ডা. ফরিদা ইয়াসমিন সুমি
২৬ সেপ্টেম্বর ছিল বিশ্ব জন্মনিরোধ দিবস। পরিকল্পিত পরিবার গঠন ও জন্মনিরোধক সামগ্রী ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ২০০৭ সাল থেকে ২৬ সেপ্টেম্বরকে বিশ্ব জন্মনিরোধ দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে।
উন্নত সমাজ গঠনের অন্যতম উপাদান সুস্থ, সুন্দর পরিবার। এ পরিবারের প্রধান শর্ত—স্বাচ্ছন্দ। এটি নিশ্চিত করতে দরকার যথাযথ পরিকল্পনা। পরিকল্পিত পরিবার গঠনে সাহায্য করে দম্পতির জন্মনিরোধক পদ্ধতির ব্যবহার।
অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ রোধ করার জন্য পদ্ধতি বা ডিভাইসের ব্যবহারই জন্মনিয়ন্ত্রণ নামে পরিচিত।
জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য বর্তমানে দেশে পিল বা খাবার বড়ি, কপার-টি, ইনজেকশন, লাইগেশন, চামড়ার নিচে বসিয়ে দেওয়া ইমপ্ল্যান্ট, কনডম ও ভ্যাসেকটমি পদ্ধতি প্রচলিত আছে। এর মধ্যে কনডম ও ভ্যাসেকটমি ছাড়া বাকি সব পদ্ধতি নারীদের জন্য। এসব পদ্ধতির মধ্যে খাওয়ার বড়ির ব্যবহার সবচেয়ে বেশি।
বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ ২০০৭-০৮ অনুসারে দেশে প্রজননক্ষম দম্পতির শতকরা ৫০ ভাগ আধুনিক জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি মানেন না। গত ৫ বছরে শুধু জরুরি বড়ি গ্রহণের হার ব্যাপক হারে বেড়েছে। মূলত প্রচারের অভাবই জন্মনিয়ন্ত্রণের আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারে দম্পতিদের অনীহার কারণ। কিন্তু জনবিস্ফোরণ ঠেকাতে এর কোনো বিকল্প নেই।
জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ, গর্ভপাত, মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যুও যৌনবাহিত রোগসহ অনেক জটিলতা বাড়ার আশঙ্কা থাকে। বিগত বছরগুলোয় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও শিশুমৃত্যুর হার হ্রাসে সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ।
প্রজনন অধিকার সব দম্পতি এবং ব্যক্তির মৌলিক অধিকার। স্বাধীন ও দায়িত্বশীলভাবে তাঁদের সন্তানদের সংখ্যা, বয়সের ব্যবধান ও সময় নির্ধারণ করার এবং যৌনতার সর্বোচ্চ মান অর্জনের অধিকার রয়েছে।
উন্নয়নশীল দেশগুলোতে গর্ভধারণ এড়াতে চান, এমন প্রায় ২২২ মিলিয়ন নারী আধুনিক জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করছেন না। অথচ এসব দেশে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রির ব্যবহার গর্ভাবস্থায় বা তার কাছাকাছি সময়ে মাতৃমৃত্যুর হার ৪০ শতাংশ কমিয়েছে।
এমনকি জন্মনিয়ন্ত্রণের সম্পূর্ণ চাহিদা পূরণ হলে মৃত্যুহার ৭০ শতাংশ পর্যন্ত প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে ধারণা করা হয়। জন্মনিয়ন্ত্রণ গর্ভাবস্থার মধ্যবর্তী সময়কাল দীর্ঘ করার মাধ্যমে ওই নারীর প্রসবের অবস্থা ও ফলাফল উন্নত করে এবং সন্তানদের মৃত্যুঝুঁকি কমায়।
এ ছাড়া জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। যেমন কনডম ব্যবহার করলে যৌনরোগ এবং জরায়ুমুখের ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কমে। পিল সেবনের ফলে অনিয়মিত মাসিক নিয়মিত হয়, ওভারিতে সিস্ট তৈরি হতে বাধা দেয়, জরায়ুকে সুরক্ষা দেয়।
উন্নয়নশীল বিশ্বে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অনুসরণ করার মাধ্যমে নারীর উপার্জন, সম্পদ, ওজন, সন্তানদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য উন্নত হয়। এর মধ্য দিয়ে কর্মশক্তিতে বেশিসংখ্যক নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করে।
পরামর্শ দিয়েছেন: ডা. ফরিদা ইয়াসমিন সুমি, প্রসূতি, স্ত্রীরোগ ও বন্ধ্যাত্বরোগ বিশেষজ্ঞ এবং সার্জন সহকারী অধ্যাপক (গাইনি) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
২৬ সেপ্টেম্বর ছিল বিশ্ব জন্মনিরোধ দিবস। পরিকল্পিত পরিবার গঠন ও জন্মনিরোধক সামগ্রী ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ২০০৭ সাল থেকে ২৬ সেপ্টেম্বরকে বিশ্ব জন্মনিরোধ দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে।
উন্নত সমাজ গঠনের অন্যতম উপাদান সুস্থ, সুন্দর পরিবার। এ পরিবারের প্রধান শর্ত—স্বাচ্ছন্দ। এটি নিশ্চিত করতে দরকার যথাযথ পরিকল্পনা। পরিকল্পিত পরিবার গঠনে সাহায্য করে দম্পতির জন্মনিরোধক পদ্ধতির ব্যবহার।
অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ রোধ করার জন্য পদ্ধতি বা ডিভাইসের ব্যবহারই জন্মনিয়ন্ত্রণ নামে পরিচিত।
জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য বর্তমানে দেশে পিল বা খাবার বড়ি, কপার-টি, ইনজেকশন, লাইগেশন, চামড়ার নিচে বসিয়ে দেওয়া ইমপ্ল্যান্ট, কনডম ও ভ্যাসেকটমি পদ্ধতি প্রচলিত আছে। এর মধ্যে কনডম ও ভ্যাসেকটমি ছাড়া বাকি সব পদ্ধতি নারীদের জন্য। এসব পদ্ধতির মধ্যে খাওয়ার বড়ির ব্যবহার সবচেয়ে বেশি।
বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ ২০০৭-০৮ অনুসারে দেশে প্রজননক্ষম দম্পতির শতকরা ৫০ ভাগ আধুনিক জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি মানেন না। গত ৫ বছরে শুধু জরুরি বড়ি গ্রহণের হার ব্যাপক হারে বেড়েছে। মূলত প্রচারের অভাবই জন্মনিয়ন্ত্রণের আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারে দম্পতিদের অনীহার কারণ। কিন্তু জনবিস্ফোরণ ঠেকাতে এর কোনো বিকল্প নেই।
জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ, গর্ভপাত, মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যুও যৌনবাহিত রোগসহ অনেক জটিলতা বাড়ার আশঙ্কা থাকে। বিগত বছরগুলোয় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও শিশুমৃত্যুর হার হ্রাসে সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ।
প্রজনন অধিকার সব দম্পতি এবং ব্যক্তির মৌলিক অধিকার। স্বাধীন ও দায়িত্বশীলভাবে তাঁদের সন্তানদের সংখ্যা, বয়সের ব্যবধান ও সময় নির্ধারণ করার এবং যৌনতার সর্বোচ্চ মান অর্জনের অধিকার রয়েছে।
উন্নয়নশীল দেশগুলোতে গর্ভধারণ এড়াতে চান, এমন প্রায় ২২২ মিলিয়ন নারী আধুনিক জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করছেন না। অথচ এসব দেশে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রির ব্যবহার গর্ভাবস্থায় বা তার কাছাকাছি সময়ে মাতৃমৃত্যুর হার ৪০ শতাংশ কমিয়েছে।
এমনকি জন্মনিয়ন্ত্রণের সম্পূর্ণ চাহিদা পূরণ হলে মৃত্যুহার ৭০ শতাংশ পর্যন্ত প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে ধারণা করা হয়। জন্মনিয়ন্ত্রণ গর্ভাবস্থার মধ্যবর্তী সময়কাল দীর্ঘ করার মাধ্যমে ওই নারীর প্রসবের অবস্থা ও ফলাফল উন্নত করে এবং সন্তানদের মৃত্যুঝুঁকি কমায়।
এ ছাড়া জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। যেমন কনডম ব্যবহার করলে যৌনরোগ এবং জরায়ুমুখের ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কমে। পিল সেবনের ফলে অনিয়মিত মাসিক নিয়মিত হয়, ওভারিতে সিস্ট তৈরি হতে বাধা দেয়, জরায়ুকে সুরক্ষা দেয়।
উন্নয়নশীল বিশ্বে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অনুসরণ করার মাধ্যমে নারীর উপার্জন, সম্পদ, ওজন, সন্তানদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য উন্নত হয়। এর মধ্য দিয়ে কর্মশক্তিতে বেশিসংখ্যক নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করে।
পরামর্শ দিয়েছেন: ডা. ফরিদা ইয়াসমিন সুমি, প্রসূতি, স্ত্রীরোগ ও বন্ধ্যাত্বরোগ বিশেষজ্ঞ এবং সার্জন সহকারী অধ্যাপক (গাইনি) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের সিটি স্ক্যান মেশিনের ফিল্মসংকট দেখা দিয়েছে। এতে সিটি স্ক্যান করার প্রয়োজন এমন রোগী ও তাঁদের স্বজনদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে যাঁদের জরুরি ভিত্তিতে সিটি স্ক্যান করা প্রয়োজন, তাঁরা পড়ছেন সবচেয়ে বেশি...
৫ ঘণ্টা আগেআশার কথা হলো, পরিবর্তন আসছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক যুগান্তকারী পরীক্ষায় দেখা গেছে, তীব্রভাবে চিনাবাদামের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত দুই-তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ককে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে চিনাবাদাম খাইয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় আনা সম্ভব হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেঅতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার বা ‘আল্ট্রা প্রসেসড ফুড’ (ইউপিএফ) বেশি খাওয়ার কারণে শুধু স্থূলতা, হতাশা, ডায়াবেটিস কিংবা হৃদরোগই নয়, বাড়ছে অকালমৃত্যুর ঝুঁকিও। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এই ধরনের খাবার খাওয়ার কারণে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু ঘটছে।
১৭ ঘণ্টা আগেদেশের প্রায় পাঁচ লাখ শিশু সময়মতো টিকার সব ডোজ পাচ্ছে না। তাদের মধ্যে ৭০ হাজার শিশু কোনো টিকাই পায় না। টিকা না পাওয়ার হার শহরাঞ্চলে বেশি। টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলেও এসব তথ্য উঠে এসেছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)...
১ দিন আগে