ডা. মো. আরমান বিন আজিজ
‘তোমার চোখ এত লাল কেন?’ এ প্রশ্ন শুনে যে কেউ বিব্রত হতে পারেন। সবাই তো আর কবির মতো রসিক নন। অবশ্য লাল চোখের জন্য খুব একটা বিচলিত হওয়ার কারণ না থাকলেও, চোখ লাল হওয়ার কারণ আছে অনেক।
যেসব কারণে চোখ লাল হয়
●দীর্ঘক্ষণ গোসল করলে
●কাজল ব্যবহার করলে
●খুব কাঁদলে
●সাবান বা শ্যাম্পুর ফেনা লাগলে
●শীতের সকালে ঠান্ডা হাওয়ায় হাঁটলে
●চোখ উঠলে বা চোখে ঘা হলে
●গ্লুকোমা হলে
●কোনো অস্ত্রোপচার করলে
●কিছু কিছু ওষুধ ব্যবহার করলে
●ইউভিয়াইটিস হলে
●অ্যালার্জি-জাতীয় খাবার খেলে
●ধুলাবালু লাগলে
●কোনো কারণে রক্ত জমাট হলে
●পিঁচুটি জমলে
●জোর করে পড়াশোনা করতে গেলে
●টিউমার হলে
●নেত্রনালি বন্ধ হলে
এ ছাড়া ডেঙ্গু জ্বর, মার্স, ইবোলা এমনকি করোনাভাইরাসের সংক্রমণেও চোখ লাল হয়।
কর্নিয়া ছাড়া চোখের সামনের দিকে পুরোটাই সাদা। এর সামনের দিকের অংশ পাতলা ঝিল্লি বা আবরণ দিয়ে ঢাকা থাকে। এই ঝিল্লির নাম কনজাংটিভা। চোখের শিরা-উপশিরাগুলো অত্যন্ত সংবেদনশীল এ ঝিল্লির মধ্যে থাকে বলে খুব সহজে তাতে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। তখন তা লাল হয়ে ওঠে। অনেক ক্ষেত্রেই অল্প সময় পরে লাল ভাব কেটে যায়।
তবে কনজাংটিভায় যখন ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি জীবাণুর সংক্রমণ ঘটে, তখন চোখের পাতার ভেতরের অংশে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। এ রকম একটি সাধারণ রোগের নাম কনজাংটিভাইটিস বা চোখ ওঠা। এটি হলে চোখে সবুজাভ সাদা রঙের পিঁচুটি জমতে পারে, পুঁজের জন্য সকালে চোখের পাতা দুটো আটকেও যেতে পারে। এক চোখ বা দুই চোখই জ্বালা করতে পারে। চোখ উঠলে ঝাড়ফুঁক বা কোনো টোটকা ব্যবহার করবেন না। তাতে চোখের ক্ষতি হতে পারে। লক্ষণ অনুসারে প্রতিকার ও প্রতিরোধ করলে চোখ ওঠা সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়।
চোখ লাল হওয়া প্রতিরোধ
●রোদ ও ধুলাবালু থেকে চোখ রক্ষা করতে রোদচশমা ব্যবহার করুন।
●চোখ লাল হলেই ভয় পাবেন না, যদি না চোখে ঝাপসা দেখেন। ঝাপসা দেখলেই দ্রুত চক্ষু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
●কাজলসহ চোখে ব্যবহারযোগ্য কোনো প্রসাধনী ব্যবহার বন্ধ রাখুন।
●উচ্চ রক্তচাপ কিংবা ডায়াবেটিসে ভুগলে অবশ্যই বছরে কমপক্ষে একবার চক্ষু চিকিৎসক দেখান।
●উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে উত্তেজিত না হয়ে উত্তেজনা প্রশমন করুন। উত্তেজিত হলে চোখের ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়ে।
●পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন।
●দৃষ্টিশক্তি ভালো ও চোখ সুরক্ষিত রাখতে বাদাম খান। চোখের জন্য খুব উপকারী ভিটামিন রয়েছে এতে। এ ছাড়া সবুজ শাকসবজি ও হলুদ ফলমূল বেশি করে খেতে হবে।
●অন্ধকারে টিভি দেখা ও কম্পিউটারে কাজ করবেন না।
●চোখে সাবান বা শ্যাম্পুর ফেনা লাগাবেন না।
●মাথায় খুশকি হলে দ্রুত তা দূর করার চেষ্টা করুন।
●কোনো ফার্মেসি থেকে অনুমাননির্ভর কোনো ওষুধ ব্যবহার করবেন না।
লেখক: সাবেক ফ্যাকাল্টি ও প্রশিক্ষক, চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
‘তোমার চোখ এত লাল কেন?’ এ প্রশ্ন শুনে যে কেউ বিব্রত হতে পারেন। সবাই তো আর কবির মতো রসিক নন। অবশ্য লাল চোখের জন্য খুব একটা বিচলিত হওয়ার কারণ না থাকলেও, চোখ লাল হওয়ার কারণ আছে অনেক।
যেসব কারণে চোখ লাল হয়
●দীর্ঘক্ষণ গোসল করলে
●কাজল ব্যবহার করলে
●খুব কাঁদলে
●সাবান বা শ্যাম্পুর ফেনা লাগলে
●শীতের সকালে ঠান্ডা হাওয়ায় হাঁটলে
●চোখ উঠলে বা চোখে ঘা হলে
●গ্লুকোমা হলে
●কোনো অস্ত্রোপচার করলে
●কিছু কিছু ওষুধ ব্যবহার করলে
●ইউভিয়াইটিস হলে
●অ্যালার্জি-জাতীয় খাবার খেলে
●ধুলাবালু লাগলে
●কোনো কারণে রক্ত জমাট হলে
●পিঁচুটি জমলে
●জোর করে পড়াশোনা করতে গেলে
●টিউমার হলে
●নেত্রনালি বন্ধ হলে
এ ছাড়া ডেঙ্গু জ্বর, মার্স, ইবোলা এমনকি করোনাভাইরাসের সংক্রমণেও চোখ লাল হয়।
কর্নিয়া ছাড়া চোখের সামনের দিকে পুরোটাই সাদা। এর সামনের দিকের অংশ পাতলা ঝিল্লি বা আবরণ দিয়ে ঢাকা থাকে। এই ঝিল্লির নাম কনজাংটিভা। চোখের শিরা-উপশিরাগুলো অত্যন্ত সংবেদনশীল এ ঝিল্লির মধ্যে থাকে বলে খুব সহজে তাতে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। তখন তা লাল হয়ে ওঠে। অনেক ক্ষেত্রেই অল্প সময় পরে লাল ভাব কেটে যায়।
তবে কনজাংটিভায় যখন ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি জীবাণুর সংক্রমণ ঘটে, তখন চোখের পাতার ভেতরের অংশে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। এ রকম একটি সাধারণ রোগের নাম কনজাংটিভাইটিস বা চোখ ওঠা। এটি হলে চোখে সবুজাভ সাদা রঙের পিঁচুটি জমতে পারে, পুঁজের জন্য সকালে চোখের পাতা দুটো আটকেও যেতে পারে। এক চোখ বা দুই চোখই জ্বালা করতে পারে। চোখ উঠলে ঝাড়ফুঁক বা কোনো টোটকা ব্যবহার করবেন না। তাতে চোখের ক্ষতি হতে পারে। লক্ষণ অনুসারে প্রতিকার ও প্রতিরোধ করলে চোখ ওঠা সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়।
চোখ লাল হওয়া প্রতিরোধ
●রোদ ও ধুলাবালু থেকে চোখ রক্ষা করতে রোদচশমা ব্যবহার করুন।
●চোখ লাল হলেই ভয় পাবেন না, যদি না চোখে ঝাপসা দেখেন। ঝাপসা দেখলেই দ্রুত চক্ষু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
●কাজলসহ চোখে ব্যবহারযোগ্য কোনো প্রসাধনী ব্যবহার বন্ধ রাখুন।
●উচ্চ রক্তচাপ কিংবা ডায়াবেটিসে ভুগলে অবশ্যই বছরে কমপক্ষে একবার চক্ষু চিকিৎসক দেখান।
●উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে উত্তেজিত না হয়ে উত্তেজনা প্রশমন করুন। উত্তেজিত হলে চোখের ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়ে।
●পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন।
●দৃষ্টিশক্তি ভালো ও চোখ সুরক্ষিত রাখতে বাদাম খান। চোখের জন্য খুব উপকারী ভিটামিন রয়েছে এতে। এ ছাড়া সবুজ শাকসবজি ও হলুদ ফলমূল বেশি করে খেতে হবে।
●অন্ধকারে টিভি দেখা ও কম্পিউটারে কাজ করবেন না।
●চোখে সাবান বা শ্যাম্পুর ফেনা লাগাবেন না।
●মাথায় খুশকি হলে দ্রুত তা দূর করার চেষ্টা করুন।
●কোনো ফার্মেসি থেকে অনুমাননির্ভর কোনো ওষুধ ব্যবহার করবেন না।
লেখক: সাবেক ফ্যাকাল্টি ও প্রশিক্ষক, চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
উচ্চ কোলেস্টেরলকে ‘নীরব ঘাতক’ বলা হয়। কারণ, এটি ধমনির ভেতরে ধীরে ধীরে জমা হয় এবং সাধারণত কোনো স্পষ্ট লক্ষণ প্রকাশ করে না। নীরবে এটি হৃদ্রোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। পুষ্টিবিদ সিরাজাম মুনিরা বলেন, ‘স্যাচুরেটেড ফ্যাট নামক একধরনের ফ্যাট রয়েছে, যা দেহে খারাপ কোলেস্টেরল...
৫ ঘণ্টা আগেনাকের হাড় বাঁকা বা ডেভিয়েটেড নেসাল সেপ্টাম প্রচলিত সমস্যা, যার সমাধানে সাধারণত অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচারের পর অনেক রোগীর মনে একটি প্রশ্ন জাগে, নাক তো বন্ধ ছিল বলেই অপারেশন করালাম, তাহলে এখনো কেন বন্ধ লাগছে?
৫ ঘণ্টা আগেচোখের জন্য উপকারী কিছু পুষ্টি উপাদান; যেমন লুটেইন এবং জিয়াজ্যান্থিন মানুষের শরীরে তৈরি হয় না। এগুলো শুধু খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে পাওয়া যায়। তাই চোখের সুস্থতা বজায় রাখতে কিছু সুষম খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি চোখের রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমাতেও সহায়ক হতে পারে।
৬ ঘণ্টা আগেমস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে এবং তা ধরে রাখতে মস্তিষ্কের কিছু বিশেষ ব্যায়াম বেশ কাজে দেয়। স্মৃতিশক্তির খেলা, নতুন দক্ষতা শেখা, শব্দজট মেলানো, এমনকি ভিডিও গেমও এ ক্ষেত্রে সহায়ক। আমেরিকান বোর্ড অব মেডিকেল স্পেশালটিস স্বীকৃত নিউরোলজিস্ট ড. সুসান ডব্লিউ লি বলেন, কিছু নির্দিষ্ট...
৭ ঘণ্টা আগে