ডা. মোহাম্মদ তানভীর জালাল
পাইলস মলদ্বারের নিচের দিকে অবস্থিত। এটি রক্তনালি দিয়ে পূর্ণ থাকে এবং মল ও বাতাস ধরে রাখতে সাহায্য করে। মলদ্বার দিয়ে পাইলস বের হয়ে আসা, মলদ্বার দিয়ে রক্ত পড়া বা ব্যথা ও অস্বস্তি হওয়াই পাইলস রোগ। তবে রোগ নিশ্চিত হতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয়।
পাইলস দুই ধরনের। বহিঃস্থ ও অভ্যন্তরীণ।
বহিঃস্থ পাইলস
মলদ্বারের মুখে ও বাইরে হয় এবং চামড়ার নিচে থাকে কিন্তু ব্যথা অনুভূত হয় না। মলত্যাগের সময় চাপ দিলে বা বেশিক্ষণ ধরে মলত্যাগ করলে বাইরের পাইলসের মধ্যে রক্ত জমাট বেঁধে তা শক্ত হয়ে গিয়ে ব্যথা করতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে ফেটে রক্ত বের হতে পারে। অনেক দিন ধরে পাইলস থাকলে মলদ্বারে চুলকানি ও মলদ্বার পরিষ্কার করতে অসুবিধা হয়।
অভ্যন্তরীণ পাইলস
এ ধরনের পাইলসের উপসর্গ হলো, মলদ্বার দিয়ে রক্ত পড়া ও মলদ্বার বের হয়ে আসা। বের হয়ে আসা পাইলস ভেতরে ঢোকানো সম্ভব না হলেই শুধু ব্যথা হতে পারে।
কারণ
সব সময় মলত্যাগে চাপ দেওয়া, দীর্ঘক্ষণ ধরে মলত্যাগ করা, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, গর্ভাবস্থা, অনিয়মিত মলত্যাগ, বার্ধক্য, খাদ্যাভ্যাসে অনিয়ম, বংশগত ও অপরিচ্ছন্ন জীবনযাপন।
প্রাথমিক করণীয়
শাকসবজি, সালাদ, আঁশ-জাতীয় ও তরল খাবার বেশি করে খেলে পাইলসে প্রাথমিকভাবে উপকার পাওয়া যায়। একই সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে হবে, মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত চাপ দেওয়া যাবে না। মলদ্বারের ব্যথায় সিজ বাথ আরাম দেবে। বহিঃস্থ পাইলসে বেশি ব্যথা হলে অপারেশন প্রয়োজন হতে পারে।
চিকিৎসা ব্যান্ড লাইগেশন
এ পদ্ধতিতে রক্ত সরবরাহ বন্ধ করতে পাইলসের ওপর একটি ব্যান্ড পরিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে পাইলস ও ব্যান্ড ঝরে পড়ে যায়। দুই সপ্তাহের মধ্যে ঘা শুকিয়ে যায়। এই চিকিৎসার পর কিছু ক্ষেত্রে রক্ত যেতে পারে এবং মলদ্বারে অস্বস্তি হতে পারে।
ইনজেকশন ও ইনফ্রারেড
পাইলস মলদ্বারের ভেতরে থাকলে ব্যথামুক্ত এই চিকিৎসা করা হয়।
অপারেশন পদ্ধতি
অভিজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে পাইলস সম্পূর্ণ কেটে ফেলা যায়। যদি ব্যান্ড লাইগেশন বা ইনজেকশন দেওয়ার পর পাইলস আবার হয় অথবা যদি অনবরত রক্তপাত হয় বা পাইলস যদি ভেতরে ঢোকানো সম্ভব না হয়, তাহলে পাইলস অপারেশন করাতে হয়। বহিঃস্থ পাইলসের ভেতরে বারবার রক্ত জমাট বেঁধে গেলে পাইলস অপারেশন করে ফেলতে হবে।
লংগো অপারেশন
এই পদ্ধতিতে একটি বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ পাইলস কেটে ফেলা হয়। অপারেশনের তিন-চার দিনের মধ্যে স্বাভাবিক কাজ করা যায়।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, কলোরেক্টাল সার্জারি বিভাগ, কলোরেক্টাল লেপারোস্কপিক ও জেনারেল সার্জন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
পাইলস মলদ্বারের নিচের দিকে অবস্থিত। এটি রক্তনালি দিয়ে পূর্ণ থাকে এবং মল ও বাতাস ধরে রাখতে সাহায্য করে। মলদ্বার দিয়ে পাইলস বের হয়ে আসা, মলদ্বার দিয়ে রক্ত পড়া বা ব্যথা ও অস্বস্তি হওয়াই পাইলস রোগ। তবে রোগ নিশ্চিত হতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয়।
পাইলস দুই ধরনের। বহিঃস্থ ও অভ্যন্তরীণ।
বহিঃস্থ পাইলস
মলদ্বারের মুখে ও বাইরে হয় এবং চামড়ার নিচে থাকে কিন্তু ব্যথা অনুভূত হয় না। মলত্যাগের সময় চাপ দিলে বা বেশিক্ষণ ধরে মলত্যাগ করলে বাইরের পাইলসের মধ্যে রক্ত জমাট বেঁধে তা শক্ত হয়ে গিয়ে ব্যথা করতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে ফেটে রক্ত বের হতে পারে। অনেক দিন ধরে পাইলস থাকলে মলদ্বারে চুলকানি ও মলদ্বার পরিষ্কার করতে অসুবিধা হয়।
অভ্যন্তরীণ পাইলস
এ ধরনের পাইলসের উপসর্গ হলো, মলদ্বার দিয়ে রক্ত পড়া ও মলদ্বার বের হয়ে আসা। বের হয়ে আসা পাইলস ভেতরে ঢোকানো সম্ভব না হলেই শুধু ব্যথা হতে পারে।
কারণ
সব সময় মলত্যাগে চাপ দেওয়া, দীর্ঘক্ষণ ধরে মলত্যাগ করা, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, গর্ভাবস্থা, অনিয়মিত মলত্যাগ, বার্ধক্য, খাদ্যাভ্যাসে অনিয়ম, বংশগত ও অপরিচ্ছন্ন জীবনযাপন।
প্রাথমিক করণীয়
শাকসবজি, সালাদ, আঁশ-জাতীয় ও তরল খাবার বেশি করে খেলে পাইলসে প্রাথমিকভাবে উপকার পাওয়া যায়। একই সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে হবে, মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত চাপ দেওয়া যাবে না। মলদ্বারের ব্যথায় সিজ বাথ আরাম দেবে। বহিঃস্থ পাইলসে বেশি ব্যথা হলে অপারেশন প্রয়োজন হতে পারে।
চিকিৎসা ব্যান্ড লাইগেশন
এ পদ্ধতিতে রক্ত সরবরাহ বন্ধ করতে পাইলসের ওপর একটি ব্যান্ড পরিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে পাইলস ও ব্যান্ড ঝরে পড়ে যায়। দুই সপ্তাহের মধ্যে ঘা শুকিয়ে যায়। এই চিকিৎসার পর কিছু ক্ষেত্রে রক্ত যেতে পারে এবং মলদ্বারে অস্বস্তি হতে পারে।
ইনজেকশন ও ইনফ্রারেড
পাইলস মলদ্বারের ভেতরে থাকলে ব্যথামুক্ত এই চিকিৎসা করা হয়।
অপারেশন পদ্ধতি
অভিজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে পাইলস সম্পূর্ণ কেটে ফেলা যায়। যদি ব্যান্ড লাইগেশন বা ইনজেকশন দেওয়ার পর পাইলস আবার হয় অথবা যদি অনবরত রক্তপাত হয় বা পাইলস যদি ভেতরে ঢোকানো সম্ভব না হয়, তাহলে পাইলস অপারেশন করাতে হয়। বহিঃস্থ পাইলসের ভেতরে বারবার রক্ত জমাট বেঁধে গেলে পাইলস অপারেশন করে ফেলতে হবে।
লংগো অপারেশন
এই পদ্ধতিতে একটি বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ পাইলস কেটে ফেলা হয়। অপারেশনের তিন-চার দিনের মধ্যে স্বাভাবিক কাজ করা যায়।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, কলোরেক্টাল সার্জারি বিভাগ, কলোরেক্টাল লেপারোস্কপিক ও জেনারেল সার্জন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
মানবদেহের জিন এবার তৈরি হবে গবেষণাগারে। এ জন্য ইতিমধ্যে তহবিলও পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্যবিষয়ক দাতা সংস্থা ওয়েলকাম ট্রাস্ট এই গবেষণার জন্য এক কোটি পাউন্ড ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেদেশে ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোনো মৃত্যু হয়নি। এ সময় ১৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগেগত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি এই সময়ে আরও ১৯৫ জন ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগেগত পাঁচ দিনের প্রতিদিনই তিন শতাধিক ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এতে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। সর্বশেষ গতকাল বুধবারের তথ্য অনুযায়ী আগের দিন ২৪ ঘণ্টায় ৩২৬ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয় বলে জানা গেছে। এই সময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
১ দিন আগে