মনে পড়ে,
পাখি সব কলরব রাতি পোহাইল
কাননে কুসুম কলি সকলি ফুটিল

সেই পাখিদের কলকাকলি শুনে ঘুম ভেঙেছে কত দিন! সিলেটের বিখ্যাত কিন ব্রিজে যেমন জালালি কবুতর, তেমনি কবুতর আছে লন্ডনের ট্রাফাল্ গার স্কয়ারে।

বিজ্ঞানীরা বলেন, পাখিদের কাছাকাছি থাকলে মন খোশ হয়। আর যদি ১০ শতাংশের বেশি পাখির প্রজাতি ঘরের আশপাশে থাকে তাহলে কথাই নেই। বছরে চাকরির বেতন বাড়লে যেমন আনন্দ, এ আনন্দটাও তেমন। গবেষকেরা ২৬টি দেশের ২৬ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জীবন সন্তুষ্টির স্কোর পরিমাপ করেছেন। আর এর সঙ্গে মিলিয়ে দেখেছেন আশপাশের পাখির জীববৈচিত্র্য। গবেষকেরা বলছেন, সবচেয়ে সুখী মানুষেরা দৈনন্দিন জীবনে শুনেছেন পাখির অনেক কলরব।

এর আংশিক কারণ, পাখি নিজেরাই আনন্দ আনে মনে। আর সুস্থ জীববৈচিত্র্যের জন্য পাখি এক সূচকও বটে। তাদের উপস্থিতি নির্দেশ করে, আশপাশে আছে সবুজের মেলা।

অতিমারির সময় পাখি দর্শন বিপুল পরিমাণে বেড়েছে। বেড়েছে পাখির খাঁচা বা বাইনোকুলারের বিক্রি বেড়েছে স্থানীয় পার্ক বা ঝিলে মানুষ পাখিদের দেখবে বলে। এমন হলেও পাখিদের সংখ্যা কমেছে বটে। পৃথিবীর ১১ হাজার পাখি প্রজাতির ৪০ শতাংশ বিলুপ্তির পথে। এর কারণ পাখির বাসস্থান ধ্বংস আর জলবায়ু পরিবর্তন। প্রকৃতির এই ধ্বংস নিবারণ না করা গেলে চারপাশ হবে বিষাক্ত, আমাদের কুশল আর অর্থনীতি দুটোই হবে ক্ষীয়মাণ।

সামনে ভ্যালেন্টাইন ডে আর বসন্তবরণ। সময় করে পাখি দেখে আসুন কোথাও থেকে। মন ভালো থাকবে। সম্পর্কও হবে আনন্দময়।

লেখক: সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত